| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আওয়ামী লীগ ১৬ বছর ক্ষমতায় থেকে মুক্তিযুদ্ধকে নতুন প্রজন্মের কাছে আরো ভালোভাবে তুলে ধরা তো দূরের কথা, তৈরি করেছে একটা মুক্তিযুদ্ধবিমুখ প্রজন্ম। বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই, কিন্তু তারা বঙ্গবন্ধুকে মুক্তিযুদ্ধের চেয়েও বড় করে তুলেছিল। শুধু কি বঙ্গবন্ধু? তারা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবাইকেই একটা প্রোফেটিক ফিগার বানিয়ে রেখেছিল। শেখ রাসেলের জন্মদিনে আপনি স্কুলের বাচ্চাদের রোদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রেখে স্থানীয় গুন্ডা কমিশনারের বক্তব্য শোনাবেন কেন? কোন যুক্তিতে? ছাত্রলীগকে কেন আপনারা শিবির সন্দেহে পেটানোর অথোরিটি দিয়েছিলেন? তার ফলাফল দেখছেন তো? প্রতিটা ক্যাম্পাসে এখন শিবিরের জয়-জয়কার। ২৪ এর অভ্যুত্থানও শুরু হয়েছে ছাত্রলীগের গুণ্ডামি থেকেই। নাহলে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের চাকুরির কোটা নিয়ে কার কী এসে যায়!
তো সেইসময়ে বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক মানুষ অনেকরকম ধান্দাবাজী করেছে। এতটাই, যে 'চেতনা' শব্দটাই গালিতে পরিণত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তো বটেই, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু বলতে গেলেও "ধান্দাবাজ" আখ্যা পাওয়ার ঝুঁকি ছিল।
কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে। এখন বিপরীত মতাদর্শের মানুষজনের পোয়াবারো। আপনাদের ব্যারিস্টার ফুয়াদ, পিনাকি, ইলিয়াস এরা মুক্তিযুদ্ধকে ভারতীয় ষড়যন্ত্র বলে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। এরা প্রকাশ্যেই ইউনিফাইড পাকিস্তানের কথা বলে। এরা প্রকাশ্যেই বলে যে আমাদের প্রতি কোনো অন্যায় হয় নি। এরা মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়েও তাচ্ছিল্য করে।
দেশে মুক্তিযদ্ধের ম্যুরাল ভাঙা হয়েছে। বীরশ্রেষ্ঠদের মূর্তি ভাঙা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হচ্ছে। অথচ এখনও আপনার কতিপয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললে চেতে যান। ধান্দাবাজ, চেতনা ব্যবসায়ী বলেন। মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধার অবমাননা নিয়ে আপনাদের কোনো কথা নেই। জামাতের আমীর একাত্তরে "যদি ভুল করে থাকে" তার জন্যে ক্ষমা চেয়েছে। কিন্তু আপনাদের ভাব দেখে তো মনে হয় না একাত্তরে তারা কোনো ভুল করেছিল! ডাকসু নির্বাচনের কিছুদিন আগেও শিবিরের এক নেতা বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানকে অবমাননা করে পোস্ট দিয়েছিল। গোলাম আজমের পুত্র বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করতে চায়। শিবিরের নেতারা ডাকসুতে পহেলা বৈশাখ পালন না করে অগ্রাহায়ন পালন করতে চায়। তাদের যুক্তি "১৯৬৭ সালে এই বংলায় প্রথম পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পাকিস্তানি শাসকেরা এই অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করায় পাকিস্তানবিরোধী মানসিকতার বাঙালির কাছে পয়লা বৈশাখ ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।" এখন তারা সেই পাকিস্তানী মানসিকতায় পহেলা বৈশাখ পালন করা থেকে দূরে থাকবে।
তো, মুক্তিযুদ্ধ যদি পছন্দ না হয়, যদি পাকিস্তানই ভালো লেগে থাকে, সেটা সরাসরি বলেন! মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বললে খামোখা কাউকে চেতনা ব্যবসায়ী বলে ক্ষোভ মেটানোর কারণ দেখি না!
