নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুমের মতো ঘুম চাই

ফটিকলাল

ইহা একটু হৃস্টপুস্ট ব্লগ কারন ব্লগ দিয়েই তো ইন্টারনেট চালাই

ফটিকলাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগের ছত্রে ছত্রে হৃষ্টপুস্ট উলামায়ে শূ

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩০

প্রিন্সিপাল সাহেব দেওবন্দের ভক্ত। তার কোরানের সুললিত তেলাওয়াত মাদ্রাসার সকলকেই বিমোহিত করে। আবার তিনি দর্শনেরও পোকা। দেকার্ত, হিউমের ইংলিশ ভার্সনের বইসমূহ তাকভরে সাজানো। এসব বইয়ের পুরুত্ব দেখলে গলা শুকিয়ে যায়, আর তিনি অবলীলায় সময় কাটিয়ে দিতে পারেন পড়ার টেবিলে। আমি যখনি ইসলামের কোনো বিষয়ে জানতে চাই উনি কোরান তুলে দেন। কোরানের লেখাগুলো দুর্বোধ্য, হাদিসের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতেই তিনি আমাকে বিভিন্ন সীরাত তুলে দেন। উনি এর আগে কিছু বই তুলে দিয়েছিলেন ইসলামী ইতিহাসের ওপর লেখা, সেগুলো পড়তে বড্ড আলসেমী আমার। কি আর করা!

তবু কিছু কিছু ব্যাপার আমাকে দ্বন্ধে ফেলে দেয়। খেলাফতের যুগে আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার অভিযানের সময় উমর রাঃ সব হাদিস সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলেন। তার বক্তব্য ছিলো, কোরানের সামগ্রীকতা বজায় রাখার জন্য হাদিস সংগ্রহ নিষিদ্ধ করেছিলেন স্বয়ং হযরত মোহাম্মদ সাঃ। নইলে মানুষ কোরানকে পাশ কাটিয়ে হাদিসে মেতে উঠবে, ফেতনার সৃষ্টি হবে। তারও আগে আবু বক্কর রাঃ সবার অজান্তে কয়েক হাজার হাদিস সংগ্রহ করেন। সেগুলো এক লহমায় পুড়িয়ে ফেলেন। খোলাফায়ে রাশেদিনের প্রথম তিন খলিফা অঘোষিতভাবেই হাদিস সংগ্রহ নিষিদ্ধ করেছিলেন। কোরানের সংকলন সমূহ পূর্ববর্তি আসমানী কিতাবের ভাগ্য বরন না করতে পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছিলেন। খোদ মহানবী সাঃ এর আদেশ তারা কিভাবে অমান্য করবেন, যেখানে তিনি নিজে হাদিস সংগ্রহকে নিরুৎসাহিত করেছিলেন।

হযরত আলী রাঃ প্রথম হাদিস সংকলন করতে বাধ্য হন। তিনি দেখলেন চারিদিকে নানা ফতোয়ার উৎসব শুরু হয়েছে। একদিকে খারেজীরা তাকে তর্কবিদ্ধ করে অমুসলিম ঘোষনা করে, পুনরায় কলেমা পড়ে মুসলমান হবার ফতোয়া দেয়, আরেক দিকে মুয়াবিয়া রাঃ এর অসহযোগ অভিযানে তিনি দিশেহারা। রাস্ট্র, সমাজসহ নানা ব্যাপারে হযরত মুহাম্মদ সাঃ অনুসৃত ধারা থেকে সবাই দূরে সরে যাচ্ছিলো। শান্তি বজায় রাখতেই তিনি সংকলন শুরু করেন যার ওপর ভিত্তি করে শিয়াদের হাদিস চর্চার শুরু।

এদিকে খোলাফায়ে রাশেদিনের সময়ে ইরান ইরাক সিরিয়ার অনেক সাহাবী নিজে থেকেই সংগ্রহ শুরু করলেও যা বেশীরভাগ বিলুপ্ত হয়ে যায়। সেগুলো প্রকাশনার মুখ খুব কম দেখেছে বা দেখতেই পায়নি বলে তাদের অস্তিত্বগত বিশ্বাসযাগ্যতা নিয়ে সন্দিহান। তাই হাদিস সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো বড্ড সংবেদনশীল। যিনি ফতোয়া দেবেন তাকে অবশ্যই মুফতী হতে হবে।বিজ্ঞ হতে হবে। যিনি হাদিসের ব্যাখ্যা করবেন তাকে অবশ্য দাওড়া পাশ করতে হবে আবার যিনি কোরানের তাফসির বা আয়াতের ব্যাখ্যা করবেন তাকে অবশ্যই বেশ কিছু গুন অর্জন করতে হবে যার মধ্যে কোরানিক আরবির ওপর পুরোপুরি দখল থাকতে হবে। হাদিসের ওপর দাওড়া করতে হবে। ইসলামী ইতিহাসের ওপর ডিগ্রী নেয়া তথা হিকমার অধিকারী হতে হবে।

হিকমা বান্দার হাতে নয়। হিকমা ব্যাপারটা পুরোপুরি আল্লাহর হাতে। অনেক পড়ালেখা করেও কেউ হিকমা অর্জন করতে পারবে সেই গ্যারান্টি নেই, আল্লাহ কাকে হিকমা প্রদান করবেন তারও গৎবাধা নিয়ম নাই। যার কথা কাজে কর্মে জ্ঞানে ইসলামী জ্ঞান থাকবে, সমস্যা সমাধানে তওয়াক্কুল ধারন করবেন তারা এর কাছাকাছি যেতে পারে, নিদেনপক্ষে হিকমা অর্জনের যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে।

আজকাল পত্রিকা খুললেই দোররা ফতোয়ার যথেচ্ছ ব্যাবহার দেখা যায়। এমনকি বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নির্যাতিত মানুষ আরও অবিচারের শিকার হয়। যারা এরকম ফতোয়া দেন তারাই উলামায়ে শূ। তাদের নামের আগে থাকে হযরত, পরে থাকে দা. বা. কারো কারো রহ.। শিক্ষাগত যোগ্যতায় সকল ইসলামি ডিগ্রী ঝোলায়, এমনকি বেশভূষা পুরোপুরি আলেমের মতো, কিন্তু তারা শেয়ালের চেয়েও ধূর্ত। তারা বিভেদ সৃষ্টি করে ইসলামের নামে, নিজের ফায়দা অনুযায়ী নির্যাতন করে, বিপদে ফেলে।

এদের মাঝে হিকমা নেই, ঈমানের পরিমান শূন্য গ্লাসের চুইয়ে পড়া পানির চেয়েও কম। দিলে জাররা পরিমান খুজে পাওয়া মুস্কিল। কেয়ামতের সময় দেখা যাবে বড় বড় আলেমের পেছনে বিশাল বড় লাইন এবং তারা সবাইকে নিয়ে জাহান্নামের পথে যাচ্ছে। পুলসিরাতের পথ পর্যন্ত পাড়ি দিতে পারবেন না। এরাই হচ্ছে সেই আলেম

পত্রিকা খুললেই দেখি এসএসসি ফেল কেরানী নিজেই ক্লিনিক খুলে অপারেশন করছেন এবং তাতে রোগী মারা যাচ্ছেন। আপনি লাইসেন্স ছাড়া ডাক্তারী প্রাকটিসের অধিকার নেই এবং আইনত দন্ডনীয়। প্রতিটা পেশাজীবিকেই সুনির্দিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান ছাড়া সে ফিল্ডে কাজ করতে পারেন না। কিন্তু ব্লগ এবং সমাজে ইসলামই একটি বিষয় যেখানে যে কেউ একটা ফতোয়া বা কোরানের আয়াত আউড়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধি বা প্রভাব বজায় রাখছেন এবং ফেতনা ও জুলুমের সৃষ্টি করছেন।

কোরান, সীরাত হাদিস ফিকাহ ইজমা কিয়াসের সে বিশাল লাইন শেষ করেও যদি নিজের মধ্যে ইসলামের মূলনীতিকে ধারন করার ক্ষমতা না থাকে তাহলে মনে রাখবেন আপনি কোনো আলেম নন, আপনি একজন ফাসেক, উলামায়ে শূ।

ব্লগেও এমন মানুষের দেখা মেলে। তারা বিশাল বড় পোস্ট লেখার পর কোরানকে অপমান করে। সে বিষয়ে কথা বললে উল্টো ট্যাগ করে। হাদিসের মোহে এতটাই মশগুল থাকে, তারা হাদিসের ব্যাখ্যার জন্য ফাতলুল বারী, কুরতুবি বা তাবারীর বই গুলো পড়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না। যখন আপনি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ধরবেন তখন তারা আপনাকেই গালাগাল দেবে অথচ ইসলামে গালাগাল সম্পুর্ন নিষিদ্ধ। কাউকে মুরতাদ বা কাফের ঘোষনা করার এখতিয়ার ইসলামে নেই (যদি না সে দালিলিকভাবে নিজের রিদ্দার ঘোষনা করে ফেৎনা ছড়ায়), অথচ তারা অবলীলায় নাস্তিক উপাধী দেয়।

কোনো কিছু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে সরাসরি গুগল করে একটা লিংক ধরিয়ে দেয়, যেনো তারা উলামায়ে গুগল। গুগল করে আপনি নিদেনপক্ষে কোনো মুফতি বা আলেমের পুরোপুরি বক্তব্য তুলে ধরতে পারেন কিন্তু তার ওপর আপনি নিজে কোনো ফতোয়া দেবার যোগ্যতা রাখেন না। কারন আপনি মুফতি নন। আপনি ঐ আলেমের বক্তব্য যিনি পড়বেন তার বিচার বুদ্ধি ও বিবেকের ওপর ছেড়ে দিতে পারেন। তার নিয়তের ওপর আপনার কোনো নিয়ন্ত্রন থাকতে পারে না। কিন্তু ব্লগে দেখি নিজের অজ্ঞতা লুকাতে ঝগড়ায় মত্ত হন। তাদের ইসলামের সামান্য প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান নেই।

ইসলামী জ্ঞানের জন্য আপনাকে মাদ্রাসা ভর্তি হবার প্রয়োজন নেই, কিন্তু আপনাকে তখন কোনো আলেমের বাইয়াত নেয়া জরুরি। যদি বাইয়াতও নিতে না চান তাহলে নিজে কোরান শরীফ পাঠ করুন তাফসীরের সাথে। তারপর সীরাতগুলো শেষ করুন। সীরাত শেষ হলে হাদিস এবং তার ব্যাখ্যা গুলো পড়ুন। তারপরও আপনি ইসলাম সম্পর্কে জানবেন না। কারন যিনি হেফজ করেন তার পক্ষে সকল হাদিস জানা সম্ভব না। যিনি দাওড়া পাশ করেন তারপক্ষে কোরান পুরোপুরি মনে রাখা সম্ভব না। যিনি মুফতি হন তাকে তার সবগুলো মনে রাখতে হবে কারন কোনো সিদ্ধান্তে আসতে হলে এসবের ওপর পুরোপুরি দখল রাখে অবশ্য কর্তব্য। তার সাথে বিভিন্ন আলেম ওলামার মত ও তাদের দালিলিক ব্যাখ্যার ওপর নির্ভর করতে হবে।

আশ্চর্য্যের ব্যাপার ব্লগে যতগুলো ইসলামী পোস্ট দেখি সবই বেদায়াত সম্বলিত পথভ্রষ্ট লেখা। আমি নিজেও ইসলামের কিছুই জানি না, তাই এসব নিয়ে কথা বলতে ভয় হয় কিন্তু যখন দেখি এসব উলামায়ে শূ ময়ূরের পেখম গেথে মোল্লা মুফতির কাজ করে তখন বুঝতে পারি সুন্নিদের মধ্যে কেন এত ভাগ বিবাদ!

চারিদিকে অলিগলির ছত্রে ছত্রে হৃষ্টপুষ্ট উলামায়ে শূ দুটো লাইক কমেন্টের জন্য ইসলামকে বিকৃত করার মহোৎসবে মেতে আছে।

আল্লাহ সবাইকে সঠিক হিকমা দান করুন এবং উলামায়ের শূয়ের পথভ্রষ্টতা থেকে আমাদের রক্ষা করুন।

আমিন

মন্তব্য ৯৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৯৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইসলামে যেভাবে "কেয়ামত"এর কথা বলেছে, তা সেভাবে ঘটবে?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:২২

ফটিকলাল বলেছেন: সেটা আমার মতে বলা সম্ভব নয়। বিজ্ঞানের মূল বিষয়ে পড়াশোনা করলে ঠিকমতো বলতে পারতাম। আর একজন মুসলিম হিসেবে আমি চাই কেয়ামতের আগেই আমার মৃত্যু হোক। বিজ্ঞান অনুসারেই হোক বা কোরান অনুসারে, দুটোই আমার জন্য ভয়ংকর। এত কষ্ট সহ্য করার মতো মানসিকতা আমার নেই।

আপনার নিজের মত কি এই বিষয়ে?

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৪৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আব্বাসিয় খিলাফতের আগে পৃথীবিতে কোন খলিফা ছিল এমন কোন ঐতিহাসিক প্রমান নেই।ঐতিহাসিক প্রমানের জন্য ঐতিহাসিক নিদর্শন থাকতে হবে।
উমাইয়াদের শাসন আমলে নির্মিত ডোম অব দ্য রক যা ৬৯১ খৃ: নির্মিত , সেখানে কাল পাথরে লেখা যে কথাগুলো আছে সেখানে মুহাম্মদের নাম বা খলিফা কথাটি লেখা নেই।সেখানে লেখা আছে( অনুবাদে যা দাড়ায়)। বিশ্বাসীদের কমান্ডার।ওমাইয়ারা খলিফা ছিল এমন এমন কোন ঐতিহাসিক প্রমান নেই।
আব্বাসিয়রা খলিফা ছিল এমন ঐতিহাসিক প্রমান আছে অনেক।তাদের সাম্রাজ্য ছিল অনেক বিশাল।এই বিশাল সাম্রাজ্য শাসনের জন্য তাদের একটি সুশৃঙ্খল ধর্মের প্রয়োজন ছিল।হাদিসের মাধ্যমে তারা সেটা করে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:০৯

ফটিকলাল বলেছেন: আমি বর্তমানে উসুল আল আহকাম নামের বইটা একটু পড়েছি। পুরোটা পড়ে শেষ করতে পারিনি। বেশ কয়েকটা খন্ড।

তবে আপনি যে ন্যারেটিভে কথাগুলো বললেন সেটা আমার অজানা। ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে কোরানের সবচে পুরোনো কপিতে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর নাম আছে। সেটা থেকে স্পস্ট যে মহানবী সাঃ এর অস্তিত্ব আছে। কার্বন ডেট করা সানার পান্ডুলিপি।

আর বাকি যা বললেন সে ব্যাপারে একটু ডিটেইলে বললে বা তার কোনো উপযুক্ত রেফারেন্স দিলে জানতে সুবিধা হতো।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আলোচনা করার বিষয় পেয়ে বেশ ভালো লাগছে

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কোরান সাতটি উপ ভাষায় নাজিল হয়।আপনি কোনটির কথা বলছেন।

বর্তমানে দুটি কোরান প্রচলিত আছে,একটি হাফস কোরান যেটা আমরা পড়ি অন্যটি ওয়ারস কোরান যেটা আফ্রিকার কয়েকটি দেশে পড়া হয়।

আমিতো নবীর অস্তিত্ব নেই তা বলিনি,বলেছি ঐতিহাসিক প্রমান নেই।
২৪ হিজরিতে( হিজরি ধারনা কারন হিজরি লেখা নাই ২৪ আছে) মৃত্যু ওমর।ধারনা করা হয়,কারন ওমর ঐ সময়ের কাছা কাছি মারা যান।কিন্তু খলিফা ওমর এমন লেখা নেই।
আমি ইতিহাস বিদ নই।ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে আমার জ্ঞান শুন্যই বলতে পারেন। তবে সত্য সন্ধ্যানের জন্য একটু খোজাখুজি করি।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২২

ফটিকলাল বলেছেন: কোরান সাতটি উপভাষাতে নাযিল হয়েছে মানুষের স্মৃতিপটে সহজে মনে রাখা যায় এবং বুঝতে সুবিধার জন্য। খোদ মহানবী সাঃ নিজেই এটা বলেছেন। আমি যতদূর জানি ঐতিহাসিক ব্যাক্তিবর্গের অস্তিত্বের বড় প্রমান তাদের কবর এবং ব্যাবহার্য স্মৃতি ও তাদের দ্বারা সংগঠিত কর্মকান্ডের কারনে ইতিহাসের মোড় ঘুরেছে কিনা। সে হিসেবে মহানবী সাঃ ও আহলে বাঈতের কবর প্রায় সবই বিদ্যমান এবং তাদের কবরের রক্ষনাবেক্ষনে কোনো ত্রুটি থাকার কথা নয়। তাছাড়া তারা কোথায় থেকেছেন এবং তারা যেসব যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছেন সেসব চিহ্নিত করা গেছে।

সবচে বড় প্রমান কাবা ঘর এবং মদিনা শহরে গেলে অনেক কিছুই দেখা যায়। অতএব এসব বিষয়ে আমরা নিঃসঙ্ক থাকতে পারি। খলিফা ওমরের সম্পর্কে সমসাময়িক লেখা আছে কিনা বলতে পারছি না তবে তার বাহ্যিক নিদর্শন অবশ্যই থাকতে পারে।

তারপরও আপনি কতটুকু জেনেছেন, কি জেনেছেন সেগুলো নিয়ে খোলাখুলিভাবে আলোচনা করতে পারি।

ভয় নেই, আমি কথায় কথায় নাস্তিক মুরতাদ ট্যাগ দেই না। আলোচনা যদি খোলামনে সভ্য ভাবে করা যায় তাহলে সেটা উপকারী বটে।

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৫

এমেরিকা বলেছেন: যারা ইতিহাসবিদ নয়, যারা সত্য জানার জন্য 'একটু খুজাখুজি (!)' করে, তাদের কাছ থেকে আমাদের জানতে হয়, পৃথিবীর ইতিহাসে আব্বাসীয় খিলাফতের আগে কোন খিলাফতের অস্তিত্ব ছিলনা। এশিয়ায় একটা আর আফ্রিকার জন্য নাকি আরেকটা কোরআন নাজিল হইছে! সেলুকাস! কি বিচিত্র এই ব্লগ!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৫

ফটিকলাল বলেছেন: আপনার কাছে নিশ্চয়ই তার প্রমান ও যথাযথ রেফারেন্স আছে। যদি তাই হয় তাহলে আমাদের জানান।নুরুল ভাই খুঁজে পাননি বলে এই উক্তি করেছেন এবং স্বীকারও করেছেন উনি ইতিহাসবিদ নন। যতদূর বোঝা যাচ্ছে আপনার এ বিষয়ে দখল আছে। দখল না থাকলেও কিছু তো জানেন।

দয়া করে উল্লেখ করুন। কারো যদি ভুল ভাঙ্গিয়ে সহী পথে নিয়ে আসতে পারেন তাহলে তার পূর্ন ছোয়াব আপনিই পাবেন। কেন এই ছোয়াবের সুযোগ হাতছাড়া করতে চান? বরংচ আপনি নিজে এলেমদার হয়ে কাউকে সহী ইসলামের পথে নিয়ে আসতে কার্পণ্য বোধ করলে সে গোনাহ তো একান্ত আপনারই, তাই না?

