নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ! যা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি দয়া করেছেন আমার পরম প্রিয় রব। যা পাইনি, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই—কারণ জানি, তিনি দেন শুধু কল্যাণই। সিজদাবনত শুকরিয়া।\n\nপ্রত্যাশার একটি ঘর এখনও কি ফাঁকা পড়ে আছে কি না, জানি না। তবে এটুকু জানি—

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا مِنَ الۡمَآءِ کُلَّ شَیۡءٍ حَیٍّ

"আমি প্রত্যেক জীবন্ত বস্তুকে পানি দিয়ে সৃষ্টি করেছি"। -সূরা আম্বিয়া: আয়াত ৩০



এই আয়াত পানির গভীর তাৎপর্যকে উন্মোচিত করে। পানি শুধু শারীরিক জীবনধারণের উপাদান নয়, বরং আধ্যাত্মিক বিশুদ্ধতা এবং পরিবেশের ভারসাম্যের প্রতীক। ইসলামে পানিকে আল্লাহর মহান নেয়ামত হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি সম্প্রদায়ের সম্পদ এবং সকল মানুষের অধিকার। অপচয় বা দূষণকে ইসলাম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে। কারণ এটি আল্লাহর নেয়ামতের প্রতি অকৃতজ্ঞতা এবং সৃষ্টির প্রতি অবিচার।



অথচ ২০২৫ সালে বিশ্ব এক গভীর পানি সংকটের মুখোমুখি। ডব্লিউএইচও এবং ইউনিসেফের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে, বিশ্বের প্রায় ২.২ বিলিয়ন মানুষ নিরাপদ পানীয় জল থেকে বঞ্চিত। এর মধ্যে বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ জনগোষ্ঠী নিরাপদ পানির অভাবে ভুগছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমবাহ গলে যাচ্ছে দ্রুতগতিতে। ফলে পানিচক্র অস্থির হয়ে উঠেছে।



চার বিলিয়ন মানুষ বছরের অন্তত এক মাস তীব্র পানির অভাব অনুভব করছে। বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতি বছর ৩২৪ বিলিয়ন ঘনমিটার মিঠা পানি নষ্ট হচ্ছে। এটি ২৮০ মিলিয়ন মানুষের বার্ষিক চাহিদা পূরণ করতে পারে। এই সংকট শুধু শারীরিক নয়, বরং সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত ভারসাম্যকে বিপন্ন করছে।



এই গভীর সংকটের প্রেক্ষাপটে ইসলামের শিক্ষা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং দূরদর্শী। প্রায় পনেরশ বছর আগে, যখন বিশ্বের জনসংখ্যা সীমিত ছিল এবং পানির ব্যবহারও কম ছিল, তখনই রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পানির অপচয় রোধে সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর জীবন ছিল সংযম এবং মিতাচারের আদর্শ। তিনি নিজে অতি সামান্য পানি দিয়ে ওযু করতেন এবং অনুসারীদেরও তাই শিক্ষা দিতেন।



একটি সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত সা'দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহুকে ওযু করতে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, "এটা কী অপচয়?" সা'দ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, "ওযুতেও কি অপচয় হয়?" নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তর দিলেন, "হ্যাঁ, যদিও তুমি প্রবাহিত নদীর তীরে থাকো।"



আরবি মূল: لا تسرف في الماء ولو كنت على نهر جارٍ

উচ্চারণ: লা তুসরিফ ফিল মায়ি ওয়া লাও কুনতা আলা নাহরিন জারিন।

বাংলা অনুবাদ: "পানিতে অপচয় করো না, যদিও তুমি প্রবাহিত নদীর তীরে থাকো।" -মুসনাদ আহমাদ, হাদিস নং ৭০৬৫ (সহিহ); সুনান ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪২৫।



এই হাদিসের গভীরতা অপরিসীম। এটি শুধু ওযুর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পানির সংযমের নির্দেশ দেয়। প্রচুর উৎস থাকলেও অপচয় অনুচিত। কারণ পানি আল্লাহর আমানত। এর অপচয় মানে ভবিষ্যত প্রজন্মের অধিকার কেড়ে নেওয়া। ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গিতে মানুষ পৃথিবীর খলিফা। সৃষ্টির প্রতি দায়িত্বশীল। এই হাদিস আধুনিক টেকসই উন্নয়নের সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি পরিবেশ সংরক্ষণের একটি আধ্যাত্মিক ভিত্তি প্রদান করে।



