নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিচ্ছুটি বলার নাই.......

জটিল ভাই

ঝটট্রিল সব জটিলতা

জটিল ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিরোনামের প্রভাব ভেবেছেন?

০৫ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:৩০

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: ধর্মীয় বিষয় কষ্ট দিলে আন্তরিকভাবে অনুরোধ থাকবে আমার লিখা এড়িয়ে যাবার।

(ছবি নেট হতে)

লিখার ক্ষেত্রে শিরোনাম অনেক বড় একটা বিষয়। এটাকে অনেকটাই লাভ এট ফার্স্ট সাইটের সঙ্গে তুলনা করা সম্ভব। আপনি কি লিখেছেন তারচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সেই লিখায় আপনি কি শিরোনাম ব্যবহার করছেন। উপযুক্ত শিরোনাম নির্বাচনে ব্যর্থ হলে আপনার লিখা যতোই গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেনো, তা কখনোই পাঠক আকর্ষণে তেমন সাহায্য করবে না। বিশেষ করে বহুমাত্রিক লিখা যাঁরা লিখে থাকেন তাঁদের জন্য বিষয়টা আরো বেশি গুরুত্ব বহন করে। কারণ, পাঠকের কাছে লেখকের পরিচয় তাঁর লিখা। এখন আপনি যদি সর্বদা একই ঘরণার লিখা লিখেন সেক্ষেত্রে শিরোনামটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ পাঠক জানে যে, ঘুরিফিরি আপনি সেই এক ব্লকের ভেতরই থাকবেন। তাই নির্দিষ্ট কিছু পাঠক ব্যতীত সবাই আপনার লিখার প্রতি তেমন আকর্ষণ অনুভব করবে না এটাই স্বাভাবিক।

আবার আরেকটা মজার বিষয় হচ্ছে এন্টি-লেখক পাঠ। অর্থাৎ লেখকের প্রতি নেতিবাচক ধারণা যাঁরা পোষণ করে সর্বদা লেখকের ছিদ্রানুসন্ধানে ব্যস্ত থাকে, তাঁরা আবার শিরোনাম বা মূলভাবের তেমন ধার ধারবে না। তাঁরা আপনি যা লিখবেন তাই চুপিচুপি এসে পড়বে এবং ছিদ্রানুসন্ধান করে চুপিচুপি কেটে পরবে। তারা না বুঝবে শিরোনাম, না বুঝবে লিখা। আবার এঁদের মাঝে কিছু বিদ্রোহী পাঠক রয়েছেন যাঁদের পড়লেই দাঁড়িয়ে যায় গায়ের লোম। তাঁরা ছিদ্র না পেলেও কোনভাবে একটি ছিদ্র পেয়েছি টাইপের কমেন্ট করবেনই। যতোক্ষণ তা না করতে পারবেন ততক্ষণ আপনার সেই লিখার পাশেই ভনভন করবেন। তবে এই সংখ্যাটা নগন্য। এই গ্রুপের বেশির ভাগ পাঠকই লিখা হতে ছিদ্র খুঁজে নিয়ে নিজের ব্লকে (নট ব্লগ) গিয়ে তা নিয়ে জয়োল্লাসমূলক (ছিদ্রবিজয়ী হিসেবে) আলোচনা করতে বেশি আগ্রহী।

তাহলে শিরোনামের গুরুত্ব কোথায়? শিরোনাম তাদের জন্যেই গুরুত্বপূর্ণ যাঁরা ভালো লিখিয়ে হতে চান। কারণ বর্তমান মার্কেটিং-এর যুগে যদিও লেখক লিখার মাধ্যমে পাঠক তৈরী করে, কিন্তু সুলিখক আসলে পাঠকই তৈরী করেন। কারণ, যাঁর লিখা পাঠক সমাজে অতি লোভনীয় তাঁর লিখাই ততো সার্থক। তাই লিখার কেন্দ্রেই পাঠকের অবস্থান। এখন ভালো লেখক হতে চাইলে ভালো পাঠক, আই রিপিট "ভালো পাঠক"কে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। আর সেজন্যে প্রথমেই দরকার হবে একটি যথাপোযুক্ত শিরোনামের। ভালো পাঠকেরা অবশ্যই শিরোনাম বিবেচনা করেন। তারপর মূললিখায় শিরোনামের যথোপযুক্ত প্রতিফল ঘটাতে হবে বর্ণনা, শব্দ চয়ন, বাক্য গঠন, ভাষা বিন্যাস ইত্যাদির মাধ্যমে। নচেৎ পাঠক যদি একবার হতাশ হয়ে যায় তবে আর ভুলেও কখনও সেই লেখকের প্রতি আকৃষ্ট হবেনা।