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা আবার স্বীকারও করবে না। ধানাই পানাই করবে।
২|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪০
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: জাতিগতভাবেই মনে হয় আমরা ভন্ড এবং উন্মাদনাপ্রিয়। ফ্যসিস্ট আওয়ামিলীগের বিরুদ্ধে গনঅভ্যূ্ত্থান হয়েছে এবং তাদের পতনও ঘটেছে। কিন্তু এরপর একের পর এক অনাকাংখিত ভাংচুর , উন্মাদনা দেশকে কেবলই অস্থিতিশীল করেছে। কেন আমাদের হয় ভারতপ্রেমী নাহয় পাকিস্তানপ্রেমী হতে হবে ? কেন আমরা কেবলই বাংলাদেশ প্রেমি হতে পারছি না? আরেক দেশপ্রেমি যদি হতেই হয় তবে সভ্য দেশের প্রেমিক হই। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান ইত্যাদেশপ্রেমী হই। কিন্তু না ভাল কোণ কিছুর প্রতি আমাদের আকর্ষন নাই!
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ![]()
৩|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪০
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললে চেতে যান কেন? প্রথম পেরা্র কিছু অংশে আপনি নিজেই উত্তর দিয়ে দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রলেপ লাগিয়ে আওয়ামী লীগ ১৬ বছর সকল অপকর্ম করেছে। এখন যেমন জুলাই চেতনার নামে সকল অপকর্ম হচ্ছে আগে হতো মুক্তিযুদ্ধের নামে.......
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: না, এটা উত্তর না। এরপরে প্রশ্ন আছে। মুক্তিযুদ্ধ অনেক বিশাল একটা ব্যাপার। আওয়ামী অপকর্ম দিয়ে যারা এটাকে অগুরুত্বপূর্ণ করতে চায়, তাদের ন্যারেটিভগুলি ভালোমতো অবজার্ভ করবেন। দেখবেন আরো কত কিছু বের হয়!
৪|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৮
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: পুরোনো ক্ষত জেগে উঠে, তাই চেতে যায়। মুক্তিযুদ্ধের প্রতি দরদ থাকলে সেটা আওয়ামী লীগ থেকে কেড়ে নিয়ে নিজেরা কর্তৃত্ব স্থাপন করত।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: সেটাই।
৫|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩১
কামাল১৮ বলেছেন: শেখ মুজিব ছিলে বাংগালিদের শ্রেষ্ঠ জাতিয় নেতা কিন্তু তিনি জনমানুষের নেতা ছিলেন না।সেটা ছিলো ভাসানী।তিনি বক্তৃতা দিতে দাঁড়িয়ে হুংকার দিয়ে বলতেন মার্কিন সাম্রাজবাদ,রুশ সামাজিক সাম্রাজবাদ ও ভারতিয় সম্প্রসারণবাদ।এটা ছিলো সেই সময়ের সঠিক বিশ্লষণ।তার পর দেশিয় শোষকদের গুষ্ঠিউদ্দার করতেন।আজীবন শোষনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন।
৬|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩
আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: লগিন হলাম অনেক অনেক দিন পর!~
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: তোমার নামের শুরুতে যে একটা আলী আছে টা ভুলে গেছিলাম!
