| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নতুন নকিব
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...
বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে ১৬ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ। অস্ত্রধারীদের পরিচয় যাচাই করে জানা গেছে, তারা পিতা ও পুত্র এবং ধর্মীয় পরিচয়ে মুসলিম।
এই অস্ত্রধারীরা নিঃসন্দেহে চরম নিন্দনীয় অপরাধ করেছে। নিরীহ মানুষ হত্যা করার অনুমোদন ইসলাম কখনোই দেয় না। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর মতো ভাষা আমাদের জানা নেই।
কিন্তু একই সঙ্গে একটি বাস্তবতাও অস্বীকার করা যায় না। এই সময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় খুনি একজনই। নেতানিয়াহু। তিনি লাগাতার ফিলিস্তিনিদের কচুকাটা করছেন। বিশ্বশক্তিগুলো তাকে থামাতে পারছে না, কারণ তার পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সমর্থন। অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, রাজনৈতিক মদদ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নেতানিয়াহুর ধারাবাহিক মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে আজ গোটা বিশ্বজুড়ে ইহুদিদের জীবনও হুমকির মুখে। নিরীহ ইহুদিরাও যে আর নিরাপদ নয়, এই ঘটনাই তার আরেকটি প্রমাণ। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
অতএব, খুনি নেতানিয়াহুকে যেকোনো মূল্যে থামানো জরুরি। অন্যথায় ভবিষ্যতে এমন হত্যাকাণ্ড আবারও ঘটবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, দুই অস্ত্রধারীর একজনের হাত থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অস্ত্র কেড়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন সিরিয় বংশোদ্ভূত আহমদ আল আহমদ নামের এক ব্যক্তি। তিনিও একজন মুসলিম। বিশ্বের বহু দেশ এবং রাষ্ট্রনায়ক, এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পর্যন্তু এই খবরটি গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করলেও, আহমদকে বীর হিসেবে আখ্যায়িত করলেও আমাদের সমাজের কিছু মানুষের মধ্যে এ ক্ষেত্রে অদ্ভুত হীনমন্যতা চোখে পড়েছে। ভাসুরের নাম উচ্চারণ করতে সংকোচবোধ করা পল্লীর গৃহবধূদের চেয়েও এইক্ষেত্রে তারা যেন অধিক লজ্জাশীল। এই দৃশ্য দেখে বিনোদিত হওয়ার সুযোগ আমরা মোটেই হারাতে চাই না।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহমদ আল আহমদ। ছবি: সংগৃহীত
আহমদের মুসলিম পরিচয়টা তাদের কাছে প্রচন্ড চপেটাঘাতের চেয়েও বেশি যন্ত্রণাদায়ক কি না, কে জানে!! হামলাকারী মুসলিম হলে তা চিৎকার করে বলতে হবে, আর হামলা প্রতিহত করতে জীবনের ঝুঁকি নেওয়া একজন মুসলিমের পরিচয় লুকানো হবে, এটা কিসের আলামত?? এটাই কি তাহলে তথাকথিত প্রগতিশীলতা???
