নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুমের মতো ঘুম চাই

ফটিকলাল

ইহা একটু হৃস্টপুস্ট ব্লগ কারন ব্লগ দিয়েই তো ইন্টারনেট চালাই

ফটিকলাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্যরকম হৃস্টপুস্ট পোস্ট!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:০৬



দাদু গানে পারদর্শী ছিলেন। দাবা খেলাতে ডিস্ট্রিক্ট চ্যাম্পিয়ন। পরিবার থেকেই সবাই এতটা উৎসাহ দিয়েছিলো টাকা খরচা করে বিলাত পাঠাতে প্রস্তুত। একদিন কি মনে করে দাদাজান জুম্মার নামাজ পড়ে এসে দাবা বোর্ড পুড়িয়ে ফেললেন। যখন দাবা বোর্ড পুড়ে যাচ্ছিলো উনি চুপচাপ কাঁদছিলেন। বাবা এই গল্পটা মাঝে মাঝেই বলতেন। খুব চেয়েছিলেন আমি দাবা খেলি। দাবা খেলবার মতো ধৈর্য্য ও মেধা আমার কখনো ছিলো না। এসএসসি পাশ করতেই গলদঘর্ম সেখানে দাবা খেলতে চাওয়া নেহায়েত দুঃসাহস।

রাতের বেলা ঢাকা আমার কাছে অসাধারন লাগে। চারিদিকে রাস্তা ফাঁকা, নিশ্চুপ। হঠাৎ দু একটা দূরপাল্লার গাড়ি শা করে চলে যায়। কুকুর গুলো ফুটপাতে মানুষের সাথে শুয়ে থাকে। দারিদ্রতা মানুষের সাথে পশুর দূরত্ব মিটিয়ে দেয়। প্রকৃতির খুব কাছে থেকে বাঁচতে শেখে তারা। প্রকৃতির কাছে তারা যতটা নিরাপদ, স্বপ্রজাতীর মানুষের কাছ থেকে ততটাই অনিরাপদ। পার্কে শুয়ে থাকা ছিন্নমূল নারীরা জানে না তাকে রাতে কে বা কারা ধর্ষন করে। নেশাগ্রস্থ ছিনতাইকারী পেটে চাকু মেরে শেষ সম্বলটুকু কেড়ে নিয়ে যায়। অথচ মানুষটি শেষ নিঃশ্বাস ফেলবার আগ পর্যন্ত জানতে পারে না তাকে কে হত্যা করলো। তার কিছু শেষ ইচ্ছা ছিলো, সেটাও পূরন হলো না। একটা মানুষ একটা ইতিহাস। এভাবে কত ইতিহাস রাস্তায় হারিয়ে যায়, এসবের হিসাব কোনো প্রতিষ্ঠানের খাতা কলমেও লেখা থাকে না, আন্জ্ঞুমানে মুফিদুলের ব্যাবস্থায় নামহীন কবরেই সে হারিয়ে যায়।

অথচ ঢাকা শহরেই আছে লক্ষাধিক মসজিদ। খালি পড়ে থাকে পুরো রাত। শুধু ৫ ওয়াক্তের নামাজের জন্য খোলা হয় এসব মসজিদের দরজা। এসব মসজিদের প্রাসাদোপম জেল্লায় খচিত আল্লাহর ৯৯ টা নাম। আমি কোরান হাদিসে কোথাও পাইনি আল্লাহর ঘরে গৃহহীন মানুষেরা আশ্রয় নিতে পারবে না। বরংচ যুদ্ধাহত আনসাররা আশ্রয় নিতো মসজিদে। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাঃ যৌবনে বিবাহের পূর্ব পর্যন্ত মসজিদেই থেকেছেন। আবু হুরায়রা রাঃ তো জীবনের অধিকাংশ সময় গৃহহীন ছিলেন। তখন মসজিদে আশ্রয় নিতেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ একবার এক গৃহহীন দাসীকে মসজিদের পাশেই ঘর বানিয়ে থাকতে দিলেন। অথচ ঢাকা শহরের লক্ষাধিক মসজিদ থাকা সত্বেও কত গৃহহীন মানুষ, পাছে না তারা মসজিদ অপবিত্র করে ফেলে। মানুষের জীবনের চাইতে মসজিদের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা খুব দামি যে!

আমার দাবা না খেলার আরেকটা কারন ছিলো। দাদাজান বেঁচে থাকতে বলেছিলেন ইসলামে দাবা খেলা হারাম। কোরানেই এর বর্ননা আছে। আল্লাহ সর্বজ্ঞানী, তিনিই ন্যায়বিচারক।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪২

স্থিতধী বলেছেন: ঢাকার বড় বড় মসজিদ গুলোর বাইরে স্থান পায় শুধু ভিক্ষুক। আর জুম্মার নামায শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে শহড়ের পলায়নপর মানসিকতার মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত আর গুটি কয়েক ধনী কুমীরেরা কয়েক পসলা সদকা দিয়ে তাঁদের জান্নাত পাবার দায়িত্ব শেষ করে। মসজিদের দ্বার এদের সুবিধার জন্য ই খুলে রাখা হয়না, কারন ইমাম, মুয়াজ্জিন আর মুসল্লিদের সামাজিক ইজ্জত ভিখারী- ছিন্ন মূলদের চাইতে অনেক বেশী যে! অন্যদিকে শিখদের গুরুদোয়ারা গুলোতে রেওয়াজ আছে ধর্ম - বর্ণ - সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে সকল অভুক্তদের জন্য নিয়মিত খাবারের ব্যবস্থা করা । আমরা ভালোটা শিখিনা, আমরা ভালো টা শিখতে চাইনা । কারন আমরা ভালো কে ভালোই মনে করিনা।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৭

ফটিকলাল বলেছেন: আমি এই প্রশ্নের জবাব কখনো পাইনি তাই প্রশ্ন করাই বন্ধ করে দিয়েছি। প্রাসাদোপম প্রার্থনার অট্টালিকাসমূহ কি ঝকঝকে তকতকে রাখার জন্য মসজিদ কমিটি থাকে, থাকে একজন খাদেমও খেদমত করার জন্য। মিম্বরে দাড়িয়ে দূরদূরান্তে দৈনিক ৫ বার আজানের জন্য থাকে মুয়াজ্জিন আরেকজন ইমাম যিনি জামাতের নেতৃত্ব দেন। তিনজন নামাজ শেষে মসজিদের কলাপসিবল গেট আটকে দেন ভেতরটা শূন্যতায় ভরা থাকে। কখনো কখনো এক কাতারও পূর্ন হয় না নামাজে। প্রতিরাতে এসব মসজিদে জনা ত্রিশেক ঘুমাতে পারতো তাহলে ঢাকা শহরের রাস্তায় কোনো ছিন্নমূল থাকতো না। অসহায় নারী টোকাই স্বীকার হতো না ধর্ষনের। যে সমাজ ভালো কিছু দিতে জানে, সে সমাজ ভালো কিছু ফিরেও পায়। ছিনতাই রাহাজানির মতো অপকর্মগুলো অনেকাংশে কমেও যেতো।

ইদানিং এ বিষয়ে কথা বলাও স্পর্শকাতর ব্যাপার

তাই না?