৭|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: চেতনা যখন বিজনেস হয়ে যায় তখন চেতনার ঘায়ে মানুষ অচেতন হয়।
৮|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৩
কলাবাগান১ বলেছেন: @মহাজাগতিক চিন্তা
তো অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য যেটা বলল সেটা করেন.. চেতনা কে বিজনেস না করে চেতনা কে ধারন করুন। কিন্তু আপনারা আকারে ইংগীতে ১৯৭১ এর কে ভুলে ২৪কে ধারন করতে উৎসাহিত করেন তখন বুঝতে বাকী থাকে না কেন আপনার চেতেন ১৯৭১ এর কথা শুনলে
১৯৭১ এ রাজাকার রা পরাজিত হয়েছিল আর ২৪ শে এসে রাজাকার রা সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিল।
৯|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১০
মাথা পাগলা বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকা দলের ১৬ বছরের লুটতরাজকে অজুহাত বানিয়ে আজ যারা ৭১-কে ছোট করছে, তাদের আত্মিক জন্ম ঐ পাকিস্তানে, যে পাকিস্তানীরা এই বাঙালির কাছেই আত্মসমর্পণ করেছিল।
দলের ভুলের অজুহাত দেখিয়ে ইতিহাসে উল্টে দেবার চেষ্টা আসলে সেই পরাজিত পাকিস্তানি মানসিকতারই পুনর্জাগরণ। এরা নব্য লালবদর, গুপ্ত রাজাকার-জামাত-শিবিরের সদস্য। লুটপাটের বিচার চাইলে করেন, কিন্তু সেই অজুহাতে মুক্তিযুদ্ধ আর শহীদের আত্মত্যাগকে হেয় করার অধিকার কারও নেই।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: লুটপাটের বিচার চাইলে করেন, কিন্তু সেই অজুহাতে মুক্তিযুদ্ধ আর শহীদের আত্মত্যাগকে হেয় করার অধিকার কারও নেই।
১০|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৩
মাথা পাগলা বলেছেন: @কামাল১৮
মুজিব ছিলেন শতভাগ জনমানুষের নেতা। সেই আস্থার সুযোগ নিয়েছে কাছের মানুষরাই, তাই তার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতাও করতে পেরেছে তারাই।
দাউদ হায়দার ছিলেন প্রথম বাংলাদেশি লেখক, যাকে ৭৩ কিংবা ৭৪ সালে দেশে দুর্গাপূজা হতে দেওয়া যাবে না - ধর্মীয় গোঁড়ামি আর মৌলবাদ নিয়ে সমালোচনা করার অপরাধে দেশ থেকে বিতাড়িত হতে হয়। ভাসানীর জোর-জবরদস্তি ও চাপের মুখে মুজিব সাহেব শেষ পর্যন্ত এই অন্যায় কাজটি করতে বাধ্য হন।
১১|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৪২
অধীতি বলেছেন: আওয়ামীলীগ মূলত দেশটাকে মগের মুল্লুক বানিয়ে রেখে গেছে। আর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে মুক্তিযুদ্ধ। বিপরীত পক্ষকে বুদ্ধি বৃত্তিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সব দিক থেকেই এই মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু নাম ব্যবহার করে শোষণ করেছে, ফলে অপ্রত্যাশিত ভাবে হাসিনা ও আওয়ামীলীগের পতন ঘটিয়ে ফেলায় কিভাবে নতুন শুরু করবে ও মুক্তিযুদ্ধকে কিভাবে গ্রহণ করবে সেটা সামগ্রিক ভাবে বুঝে উঠতে পারতেছে না। আবার অখন্ড পাকিস্তানপন্থী দলও এটার সুযোগ নিচ্ছে নিজেদেরকে সাধু প্রমাণের।
ফলে দেশে এখন কাউকে অপছন্দ হলেই আওয়ামীলীগের অস্ত্রেরই প্রতিব্যবহার হচ্ছে। এটার ফলে জাতি হিসেবে আমরা ভূতের মত পেছনের দিকেই সরে যাচ্ছি।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: "মুক্তিযুদ্ধকে কিভাবে গ্রহণ করবে সেটা সামগ্রিক ভাবে বুঝে উঠতে পারতেছে না"
এই ডিলেমা শুধু মহান বাঙালি জাতির মধ্যেই আছে। অন্যান্য জাতির মধ্যে রক্ত দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতা নিয়ে এই দ্বিধা আর সংকোচ নেই।
