নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুমের মতো ঘুম চাই

ফটিকলাল

ইহা একটু হৃস্টপুস্ট ব্লগ কারন ব্লগ দিয়েই তো ইন্টারনেট চালাই

ফটিকলাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

হৃস্টপুস্ট বাৎসরিক আমলনামা

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

তখন ইরাক এমন রূক্ষ ছিলো না। ইউফ্রেতিস-তাইগ্রীসের আশীর্বাদে উর্বরা জমিতে জব-রাইনের চাষে সবার মুখে হাসি লেগে থাকতো। রাতের বেলা উচ্ছিষ্ট জবে মধু মিশিয়ে গেজানো হতো নেশাতুর মদ। শীত চলে গেলে পাহাড়ের গা বেয়ে হেসে উঠতো দিগন্ত বিস্তৃত সুমিষ্ট আঙ্গুরের বাগান। সেই পাঁকা আঙ্গুর ঘরে উঠলেই ওক কাঠের ড্রামে জমতো লাল, সাদা সুরা। বলা হয়ে থাকে ইউরোপের ঐতিহ্যবাহী ওয়াইনের স্বাদে দোশোয়ালি মসলার স্বাদের চল এখান থেকেই। তা হবে ৬-৭০০০ বছর আগের কথা। ইউফ্রেতিসের মিষ্টি পানি এতটাই দিয়েছিলো যে তারা আসমানের সেসব ঈশ্বরদের কাছে হাত পাততো যারা যৌনতা, ভালোবাসা, যুদ্ধ, ক্ষমতার আধার। ইনানা-ইশতার আরাধনায় নামে মন্দির তৈরী করতো। ইরাকী, সিরিয়ান, সাসানিদদের প্রাচুর্য্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে স্থানিয়দের ধর্মেও ইনানার প্রভাব পড়তে শুরু করে, মিশরের আফ্রোদিতি তো তারই ছায়া।

জলবায়ু পরিবর্তন ও ক্ষমতার পালাবদলে মেসোপটেমিয়ার সুদিন স্থায়ী হয়নি, ইনানা-ইশতারও প্রভাব হারায়। তখন ইন্দো-ইরানীয়ানরা ভালো করতে শুরু করলে জুরুস্থ্রু ধর্মের প্রভাব বাড়তে থাকে। সেদিকের অঞ্চল কিছুটা রুক্ষ হওয়ায় আনাহিতা নামের দেবীর জন্ম হয়। বিশ্বাসীরা বলতো সর্বশক্তিমান আজুরা মেহতা পৃথিবী সৃষ্টির পরপরই এক নদীর সৃষ্টি করেন যিনি সকল নদীর মা। সেই নদী ভাগ হয়ে আশীর্বাদ পৃথিবীর প্রতন্ত অঞ্চল করেছে উর্বর। আর ঐ আদি নদী যার হতে তৈরী সেই আদি দেবী হলো আনাহিতা। তখন কাবুলের নাম ছিলো হারাহ্ভতি: অর্থ নদীর শহর। কাবুলে কখনো যাইনি, সেখানে কি সত্যি এত নদী ছিলো? নাকি বরফ গলা পানি ইরানের মাঝে বইয়ে যেতো নদী হিসেবে, তাই জুরুস্থ্রু অনুসারী পারসিয়ানরা তাকে এই নাম দিয়েছিলো এটা জানতে হলে ঐতিহাসিকদের পিছে ধর্না দিতে হবে।সময় গড়িয়ে গেলে যখন ভারতবর্ষে আফগানিস্থান, মঙ্গোলীয়ান, চৈনিক কানিস্ক এবং পারসীয়ানদের নজর পড়ে তখন স্থানীয়দের আচারেও এর প্রভাব পড়ে।