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আরবে সব সময় নবীর দরকার ছিলো, আজকে ১ জন সিরিয়ায়, ১ জন ইয়েমেনে, ১ জন প্যালেষ্টাইনে আসলে, কয়েক লাখ মানুষের জীবন রক্ষা হতো; কিন্তু ঢাকায় নবীর দরকার নেই।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

ফটিকলাল বলেছেন: নবীই কি সব সমস্যার সমাধান?

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:১১

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক সহমত- লেখার মুন্সিয়ানায় অভিভুত হলাম!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৯

ফটিকলাল বলেছেন: আপনার ফিরে আসায় ব্লগ ধন্য হলো সুহৃদ। ভালোলাগা জানবেন।

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪২

রোকসানা লেইস বলেছেন: মসজিদে কি থাকে যে তালা লাগিয়ে রাখতে হয়।
গীর্জাগুলো আমার পছন্দ সেখানে মানুষের থাকার ব্যবস্থা করা হয়

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

ফটিকলাল বলেছেন: তাহলে কি বলা যেতে পেরে গীর্জা যারা পরিচালনা করেন তারা মসজিদ পরিচালনাকারীদের থেকে আরো বেশী মানবিক, উদার ও প্রজ্ঞাবান?

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: দাবা খেলার নিয়ম কানুন জানি। কিন্তু যার সাথেই খেলি হেরে যাই।
রাতের ঢাকা আমার পছন্দ। কত রাত রাস্তায় রাস্তায় হেটে কাটীয়েছি।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬

ফটিকলাল বলেছেন: কখনো পুলিশি তল্লাশীর পাল্লায় পড়েছেন রাতের বেলা ঘোড়াঘুড়ির কারনে?

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আসলে কি দাবা খেলা হারাম?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১১

ফটিকলাল বলেছেন: সুরা মায়ীদাহ ৯০-৯১:

হে মুমিনগণ, নিশ্চয় মদ, জুয়া, প্রতিমা-বেদী ও ভাগ্যনির্ধারক তীরসমূহ তো নাপাক শয়তানের কর্ম। সুতরাং তোমরা তা পরিহার কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শুত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে। অতএব, তোমরা এখন ও কি নিবৃত্ত হবে?

আল কুরতুবীর তাফসীর অনুসারে প্রতিমা-দেবী সম্বলিত খেলা হলো দাবা

সুরা আম্বিয়ার ৫২ নম্বর আয়াতের তাফসীর ইমাম আহমেদ দাবা খেলার কথা বলেছেন। বিস্তারিত হাদিস ও তাফসীরের জন্য এখানে ক্লিক করুন

আপনি কি দাবা খেলেন?

৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪৭

স্থিতধী বলেছেন: যে সমাজ ভালো কিছু দিতে জানে, সে সমাজ ভালো কিছু ফিরেও পায়।

এই সত্য রাষ্ট্র যন্ত্র থেকে শুরু করে সাধারণ জনতা, বুঝতে চায়, মানতে চায়, করতে চায় কতজন?
এমন বিষয় স্পর্শকাতর হোক আর না হোক, এ নিয়ে কথা চালিয়ে যাওয়া উচিৎ। কোনদিন না কোনদিন সমাজ কে তো বদলাতে হবে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৪

ফটিকলাল বলেছেন: সমাজ বদলাবার জন্য সবাইকে কি কোনো নামসম্বলিত আদর্শের অনুসারী হতে হয়? উক্ত নামসর্বস্ব মতাদর্শে বিদ্যমান দুর্বলতা বা ভুল গুলো আরো তিক্ত ফলাফল বয়ে আনে না? এই বাকস্বাধীনতার চর্চার মাধ্যমে কোনো পরিবর্তন কি এসেছে? ইতিহাস কি বলে?

৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮

স্থিতধী বলেছেন: সমাজ বদলাবার জন্য সবাইকে কি কোনো নামসম্বলিত আদর্শের অনুসারী হতে হয়?

নামসম্বলিত আদর্শের অনুসারী হতে হবে কেন?সেজন্যে মানবতা সম্পন্ন মানুষ হওয়াটাই কি যথেষ্ট নয়? অতটুকুই যথেষ্ট হবার কথা।

এই বাকস্বাধীনতার চর্চার মাধ্যমে কোনো পরিবর্তন কি এসেছে? ইতিহাস কি বলে?

বাকস্বাধীনতার সাথে সাথে যাপিত জীবনে প্রচারিত আদর্শের চর্চা ; এ দুয়ের সমন্বয় পরিবর্তন আনে বৈকি । বেশী দূরে যাবার প্রয়োজন হয়না। এই বাংলার ইতিহাসেই রামমোহন রায় আর বিদ্যাসাগরের মতো মানুষেরা নিজ সমাজের লোকের রক্তচক্ষু আর উৎপীড়ন উপেক্ষা করে নিজ ধর্মের প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দিয়ে গেছেন, নিজেই রেখে দিয়ে গেছেন উদাহারণ। কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর লেখনী আর ব্যাক্তিগত কর্মকাণ্ডে সঞ্জীবিত করে গেছেন আজকের বাংলার মডারেট মুসলিমের সত্ত্বা, দিক হারা মুসলিম দের অসাম্প্রদায়িক মডারেট মুসলিম বানানোর তাঁর সেই প্রচেষ্টার কারনে মোল্লা শ্রেনী তাকে কাফের মুরতাদ উপাধি দিয়েছে বহুবার, তিনি থামেন নি, তিনি কবিতায় বলেন " ফতোয়া দিলাম কাফের কাজী ও, যদিও শহীদ হইতে রাজী ও ! " । সমাজের সংস্কার কঠিন কাজ, অতীত পন্থীরা সংস্কারকাজে সর্ব কালে সর্ব ধর্মেই বাঁধা ছিলো। তাই বলে সময় ও সংস্কার কোনটাই থেমে থাকতে পারেনা, যেমন থেমে থাকতে পারেনা মানুষের বাক স্বাধীনতার চর্চার আকাঙ্খাও।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০২

ফটিকলাল বলেছেন: শরৎচন্দ্র বিদ্যাসাগর খোদ বঙ্কিমচন্দ্রের কাছেই চূড়ান্ত অপমান হয়েছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে হিন্দু কুলিনসমাজ সনাতন ধর্ম বিকৃতির অভিযোগ তুলেছিলো। বঙ্কিমচন্দ্র শরতবাবুর মৃত্যুর পরও একটা আর্টিক্যাল ছাপান যেখানে শরৎচন্দ্রের সমালোচনা করা হয়েছে। এটাও ঠিক যে বঙ্কিমচন্দ্রের বড় ভাই শরতবাবুকে নীচু জাতের জন্য অপদস্থ করার পায়তারা করছিলেন তখন বঙ্কিমচন্দ্র তার প্রতিবাদ করেন। হতে পারে পাবলিসিটি স্টান্ট।