আজকের বিশ্বে এই শিক্ষা অনুসরণ করা অপরিহার্য। প্রতিটি ফোঁটা পানি সংরক্ষণ করা মানে একটি জীবন রক্ষা করা। ইসলামের এই চিরন্তন বার্তা অন্তরে ধারণ করে আমরা পানির অপচয় রোধ করতে পারি। এতে ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পরিবেশ এবং মানবতার কল্যাণ সাধিত হবে। আল্লাহ তাআ'লা আমাদের সকলকে এই গভীর শিক্ষা অনুসরণ করার তৌফিক দান করুন।

সকল ছবি অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৩

অগ্নিবাবা বলেছেন: মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কোরানে পানির মহাত্ম্য বর্ননা করার আগে পানি কি ইহা কেহই জানতো না।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



কুরআন নাযিল হয়েছে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে। কিন্তু ইহা সংরক্ষিত ছিল বহুকাল পূর্ব থেকে লওহে মাহফুজে। সুতরাং, কোন কিছু দেখলেই দাঁত কেলিয়ে হো হো করে হেসে ওঠার আগে কিছুটা অন্ততঃ মাথা খাটাতে হয়। সামান্য হলেও স্টাডি করে নিতে হয়।

আপনার মত জ্ঞানী ব্যক্তিকে ইহা আমার বলে দিতে হচ্ছে, ইহা অবাক করার মত বিষয় বৈকি। :)

ধন্যবাদ।

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: কোনো কিছুই অপচয় আমি পছন্দ করি না।
আমি পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস কিছুই অপচয় করি না। এগুলোর অপচয় দেখলে আমার গা ম্যাজ ম্যাজ করে। আমি আমার কন্যা ফারাজাকে সব সময় বলি, প্রয়োজনে খরচ করো কিন্তু অপচয় করবে না।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



খুবই ভালো। এমনটাই হওয়া উচিত। ধন্যবাদ।

৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩০

অগ্নিবাবা বলেছেন: কুরআন নাযিল হয়েছে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে। কিন্তু ইহা সংরক্ষিত ছিল বহুকাল পূর্ব থেকে লওহে মাহফুজে।

তাহলে ইহা কি? কেনু আমীরুল মুমিনিন ওসমানকে হত্যা করা হলো? জবাব চাই জবাব দাও।
খলিফার কক্ষে সর্ব প্রথম ঢুকেন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)এর সন্তান । এই একজন মাত্র সাহাবী কি কারণে যেন এই ফিতনায় জড়িয়ে পড়েছিল, তা বোধগম্য নয়। মুহাম্মদ বিন আবু বকর হযরত উসমান (রা)এর দাড়ি ধরে জিজ্ঞেস করে- হে মূর্খ বুড়ো! কোন ধর্মের উপর আছো তুমি? উসমান (রা)উত্তরে বলেন, ইসলাম ধর্মের উপর আছি। আমি মূর্খ বুড়ো নই। আমি আমীরুল মুমিনিন।
তখন মুহাম্মদ বিন আবু বকর বললেন, তুমি আল্লাহর কিতাবের হুকুম পরিবর্তন করে দিয়েছ।
হযরত উসমান বললেন, এই যে কিতাবুল্লাহ আমাদের সামনেই আছে, ভালো করে পড়ে দেখো


তখন সে সজোরে দাড়ি টেনে ধরে বলল, আমরা কেয়ামতের দিবসে একথা বলতে চাই না ‘হে আল্লাহ! আমরা আমাদের নেতাদের অনুসরণ করেছি। তারা আমাদেরকে বিভ্রান্ত করেছে।’

আসলে মুহাম্মদ বিন আবু বকর ও তার কিছু বন্ধু মনে করেছিল আমীরুল মুমিনিনকে হত্যা করা বড় পুণ্যের কাজ এবং এই দায়িত্ব পালন করলে নাজাত পাওয়া যাবে। তখন মুহাম্মদকে উদ্দেশ্য করে উসমান (রা) বললেন, বেটা! তুমি যে দাড়ি ধরে টানাটানি করছ সে দাড়িকে তোমার পিতা সম্মান করতেন। এই কথা শোনার সাথে সাথে মুহাম্মদ বিন আবু বকর লজ্জিত হয়ে সরে গেলেন।