দয়া করে খোলা মনে যুক্তি ও যথাযথ রেফারেন্স সহকারে খুলে বলুন। আমরা উপকৃত হই।

৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমি তো সেই কবরের কোন একটা পাথরে লেখাটাই আপনাকে বললাম। আমার কাছে দুটি ছবিই আছে,কিন্তু আমি পোষ্ট করতে জানি না। কাবা বা মদিনার মসজিদ কবে তৈরি তার কোন ঐতিহাসিক প্রমান( ঐ সময়ে লিখিত কোন গ্রনে) আছে কিনা,থাকলে বলুন।নবীর মৃত্যর ৫০ বছরের মধ্যে কোন গ্রন্থে( কোরান ছাড়া) তাদের নাম লিখা আছে কিনা বলুন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৯

ফটিকলাল বলেছেন: আপনি নতুন ব্লগ লিখুন এ গিয়ে ছবি আপলোড করলে একটা লিংক আসবে আপলোডে। লিংকটা হুবহু পুরোপুরি কমেন্টে কপি করে দিলেই এসে পড়বে। ছবি গুলো দিতে পারেন। আর এপিটাফে নামের প্রচলন ইসলামে কখনো ছিলো না বলেই জানি।

তারপরও চাচ্ছিলাম আপনি যতদূর যা জানেন ডিটেইলে লেখেন, এই অনুরোধ থাকলো

৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪১

এমেরিকা বলেছেন: @ লেখক, আপনি কোন বইয়ের রেফারেন্স চান আমাকে জানান। দেখি সংগ্রহ করতে পারি কিনা! আর কোন বইতে খিলাফত নিয়ে লেখা আছে কিন্তু উমাইয়া খিলাফাতের কোন উল্লেখ নেই - সেটাও জানিয়েন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫২

ফটিকলাল বলেছেন: আব্বাসীয় খেলাফতের সূচনা যতদূর মুত্তালিব থেকে শুরু যিনি বানু হাসেমি গোত্রের ছিলেন। সবচে ভালো হয় সে সমসাময়িক কোনো ঐতিহাসিকের লেখা বই বা রেফারেন্স দিন যিনি কিনা তৎকালীন সময়টা প্রত্যক্ষ করেছেন বা যারা প্রত্যক্ষ করেছেন তাদের কাছ থেকে সরাসরি জেনেছেন। আরও ভালো হয় সে সময়ের ঐতিহাসিক নিদর্শন। যেগুলো পাওয়া গেছে তার কার্বন ডেট ৮০০ এর আগে পড়ে। যদি ৫০০ এর শেষের দিকে হয় বা ৬৩০ এর দিকে তাহলেও চলবে।

প্রতি মন্তব্যে ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ

৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক গুরুগম্ভীর পোস্ট, এবং তার চাইতেও অধিক গুরুগম্ভীর আলোচনা। এ বিষয়ে আমার জ্ঞান শূন্যের চাইতে সামান্য বেশি হতে পারে। মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য থেকে একটা প্রশ্ন করি। মহানবী সাঃ-এর অস্তিত্ব নিয়ে যদি সংশয় থাকে (নাউযুবিল্লাহ), বা যদি এর ঐতিহাসিক প্রমাণ না থাকে, তাহলে পবিত্র কোরান মহাগ্রন্থটি কে আনলেন? কীভাবে এলো? এ ব্যাপারে লেখক কিংবা নুরুল ভাই, বা এমেরিকা বা অন্য কেউ যদি একটু আলোকপাত করেন, খুশি হব।

পবিত্র কোরানের ৭টি উপভাষায় নাযিল হওয়ার বিষয়টি জানা ছিল না। বর্তমানে দুটি উপভাষা বিদ্যমান থাকলে বাকিগুলোর কী হলো? হাফস বা ওয়ারস কোরানের ভাষা কি ঠিক এভাবেই নাযিল হয়েছিল, নাকি পরবর্তীতে এ ভাষায় 'প্রমিত' করা হয়েছে?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১২

ফটিকলাল বলেছেন: আমার রেফারেন্স সানার পান্ডুলিপি, হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর নিজ হাতে লিখিত কিছু দলিল, কবর ইত্যাদি। এগুলোর বাহ্যিক অস্তিত্ব প্রমান করে তিনি আছেন। বিশ্বাসের দিক থেকে নিঃশঙ্ক যে তার মতো মহাপুরুষের অনুসারী হতে পেরে আমি সৌভাগ্যবান। ঈমানের নীরিখে জান্নাত/জাহান্নাম আল্লাহপাকের উপর ছেড়ে দিয়েছি।

৭ টি উপভাষার রেফারেন্স এখানে। এটা সহী মুসলিম থেকে নেয়া।

বারি প্রশ্নের উত্তর ওপরের কমেন্টকৃত ব্লগাররা দেবেন আশা করি। হাফস ওয়ারস সম্পর্কে আপনি কতটুকু জানেন- সেটা উল্লেখ করলে খুশি হবো। নিজেও সমৃদ্ধ হতে পারি

৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

এমেরিকা বলেছেন: @সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, মহানবী (স) এর অস্তিত্ব নিয়ে সংশয় থাকতেই পারে, এতে নাউযুবিল্লাহ বলার কিছু নেই। যদি ধরে নেন কোরআন কোন ঐশী বাণী নয়, মানুষের লিখিত এবং যুগে যুগে বিবর্তিত (নাউযুবিল্লাহ), তাহলেই সহজে এই সংশয় করা যাবে।

পবিত্র কুরআন ৭টি উপভাষায় নাযিল হবার কোন রেফারেন্স কোথাও পাইনি। এই ধারণাও কুরআন যে যুগে যুগে বিবর্তিত হয়েছে (নাউযুবিল্লাহ) সেটা প্রমাণ করার একটা খোঁড়া যুক্তি। রাসূল (স) এর উপর কুরআন নাজিল হয়েছিল তার মাতৃভাষা আরবীতে। তবে বিশ্বব্যাপী প্রায় সকল ভাষাতেই কুরআনের অনুবাদ হয়েছে।

বর্তমানে কুরআন কোন উপভাষায় চালু নেই। বিশ্বব্যাপী কুরআন মুদ্রিত হয় আরবী ভাষাতেই। তবে ফন্ট ভিন্ন হয়। আমাদের দেশে কুরআন সৌদী, লাহোরী, হাফেজী ও নূরানী ফন্টে ছাপা কুরআনের চল বেশি।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২১

ফটিকলাল বলেছেন: কোরান ৭ টি উপভাষায় নাযিল হয়েছে তার সরাসরি হাদিস দিয়ে দিয়েছি সোনাবীজ ভাইয়ের কমেন্টের প্রত্যুত্তরে। এছাড়া আরো বহু হাদিস যেখানে বিভিন্ন উপভাষার কথা উল্লেখ আছে। এই সাতটি উপভাষাকে আহরুফ বলে : কুরাইশ, হুজাইল, তাহকীফ, হাওয়াজীন,কিনানা, তাহমীম এবং তৎকালীন ইয়েমেনের এক গোত্রীয় আহরুফ। উসমান রাঃ যখন কোরানের সংকলন করেন তখন সর্বপ্রথম হাফসা রাঃ এর কাছে থাকা কোরানের কপি সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলেন। তারপর অন্যান্য কপি পুড়িয়ে ফেলার আদেশ দেন কোরানের এককত্ব বজায় রাখার জন্য। তারপর যে কোরানটি সংকলন করা হয় সরকারিভাবে সর্বসম্মতক্রমে সেটি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেন।

এটাই ইসলামী ইতিহাস ও বিশ্বাস। এভাবেই কোরানের বিশুদ্ধতা নির্নীত হয়েছে

আপনি যদি অন্য কিছু জেনে থাকেন প্লিজ শেয়ার করুন

৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

এমেরিকা বলেছেন: পবিত্র কুরআন ৭টি উপভাষায় নাযিল হবার কোন রেফারেন্স পেয়েছি[link|https://response-to-anti-islam.com/show/সাত-হারফ-[‘সাবআতুল-আহরুফ’---৭টি-উপভাষা---7-Dialects]-কি-কুরআনের-একাধিক-ভার্সন--/124|পবিত্র কুরআন ৭টি উপভাষায় নাযিল হবার কোন রেফারেন্স পেয়েছি]

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৪

ফটিকলাল বলেছেন: আপনি নীল আকাশ ভাইয়ের মতো একই ভুল করেছেন একই লিংক করে। যতদূর খবর নিয়ে জেনেছি আপনি যখন কোনো সার্চ করবেন সেটা কোয়েরি সেট এর সেশন বা টোকেন হিসেবে সার্ভারে রিকোয়েস্ট করে যা একমাত্র আপনার জন্যই প্রযোজ্য। অন্য কেউ অন্য কোনো আইপি বা ওয়ার্কস্টেশন থেকে সেই লিংক দেখতে গেলে তা নাও চলতে পারে।


গুগলের কোয়েরীর টোকেন/সেশন সিস্টেম আলাদা তাই সেটা বিভিন্ন ওয়ার্কস্টেশনে কাজ করে। আমাদের আইটি অফিসার এটাই বললো

১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৮

এমেরিকা বলেছেন: Click This Link

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪

ফটিকলাল বলেছেন: আপনাকে প্রমান হিসেবে ছবি দিলাম



আপনি প্রকৌশলী হিসেবে এটা বোঝার কথা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট যখন কোনো ফ্রেমওয়ার্কে করা হয় তখন প্রতিটা কোয়েরিসেট সুনির্দিষ্ট ইউজারের জন্য একটা টোকেন বা সেশন তৈরী করে যা শুধু মাত্র ঐ ইউজারের জন্য প্রযোজ্য। এখন অন্য কোনো ইউজার নিজস্ব আইপি বা ওয়ার্কস্টেশন থেকে একই টোকেন বা সেশন নিয়ে কাজ করতে গেলে সার্ভার ইরর দেখায়।

আর আমি বুঝতে পারছি ব্লগার নীল আকাশ যে ভুলটি করলেন একই ভুল একই বিষয়ে আপনিও কেন করছেন?

তার ওপর যেখানে হাদিস সহী আছে সেখানে আমরা কেন অন্য বিতর্কিত ওয়েবসাইটের সাহায্য নেবো। আমি আসলেই বুঝতে পারছি না। ৭ টি উপভাষার হাদিস তো ওপরে দিয়েই দিলাম

১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: শুধু ব্লগে না সারা দেশ জুড়েই রয়েছে হৃষ্টপুস্ট উলামায়ে শূ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

ফটিকলাল বলেছেন: এসব উলামায়ে গুগলদের দাপটে টেকা দায়। এদেরকে কিভাবে দমানো যায়, একটা বুদ্ধি দেন

১২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: হৃষ্টপুস্ট উলামায়ে শূ দের কথা বাদ দিয়ে

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৫

ফটিকলাল বলেছেন: পবিত্র কোরান ৩৫:২৮-২৯

অনুরূপ ভাবে বিভিন্ন বর্ণের মানুষ, জন্তু, চতুস্পদ প্রাণী রয়েছে। আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে জ্ঞানীরাই কেবল তাঁকে ভয় করে। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাময়। যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে, এবং আমি যা দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসা আশা কর, যাতে কখনও লোকসান হবে না।

এরকম বহু আয়াত থেকে বলা যায় প্রতিটা মুসলমানের জন্য কোরান পাঠ এবং সে সম্পর্কিত জ্ঞান রাখা ফরজে আইন: তথা অবশ্য কর্তব্য। এবং মৃত্যুর পর আল্লাহর কাছে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে।

১৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: হৃষ্টপুস্ট উলামায়ে শূ দের কথা বাদ দিয়ে দুই চারজন আসলি উলামা-মাশেয়েখের কথা বলুন তাদের ওয়াজ শুনে মুসলিম হয়ে যাবো :D

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২০

ফটিকলাল বলেছেন: মুস্কিলে ফেলে দিলেন। সেদিক থেকে আমি বলবো কোরান পড়ুন তাফসীর সহ। ভালো একটা মাদ্রাসাতে গিয়ে কিছুদিন আরবী শিখুন। তারপর নিজেই সঠিক বিচার করুন।

মানুষ মাত্রই ভুল। তাই আলেম ওলামাদের ভুল হবে না এটা চিন্তা করা বোকামী। কেউ কেউ নিজের স্বার্থে বিকৃত করে কেউ নিজের অজান্তে ভুল করে। তাই পরের ভুল অনুসরন না করে সঠিক শিক্ষা নিয়ে নিজেই মেনে চলুন।

আপনার মনের খবর আল্লাহ জানবেন তাই যদি কোনো ভুল নিজের অজান্তে করেও ফেলেন, আল্লাহ সেটার বিচার করবেন।

একজন মুসলমান হিসেবে বিশ্বাস করি নফসের বিরুদ্ধে জেহাদই সব চে বড় জেহাদ এবং আল্লাহ সর্বজ্ঞানী সর্বদ্রস্টা এবং ন্যায়বিচারক। তার দেখানো পথেই আমাদের মুক্তি।

আমিন

১৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩১

এমেরিকা বলেছেন:

এর আগেও তো এরকম লিঙ্ক দিয়েছি, কোন প্রব্লেম তো হয়নি। এখানেই কেন বার বার হচ্ছে?

১৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

এমেরিকা বলেছেন: এড্রেস বারে যে ওয়েব এড্রেসটা দেখাচ্ছে, সেটার জন্য যে টোকেন বা সেশন তৈরি হয়েছে, তা শুধু আমার জন্যই? অন্যেরা ঐ এড্রেসে গেলে কিছুই দেখতে পাবেনা?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৫

ফটিকলাল বলেছেন: টোকেন এড্রেস এ ব্যাপারটা বলতে পারছি না। আমি যা শুনেছি তাই বললাম। তবে এটা স্পস্ট যে আপনি লিংক যখন কপি করে এখানে পোস্ট করেছেন সেখানে ফন্টের ইউটিএফ৮ এ কনভার্ট হয়ে যাচ্ছে অথচ আপনার লিংকটি বাংলা ফন্টের। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় হলো লিংক শর্ট করার জন্য অনেক ওয়েবসাইট আছে তাদের মাধ্যমে লিংক শর্ট করে সেটা এখানে পোস্ট করা। নইলে আপনার কপি পেস্টকৃত লিংকের ফন্ট এমনিতেই ব্লগের টেক্সটএরিয়া কনভার্ট করে ফেলছে। আর যখন আমি কনভার্টেড লিংক প্রেস করছি সেটা অবৈধ কোয়ারি হিসেবে সার্ভার রিজেক্ট করছে। আপনি যন্ত্রপ্রকৌশলী হবার প্রেক্ষিতে এটা বুঝতে পারবেন আশা করি।

এখন কথা হলো আমি কি কোথাও দাবী করেছি ৭ টি উপভাষাতে নাযিল হওয়াতে কোরান বিকৃত(নাউযুবিল্লাহ)? মনে হয় না। আর আমি এসব বিতর্কিত সাইট পড়ার পক্ষপাতী নই। যেখানে আমার কাছে বিশুদ্ধ হাদিস আছে সেখানে গুগল করে কেন এসব সাইটের স্মরনাপন্ন হতে হবে? যদি হতেই হয় তাহলে নিদেনপক্ষে islamqa এর কাছে ধর্না দিতে পারি। তারা কোনো কুটবাহাসে নাই, অল্টারনেটিভ যুক্তি খোজে না। সব সোজা সাপ্টা জবাব।

আপনি যদি উমাইয়া ও আব্বাসী খলিফাদের ব্যাপারে ঐতিহাসিক নিদর্শন ও তাদের রেফারেন্স দিতে চেয়েছিলেন সেটা দিন। আল বালাধুরী এবং সে সম্পর্কিত তাবারী কুরতুবী শাফী ভিন্ন খেলাফত সমকালীন সুত্র আশা করছি। নুরুল ভাইয়ের সন্দেহ তাতেই দূর হবে আশা করি।

১৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যারা মনগড়া কথা বলে ও ফতোয়া দেয় অচিরেই তারা তাদের কর্মফল ভোগ করবে।

কারণ মানুষকে বিবেক দিয়েছে তা ব্যবহার করে ভাল মন্দ, সত্য মিথ্যা যাচাই করে নেয়ার জন্য।

সবাই হেদায়েতের আলো প্রাপ্ত হোক।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৮

ফটিকলাল বলেছেন: ব্লগের কিছু উলামায়ে গুগল আছেন, যারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পোস্ট ভিন্ন ভিন্ন আইডি দিয়ে বিতর্কিত এবং ভুল ভাল ইসলামী ফতোয়া ও হাদিসের ব্যাখ্যা প্রদান করেন। সে বিষয়ে আপনার কি মতামত? সেদিন একজন ব্লগার বলতে চেস্টা করলেন কোরানের অসম্পূর্ণতার(নাউযুবিল্লাহ) পক্ষে কথা বলতে, সে বিষয়ে আপনার কি মত? কোরান অপেক্ষা হাদিসের গুরুত্ব কি আপনি বেশী বলে মনে করেন?

১৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৯

এমেরিকা বলেছেন: উমাইয়া খলীফাদের জীবনী পড়ার জন্য আপনি ইমাম আজ যাহাবীর দুলওয়ালুল ইসলাম বইটি পড়ে দেখতে পারেন। আরবী ভাষায় রচিত এই বই যেকোন কওমী মাদ্রাসার লাইব্রেরিতে পাবেন। এর অনুবাদ কোথায় পাওয়া যাবে আমার জানা নেই।
এ ছাড়াও উমাইয়া খিলাফাত নিয়ে হাজার হাজার তথ্য সমৃদ্ধ বই আছে - সেখানে ইতিহাসের সূত্র আছে। ইবনে খাইয়াত ৭৭০ সালে উমাইয়া খলিফাদের ইতিহাসের উপর বই লেখেন, যেটার ইংরেজী ভার্সন গুগল করলেই পেয়ে যাবেন।

মহানবীর (স) প্রথম সীরাত গ্রন্থ সীরাত ইবনে হিশাম লেখা হয় উমাইয়া খলীফা উমর ইবনে আজীজ এর সময়। সমসাময়িককালে আরো অনেক গ্রন্থ লেখা হয়েছিল, যেগুলো বাগদাদে মঙ্গোল ইনভেশনের সময়ে ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু রাসূল (স) এর অস্তিত্বে সংশয় করার কারণ কি? ষষ্ঠ শতকে তার আগমনের ইতিহাস অমুসলিম ইতিহাসবিদেরাও স্বীকার করে। বিশ্বের ইতিহাসে তার বিশাল প্রভাবের কারণে ইতিহাসবিদ মাইকেল এইচ হার্ট তাকে ইতিহাসের সর্বকালের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। উনার অস্তিত্ব না থাকলে কেউ না কেউ নিশ্চয়ই চ্যালেঞ্জ করতেন।

ব্লগার রাজীব নুর হচ্ছেন সংশয়বাদী। উনাকে যতই জ্ঞান দেন, দিনশেষে উনি বলবে, যা দেখিনা, তা মানিনা। কিন্তু এই নুরা পাগলা সেই জাতের না। এর এসাইনমেন্ট হচ্ছেযেই ব্লগে ইসলাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেই ব্লগে ঢুকে এমন একটা মন্তব্য করা, যাতে অন্য সবাই চেতে যায়। যে সন্দেহই করেনা - তার সন্দেহ কেউ দূর করতে পারবেনা।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

ফটিকলাল বলেছেন: আপনি এমন এক ইমামের কথা বললেন যার ওপর তাইয়িমিয়ার প্রভাব প্রকট আর তাই জঙ্গিমতবাদ এবং সহিংসতা ও ফেতনাসৃস্টিকারীরা ক্বাওমীদের মধ্যে বেশী দেখা যায়। বর্তমান হেফাজত-খেলাফতের আচরন সবচে বড় প্রমান। খেলাফতের ইতিহাস সর্বোপ্রথম লেখেন আল বানাধুরি। যার লেখা পুস্তক সমূহ একটু বিচ্ছিন্ন বর্ননা থাকলেও পরবর্তীতে তাবারী, গাজ্জালী কাথীর সহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক তাফসীরকারক তাকে অনুসরন করেছেন। তাদের পরে আসছে তাইয়িমিয়া রাঃ এবং তার পর আপনার এই ইমাম।

আর হিশাম প্রথম সীরাত এটা একটি ভুল তথ্য। হিশামের শিক্ষক ইসহাক রাঃ ছিলেন তাবেঈ তাবেঈ তাবেঈন। তার দাদা একজন দাস ছিলেন এবং খালিদ বিনওয়ালিদ রাঃ অভিযানের সময় তাদের এলাকা দখল করলে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন এবং সে হিসেবে হন তাবেঈন। তার ছেলে হন তাবেঈ তাবেঈন এবং সে হিসেবে ইসহাক রাঃ হন তাবেঈ তাবেঈ তাবেঈন এবং তার সীরাতের প্রকাশনার সময়কাল ৭৪৮ খ্রিস্টাব্দ।

মহানবী (সা.)–এর জীবনী আলোচনার প্রধানতম দুটি বাহু রয়েছে। একটি হলো ‘সিরাত’; যাকে ‘সিয়ার’ ও ‘মাগাজি’ও বলা হয়। সিরাত মানে জীবনী। আমরা মহানবী (সা.)–এর জীবনীর যে সাধারণ ধরনটি দেখি, অর্থাৎ জন্ম থেকে তাঁর জীবনের ধারাবাহিক ঘটনাবলির বিবরণ সেটিই ‘সিরাত’ নামে পরিচিত এবং এ-জাতীয় গ্রন্থকে সাধারণত সিরাতগ্রন্থ বলা হয়।

শামায়েলবিষয়ক বিখ্যাত গ্রন্থগুলো হলো ইমাম তিরমিজির (মৃ. ২৭৯ হি.) ‘শামায়েল তিরিমিজি’, ইমাম বাগাবির (মৃ. ৫১৬ হি.) ‘আল আনওয়ার ফিশ শামায়েল’, ইবনে কাসিরের (মৃ. ৭৭৪ হি.) ‘আল-ফুসুল ফি সিরাতির রসুল’ ও জালালুদ্দিন সুয়ুতির (মৃ. ৭৭৪ হি.) ‘শামায়িলুশ শারিফা’

সাহল ইবনে হাসমা (রা.)। তাঁর জন্ম তৃতীয় হিজরিতে। কৈশরে তিনি মহানবী (সা.)–কে দেখেছেন এবং উমাইয়া খলিফা মুয়াবিয়ার আমলে (৪১-৬০ হি.) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর সেই জীবনীর বিভিন্ন অংশ মৌলিক সূত্র আকারে নবম শতকের ঐতিহাসিক বালাজুরি রচিত ‘আনসাব’, ইবনে সাদ রচিত ‘তাবাকাত’, তাবারি রচিত ‘তারিখে তাবারি’ এবং ওয়াকিদির বিভিন্ন রচনায় পাওয়া যায়।

এখন কি ধরতে পেরেছেন আপনার ভুল কোথায়। এজন্যই বলছি গুগল করে কখনোই আপনি সঠিক তথ্য পাবেন না এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করার সম্ভাবনা থাকে।

আপনাকে অনুরোধ করছি গুগল অনুসরন না করে কোনো আলেমের বাইয়াত নিয়ে সঠিক ইসলাম জ্ঞান নিন। আখেরাতে বহুত ফায়দা হবে।

আমিন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৮

ফটিকলাল বলেছেন: আরেকটু অনুরোধ ইসলামী তথ্য বিকৃত ব্যাতিরেকে আমার ব্লগে কাউকে কুকথা বলবেন না। যে মুসলিমের মুখের ভাষা গীবতমিশ্রিত তাকে ঘৃনা করার কথা বলা আছে। নুরু ভাই যা জানেন সেটা নিয়ে সন্দিহান থাকতেই পারেন, আমরা যারা বিশ্বাসী তাদের উচিত তাদের ওপর সম্মান রেখে তাদেরকে সঠিক জ্ঞান দেয়া।

যেহেতু আপনার সঠিক জ্ঞান গুগল এবং উলামায়ে শূ নির্ভর, দয়া করে আপনাকে অনুরোধ করছি আমার ব্লক থেকে দূরে থাকবেন যদি এই অনুরোধ না রক্ষা করতে পারেন।

কোরানের এই আয়াত আমি মাঝে মধ্যেই বলি লাকুম দ্বিনুকুম ওয়ালিয়া দ্বীন ও আল ফিতনাতু আসাদ্দু মিনাল কাতলে

আল্লাহ আপনাকে সুস্থ করুন এবং হেদায়েত দান করুন

আমিন

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

ফটিকলাল বলেছেন: সহী সীরাত ঠিক কবে থেকে লেখা হয়েছে তার আরো বর্ননা:

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (মৃ. ৭৮ হিজরি)। খ্যাতিমান তাফসিরবিশারদ সাহাবি। হাদিস ও সিরাতের বিভিন্ন গ্রন্থে তাঁর রচনা পাওয়া যায়। তাঁদের তিনজনের রচিত নবীজীবনী পুস্তকাকারে পাওয়া যায় না এবং পরবর্তী সময়েও সেই রচনাবলি কোথাও একত্রে সংকলিত হয়নি।

তাঁদের পরে রচনাকর্মে হাত দেন উরওয়া ইবনে জুবাইর (রা.) (মৃ. ৯২ হি.), সাদ ইবনে মুসাইয়িব মাখজুমি (মৃ. ৯৪ হি.), আবদুল্লাহ ইবনে কাব ইবনে মালেক (মৃ. ৯৭ হি.) ও খলিফা উসমানের (রা.) ছেলে আবান ইবনে উসমান (মৃ.১০৫ হি.), ওয়াহাব ইবনে মুনাববিহ (মৃ. ১১০ হি.), ইবনে শিহাব জুহরি (মৃ. ১২০ হি.), শুরাহবিল ইবনে সাদ (মৃ. ১২৩ হি.) ও আবদুল্লাহ ইবনে আবু বাকর ইবনে হাজাম (মৃ. ১৩৫ হি.)। কিন্তু উরওয়া, ওহাব ও জুহরির রচনা ছাড়া সব কটি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, কিছু কিছু অংশমাত্র বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন ইতিহাসগ্রন্থে টিকে আছে।

১৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এসব উলামায়ে গুগলদের দাপটে টেকা দায়। এদেরকে কিভাবে দমানো যায়, একটা বুদ্ধি দেন


না এদের থামানো যাবে না। এদের দমানো যাবে না। ইয়াবা নেসার মতোন এরা সবর্ত্র ছড়িয়ে পড়েছে। তাই সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার জন্য উন্নত কোনো দেশে জীবন যাপন করতে হবে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

ফটিকলাল বলেছেন: ওপরে দেখেন, একজন উলামায়ে গুগল কিভাবে গীবত করছে। কত হীন মন মানসিকতা এদের! ছিঃ

এদের জন্য ঘৃনা করতেও করুনা হয়। এরাই ইসলাম বিকৃত করে, মানুষের মনে ইসলামের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারনা ছড়া্য। এরাই ইসলামের বড় ক্ষতি করে।

১৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানুষই আল্লাহকে সবচেয়ে জ্ঞানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে হাজার বছর ধরে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

ফটিকলাল বলেছেন: তাহলে এর ফলাফল কি দাঁড়ালো?

২০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১০

এমেরিকা বলেছেন: আমি কারও কোন গীবত করিনি। ব্লগে মন্তব্য করার সময় ধরে নিব যিনি আগে মন্তব্য করেছেন, তিনি এখানে উপস্থিত আছেন। আমি সত্যি কথা বলছি কিনা - এটা জানার জন্য মূলত ইসলাম নিয়ে লেখা অন্যান্য ব্লগে তার কমেন্ট দেখতে পারেন। কোন যুক্তি না দেখিয়ে ইসলাম অনুসারীদের খেপিয়ে তোলাই তার উদ্দেশ্য থাকে। এই ধরণের মানুষকে কোন খাতির করা আমার ধাতে নেই। যে বোঝেনা, তাকে বোঝানো যায়। কিন্তু যে বুঝতেই চায়না - তার সাথে কোন লেনদেন নাই।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

ফটিকলাল বলেছেন: বোঝা যায় কে কেমন কথা বলে। আপনার অনেক কমেন্টও সেরকম দেখলাম। অথচ সবই গুগল থেকে সংগৃহিত।

আপনার মতো গীবতকারী মানুষের সাথে কথা বলাও গুনাহের কাজ।

আল্লাহ আপনার সুস্থতা দান করুন

২১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সূরা শূর আয়াত ৭

এমনি ভাবে আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরান নাজিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ পাশের লোকদের সতর্ক করেন এবং সতর্ক করেন সমাবেশের দিন সম্পর্কে, যাতে কোন সন্দেহ নেই।
একদল জান্নাতে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে।

এখানে স্পষ্ট যে আরবী ভাষার কোরান হল,মক্কা ও এর আশ পাশের লোকের জন্য।

কোরান ৭ উপ ভাষায় হাদিস
সহীয় বুখারী নং৪৬২৬ পৃ:৩৪০,৮ ম খন্ড ইসলামিক ফাউ:

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৯

ফটিকলাল বলেছেন: এবং বাকি সাতটি আহরুফ দেয়া হয়েছিলো আশেপাশের মানুষজন বুঝতে পারে। একটা প্রশ্ন, বাইবেল তোরাহর ক্ষেত্রে আসলে কি হয়েছিলো? সেগুলোর ঐতিহাসিক নিদর্শনের মূল্য কি রকম?

২২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কোরান দাবি করে অন্য কোন গ্রন্থের প্রয়োজন নাই।আবার কোরানই দাবি করে তোমাদের জন্য গ্রন্থদেয়া হয়েছে।এখন কোন দিকে যাবেন।মুসলমানরা বলে ঐ গ্রন্থগুলো বাদ,আল্লাহ বলে তোমাদের জন্য তোমাদের গ্রন্থ।আমি গুছিয়ে লিখতে পারি না।কিছুক্ষন পর আমিই বুঝিনা আমি কি লিখেছি।
এই সব কিচ্ছা কাহিনির ঐতিহাসিক নিদর্শন দিয়ে কি হবে।কাজের মানুষের এইগুলো নিয়ে ভাবার সময় নাই।কিছু মোল্লা মৌলভী,কিছু পাদ্রী ফাদ্রী আর আমার মত কিছু আজাইড়া লোক এই সব নিয়া সময় কাটায়।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১৭

ফটিকলাল বলেছেন: এজন্যই একটি গ্রুপ আছে যারা শুধু কোরানকে মানে হাদিস বা মাজহাবকে গুরুত্ব দেয় না। কোরানের যেসবের বর্ননা নাই সেগুলোর জন্য তারা ঐচ্ছিকভাবে ট্রাডিশন ফলো করতে বাধ্য নন। যেমন কোরানেই কিন্তু সালাত কিভাবে আদায় করতে হয় সেটা বলা আছে বিভিন্ন আয়াতে। এখন কেউ যদি বলে কোরানে সালাত কিভাবে পড়তে হবে সেটা নেই সেটা মিথ্যা। কোরানে সব কিছুই আছে এবং তখন হযরত মুহাম্মদ সাঃ উপস্থিত ছিলেন তাই সবার জন্য অনুসরন করা স হজ ছিলো। মহানবী সা্ঃ এজন্যই হাদিস সীরাত লেখা নিরূৎসাহিত করেছিলেন যাতে আমরা কোরানকে পাশ কাটিয়ে চলি।

এখন মহানবী সাঃ মারা যাবার পর তার দেখানো পথেই নিয়মগুলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তর চলে যাবে এবং তিনি কখনো ভাবেননি যে এমন বিবাদের সৃষ্টি হবে। এখন এই বিবাদ ইচ্ছে করলেই ঠেকানো যেত কি যেত না সেটা আল্লাহ ভালো জানেন। এজন্য তিনি জীবদ্দশায় আরবে মুসলমানদের রাজত্ব এবং তাদের ঐক্যের ওপর জোর দিয়ে গিয়েছিলেন।

আমি নিজেও অবশ্য এত ভালো বলতে পারি না, আবার এত বেশী জানি না। আমার অবস্থা আপনার থেকে তত সুবিধার নয়। তবে আপনার অনুভূতি বুঝতে পারি।
তজ্জন্য মহান আল্লাহপাকের কাছে আপনার জন্য হেদায়েত কামনা করছি

২৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:০৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কোরানের সব আয়াত মিলেয়ে নামাজের নিয়ম কানুন,কত রাকাত ইত্যাদি বলুন।কোন কোন সুরার কত নাম্বার আয়াতে আছে।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৩১

ফটিকলাল বলেছেন: ৪:৪৩, ৫:৬ ওজুর ব্যাপার আছে। ২:১৪৩-১৪৪ এ ক্বিবলার কথা, ৭:৩১ পরিচ্ছদের, ৪:১০৩,১১:১১৪,১৭:৭৮,২৪:৫৮,৩০:১৮,২:২৩৮,২০:৫৮ নামাজের ওয়াক্ত, সিজদা ৪:১০২,৪৮:২৯, ২:২৩৮ একাধিক সালাম, ২:২৩৮-৩৯ নামাজের একাধিক ফর্ম, ৩:৩৯, ৪:১০২ দাড়ানোর নিয়ম, ৪:১০২, ২২:২৬,৩৮:২৪,৪৮:২৯ রুকু-সিজদা,৬২:৯ আজান, ৪:৪৩ ক্বেরাত, ২৯:৪৫ নামাজের উদ্দেশ্য, ৪:১০১ নামাজ সংক্ষেপের নিয়মসমূহ, ৪:১০২ ইমামতি এরকম আরো কিছু নিয়ম আছে। যদিও আপনি যদি সবকিছু মিলিয়ে নেন তাহলে চলমান নামাজের প্রথাসমূহের সাথে তেমন পার্থক্য নেই।

এজন্য সৌদীর কিছু মসজিদে একটু ভিন্ন রকম নামাজ পড়ায়। আমরা সরাসরি শিয়া বলি, কিন্তু তারা শিয়া নন। তারা শুধুমাত্র কোরানকে অনুসরন করেন।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৩২

ফটিকলাল বলেছেন: আর আমি অবশ্য সুন্নী দেওবন্ধীদের অনুসরন করি, এভাবেই শিখেছি। বাকি সব আল্লাহ জানেন

২৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:০১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কোরান অনুসরন করার সমস্যা কোথায়।দেওবন্ধী লাগবে কেন?
মূল আলোচনা থেকে অনেক দুরে চলে এসেছি।কোন ঐতিহাসিক প্রমান পেলেন।
আমাদের এখানেতো আটরশি,নয় রশি,এই চর সেই চর কোন অভাব নাই।আপনি এত দুরে গেলেন।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:১১

