নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুমের মতো ঘুম চাই

ফটিকলাল

ইহা একটু হৃস্টপুস্ট ব্লগ কারন ব্লগ দিয়েই তো ইন্টারনেট চালাই

ফটিকলাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি সাধারন হৃস্টপুস্ট পোস্ট

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৪

তো সেবার বিশাল ওয়াজমাহফিলের আয়োজন করা হলো। প্যান্ডেল শুধু স্টেজের ওপর থাকবে - এই ভেবে সব আয়োজন করলেও বাবা ভাবলেন সকালের দিকে কুয়াশা পড়বে। তাই দক্ষিন দিকটা ঢেকে দেবে আর ওপরে থাকবে প্যান্ডেলের কাপড়। মাঠের ওপর ঈদগাহ থেকে নিয়ে আসা হলো চাটাই। ওয়াজের কথা শুনে সবাই মুক্তহস্তেই সব পাঠিয়ে দিলো। সমস্যা বাধলো কোন কোন ওয়াজীকে আনা হবে। তখন হুজুর ইব্রাহিম, আজহারী, মাঈনুল হোসেনদের বুকিং দিতে হলে ছমাস আগে যোগাযোগ করতে হতো। বাকি যারা আছে তাদেরও অনেক ডিমান্ড। জেলার ভেতর যারা আছেন তারা অনেকেই রাজী হলেন, বাঁধ সাধলো কে কোন পন্থি তা নিয়ে। বাংলাদেশের আলেম সমাজে দাওবন্দী থেকে শুরু করে আহলে হাদিস, চর মোনাই, তাবলীগ জামাত সবারই একটা প্রভাব আছে এবং তাদের ভক্তসংখ্যা পুরো দেশ জুড়ে। এই নিয়ে শুরু হলো নানা রকম আলোচনা। আলোচনা শেষে এমন বাগবিতন্ডায় মোড় নিলো যে ওয়াজ পন্ড হবার জোগাড়। চেয়ারম্যান অবস্থা বেগতিক দেখে আমাদের আলিয়া মাদ্রাসার হুজুর আর সদর মসজিদের ইমামের নাম তুলে বললেন তাদের ওপর যোগ্যতর আর কেউ হবে না। তার চেয়ে বড় কথা আমরা তাদের কুব কাছ থেকে চিনি, জানি।

খুব বেশী তর্ক আর গড়ালো না, এটাও বোঝা গেলো অনেকেই মনোক্ষুন্ন হয়েছেন। ভেবেছিলাম এদের অনেকেই তাদের দেয়া প্যান্ডেল চেয়ার টেবিল ফিরিয়ে নেবে। এমনও হতে পারে তৌহিদী জনতার নামে একটা গন্ডগোলও বেধে বসতে পারে। চেয়ারম্যান সাহেব নিজে ব্যাপারটা দেখবেন বললেও বাবা বুদ্ধি করে পুলিশ সুপারকে দাওয়াত করে বসলেন। কিন্তু পুলিশ সুপার তেমন সময় দিতে পারবেন না জানালেন,৫-১০ মিনিট ভাষন এবং এলাকার আইন শৃঙ্খলা নিয়ে বক্তব্য দিয়ে চলে যেতে চান। পরিস্থিতি এমন হবে ভাবিনি। আমি তখন কক্সবাজারের একটা প্রজেক্টে খুব ব্যাস্ত সময় পার করছিলাম। সেসব কাজ ফেলেই আমি বাসায় চলে আসি, সমবয়সী ছেলে পেলে যারা আছে তাদের বলি একটু দেখতে আর মাদ্রাসার ছেলেরা যাতে কোনো সমস্যায় না পড়ে তাই তাদেরকে রান্না বান্নার কাজে ব্যাস্ত রাখলাম। আর ছোটরা যাতে স্টেজের খুব কাছে বসে নিশ্চিন্তে ওয়াজ শুনতে পারে সেটাও ভেবে রাখলাম।

আগের দিন মাইকিং করার ইচ্ছে থাকলেও অনেকের পরামর্শে সেটা বন্ধ রাখলাম। বাবা একবার ভাবলেন অনুষ্ঠান পন্ড করে দিক। এত বড় ছোয়াবের কাজ কিন্তু তার থেকে যদি এমন বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় তাহলে সেটা না করাই ভালো। বাবা এই কথাটা তুলতেই সব মুরুব্বিরা বলে উঠলেন কেন বন্ধ হবে! হোক অনুষ্ঠান। কিছু হলে সবাই মিলে দেখা যাবে। বাবা খানিক ভরসা পেলেন।