"কথায় আছে, "আগে দর্শনদারী, পরে গুণ বিচারি"; তাই লেখার শিরোনাম অতি ভাইটাল ইস্যু। তবে সেই সাথে লেখার শুরুটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শুরুতেই যদি কোন লেখা পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে না পারে, আকৃষ্ট কর‍্তে না পারে; তাহলে ভালো শিরোনাম সত্ত্বেও সেই লেখা পাঠক হারাবে। বিশেষ করে ব্লগ, ফেসবুক যেখানে প্রথম প্যারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এই অংশই লেখককে লেখার ভেতরে টেনে আনে। তবে শিরোনাম নিয়ে নেগেটিভ ইউজ এখন অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো অহরহ করে শিরোনাম এর গুরুত্ব কমিয়ে দিয়েছে অনেকাংশেই। " মারা গেছেন শাহরুখ" শিরোনাম এর ভেতরের খবর "নওগাঁর জনৈক শাহরুখ মিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন... "।
-বোকা মানুষ বলতে চায়

এবার ভেবে দেখুন আপনার উদ্দেশ্য কি। যেমন আমার উদ্দেশ্য লিখা নিয়ে খেলা করা, মজা করা, সময় কাটানো, আর মাঝেমাঝে কিছু অসঙ্গতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া। যা সামস্টিকভাবে আমার লিখাকে ক্যাঁচালের অন্তর্গত করে দিয়েছে। তবে আমি তা নিয়ে গর্বিতই বটে। কারণ, সমাজের কাজে আসবে এতো বড়মাপের লেখক হবার মাথাব্যাথা বা সময় কোনটাই আমার নেই। আমার যা আছে তা হচ্ছে সময়ের মাঝে সময় কাটানো। কিছু মানুষ ইচ্ছায়, কিছু মানুষ অনিচ্ছায়, আবার কিছু জনদরদী সুপাঠক দয়া করে আমার লিখা পড়ছেন, এতেই আমার পরম প্রাপ্তি। এটাই আমার লেখালেখির সম্পদ। যদি বলি আমি নিজের জন্য লিখি তবে তা হবে চরমমাত্রার ভন্ডামি। কেননা, নিজের জন্য লিখলে তা পাবলিক করতাম না।

তাই যাঁরা ভালো লেখক হতে চান তাঁরা নিজের লেখার প্রতি যত্নবান হোন। একটা ট্রিক্স দেই। এখানে অনেক ভালো পাঠক আছেন। যদি আপনি তাঁদের দৃষ্টি-আকর্ষণে সক্ষম হোন, তবেই ধরে নেবেন আপনার লিখার মান উন্নত হচ্ছে। নতুন লেখক হলে একটু সময় নিন। তখন ধীরে-ধীরে বুঝে যাবেন কাঁরা সেই পাঠক যাঁরা লেখককে শানীত করতে চান। তাঁদের প্রতি যথাযথ মনযোগ রাখুন। তাঁরাই আপনার মূল সম্পদ।

অনেক বড় বড় কথা বললাম বলে ক্ষমা করবেন। শেষে আরেকটু স্পর্ধা দেখিয়ে কয়েকটা উদাহরণ দিয়ে শেষ করি। বিশেষভাবে ধর্মীয় লেখাগুলোর ক্ষেত্রে শিরোনাম লেখককে যতোটা উঠায়, ঠিক ততোটাই আবার নামিয়ে ফেলে। ধরুণ আপনি রোজাকে কিভাবে আরো সহী করা যায় তা নিয়ে লিখতে চাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে যদি শিরোনাম দেন "যখন যেভাবে রোজা রাখবেন" তবে এর মাধ্যমে যদিও বুঝাতে চাচ্ছেন নির্দিষ্ট সিচুয়েসনে নির্দিষ্টভাবে রোজার মাসালা আছে, কিন্তু "যখন যেভাবে" শব্দদ্বয় পাশাপাশি থাকায় অর্থটা "সেচ্ছাচারিতা" বুঝিয়ে ফেলছে যা আপনার লিখাটার অর্থৎ বিপরীত করে দিচ্ছে। আবার শিরোনাম দিলেন "মুসলমানের ভন্ডামি" যাঁর অধীনে চলমান অনেক মুসলমান লেবাসধারীদের ভন্ড আচরণগুলি তুলে ধরলেন। সেখানেও শুধু শিরোনামের কারণে আপনি পাঠকের কাছ থেকে রিজেক্টেড হবেন। কারণ, এ ধরণের শিরোনামে সামস্টিকভাবে এবং পার্সোনালভাবে প্রতিটি মুসলমানকে আক্রমণ করে বসবেন। তাই, শিরোনাম বাছাইয়ে যথেষ্ঠ্য সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ!