ফটিকলাল বলেছেন: কারন আমার পরিবারের দাদা, বড় দাদাদের আমল থেকেই এই সিলসিলা। আমি আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলেও ইসলাম বিষয়ে এতটা গভীর জ্ঞানার্জন করিনি। বাংলাদেশে যারা আছেন, তাদেরকে আমরা শ্রদ্ধা করি। দেশের বাড়িতে ক্বওমী, ইবতেদায়ী, বেশ কিছু হেফজ খানা থেকে শুরু নানা তরিকার মানুষ বাস করেন। এসব আমার কাছে শুধুই নাম।
মাঝে মাঝে যখন মৌলানা সাহেবের সাথে কথা বলি তখন ওনাকে আপনার মতোই প্রশ্নে জর্জরিত করি। আমার সাথে যোগ দেয় অন্যান্য ছাত্ররা। বলতে পারেন ফ্রিতে ক্লাশ আরকি।

শিখছি এখনো। পারিবারিক বিশ্বাস আফিমের নেশার চাইতেও ভয়ংকর। মনে নানা প্রশ্ন তো জাগেই। নিজে খুজে না পেলে বই নিয়ে তখন দৌড়াতে হয়। এখন অবশ্য সে সময় পাই না। কাজের চাপ বাড়ছে।

আপনার কথা বলেন এবার

২৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৩৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সারা রাত ব্লগে ছিলেন।নিশ্চয় দেশের বাইরে কোথাও থাকেন।
সুন্নি,ওহাবীএবং শিয়া কারা ভাল মুসলমান।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৪২

ফটিকলাল বলেছেন: দেশেই তবে রাতে একটু ব্যাক্তিগত কাজে জেগে।

ভালো মুসলমান তারাই যারা একজন মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখে। লিঙ্গ, জাত পাত, ধনী গরীব ইত্যাদি পরের বিষয়। যার মধ্যে মানবিকতা আছে সেই সেরা মুসলমান। সুন্নি ওহাবী শিয়া এগুলো আল্লাহ দেখবেন।

২৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ধর্ম পালন না করেও একজন মানুষের মাঝে এই গুন গুলো থাকতে পারে।তাদেরকে কি বলবেন।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:০২

ফটিকলাল বলেছেন: তারা মানুষ, ভালো মানুষ। আলোকিত মানুষ। শুধু অন্তরে মোহর।

২৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: নবী কিন্তু তাদেরকে বলেছে,দুনিয়ার নিকৃষ্ট জীব।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

ফটিকলাল বলেছেন: যতদূর বুঝেছি লাইনটি সকল বিধর্মীদের নয়। আহলে কিতাব ও মূর্তি পূজারী তথা কুরাইশদের মধ্যে তাঁরাই যারা মহানবী সাঃ এর কাছে স্বীকার করেছিলেন তিনিই সত্য এবং কুরাইশরা তাকে হাজির নাজির মানার পরও ইসলাম গ্রহন করেনি। তাদেরকে নিকৃষ্ট বলা হয়েছে।

একজন বিশ্বাসী মুসলিম হিসেবে এই পৃথিবী আল্লাহর বলে জানি সেখানে বিধর্মীরা অবশ্যই তার করুনাতে থাকবে আর আমরা রহমতে। কিন্তু এদের মতে তারা নিকৃষ্ট যারা স্বীকার করা সত্বেও খোদগারী করে। এটাই তো স্বাভাবিক।

২৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত চমৎকার একটা পোস্টের জন্য। অনেকদিন পর একটা পোস্টে আমি যৌক্তিক কথাবার্তা শুনলাম। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন ধর্মকে অযাচিতভাবে কঠিন বানানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমি বিশ্বাস করি, ইসলাম একটি সহজ ধর্ম।

হাদিস নিয়ে আপনি যা বলেছেন, তার সাথে আমি সম্পূর্ন একমত। আপনার ১৬ নাম্বার কমেন্টের কিছু অংশ আমি আবার কোট করছি। " ব্লগের কিছু উলামায়ে গুগল আছেন, যারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পোস্ট ভিন্ন ভিন্ন আইডি দিয়ে বিতর্কিত এবং ভুল ভাল ইসলামী ফতোয়া ও হাদিসের ব্যাখ্যা প্রদান করেন।"

আসলে এই ধরনের মানুষরা যতই চেষ্টা করুন, ডিজিটাল ট্রেইল তারা মোছার মত দক্ষতা তাদের নেই। ফলে একটু চেষ্টা করলেই বুঝা যায়, কারা কারা এই ধরনের কাজ করছেন। তাদের এই কাজ দেখে আমার হাসি পায়।


০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

ফটিকলাল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আমি নিজেও যে খুব জানি সেটা বলবো না। আমারও জানার ঘাটতি আছে। আর তাই প্রতিমন্তব্যে আমি সবাইকে প্রশ্ন করে অতিরিক্ত বিরক্ত করি। এটা বুঝতে পারি অনেকেই ধৈর্য্যহারা হন, অস্বস্তিবোধ করেন, এড়িয়ে চলেন। তারপরও অনেকে ফিরে আসেন বলে তাদের কাছে কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন করছি।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

২৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় ফটিকচাঁদ, একটি অনুরোধ করব। যদি সম্ভব হয় তাহলে রাখবেন। কোরানের যে সুরা গুলোতে নামাজের বিভিন্ন নিয়ম কানুন সম্পর্কে বলা হয়েছে, অনুগ্রহ করে সেই সুরা গুলোর নাম ও আয়াত নাম্বার আলাদা করে কি দেয়া সম্ভব?
যেমন ২০ঃ৫৮ মানে আমি কি বুঝব? ২০ নাম্বার সুরার ৫৮ নাম্বার আয়াত?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

ফটিকলাল বলেছেন: কোরানের একরগুলো রেফারেন্স সেভাবে দিতে গেলে অনেক বড় কমেন্ট করতে হয় এবং ভোর রাতে আমি একটু ক্লান্ত অনুভব করছিলাম। আপনি ঠিক ধরেছেন। যদি ভুল না করি কোথাও ক্রম অনুসারে সেটাই হবে।

তারপরও আমি স্বীকার করছি আমি ইসলামের তেমন কিছু জানি না। যতটুকু জেনে বুঝেছি তা পালন করার চেস্টা করি আর যখনি আমার বুঝে আসে না সরাসরি ফোন করি ইমাম সাহেবকে। তারা আমাকে যথাসাধ্য সাহায্য করেন

ধন্যবাদান্তে

৩০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮

সোনালি কাবিন বলেছেন: যেমন ২০ঃ৫৮ মানে আমি কি বুঝব? ২০ নাম্বার সুরার ৫৮ নাম্বার আয়াত?

// হুম //

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫

ফটিকলাল বলেছেন: যতদূর বুঝলাম ضُحًى শব্দটি দিতে নামাজের সময়ের ওয়াক্তিয়া ব্যাপ্তি বোঝানো হয়েছে।

ক্লান্ত অনুভব করেছি তার চে বড় কথা আমি ইসলামিক স্কলার নেই। কোরান হাদিসের ব্যাখ্যা সম্বলিত পোস্ট লেখার যোগ্যত নেই। এর কোনো একাডেমিক জ্ঞান তো দূরের কথা। তাই চেস্টা করি ট্রাডিশনাল যে ব্যাখ্যা আছে তা মিলিয়ে নিতে এবং অবশ্যই সেটা কোরানের অপরাপর ব্যাখ্যার সাথে যায়। আল্লাহ আমাকে হিকমা দেননি তবে বিবেক দিয়েছেন, খাস দিলে ভালো মন্দ বিচার করার ক্ষমতা দিয়েছেন। সন্দেহ হলে অবশ্যই আমি আলেমদের স্মরনাপন্ন হই তবুও দিনশেষে নিজের বিচার বুদ্ধিতে ভরসা রাখি।

তারপরও আমি কোরানিক ব্যাখ্যা সম্বলিত পোস্ট দিতে অপারগ ও অক্ষম। আমার বোঝার ভুল হলে তার শেফা চাইতে পারি আল্লাহর কাছে কিন্তু অন্যকে এ পথে আসবার জন্য প্ররোচিত করতে পারি না।

বাকিটা আপনাদের ইলমের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।

ধন্যবাদ পয়েন্টটি সেভাবে তুলে ধরার জন্য।

৩১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জাদিদ ভাইকে। ফেবু গ্রুপে লিংক না পেলে হয়তো মিস হয়ে যেত একটা সমৃদ্ধ পোষ্ট

আর লেখককে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন
উত্তেজনাকে পাশে রেখে চমৎকার নিরপেক্ষতায় সত্যকে ভালবেসে নির্মোহ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
চলুক আলোচনা। বেরিয়ে আসুক সত্যের স্বচ্ছ সুন্দর সহজ রুপ
+++

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯

ফটিকলাল বলেছেন: উত্তেজিত না হয়ে থাকতে পারলাম কই, প্রিয় কবি? আমিও মানুষ। রাগ ক্রোধ কামের মতো ষড়রিপু কি আমার নেই? তবে ওপরের একজন যখন গীবত শুরু করলো তখন আর নিজেকে সম্পর্ক করতে পারিনি।

এখনও সেই ক্রোধের প্রভাব কাজ করছে। আমি নিখুঁত মানুষ হতে পারি নি।


তবে আপনার আগমনে কিছুটা খুশি হয়েছি। পোস্টে আপনারই অভাব প্রতিদিন অনুভব করেছি।

আপনি কেমন আছেন এখনো এই উত্তরটা পাইনি, প্রিয় কবি! !

৩২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আলহামদুিলল্লাহ
দয়ালের অসীম কৃপায় ভাল আছি।

আপনার এই অনুভবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই টুকুই জীবনের প্রাপ্তি বলে মনে করি।
যেই প্রেমে সকল সৃজন সেই প্রেমই হারিয়ে ফেলছি আমরা পঞ্চভূতে ডুবে গিয়ে।
যেই প্রেমের সন্ধান মিলে মুর্শিদের চরণ তলে
ইশকে ইলাহীর মহা সাগরে,
সেই সরলতায়, সেই সহজতায়, সেই ভালবাসায়
যা প্রতিষ্ঠার তাগিদে ভরপুর কোরআন।

নিখুঁত ভবে নবী সাল্লেআলা ছাড়া কেউ নেই। তবে কে কত কম তাই বিচার্য।
তবে আপনার অপারগতা টুকু অনুভব করি বাস্তবতায়। তাই তা ইগনোর করুন। নিজের সুস্থতার জন্য
প্রশান্তচিত্ত আত্মার সাধনে পথের কাটায় থেমে গেলেতো হবার নয় . . . .

ভাল থাকুন। শুভকামনা অফুরান

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৪

ফটিকলাল বলেছেন: শুকুরআলহামদুলিল্লাহ। আপনার উত্তর পেয়ে ভালো লেগেছে। এবং আপনার উপদেশ শিরোধার্য। ব্লগে খুব কম মানুষ চাই যারা সঠিক হিকমার আলোকে কথা বলেন। আমি নাদান বান্দা অতকিছু বুঝি না। তবে যার কথায় সবার মঙ্গল হয়, সেটাই তো বড় শিক্ষা!

অনন্ত শুভেচ্ছা, প্রিয় কবি

৩৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ এই ধরণের একটি পোস্ট দেয়ার জন্য। আপনার লেখাতে তেমন কোন রেফারেন্স ব্যবহার করেন নাই, আমি পড়তে যেয়ে থেমে যেতে চেয়েছিলাম---কিন্তু আপনি মন্তব্যের জবাবগুলো খুবই সুন্দর দিয়েছেন। আমি অনুরোধ করবো সত্যিকার প্রমান ছাড়া কোন রেফারেন্স দিবেন না। আর হ্যা পবিত্র কোরআনে নামাজ পড়ার পুরো নির্দেশনা থাকলে সুরার নামসহ, আয়াত নম্বরসহ রেফারেন্স দিয়েন। যারা মন্তব্য করছেন এবং আপনি মন্তব্যের উত্তরে যা দিচ্ছেন তা ভেবে চিন্তেই দিয়েন---কারণ কাউকে খুশি করার কোন কারন নেই--- উপরওয়ালার কাছে জবাব কিন্তু আপনাকেই একদিন না একদিন দিতেই হবে ---। সহীহ বোখারী শরীফ মিথ্যা হয়ে যাবে !!!!! হাদিসগুলো সংগ্রহ করার সময় অনেক ভেবে চিন্তেই সংগ্রহ করা হয়েছিল---তবে কিছুটা দুর্বল হাদিস আছে সেটা ভিন্ন কথা------কোরআন যেটা আল্লাহ সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছেন--- আর নবী করিম (সা:) যা কিছু করেছেন /চর্চা করেছেন তা হাদিসে বর্ণনা আছে -----

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯

ফটিকলাল বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আমি ইসলামী পোস্ট লিখতে অপারগ। পোস্ট পড়েই বুঝতে পারার কথা ইসলামী কোনো জ্ঞান বা ফতোয়া দিতে হলে তাকে স্পেশাল জ্ঞানের অধিকারী হতে হয় এবং যদি সামান্যতম ভুল হয় তাহলে ফেতনার কারন হতে পারে। পোস্টে মূলত ইসলামী কোনো পোস্ট বা কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে হলে তাকে কি কি জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অধিকারী হতে হবে সে বিষয়টি লেখা। পারিবারিক ভাবে আলিয়া মাদ্রাসা চালাবার বদৌলতে আমাদেরকে মাঝে মাঝেই বিভিন্ন বিষয়ের মুখোমুখি হতে হয় যাতে আলেম ওলামা ও মুফতির সাহায্য নিতে হয়। এসব ঘটনা মূলত আমাদের মাদ্রাসা ঘিরেই নিতে হয় যাতে করে এর পরিবেশ সামন্জ্ঞস্যপূর্ন রাখা জরুরী।

ইমাম শাফী রাঃ, ইমাম বোখারী রাঃ তাদের সময়ের প্রখ্যাত হিকমাওয়ালা আলেম ছিলেন সন্দেহ নাই। তাদের মতো ইসলামী জ্ঞানওয়ালা মানুষ ইতিহাসে খুব কম দেখা যায়। নিয়তের কারনে তারা যে ইলমের মোকামে পৌছেছেন তা অনুসরনীয়।

আপনাকে কিছু হাদিস উল্লেখ করছি

১)২/১৯৪৪। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রজম সম্পর্কিত আয়াত এবং বয়স্ক লোকেরও দশ ঢোক দুধপান সম্পর্কিত আয়াত নাযিল হয়েছিল, যা একটি সহীফায় (লিখিত) আমার খাটের নিচে সংরক্ষিত ছিল। যখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করেন এবং আমরা তাঁর ইন্তিকালে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লাম, তখন একটি ছাগল এসে তা খেয়ে ফেলে।
মাজাহ ১৯৪৪ সহীহুল বুখারী ১৪৫২

২)গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ [3490] অধ্যায়ঃ ১৮। দুধপান
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ৬. (কোন মহিলার দুধ) পাঁচ চুমুক খাওয়াতে হারাম সাব্যস্ত হওয়া প্রসঙ্গে
৩৪৯০-(২৫/…) আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামাহ্ আল কা’নাবী (রহঃ) ….. আমরাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আয়িশাহ (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেন, যখন তিনি দুধপানের ঐ পরিমাণ সম্পর্কে আলোচনা করলেন যার দ্বারা হারাম সাব্যস্ত হয়। আমরাহ বললেন যে, আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেছিলেন, আল-কোরআনে নাযিল হয় عَشْرُ رَضَعَاتٍ مَعْلُومَاتٍ “নির্ধারিত দশবার দুধপানে”। অতঃপর নাযিল হয় خَمْسٌ مَعْلُومَاتٌ “নির্ধারিত পাঁচবার দুধপানে।” (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৪৬৩, ইসলামীক সেন্টার. ৩৪৬২)

৩)হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [4740]
অধ্যায়ঃ ৫৪/ বিয়ে-শাদী
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ২৪৫৫. কোন মহিলা কোন পুরুষের কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে পারে কিনা ?
৪৭৪০। মুহাম্মাদ ইবনু সালাম (রহঃ) … হিশামের পিতা উরওয়া থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, যে সব মহিলা নিজেদেরকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট সমর্পণ করেছিলেন, খাওলা বিনতে হাকীম তাদেরই একজন ছিলেন। আয়িশা (রাঃ) বলেন, মহিলাদের কি লজ্জা হয় না যে, নিজেদের পুরপুরুষের কাছে সমর্পণ করছে? কিন্তু যখন কুরআন ের এ আয়াত অবর্তীর্ণ হল- “হে মুহাম্মাদ! তোমাকে অধিকার দেয়া হল যে নিজ স্ত্রীগণের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা আলাদা রাখতে পার।” আয়িশা (রাঃ) বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার মনে হয়, আপনার রব আপনার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করার ত্বড়িৎ ব্যবস্থা নিচ্ছেন। উক্ত হাদীসটি আবূ সাঈদ মুয়াদ্দিব, মুহাম্মাদ ইবনু বিশর এবং আবদাহ্ হিশাম থেকে আর হিশাম তার পিতা হতে একে অপরের চেয়ে কিছু বেশী-কমসহ আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

৪)Volume 2, Book 23, Number 333:
Narrated 'Aisha :

Abu Bakr came riding his horse from his dwelling place in As-Sunh. He got down from it, entered the Mosque and did not speak with anybody till he came to me and went direct to the Prophet, who was covered with a marked blanket. Abu Bakr uncovered his face. He knelt down and kissed him and then started weeping and said, "My father and my mother be sacrificed for you, O Allah's Prophet! Allah will not combine two deaths on you. You have died the death which was written for you."