কিন্তু বর্তমান মোদি সরকার যেভাবে দেশ চালাচ্ছেন মনে হয় সমাজব্যাবস্থা সেদিকেই ফিরে যাবে। মোদি সরকারের জনপ্রিয়তা এতটাই আকাশচুম্বি যে সামনের কয়েক টার্ম তাকে হটানোর মতো যোগ্যতা কারো নাই।

একই ব্যাপার কাজী নজরুল ইসলামের জন্য। তিনি তার জীবদ্দশায় যতটুকু মুক্তচেতনার অধিকারী হতে পেরেছেন সাম্প্রতিক হেফাজত-খেলাফত গং তার সাহিত্য কর্মের ওপর হাত বসিয়েছে। এটা তো পিছিয়ে যাওয়াই। যেখানে একটি সরকার নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সুযোগসন্ধানী মৌলবাদীদের সাথে আতাত করে তখন পশ্চাদপদই হতে হয়।

সেক্ষেত্রে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আধুনিকতার সংঘাত অসীমতার দিকে মোড় নিচ্ছে? পরিবর্তন তো আশাব্যাঞ্জক নয়। শিক্ষার হারও বেড়েছে। ভারত তো মঙ্গলে যান পাঠায়, বিশ্বের বড় বড় কোন্পানীকে সিইও রপ্তানী করছে। বাংলাদেশ থেকেও অনেক বিজ্ঞানী তৈরী হচ্ছে। তাদের উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার খবর মাঝে মাঝেই পাই। শিক্ষাব্যাবস্খার উন্নতির পরও আমরা সেভাবে এগুতে পেরেছি আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে?

৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৩

স্থিতধী বলেছেন: শিক্ষাব্যাবস্খার উন্নতির পরও আমরা সেভাবে এগুতে পেরেছি আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে?

এক কথায় যদি বলি; না, দক্ষিণ এশিয়াতে শিক্ষা ব্যাবস্থার উন্নতি হয়নি । সাম্য ছাড়া প্রকৃত উন্নয়ন হয়না। দক্ষিণ এশিয়াতে, বিশেষ করে ভারত -পাক , বাংলাদেশে সবার জন্য এক শিক্ষা ব্যাবস্থা রাখা হয়নি। কোন দেশের ১০-২০% থেকে আমি ভালো শিক্ষার দ্বারা ভালো মেধা তৈরি করতে পারলাম , কিন্তু বাকি ৮০% মানুষের খবর কে নেবে? ভারতের ১০-২০% এর আলোকছটা আমরা দেখি কিন্তু বাকিরাতো এখনো জাত পাতের শিকার হয়, বঞ্ছিত হয় । আমাদের দেশের আজকের যেই ধর্মীয় গোঁড়ামির লাফ ঝাপ, সেটার পেছনে যে বৈষম্যের শিক্ষা ব্যাবস্থা বড় আকারে ভূমিকা রাখছে, সেই বাস্তবতাটুকু তো আমরা সবাই জানি আসলে। আর সে কারনেই যতবারি এদেশে প্রগতির শিক্ষা ব্যাবস্থার কথা ভাবা হয়েছে ততবার কায়েমি স্বার্থ বাদি গোষ্ঠি এর বিরোধিতা করেছে। ওয়াজকারী জামায়াতী সাইদী ১৯৭২ এর শিক্ষানীতি প্রণয়নকারী বিজ্ঞানী ডঃ কুদরাত ই খোদা কে নাম বিকৃত করে তাঁর ওয়াজ এ ডাকতো " গজব এ খোদা" ।
বৈষম্যে কে জিইয়ে রেখে আমরা কখনোই সামনে আগাবোনা। আমাদের মতো জনসংখ্যার দেশে চরম বৈষম্যে চরম অস্থিরতা ই ডেকে আনে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৯

ফটিকলাল বলেছেন: সুন্দর জবাব। সেক্ষেত্রে খোদ আ.লীগ যেভাবে ইউটার্ন দিলো তাহলে এর থেকে উত্তরণের পথ কি? আ.লীগ কি সুষ্ঠু সাম্যের পথে আসবে? যদি না আসে তাহলে বিকল্প কি? আপনি নিজে কতটুকু আশাবাদী?

১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪০

স্থিতধী বলেছেন: আ.লীগ কি সুষ্ঠু সাম্যের পথে আসবে? যদি না আসে তাহলে বিকল্প কি? আপনি নিজে কতটুকু আশাবাদী?

আমি আওয়ামী লীগ নিয়ে আর এক বিন্দু আশাবাদী নই। আমার বিবেচনায় বাংলাদেশের সিংহ ভাগ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী মডারেট মুসলিম বাঙ্গালী ও বাংলাদেশীরা এখন আরেক টি স্বাধীনতার পক্ষের রাজনৈতিক শক্তি প্রকাশ্যে ও গোপনে চাইছে। সেটা হবে বাংলাদেশের জন্য রাজনৈতিক ভাবে একটি মঙ্গল বার্তা । এর বাইরে বাংলাদেশে আসল যে বিপ্লব প্রয়োজন সেটি সাংস্কৃতিক বিপ্লব, নৈতিক শক্তির বিপ্লব। সুন্দর সাংস্কৃতিক বিপ্লব ছাড়া কোন রাজনৈতিক - সামাজিক পরিবর্তনের ঢেঊ দীর্ঘস্থায়ী হয়না। ঐ যেমনটা আপনি বলেছিলেন, সাংস্কৃতিক বিপ্লবের চর্চা না হলে কোন এক বঙ্কিম, মোদী অথবা সাইদীরা এসে আবার ঢেউ এর দিক পরিবর্তন করে দিয়ে যায়।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০১

ফটিকলাল বলেছেন: বাংলাদেশীদের নৈতিকতা নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। গতকাল বিলেতের আইওয়ান টিভিতে হেফাজতের মামুনুল হকের সাক্ষাত্কার শুনলাম। সেখানে প্রবাসীরা প্রায় সবাই বলছেন দেশের সকল মূর্তির বিরুদ্ধে কথা বলা ঈমানী দায়িত্ব এবং বাংলাদেশে সবাইকে এক সাথে এসব মূর্তি ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে বললেন। অথচ বিলেতে মোড়ে মোড়ে মানুষের ভাস্কর্য। পুরো অর্থনীতি সুদী, বেশীরভাগ বাংলা রেস্টুরেন্টে মদ পরিবেশন করে। এরা নিজেরা হারামখোর হয়ে এত বড় কথা বলার নৈতিকতা পায় কি করে? অনেকে মুখের ইংলিশ শুনে মনে হলো তারা কয়েক প্রজন্ম ইংল্যান্ডেই।

তাহলে তারা বিলেতে থেকেও এরকম হয়ে আছে কেন?

