নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি- নির্ভীক এক সাহসী সৈনিকের প্রস্থান; সত্যের পথে লড়ে গেলেন জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত

১৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪



মিশরের রাজধানী কায়রোর নিকটবর্তী আল ওয়াফা আল আমাল পাবলিক কবরস্থান (The Al-Wafaa Wa al-Amal public cemetery in Cairo)। এখানেই সমাহিত করা হয়েছে প্রেসিডেন্ট হাফেজ ড. মোহাম্মাদ মুরসিকে।
ছবি: আল জাজিরাহ নিউজের সৌজন্যে প্রাপ্ত।

সত্যের পথের নির্ভীক এক সৈনিকের প্রস্থান:
সত্যের পথের নির্ভীক সাহসী সৈনিক ছিলেন তিনি। উপর্যুপরি অবর্ণনীয় জেল জুলূম আর নির্যাতনের তীব্র থেকে তীব্রতর সকল অত্যাচার মোকাবেলা করেছেন বিপুল ধৈর্য্য-স্থৈর্যে। মুহূর্তের জন্য হতাশ হননি। বছরের পর বছর ছিলেন জালিমের কারাগারে। বিনা দোষে। স্বার্থান্বেষী সুবিধাভোগীদের ইন্ধনে-ষড়যন্ত্রে। ২০১৩ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত। হ্যাঁ, বলছিলাম মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসির কথা। তার পুরো নাম হাফেজ মুহাম্মাদ মুরসি ইসা আল-আইয়াত। একটি জীবন্ত ইতিহাসের নাম। তিনি ২০ অগাস্ট ১৯৫১ সনে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি একই সঙ্গে ছিলেন একজন মিশরীয় রাজনীতিবিদ, প্রকৌশলী ও পঞ্চম রাষ্ট্রপতি। আদালতের কাঠগড়াতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গত সোমবার। ১৭ জুন ২০১৯। মিসরের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা জবরদখলকারী স্বৈরাচারী সেনাপ্রশাসক সিসির অনুগত একটি আদালতের এজলাসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

আদালতের এজলাসেই প্রাণ হারালেন সাহসী এ সৈনিক:
প্রসঙ্গত, মিশরের সেনাবাহিনী দেশটির প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যূত করার পর থেকে তাকে কারাগারেই বন্দী করে একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। বঞ্চিত করা হয়েছিল চিকিৎসাসহ সকল প্রকার মানবিক অধিকার থেকে। তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছিল। অবশেষে গতকাল সোমবার আদালতের এজলাসেই প্রাণ হারালেন তিনি।

মিসরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিচারকের কাছে কথা বলার অনুমতি চাইলে তাকে কথা বলতে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এসময় তিনি বুকে ব্যাথা অনুভব করেন। এক পর্যায়ে তিনি হার্টঅ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

মুরসির ছেলে আহমদ নাজাল ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লেখেন, আমার পিতা আল্লাহর কাছে চলে গিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে আরব বসন্তের জেরে মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠে বিশাল গণঅভ্যুত্থান। এতে পদচ্যুত হন হোসনি মোবারক।

ফেরাউনের প্রেতাত্মারা এখনও পূর্ণ সক্রিয় মিশরের রাজনীতিতে:
অবস্থা দৃষ্টে মনে করা অস্বাভাবিক নয় যে, ফেরাউনের প্রেতাত্মারা এখনও পূর্ণ সক্রিয় মিশরের রাজনীতিতে। ফারাও বা ফেরাউন রাজবংশের কুখ্যাত অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠী কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে হাজার হাজার বছর পূর্বে। কিন্তু এখনও যেন তাদের প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়ায় মিশরের আকাশে বাতাসে। ফারাওরা যেন পূর্ণ সক্রিয় দুর্ভাগা মিশরবাসীর ভাগ্য নিয়ন্ত্রণে। মিশরের শাসন ক্ষমতায় দীর্ঘ দিনের জেকে বসা স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতনের পর হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও মিশরের গণতন্ত্র তখনও ছিল সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের প্রতি অনুগত সেনাবাহিনী, সাংবিধানিক আদালতসহ কয়েকটি গণবিচ্ছিন্ন এলিট গোষ্ঠীর হাতে বন্দী। যার কারণে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই অবৈধ সুবিধা ভোগ করে আসা এসব কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর সাথে তার সংঘাত চলে আসছিল। তাদের ইন্ধনেই দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র এক বছরের মাথায় সেকুলার ও বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসির পদত্যাগের দাবীতে আন্দোলন শুরু করে আর সেই আন্দোলনকে অজুহাত করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে।