Narrated Abu Salama from Ibn Abbas : Abu Bakr came out and 'Umar , was addressing the people, and Abu Bakr told him to sit down but 'Umar refused. Abu Bakr again told him to sit down but 'Umar again refused. Then Abu Bakr recited the Tashah-hud (i.e. none has the right to be worshipped but Allah and Muhammad is Allah's Apostle) and the people attended to Abu Bakr and left 'Umar. Abu Bakr said, "Amma ba'du, whoever amongst you worshipped Muhammad, then Muhammad is dead, but whoever worshipped Allah, Allah is alive and will never die. Allah said: 'Muhammad is no more than an Apostle and indeed (many) Apostles have passed away before him ..(up to the) grateful.' " (3.144) (The narrator added, "By Allah, it was as if the people never knew that Allah had revealed this verse before till Abu Bakr recited it and then whoever heard it, started reciting it ";)

ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরানের বিশুদ্ধতা ও সংরক্ষনের ওয়াদা খোদ আল্লাহ পাক করেছেন। সেখানে উপরোক্ত হাদিস সমূহ সরাসরি এই ধারনা প্রশ্নবিদ্ধ করে (নাউযুবিল্লাহ) এবং এসবের রেয়াত সনদ সবই সহী। শুধু বুখারীই ইবনে শাফি থেকে শুরু আল সুয়ুতি, আলি হিন্দি পর্যন্ত প্রায় সবার সংকলিত হাদিসেরই এরকম অসংখ্য স হী হাদিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে যেগুলো ফেতনা ও কোরানের বৈপরিত্যেই দাড়ায়, হযরত মোহাম্মদ সাঃ থেকে শুরু করে খোলাফায়ে রাশেদীনের মান ও শানে আঘাত করে।

আর এই যে বিপরীত্য একে ঠিক করার জন্য তৈরী হলো ইজমা কিয়াস ফিকহ সহ নানা ডিপার্টম্যান্ট কিন্তু তাতে মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তি রুখতে পারেনি। তদুপরী কোরানের যে শব্দগুলোর ওপর নির্ভর করে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর ওফাতের ২০০ বছর পরে হাদিস শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে তার যুক্তিগুলো আমার কাছে বেশ খেলো মনে হয়।

ওপরের কথাগুলো আমি ব্যাক্তিগত ভাবে বিশ্বাস করি এবং আপনি জিজ্ঞেস করেছেন বলেই আমার মতামত প্রকাশ করলাম এবং এটাও ঠিক যে আমি কোনো ইসলামী স্কলার নই এবং ইসলামী যে কোনো বিষয়ে আমি কোরানকে প্রাধান্য দেই। দেওবন্দ অনুসরন করি শুধুমাত্র ইসলামী ট্রাডিশনটা রেডিমেড পেয়ে যাই। আমার মধ্যে ইলমের ঘাটতি আছে বলেই রেডিমেড একটা কিছু অনুসরন করছি এবং সময় সুযোগ পেলে কোরানের ওপর আরও ইলম করার খায়েষ আছে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৩৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩১

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত যে নবী করিম সাঃ লিখার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে চাপ পরে ইমো চিহ্ন পরে গিয়েছে --এজন্য সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১

ফটিকলাল বলেছেন: এটার কারনেই মহানবী সাঃ এবং সাহাবীদের নামের পাশে থাকা দরুদে আমি কোনো ব্রাকেট ব্যাবহার করি না । তাদের নামের পাশে এসব ইমোটিকন থাকাটা অপমান জনক।

তবে আপনাদের অনিচ্ছাকৃত ভুল আমি বুঝতে পারি

ধন্যবাদ

৩৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ফটিকলাল এমেরিকা ভাইদেরন ধন্যবাদ। এমেরিকা'র লিংকটা হবে এটা : সাত হারফ

লিংকের কপি-পেস্ট করছি নীচে। পুরোটা একসাতে না এলে দুই কমেন্টে দেয়া হবে।

---

সাত হারফ [‘সাবআতুল আহরুফ’ / ৭টি উপভাষা / 7 Dialects] কি কুরআনের একাধিক ভার্সন?

অনেকেই সাবআতুল আহরুফ বা কুরআনের ৭ হারফ (7 dialects) নিয়ে প্রশ্ন তুলে থাকেন এবং অভিযোগ করে থাকেন এটা নাকি কুরআনের বিভিন্ন ভার্সন বা সংস্করণ(নাউযুবিল্লাহ)। অনেক সময়ে খ্রিষ্টান মিশনারী কিংবা নাস্তিক মুক্তমনারা বিভিন্ন জায়গায় প্রাপ্ত প্রাচীন কুরআনের কপির কথা প্রচার করেন যেগুলোতে কিছু শব্দ ও বাক্য বর্তমানে প্রচলিত কুরআনের থেকে কিছুটা ভিন্ন। এভাবে তারা আল কুরআনের সংরক্ষণ ও সঙ্কলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন, তারা বলতে চান যে কুরআন ঠিকভাবে সংরক্ষিত হয়নি এবং সাহাবীগণ আল কুরআনকে পরিবর্তন করে ফেলেছেন (নাউযুবিল্লাহ)। আসুন এইসব অভিযোগের স্বরূপ সন্ধানে যাওয়া যাক।



হারফ বহুবচনে আহরুফ(ج. أحرف حرف)অর্থ কিনারা, তট, কূলভূমি ইত্যাদি। [1]



যেমন আল্লাহ বলেন,

وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَعْبُدُ ٱللَّهَ عَلَىٰ حَرْفٍۢ ۖ

অনুবাদঃ কিছু কিছু মানুষ আছে যারা দ্বিধার(প্রান্তে দাঁড়িয়ে) আল্লাহর ইবাদাত করে। (সূরা হাজ্জ, ২২:১১)



সাত হারফে কুরআন নাযিলের বিষয়টি অনেক হাদিস দ্বারা প্রমানিত।



ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্(صلى الله عليه وسلم) বলেছেন, “জিবরাঈল (আ) আমাকে একভাবে কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন। এরপর আমি তাকে অন্যভাবে পাঠ করার জন্য অনুরোধ করতে লাগলাম এবং পুনঃ পুনঃ অন্যভাবে পাঠ করার জন্য অব্যাহতভাবে অনুরোধ করতে থাকলে তিনি আমার জন্য পাঠ পদ্ধতি বাড়িয়ে যেতে লাগলেন। অবশেষে তিনি সাত হারফে তিলাওয়াত করে সমাপ্ত করলেন।” [2]



আল কুরআনের এই ৭ হারফ আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ্(صلى الله عليه وسلم) কর্তৃক অনুমোদিত।



◘ এই সাত আহরুফ বা হারফসমূহ দ্বারা উদ্দেশ্য কী?



উলামারা অনেক আগে থেকেই এই সাত হারফ দ্বারা কী উদ্দেশ্য তা নির্ণয় করতে গিয়ে মতভেদ করেছেন। তবে সবচেয়ে বিশুদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য মত সম্পর্কে শায়খ সালিহ আল মূনাজ্জিদ বলেন,

أحسن الأقوال مما قيل في معناها أنها سبعة أوجه من القراءة تختلف باللفظ وقد تتفق بالمعنى واٍن اختلفت بالمعنى: فاختلافها من باب التنوع والتغاير لا من باب التضاد والتعارض

“এই বিষয়ে উলামাদের থেকে বর্ণিত সর্বাধিক প্রাধান্যপ্রাপ্ত মত হলো যে এই সাবআতুল আহরুফ কিরাতের সাতটি বিশেষ পদ্ধতি যা শব্দের দিক থেকে আলাদা হলেও অর্থের দিক থেকে এক। আর যদি ও অর্থের দিক থেকে একে অপরের থেকে ভিন্নও হয় , তবে তা বৈচিত্র্যের দিক থেকে সামগ্রিকভাবে একে অপরের বিরোধী নয়” [3]



আমরা কুরআনের হারফ সাতটির সামান্য পরিচয় জানবো ও এই সম্পর্কিত কিছু উদাহরণ দেখে নেবো।



কুরআনে হারফ সাতভাবে ভিন্ন হতে পারে –



(১) ভিন্ন শব্দে একই অর্থ প্রকাশ;

(২) শব্দ ও অর্থ উভয়তেই পার্থক্য হওয়া;

(৩) শব্দের যোজন-বিয়োজনে অর্থের অভিন্নতা;

(৪) শব্দে আগ-পিছ হওয়া ও অর্থের অভিন্নতা;

(৫) ইরাবের ভিন্নতা ও অর্থের অভিন্নতা;

(৬) ওয়াক্বফে ভিন্নতা; ও

(৭) উচ্চারণে ভিন্নতা।



(১) ভিন্ন শব্দে একই অর্থ প্রকাশঃ

সাত হারফের প্রকারভেদের একটি হলো ভিন্ন শব্দ তবে একই অর্থ প্রকাশ করবে। যেমন -



আল্লাহ বলেন,

يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِن جَآءَكُمْ فَاسِقٌۢ بِنَبَإٍۢ فَتَبَيَّنُوٓا۟ أَن تُصِيبُوا۟ قَوْمًۢا بِجَهَـٰلَةٍۢ فَتُصْبِحُوا۟ عَلَىٰ مَا فَعَلْتُمْ نَـٰدِمِينَ

অনুবাদঃ মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও। (সূরা হুজুরাত, ৪৯:৬)



এটি হচ্ছে এই আয়াতের আমাদের পরিচিত কিরাতের ইবারাত(মূল টেক্সট)। উপরে মোটা অক্ষরে আন্ডারলাইন করা শব্দটি হলো ফাতাবাইইয়ানু(فَتَبَيَّنُوٓا) যার অর্থ হলো পরীক্ষা করে দেখবে(ফেলে আমর) । কিন্তু অন্যান্য কিছু কিরাতে এই ফাতাবাইইয়ানু(فَتَبَيَّنُوٓا) শব্দটির স্থলে এসেছে ফাতাছাব্বাতু(فتثبتوإ)।



অর্থাৎ,

পরিচিত কিরাতঃ (إِن جَآءَكُمْ فَاسِقٌۢ بِنَبَإٍۢ فَتَبَيَّنُوٓا۟)

ভিন্ন কিরাতঃ (إِن جَآءَكُمْ فَاسِقٌۢ بِنَبَإٍۢ فتثبتوإ۟)

ফাতাবাইইয়ানু(فَتَبَيَّنُوٓا) ও ফাতাছাব্বাতু(فتثبتوإ) এই দুটি শব্দের অর্থই এক তা হলো পরীক্ষা করে দেখা, প্রতিষ্ঠিত করা ইত্যাদি। এখানে উল্লেখ্য যে, আরবরা নুকতা ব্যবহারে অভ্যস্ত ছিলো না তাই আমরা যদি ফাতাবাইইয়ানু ও ফাতাছাব্বাতু শব্দ দুইটিকে নুকতা ছাড়াই দেখি তবে দুটি শব্দই একই রকম।



(২) শব্দে ও অর্থ উভয়তেই পার্থক্য হওয়াঃ

সাত হারফের মধ্যে ২য় হলো যেখানে শব্দ ও অর্থ উভয়তেই পার্থক্য পরিগনিত হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়-



وَإِذَا رَأَيْتَ ثَمَّ رَأَيْتَ نَعِيمًۭا وَمُلْكًۭا كَبِيرًا

অনুবাদঃ আপনি যখন সেখানে বিশাল নেয়ামতরাজি ও সাম্রাজ্য দেখতে পাবেন। (সূরা ইনসান, ৭৬:২০)



এখানে মুলক(مُلْكً) অর্থ সাম্রাজ্য। তবে কিছু কিছু কিরাতে এসেছে আয়াতের মূলক(مُلْكً) শব্দের পরিবর্তে মালিক(مالك) অর্থাৎ, সম্রাট শব্দ এসেছে। অর্থাৎ,

পরিচিত কিরাত- ( وَإِذَا رَأَيْتَ ثَمَّ رَأَيْتَ نَعِيمًۭا وَمُلْكًۭا كَبِيرًا)

অনুবাদঃ আপনি যখন সেখানে বিশাল নেয়ামতরাজি ও সাম্রাজ্য দেখতে পাবেন।

ভিন্ন কিরাত- (وَإِذَا رَأَيْتَ ثَمَّ رَأَيْتَ نَعِيمًۭا وَمالكا كَبِيرًا)

অনুবাদঃ আপনি যখন সেখানে বিশাল নেয়ামতরাজি ও মহান সম্রাটকে দেখতে পাবেন।

দুটি শব্দ পরিপূর্ণ ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করছে। তবে সত্য কথা হলো এতে অর্থের পরিবর্তন মোটেও দোষনীয় নয়। কেননা মুলক বা সাম্রাজ্য দ্বারা জান্নাতকে বুঝানো হচ্ছে আর মালিক দ্বারা আল্লাহকে বুঝানো হচ্ছে। মালিককে দেখা বলতে আল্লাহর দর্শনকে বুঝানো হচ্ছে। দুটি শব্দের অর্থই ইসলামী আকীদার সাথে সামঞ্জস্যশীল। তাই অর্থের ভিন্নতা এখানে মোটেই সমস্যার কারণ নয়।



(৩) শব্দে যোজন-বিয়োজন তবে অর্থের অভিন্নতাঃ

কখনো কখনো শব্দে যোজন বা বিয়োজনের কারণে পার্থক্য ঘটে থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়-

আল্লাহ বলেন,



وَٱلسَّـٰبِقُونَ ٱلْأَوَّلُونَ مِنَ ٱلْمُهَـٰجِرِينَ وَٱلْأَنصَارِ وَٱلَّذِينَ ٱتَّبَعُوهُم بِإِحْسَـٰنٍۢ رَّضِىَ ٱللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا۟ عَنْهُ وَأَعَدَّ لَهُمْ جَنَّـٰتٍۢ تَجْرِى تَحْتَهَا ٱلْأَنْهَـٰرُ خَـٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًۭا ۚ ذَ‌ٰلِكَ ٱلْفَوْزُ ٱلْعَظِيمُ

অনুবাদঃ আর যারা সর্বপ্রথম হিজরতকারী ও আনছারদের মাঝে পুরাতন, এবং যারা তাদের অনুসরণ করেছে, আল্লাহ সে সমস্ত লোকদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। আর তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন কানন-কুঞ্জ, যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত প্রস্রবণসমূহ। সেখানে তারা থাকবে চিরকাল। এটাই হল মহান কৃতকার্যতা। (সূরা তাওবা, ৯:১০০)



আমরা কুরআনে অন্যান্য অনেক স্থানেই জান্নাতের নদীর বর্ণনায় তাজরী মিন তাহতিহাল আনহার উল্লেখ পাই শুধু এই আয়াতটি ছাড়া যেখানে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা জান্নাতের নদীর বর্ণনায় “তাজরী তাহতিহাল আনহার (تَجْرِى تَحْتَهَا ٱلْأَنْهَـٰرُ) ব্যবহার করেছেন। তবে অন্য কিছু কিরাতে এই স্থলেও তাজরী মিন তাহতিহাল আনহার(تَجْرِى من تَحْتَهَا ٱلْأَنْهَـٰر) এর ব্যবহার লক্ষ কর যায়।



অর্থাৎ,

পরিচিত কিরাতে- (وَأَعَدَّ لَهُمْ جَنَّـٰتٍۢ تَجْرِى تَحْتَهَا ٱلْأَنْهَـٰر)

ভিন্ন কিরাতে- (وَأَعَدَّ لَهُمْ جَنَّـٰتٍۢ تَجْرِى من تَحْتَهَا ٱلْأَنْهَـٰر)

এই দুই কিরাতেই আয়াতের অর্থের সামান্যও পরিবর্তন না ঘটা সত্ত্বেও শুধুমাত্র শব্দের হয় যোজন অথবা বিয়োজন ঘটে থাকে।



(৪) শব্দের আগ-পিছ হয়ে থাকে এবং অর্থ অপরিবর্তিত থাকেঃ

এই ক্ষেত্রে উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে-



(ক) আল্লাহ বলেন,

إِنَّ ٱللَّهَ ٱشْتَرَىٰ مِنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ أَنفُسَهُمْ وَأَمْوَ‌ٰلَهُم بِأَنَّ لَهُمُ ٱلْجَنَّةَ ۚ يُقَـٰتِلُونَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ ۖ وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّۭا فِى ٱلتَّوْرَىٰةِ وَٱلْإِنجِيلِ وَٱلْقُرْءَانِ ۚ وَمَنْ أَوْفَىٰ بِعَهْدِهِۦ مِنَ ٱللَّهِ ۚ فَٱسْتَبْشِرُوا۟ بِبَيْعِكُمُ ٱلَّذِى بَايَعْتُم بِهِۦ ۚ وَذَ‌ٰلِكَ هُوَ ٱلْفَوْزُ ٱلْعَظِيمُ

অনুবাদঃ আল্লাহ মুসলিমদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে ক্রয় করে নিয়েছেন যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে। তাওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য। (সূরা তাওবা, ৯:১১১)



এখানে মোটা অক্ষরে ও আন্ডারলাইন করা দুটি শব্দ দেখতে পাচ্ছি যা হলো ফাইয়াকতুলুনা ওয়া ইয়ুকতালুন(فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ )অর্থাত, তারা মারে ও মরে। তবে অন্য কিছু কিরাতে এই দুটি শব্দ আগে-পিছে হয়েছে। অর্থাৎ, ফাইয়ুকতালুনা ওয়া ইয়াকতুলুন [তারা মরে ও মারে]।



অর্থাৎ,

পরিচিত কিরাত- (يُقَـٰتِلُونَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ )

ভিন্ন কিরাতে- (يُقَـٰتِلُونَ فِى سَبِيلِ ٱللَّه فيقتلونِ فيقتلون)



(৫) ইরাবে মতপার্থক্য ও অর্থে অভিন্নতাঃ

ইরাব বলতে আরবী শব্দের শেষের হারাকাত নির্ণয়ের পদ্ধতিকে বোঝায়। ইরাব তিন প্রকার যথা মারফু, মানসুব ও মাজরুর। এর উদাহরণ নিম্নরুপ-



আল্লাহ বলেন,

ٱللَّهِ ٱلَّذِى لَهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَـٰوَ‌ٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ ۗ وَوَيْلٌۭ لِّلْكَـٰفِرِينَ مِنْ عَذَابٍۢ شَدِيدٍ

অনুবাদঃ তিনি আল্লাহ; যিনি নভোমণ্ডল ও ভূ-মণ্ডলের সবকিছুর মালিক। কাফেরদের জন্যে বিপদ রয়েছে, কঠোর আযাব। (সূরা ইবরাহীম, ১৪:২)