১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৪

স্থিতধী বলেছেন: বাংলাদেশীদের নৈতিকতা নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে।

আর ঠিক এ কারনেই আমি এ দেশে আগে সাংস্কৃতিক আর নৈতিক বিপ্লব কামনা করি; রাজনৈতিক পরিবর্তন / বিপ্লবের আগে । মুখে একরকম কাজে একরকম, হীনমন্য মানসিকতা, কেবল মাত্র নিজ পরিবার নিয়ে সুখে থাকতে চাওয়া ঃ এমন অনেক কিছু বাঙালীর ভেতর অনেক ডিলেমা আর ডিজোনেন্স এর জন্ম দিয়েছে। যে কারনে এরা দেশেই থাকুক আর বিদেশে, ভেতরের সমস্যাটা একইরকম থেকে যায়। সেজন্য ই আগে সমাজ সংস্কার টাই জরূরী ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৬

ফটিকলাল বলেছেন: তাহলে এই প্রশ্নটি কি আসে না যে বিলেতবাসীদের মধ্যে ধর্মান্ধতা নেই? হোয়াইট সুপ্রেমেসিস্ট, কু ক্লান ক্লাক্স, পাদ্রীদের শিশুধর্ষন কেলেংকারী, বিডিপি, নেশনাল একশন এদের উৎপত্তির জন্য দায়ী কে? আইএসআইএসে যেসব ব্রিটিশ যোদ্ধা যোগ দিয়েছিলো তাদের বেশীর ভাগ ব্রিটিশ পরিবারে জন্ম নেয়া কনভার্টেড ককেশীয়ান। তাদের মধ্যে কেন এই সমস্যা?

১২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৪

স্থিতধী বলেছেন: বিলেতবাসীদের মধ্যে ধর্মান্ধতা নেই?

ধর্মান্ধতা সব যুগে সব মানুষের মধ্যেই ছিলো আছে ও থাকবে। কারন এটি মানুষের ব্রেন থেকে উৎপন্ন একটি বিশেষ অবস্থা / চাহিদা। বিষয়টা হচ্ছে যে, কোন কোন সমাজ যেকোন ধর্মান্ধতা অথবা মতবাদের গোঁড়ামি তাঁর জনগণের মধ্যে কত বেশী ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে/ কমিয়ে রাখতে পারছে সেটা। পরিসংখ্যানের সাহায্য নিয়ে যদি আমরা দেখতে পারি তাহলে আমি নিশ্চিত যে বর্তমানে উপমহাদেশে বা এশিয়ায় ধর্মান্ধতা % বিলাতের তুলনায় অনেক গুনে বেশী। নিজিল্যন্ডে হোয়াইট সুপ্রিমিস্টের আক্রমণের মতো ঘটনার তুলনায় গত এক দশকে মুসলিম ধর্মান্ধদের আক্রমণ বিশ্ব অনেক বেশী দেখেছে । আমার কাছে এর কারন টাও বিস্ময়কর নয়। পৃথিবীর বাকি সকল প্রতিষ্ঠিত ধর্মের তুলনায় ইসলাম এখনো নবীন এক ধর্ম। সময়ের স্কেলে বিশ্ব ইতিহাসে ১৪০০ বছর খুব লম্বা সময় নয় মোটেও। ফলে অন্যান্য ধর্মে বহু হাজার হাজার বছরে যতরকমের সংস্কার হয়ে এসেছে, ইসলামে সে পরিমাণ সংস্কার এখনো হয়নি; ফলে অন্যান্য ধর্মের তুলনায় ইসলামী মৌলবাদ এখনো বিশ্বের মাথা ব্যথার একটা কারন। তবে এটি কোন চিরস্থায়ী কারন হয়ে থাকবেনা । আমাদের রাষ্ট্রে আমরা অনেক ভুল পথে হেটে এসেছি, তাঁর খেসারত আমরা তাই দিচ্ছি। ভুল থেকে শুদ্ধ পথে হাটা কবে শুরু করবো, তাঁর উপরেই নির্ভর করছে অনেক কিছু।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫০

ফটিকলাল বলেছেন: কিন্তু ইসলাম নিজেই তো সংস্কারবিরোধী কারন বিদায় হজ্বে মহানবী সাঃ নিজেই ঘোষনা দিয়েছেন ইসলামের পরিপূর্নতার কথা।

সেক্ষেত্রে আপনি যে সংস্কারের কথা সেটা কি ইসলামের মূলনীতির সাংঘর্ষিক নয়?

১৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২০

স্থিতধী বলেছেন: একটি পরিপূর্ণ ধর্মে " ইজমা" ও " কিয়াস" এর মতো কিছু উপাদান রয়ে যাবার সুযোগ থাকে কি? যদি থাকে তাহলে তাকে পরিপূর্ন / স্বয়ং সম্পূর্ণ ধর্ম প্রকৃত প্রস্তাবে বলা যায় কি? নবীর নিজের জীবনেই সাংঘর্ষিক কর্মকান্ডের উদাহারণ পাওয়া যায়; তিনি পৌত্তলিকদের মূর্তি পূজার বিরোধিতা করলেও, হজ্জে পৌত্তলিকদের মতোই প্রানহীন কালো পাঁথরে গিয়ে চুমু খান। যা দ্বিতীয় খলিফা উমর ঠিক মেনে নিতে পারেননি মন থেকে, কারন মুসলিমদের পৌত্তলিকদের পূর্বের কাজের সাথে মিলে যায় এমন কিছু না করার নির্দেশ ছিলো। " ইজমা" ও " কিয়াস" এর উপস্থিতি জানান দেয়, ইসলাম তাঁর সময়ের একটি প্রগতিশীল ধর্ম ছিলো, কারন ভবিষ্যতের সময়ের চাহিদাটিকে এটি গুরুত্ব দিতে পেরেছিলো। তবে আরবের মাটিতে পলিটিকাল ইসলামের ক্ষ্ মতার লড়াইয়ে যে ফেতনার সৃষ্টি হয় জন্মের ১০০ বছরের ভেতরেই তা আর এর " ইজমা" ও " কিয়াস" এর ভিত্তিকে মজবুত করতে পারেনি। ফলাফল, এক কালের প্রগতিশীল এক ধর্ম ধীরে ধীরে প্রতিক্রিয়াশীল ও ভন্ডদের হাতে পড়ে এখন ধুকে ধুকে নানা মুনির নানা পথ নিয়মেই চলছে । ফলে মানবতাময় সাধারণ মুসলিম সময়ের সাথে আপডেট হয়ে নিজেদের বিবেক বুদ্ধি ব্যবহার করে মডারেট মুসলিম থাকছে। আর বাকিরা কেউ ধর্ম ত্যাগ করছে, কেউ ধীরে ধীরে হলেও পলিটিকাল ইসলামের জঙ্গিবাদ বেছে নিচ্ছে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩১

ফটিকলাল বলেছেন: তাহলে কি আপনি বলতে চাচ্ছেন মডারেট যারা তারা নিজেরাই ইসলামের সংস্কার শুরু করে দিয়েছেন(নাউযুবিল্লাহ)?

১৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৮

নীল আকাশ বলেছেন: যেখানে নামাজ শেষে নিজের সান্ডেলই অনেক সময় খুজে পাওয়া যায় না, ছাতা রাখলে খুজে পাওয়া যায় না, সেখানে মসজিদ সব সময় খুলে রাখা কি রিস্কি হয় না?

এখনকার মসজিদে অনেক রকম কস্টলি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন মাইক, সাউন্ড সিস্টেম, এসি ইত্যাদি থাকে। মসজিদের খাদেম বা যারা এর সাথে জড়িত এর তো ২৪ ঘন্টা পাহারা দিতে পারবে না। তাইনা?
দেশের মানুষের অসদ আচরনের জন্যই মসজিগুলি খুলে রাখা সম্ভব হয় না।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩

ফটিকলাল বলেছেন: ব্যাক্তিগতভাবে আমি মসজিদে মাইক রাখার বিপক্ষে। যে জিনিসটা মহানবী সাঃ এর আমল কেউ ব্যাব হার করেননি সেটা আমরা কেন করবো। বলতে পারেন সেসময় মাইক ছিলো না। কিন্তু সেসময় উচ্চস্বরে কথা বলার সময় চোঙ্গা বা শৃঙ্গা ব্যাব হার করতো। সেটা করেননি কেন?

এবার আসুন আপনাদের হাদিসে কি বলে:

গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [5366]
অধ্যায়ঃ ৩৮/ পোশাক ও সাজসজ্জা
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ২২. সফরে কুকুর ও ঘণ্টা রাখা মাকরূহ
৫৩৬৬। ইয়াহইয়া ইবনু আইয়ুব, কুতায়বা ও ইবনু হুজর (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঘন্টা শয়তানের বাঁশি।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

যেটা হযরত মুহাম্মদ সাঃ করেননি তার নামে শরীয়া বিধান করাই আমার কাছে বিদায়াত মনে হয়। তাপরও মসজিদুল হারাম থেকে শুরু করে সবখানেই মাইকের প্রচলন আছে এবং ফতোয়া এর পক্ষে। তাই আমি আর এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না।

আরেকটা কথা বিশ্বাস করি, ছিন্নমূল মানুষের জীবনের চাইতে আপনার কাছে জুতা স্যান্ডেল বা মাইকের মতো দুনিয়াবী জিনিস মূল্যবান এটাতে প্রমান করে মানুষের মন মানষিকতা। এবং এটা আমার কাছে একটা দুঃখজনক সত্য হয়েই আছে।

ইসলামের মূলনীতিতে কবে থেকে দুনিয়াবী দামী জিনিসকে প্রাধান্য দেয়া শুরু করেছে, এমন ইসলাম আমার কাছে অপ্রচলিত, উলামায়ে শূদেরই সনদপ্রাপ্ত।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

১৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৬

স্থিতধী বলেছেন: মডারেট যারা তারা নিজেরাই ইসলামের সংস্কার শুরু করে দিয়েছেন

আপনার কাছে মডারেট মুসলিমের সংজ্ঞা কি? কি কি থাকলে একজন মুসলিম, মডারেট মুসলিম হয়ে যান?
ধরুন কাজী নজরুল ইসলামের কথাই যদি ধরি, আপনি ওনাকে কেমন মুসলিম হিসেবে আখ্যায়িত করবেন?
খাঁটি মুসলিম, মডারেট মুসলিম, বামপন্থী মুসলিম, সংশয়বাদী মুসলিম নাকি আসলে সোজা অমুসলিম?

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৮

ফটিকলাল বলেছেন: ‘এভাবে আমি তোমাদের একটি মধ্যপন্থী জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি। যাতে তোমরা মানবজাতির প্রতি সাক্ষীস্বরূপ এবং রাসুল তোমাদের জন্য সাক্ষীস্বরূপ হন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৪৮)

এই আয়াতের মাধ্যমে ইসলামে মধ্যপন্থার ইঙ্গিত দেয়া হয়। সে হিসেবে মধ্যপন্থার এই ধারা ইসলামের মৌলিক বিষয়ের সাথে সাংঘর্ষিক হয়। বর্তমান সমাজ পশ্চিমা দর্শনের প্রভাবে তৈরী। সেক্ষেত্রে মধ্যপন্থার বৈশিস্ট্যগত রূপ হিসেবে গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িক (ধর্ম অনুমোদিত নয় এমন) আইনি উৎস গ্রহণ, নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকারের প্রতি সম্মান, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যেদের বিরোধিতা—উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য এসব বৈশিষ্ট্যের প্রতিটিই ব্যাখ্যাসাপেক্ষ। যেমন—নারী অধিকার বলতে উত্তরাধিকারসহ সব ক্ষেত্রে নারীর সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা, যা ইসলামী উত্তরাধিকার আইনের পরিপন্থী। ড. ইউসুফ আল-কারজাভি সমকালীন ‘ওয়াসতিয়া’ বা মধ্যপন্থী চিন্তাধারায় প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তিনি মধ্যপন্থার ব্যাখ্যায় ছয়টি বিষয়ের সমন্বয়ের কথা বলেছেন, এক. পূর্বসূরিদের অনুসৃত নীতি ও সংস্কার। দুই. বিশ্বাসের সংকীর্ণতা ও ব্যাপকতা। তিন. বিশ্বাসের অপরিবর্তনীয় ও পরিবর্তনীয় ক্ষেত্র। চার. মুসলিম আইনের ঐতিহ্য ও স্বগত বৈশিষ্ট্য। চার. নয়া প্রেক্ষিত বিবেচনা। পাঁচ. ক্রমধারার অপরিহার্যতা। ছয়. বিশ্বসভ্যতায় অংশগ্রহণ। তাঁর মতে, এই সমন্বয় ও বৈশিষ্ট্য ধারণ করতে হবে ইসলামের মূলনীতি ও মৌলিকত্ব অক্ষুণ্ন রেখে।