ওয়াজের দিন পুলিশ সুপার কিছু পুলিশকে ডিউটিতে পাঠালেন। সকাল বেলাতে দুটো গরু জবাই দিয়ে দেয়া হলো। দুপুর বেরুতেই দেখি দুটো খাসি সহ আরো চাল ডাল হাজির। এদিকে বাবুর্চি চোখে অন্ধকার দেখা শুরু করেছে। তার সাথে কথা ছিলো দুটো গরু দিয়ে ২০০ মানুষকে খাওয়ানো হবে। কিন্তু দুটো খাসি আর কয়েক বস্তা চাল দেখে ঘাবড়ে গেলেন। কারন তার কাছে বড় ডেকচি তেমন নাই। ওদিকে দুজন পুলিশ ঘন্টা খানেক আগে বিরানীর প্লেট শেষ করার পর আবার ক্ষুধায় ঘুর ঘুর করছে ডেকচির সামনে। বাবা ছুটলেন সদরে ডেকচির জন্য। ঠিক এমন সময় পাশের ক্বাওমী মাদ্রাসার ছেলেপেলেরা তাদের ডেকচি দুটো নিয়ে এসে নিজেরাই শুরু করে দিলো রান্না। উল্লেখ্য আমাদের মাদ্রাসাটা ক্বাওমী। হুট করে এটগুলো হাত মিলে যাওয়া কয়েক ঘ্টার মধ্যে সব কাজ শেষ, ওদিকে আছরের ওয়াক্ত এখনো শুরু হয়নি।

সূচী অনুযায়ী সবাই মাগরেবের নামাজ প্যান্ডেলের নীচে গন জামায়েতের আয়োজন করবে। এরপর ওসি সাহেব চেয়ারম্যান স হ এলাকার রাজনৈতিক মুরুব্বীরা তাদের বক্তব্য দিয়ে শুরু হবে ওয়াজ। ৯ টার এশার নামাজ জামাতে পড়ে তারপর রাত দুটো বাজে শেষ হবে। দুপুর তিনটা গড়াতেই দেখি লোকজন আসতে শুরু করেছে। এলাকার মুরুব্বীরা জানালেন তাদের জন্য মাঠেই জামাত করতে। মাদ্রাসার ছেলেপেলেগুলো ঝটপট টাদের পাশে দাড়িয়ে গেলো। এদিকে ক্বাওমী মাদ্রাসার ছাত্ররা আমাদের ছেলেপেলেদের সাথে জুড়ে গেলো। দেখে মনে হলো এরকম ভয় না পেলেও চলতো। সময় যত গড়াচ্ছে তত লোক বাড়ছে, হাজার ছাড়িয়েছে। আরো অবাক করার বিষয় সবাই নিজ নিজ সারিতে বসে পড়েছে। এর মধ্যে যারা ফেড়কা নিয়ে কথা বলছিলেন তারাও ভীড়ে মিশে গেছে। এর মধ্যে এমনও লোক আছে যারা এই মফস্বলের বাইরে। নারীদের জন্য আলাদা জায়গা করা হয়েছিলো যেটা অনেক আগেই পূর্ন। অনুষ্ঠানের সব চে দুর্বল দিক ছিলো পানির ব্যাবস্থা। মাঠের মাঝখানে একটা গভীর নলকূপ খনন করা হয়েছিলো। ভেবে রেখেছিলাম ৪-৫টা ড্রাম ভরে রাখলেই হবে। কিন্তু মানুষের এত ভীড় যে এখন আর কোনো প্লানই কাজ করবে না। তারপরও ভরসা ছিলো কারন সবাই নিজ দায়িত্বেই কাজ করছিলো। কেউ কাউকে কিছু বলছে না। সবাই অদ্ভুত শ্রদ্ধাভরে মিশে গেছে।

যথা সময়ে অনুষ্ঠান শুরু হলো। ওসি সাহেবের চলে যাবার কথা থাকলেও তিনি গেলেন না। তার পাশে সবাই লাইনবদ্ধ ভাবে বসে পড়লেন। কে বিএনপি আওয়ামীলীগ জামাত তা কেউ দেখছে না। কার সাথে কার ঘরোয়া বিবাদ তারও ভ্রূকূটি ছিলো না। ওয়াজ শেষ হবার কথা ছিলো রাত দুটো পর্যন্ত। সদর মসজিদের ইমাম সাহেব দ্বিতীয় পর্ব টেনে নিয়ে গেলেন ফজরের আজান পর্যন্ত। খাবারে এতটুকু টান পড়েনি। প্লেট শেষ হয়ে গেলে সবাই অপেক্ষা করেছে। আমি সহ বিশ জনের মতো সারা রাত শুধু প্লেট ধুয়েই পার করেছি।