এরপর বিদ্রোহীরা তার ঘরে প্রবেশ করে সজোরে মাথায় আঘাত করল। উসমান (রা) এর স্ত্রী নাইলা নিজের দেহ দিয়ে উসমান (রা)-কে রক্ষা করতে গেলেন, হাত উঁচু করে তরবারির আঘাত ঠেকাতে গেলেন। নাইলা-র আঙুলগুলো কেটে গিয়ে মাটিতে পড়ে গেল। এরপরের আঘাতেই শহিদ হলেন উসমান (রা)। তাঁর দাসেরা তাঁকে বাঁচাতে গেলে একজন নিহত হয়, আর আরেকজন এক বিদ্রোহীকে মারতে সক্ষম হয়। [কথিত আছে, উসমান (রা) এর রক্তে ভেজা কুরআন তাশখন্দের মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।]

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ইসলামী আকিদা অনুসারে, কুরআন লওহে মাহফুজে আযালী (অনন্তকালীন বা চিরন্তন) থেকে সংরক্ষিত। এটি কোনো নির্দিষ্ট সময়ে "লেখা" বা সৃষ্টি হয়নি, বরং আল্লাহর কালাম (বাণী) হিসেবে এটি আল্লাহর সাথে চিরন্তন।

পবিত্র কুরআনের সূরা আল-বুরূজ (৮৫:২১-২২)-এ বলা হয়েছে:
"বরং এটি এক মহিমান্বিত কুরআন, যা সংরক্ষিত ফলকে লিপিবদ্ধ।"

তাফসীরে (যেমন ইবনে কাসীর, তাবারী প্রমুখ) এই লওহে মাহফুজকে আল্লাহর নিকট উচ্চস্থানে সুরক্ষিত ফলক বলা হয়েছে, যেখানে কুরআন চিরকাল থেকে সংরক্ষিত এবং কোনো পরিবর্তন, বিয়োজন বা সংযোজন থেকে মুক্ত।

আপনি বিষয়ের ভেতরে থাকার চেষ্টা করুন এবং ধৈর্য ও সহনশীলতা অটুট রাখুন। কারণ, রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। ধন্যবাদ।

৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৬

অগ্নিবাবা বলেছেন: লওহে মাহফুজে যে কোরানডা আছে সেইডা পড়ে দেখপার চাই, আপনারা যা পড়েন তাহা ওসমানের সংকলন, মাইনষে কয় তিনি কোরান বিকৃত করেছেন, এই জন্য তাঁর মুমিনরা চেতে গিয়ে তারেই আল্লাহর কাছে পাঠায়ে দিছে। তার পড়ে রজমের আয়াত তো ছাগলেই খায়ে ফেলছে, কি আর কমু, মাইনষে কত কি কয়। তা আপনে তো আল্লাহ ওয়ালা মানুষ, আপনে আল্লারে যায়ে কন যে লওহে মাহফুজে যে কোরানডা আছে সেইডা টুপ করে যেন আমার মাথার উপর ফ্যালে। আমারও ইসলামের ছায়া তলে যাইতে মনচায়, হুরপরি করতে মন চায়।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি লোক হিসেবে ভালো। তয় হুরপরীর উপরে আপনার এত আসক্তি কেন!

আচ্ছা, আপনি নিজেই কন। আপনার কথা আল্লাহ তাআলা হয়তো আমার কথার চেয়ে আগে শুনবেন।

৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: কোন অপচয়ই ইসলাম পছন্দ করেনা।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, সঠিক বলেছেন। এটাই ইসলামের নীতি। ধন্যবাদ।

৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ২:৩৭

সুলাইমান হোসেন বলেছেন: প্রিয় নকিব ভাই।পানির অপচয় রোধ নিয়ে চমৎকার একটি প্রতিবেদনের জন্য আন্তরিক ধন্যাবাদ।
আর ইসলাম বিরোধী গন্ডমুর্খদেরকে ঠান্ডা মাথায় চমৎকার জবাব দেওয়ার জন্যও আন্তরিক ধন্যবাদ

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



মন্তব্যে আসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা, প্রিয় সুলাইমান ভাই। যদিও ইসলাম কোন কিছুতেই অপচয় পছন্দ করে না। কিন্তু গোটা প্রাণী জগতের জীবন ধারণের জন্য পানি অমূল্য এবং অপরিহার্য সম্পদ হওয়ায় পানির অপচয় রোধের বিষয়ে নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশেষভাবে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। দেড় হাজার বছর আগেই তিনি এই বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন এবং তখনকার সময়ে তাঁর দেওয়া সঠিক নির্দেশনা আজকের দিনেও সমভাবে প্রাসঙ্গিক।

৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:১৯

অগ্নিবাবা বলেছেন: নকীব ভাই, হোসেন ভাই কইছে ইসলাম বিরোধী গন্ডমুর্খদেরকে ঠান্ডা মাথায় চমৎকার জবাব দেছেন, খুব ভালো করেছেন। ইসলাম বিরোধীদের কিভাবে দাতঁভাঙ্গা জবাব দিতে হয় তা আপনার কাছ থেকেই শেখা দরকার।
তয় অস্ট্রেলিয়ায় এই যে দুইজন ইসলামের সেবক ১৬জন ইহুদীদের জীবন পানির মত অপচয় করল, এই ব্যাপারে ইসলাম কি বলে? এই নিয়ে একটা পোষ্টায়ে আমার মনের আশা পুর্ন করেন। কোরানের নাসেক মানসুক এইডা খেয়াল করে কিছু আয়াত টায়াত দেন, আমি ইসলামের ছায়াতলে আসতে চাই। আমারে সাহায্য করেন।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকে সবসময়ই আমি শিক্ষিত, বিজ্ঞ এবং একজন সচেতন ব্যক্তি মনে করতে চাই। এবং ধারণা, আপনার অনুসিন্ধুৎসু মন অবশ্যই আপনাকে সঠিক পথের সন্ধান প্রদান করবে।

অস্ত্রধারীরা অবশ্যই চরম নিন্দনীয় কাজ করেছে। নিরীহ মানুষ হত্যার অনুমোদন ইসলাম কখনো দেয় না। এই জঘন্য হত্যাকান্ডের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই।

একটামাত্র খুনি নেতানিয়াহুর মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে গোটা বিশ্বব্যাপী ইহুদিদের জীবন আজ হুমকির মুখে। খুবই দুঃখজনক।

একজন অস্ত্রধারীর হাত থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আহমদ আল আহমদ নামের যে ব্যক্তি অস্ত্র কেড়ে নিয়ে অনেকের জীবন বাঁচিয়ে দিল সেই খবরটা দেখেছেন?

৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৪৬

হাইজেনবার্গ ০৬ বলেছেন: @অগ্নি কাকা: লওহে মাহফুজে যে কোরানডা আছে সেইডা পড়ে দেখপার চাই, আপনার আশে পাশে যেইটা আছে ঐটা পড়লেই হবে, কোর কন্টেন্ট একই। সহজভাবে চিন্তা করেন, আল্লাহই কোরানের সংরক্ষক, আল্লাহ আপনারে ভুল মেসেজ দিয়া অগ্নিপূজা করাবেনা।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার "কাকা"কে সুন্দর এবং সঠিক পরামর্শ দেওয়ার জন্য।

১০| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৩৫

অগ্নিবাবা বলেছেন: আল্লায়ে যদি কোরানের সংরক্ষক হয় তাইলে করে কন তো দেহি হাইজেনবার্গ, ছাগলে আয়াত খায় কেম্বায়? তাইলে করে কন তো দেহি ওসমানরে মারলো ক্যান? আমার ধারে যে বাংলায় লেহা কোরানডা আছে তা পড়ে দেহি আল্লায় নবীর যৌন জীবন নিয়ে খুব চিন্তিত। নবী একবার দাসীর সাথে সহবত করতেছিল, সে নবী সে করতেই পারে, কিন্তু বিবির কাছে ধরা খায়ে কয় আর এই দাসীকে আর করুম না, এতে আল্লাহ গোস্বা হইল, আল্লাহ কইল আমি তোমারে দাসী করতে দিছি আর তুমি করবা না? এইডা হয়? বিবি আয়েষা কয় আপনে যাহাই চান আল্লাহ আপনেরে সেই আয়াতটাই দ্যান। ক্যামনে কি? আমার তো মনে হয় কিছু কাফের নাসারা কোরান বিকৃত করে এইসব উল্টোপাল্টা লিখে রাখছে, লওহে মাহফুজে যে কোরানটা আছে তাতে নিশ্চই ভালো ভালো জ্ঞান বিজ্ঞানের কথা লেখা আছে যা পড়লে মানব জাতির উন্নতি হবে। আমি সেই কোরানডাই চাই, আল্লাহ এই মুমিনরা আমারে ধানাই পানাই বোঝায়, আসল কোরানডা দেয় না, আল্লাহ তোমার কাছে বিচার দিলাম।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার প্রশ্নটি মূলত দুইটি বিষয়কে কেন্দ্র করে: প্রথমত, কুরআনের সংরক্ষণ ও এর নকল সংস্করণ থাকা নিয়ে বিভ্রান্তি; এবং দ্বিতীয়ত, নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর ব্যক্তিগত জীবন ও মুক্ত দাসীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কৌতূহল। যৌক্তিকভাবে বিষয়গুলোর এভাবে ব্যাখ্যা করা যায়:

১. কুরআনের সংরক্ষণ: ইসলাম অনুযায়ী কুরআন আল্লাহ তাআ'লার পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ সংরক্ষিত। কুরআন বিকৃত করা যে কারও পক্ষেই সম্ভব নয় এটি স্পষ্টভাবে কুরআনে স্বয়ং আল্লাহ তাআ'লার পক্ষ থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিহাসে কোনো তাত্ত্বিক বা ব্যাক্তিগত ভুল থাকলেও, মূল কুরআন আল্লাহ তাআ'লার বিশেষ ব্যবস্থাপনায় অক্ষুণ্ণ। সুতরাং কোনো বিভ্রান্তিকর বা বিকৃত সংস্করণ কেউ তৈরি করলে সেটি আল্লাহ তাআ'লা কর্তৃক প্রেরিত প্রকৃত কুরআন নয়।

২. নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর সম্পর্কে তাঁর দাসী মারিয়া কিবতিয়্যাহ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহার সাথে সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে কিছু লোক কূরুচিপূর্ণ অপবাদ দিয়ে থাকে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও ভুল। বস্তুতঃ যাকে কেন্দ্র করে এই অপবাদ দেওয়া হয়ে থাকে তিনি হলেন মারিয়া বিনতে সাম’উন, যিনি মারিয়া আল-কিবতিয়া (আরবি: مارية القبطية; মৃত্যু ৬৩৭ খ্রি.) বা কিবতীয় মারিয়া নামে অধিক পরিচিত। তিনি ছিলেন একজন মিশরীয় খ্রীষ্টান নারী। ৬২৮ সালে তৎকালীন আলেক্সান্দ্রীয় কিবতীয় অর্থডক্স রাজ্যপাল মুকাওকিস তাঁকে ও তাঁর বোন সিরিন বিনতে শামউনকে দাসী হিসেবে ইসলামের নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর নিকট উপহার হিসেবে প্রেরণ করে। মারিয়া রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা ও তাঁর বোন উভয়ই নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কৃতদাসী ছিলেন। তাদের মধ্যে পরবর্তীতে নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মারিয়া রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহাকে বিয়ে করেন। আর সিরিনকে নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের এক সাহাবিকে দান করে দেন। মারিয়া রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর পুত্রসন্তান ইব্রাহিমকে জন্মদান করেন। এই সন্তান বাল্যকালেই মৃত্যুবরণ করেন এবং এর প্রায় পাঁচ বছর পর মারিয়া রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা মৃত্যুবরণ করেন। (উইকিপিডিয়া মারিয়া আল-কিবতিয়া দেখুন)

কুরআন ও সহিহ হাদিস অনুযায়ী, নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবসময় আল্লাহর নির্দেশ অনুসরণ করতেন এবং তার ব্যক্তিগত জীবন সর্বদা নৈতিক ও মানবিকতার সীমার মধ্যে ছিল। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, দাসীর সঙ্গে সম্পর্কও তখনকার সামাজিক প্রেক্ষাপটে কোনোভাবে অবৈধ বা লজ্জাজনক ছিল না।

নবীজীর নামে যে অপবাদ ছড়ানো হয়ে থাকে, তা শুধুমাত্র অসভ্য কল্পনা, বিকৃত মানসিকতা বা ভুল ব্যাখ্যার ফল। সত্যিকারার্থে, কুরআন ও তাফসির অনুযায়ী, নবীজীর জীবন মানবজাতির জন্য আদর্শ, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও নৈতিকতার শিক্ষা।

মারিয়া কিবতিয়্যাহ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা সম্পর্কে জানতে, ইচ্ছে করলে এই লেখাটি পড়ে দেখতে পারেন-