আবার মডারেট মুসলমানদের আরেকটি উপধারা আছে যারা আধুনিক মুসলিম হিসেবে নিজেকে চিহ্নিত করে। ইসলাম নবীন ধর্ম হিসেবে এরমধ্যে আধুনিকতা অনেক ডিফল্ট সেটিং হিসেবেই আছে এবং হযরত মুহাম্মদ সাঃ কিছু ক্ষেত্রে তার সময়ের চাইতে অগ্রগামীও ছিলেন। সত্তাগতভাবেই ইসলাম আধুনিক। তাই আধুনিকতার সঙ্গে ইসলামের বিরোধ নেই। বিশ্ববরেণ্য ইসলামী চিন্তাবিদ আল্লামা তাকি উসমানি বলেন, ‘ইসলাম প্রকৃতির অনুকূল একটি ধর্ম। এটি আধুনিকতাবিরোধী নয়; বরং তা আধুনিক বিশ্বের প্রবর্তক। বহু ক্ষেত্রে ইসলাম আধুনিকতাকে উৎসাহিত করেছে। ... তবে তা নতুনত্বের অর্থে আধুনিকতা গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা সব নতুন বিষয় মানুষের জন্য উপকারী নয়। ইসলাম আধুনিকতাকে কল্যাণ ও অকল্যাণের অর্থে মূল্যায়ন করে।

অনেকেই মনে করেন আসলে মুসলমানদের পুনর্জাগরণ ও সমাজসংস্কারের বিকল্প নেই। কিন্তু তা অবশ্যই হতে হবে ইসলামের মূলনীতি অনুসরণ করে। নতুন সংকটের সমাধান উদ্ভাবন (ইজতিহাদ) ও অচলাবস্থার সংস্কার (তাজদিদ) বিধি অনুসরণ করেই পরিবর্তনের পথে হাঁটতে হবে।

কিন্তু সেক্ষেত্রে যারা শরীয়াপন্থি তাদের সাথে বিশাল ফারাকের সৃস্টি হয় এবং শরীয়ার অনেক নিয়ম আধুনিক এসব পরিবর্তন স্বীকার করে না। এক্ষেত্রে আলেমরা চেস্টা করলে শুধু বিভক্তির সৃস্টি হয়েছে।

এখানেই আমার প্রশ্ন এই যে হাদিস ইজমা কিয়াস ফিকহ থেকে একটি ধারার সৃস্টি সেটার সাথে মডারেট ও আধুনিক ইসলামিক ধারার পার্থক্য যাতে ক্ষেত্রবিশেষে বিদায়াত বলে চিহ্নিত করা হয় সেটা কি মূলত ইসলামের বিকৃত নাকি একান্ত প্রয়োজনে? চারিদিকে যে ইসলামিক বিশুদ্ধতার রব উঠেছে এটা আধুনিক ইসলামিক কনসেপ্টের বিরোধী নয়?

১৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: ইয়াহইয়া ইবনু আইয়ুব, কুতায়বা ও ইবনু হুজর (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঘন্টা শয়তানের বাঁশি।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
যেটা হযরত মুহাম্মদ সাঃ করেননি তার নামে শরীয়া বিধান করাই আমার কাছে বিদায়াত মনে হয়। তাপরও মসজিদুল হারাম থেকে শুরু করে সবখানেই মাইকের প্রচলন আছে এবং ফতোয়া এর পক্ষে। তাই আমি আর এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না।

আপনি ঘন্টা এবং মাইক এক করে ফেলেছেন। ফতোয়া আসে ইস্তিহাদ থেকে। সহী হাদিস থেকে খুঁজলে হবে না। ফতোয়া বাধ্যতামূলক না। আপনার পছন্দ না হলে মানবেন না।

আরেকটা কথা বিশ্বাস করি, ছিন্নমূল মানুষের জীবনের চাইতে আপনার কাছে জুতা স্যান্ডেল বা মাইকের মতো দুনিয়াবী জিনিস মূল্যবান এটাতে প্রমান করে মানুষের মন মানষিকতা। এবং এটা আমার কাছে একটা দুঃখজনক সত্য হয়েই আছে।
আমি কোন এঙ্গেল থেকে বলেছি সেটা ধরতে পারেন নি। আব্বা হজ্জ্ব করতে গিয়েছিলেন। আযান হলো, সাথে সাথে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দোকানদার কাপড় উলটে দিয়ে নামাযে চলে গেল। আব্বা পরে জিজ্ঞেস করেছিলেন। কেউ কিছু চুরি করে না। অথচ আমাদের দেশ হলে পুরো দোকান লোপাট হয়ে যেত।

মানুষের মেন্টালিটী আগে ঠিক করতে হবে। সুযোগ পেলে যারা সামান্য সাণ্ডেল সরাতে পারে এরা মসজিদ থেকে অনেক কিছুই গায়েব করে দিতে পারবে। মেন্টালিটী আগে ঠিক ছাড়া কোন কিছুই হবে না।
ধন্যবাদ।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৩

ফটিকলাল বলেছেন: ফতোয়া আসে ইস্তিহাদ থেকে। সহী হাদিস থেকে খুঁজলে হবে না। ফতোয়া বাধ্যতামূলক না। আপনার পছন্দ না হলে মানবেন না।

এখানেও আপনার ধারনাগত এবং শিক্ষাগত ভুল করেছেন। ফতোয়া আসে ইজতিহাদ ও তাকলিদ থেকে। ইজতিহাদ পুরোপুরি উসুল ফিকহ থেকে শুরু করে আরবী ভাষাগত জ্ঞানের ওপর নির্ভর করে যা একজন মুজতাহিদ মুতলাক এর ক্ষমতা রাখেন। তবে এই ব্যাপারে সুন্নীরা মনে করেন যদি কোনো রুলিং কোরান সুন্না ইজমা কিয়াস বিরোধী হয় তাহলে তা পরিহারযোগ্য।আংশিক বা শরীয়াহীন রাস্ট্রে তাকলিদের ভূমিকা অনস্বীকার্য এবং যিনি এর ক্ষমতা রাখেন তিনি হচ্ছেন মুকালিদ। ইরানে এর সামগ্রিক প্রয়োগ থাকলেও আমাদের দেশে এর প্রচলন খুব নেই মেইনস্ট্রিমে তবে কোরানের কিছু আয়াতে এ ব্যাপারে নির্দেশনা আছে।

নাহল:৪৩-
আপনার পূর্বেও আমি প্রত্যাদেশসহ মানবকেই তাদের প্রতি প্রেরণ করেছিলাম অতএব জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তোমাদের জানা না থাকে;


তাকলিদের মূল সমস্যা হলো পূর্ববর্তি আলেমদের অন্ধভাবে অনুসরন করা। এই দুটো মিলিয়েই ফতোয়ার সৃষ্টি হয় এবং এজন্যি পোস্টে বলেছি একজন ফতোয়া কারীকে কোরান হাদিস সুন্না ইসলামী ইতিহাসের পাশাপাশি তাকে পূর্বরবর্তী আলেমদের ব্যাপারেও জানতে হয়। যেহেতু বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত মজলিসে শূরা নেই, এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এখতিয়ার শুধু বছর বছর বই ছাপানো এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা ও ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো বিচিন্ন ভাগে বিভক্ত ও ব্যাক্তি বা দল (মাজহাব ভিন্ন) অনুসারী সেখানে তাকলিদের সাথে ইজতিহাদের যুক্তিগুলো অনেকক্ষেত্রেই বিপত্তির সৃষ্টি করে এবং ইসলামের অনেক বিষয়ে মতপার্থক্যের সৃষ্টি হয়।