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমি লেখা পড়বার সময় সাধারণত লেখকের নামের দিকে তাকাই না। তবে কিছু লেখক আছেন, দিনকে দিন তারা একই ছবি ব্যবহার করেন, ফলে তাদের নাম দেখা লাগে না, এমনেই বোঝা যায়।

কিছু লেখক আছেন চরম ফাৎরামো মার্কা একই ঘ্যানঘ্যান করেন, ওদের লেখাও বোঝা যায়।

লেখার ক্ষেত্রে শিরোনাম অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। বেশীর ভাগ মানুষই শিরোনাম দেখে (ভিডিওর ক্ষেত্রে থাম্বনেইল দেখে) সেটাই লেখা/ভিডিওর মধ্যে খুঁজতে থাকে।

০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২

জটিল ভাই বলেছেন:
যথার্থই। পাঠক লেখা খুঁজার কথা, লেখক নয়। একই ছবি বারবার ব্যবহৃত পোস্ট আমার কাছে পুরাতন পোস্ট মনে হয়। বিশেষভাবে যেসব লেখক আইডেন্টি ক্রাইসিসে ভুগেন, তারাই এমনটা করেন বলে মনে করি।

কিছু লেখক আছেন চরম ফাৎরামো মার্কা একই ঘ্যানঘ্যান করেন, ওদের লেখাও বোঝা যায়।
এদেরকে লেখক না বলে কুলেখক বলাই কি উত্তম নয়?

লেখার ক্ষেত্রে শিরোনাম অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। বেশীর ভাগ মানুষই শিরোনাম দেখে (ভিডিওর ক্ষেত্রে থাম্বনেইল দেখে) সেটাই লেখা/ভিডিওর মধ্যে খুঁজতে থাকে।
জ্বী প্রিয় ভাই। আমি এই বিষয়টাই বুঝাতে চেয়েছি যে শিরোনামই বলে দেয় লিখার গুরুত্ব কতোটা। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক জটিলবাদ জানবেন :)

২| ০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার পর্যবেক্ষণ হোল ধর্মীয় পোস্টে নাম যত সুন্দর করেই দেয়া হউক না কেন ধর্ম বিদ্বেষীরা আক্রমণ করবেই। এটা কেউ ঠেকাতে পারবে না। তবে ধর্মীয় পোস্টে মূল আক্রমণটা আসে ভিন্ন চিন্তার মুসলমানদের থেকে। নাস্তিকদের মোকাবেলা করা গেলেও এই মুসলমানরা আরও ভয়ংকর।

০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৮

জটিল ভাই বলেছেন:
আপনার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত প্রিয় ভাই। ঘরের ইঁদুর ঘর কাটলে সেই ঘর যেমন টেকানো মুশকিল, মুসলিম উম্মাহ্'রও তাই আজ এই দুর্দশা :(

৩| ০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:২৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভালো একটি বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেছেন। কথায় আছে, "আগে দর্শনদারী, পরে গুণ বিচারি"; তাই লেখার শিরোনাম অতি ভাইটাল ইস্যু। তবে সেই সাথে লেখার শুরুটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শুরুতেই যদি কোন লেখা পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে না পারে, আকৃষ্ট কর‍্তে না পারে; তাহলে ভালো শিরোনাম সত্ত্বেও সেই লেখা পাঠক হারাবে। বিশেষ করে ব্লগ, ফেসবুক যেখানে প্রথম প্যারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এই অংশই লেখককে লেখার ভেতরে টেনে আনে। তবে শিরোনাম নিয়ে নেগেটিভ ইউজ এখন অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো অহরহ করে শিরোনাম এর গুরুত্ব কমিয়ে দিয়েছে অনেকাংশেই। " মারা গেছেন শাহরুখ" শিরোনাম এর ভেতরের খবর "নওগাঁর জনৈক শাহরুখ মিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন... "।