বলা হয়ে থাকে আমাদের পূর্বপুরুষ নাকি আর্যরা। আর্যরা মূলত খ্রিস্টপূর্ব দেড় হাজার বছর আগে ভারতে আসে, এবং ঠিক তখনই সনাতনী ধর্মের উদ্ভব হয়। তাদের আনাহিতার আদলে পার্শ্ববর্তী কাবুলের মতো স্যাতস্যাতে নদী জলাভূমি বনভূমি পূর্ন এলাকায় তার নাম হয়ে যায় স্বরস্বতী। কাবুলের দিকে যে দেবী ছিলো নদী, ফসল, উর্বরা, ক্ষমতা, শক্তির প্রতীক, সনাতনী ধর্মে সে হয়ে গেলো শিক্ষা, অভিজ্ঞতা, সংগীত, প্রজ্ঞার প্রতীক।

দুটো ব্যাপার লক্ষনীয়: মানুষ বেঁচে থাকার প্রয়োজনে দেব দেবীর ক্ষমতার বিবর্তন ঘটায় এবং সভ্যতা কখনো এক স্থানে স্থির থাকে না। যখন কেউ বলে আমাদের পূর্ব পুরুষ এটা করেনি, সেটা করেছে তখন প্রশ্ন জাগে আমাদের পূর্ব পুরুষ কে? কারা? তারা কি ভূমিপুত্র?

বাবা আমাকে বলতেন দাদা প্রচন্ড মেধাবী ছিলেন। দাবা খেলায় চ্যাম্পিয়ন হলে বিলেতের অনেকে তার ছবি তুলেছিলেন। কলকাতায় খেলার আমন্ত্রন পেয়েছিলেন। হঠাৎ করে তিনি পাল্টে গেলেন। বিয়ে শাদী করে পুরোদস্তুর ধার্মিক। নিজের ছবি সব পুড়িয়ে ফেলেন দাবার সাথে। জীবন জীবিকার একটা নেশা তার মধ্যে ছিল। তবে তার চোখে কখনো সুখ ছিলো না, স্থিরতা ছিলো না। তার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে গেলে এক অজানা হতাশা গ্রাস করে। বাবাকে তিনি চেয়েছিলেন তার মতো করেই মানুষ করতে। ভারতবর্ষ ভাগের পর ঢাকা পাঠান উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে। সবসময় বলতেন কিছু একটা করতে।বৃদ্ধ দাদার পাগলামো দেখে যখন বিরক্ত হতাম তখন বাবা কাছে ডেকে বলতেন এই মানুষটার অর্জন নিয়ে, বলতেন আমরা যতই নিজেকে বাঁধতে চাই, নিজের সত্বা বিদ্রোহ করবেই। জীবন অর্থহীন হবে।

আমার সত্বার জন্ম কোথা থেকে? এই সত্বার সাথে আমাদের পূর্বপুরষদের চাপিয়ে দেয়া ঐতিহ্য কতটুকু মিশে আছে? আমার তো মনে হয় আমাদের পূর্বপুরুষ বলতে নির্দিষ্ট কিছু নেই। কনিস্ক নামের এক মহারাজা ছিলেন যিনি আফগানিস্থান, ইরান, পুরো ভারতবর্ষ দখল করে পুরো চীনও তার আয়ত্বে ছিলো। তার ন্যায়পরায়নতা, সর্বজনবিদিত এবং তাকে রাজাদের রাজা বলা হতো।তার অর্থনীতি ছিলো স্বয়ংসম্পূর্ন, স্থানীয় মুদ্রার প্রচলনে সোনা ব্যাবহার করতেন। কয়েক দশক পর তার রাজত্বের পতন ঘটে। কনিস্কের সময়কাল শুরু হয়েছিলো খ্রিস্টপূর্ব দেড়শো বছর আগে। তার আগে ইরানিয়ানরা এসেছিলো, আর তার আগে? কেউ না কেউ নিশ্চয়ই? প্রশ্ন জাগতে পারে আমাদের স্থানীয় পূর্বপুরুষরা কখনোই কি নিজেদের শাসন করেননি?