ফজরের নামাজটা শেষ করে এতটুকু ক্লান্ত অনুভব করছিলাম না। হয়তো এক রাতের জন্য আমরা ভুলে গিয়েছিলেন কে সুন্নী কে আহলে হাদিস, কে দেওবন্দি, কে চরমোনাই।

এটাই কি আমাদের বাংলাদেশ নয়?

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



এটাই আমাদের বাংলাদেশ, ফ্রি খাওয়া ও আড্ডা

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৬

ফটিকলাল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

হেফাজত-খেলাফতের মুখামুখি সরকার। এর ফলাফল কি হতে পারে বলে মনে হয় আপনার?

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপাতত থামাবে শেখ হাসিনা, কিন্তু দেশের শিক্ষা, আর্থিক ও সামজিক পরিবেশ এদের জন্ম দেবে আরো বর্ধিত হারে, একদিন ইহা ইয়েমেন হবে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৫

ফটিকলাল বলেছেন: বৃহস্পতিবার খেলাফত-হেফাজত তাদের ফতোয়া জানিয়ে দিয়েছে এবং শনিবার তারা চূড়ান্ত কর্মসূচি দেবে। আজকের বিক্ষোভ মিছিল কোনো খেলাফত বা হেফাজতের পক্ষে হয়নি। তারপরও সরকার সতর্ক ছিলো।

প্রশ্ন হলো কওমী মাদ্রাসার সাথে বিভিন্ন পীর মুরিদানরা যুক্ত হয়ে দেশ জুড়ে কর্মসূচি দিলে সরকার কি মাথা নোয়াবে? সরকার তো এর আগেও মাথা নুইয়েছে। এবার নোয়াবে না তার গ্যারান্টি কি? এই মৌলবাদী প্রতিপক্ষ কতদূর যেতে পারে বলে আপনার মনে হয়?

৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের ভয় পাওয়ার কারণ কি।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৬

ফটিকলাল বলেছেন: আমার মতে ভোটের বড় একটা অংশ এরা নিয়ন্ত্রন করে। আমি নিজের এলাকাতেই দেখেছি এরা স্থানীয় ভোটে কতটা প্রভাব ফেলে।

আপনার কি মনে হয়?

৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " এই মৌলবাদী প্রতিপক্ষ কতদূর যেতে পারে বলে আপনার মনে হয়? "

-এরা ভুয়া মানব, এদের হারানোর কিছু নেই; সব মুসলিম দেশগুলোর যেই অবস্হা হচ্ছে, বনাগলাদেশেরও একই অবস্হা করে ছাড়বে এই মগজহীনরা। শেখ হাসিনার সময় এদের বুঝা যাবে না, শেখ হাসিনা সরে গেলে এরা বেরিয়ে আসবে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০০

ফটিকলাল বলেছেন: শেখ হাসিনা কবে সরতে পারে বলে মনে করেন? মাহাথীর মোহাম্মদ তো তার চে বেশী বয়সে ক্ষমতায় থেকে গেছে এবং সাম্প্রতিক মন্ত্রিত্বও গ্রহন করেছিলেন।

শেখ হাসিনার বয়সসীমাটা কত হতে পারে বলে আপনার মনে হয়

৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৫

মরুর ধুলি বলেছেন: লেখক রীতিমত চাঁদগাজী সাবের ইনটারভিউ রানিং রাখছেন মনে হয়।
দেশে চরমোনাই আছে, জামাত আছে, হেফাজত আছে-আছে আরো নাম জানা না জানা হাজার ইসলামী দল। তাতে সমস্যা কি? তারা সবাই কোরআন-হাদীস অনুসারে কথা বলেন।
সমস্যা হলো আমরা যারা সাধারণ পাবলিক তথাকথিত শিক্ষিত ও সোস্যাল মিডিয়া গবেষক তারা অতিরঞ্জিত করি।
মনে রাখতে হবে আমার কবরে আমার যেতে হবে, আমার হিসাব আমাকেই দিতে হবে। অন্য কেউ আমার হয়ে হিসাব দিবে না।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩০