০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০৪

জটিল ভাই বলেছেন:
অনেক সুন্দর আর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আলোকপাত করার জন্য আন্তরিক জটিলবাদ প্রিয় ভাই। প্রসঙ্গটি এতোটাই গুরুত্ববহ এবং পোস্টের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ যে মূল পোস্টে উদ্বৃত না করে পারলাম না। এভাবেই প্রতিটি ব্লগার একে-অপরের পরিপূরক হয়ে উঠুক।

৪| ০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:১১

শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। এমন ধারার আরো আরো অনেক কিছু আপনার কাছ থেকে প্রত্যাশা করি।

০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৫

জটিল ভাই বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং আন্তরিক জটিলবাদ জানবেন প্রিয় ভাই। চেষ্টাতো করছি আপনাদের আশা পূর্ণ করার। দোয়া করেন।

৫| ০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৭

মিরোরডডল বলেছেন:



লাভ এট ফ্রাস্ট সাইডের

বাংলায় কারেক্ট স্পেলিং হবে ফার্স্ট সাইট (love at first sight)।

০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৪

জটিল ভাই বলেছেন:
সঠিকভাবে ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য অসংখ্য জটিলবাদ জানবেন। সংশোধন করে নিলাম। এভাবেই প্রতিটি ব্লগার প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, পরিপূরক হবে, সেই প্রত্যাশা রইলো।

৬| ০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:১৬

শায়মা বলেছেন: এই পোস্ট আমি প্রিয়তে নিয়ে গেলাম।

অবশ্যই শিরোনাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখার ক্ষেত্রে। আমার এমনই মনে হয়। অনেক লেখা আমি পোস্ট করিই না যতদিন উপযুক্ত শিরোনাম না পাই। প্রেজেন্টেশন নিয়ে আমার খুবই ভয় কাজ করতো অনেকগুলো বয়স পেরিয়ে এসেও। যদিও আমাকে মানুষ বাকপটু বা প্রিয়ংবদা বা খুবই বাঁচালও মনে করে আমার অতি কথা বলার জন্য তবুও সবার সামনে দাঁড়িয়ে গান বা নাচ করতে বললে আমার নো প্রবলেম কিন্তু একখানা লেকচার দিতে বললে আমার বুকের ভেতরে হাতুড়ির বাড়ি শুরু হয় যা আমি কাউকেই বুঝতে দেই না ঢংঢাং করে।

যাইহোক আমি একবার ওয়ার্ল্ড স্পীচ ডেতে একয়া সেমিনারে ছিলাম। আমাদের প্রিয় কিছু মানুষ যেমন আমাদের নবী রাসুল এবং বঙ্গবন্ধু উনারা স্পীচ প্রেজেন্টেশনে কতটা সতঃসফূর্ত ছিলো তা আগে জানলেও সেদিন বেশি করে জেনেছিলাম তারপর তাই নিয়ে একটা আরটিকেল লিখেছিলাম। কিন্তু তার কোনো মনের মত শিরোনাম পাচ্ছিলাম না। কারণ আমি চাচ্ছিলাম অনেকেই সেটা পড়ুক এবং আমার মত উপকৃত হোক। অবশেষে একদিন পেয়ে গেলাম সেটা মনের মত শিরোনাম। এটা বলার কারণ শিরোনামকে আমি অনেক গুরুত্বপূর্ন মনে করি। এটা লেখা ও লেখকের সম্পর্কে যেমনি ভাবমূর্তির পরিচয় দেয় তেমনি লেখার মানটাকেও বাড়ায়।


খুব সম্প্রতি আমি একজন নারী ব্লগারের একটা লেখায় সমাজের কিছু বিকৃত পরিবর্তনকে নিয়ে সমালোচনা বা আলোচনা করতে গিয়ে এমন এক শিরোনাম দিতে দেখেছি যা দেখে আমি নিজেই কুকড়ে গেছি। এইভাবে একজন নারী যদি কোনো খারাপ কিছুর সমালোচনা করতে গিয়ে এমন করে কোনো শিরোনাম দেয় যা নারীকেই ছোট করে তবে তার বিবেক বুদ্ধি নিয়ে আমার সন্দেহ হয়।

ভাগ্যিস মডু ভাইয়া সেই লেখা নির্বাচিত পাতায় নেইনি। তাহলেই হয়েছিলো আর কি.....