আন্ডারলাইন করা অংশটি আল্লাহি(ٱللَّهِ)। ‘আল্লাহ’ শব্দটির সঙ্গে ছোট হা এর নিচে কাসরাহ বা যের হয়ে আল্লাহি হয়েছে অর্থাৎ, এই শব্দটি মাজরুর অবস্থায় আছে। তবে কিছু কিছু কিরাতে এখানে আল্লাহি(ٱللَّهِ) এর স্থলে দাম্মাহ (পেশ) দ্বারা মারফু ভাবে আল্লাহু(ٱللَّهُ) ব্যবহ্রত হয়েছে।



অর্থাৎ,

পরিচিত কিরাতে- (ٱللَّهِ ٱلَّذِى لَهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَـٰوَ‌ٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ)

ভিন্ন কিরাতে- (ٱللَّهُ ٱلَّذِى لَهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَـٰوَ‌ٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ)

অর্থে কোনো ভিন্নতা হয়নি।



(৬) ওয়াকফে মতপার্থক্যঃ

ওয়াকফ বলতে কুরআনের বিভিন্ন স্থানে থামার নির্দেশকে বোঝায়। বিভিন্ন কিরাতে এই ওয়াকফে মতপার্থক্য হয়েছে। যেমন,



আল্লাহ বলেন,

قَالَ لَا تَثْرِيبَ عَلَيْكُمُ ٱلْيَوْمَ ۖ يَغْفِرُ ٱللَّهُ لَكُمْ ۖ وَهُوَ أَرْحَمُ ٱلرَّ‌ٰحِمِينَ

অনুবাদঃ বললেন, আজ তোমাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। আল্লাহ তোমাদের কে ক্ষমা করুন। তিনি সব মেহেরবানদের চাইতে অধিক মেহেরবান। (সূরা ইউসুফ, ১২:৯২)



এই আয়াতে আমাদের পরিচিত কিরাতে ওয়াকফ হবে (قَالَ لَا تَثْرِيبَ عَلَيْكُمُ ٱلْيَوْمَ ) এর পরে। তবে কিছু কিরায়তে ওয়াকফ করা হয়েছে (قَالَ لَا تَثْرِيبَ عَلَيْكُمُ) এর পরে।



অর্থাৎ,

পরিচিত কিরাতে- (قَالَ لَا تَثْرِيبَ عَلَيْكُمُ ٱلْيَوْمَ ۖ يَغْفِرُ ٱللَّهُ لَكُمْ )

ভিন্ন কিরাতে- (قَالَ لَا تَثْرِيبَ عَلَيْكُمُ؛ۖ ٱلْيَوْمَ يَغْفِرُ ٱللَّهُ لَكُمْ ۖ )



এখানে দেখা যাচ্ছে যে, আলাইকুম(عَلَيْكُمُ) শব্দটির পরে ওয়াকফ হয়েছে আর আলইয়াওমা(ٱلْيَوْمَ ) শব্দটি পরের আয়াতের শুরুতে যোগ হয়েছে। তখন এর অর্থ একটু ভিন্ন হবে পূর্বেরকার অর্থ থেকে। আর তা হলো-

“তোমাদের উপর (পূর্বের আল ইয়াওমা কথাটি না থাকায় “আজ”” হবেনা) কোনো অভিযোগ নেই, আজ(পূর্বের অনুবাদে “আজ” শব্দটি ছিলো না) আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিন।”



(৭) উচ্চারণে পার্থক্যঃ

যেমন,

وَقَالَ ٱرْكَبُوا۟ فِيهَا بِسْمِ ٱللَّهِ مَجْر۪ىٰهَا وَمُرْسَىٰهَآ ۚ إِنَّ رَبِّى لَغَفُورٌۭ رَّحِيمٌۭ

অনুবাদঃ আর সে [নুহ(আ)] বলল, ‘তোমরা এতে আরোহণ কর। এর চলা ও থামা হবে আল্লাহর নামে। নিশ্চয় আমার রব অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

(সুরা হুদ ১১:৪১)



এই আয়াতে আন্ডারলাইনকৃত মাজরাহা(مَجْر۪ىٰهَا) শব্দকে আরবীতে অনেকে ‘মাজরেহা’ ও উচ্চারণ করে থাকেন। এমনি ভাবে আরবী হরফ ‘সিন’(س) ও সোয়াদ(ص) এর উচ্চারণে আরবদের মাঝে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। এ ধরনের উচ্চারণগত পার্থক্যের কারণে অর্থের কোনোই পরিবর্তন সাধিত হয়না।



এখানে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি মনে রাখতে হবে যে, এই সাত ধরনের হারফের কিরাত সবগুলোই রাসুলুল্লাহ(ﷺ) এর অনুমোদিত ও তাঁর থেকে মুতাওয়াতির বর্ণনা দ্বারা প্রমানিত।

এর প্রমান নিম্নের হাদিসটি থেকে পাই-



উমর ইব্ন খাত্তাব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হিশাম ইব্ন হাকীম (রা) কে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এর জীবদ্দশায় সূরা ফুরকান তিলাওয়াত করতে শুনেছি এবং গভীর মনোযোগ সহকারে আমি তার কিরাত শুনেছি। তিনি বিভিন্নভাবে কিরাত পাঠ করেছেন; অথচ রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) আমাকে এভাবে শিক্ষা দেননি। এ কারণে সালাতের মাঝে আমি তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উদ্যত হয়ে পড়েছিলাম, কিন্তু বড় কষ্টে নিজেকে সামলে নিলাম। তারপর সে সালাম ফিরালে আমি চাদর দিয়ে তার গলা পেঁচিয়ে ধরলাম এবং জিজ্ঞেস করলাম,তোমাকে এ সূরা যে ভাবে পাঠ করতে শুনলাম, এভাবে তোমাকে কে শিক্ষা দিয়েছে? সে বলল, রাসূলুল্লাহ(ﷺ) -ই আমাকে এভাবে শিক্ষা দিয়েছেন। আমি বললাম, তুমি মিথ্যা বলছ। কারণ, তুমি যে পদ্ধতিতে পাঠ করেছ, এর থেকে ভিন্ন পদ্ধতিতে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন। এরপর আমি তাকে জোর করে টেনে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) এর কাছে নিয়ে গেলাম এবং বললাম, আপনি আমাকে সূরা ফুরকান যে পদ্ধতিতে পাঠ করতে শিখিয়েছেন এ লোককে আমি এর থেকে ভিন্ন পদ্ধতিতে তা পাঠ করতে শুনেছি। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বললেন, তাকে ছেড়ে দাও। হিশাম, তুমি পাঠ করে শোনাও। তারপর সে সেভাবেই পাঠ করে শোনাল, যেভাবে আমি তাকে পাঠ করতে শুনেছি। তখন আল্লাহর রাসূল বললেন, এভাবেই নাযিল করা হয়েছে। এরপর বললেন, হে উমর! তুমিও পড়। সুতরাং আমাকে তিনি যেভাবে শিক্ষা দিয়েছেন, সেভাবেই আমি পাঠ করলাম। এবারও রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বললেন, এভাবেও কুরআন নাযিল করা হয়েছে। এ কুরআন সাত উপ (আঞ্চলিক) ভাষায় নাযিল করা হয়েছে। সুতরাং তোমাদের জন্য যা সহজতর, সে পদ্ধতিতেই তোমরা পাঠ কর। [4]



এ রকমটা করা হয়েছে উম্মাতের জন্যে সহজীকরণের জন্যেই। নিম্নের বর্ণনা দুটিতে এই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়।



উবাই ইবন কা’ব (রা-) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মসজিদে ছিলাম। এক ব্যক্তি প্রবেশ করে সালাত আদায় করতে লাগল। সে এমন এক ধরলের কিরাত করতে লাগল আমার কাছে অভিনব মনে হল। পরে আর একজন প্রবেশ করে তার পূর্ববর্তী ব্যক্তি হতে ভিন্ন ধরনের কিরা-আত করতে লাগল। সালাত শেষে আমরা সবাই রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে গেলাম । আমি বললাম, এ ব্যক্তি এমন কিরাত করেছে যা আমার কাছে অভিনব ঠেকেছে এবং অন্যজন প্রবেশ করে তার পূর্ববর্তী জন হতে ভিন্ন কিরাত পাঠ করেছে। তখন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) তাদের উভয়কে (কিরাত পাঠ করতে) নির্দেশ দিলেন। তারা উভয়েই কিরাত পাঠ করল। নবী (ﷺ) তাদের দু-জনের (কিরাতের) ধরনকে সুন্দর বললেন। ফলে আমার মনে নবী (ﷺ) এর কুরআনের প্রতি মিথ্যা অবিশ্বাস ও সন্দেহের উন্মোষ দেখা দিল। এমন কি জাহিলী যুগেও আমার এমন খটকা জাগেনি। আমার ভেতরে সৃষ্ট খটকা অবলোকন করে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) আমার বুকে সজোরে আঘাত করলেন। ফলে আমি ঘর্মাক্ত হয়ে গেলাম এবং যেন আমি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে মহা মহীয়ান আল্লাহর দিকে দেখছিলাম। নবী (ﷺ) আমাকে বললেন-, ওহে উবাই! আমার কাছে (জিবরাঈল (আঃ)-কে প্রেরণ করা হয়েছে যে, আমি যেন কুরআন এক হরফে তিলাওয়াত করি। আমি তখন তাঁর কাছে পুনরায় অনুরোধ করলাম আমার উম্মাতের জন্য সহজ করুন। দ্বিতীয়বার আমাকে বলা হল যে, দুই হরফে তা তিলাওয়াত করবে। তখন তাঁর কাছে আবার অনুরোধ করলাম, আমার উম্মাতের জন্য সহজ করে দিতে। তৃতীয়বার আমাকে বলা হল যে সাত হরফে তা তিলাওয়াত করবে এবং যত বার আপনাকে জবাব দিয়েছি তার প্রতিটির বদলে আপনার জন্য একটি সাওয়াল! আমার উম্মাতকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ! আমার উম্মাতকে ক্ষমা করুন। আর তৃতীয় প্রার্থনাটি বিলম্বিত করে রেখিছি সে দিনের জন্য যে দিন সারা সৃষ্টি এমন কি ইবরাহীম (আঃ) ও আমার প্রতি আকৃষ্ট হবেন। [5]



উবাই ইবন কা’ব (রা-) থেকে বর্ণিত যে নবী (ﷺ) বনূ গিফারের জলাভূমি (ডোবা)-র কাছে ছিলেন। উবাই (রা-) বলেন, তখন জিবরাঈল (আঃ) তাঁর নিকটে এসে বললেন, আল্লাহ আপনাকে আদেশ করেছেন যে আপনার উম্মাত এক ধরনের কুরআন পাঠ করবে । তখন নবী (ﷺ) বললেন, আমি আল্লাহর কাছে তার মার্জনা ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি । আমার উম্মাততো এ হুকুম পালনে সমর্থ হবে না । পরে জিবরাঈল (আঃ) দ্বিতীয়বার তার কাছে আগমন করে বললেন, আল্লাহ আপনাকে হুকুম করেছেন যে, আপনার উম্মাত দু’ধরনের কুরআন পাঠ করবে । নবী (ﷺ) বললেন, আমি আল্লাহর সকাশে তার মার্জনা ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি আমার উম্মাততো তা পালনে সমর্থ হবে না । তারপর তিনি তাঁর কাছে তৃতীয়বার এসে বললেন, আল্লাহ আপনাকে হুকুম করেছেন যে, আপনার উম্মাত তিন হরফে কুরআন পাঠ করবে । নবী (ﷺ) বললেন, আমি আল্লাহর সমীপে তাঁর মার্জনা ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি, আমার উম্মাত তো এটি পালনের সমর্থ রাখে না । তারপর জিবরাঈল (আঃ) চতূর্থ বার নবী (ﷺ) -এর কাছে এসে বললেন, আল্লাহ আপনাকে হুকুম করেছেন যে, আপনার উম্মাত সাত হারফে কুরআন পাঠ করবে এবং এর যে কোন হারফ ও ধরন অনুসারে তারা পাঠ করলে তা-ই যথার্থ হবে। [6]



আর এই কিরাতগুলো আমরা বিভিন্ন ইমামদের নামে চিনে থাকলে ও এর মূল সূত্র রাসুলুল্লাহ(ﷺ) পর্যন্ত পৌছে। উল্লেখ্য যে, স্বল্পসংখ্যক রাবী দ্বারা বর্ণনাকৃত(মুতাওয়াতির নয় এমন), কোনো অপরিচিত(গাইরি মাশহুর), মুনকাতি(বিচ্ছিন্ন) সনদে বর্ণিত, মাওদ্বু(জাল-বানোয়াট) সনদে বর্ণিত ও শায(বিরল) ধরনের কিরাত গ্রহনযোগ্য নয়। কিরাতের বিখ্যাত ইমামদের নাম নিম্নরুপঃ-



১। নাফিঈ ইবনু নুয়াইম(মৃ ১৬৯হি)

২। আসিম বিন নুজুদ(মৃ ১২৭হি)

৩। হামযাহ বিন হাবিব আল কুফি(মৃ ১৫৬হি)

৪। ইবনু আমির(মৃ ১১৮হি)

৫। আবুল হাসান কিসাঈ(মৃ ১৮৯হি)

৬। ইবনু কাছির (মৃ ১২০হি)

৭। আবু আমর ইবনু আলা(মৃ ১৫৪হি)



➫ সম্ভাব্য প্রশ্নঃ-



○ এক: কুরআন যদি সাত হারফেই হয়ে থাকে তাহলে লাওহে মাহফুজে কোন হারফের কুরআন সংরক্ষিত আছে?

উত্তরঃ এর জবাব হাদিসেই আছে। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেছেন, জিবরাঈল (আ) আমাকে একভাবে কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন। পরবর্তীতে রাসুলুল্লাহ(ﷺ) মানুষের সুবিধার জন্যে জিবরাঈল(আ) এর কাছে অন্যান্য হারফে শিখাতে অনুরোধ করেছেন তারপর জিবরাঈল(আ) সাত হারফে কুরআন শেখান।

অর্থাৎ, কুরআন প্রথমে যেভাবে নাযিল হয়েছিলো সেই কুরআনই লাওহে মাহফুজে সংরক্ষন করা আছে। আল্লাহু আ’লাম।



○ দুই: কুরআন সংরক্ষনের দায়িত্ব তো আল্লাহই নিয়েছেন তাহলে এই কুরআন নিয়ে এত মতপার্থক্য কেন হবে?

উত্তরঃ এগুলো মোটেই কোনো মতপার্থক্য নয়। এতে কুরআনের চিরন্তন সত্যে একটুও ফাঁটল ধরেছে না। আর পূর্বেই পরিষ্কার করা হয়েছে যে এই ‘মতপার্থক্যে’র ধরন কেমন।



উপরে আল কুরআনের ৭টি হারফ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। অনেক সময়েই খ্রিষ্টান প্রচারক কিংবা নাস্তিকরা বিভিন্ন প্রাচীন কুরআনের আংশিক অংশ (fragment) দেখিয়ে দাবি করতে চান যে - এগুলোতে সামান্য শব্দ ও বাক্যের পার্থক্য প্রমাণ করে যে আল কুরআন নাকি বিকৃত হয়ে গেছে!! উপরের আলোচনা দ্বারা তাদের অপযুক্তির অপমৃত্যু হল। যেসব খ্রিষ্টান প্রচারক এইসব ভিন্ন হারফ কিংবা কিরাত দেখিয়ে দেখিয়ে দাবি করতে চায় যে "কুরআনের ভিন্ন ভার্সন আছে", তাদের উদ্যেশ্যে আমরা বলব, আল কুরআনের ভিন্ন হারফগুলো আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ্(صلى الله عليه وسلم) কর্তৃক অনুমোদিত। আপনাদের বাইবেলের প্রাচীন পাণ্ডুলিপিগুলোতে যে হাজার হাজার ভিন্নতা আছে, এগুলোর অনুমোদন কে করেছে? এগুলোর মধ্যে কোনটা 'আসল' বাইবেল? কোন পাণ্ডুলিপিটা যিশু বা তাঁর সহচররা অনুমোদন করেছেন বা পড়েছেন? এতক্ষন বললাম বাইবেলের নতুন নিয়মের (New Testament) তথাকথিত "মূল" কপির ব্যাপারে যেগুলো গ্রীক ভাষায় লেখা অথচ যিশু [ঈসা(আ.)] মোটেও গ্রীকভাষী ছিলেন না। খ্রিষ্টানদের কিতাবের তথাকথিত "মূল কপি"গুলোও যিশু খ্রিষ্টের নিজ ভাষায় নেই। অনুবাদের হাজার হাজার জালিয়াতী, হাজার হাজার ভিন্ন ভার্সন, একেক খ্রিষ্টান দলের একেক রকমের বাইবেল এগুলোর কথা তো আলোচনাতেই আনিনি। যাদের নিজেদের কিতাবের অবস্থা এই, তারা কোন মুখে মুসলিমদের কিতাবের সমালোচনা করতে আসে?