মুরসির দল ক্ষমতায় এলেও সর্বস্তরেই সক্রিয় ছিল সেনা সমর্থিত সুবিধাভোগী হোসনি মুবারাকের অনুসারীরা:
এই বাস্তবতার কারণেই হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই প্রভাবশালী ‘ফরেন পলিসি’ ম্যাগাজিনের মন্তব্য ছিল, ‘‘মুরসির রাষ্ট্রপতিত্ব প্রাথমিকভাবে মিশরের অভ্যন্তরীণ নীতি গঠনে সামান্যই প্রভাব ফেলবে, কেননা প্রশাসনের সর্বস্তরেই মূলত: হোসনি মুবারাকের অনুসারীরা, বা তার অনুগতরা বা তার দ্বারা নিযুক্তরা কর্মরত আছে।’’

সাংবাদিক ইয়সরি ফাউদাকে দেয়া এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মুরসি বলেন, তিনি রাষ্ট্রপতি শাসিত ও সংসদ শাসিত ব্যবস্থার সংমিশ্রণে একটি সাময়িক অন্তবর্তিকালীন প্রশাসনের পক্ষপাতী, যার মধ্য দিয়ে প্রশাসনের স্বাভাবিকীকরণ আর গতিশীলতা বজায় থাকবে। কিন্তু দেশটির তথাকথিত সাংবিধানিক আদালত ও সেনাবাহিনী দেশটির নির্বাচিত পার্লামেন্টকে বিলুপ্ত করে দিয়েছিল। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই পার্লামেন্ট পুনর্বহালের ঘোষণা দেন। এর ফলে ২০১২ সালের ১০ জুলাই প্রেসিডেন্টের প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে।

হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যুর বিষয়টি গোপন রেখেছিল সিসি প্রশাসন:
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি কারাগারে অকালে মারা যেতে পারেন বলে আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংস্থা আগে থেকেই সতর্ক করেছিল। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, সাবেক এ প্রেসিডেন্টকে কারাবন্দি রাখার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসির আগাম মৃত্যুর জন্য ক্ষমতাসীন আবদেল ফাত্তাহ আল সিসিকেও দায়ী করেছিল যুক্তরাজ্যের বিশেষ স্বাধীন বন্দিত্ব পর্যালোচনা প্যানেল ইনডিপেনডেন্ট ডিটেনশান রিভিউ প্যানেল।

সোমবার আদালতে হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যর পর অনেক্ষণ মৃত্যুর বিষয়টি গোপন রেখেছে সিসি প্রশাসন। সঠিক সময়ে হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যুর খবরও দেয়া হয়নি বলে প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে। জীবিত হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসিকে তারা ভয় পেত এটা ঠিক। ভয় পেত বলেই তাকে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে পুরে একের পর অসংখ্য মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে নিপীড়ন নির্যাতন করে আসছিল। শেষ পর্যন্ত তাহলে কি মৃত হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসিকেও কি ভয় পায় তারা? তা না হলে তার মৃত্যুর বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা কেন?

সব কারসাজি অন্ধকারের বাসিন্দা সুবিধাভোগীদের:
মিশরের তথাকথিত সামরিক পরিষদ এক বিবৃতিতে তথাকথিত সাংবিধানিক আদালতের পার্লামেন্ট বিলুপ্তির আদেশ সমুন্নত রাখার আহবান জানায়। কিন্তু এসব বৈরী প্রতিপক্ষের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেই ক্ষমতা গ্রহণের এক সপ্তাহের মাথায়ই প্রেসিডেন্ট হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি সংসদের অধিবেশন ডাকার নির্দেশ জারী করেন। হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি গণতন্ত্রকে সমুন্নত করার পদক্ষেপ শুরু করেছিলেন। কিন্তু দুর্নীতিপরায়ণ বাম ও সেকুলার রাজনীতিকরা গণতন্ত্র বিরোধী সেনাবাহিনী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে হাত মিলিয়ে হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি বিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলন শুরু করলে সেনাবাহিনী হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যূত করার সুযোগ লুফে নেয়।

সেনাপ্রধান থেকে প্রেসিডেন্ট:
মিশরে গত সাইত্রিশ বছরের ইতিহাসে তিনিই ছিলেন প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। কিন্তু ২০১৩ সালে কথিত গণঅসন্তোষের সুযোগ নিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিসরীয় সেনাবাহিনী। পরে প্রেসিডেন্টের মসনদে বসেন হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসির হাতে সেনাপ্রধান হওয়া আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। ২০১৩ সালে হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসির নেতৃত্বাধীন মুসলিম ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ করা হয়। এর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয় এবং বিভিন্ন অভিযোগে অনেককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।