ফটিকলাল বলেছেন: চাদগাজি সাহেবের ইন্টারভিউ না নিলে উনি আমাকে বোল্ড আউট করতে পারে।

আপনার কমেন্টানুসারে জামাত সহ অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর কোনো প্রভাব নেই, ক্ষেত্রবিশেষে তারা বিলুপ্ত। এদিকে অপরাপর সুফিবাদি তরিকত সমূহ সরকারের পক্ষে। তারাও কোরান হাদিসের ব্যাখ্যা দিয়ে সরকারের সমর্থন দিচ্ছে।

এখন আমরা যারা আমজনতা তাদের কাছে কাকে সত্য বলে মনে করবো?

৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: আজ তো হুজুরদের পুলিশ দাবড়ানি দিয়েছে। হে হেহে---

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৩

ফটিকলাল বলেছেন: মজা পেয়েছেন কমেন্টেই বোঝা যাচ্ছে।

আপনার কি মনে হয় এতে পরিস্থিতি আর ঘোলাটে হলো? কাল তো কর্মসূচি হবে, সে ব্যাপারে আপনার কোনো শঙ্কা নেই?

৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৭

আমি সাজিদ বলেছেন: দ্বিতীয় পোস্টেই চাঁদগাজী সাহেবের মাথা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিলেন। চমৎকার ফটিকলাল। খুব মনোযোগ দিয়ে পোস্ট পড়ার পর যখন প্রথম কমেন্ট এবং তার রিপ্লাই পড়লাম, আমি হেসেই খুন!

বেশ সাবলীল বর্ণনা উঠে এসেছে পোস্টে। আপনি বোধকরি যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান। যেভাবে কক্স থেকে ফিরে কাজ সামলে নিলেন তাতে বাহবা দিতেই হয় আপনাকে। শেষের প্রশ্নটির উত্তর একেকজনের কাছে একেকরকম। আপনি ভালোভাবে মাহফিল শেষ করতে না পারলে আপনার চোখে অন্যরকম হতে পারতো পুরো বিষয়টি।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৭

ফটিকলাল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার প্রানখোলা সুন্দর মন্তব্যের জন্য। সবাইকে বোল্ড করার জন্য লিখছি এটা ফান করে বলা। আমি মনে করি পোস্টে নিজের মত খুলেই বলা যায়। কমেন্টে মানুষকে বলার সুযোগ দেয়া উচিত। তার কাছে জানতে চাইলে সে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে, তখন আলোচনা জমে ওঠে। কিন্তু কথার পিঠে কথা বলে জ্ঞান বা দ্বিমত পোষন করলে মনোমালিন্য তর্ক লেগে যায়। আমরা আবেগ সামলাতে পারি না, জ্ঞান দিতে ওস্তাদ। কাউকে দুটো জ্ঞান না দিতে পারলে পেটের ভাত হজম হয় না।

তাই চেস্টা করছি সবাইকে আলোচনায় অংশগ্রহন করতে। এটা েকটা নেশার। চাদগাজির মতো লোক জ্ঞান দেবার মতো লোভ সামলাতে পারেননি। যে আক্রমনাত্মক মন মানসিকতা নিয়ে এগি্যেছিলেন সেটা ভুলে গেলেন। তাতে লাভ হলো তিনি নিজের মনের ভাব প্রকাশ করলেন আর আমিও তাকে বলতে দিলাম, আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হলো।

এই নিস্প্রান লেখাতেও আলোচনা হতে পারে এই স্ট্রাটেজি তার মন। কমেন্টে দেখু কোনো মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়নি। তবু বলছি না যে এটা পুরো কার্যকরি। তবে দেকা যাক কতদূর কাজ হয়। সবার যেমন নিজের মতো করে জীবন যাপন করার অধিকার আছে, তেমনি মত প্রকাশেরও অধিকার আছে। আসল ব্যাপার হলো অন্যের মত প্রকাশের প্রেক্ষিতে নিজের ওপর কতটা নিয়ন্ত্রন রাখতে পারছেন।

ধন্যবাদ আবারো

৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বাংলাদেশে বহু বছরের একটা ভোটের হিসাব আছে।পরিস্তিতির এমন কোন বিরাট পরিবর্তন হয়নাই যে হিসাব পাল্টে যাবে।মৌলভীদের কথায় শুধু মৌলভীরাই ভোট দেয়।জনগন এদের ভোট দেয় না।এদের যেহেতু কোন কাজকর্ম নাই তাই ঐক্যবদ্ধ থাকে।আন্দোলনের জন্য এরা মাদ্রসাগুলো ব্যবহার করে।ভোটের বাজারে এদের খুব একটা মুল্য নাই।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৯