তবে এইক্ষেত্রে নেতানিয়াহু একধাপ এগিয়ে। তিনি প্রথমে আহমদকে ইহুদি দাবি করে বসেছিলেন। পরে অবশ্য তার বোধোদয় হয়েছে। নিজের ভুল স্বীকার করেছেন।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার স্পষ্ট ও বাস্তবভিত্তিক মন্তব্যের জন্য। আপনি যথার্থভাবেই বিষয়টি আলাদা করে দেখিয়েছেন যে এই হামলার সঙ্গে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং এটি নিঃসন্দেহে একটি জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড। ফিলিস্তিনের প্রতি প্রকৃত সহমর্মিতা থাকলে তার পথ কখনোই নিরীহ মানুষ হত্যার মাধ্যমে হতে পারে না। বরং এ ধরনের সহিংসতা বিশ্বজুড়ে মুসলিম অভিবাসীদেরই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নেতানিয়াহুর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পরিণতিতে ইহুদিরা যে বিশ্বব্যাপী ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে, সেটিও দুঃখজনক হলেও অনুমেয় ছিল।
আপনার চমৎকার যুক্তিপূর্ণ অবস্থান পোস্টের আলোচনাকে আরও পরিণত এবং স্বার্থক করেছে।
আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।
২|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
নতুন নকিব ভাই আপনাকে বিজয় দিবসে শুভেচ্ছা। স্বাধীনতা সংগ্রাম অমর হোক।
জয় বাংলা/ইনকিলাব জিন্দাবাদ।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ কলিমুদ্দি দফাদার ভাই। আপনার শুভেচ্ছার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। মহান বিজয় দিবস আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনা ও আত্মত্যাগের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেয়। এই চেতনা অমর হোক। ন্যায়, মানবিকতা ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা বেঁচে থাকুক।
আপনাকেও বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
৩|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮
অগ্নিবাবা বলেছেন: নকীব ভাই, প্রচলিত কোরান হাদিস ইহুদী নাসারারা বিকৃত করে দিয়েছে, ভালোবাসার আয়াত বাদ দিয়ে বিধর্মীদের হত্যা করার আয়াত লিখে দিয়েছে, ইন্টারনেটে মুসলমানদের সাইটে এইসব বিকৃত সব কোরান হাদিসে ছয়লাপ, আর কোমলমতি ধর্মপ্রান কিছু মুসলমান এইসব জঙ্গী আয়াতকে আল্লাহর হুকুম হিসাবে নিয়ে সাধারন ইহুদী নাসারা মুশ্রিকদের উপর কখনো ট্রাক, কখনো ছুরি, কখনো বন্দুক চালাচ্ছে, কখনো কখনো আবার গায়ে বোমা বেন্ধে আল্লহু আকবর বলে শয়ে শয়ে কাফের মেরে নিজেও শহীদ হয়ে, ডাইরেক্ট হুরদের সাথে মিলিত হচ্ছে। আর এই সব করে বদনাম হচ্ছে আপনাদের মত সাচ্চা মুসলমানদের, আপনারা যা্রা বিধর্মীদের খুব ভালোবাসেন, ভালোবাসার টানে ইসলামিক দেশগুলো ছেড়ে কাফেরের দেশ গুলিতে যেতে চান তাদের সাহায্য করার জন্য। কিন্তু কতিপয় কিছু ভুল মুসলমানের জন্য আপনাদের ভিসা পেতে অসুবিধা হচ্ছে, দিন দিন ভিসা হয়ত পাবেনই না।
অতএব এখন সময় হয়েছে আসল কপি দরকার, লাও হে মাহফুজ থেকে কপিটা আনার ব্যবস্থা করেন, আমার বিশ্বাস আল্লাহ আপনাকে খুব ভালোবাসে, আপনি ব্লগে ইসলামিক পোস্ট দিয়ে বহু সওয়াব কামিয়েছেন, আপনিই পারবেন আসল কপিটা এনে বিশ্ব শান্তি কায়েম করতে। আমিন।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। তবে আপনার বক্তব্যের সঙ্গে আমি যুক্তিগতভাবে একমত নই। কুরআন ও সহিহ হাদিস কোনো বিকৃত নথি নয় এবং এগুলোর সংরক্ষণ ইতিহাসগতভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত। সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ কুরআনের মৌলিক শিক্ষা নয়, বরং এগুলো প্রসঙ্গচ্যুত ব্যাখ্যা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও চরমপন্থী মানসিকতার ফল। নিরীহ মানুষ হত্যা কখনোই ইসলামের নির্দেশ হতে পারে না এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডের দায় ইসলাম বা কুরআনের ওপর চাপানো ন্যায়ানুগ নয়।