যাইহোক তারপর দেখলাম আরও একজন সমাজ সচেতনতা নিয়ে লেখা আমার ব্লগার ভাইয়া আরেক শিরোনাম দিয়ে বসলেন যার ভেতরে পুরুষ নিয়ে মূল লেখাটা থাকলেও শিরোনামে নারীকেই ছোট করা হয়। আমি চাইলে তাকে বুঝিয়ে বলতে পারতাম পরে ভাবলাম ধূর কি হবে যাদের এই সেন্স নেই তাদেরকে বলে আর। তার থেকে এইসব লিখে যদি শান্তি পায় তো পাক।


কালকে সাড়ে ভাইয়াকে এটাই বলছিলাম। আমার আসলে বলার কিছু নেই...... হা হা

০৫ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

জটিল ভাই বলেছেন:
প্রিয় আপি, আপনার এমন শিরোনাম সচেতনতা সত্যি খুবই প্রশংসনীয়। আর সত্য বলতে তার ফলও চাক্ষুষ। আপনাকে সবাই কোথায় স্থান দিয়েছে সেটা নিশ্চই আপনি জানেন। আর এসবের পেছনে আপনার এসব গুণের অবদান অনস্বীকার্য। তাইতো শ্যামাপি ইজ শ্যামাপি :)
কেউ একজন প্রিয়তে নিয়েছে দেখেই বুঝেছি আপনি। যদি কম ওজনদার পোস্ট হতো তবে অবশ্য অন্য একজন প্রিয়তে নিতো =p~
আপু নাটকে অভিনয় করা বা নাটক রচনা করার চাইতেও বোধ করি নাম নির্ধারণ করাটা বেশি কঠিন! যদি আজকাল বাজারে সস্তা নামের সুবিশাল কাটতি! :(
আপনার এটা অবশ্যই একটা ভালো গুণ। আমার আবার এই ধৈর্য্যের বড্ড অভাব। লিখা হয়ে গেলে না ছেড়ে থাকতে পারি না। সেজন্য শেরজা ভাই অবশ্য আমায় আদর করে "ধর তকতা মার পেরেক টাইপের লেখক" বলেন =p~ তবুও এই ভালবাসা আমার পরম প্রাপ্তি ♥♥♥
এতো সময় নিয়ে, এতো বাক্য ব্যয়ে, আমার মতো নগন্যের জন্যে এতোকিছু লিখার জন্য অন্তরের অন্তঃস্থল হতে আন্তরিক জটিলবাদ জানাই প্রিয় আপি ♥♥♥♥

৭| ০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:১৯

শায়মা বলেছেন: ওপস স্যরি !!!

সেই লেখা নির্বাচিত পাতায় গেছিলো!!! :)



কাজেই আমার বলার কিছু ছিলো না, নাই ও থাকবেও না......

@ সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়াও যেন এই কমেন্ট দেখে...... কারণ গতকাল তার সাথে এই নিয়ে যুদ্ধ চলেছিলো........

০৫ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

জটিল ভাই বলেছেন:
আমিওতো সেটাই ভাবছিলাম যে আমি যে লিখাটার ধারণা করছি সেটাতো নির্বাচিত হয়েছে।
আসলে এখানে কারো বলার বা করার কিছু নেই, কারণ কেউতো আর আমরা অপরিপক্ক নই। তাই না?

৮| ০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:২২

শায়মা বলেছেন: জটিলভাইয়া সত্যিই এই লেখা খুবই ভালো হয়েছে !!!! ১০০ টা প্লাস দিলাম।

০৫ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২

জটিল ভাই বলেছেন:
অনেক অনেক জটিলবাদ প্রিয় আপি পুনঃ পুনঃ মন্তব্যে সাহস যোগানোর জন্য :)
দোয়া চাই যেনো সর্বদা আপনাদের এমন কিছু দিতে পারি, সেইসাথে যেনো ভালো থাকি :)

৯| ০৫ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: শিরোনাম নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন কিংবা ভাল কাপড় কাঁচা সাবানের নাম পঁচা সাবান দিলেও কোন সাহিত্যকর্মে একথা মোটেও খাটে না। এক্ষেত্রে কখনো কখনো এমন হয় যে শিরোনাম দেখেই পুরো কয়েকশো পৃষ্ঠার বইয়ের ভেতরে কি আছে তা সহজেই অনুমান করা যায়। নাম করনের ক্ষেত্রে আমার বিচারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন সেরাদের সেরা। তাঁর প্রতিটি নাম করণই সার্থকতার সাক্ষ্য দেয় যা আর কারো মধ্যে এতটা সহজলভ্য নয়।