ফটিকলাল বলেছেন: কিন্তু গত কয়েকবছরে হেফাজত-খেলাফত গং সরকারের স্নেহধন্য হলো তাতে তো তাদেরকে খুব গুরুত্বপূর্ন করে তুলেছে। আপনার কি মনে হয় তাদের নস্যাৎ করটে বিএনপি-জামাতের সাথে যে খেলাটা খেলেছিলো সেই একই খেলা কাজ করবে?

৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:১০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনারই বক্তব্য,সরকার এদের গুরত্বপুর্ন করেছে।সরকার চাইলেই এদের গুরত্বহীন করতে পারে।
সেই একই দাওয়াই কাজ দিবে না।ভিন্ন ভিন্ন রোগের ভিন্ন ভিন্ন দাওয়াই।সরকারের হাত অনেক অনেক লম্বা ।
সা কা চৌধুরীকেই ঝুলিয়ে দিল,এদের ঝুলানো ওয়ান টুয়ের ব্যাপার।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:১০

ফটিকলাল বলেছেন: সে উদ্ভাবনী ক্ষমতা লীগের আছে। বিএনপিকে দাবাতে বেশ ভালোই বেগ পেতে হয়েছে কিন্তু প্রথম ধাক্কা খেয়ে মামুনুল যেভাবে মিউ মিউ করে দলগত আলোচনা করে পায়ের নীচের মাটি শক্ত করতে চাইছে সেটা থেকে বোঝা যায় সরকারের জন্য সহজ হবে।

প্রশ্ন আসতে পারে এই সময়ে জনগনকে কতটুকু ভোগান্তি পোহাতে হবে এবং এর সুদুরপ্রসারী প্রভাব কি?

১০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

পোস্ট পড়ার শুরু করে ভেবেছিলাম, কোনো ইনসিডেন্টের সংবাদ সামনে হয়তো অপেক্ষা করছে। কিন্তু না, শেষ পর্যন্ত ভালোয় ভালোয় অনুষ্ঠানটি সুসম্পন্ন করতে পেরেছেন জানতে পেরে ভালো লাগলো। মাহফিল সফল করতে আপনি, আপনার সম্মানিত পিতা এবং আপনাদের স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেবসহ অনেকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

আপনার বর্ণনা সুন্দর হয়েছে। +

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৩

ফটিকলাল বলেছেন: না, শুধু গতবার কেন, প্রতিবছর না হলেও যখনি আমরা করার চেস্টা করি সবসময়ই অনভিপ্রেত ঘটনা ছাড়াই সবকিছু সম্পন্ন হয়। আমাদের নিজস্ব বাজেট থাকা সত্বেও সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনে তার সামান্য সে খাতে খরচ হয়। ফলে আমাদের সুযোগ হয় আয়োজন গুলো আরো বড় করে করায়। এর ফলে সাধারন মানুষের সাথে মাদ্রাসার যারা শিক্ষার্থী তাদের ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জীবনযুদ্ধের প্রবাহে যখনি কেউ হতাশাগ্রস্থ বা ব্যার্থতায় পতিত হয় তখন এই গ্রামবাসীরাই এগিয়ে আসে। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত মানুষের যখনি কোনো প্রয়োজন হয় এরাই যায় তাদের সাহায্য করতে।

এই অনুষ্ঠানের জন্য সবাই বছরব্যাপি অপেক্ষা করে। তাই যারা বিদায়াত বলেন বা ইসলামবিরোধী বলে তকমা দিতে চান তারা পেছনের উদ্দেশ্য সমূহে ওয়াকিবহাল হয়ে তাতে যোগ দেন। ধর্মের বিশুদ্ধতা বা রাজনৈতিক সুবিধা এখানে মূখ্য ছিলো না কখনো। এর ফলে সমাজে অপরাধপ্রবনতা খুব একটা নেই। পত্রিকাতেও আমাদের এই নজির নিয়ে লেখা হয়েছিলো বহু আগে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

১১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২১

তারেক ফাহিম বলেছেন: বর্ণনা সুন্দর হয়েছে।

পোস্ট শুরুতে পড়ার সময় শেষে কি ঘটতে যাচ্ছে কতুহল ছিলো

শেষে সফল হয়েছেন জেনে ভালো লাগছে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