একই সঙ্গে এটাও সত্য যে কিছু বিভ্রান্ত মানুষ ধর্মকে অপব্যবহার করে সহিংসতায় জড়াচ্ছে, যার খেসারত শান্তিপ্রিয় মুসলমানদের দিতে হচ্ছে। সমাধান কুরআনকে অস্বীকার করা নয়, বরং সঠিক জ্ঞান, প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা ও নৈতিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা। বিদ্রূপ নয়, বরং বুদ্ধিবৃত্তিক ও ন্যায়ভিত্তিক আলোচনা দিয়েই শান্তির পথ তৈরি হতে পারে।
আর, প্রিয় ভাই, কুরআনের মর্ম অনুধাবনের জন্য আপনার কষ্ট করে লওহে মাহফুজ পর্যন্ত যাওয়ার দরকার নেই। যে কুরআন আপনার হাতের কাছে এই পৃথিবীতে আছে, এটাই অবিকল, নিবিষ্ট মনে এটা পড়ুন। ইনশাআল্লাহ সত্য আপনার সামনে দিবালোকের মতো স্পষ্ট হবে।
শুভকামনা জানবেন।
৪|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিবরণ চমৎকার হয়েছে। পোষ্ট ছোট হওয়াতে পড়তেও সুবিধা হয়েছে। পোষ্টের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এভাবেই ব্লগে সত্য প্রকাশ করে ব্লগারগণকে সত্য জানাবেন বলে আশা করি।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৪
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার আন্তরিক ও উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য। লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। সংক্ষিপ্তভাবে হলেও সত্য ও প্রাসঙ্গিক বিষয় তুলে ধরাই উদ্দেশ্য ছিল। আপনার মতো সচেতন পাঠক/ সহৃদয় ব্লগারদের সমর্থনই সত্য বলার সাহস জোগায়। আশা করি আগামীতেও গঠনমূলক ও সত্যনিষ্ঠ লেখার মাধ্যমে ব্লগে সক্রিয় থাকতে আপনাকে পাশে পাব।
অনেক অনেক শুভকামনা এবং কৃতজ্ঞতা।
৫|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:০৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: কে থামাবে নেতানিয়াহুদের? খুব হতাশার কথা হলেও এটা সত্য যে নেতানিয়াহু ট্রাম্পের চেয়েও বেশি ক্ষমতাশালী।
আমার মনে হয়, একে থামাতে হাজার খানেক নোম চমস্কি, এডওয়ার্ড সাইদ আর হাজার খানেক মামদানী লাগবে। ইন্টারেস্টিংলি দেখুন, এদের মধ্যে প্রথমজন ইহুদি, দ্বিতীয়জন প্যালেস্টাইনি খ্রিস্টান, আর তৃতীয়জন মুসলিম (যদিও তাঁর মা হিন্দু)।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫১
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি যেভাবে তুলনা করেছেন, তা সত্যিই চিন্তার উদ্রেককারী। নেতানিয়াহুর ক্ষমতা রাজনৈতিক প্রভাব ও আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের কারণে বিশাল; তাই শুধুমাত্র একক ব্যক্তির বা দেশের প্রভাব দিয়ে তাকে থামানো কঠিন। হয়তো সম্ভবই নয়।
আপনার উল্লেখিত তিনজন- নোয়াম চমস্কি, এডওয়ার্ড সাইদ, মামদানী- এরা জ্ঞান ও নৈতিক প্রভাবের দিক থেকে অসামান্য, এবং তাদের উদাহরণ দেখায় যে বিরোধিতা শুধুমাত্র রাজনৈতিক নয়, বুদ্ধিমত্তা, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক সচেতনতায় কেন্দ্রীভূত।
এটি প্রমাণ করে যে বাস্তব ক্ষমতা এবং নৈতিক প্রভাব কখনও সমানুপাতিক হয় না, এবং ইতিহাসে পরিবর্তন আসে বহু মানুষের ধারাবাহিক প্রয়াসের মাধ্যমে। তাকে থামানো সম্ভব হতে পারে সামাজিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও নৈতিক আন্দোলনের সফল প্রয়োগে।
চমৎকার বিদগ্ধ মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
৬|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার জ্বলাটা ঠিক কোথায়?