রাসুল(ﷺ) কর্তৃক মারিয়া কিবতিয়া(রা.) কে উপহার হিসাবে গ্রহণ প্রসঙ্গ

যা হোক, আপনি যদি মূল কুরআন পড়েন এবং নির্ভরযোগ্য বিশ্বস্ত তাফসির অনুসরণ করেন, তবে আশা করা যায়, আপনার সব বিভ্রান্তি দূর হবে।

আপনার জন্য শুভকামনা।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



দুঃখিত! আগের দেওয়া উইকির লিঙ্কটা কাজ করছে না। এই লিঙ্কটাও দেখতে পারেন- Click This Link

১১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫০

হাইজেনবার্গ ০৬ বলেছেন: @অগ্নি কাকা: আপনে অগ্নিপূজারমন্ত্র পড়েন, কোরান পড়তে হবে না।

১২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫

অগ্নিবাবা বলেছেন: হাইজেনবার্গ মাটির মুর্তি আগুন টাগুণ এইসব পুজো করে বলদে, আমারে কি বলদা পাইছ? ভগবান টগবান আমি পুছি না। আমি এহন আল্লারে ছাই দিয়ে ধরছি, পলায়ে যাবো কই?

১৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন, সেটা জানতে।

১৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




পৃথিবীর মোট পানির প্রায় ৯৭% লবণাক্ত (সমুদ্র ও মহাসাগরে) এবং অবশিষ্ট অংশের বড় একটি অংশ বরফ ও
হিমবাহে আবদ্ধ। মানুষের দৈনন্দিন পান, কৃষি ও শিল্পকার্যে যে পানি ব্যবহৃত হয় তা মোট পানির খুবই ক্ষুদ্র অংশ।
সাধারণভাবে বলা হয়, পৃথিবীর মোট পানির মাত্র প্রায় ১% মানুষের জন্য সহজলভ্য মিঠা পানি। এই বাস্তবতা থেকেই
মিঠা পানির অপচয় না করার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়। কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠে আসে প্রকৃতপক্ষে কি মিঠা
পানি অপচয় হয়? নাকি ব্যবহৃত পানি প্রাকৃতিক নিয়মেই পুনরায় মিঠা পানিতে রূপান্তরিত হয়ে তার ক্ষয়স্থান পূরণ করে?
এখানে বিষয়টি নিয়ে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ ও ধর্মীয় (ইসলামি) দৃষ্টিকোণ হতে একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরা হল ।

জলচক্র (Hydrological Cycle) ও পানির পুনরাবর্তনে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে পৃথিবীর পানি একটি বদ্ধ (closed)
ব্যবস্থার মধ্যে আবর্তিত হয়। সূর্যের তাপে পানি বাষ্পীভূত হয়, মেঘ তৈরি করে, পরে বৃষ্টি বা তুষার হিসেবে আবার
পৃথিবীতে ফিরে আসে। এই প্রক্রিয়াকে জলচক্র বলা হয়।এই জলচক্রের কথা কোরানের বিভিন্ন সুরায় বিভিন্ন
আয়াতে বলা হয়েছে ।

সত্যই তো জলচক্র (evaporation → cloud → rain → infiltration) এর যে ধারণা আধুনিক বিজ্ঞান
ব্যাখ্যা করে, কুরআনে তা একাধিক স্থানে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে ও ধারাবাহিকভাবে বর্ণিত হয়েছে।
নিচে সূরা, আয়াত নম্বর ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ গুরুত্বপূর্ণ আয়াতগুলো হল:

সূরা আন-নূর আয়াত ৪৩
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يُزْجِي سَحَابًا ثُمَّ يُؤَلِّفُ بَيْنَهُ ثُمَّ يَجْعَلُهُ رُكَامًا فَتَرَى الْوَدْقَ يَخْرُجُ مِنْ خِلَالِهِ ۚ وَيُنَزِّلُ مِنَ السَّمَاءِ مِنْ جِبَالٍ فِيهَا مِنْ بَرَدٍ
“তুমি কি দেখ না, আল্লাহ মেঘমালা চালিয়ে দেন, তারপর সেগুলোকে একত্র করেন, তারপর সেগুলোকে স্তরে স্তরে
জমাট করেন; অতঃপর তুমি দেখতে পাও, তার মধ্য থেকে বৃষ্টি বের হয়…।”
(সূরা আন-নূর: ২৪:৪৩) এখানে জলচক্রের সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ কুরআনি বর্ণনা রয়েছে ।
এখানে বৈজ্ঞানিক মিল দেখা যায় যথা মেঘ সৃষ্টি → মেঘের ঘনীভবন → স্তরে স্তরে জমা → বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি
আধুনিক আবহাওয়াবিজ্ঞানের সাথে আশ্চর্যজনক মিল।