পরিশেষে বলব, কিরা্তের কিংবা আহরুফের পার্থক্যের কারণে কুরআনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা অজ্ঞতা ও বোকামী ছাড়া কিছুই নয়। বরং তখন থেকে আজ পর্যন্ত কুরআন টিকে আছে কোটি কোটি হাফেজ এর দ্বারা, যাঁরা একে বুকে ধারন করেন। যাঁরা আজও জমীনের বুকে হাঁটেন। যাঁদের মধ্যে আরবীর প্রাথমিক জ্ঞান ও নেই এমন ও অনেকে আছেন। তবুও তাঁরা সম্পূর্ণ বিদেশি ভাষার একটি বইয়ের আগাগোঁড়া মুখস্থ করে রেখেছেন ও যুগ পরম্পরায় এটি একমাত্র এবং একমাত্র কুরআনেরই মুজিজা বা অলৌকিকতা, যার সামান্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মত আর কোনো বই এই ধরনীর বুকে পাওয়া যাবে না।

নিদর্শন তো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেই তবে নেওয়ার মত কেউ কি আছে?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০

ফটিকলাল বলেছেন: ধন্যবাদ এরকম বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য। আমার মনে হয় আপনার কমেন্টের পর কোরানের ৭ টি আহরুফে নাযিল হবার ব্যাপারে কারো সন্দেহ হবার কথা নয়।
কোরানের ৭ টি আহরূফ ও কোরানের অসম্পূর্নতার (আস্তাগফিরুল্লাহ মিন যালেক) বাহাস শুরু হয়েছে নীচের দুটো কমেন্টে থেকে যার মধ্যে একটি ব্লগার নীল আকাশের শেষ পোস্টে করা কমেন্ট এবং আরেকটি হলো ব্লগার এমেরিকার একই ধারনার কমেন্ট যেগুলো নীচে দিয়ে দিলাম

নীল আকাশ বলেছেন:....আপনার কাছে আমি জানতে চাইছি-
..........
২) ইসলামের সব হুকুম আহকামগুলির বিস্তারিত কি পবিত্র কুরআন শরীফে দেয়া আছে? যেমন ধরুন, প্রত্যেক বালেগ নর এবং নারীর উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা ফরজ। কিন্তু এই ফরজ সালাত কোন ওয়াক্তে কয় রাকাত পড়তে হবে সেটা পবিত্র কুরআন শরীফের কোন সূরার কত নাম্বার আয়াতে দেয়া আছে সেটা আমাকে জানাবেন।...
.........
এমেরিকা বলেছেন: ....পবিত্র কুরআন ৭টি উপভাষায় নাযিল হবার কোন রেফারেন্স কোথাও পাইনি। এই ধারণাও কুরআন যে যুগে যুগে বিবর্তিত হয়েছে (নাউযুবিল্লাহ) সেটা প্রমাণ করার একটা খোঁড়া যুক্তি। রাসূল (স) এর উপর কুরআন নাজিল হয়েছিল তার মাতৃভাষা আরবীতে। তবে বিশ্বব্যাপী প্রায় সকল ভাষাতেই কুরআনের অনুবাদ হয়েছে।...


আমার কথা হলো যে বিষয়টির সমাধান কোরানেই আছে সেগুলোর জন্য আমাকে অন্য কারো মুখাপেক্ষী কেন হতে হবে। ব্লগে একটা ব্যাপার যেটা বুঝলাম সেটা হলো এসব উলামায়ে গুগল গন একটা ব্যাসিক ব্যাপার জানেন না।

তাফসীর যিনি সংগ্রহ করে তাকে বলা হয় মুফাস্সীর আর যিনি হাদিস সংগ্রহ করেন তাকে বলা হয় মুহাদ্দিথ। পৃথিবীর প্রাচীনতম তাফসীরের সংকলন শুরু হয় মহানবী সাঃ এর ওফাতের ১৫০ বছর পর। তার আগে সীরাত লিখেছিলেন ইসহাক রাঃ যিনি একজন তাবেঈ তাবেঈ তাবেইন ছিলেন। আর যিনি প্রথম তাফসীরটি লিখেছিলেন সেটা হলো মুকাতিল ইবনে সুলায়মান। কোরানে তাফসীর শুধু মাত্র সেসব উক্তি বা ঘটনা সম্বলিত যেগুলো মহানবী সাঃ এর ওপর যখন যে আয়াত নাযিল হতো সেগুলোর প্রেক্ষিত ও বিচার্য সময়ে তিনি যে কথাগুলো বলেছেন সেগুলো নিয়ে। এর বেশী কিছু না। কিন্তু পরবর্তিতে ইমাম গাজ্জালী রাঃ, তাবারী রাঃ এই তাফসীরের সাথে হাদিস অন্যান্য হাদিস যুক্ত করেন যাতে সবার জন্য কোরানের সাথে সুন্নী মাজহাবের ধারা সমূহ বুঝতে সুবিধা হয়।

তাই কোরানের তাফসীর করটে হলে যেকোনো মুফাস্সিরের সীরাত, আরবী ভাষার ব্যাকরন গত দিক সহ অন্যান্য বিষয়ে পর্চুর জ্ঞান থাকতে হবে তবে এর সাথে শায়খের ব্যাপারটা মেলালে চলবে না। এদের সবার কাজ ভিন্ন ভিন্ন।

কিন্তু আফসোস , গুগল হাতে পেয়ে ইসলামের সর্বোচ্চ বিকৃতকরন এসব উলাময়ে গুগলরাই করেছেনতারা দ্বীনের দায়ি হতে গিয়ে উলামায়ে শূ এ পরিনত হয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছেন। এদের অনেকে আবার প্রচন্ড রকমের গালিবাজ ও গীবতকারি।


ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য

৩৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫১

ঈশ্বরকণা বলেছেন: @ সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,
হাদিসে কুরআন সাত ভাবে তেলাওয়াতের কথা বলা হয়েছে সেটা ঠিক কিন্তু ওহী আসার পরে কুরআন কি সাত আরবি আঞ্চলিক/উপভাষায় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) লিখিয়েছিলেন সাহাবীদের দিয়ে?এমন সহীহ হাদিস কি আছে সিহাসিত্তার কোথাও? সাত ভাবে কুরআন লেখা হয়েছিল সেই প্রশ্নটা আসছে কেন তাহলে?একই লেখার উচ্চারণ ভিন্ন হতেই পারে। ইংরেজিতে এখনো হয় সেটা।আমেরিকান আর ব্রিটিশ ইংরেজি উচারণ ভিন্ন।শব্দের বানানও ভিন্ন অনেক ক্ষেত্রেই। কিন্তু দুটোই কিন্তু ইংরেজি ভাষা।আমেরিকায় এমন কি আফ্রিকান আমেরিনাদের উচ্চারণ নর্দান হোয়াইটদের থেকে ভিন্ন। আমেরিকার নর্থ আর সাউথের কথা বলার ধরণ (একসেন্ট)ভিন্ন।আরবি উচ্চবর্ণের কেত্রেও তাই উচ্চবর্ণের এই ভেরিয়েশন অসাধারণ কিছু না।আমারতো মনে হয় রাসূলুল্লাহ (সাঃ ) সাহাবীদের দিয়ে কুরআন লিখিয়েছিলেন আরবি ভাষার একটা প্রথাতেই(স্টাইলেও বলা যায়)।সেজন্যই হজরত উসমান (রাঃ) যখন কুরআন লিখিত ভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেন তখন রাসূলুল্লাহর অনোনুমোদিত আঞ্চলিক/উপভাষায় লেখা কুরানগুলো ধ্বংস করার আদেশ দেন। ধ্বংসকৃত আঞ্চলিক ভাষায় লেখা কুরআনগুলো রাসূলুল্লাহর (সাঃ)অনুমোদিত লেখনী ভাষা হলে সেটা করার কথা না হজরত উসমানের (রাঃ)আর তাতে সাহাবীদের একমতও হবার কথা না |তাহলে হাদিসে সে ব্যাপারে মতভিন্নতার কথাও থাকতো। কিন্তু সে প্রসঙ্গে কি হাদিসে কিছু আছে?যেমন সাহাবী হবার পরেও হাদিসে আছে হজরত আলী(রাঃ)ও হজরত মাবিয়ার(রাঃ) ব্যাপক মতভিন্নতার কথা। কিন্তু যেহেতু রাসূলুল্লাহ তেলাওয়াতের অনুমতি দিয়েছিলেন সাত উপভাষার তাই হজরত উসমানের (রাঃ)পক্ষ থেকে তেলাওয়াতও করা যাবে না সেই সাত উপভাষায় সেটা কিন্তু কোথাও বলা হয়নি। অন্তত আমি এই ব্যাপারে কোনো লেখা দেখিনি মনে হয়।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১

ফটিকলাল বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর একটি বিষয়ের অবতারনার জন্য

৩৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫১

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন:

”সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক গুরুগম্ভীর পোস্ট, এবং তার চাইতেও অধিক গুরুগম্ভীর আলোচনা। এ বিষয়ে আমার জ্ঞান শূন্যের চাইতে সামান্য বেশি হতে পারে। মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য থেকে একটা প্রশ্ন করি। মহানবী সাঃ-এর অস্তিত্ব নিয়ে যদি সংশয় থাকে (নাউযুবিল্লাহ), বা যদি এর ঐতিহাসিক প্রমাণ না থাকে, তাহলে পবিত্র কোরান মহাগ্রন্থটি কে আনলেন? কীভাবে এলো? এ ব্যাপারে লেখক কিংবা নুরুল ভাই, বা এমেরিকা বা অন্য কেউ যদি একটু আলোকপাত করেন, খুশি হব।

পবিত্র কোরানের ৭টি উপভাষায় নাযিল হওয়ার বিষয়টি জানা ছিল না। বর্তমানে দুটি উপভাষা বিদ্যমান থাকলে বাকিগুলোর কী হলো? হাফস বা ওয়ারস কোরানের ভাষা কি ঠিক এভাবেই নাযিল হয়েছিল, নাকি পরবর্তীতে এ ভাষায় 'প্রমিত' করা হয়েছে?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১২

লেখক বলেছেন: আমার রেফারেন্স সানার পান্ডুলিপি, হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর নিজ হাতে লিখিত কিছু দলিল, কবর ইত্যাদি। এগুলোর বাহ্যিক অস্তিত্ব প্রমান করে তিনি আছেন। বিশ্বাসের দিক থেকে নিঃশঙ্ক যে তার মতো মহাপুরুষের অনুসারী হতে পেরে আমি সৌভাগ্যবান। ঈমানের নীরিখে জান্নাত/জাহান্নাম আল্লাহপাকের উপর ছেড়ে দিয়েছি।

৭ টি উপভাষার রেফারেন্স এখানে। এটা সহী মুসলিম থেকে নেয়া।

বারি প্রশ্নের উত্তর ওপরের কমেন্টকৃত ব্লগাররা দেবেন আশা করি। হাফস ওয়ারস সম্পর্কে আপনি কতটুকু জানেন- সেটা উল্লেখ করলে খুশি হবো। নিজেও সমৃদ্ধ হতে পারি -----------”
:
--------- হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর নিজ হাতে লিখিত কিছু দলিল .................“ আপনি উল্লেখ করেছেন। যতটুকু জানি তিনি লিখতে পারতেন না, --- আপনার কাছে কি কোন রেফারেন্স আছে যে হয়রত মুহাম্মদ সাঃ লিখতে পারতেন !!! তিনি নিরক্ষর ছিলেন কিন্তু তিনি ছিলেন শিক্ষিত ------ শিক্ষিত আর নিরক্ষরের ভেতর পার্থক্য আছে ---

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

ফটিকলাল বলেছেন: হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর হাত লেখা অনেক চিঠির কথা সীরাত থেকে শুরু করে হাদিসেও এসেছে এবং এগুলোর মধ্যে অনেক চিঠি এখনো সংরক্ষিত আছে। আমি সবগুলো খুজে দিতে পারবো না তবে দুয়েকটা দেবার চেস্টা করছি।

ওমানের জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে এই চিঠিটিআরো কিছু চিঠির কথা আলআরাবিয়া পত্রিকার পাতায় পাবেন বিস্তারিত।

কোরানের বেশ কয়েকটি জায়গাতে আল্লাহ পাক মহানবী সাঃ কে উম্মি উল্লেখ করেছেন যার ব্যাখ্যা পাবেন বিভিন্ন তাফসীরে। ইবনা ক্বাথিরের তাফসিরে বিস্তারিত পাবেন। আমি যতদূর বুঝি ও বিশ্বাস করি মহানবী সাঃ নব্যুয়তের সময় ওয়ারাকা ইবনে নওফেলের সাহচার্যে ছিলেন তখন তিনি পড়তেও পারতেন না। ধীরে ধীরে তিনি অক্ষরজ্ঞান লাভ করেন কোরানের আয়াত নাযিল হবার সুবাদে। ওয়ারাকা ইবনে নওফেল চারটি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন এবং বাইবেল তোরাহ তার মুখস্থ ছিলো। উল্লেখয় যে আরবে বাইবেল ও তোরাহর আরবী অনুবাদ করা হয় ৯০০ খ্রিস্টাব্দের আগে পড়ে। সে হিসেবে মহানবী সাঃ ততকালীন শিক্ষিতদের বিচারে নিরক্ষরই ছিলেন। পরে যখন বিভিন্ন তাগিদে লেখা পড়া শিখে নিলেন সেটাও মূলত কোরাইশদের আরবীতে। আপনি সে পত্রগুলোও দেখতে পারেন। অন্যান্য বড় চিঠির প্রয়োজন হলে তিনি অন্যান্যদের সাহায্য নিতেন। সে হিসেবে তার উম্মি হবার মানে এই নয় যে একেবারের নিরক্ষর। অশিক্ষিত ও নিরক্ষরের মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। যেমন একজন লোক আদর্শলিপি শিখে নিজের নাম লেখতে পারেন, খুব বেশী হলে একটা দুটো চিঠি আরেকটি হলো যিনি বিস্তর বই পুস্তক পাঠ করে ইউনিভার্সিটি লেভেল বা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন।

এটা আমার নিজস্ব বিশ্বাস। ধন্যবাদ

৩৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: প্রশ্নটি জানার ইচ্ছা আমারো।প্রশ্নটি সকলের জন্য।আব্বাসিয় খিলাফতের আগে খলিফা শব্দটির ঐতিহাসিক কোন প্রমান আছে কিনা।যখন পারেন উত্তর দিয়েন।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪

ফটিকলাল বলেছেন: এই প্রশ্নটি আমিও ব্লগার এমেরিকাকে করেছিলেন কিন্তু ওনার গীবত বা ট্যাগিং স্বভাবের কারনে ওনার কাছ থেকে আমি আর কিছু জানতে আগ্রহী নই।

তবে আপনার মতো আমারও জানার আকাংখা প্রবল

৩৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৮

নীল আকাশ বলেছেন: ফতোয়া বিষয়ক একটা তথ্য আপনাকে দিচ্ছি।
ফতোয়া যে কেউ দিতে পারে না এবং ফতোয়া কার্যকরী করার জন্য জোর করার কোন নিয়ম সম্ভবত নেই। ফতোয়া দিয়ে শাস্তি দেবার ক্ষমতা কেউ নিজের হাতে নিতে পারে না ।
গ্রাম বাংলায় সেসব ছু হুজুররা ফতোয়া দেয় তাতে ফতোয়া দেয়া কোন নিয়ম মানা হয় না।
আকীদা এবং ইবাদত সংক্রান্ত বিষয় ফতোয়া সরাসরি কুরআন-হাদীস থেকে দিতে হবে। সমকালীন বিষয়ে ফিকাহের কিতাব থেকে ফতোয়া দিতে হবে।কেবল মাত্র মুফতীগণ ফতোয়া দিতে পারবে। যারা ফতোয়া দিতে পারবে তাঁদের যোগ্যতা ও গুণাগুণ নিম্নে তুলে ধরা হলঃ
মুফতীর যোগ্য্যতা
১. মুসলিম হওয়া।
২. ফিকহ, উসূলে ফিকহ, নাসিখ এবং মানসূখ সম্পর্কে অবহিত হওয়া।
৩. হালাল, হারাম, ফরয, সুন্নাত, ওয়াজিব, নফল, মুবাহ, মাকরুহ তাহরীমী এবং তানযীহী সম্পর্কে জানা।
৪. কুরআন, হাদীস, ফিকহ সম্পর্কে সম্যক অবহিত হওয়া।
৫. সকলকে তাঁর দৃষ্টিতে সমান হতে হবে।
৬. সমকালীন বিষয়য়াদী সম্পর্কে জ্ঞান রাখা।
৭. উপযুক্ত মুফতীর কাছে থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।
৮. প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া।

কিন্তু দেশে ফতোয়া দেয়ার বিধি বিধান প্রায় কিছু মানা হয় না।
ধন্যবাদ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮

ফটিকলাল বলেছেন: কমেন্টটি অপ্রয়োজনীয় এবং এ সময়ের জন্য অচল। বাংলাদেশের আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা হবার আগে থেকেই এমনকি ১৮৮০ সালের দিকে তাকালে তখন থেকেই মুফতি হবার নিয়ম চালু ছিলো। সাম্প্রতিক বাংলাদেশের উচ্চআদালত এই রায় দিয়েছেন যে মুফতী ভিন্ন কেউ ফতোয়া দিতে পারবেন না যেটা আপনার নিয়ম ৭ এর মধ্যে পড়ে।
সন্দেহ করি এটাও গুগল থেকেও পেয়েছেন।


একটা ব্যাক্তিগত প্রশ্ন আপনারা ইসলামের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কেন নিচ্ছেন না অথবা কোনো ভালো আলেমের কাছে কেন বাইয়াত নিচ্ছেন না? তাহলেই অপ্রয়োজনীয় ও বিভ্রান্তির বেড়াজাল থেকে স হজেই মুক্তি পেতে পারেন।

ব্লগ ফেসবুকের কমেন্ট কি এতই জরুরী?