১২|
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১:০০
ক্লোন রাফা বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনলে পুর্বে যারা আতংকিত হইতো । এখনও তারা সেই ইতিহাস ভুলে যায়নি। কাজেই এই ঘটনা ঘটতেই থাকবে। ৭০-এর নির্বাচনে ৩০% মানুষ স্বাধীনতার বিপক্ষে বা ৬ দফার বিরোধিতা করেছিল। কাজেই সংখ্যটা নেহাত কম নয়। সেখানে কিছু মানুষ হয়তো নিউট্রাল হয়েছে। কিন্তু তারা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের পক্ষের লোক হতে পারেনি।বরং কিছু মুক্তিযোদ্ধা রাজাকারের খাতায় নাম লিখিয়েছে । তাদের মধ্যে অন্যতম কর্নেল ওলি ।
পরিবতন্ত্র আমাদের উপমহাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি পরতে বিদ্যমান। কোনও রাজাকারের পরিবারের কাউকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কখনো দেখেছেন ব্যাতিক্রম ছাড়া ⁉️
পরিবারের তন্ত্রের দোহাই দিয়ে যারা স্বাধীনতা সংগ্রাম’কে গালি দেয় তারা হিপোক্রেট। নেপোটিজম কোথায় নেই! ডাক্তারের ফ্যামিলিতে ডাক্তার খুঁজে পাবেন। সাস্কৃতিক অঙ্গনে ব্যাপক। ব্যারিস্টারের ছেলে ব্যারিস্টার যদি হয়। তাহলে রাজনীতিবিদদের বেলায় হোলে অসুবিধা কি⁉️
সমস্যা হলো যখন শুধু সম্পর্ক যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়। ধরেন আপনার দাদা ছিলো মাতবর। আপনার বাবা ছিলো চেয়ারম্যান। আর আপনি এখন এলাকার কমিশনার । এখানে সমস্যা কোথায় যদি যোগ্য কাজের মাধ্যমে সেটা আপনার অর্জন হয়!
ধন্যবাদ॥
১৩|
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ২:০৮
রৌশন বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের তাচ্ছিল্য করা হয়েছে শুরু থেকেই। শহীদ মুক্তিযুদ্ধেরও তাচ্ছিল্য করা হয়েছে। শহীদ পরিবারের কেউ খোঁজ রাখে নি, অথচ তাদেরই সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন ছিল সবার আগে। কিন্ত সব সুযোগ সুবিধা পেয়েছে বেচে ফেরা মুক্তিযোদ্ধারা ও কিছু ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধার চেয়ে যেহেতু শহীদের সংখ্যাই বেশি তাই এই বৈষম্যের ভুক্তভোগীও বেশী। এই বৈষম্যের আরও বিস্তৃতি ঘটেছিল প্রজন্মের পর প্রজন্ম এসব সুবিধা শুধু সেই তুলনামূলক সল্প সংখ্যক ব্যক্তির জন্যই বরাদ্দ রাখাতে। অর্থাৎ, সেই মুক্তিযুদ্ধ থেকেই দেশের অধিকাংশ মানুষ শুধু বঞ্চনারই স্বীকার হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের কারনেই। তার উপর আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে অপরাজনীতি তো রয়েছেই। আবার, পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত কাছে, এই বিষয়েটাও মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এজন্যেই মুক্তিযুদ্ধ আজ অপমানিত। কিন্ত তাই বলে যে সবাই পাকিস্তান পন্থী হয়ে গেছে তাও না।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার লেখার প্রথম অংশের সাথে একমত।
কিন্তু ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বলে মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে এসব চাইল্ডিশ যুক্তি দিয়েন না। এর পেছনের টেকনিক্যাল কারণগুলি একটু জানার চেষ্টা করেন। আপনারা এইসব বালছাল বলেই নতুন প্রজন্মের মাথা খাইছেন।
১৪|