তবে এখানে একটা সমস্যা আছে। যেটার কারনে এসেছে মাইকের ইস্যু তবে তার আগে আমি আমার কিছু মন্তব্যের অংশ কোট করতে চাচ্ছি।

আব্বা হজ্জ্ব করতে গিয়েছিলেন। আযান হলো, সাথে সাথে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দোকানদার কাপড় উলটে দিয়ে নামাযে চলে গেল। আব্বা পরে জিজ্ঞেস করেছিলেন। কেউ কিছু চুরি করে না। অথচ আমাদের দেশ হলে পুরো দোকান লোপাট হয়ে যেত।

আপনার বাবা হজ্ব করেছেন সেটা ব্লগে জানিয়ে অশেষ ছোয়াবের কাজ করেছেন। তবে আমাদের সাধারনের জনমনে সৌদিআরবের জনমান সম্পর্কে যে সুন্দর ধারনা দেয়া হয় আসলেই কি তাই?

সৌদী আরবের চুরি বাটপারীর সাথে সুদানের মতো চুরি বাটপারির র‌্যাংকিং পাবেন এখানে । খলিফা হারুন অর রাশীদের জীবনকাহিনী শুনলে হয়তো এরকম খেলো যুক্তি বলতে পারতেন না এমনকি ইসলামি ঐতিহ্যে মসজিদে অবস্হান বেশ সাধারন ব্যপার সেটাও পাল্টে ফেলার কাতারে দাড়াতেন। যেখানে মাইক ছাড়াই মসজিদের প্রতিটা কাতার পূর্ন থাকতো অথবা অসহায় মানুষের সাধ্য না থাকলে তাদের কোনো ব্যাবস্থা করা পর্যন্ত মসজিদের মধ্যে রাখা হতো সেকানে আপনি ডিজে বা ব্যান্ডের মিউজিক সিস্টেম দিয়ে আজান দিয়ে প্রমান করটে চান যে কতটা স্পস্ট ভাষায় মানুষ কতদূর থেকে এমনকি হাসপাতাল স্কুলের ছেলেপেলেও শুনতে পারে। বাহ! এমন সুন্দর ব্যাবস্থা করেছেন যেখানে যাদের ওপর নামাজ আর ফরজ হয় না তাদেরকেও চমকে দিতে চান। বলি উলামায়ে শূ ইসলামী জ্ঞান থেকে এতটাই দূরে যে এদের মন পাথরের মত শক্ত হয়ে গেছে এবং দিলে মোহর লাগানো যেখানে তারা তাদের বিকৃত ইসলাম বাচিয়ে রাখতে আগ্রহী। এমনকি তারা এমন একটা দেশের আইনশৃঙ্খলার উদাহরন দেয় যেখানে এরকম ঘটনা অহরহই ঘটছে এমনকি কিছুদিন আগে একটা ১৬ বছরের মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকা সত্বেও তাদের আইন প্রশাসন দ্বারা সংঘটিত ময়নাতদন্তে লেখা আছে আত্মহত্যা।

এসব উলামায়ে গুগলদের বক্তব্য শুনলে একটা কথাই মনে আসে: জালেমে জালেম চেনে

১৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৯

স্থিতধী বলেছেন: দেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় মিজানুর রহমান আযহারী সাহেবও তাঁর ওয়াজে ইসলামকে আল্লামা তাকি উসমানি সাহেবের মতো প্রকৃতির অনুরূপ ধর্ম হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, তিনিও বাকারার আয়াত স্মরণ করে ওয়াজে বলেছেন যে মুসলিমদের মধ্যপন্থী হয়ে থাকতে হবে, কোন একদিকে ঝুঁকে পড়া যাবেনা । তিনি কি এবারের বিতর্কে বঙ্গবন্ধু বা অন্য যে কারো, যে কোন কিছুর ভাস্কর্য বানানো সমর্থন দিয়েছেন? আল্লামা তাকি উসমানি সাহেব ও ড. ইউসুফ আল-কারজাভি সাহেবের মধ্যপন্থার ব্যাখ্যা অনুযায়ী ড. মিজানুর রহমান আযহারী সাহেবকে কি মধ্যপন্থী মুসলিম বলা যায় ?

যেহেতু রাষ্ট্র কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং জাতীয় অধ্যাপক ছাড়া রাষ্ট্রীয় ভাবে জাতীয় আলেম বলে এদেশে কিছু নেই ( একটি ধর্ম নিরপেক্ষ মূলনীতি থাকা রাষ্ট্রে তা থাকার কথাও নয়, আবার একই সাথে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখায় তা থাকতেও পারতো) তাই কাজী নজরুল ইসলামের কাব্য, কর্ম জীবন, জীবন দর্শন, ব্যাক্তিত্ব এগুলো জাতির আদর্শ হিসেবে স্বীকৃত হবার কথা, রাষ্ট্র তাঁর দর্শন ও কর্ম কে অনুসরণ করার কথা । সেই বিবেচনায়, কাজী নজরুল ইসলাম উসমানি সাহেব ও কারজাভি সাহেবের মধ্যপন্থার ব্যাখ্যা অনুযায়ী কি ধরনের মুসলিম ? পাকিস্তানের কবি আল্লামা ইকবাল ও বা কি টাইপের মুসলিম ? এমনিতে ইসলাম ধর্ম কবি ও কবিতা সম্পর্কে কিরকম মনোভাব ধারণ করে? পবিত্র কোরআনে কবিতা ও কবি সম্পর্কে আয়াত সমূহের ব্যাখ্যা ও তাফসীর কি বলে ?

কেননা সব নতুন বিষয় মানুষের জন্য উপকারী নয়। ইসলাম আধুনিকতাকে কল্যাণ ও অকল্যাণের অর্থে মূল্যায়ন করে। …….. এক্ষেত্রে আলেমরা চেস্টা করলে শুধু বিভক্তির সৃস্টি হয়েছে ।

ইসলামে আধুনিকতাকে কল্যাণ ও অকল্যাণে ব্যাখ্যা দেয়ার এ দায়িত্ব কাদের উপর ? আলেম দের উপর? আলেমদের র‍্যাঙ্কিং কিভাবে করা হয়? মানে অনেক আলেমের ভেতর যদি মত না মেলে তাহলে সাধারণ মুসলিম কোন আলেম কে মানবে ? সব সাধারণ মুসলিম সাত উপভাষার আরবী শিখতে বসবে? আলেমদের মাঝের বিভক্তি যে হয়, সেটা কি দিয়ে দূর করা হয়েছে বা হয় বা করা যায় ? ধর্ম দিয়ে নাকি রাজনীতি দিয়ে, নাকি অর্থনীতি ? নাকি এগুলোর সব দিয়ে?