ধন্যবাদ ব্লগে ফিরে আসার জন্য।

৪০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩১

নীল আকাশ বলেছেন: @ লাইলী আরজুমান খানম লায়লাঃ
মহানবী নিজ হাতে কিছুই লিখতেন না। তবে উনার পারমিশন নিয়ে বেশ কিছু সাহাবী উনার জীবতদ্দশায় শরিয়তের বিধি বিধান বিষয়ক কিছু হাদিস লিখে রাখতেন। যারা লিখে রাখতেন তার মধ্যে একজন হলেন হযরত আলী ইবন আবু তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু।
ধন্যবাদ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯

ফটিকলাল বলেছেন: অপ্রয়োজনীয় এবং অসম্পূর্ন কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আবার

৪১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ৥নীল আকাশ ! আমার পছন্দের একজন ব্লগার সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ভাইয়ের মন্তব্যের জবাবে ৥ লেখক ব্লগার ফটিকলাল উক্ত কথাটি বলেছিলেন। একারণে আমি লেখকের নিকট তার লিখিত তথ্যের সত্যতা জানতে চেয়েছিলাম। কারণ কোন তথ্য দেয়ার আগে জেনে দেয়া উচিত। বিশেষ করে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে তো অবশ্যই----। ব্লগে বেশি জানা, ভাসা-ভাসা জানা আবার আমার মত কম জানা পাবলিকও আছে। আমার কাছে মনে হয়ে লেখক ভুল বসত হয়তো লিখে ফেলেছিলেন ”হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর নিজ হাতে লিখিত কিছু দলিল....” । আন্তরিক ধন্যবাদ ৥ নীল আকাশ আমাকে সুন্দর করে বলার জন্য ---- আপনার উপরের মন্তব্যটা ভাল লাগলো ------- শুভকামনা রইল

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১

ফটিকলাল বলেছেন: আপনার কেন মনে হলো আমি ভুল বলছি? আমি রেফারেন্স দিচ্ছি না কারন আমি ব্লগে ইসলামের চর্চা করতে আসিনি। সে যোগ্যতা নেই। কমেন্টের সাপেক্ষে কিছু তথ্য শেয়ার করেছি যেগুলো আমি জানি এবং তার সম্পর্কিত সুত্রও প্রদান করেছি।

আপনাকে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি

৪২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ওলামায়ে শু কথাটি আজকাল প্রায়ই দেখি।
এটা অর্থ জানি না।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩

ফটিকলাল বলেছেন: ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি সারা বিশ্বে ইসলামোফোবিয়া ছড়ানোর পেছনে এসব উলামায়ে শূ গন সরাসরিভাবে জড়িত। এরা কাক হয়ে ময়ূরের পেখম পড়ে সবাইকে বিভ্রান্ত করে নিজের ফায়দা লোটেন এবং আখেরে পুরো মুসলিম উম্মাহকে তার মূল্য দিতে হয়।

মন্তব্যে ভালো লাগা

৪৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: নতুন করে একটা পোষ্ট দিন,এটা খুঁজেই পাইনা।আপনার গুরুদের জানার কথা।
মোয়াবিয়ারা কোন ধর্মের অনুসারী ছিল।ঐতিহাসিক প্রমান সহ বলবেন।
চার খলিফার আমলে অর্থনৈতিক লেনদেনের জন্য তারা কি কয়েন ব্যবহার করতো।এতো বড় সাম্রাজ্য ,মুদ্রার নাম কি।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪১

ফটিকলাল বলেছেন: আমি ইসলামী পোস্ট দেবার মতো জ্ঞানী নই। আর অন্য মানুষের কাছ থেকে ধার করা জ্ঞান দিয়ে পোস্ট দিলে তার নির্ভুলতা নিয়ে সন্দিহান হতে হবে। ফেতনার সৃষ্ট হবে। যদি কখনো জ্ঞানার্জন করার তৌফিক আল্লাহ দেন তাহলে তখন দেবো।

ধন্যবাদ ফিরে আসার জন্য

৪৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৭

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: চমৎকার এই লেখাটি প্রিয়তে গেল।
সমসাময়িক আপনার লেখা পড়ে মনে বলে ইসলাম সম্পর্কে আপনি বেশ ভালই জ্ঞান রাখেন। তাই একটি বিষয় সম্পর্কে
জানার লোভ সামলাতে পাড়লাম না? যারা নিয়মিত ইসলাম চর্চা করে না, জীবন-নির্ভর এমন অনেক বিষয় বা সমস্যার সহিহ মাসয়ালা জানার জন্য আলেমদের শরণাপন্ন হতে হয়। সঠিক মাসয়ালা বা ফতোয়া দেওয়ার জন্য যেমন কোরআন, তাফসির, ইজমা, কিয়াস এবং হাদিসের মত বিষয় সম্পর্কে অবগত আছেন এমন কারো মতামত ই অধিকতর গ্রহনযোগ্য।

সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্যতম নামকরা ইসলামী আলোচক মিজানুর রহমান, যিনি নাকি মিশরের বিখ্যাত আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন, তার একটি ব্ক্তব্য নিয়ে অনেক সমালোচনা জন্ম নিচ্ছে। কাতার থেকে মিশরে যাওয়ার সময় তিনি নাকি নেপালের হিমালয় দেখেছেন বিমান থেকে। তারেক মনোয়ার নামে জনপ্রিয় আরেকজন ইসলামী আলোচক বলেছিলেন -তিনি নাকি অক্সফোর্ডে শিক্ষকতা করেছেন। আশাকরি,বিষয়গুলো সম্পর্ক আপনি অবগত আছেন।

উপরের ২ জন আলেম দেশের প্রথম সারির এবং ইসলামের মৌলিক বিষয়ে তাদের জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ থাকে না। ওনাদের যুক্তি-বিচারহীন হাস্যকর এমন ব্ক্তব্য দেওয়ার পর সাধারন মানুষ ফতোয়া বা মাসয়ালা জন্য এখন আধ্যাত্মিক বা দৈবিক সুএ ছাড়া আর কোন উপায় আছে বলে মনে করি না। ধর্ম ব্যবসায়ী বা তথাকথিত সু-আলেম আসলে কারা এটাই এখন ভাবার বিষয়?

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫১

ফটিকলাল বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আমি সত্যি ইন্সপায়ার্ড।

আমার প্রশ্ন অন্যদিকে। যারা এসব মিথ্যা কথা বা ছলনার আশ্রয় নেন, এটা ইসলামী মতে গর্হিত কাজ। অন্যান্য আলেম যারা আছেন তারা কেন এদের রুখছেন না? ইসলামকে বিকৃতির হাত থেকে রক্ষার জন্য আমাদের রাসুল সাঃ সাহাবী গন যুদ্ধ পর্যন্ত করেছেন যুলখালাসায়। তাহলে আমাদের যারা বিজ্ঞ আলেম সমাজ তার মুখ চেপে কেন?

এটা আমার মাথাতে আসে না।

তবে আমার ইসলামী জ্ঞান তেমন নেই। যা জানি সেটাও অপ্রতুল। তাই পারতপক্ষে ইসলামী পোস্ট এড়িয়ে চলি। কারন আমার প্রতিবাদের কারনেও অযাচিত বাহাস বা ফেতনার সৃস্টি হতে পারে।

৪৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০১

নীল আকাশ বলেছেন: আজকাল পত্রিকা খুললেই দোররা ফতোয়ার যথেচ্ছ ব্যাবহার দেখা যায়। এমনকি বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নির্যাতিত মানুষ আরও অবিচারের শিকার হয়। যারা এরকম ফতোয়া দেন তারাই উলামায়ে শূ। তাদের নামের আগে থাকে হযরত, পরে থাকে দা. বা. কারো কারো রহ.। শিক্ষাগত যোগ্যতায় সকল ইসলামি ডিগ্রী ঝোলায়, এমনকি বেশভূষা পুরোপুরি আলেমের মতো, কিন্তু তারা শেয়ালের চেয়েও ধূর্ত। তারা বিভেদ সৃষ্টি করে ইসলামের নামে, নিজের ফায়দা অনুযায়ী নির্যাতন করে, বিপদে ফেলে।

এদের মাঝে হিকমা নেই, ঈমানের পরিমান শূন্য গ্লাসের চুইয়ে পড়া পানির চেয়েও কম। দিলে জাররা পরিমান খুজে পাওয়া মুস্কিল। কেয়ামতের সময় দেখা যাবে বড় বড় আলেমের পেছনে বিশাল বড় লাইন এবং তারা সবাইকে নিয়ে জাহান্নামের পথে যাচ্ছে। পুলসিরাতের পথ পর্যন্ত পাড়ি দিতে পারবেন না। এরাই হচ্ছে সেই আলেম

আপনি নিজে ফতোয়া নিয়ে লিখলেন দেখেই আমি ফতোয়া নিয়ে মন্তব্য করেছি। আমার মন্তব্য আন্দাজে অপ্রয়োজনীয় বললেন কেন? দেশে ফতোয়া বিষয়ক যত সমস্যা হইয়েছে সেটা মূল কারণ ব্যক্তি, ইসলাম নয়।

সাম্প্রতিক বাংলাদেশের উচ্চআদালত এই রায় দিয়েছেন যে মুফতী ভিন্ন কেউ ফতোয়া দিতে পারবেন না যেটা আপনার নিয়ম ৭ এর মধ্যে পড়ে। এটা নিয়ে প্রচুর বির্তক আছে। সেখানে অনেক আলেমরা ভিন্ন মত দিয়েছেন। ২০০১ সালে ফতোয়া নিষিদ্ধ করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল সেটিকে চ্যালেঞ্জ করে একজন মাদ্রাসা শিক্ষকের দায়ের করা আপীলের প্রেক্ষাপটে আদালত এমিকাস কিউরি হিসেবে যাদের মতামত নিচ্ছে তাদের মধ্যে পাঁচজন ইসলামী চিন্তাবিদ রয়েছেন ।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে ইসলামী ফাউন্ডেশন আদালতে ফতোয়া নিয়ে মতামত তুলে ধরার জন্য এ ইসলামী চিন্তাবিদদের মনোনীত করেছিল। একটি বেসরকারী ইসলামী গবেষনা কেন্দ্রের কর্ণধার মুফতি মিজানুর রহমান আদালতে তার মতামতে বলেন , ধর্মীয় বিষয়ে কোরআন ও হাদিসের আলোকে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পন্ডিত ব্যক্তিরা যখন কোন ইসলাম ধর্মীয় বিষয়ে মতামত দেয় তখন সেটিকে ফতোয়া বলা হয়। তিনি বলেন, “ ফতোয়া নিষিদ্ধ করার অর্থ হলো কোরআন অচল করে দেয়া। এটি হতে পারে না ।”
মুফতি মিজান আদালতে বলেন , “ফতোয়া সবাই দিতে পারে না । ইসলাম বিষয়ে যথাযথ পান্ডিত্য না থাকা কেউ যদি সেটি করে তাহলে তা ফতোয়া না হবে ফতোয়াবাজি।” তিনি বলেন দন্ডবিধির প্রয়োগ করা এবং শাস্তির বিধান করা প্রশাসনের কাজ। এ কাজ মুফতিদের নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন ।
আরেকজন ইসলামী চিন্তাবিদ ও একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রুহুল আমিনও একই মত তুলে ধরেছেন আদালতে । তিনি বলেন, “এখন গ্রামাঞ্চলে যা চলছে সেটি ফতোয়া নয়। কারন কাউকে দোররা মারা, হাত কেটে দেয়া এগুলো ফতোয়ার মধ্যে পড়েনা।” তিনি বলেন ফতোয়া দিয়ে শাস্তি দেবার ক্ষমতা কেউ নিজের হাতে নিতে পারে না ।
আরেকজন ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি কেফায়েতউল্লা বলেন, “ ফতোয়া নিষিদ্ধ হলে ইসলাম জানা সম্ভব হবে না । তাই ফতোয়া নিষিদ্ধ হতে পারে না । ” তবে ফতোয়ার নামে কাউকে শাস্তি দেয়া যায়না বলে তিনি মন্তব্য করেন ।

আপনি নিজে অচল বলে দিলেই তো হবে না। ফতোয়া দেয়া ইসলামের বিধান।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

ফটিকলাল বলেছেন: আমার মন্তব্য আন্দাজে অপ্রয়োজনীয় বললেন কেন? দেশে ফতোয়া বিষয়ক যত সমস্যা হইয়েছে সেটা মূল কারণ ব্যক্তি, ইসলাম নয়।

আপনার ফতোয়া বিষয়ক মন্তব্য পড়ে একটা শব্দই মনে পড়ে- উলামায়ে গুগল: কিছু মনে করবেন না। এটা আমার ব্যাক্তিগত মতামত। আপনার যে নিয়মগুলো বললেন একজন দাখিলা পাশ করার ছেলের সে যোগ্যতা হয়ে যাবে। কিন্তু যে দাখিলা পাশ করে তার নিদেনপক্ষে উসুল ফিক হ পড়তে হয়, শার্ষি তখনও দেয়া না। তারপর বিভিন্ন আলেমদের ফতোয়ার মাধ্যমে ইজমা কিয়াসের ব্যাখ্যা এবং সমাজে কি প্রভাব সেসম্পর্কে আল সুয়ুতি, হিন্দি তথা ১৩-১৫ শতকের আলেমদের বিস্তারিত ইসলামিক দার্শনিক ব্যাখ্যা কিছুই পড়ানো হয় না। তাহলে সে কিভাবে মুফতি হয় যেখানে তাকলিদের পুরোটাই বাদ পড়ছে। তাকলিদ ছাড়া শুধু ইজতিহাদ দিয়ে ফতোয়া কিভাবে দিতে চান, এ কেমন ইসলামী প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করেছেন আমার মাথায় আসছে না। আপনার কথাগুলো পুরোটাই নতুন ইসলামি ব্যাবস্থার দাবী রাখে যেটা শুধু হাস্যকরই নয়, মেথডিক্যালি অযৌক্তিক। তাই আমি আপনাকে আবারও আহবান করছি ইসলাম সম্পর্কে উলামায়ের গুগল না হয়ে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিন, নিদেপক্ষে দাখিলা পরীক্ষা দিয়ে আসুন। লাইনের দ্বিতীয় অংশে মনে হচ্ছে আপনি ঝগড়া করতে চাচ্ছেন। আপনার ভুলগুলো নিয়ে কথা বললে ঝগড়া করতে হবে আগে জানলে আপনার কমেন্টের উত্তরই দিতাম না। আপনি পোস্ট বুঝেন নি, বুঝলে আমি ইসলামের দোষ কোথায় দেইনি। নাকি আপনি আমাকে ট্যাগ করতে চাচ্ছেন? এটা কি জঙ্গিমনোভাব হয়ে যাচ্ছে না?

আলোচনার সুস্থ ও ভদ্র পরিবেশ বজায় রাখুন দয়া করে।

আপনি নিজে অচল বলে দিলেই তো হবে না। ফতোয়া দেয়া ইসলামের বিধান।

আপনার অপ্রয়োজনীয় কোর্ট কাচারীর কথা আসলে আমাদের আলোচনার কোনো উপকারে আসছে এমনকি আপনি যে আমাকে ফতোয়া অকার্যকর বলার দায়ে অভিযুক্ত করছেন সেখানেও আমি ফেতনার লক্ষন দেখতে পাচ্ছি। যে মানুষ জানে না ফতোয়া দিতে কি কি যোগ্যতা লাগে এবং ফতোয়া দেবার জন্য কোন কোন জুরিপ্রুডেন্স প্রয়োজন, সে মানুষ যদি অপ্রয়োজনীয় ভাবে কোমড় বেধে ঝগড়া করতে আসে এবং বারবার নিজের অজ্ঞতার কাছে হোচট খায় (যার প্রমান প্রতিটা কমেন্টেই দিয়ে যাচ্ছি) সে মানুষের মানসিক অবস্থা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।

আল্লাহ আপনার মানসিক সুস্থতা ও হেদায়েত দান করুক

৪৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৬

নীল আকাশ বলেছেন: @ লাইলী আরজুমান খানম লায়লাঃ সোনাবীজ ভাই যা বুঝিয়েছেন সেটাই আমি বিস্তৃত করে লিখেছি। যারা হাদিস লিখতেন তারা মহানবীর পারমিশন নিয়েই লিখতেন এবং লেখার পর উনাকে দেখিয়ে শুদ্ধাতা যাচাই করে নিতেন। সম্ভবত সোনাবীজ ভাই এটা বুঝিয়েছেন যে উনি উনার সামনেই লিখিয়ে রাখতেন।

@পোস্ট দাতাঃ : অপ্রয়োজনীয় এবং অসম্পূর্ন কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আবার। এটা আপনার জন্য দেই নি। যাকে বলেছি তিনি বুঝেছেন। আমাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন।

শুভ কামনা।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

ফটিকলাল বলেছেন: হাস্যকর

৪৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৩

নীল আকাশ বলেছেন: পোস্ট দাতার দৃষ্টি আকর্ষন করছিঃ
হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর হাত লেখা অনেক চিঠির কথা সীরাত থেকে শুরু করে হাদিসেও এসেছে এবং এগুলোর মধ্যে অনেক চিঠি এখনো সংরক্ষিত আছে। আমি সবগুলো খুজে দিতে পারবো না তবে দুয়েকটা দেবার চেস্টা করছি।

এটা ভুল ধারণা, মারাত্মক ভুল। আপনি কোথাও খুজে একটা সূত্রও দেখাতে পারবেন না যেখানে উনি নিজে লিখেছেন সেটার উল্লেখ আছে। সাহাবীরা উনার পক্ষে লিখে দিতেন। কেউ উনার হয়ে লিখে দেয়াটাই উনার লেখা। ভিন্নার্থ করবেন না।

মহানবী সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম কে নিয়ে আন্দাজে বা মন প্রসূত কোন কিছু লিখবেন না।
আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা আমার ওপর মিথ্যা বলবে না, যে আমার ওপর মিথ্যা বলবে, সে যেন জাহান্নামে প্রবেশ করে। ’ (বুখারি, হাদিস নং : ১০৬)
ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, ‘এর অর্থ হচ্ছে যে রাসূল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম এর ওপর মিথ্যা বলবে সে যেন নিজ স্থায়ী ঠিকানা জাহান্নাম বানিয়ে নেয়। ’ (তারিকুল হিজরাতাইন : ১৬৯)

ধন্যবাদ।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০২

ফটিকলাল বলেছেন: আপনি আপনার মিথ্যাকথা সত্য বলে প্রতিষ্ঠা করার জন্য হাদিসের আশ্রয় নিলেন সেখানে এটা স্পস্টত যে আপনি আপনার ইগোর কাছে ইসলাম নিয়েও ছিনিমিনি খেলতে পারেন।

সুত্রে আমি ওমানের সরকার পরিচলিত মিউজিয়ামের সরকারী ওয়েবসাইট দিয়েছি। অন্য সুত্রে পাবেন তুরস্কের বিভিন্ন মিউজিয়ামের। এখন আপনি যদি মনে করেন দুনিয়ার তাবৎ ইসলামী স্কলার ভুল বলেছে এবং আপনি সঠিক তাহলে তো বোঝা যাচ্ছে আপনার নিজস্ব ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে!

দয়া করে আমার ব্লগে আপনার উলামায়ে গুগল নিয়ে কমেন্ট করে নিজের অপদস্থ নিজে করবেন না বলে আশা করি। আপনি কি কখনো ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পা দিয়েছেন? এত অহংকারী হয়ে কিভাবে নিজেকে মুসলমান দাবী করেন?

ভেবে অবাক হই কেন কিছু মুসলমান নামধারী মানুষ এতটা উগ্র হয়ে সমাজে ফেতনার সৃষ্টি করে। সত্যি দুঃখ জনক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.