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৪
নতুন নকিব বলেছেন:
রাজীব নুর,
সত্যি করে বলুন তো, আপনি কি কোন মানসিক সমস্যার ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন? পোস্ট না পড়ে আউল ফাউল মন্তব্য করার কোন অর্থ হয় না।
আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
৭|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৪
অগ্নিবাবা বলেছেন: নকীব ভাইয়ের কাছ থেকে একটু বোঝার চেষ্টা করে দেখি, আসলে আমার মোটা মাথায় অনেক কিছু ধরে না।
আপনি বললেন যে, সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ কুরআনের মৌলিক শিক্ষা নয়, বরং এগুলো প্রসঙ্গচ্যুত ব্যাখ্যা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও চরমপন্থী মানসিকতার ফল। নিরীহ মানুষ হত্যা কখনোই ইসলামের নির্দেশ হতে পারে না এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডের দায় ইসলাম বা কুরআনের ওপর চাপানো ন্যায়ানুগ নয়। খুবই ভালো কথা।
তাহলে আপনাদের প্রচার প্রচারনা হওয়া উচিত যারা ইসলামের অপব্যাখ্যা দেয় তাদের বিরুদ্ধে, কারন এরাই ইসলামের শত্রু, অন্তত ইহুদি নাসারাদের চেয়েও, কিন্তু দেখা যাচ্ছে আপনি নিজেই জামাতকে সাপোর্ট করেন, এই জামাতই ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে ৭১ এ কি করেছিল তা আপনি নিশ্চয়ই জানেন। তাঁরপরে একটু ঝাকা দিলেই দেখা যাবে যে আপনি হামাস, হিজবুল্লা, বোকোহারাম, লস্কর, আইসিস এদের সবাইকেও তলে তলে ফ্রীডম ফাইটার মনে করেন।
এখন কথা হচ্ছে, কেন এমন করেন? কথায় এবং কাজে কেন আপনারা আলাদা?
বন্ডাই সৈকতে হামলাকারী বাবা–ছেলে আইএসের মতাদর্শে অনুপ্রাণিত: অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। প্রথম আলো
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৮
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন তোলাকে আমি ইতিবাচকভাবেই দেখি।
আমার অবস্থানটি পরিষ্কারভাবে বলি- সহিংসতা, জঙ্গিবাদ কিংবা নিরীহ মানুষ হত্যাকে যারা ধর্মের নামে বৈধতা দেয়, তারা ইসলামের অপব্যাখ্যাকারী। বলা বাহুল্য, তারা প্রকৃত অর্থেই ইসলামের ক্ষতি করছে। এদের বিরুদ্ধে কথা বলা এবং সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলাই আমাদের মূল দায়িত্ব হওয়া উচিত। কোনো ব্যক্তি, দল বা সংগঠন যদি ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে সহিংসতাকে উস্কে দেয়, তবে তা সমর্থনযোগ্য নয়, সেখানে নাম যেমনই হোক, যা-ই হোক।
একইভাবে, হামাস, আইএস, বোকো হারাম বা এ ধরনের সংগঠনকে “ফ্রিডম ফাইটার” হিসেবে দেখার প্রশ্নই ওঠে না, যখন তাদের কার্যক্রমে নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। আদর্শিকভাবে ভুল ব্যাখ্যা আর বাস্তব সহিংসতার দায় কুরআন বা ইসলাম বহন করে না- এই পার্থক্যটুকু বোঝাই আসল কথা। আর এই সামান্য বিষয়টা বুঝার জন্য কাউকে আইনস্টাইন কিংবা নিউটন হতে হয় না।
বন্ডাই সৈকতের ঘটনার মতো উদাহরণগুলো আবারও প্রমাণ করে, চরমপন্থী মতাদর্শই সমস্যা; ধর্ম নয়। আলোচনা ও সমালোচনা যদি এই জায়গাটিতে কেন্দ্রীভূত থাকে, সেটাই হবে সবচেয়ে ন্যায্য ও ফলপ্রসূ পথ।
আবারও ধন্যবাদ এবং শুভকামনা আপনার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যারা হামলা করেছে এবং যে তাদের বাধা দেয় এরা কেউ ফিলিস্তিনি মুসলিম না। পাকিস্তান ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য কিছুই করেনি। এটা সুস্পষ্ট জংগীবাদি কার্যক্রম। ফিলিস্তিন প্রীতি থাকলে সেখানে গিয়ে হামাসের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে যুদ্ধ করা শ্রেয়। এই ধরণের কার্যক্রম কেবল বাকি মুসলিম অভিবাসীদের ক্ষতিগ্রস্থ করছে।
ইয়াহুদিরা সারাবিশ্বে বিপদে পড়তে পারে নেতানিয়াহুর কার্যক্রমে এটা অনুমেয় ছিলো।