সূরা আর-রূম , আয়াত ৪৮
اللَّهُ الَّذِي يُرْسِلُ الرِّيَاحَ فَتُثِيرُ سَحَابًا فَيَبْسُطُهُ فِي السَّمَاءِ كَيْفَ يَشَاءُ وَيَجْعَلُهُ كِسَفًا فَتَرَى الْوَدْقَ يَخْرُجُ مِنْ خِلَالِهِ
“আল্লাহই বাতাস পাঠান, যা মেঘমালা সৃষ্টি করে; অতঃপর তিনি তা আকাশে যেভাবে ইচ্ছা বিস্তার করেন এবং
খণ্ড খণ্ড করেন; তারপর তুমি তার মধ্য থেকে বৃষ্টি নির্গত হতে দেখ।”
(সূরা আর-রূম: ৩০:৪৮) এখানেও বৈজ্ঞানিক মিল দেখা যায় যথা বাতাস → বাষ্প পরিবহন→ মেঘ সৃষ্টি→ বৃষ্টি

সূরা আল-মু’মিনূন , আয়াত ১৮
وَأَنْزَلْنَا مِنَ السَّمَاءِ مَاءً بِقَدَرٍ فَأَسْكَنَّاهُ فِي الْأَرْضِ
“আমি আকাশ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি বর্ষণ করি, তারপর তা ভূমিতে সংরক্ষণ করি।”
(সূরা আল-মু’মিনূন: ২৩:১৮) , এখানেও বৈজ্ঞানিক মিল দেখা যায় যথা বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ →ভূগর্ভস্থ
পানির সংরক্ষণ (Aquifer) এখানে ভূগর্ভস্থ জলাধার–এর দিকে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে।

সূরা আজ-যুমার আয়াত ২১
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ أَنْزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَسَلَكَهُ يَنَابِيعَ فِي الْأَرْضِ
“তুমি কি দেখ না, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা ভূমির মধ্যে প্রস্রবণরূপে প্রবাহিত করেন।”
(সূরা আজ-যুমার: ৩৯:২১) এখানেও বৈজ্ঞানিক মিল লক্ষনিয় যথা পাহাড় বা উচুস্থানে পানি শোষন → ঝর্ণা বা
ছরাকারে মিঠা পানি রূপে প্রবাহিত হয় ।
সূরা ক্বাফ — আয়াত ৯
وَنَزَّلْنَا مِنَ السَّمَاءِ مَاءً مُّبَارَكًا
“আমি আকাশ থেকে বরকতময় পানি বর্ষণ করি।”(সূরা ক্বাফ: ৫০:৯) এখানে পানির জীবনধারণমূলক ভূমিকা
বোঝানো হয়েছে।

মুল কথা হল কুরআনে জলচক্রকে বিচ্ছিন্নভাবে নয় বরং একটি ধারাবাহিক, নিয়ন্ত্রিত ও উদ্দেশ্যপূর্ণ ব্যবস্থা
হিসেবে তুলে ধরা হয়েছেযা আধুনিক বিজ্ঞানের ভাষায় বলা যায়
Earth’s water system behaves like a closed, regulated cycle

তাই বলা যায় বিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও পৃথিবীর পানি একটি বদ্ধ (closed) ব্যবস্থার মধ্যে আবর্তিত হয়”
যার মূল ভাব কুরআনে ১৪০০ বছর আগেই বহু আয়াতে বিদ্যমান।
কুরআন কোন বিজ্ঞান বই না হয়েও প্রকৃতির মৌলিক নিয়মগুলোকে এমন ভাষায় বর্ণনা করেছে যা আজকের
বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