কিছুদিন আগে দেশে হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক নিয়ে আরেকটি বিতর্ক শুরু হয়েছিলো, সেই বিতর্কে দেশের আলেমরা কেমন অবস্থান নিয়েছিলো? তাঁদের অবস্থান মানব কল্যাণে সার্থক হয়েছে, মধ্যপন্থী ইসলাম অনুসারিত হয়েছে? আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে এক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান করা যায় কিনা এমন কোন ভাবনা আলেম সমাজ দিয়েছে?

চারিদিকে যে ইসলামিক বিশুদ্ধতার রব উঠেছে এটা আধুনিক ইসলামিক কনসেপ্টের বিরোধী নয়?

বাঙালীর অত্যন্ত জনপ্রিয় কবি সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি লেখা উদ্ধৃত করবো এ বিশুদ্ধতার বিষয়টি নিয়ে;

“ একজন মহাপুরুষ প্রাচীন প্রথার খোলা ভাঙিয়া যে নূতন সংস্কার আনয়ন করেন তাহাই আবার দেখিতে দেখিতে শক্ত হইয়া উঠিয়া আমাদিগকে রুদ্ধ করে। পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হইয়া নিজের যত্নে নিজের উপযোগী খাদ্য সংগ্রহ আমাদের দ্বারা আর হইয়া ওঠেনা । মোহাম্মদ প্রাচীন আরব কু প্রথা কিয়ৎ পরিমাণে দূর করিয়া তাহাদিগকে যেখানে দাড় করাইলেন তাহারা সেখানেই দাঁড়াইল, আর নড়িলো না । কোনো সংস্কারকার্য বীজের মতো ক্রমশ অঙ্কুরিত হইয়া পরিপুষ্টতা লাভ করিবে, আমাদের সমাজ সেরূপ জীবনপূর্ণ ক্ষেত্র নহে । … এজন্য উত্তরোত্তর উৎকর্ষ লাভ না করিয়া বিশুদ্ধ আদর্শ ক্রমশই বিকৃতি লাভ করিতে থাকে । যেমন পাখি তা না দিলে ডিম পচিয়া যায় , সেইরূপ কালক্রমে মহাপুরুষের জীবন্ত প্রভাবের উত্তাপ যতই দূরবর্তী হয় ততই আবরণবদ্ধ সমাজের মধ্যে বিকৃতি জন্মিতে থাকে। আসল কথা বিশুদ্ধ জিনিসও অবরোধের মধ্যে দূষিত হইয়া যায় এবং বিকৃত বস্তুও মুক্তক্ষেত্রে ক্রমে বিশুদ্ধি লাভ করে।“

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪০

ফটিকলাল বলেছেন: কারজাভী সম্পর্কে জানি উনি অনেক বিষয়ে অন্যান্য আব্রাহামিক ধর্মের সাথে মিলিয়ে ফতোয়ার পেছনে যুক্তি খাড়া করেন। একই জিনিসটা দেখা যায় মওদুদি সাহেবের তাফসীর সহ বিভিন্ন বইতে। মহানবী সাঃ নিজেও সাহাবীদের বলেছিলেন পুর্ববর্তী আহলে হাদিসের ওপর বিশ্বাস রাখতে এবং উহা আল্লাহর দ্বারাই প্রেরিত কিন্তু সাথে এটাও বিশ্বাস করতে হবে এগুলো বিকৃত করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে এসব বই আর অনুসরন করার দরকার পড়ছে না।

আজহারী সাহেব তখনও অতটা জনপ্রিয় লাভ করেননি, একবার এসেছিলেন আমাদের ওয়াজে। তিনি এমন কিছু কথা বলেন যা সীরাত হাদিস ঘেটে পাওয়া যায় না। এনিয়ে ওয়াজপ্রাঙ্গনেই অপ্রীতিকর ঘটনার সূচনা হয়। তারপর থেকে বাজারী ওয়ায়েজদের এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নেই। আমি ঠিক বুঝতে পারছি না যে মানুষ দুটো লাইক কমেন্টের জন্য মিথ্যা কথা বলে তার সাথে ব্লগের উলামায়ে শু বা উলামায়ে গুগলদের কোনো পার্থক্য দেখি না।

অফিসে অনেকে রেডিট ব্যাব হার করেন সেখানে প্রোগ্রেসিভ ইসলাম নামের একটা কম্যুনিটি পাওয়া যায়। সেখানে সমকামীদের বিয়ে থেকে শুরু করে সবকিছুই হালাল হিসেবে দেখানো হয়।ইসলামে মুখানাতুন বা হিজড়াদের বিয়ে করার সমর্থন আছে (ঠিক মনে করতে পারছি না, খুব সম্ভবত হযরত উমর রা প্রসাবের রাস্তা দেখে তারা পুরুষ বা নারী বিয়ে করবে তার নির্দেশনা দিয়েছেন), ঠিক সেভাবেই এটা হালাল করে তারা। এমনকি মেয়েদের ইমামতিতে ছেলেরা পড়তে পারবে এমনকি নেদারল্যান্ডে আকজন নারী ইমামও নিযুক্ত করা হয়েছে। আমি ঠিক বুঝতে পারি না এটা কোন ধরনের ইসলাম। তবে তাদের যুক্তিগুলো বেশ সায়েন্টিফিক নির্ভর, কোরান সুন্নাহর চেয়ে বিভিন্ন ঘটনার তাকলিদ। সেখানে আমাকে বলতেই হয় ইসলামের মধ্যপন্থা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।

যেটা জানি পূর্ববর্তি আব্রাহামিক ও পৌত্তলিক ধর্ম থেকে ইসলাম অনেক স হজ ও সাবলীল যুক্তিপূর্ন। ইসলামে আল তাকওয়া সমর্থন করে যেখানে আপনি ইসলামের স্বার্থেই চেপে যেতে পারেন এবং কোরানে এই নির্দেশনার প্রচুর আয়াত আছে। তাই ইসলাম পালন করা অনেক স হজ। শুধু শুধু মধ্যপন্থা পালন করার জন্য এরকম বিদায়াতি বা হারাম বিষয় গুলোকে জায়েজ করা আমার কাছে অস্বস্তিকর মনে হয়।

আর কাজী নজরুল ইসলাম বা কারদওয়ি এরা মুসলমান না অন্যকিছু সে বিচার করার মতো যোগ্যতা আমার নেই।

আপনাকে মডারেট ইসলাম সম্পর্কে যে কারনে প্রশ্নটি করেছিলাম সেটার মূল ভিত্তি ছিলো এই সমকামী বিয়ে। এখন কারদাওয়ি এখন বেচে থাকলে ভ্যাটিকানের পোপের মতো তিনিও কি সমকামী বিয়ে মেনে নিতেন?

এটা আমারও প্রশ্ন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.