পাশ্চাত্যের দ্বিমুখী চরিত্র চেনার আরেকটি সুযোগ:
মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি তার হাজার হাজার বিপ্লবী সমর্থককে নিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে কারাগারে ছিলেন কিন্তু পাশ্চাত্যের কেউ তার পক্ষে টু শব্দটি পর্যন্ত করেনি। একজন বৈধ এবং নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অন্যায়ভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিবাদ করেনি। তাকে অন্যায়ভাবে জেলে আবদ্ধ করার বিপক্ষে কথা বলেনি। তার মুক্তির জন্য কোনো কথা বলেনি। এ থেকেই প্রমানিত হয়, গোটা পাশ্চাত্য শক্তির অবস্থান সত্যের পক্ষে নয়, বরং সবসময়ই নিজেদের স্বার্থের অনুকূলে। তাদের দ্বিমুখী চরিত্র চেনার জন্য হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি এবং তার সমর্থকদের প্রতি চরম অন্যায়-অত্যাচার ও অবিচারের মোকাবেলায় তাদের মুখে কুলুপ এটে অব্যাহত নিরবতা একটি মাইলফলক হয়ে থেকে যাবে।

হালুয়া-রুটির ধান্ধাবাজ পল্টিওয়ালাদের কপালে কিছুই জোটেনি:
যেসব রাজনীতিবিদরা সে সময় হালুয়া-রুটির আশায় সিসির সাথে হাত মিলিয়েছিল, তাদেরও আজ আর কোন অস্তিত্ব নেই। গণতন্ত্র তো দূরের কথা দেশটিতে এখন আর কোনো রাজনীতিই নেই। স্বৈরতন্ত্র আগের চেয়ে আরো বহুগুন বেশি শক্তি নিয়ে জগদ্দল পাথরের মত জেঁকে বসেছে। সেই সাথে জেঁকে বসেছে দুর্নীতি আর তোষামোদি। ঠিক যেন নতুন ফারাওদের আগমনে গমগম করা আধুনিককালের মিশর। পার্থক্য এতটুকু, কয়েক হাজার বছর পূর্বের ফারাও শাসকদের সময়টায় গাড়ি, বিদ্যুত, কল কারখানা, বিমানসহ নানাবিধ সুবিধা মিশরে ছিল না, এখনকার ফারাওরা তা পাচ্ছেন। নব্য ফারাওরা বুঝি কিছুটা আধুনিক!

সিসি, আপনিও অমর নন, বিদায় এক দিন নিতেই হবে:
জোরপূর্বক ক্ষমতাচ্যুত জনগনের ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি। নির্মম নির্যাতন সয়ে সয়ে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি অটল ছিলেন তার নীতিতে। টলেননি। বিচলিত হননি একটুও। অবশেষে চলেও গেলেন। তার এ যাওয়াটা সুন্দরের। শিক্ষার। অনুকরণের। আদর্শের। তার জন্য পৃথিবীর মাটি ও মানুষ ব্যাথা-বেদনায় কাতরতা প্রকাশ করেছে। কেউবা কেঁদেছেন। দুআ করেছেন। তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন। তার শহিদী মৃত্যু কামনা করেছেন। তার জন্য জান্নাতপ্রাপ্তির দুআ করেছেন। উড়ন্ত পাখিদের ডানা ঝাপটানোতেও যেন অন্যরকম একটা ব্যথার অনুভব প্রকাশ পেয়েছে তার এই মৃত্যুতে। তার বিরুদ্ধে মিথ্যে এবং সাজানো মামলায় হাজিরা দিতে এসে আদালতে তিনি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন। মিথ্যের বিরুদ্ধে, অপশক্তির বিরুদ্ধে, জালিমের বিরুদ্ধে লড়তে লড়তে তিনি শাহাদাত বরণ করেছেন। তার এ মৃত্যু গৌরবের। তার এ মৃত্যু সম্মানের। কিন্তু আপনি যা করছেন, আপনার জন্য কেউ কাঁদবার থাকবে তো? কেউ ভাববার থাকবে তো? কেউ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার থাকবে তো?

হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসির লাশ সমাহিত করা হয় যেখানে:
কায়রোর নিকটবর্তী আল ওয়াফা আল আমাল পাবলিক কবরস্থানে (The Al-Wafaa Wa al-Amal public cemetery in Cairo) সমাহিত করা হয়েছে প্রেসিডেন্ট হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসিকে।

হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি, হে সাহসী সৈনিক, আল্লাহ পাক আপনাকে ওপাড়ের রঙিন ভূবনে জান্নাতে উঁচু সম্মানে ভূষিত করুন।

বিবিসি ও আহরাম অনলাইন, দৈনিক সংগ্রাম, আলজাজিরাহ নিউজসহ অন্যান্য সংবাদপত্র অবলম্বনে।

কিছু সংবাদ লিঙ্ক-

মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোরসি মারা গেছেন- বিবিসি বাংলা

মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসি আর নেই- দৈনিক সংগ্রাম

মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসির ইন্তেকাল

আদালতে মারা গেলেন মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট

যেভাবে মৃত্যু হয় মুরসির! মৃত্যুর বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা

এজলাসে মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসির মৃত্যু

Egypt's ex-President Mohamed Morsi dies after court appearance

মোহাম্মদ মুরসির ইন্তেকালে বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া। আল জাজিরাহ নিউজ যেভাবে তুলে ধরেছে-
Mohamed Morsi's death: World reaction

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১১

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।

১৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



সত্যিই দু:খজনক। প্রাপ্য চিকিতসা সুবিধাও তাকে দেয়া হয়নি। সিসির স্বৈরাচারী সরকারের পতন হোক।

২| ১৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুরসি এমন কোন মহামানব নয়
মুরসিকে মিশরের 'গোলাম আজম' বলা যায়।
কারন মুরসির দল ব্রাদারহুড ও বাংলাদেশের জামাতিরা একই আদর্শের।
মুরসি ও মুরুসির দলের হাতে বহু নিরিহ কপ্টিক খ্রীষ্টান, ভিন্নমতাম্বলবি মুসলিম, জাপানী টুরিষ্ট মারা গেছিল।
এরা এখনো সন্ত্রাসি কান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
তার মৃত্যুতে দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই।

১৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ১৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:০০

ঢাবিয়ান বলেছেন: আরব বসন্ত যদি সফল হত, গনঅন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হত সকল আরব দেশে। আর তাহলে আজকে হয়ত ভিন্ন এক শক্তিশালী মুসলিম জাতির উত্থান হত। কিন্ত আমেরিকা ও ইসরাইল নোংরা ষঢ়যন্ত্রের মাধ্যমে ছিনতাই করেছে আরব বসন্ত।

১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আমেরিকা আর ইসরাইলের এই খেলার শেষ কোথায়? ফিলিস্তিন গিলে খেয়েও এদের ক্ষুধা মেটেনি। ইয়েমেনে রক্ত ঝড়ছে এই অপশক্তির ইন্ধনে। সিরিয়াকে বধ্যভূমিতে পরিনত করছে এরাই। গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করেও এদের তৃপ্তি নেই। এরা আর কি চায়? আর কত চায়?

৪| ১৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আরব বসন্তের ফুল ফোটার আগেই ঝড়িয়ে দেয়া হলো!
সহযোঘীতা করলো বাম গং!
আমাদের এখানে যেমন ক্ষমতার হালুয়ারুটিও খায় আবার বিরোধীতাও মারায়
তা দেখৈই বোঝা যায়! মিশরের বামদের কাম!

আর ইসলামের সবচে বড় শত্রু ইহুদী- তাদের ইসরাইলের অস্তিত্বের বিরোধীতা দমনে তারা
ব্যক্তি, দল, মতবাদ সবার নামেই কুৎসা ছড়াতে পিছপা কখনোই হয়না। বরং এটা তাদের নোংরা স্ট্রটিজি!
এখন আমি যদি ইসরাইলি পয়েন্ট অব ভিউ থেকে দেখী- ব্যাখ্যা হবে একরম!
আমি যদি আমার জ্ঞাতি দৃষ্টিকোন থেকে দেখি স্বভাবতই তা উল্টে যাবে।

একজনকে একবছরও সুযোগ না দিয়ে তার চরিত্রে কালীমা লেপন অপরাধ!


১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন: সেটাই। সহমত আপনার বক্তব্যে- আরব বসন্তের ফুল ফোটার আগেই ঝড়িয়ে দেয়া হলো!
সহযোগিতা করলো বাম গং!
আমাদের এখানে যেমন ক্ষমতার হালুয়া রুটিও খায় আবার বিরোধিতায়ও নামে
তা দেখেই বোঝা যায়! মিশরের বামদের কাম!

আর ইসলামের সবচে বড় শত্রু ইহুদী- তাদের ইসরাইলের অস্তিত্বের বিরোধিতা দমনে তারা
ব্যক্তি, দল, মতবাদ সবার নামেই কুৎসা ছড়াতে পিছপা কখনোই হয় না। বরং এটা তাদের নোংরা স্ট্রাটিজি!
এখন আমি যদি ইসরাইলি পয়েন্ট অব ভিউ থেকে দেখি- ব্যাখ্যা হবে একরকম!
আমি যদি আমার জ্ঞাতি দৃষ্টিকোন থেকে দেখি স্বভাবত:ই তা উল্টে যাবে।

একজনকে একবছরও সুযোগ না দিয়ে তার চরিত্রে কালীমা লেপন অপরাধ!