এখন হয়তবা বলাই যায় যে পৃথিবী থেকে পানি চূড়ান্তভাবে হারিয়ে যায় না ব্যবহৃত পানি নানা রূপে আবার প্রকৃতিতে
ফিরে আসেতাই প্রশ্ন উঠতে পারে: তাহলে পানির অপচয় কোথায়? বাস্তব সমস্যা: সময়, স্থান ও গুণগত মান
পানির ‘অপচয়’ বলতে বিজ্ঞানে বোঝায় :
ক) সময়গত সমস্যা :এক ফোঁটা পানি জলচক্রের মাধ্যমে পুনরায় মিঠা পানিতে ফিরতে দশক, শতক বা সহস্র বছরও
লাগতে পারে। যেমন ,ভূগর্ভস্থ পানির অনেক স্তর (aquifer) পুনরায় পূরণ হতে শত শত বছর লাগে
খ) স্থানগত সমস্যা যে স্থানে পানি ব্যবহার বা নষ্ট হয়, সেই স্থানেই তা ফিরে আসে না। ফলে এক অঞ্চলে দেখা দেয়
বন্যা অন্য অঞ্চলে খরা।
গ) গুণগত অবনতি (Pollution) সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দূষণ। শিল্পবর্জ্য, রাসায়নিক, প্লাস্টিক, কীটনাশক মিশে
গেলে পানি আর সহজে পানযোগ্য থাকে না জলচক্র পানি ফিরিয়ে আনলেও বিশুদ্ধতা ফিরিয়ে আনে না ফলে
বৈজ্ঞানিকভাবে বলা যায় পানি নষ্ট না হলেও ব্যবহারযোগ্য মিঠা পানি কার্যত কমে যায়।
মানুষের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ এর কারণে অতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন হয়, নদী ও জলাভূমি ভরাট হয়ে যায়
আর বন উজাড় হয়ে যায় ।

এসব কারণে জলচক্রের স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তাই তাত্ত্বিকভাবে পানি ঘুরে ফিরে এলেও বাস্তবে
মানুষের জন্য সংকট বাড়ছে।

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ বিশেষ করে ইসলামী দৃস্টিকোন হতে দেখলেও বলা যায়:-
পানি আল্লাহর পক্ষ থেকে আমানত,ইসলামে পানি শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, বরং এটি আল্লাহর নিয়ামত ও আমানত।
কুরআনে বলা হয়েছে: আমি পানি থেকে প্রত্যেক জীবিত বস্তু সৃষ্টি করেছি।” (সূরা আল-আম্বিয়া: ৩০)
এ আয়াত পানির মৌলিক গুরুত্ব নির্দেশ করে।

অপচয় সম্পর্কে কুরআনি নির্দেশনা কি তা একটু দেখা যাক,কুরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে:
“নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না।” (সূরা আল-আ‘রাফ: ৩১)
এখানে অপচয় (ইসরাফ) বলতে এমন ব্যবহার বোঝানো হয়েছে যা প্রয়োজনের অতিরিক্ত বা দায়িত্বহীন।
রাসূল (স.) এর বাস্তব শিক্ষা হাদিসে এসেছে রাসুল (স.) প্রবাহমান নদীর পাশে অজু করার সময়ও পানি
কম ব্যবহার করতেন,এর শিক্ষা হলো প্রাচুর্য থাকা সত্ত্বেও সংযম বজায় রাখা ঈমানের অংশ।

ধর্মীয় দৃষ্টিতে বলা হয় না যে যেহেতু আল্লাহ আবার পানি ফিরিয়ে দেন, তাই অপচয় করা যাবে,
বরং বলা হয় আল্লাহ ব্যবস্থা সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু মানুষকে দায়িত্বশীল ব্যবস্থাপক (খলিফা) বানিয়েছেন
অতএব: প্রাকৃতিক পুনরাবর্তন আল্লাহর কুদরত, আর সংরক্ষণ মানুষের দায়িত্ব।

পানি প্রকৃতির এক অবিরাম আবর্তনশীল সম্পদ হলেও মানুষের জন্য পানযোগ্য মিঠা পানি সীমিত, সংবেদনশীল
এবং সহজে ক্ষতিগ্রস্ত।বিজ্ঞান আমাদের শেখায় জলচক্রের সীমাবদ্ধতা, আর ধর্ম শেখায় সংযম ও দায়িত্ববোধ।

অতএব এই কথা বলা সঠিক নয় যে “মিঠা পানির তেমন অপচয় হয় না”। বরং সঠিক কথা হলো
পানি হয়তো হারায় না, কিন্তু মানুষের অবিবেচনায় তা মানুষের জন্য অনুপযোগী হয়ে যায়।
এই উপলব্ধিই মিঠা পানি সংরক্ষণের নৈতিক ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি।

আপনার পোস্টের কল্যানে এ বিষয়ে একটি বস্তুনিষ্ট আলোচনার সুযোগ সৃস্টি করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.