ফটিকলাল বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়েও ভালো লাগছে। আমার ব্লগবাড়িতে স্বাগতম

১২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম।
কে কি মন্তব্য করেছে, সেটা জানতে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

ফটিকলাল বলেছেন: আপনার আগমনে আবারও আমার ব্লগ কলকাকলিতে ভরপুর। ধন্যবাদ এবং আপনার এই পদচারনায় ব্লগ যেনো সবসময় সিক্ত হোক

১৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল লাগলো । আমার শৈশব কৈশোরে এতো কিছু সঞ্চয় এই রকম অনুষ্ঠানের যে বিরাট আয়োজন করতে এতটুকু ভয় লাগে না । এখন গ্রামে থাকা আত্মীয় স্বজনরা বিদেশ থেকে পাঠানো টাকায় আমাদের মসজিদ , মাদ্রাসায় বড় অনুষ্ঠান করে । আমার বাবা ২৭ রমজান অত্যন্ত সাড়ম্বরে পালন করতেন । তাকে কোনদিন ওয়াজে যেতে বা ওয়াজ করতে শুনিনি ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

ফটিকলাল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। যদি কিছু মনে না করেন তাহলে একটা প্রশ্ন করি

আপনার বাবা কি ওয়াজের বিপক্ষে ছিলেন?

১৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২

শাহ আজিজ বলেছেন: আপনার বাবা কি ওয়াজের বিপক্ষে ছিলেন




বেশ ছোট ছিলাম , ৭০ সালেই বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন । বয়স্ক হলে মামা যিনি আমাদের কলকাতায় লাইব্রেরি সামলাতেন তিনি বলতেন তোমার বাবা কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসার সেকেন্ড ব্যাচ (১৯২৮-১৯৩২), প্রেসিডেন্সী কলেজের উরদু ইংরাজির ডিপ্লোমা , ১২ খানা বোর্ড বইয়ের লেখক , ক্যাথিড্রাল মিশন হাই স্কুলের শিক্ষক তো কে তাকে শেখাতে আসবে ? তিনি কোরআনের পুরা অর্থ বুঝিয়ে বলতেন কলকাতার মুসলমানদের এবং ফুরফুরা শরিফের পীর সাহেবকে , সম্ভবত ওয়াজিদের অনুবাদ জ্ঞান ছিল না বিধায় তিনি যেতেন না বা নিজের শিক্ষকতা করা ভাল লাগত বলেই ওয়াজ করতেন না । ফুরফুরা পীর সেই ১৯৩২ সালে কলকাতা গেলেই খবর করতেন বাবাকে , ভোরে জনমানবহীন বাড়িতে একান্তে তাকে কোরআন বাংলায় অনুবাদ শোনাতেন । কলকাতা নিউমার্কেট কিন্তু ফুরফুরা শরিফের ট্রাষ্ট সম্পত্তি ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০

ফটিকলাল বলেছেন: আমদের আলিয়া মাদ্রাসার যেকজন শিক্ষক আছেন তারা কেউ ওয়াজের পক্ষপাতী না। তারা এটা জেনেও অংশগ্রহন করেন আমাদের উদ্দেশ্যকে শ্রদ্ধা করে। এই যে এতগুলো ছাত্র তারা আজীবন মাদ্রাসাতে থাকবে না। জীবনযু্দ্ধে নামতেই হবে। গর্ব করে বলতে পারি আলিয়া বা ইবতেদায়ীর কেউ এখনো জঙ্গিবাদে যুক্ত হয়নি। তাই বলে হাত পাকিয়ে বসে থাকতে পারি না। মূলত নানা দিক চিন্তা করেই এই আয়োজন এবং ওয়াজের উদ্ধেশ্যই থাকে সে ম্যাসেজ দেবার। বাজারী ওয়াজী দিয়ে বড় আয়োজন করেছিলাম কিন্তু তাতে ইসলামিক ম্যাসেজের চাইতে নারী বিদ্বেষী, ভারত বিদ্বেষী ইত্যাদি রাজনৈতিক কথা বেশী থাকে। এতে বিভক্তি বাড়ে।

আপনার বাবা একজন সত্যিকারের আলোকিত মানুষ। তার মতো মানুষ এ যুগে খুব কম দেখা যায়। শ্রদ্ধা এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।

ধন্যবাদ উত্তরের জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.