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:২৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনীতিটা সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন। এখন "চেতে যাওয়ার" রাজনীতি ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।
যেটা দেখেতে পাচ্ছি সেটা হল, বাংলাদেশের মানুষের যুক্তি-বুদ্ধিকে "ইমানী আলোচনা" দিয়ে প্রতিস্হাপন করা হয়েছে এবং একে প্রতিনিয়ত সুড়সুড়ি দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষিত মধ্যবিত্ত, শিল্প-সাহিত্য আকড়ে থাকা প্রগতিশীল অংশটি সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। মাদ্রাসা-পড়ুয়া রক্ষণশীল ও প্রতিক্রিয়াশীল অংশটির কণ্ঠস্বর জোড়ালো হয়েছে। তবে তাদেরকে নিয়ে রাজনীতি করা পালের গোদাগুলো প্রায়শঃ শার্ট-প্যান্টালুন-লাল টাই পরা হয়ে থাকে।
অভুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে দেউলিয়া বিএনপি অতীতের বেশিরভাগ সময়ই প্রতিক্রিয়াশীলদের নিয়ে আতাতের রাজনীতি করেছে। এখন আর তারা জামাতের সঙ্গে পেরে উঠে স্পষ্ট করে বলতে পারছে না - আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এবং রাজাকার-জঙ্গিদের বিপক্ষে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: বিএনপি আসলে কী চায় সেটা তারা নিজেরাই জানে না।
১৫|
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪১
কিরকুট বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ হলো সেই গরম লোহা যাহা উহাদের প্রস্থদেশ ও জিহবায় বারংবার উপর্যুপরি ভাবে ব্যবহার করা হয়। কুকুরের গায়ে গরম ভাতের ভাতের মাড় ফেললে কেউ কেউ তো করবেই। প্রাকৃতিক নিয়ম।
১৬|
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এসব কোন কিছুই হতোনা যদি মুজিবকে ভগবান না বানাইতো আর চেতনা বিক্রি করে ব্যবসা না করতো সেই সংগে শেখ থাকলেই আইনের উর্দ্ধে না উঠতো।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক আছে। এখন তো তারা নাই। ব্যবসারও সুযোগ নাই। তো এখন তো নিঃসঙ্কোচে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বলা যায় এবং যারা এর বিপক্ষে তাদের রাজাকার এবং পাকিস্তানপন্থী বলা যায়! কিছু মানুষ তা বলবে না। তারা পাকিস্তানের সব অপরাধ ক্ষমা করতে রাজী। আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে স্বতস্ফূর্ত আবেগ সেটাও তাদের কাছে চেতনার ব্যবসা। সমস্যা এইখানেই।
১৭|
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫২
নতুন বলেছেন: ২০২৪ এর পরে পাওয়ার ভয়েডের সবচেয়ে বেশি সুবিধা নিয়েছে জাসিরা , বিএনপির উচিত ছিলো কেউ যেন মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদর অপমান করার সাহাস না পায়। তাহলে জনগন বিএনপিকে আরো সমর্থন করতো।
আয়ামীলীগের বেশিরভাগই চেতনা বিক্রি করেছে, দূনিতি, সন্ত্রাস করেছে তার বিচার করতে হবে।
কিন্তু জাসিদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রচারনা চালাতে দেওয়া যাবেনা।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: বিএনপি একটা অথর্ব দল। তারা কোনো ন্যারেটিভ তৈরির ক্ষমতা রাখে না।
১৮|
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: @নতুন আপনি বলেছেন : বিএনপির উচিত ছিলো কেউ যেন মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদর অপমান করার সাহাস না পায়। তাহলে জনগন বিএনপিকে আরো সমর্থন করতো।