হ্যাপি ব্লগিং।


০৫ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

জটিল ভাই বলেছেন:
সুন্দর মতামতের জন্য আন্তরিক জটিলবাদ প্রিয় ভাই। নামকরণের সঙ্গে বিষয়বস্তু প্রথম ও প্রধান গুরুত্ববহ বিষয় হলেও এক সময় তা লোপ পায় যখন লেখক পাঠক সমাজে নিজস্ব একটি ইমেইজ তৈরী করে ফেলে। সেক্ষেত্রে নজরুলের লেখা মানেই পাঠক বিদ্রোহ খুঁজে ফিরে নামকরণ যাইহোক। কিন্তু নিজেকে সেই পর্যায়ে নেবার আগে শিরোনাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

১০| ০৭ ই মে, ২০২৩ সকাল ৭:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: জটিল ভাই,





ঠিকই বলেছেন- "লেখার ক্ষেত্রে শিরোনাম অনেক বড় একটি বিষয়।" এবং গুরুত্বপূর্ণ কারন শিরোনামটি দেখেই লেখাটিকে হয় ভালো লাগবে নয় খারাপ। লেখককেও এটা বুঝতে সাহায্য করে। শিরোনাম চটকদার হলে , মনে অনুরণন তৈরী করলে, চিন্তায় ফেলে দিলে পাঠক তাতে একটু হলেও ঢুঁ মারবেনই।
তাই একজন লেখকের পরবর্তী কাজটিই হলো, শুরুতেই শব্দের মাধুর্য্যে আর বাক্য বিন্যাশের ঢেউ তুলে পাঠককে দুলিয়ে দেয়া। যে কথা আপনিও বলেছেন।

আর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি একটি জায়গাতে, যে প্যারাটি আপনি "ইতালিকস"য়ে লিখেছেন সেখানে। লিখেছেন -"....... লেখককে লেখার ভেতরে টেনে আনে।" এখানে "লেখক' হবে না "পাঠক" হবে ?

০৮ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:১৫

জটিল ভাই বলেছেন:
অসংখ্য জটিলবাদ প্রিয় ভাই আপনার সুবচনসহ গুরুপূর্ণ মতামতের জন্য।

আপনার দৃষ্টি আকর্ষিত অংশের ক্ষেত্রে জানাই, বিষয়টি আমারও চোখে পরেছে। কিন্তু নিশ্চই খেয়াল করেছেন যে অংশটি একজন ব্লগারের মন্তব্য হতে সরাসরি উদ্বৃত। তাই সেটা অপরিবর্তিত রেখেছিলাম। ভেবেছি পাঠকগণ বিষয়টি বুঝতে পারবেন। এখন অন্যের মন্তব্য কি সংশোধন করা আমার ঠিক হবে? আপনি যদি বলেন ঠিক, তবে পরিবর্তন করে দেবো ইনশাল্লাহ্।

১১| ০৮ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: জটিল ভাই,



প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

হুমমমমম, উদ্বৃত অংশটুকু যেহেতু ব্লগার "বোকা মানুষ বলতে চায়" এর লেখা তাই সেটা পাল্টানো ঠিক হবেনা। সঠিক বলেছেন।

০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:৪৩

জটিল ভাই বলেছেন:
আন্তরিক জটিলবাদ প্রিয় ভাই। সেজন্যেই আমি পাল্টাইনি :)

১২| ০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:২৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমার শিরোনাম ভালা হয় না :( কিত্তাম
জ্ঞান নাই

১০ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:৪৮

জটিল ভাই বলেছেন:
কে বলে আপনার শিরোনাম ভালো না???

১৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি লেখার শিরোনামের গুরুত্ব বেশ যৌক্তিকভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। + +
মানুষের যেমন মুখ বা সম্মুখ অবয়ব, একটি লেখারও তেমনি শিরোনাম। মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে যেমন তার সম্বন্ধে একটি প্রাথমিক ধারণা করা যায়, একটি লেখার শিরোনাম দেখেও তেমনি লেখাটির সারবত্তা নিয়ে একটি প্রাথমিক ধারণা বা অনুমান করা যায়।
শেরজা তপন বলেছেন: .... "এমন ধারার আরো আরো অনেক কিছু আপনার কাছ থেকে প্রত্যাশা করি" - আমিও তাই করি।
শায়মা'র প্রথম মন্তব্যটা আপনার এই পোস্টের একটি উপযুক্ত পরিপূরক হিসেবে থেকে যাবে।
সুলিখিত এই পোস্টটিতে অষ্টম 'লাইক' দিয়ে গেলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.