অনেক ভালো থাকুন প্রিয় কবি।

৫| ১৮ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯

বলেছেন: ডঃ মোহাম্মদ মুরসি বললে কেমন হতো।।।

একজন মানুষের মৃত্যুতে আরেকজন মানুষ প্রাণ আহত হবে এটাই নিয়ম।।

১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



একজন মানুষের মৃত্যুতে আরেকজন মানুষ প্রাণ আহত হবে এটাই নিয়ম।।

সুন্দর বলেছেন। ধন্যবাদ। নামের বিষয়টি বলে দেয়ায় কৃতজ্ঞতা। ঠিক করে দিয়েছি।

৬| ১৮ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর, তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট লিখেছেন। পোস্টে ভাল লাগা + +
তার জন্য পৃথিবীর মাটি ও মানুষ ব্যথা-বেদনায় কাতরতা প্রকাশ করেছে - আল্লাহ তায়ালা তাঁকে শহীদের মর্যাদা দান করুন!

১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



কৃতজ্ঞতা জানবেন। পোস্টে আপনার উপস্থিতি প্রেরণা হয়ে থাকলো। পোস্টে + দেয়ায় আনন্দিতবোধ করছি। আপনার দুআ আল্লাহ পাক কবুল করুন। হাফেজ ড. মোহাম্মাদ মুরসিকে আল্লাহ পাক শহীদের মর্যাদায় ভূষিত করুন।

দুআ থাকলো, আল্লাহ পাক সবসময় ভালো রাখুন আপনাকে।

৭| ১৮ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫১

মোগল সম্রাট বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখী আপনি ঠিক বলেছেন ; লেখক মুরসির একতরফা সাফাই গেয়েছেন

১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, জাহাপনা সম্রাট, আপনি কষ্ট করে অতি নগন্য একজন প্রজার এই পোস্টে এসেছেন বলেই কৃতজ্ঞতা।

অনেক ভালো থাকুন।

৮| ১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মুরসি একজন নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এটাই উনাকে মূল্যায়নের জন্য অনেক।

১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



সঠিক বলেছেন। কিছু লোকের মাথা এলোমেলো অবস্থা। তার মৃত্যুতে বিশ্বব্যাপী অগনন মানুষের তার প্রতি শ্রদ্ধা আর আন্তরিক প্রতিক্রিয়া দেখে এদের মেজাজ বিগড়ে গেছে। এরা মিথ্যাচার চালিয়ে মৃত ড. মুরসির চরিত্র হননের মত দুষ্কর্মে লিপ্ত হয়েছে।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:৪৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: মোহাম্মদ মুরসীকে আল্লাহ্‌ অপমান করতে চান নি তাই হয়তো মৃত্যুদন্ডাদেশ পাওয়ার আগেই মুরসিকে তিনি উঠিয়ে নেন।
আল্লাহ্‌ তাকে জান্নাতুল ফিরদাঊস নসিব করুন।আমীন।

১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



মোহাম্মদ মুরসীকে আল্লাহ্‌ অপমান করতে চান নি তাই হয়তো মৃত্যুদন্ডাদেশ পাওয়ার আগেই মুরসিকে তিনি উঠিয়ে নেন।

হয়তোবা। আল্লাহ পাকই ভালো জানেন। তিনিই সর্বোত্তম ফায়সালাকারী।

ধন্যবাদ। আপনার দুআ আল্লাহ পাক কবুল করুন। আমিন।

১০| ১৯ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৫৬

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: মুরসি গণতান্ত্রিক ভাবে রাষ্টপতি নির্বাচিত হয়েছেন,ওনি ছিলেন একজন বিপ্লবী নেতা। পাহাড় নড়ে ওনি নড়েন নি ওনার নীতিতে ওনি বহাল ছিলেন। বিকৃত মস্তিস্কের ব্লগার থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। এরা সর্বদাই চুলকানী রোগে আক্রান্ত,কোন ডাক্তার তাদের চুলকানী রোগের নিরাময় ঔষুধ দিতে পারবেনা। এরা সর্বদাই পাগলাটে অবস্হায় ধরা খাঁয় সব জায়গাতেই। পাগলের হাঁটে এদের বিচরন। বাংলার একটি প্রবাদ আছে,সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস,অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। এদের সর্বনাশ অনেক আগেই হয়ে গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.