লেখক বলেছেন@বিএনপি একটা অথর্ব দল। তারা কোনো ন্যারেটিভ তৈরির ক্ষমতা রাখে না ।
যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ঘুরিয়ে পেচিয়ে প্রচারনা চালায় তারা রেফারেনস হিসাবে কাদের কথা ইউজ করে ? কলোনেল ওলি সাহেবের মতো মানুষের কথা । তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে হাছা-মিছা মিলিয়ে কথা বলেন । যেগুলো ভুয়া তারাও ভুয়া ভুয়া কথা বলেন । বিরোধিদের একক ভাবে দোষ দিলে হবে না ।
১৯|
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটা লেখা লিখেছেন।
২০|
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫২
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমার বাবা জন্মেছিলেন ভারত ভাগ হওয়ার বছর দুই পরে, মানে জন্মগতভাবে পাকিস্তানি ও পরে বাংলাদেশী। স্কুল জীবনে "পাক সার জামিন সাদ বাদ" গাওয়ার কথাও বাবা আমাকে বলেছিলেন। আমার জন্ম মুক্তিযুদ্ধেরও এক যুগ বেশী পরে, স্বাভাবিকভাবেই আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। বাবার মুখ থেকে শোনা গল্প আর ইতিহাসের সূত্র ঘেঁটেই মুক্তিযুদ্ধকে চেনা-জানা। শেখ মুজিব-কে ছোটবেলা থেকেই চিনেছি পূর্ব পাকিস্তানে জনপ্রিয় নেতা হিসেবে। ৭ই মার্চের ভাষণের সময় অনেকের মত বাবা-ও সেদিন ঐ জন সমুদ্রেই ছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার গল্প বাবা বেশ উৎসাহের সাথেই বলতেন। তবে হাসিনা নেতৃত্বাধীন লীগ তিনি কখনো সমর্থন করেছেন বলে মনে হয়নি। তার প্রিয় ছিলো মূলত মুজিব, তার অকস্মাৎ প্রয়াণ ও স্ব-পরিবারে হত্যার বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে আমাকেও ব্যাথিত করে। বিচার বর্হিভূতভাবে পরিবারের সদস্যসহ হত্যা সমর্থনযোগ্য নয়। আমি মনে করি, অন্যায় করলে বা অপরাধ হলে যে কারো বিচার হতে পারে, যেমনটা আজ হলো তাই বলে হত্যা কোন সমাধান নয়।
বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-পেলেদের ভারত বিদ্বেষ আমার কাছে বোধগম্য ও সমর্থনযোগ্য মনে হলেও তাদের পাকিস্তান প্রীতি আমার বোধগম্য নয়। সেটা কখনো সমর্থনও করি না। কারন ওরা আমাদের সাথে যে আচরণ করেছে, সে ইতিহাস হাসিনার সরকার এই প্রজন্মকে সঠিকভাবে জানাতে পেরেছে বলেও আমার মনে হয় না। হলে "স্বাধীনতার চেতনা" নিয়ে কোন প্রশ্ন আসার কথা ছিলো না। অবশ্য সে নিজেই বাপ-বাপ করতে করতেই ইতিহাসের খল-নায়িকার স্থানে নিজেকে অধিষ্টিত করেছে। নিজের মানুষদের উপর যে অন্যায় অত্যাচার করেছে, সে জন্য তার ও তার চামচাদের ফাঁসি হওয়া উচিত। মাঝ থেকে জনগণ এতটাই অতিষ্ট হয়ে উঠেছে যে তার পরিবারের সদস্যরাও রেহাই পাচ্ছে না। "স্বাধীনতার চেতনা" ফেরি করা লোকজন যখন অন্যের স্বাধীনতা কেঁড়ে নেয়, হত্যা করে ও বিভিন্ন ধরনের তকমা দেয় তখন তাদের অন্যায়ের জন্য তাদেরকে তকমা দেয়াও অনুচিত বলে মনে হয় না। আর বর্তমানের কোন রাজনৈতিক দলকেই প্রকৃত অর্থে দেশ পরিচালনার যোগ্য বলে মনে হয় না অনেকের শুধু উপস্থিতিই বেশ প্রশ্নবোধক। প্রয়োজন, সত্যিকার অর্থে নতুন দেশ-প্রেমিক রাজনৈতিক শক্তি যারা স্বাধীনতার ইতিহাসকে সম্মান করে ও প্রকৃত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যে ঘটনায় উহাদের পূর্বপুরুষ শোচনীয় ভাবে পরাজিত হয়েছিলো সেই ঘটনা বারবার সামনে আসলে চেতে তো যাবেই।