আমাদের ধর্ম সংস্কৃতি তাদের চিহ্নই বহন করে। হালে আমরা ইসলামী সভ্যতায় মশগুল তারপরও আমরা পুরোনো সেই নবান্নের উৎসব থেকে শুরু করে, বাংলা ক্যালেন্ডারের পহেলা বৈশাখ সহ নানা কিছু পালন করছি। বাংলা ক্যালেন্ডারের গোড়াপত্তনও তো আমরা করিনি। তার মানে এটাও আমাদের সংস্কৃত ছিলো না। বিজাতীয় শাসক খাজনা তুলবার জন্য এবং কৃষিকাজের সুবিধার্থে এর প্রচলন করেছেন। তারও আগে আমাদের সংস্কৃত আচার ঐতিহ্য অন্যরকম ছিলো।


এরকম মূল খুজতে গেলে ডারউইনের সেই বিবর্তন নিয়ে বসতে হবে। আজ হতে ৫০-৬০ হাজার বছর আগে যখন নিয়েনডার্থালরা দুনিয়া কাপিয়ে বেড়াতো তাদের কথা বলতে হবে। ৪৫ হাজার বছর আগে নিয়েনডার্থালরা ছড়িয়ে পড়লে তাদের মধ্যে থাকা বিবর্তিত বর্তমান হোমোস্যাপিয়েন্সরা নিজেদের মধ্যে গোত্র তৈরী করে বিদ্রোহ শুরু করলো, একের পর এক ব্যার্থ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে লাগলো, সেটাই ছিলো আধুনিক সভ্যতার কারিগর মানুষের ইতিহাসের গল্প।

২০২০ সালটা আমার কাছে এজন্যই গুরুত্বপূর্ন যখন আমরা বুঝতে পারি আমরা কি হারিয়েছি, কি অর্জন করছি এবং এই অর্জনের পেছনে কতটা উৎসর্গ করতে হয়েছে। দিন শেষে আমরা হিসাব করছি যা হারালাম আসলেই কি তা ঠিক ছিলো। যারা মনে করেন যা হারিয়েছি তার মূল্য শোধ করা যাবে না, তারা রাস্তায় নেমেছে। কখনো ভাস্কর্য্যের নামে, কখনো ধর্ষনের অপসংস্কৃত রুখবার নামে, কখনো আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। সবখানেই বিপরীতমুখী দলগুলো মুখোমুখি ছিলো। বিশৃঙ্খলার সৃষ্টির সুযোগ ছিলো। নানা কারনেই হোক বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়েনি।

পদ্মা সেতু, অবিশ্বাস্য দ্রুততম সময়ের সাথে বিচার সম্পন্ন হবার সংস্কৃতি, কোরোনার মহামারীতে শতভাগ সফলতার সাথে গার্মেন্টস কর্মীদের ডিজিটাল উপায়ে প্রনোদনা আমাদের মনে আশা জাগায়। বড় বড় টাকার কুমির হওয়া ঘুষখোররা যখন একে একে ধরা পড়ছে, তখন আমরা সোচ্চার হচ্ছি পালের গোদাকে কখন পাকড়াও করবে। এসব সুখবরও যেনো ঢেকে যায় ভয়ংকর খারাপ খবরে। কোরোনার কারনে লক্ষ কোটি মানুষ কর্মহীন। দেশের স্বাস্থ্যব্যাবস্থা দু একটা মানুষের কারনে ধ্বসে পড়লো তারা শাস্তি পাবার বদলে পুরস্কৃত হলো, ধরা পড়লো চুনোপুটি। সরকারী ছত্রচ্ছায়ায় পর্বতসম দুর্নীতির ছড়াছড়ি সেখানে মানুষ দুটো চালের জন্য রাস্তায় নামছে। দেশের জিডিপি বিশ্বের শীর্ষস্থানে: এই খবরটি যেন এক অশ্লীল কৌতুক।

তবুও মানুষ স্বপ্ন দেখে। আজ থেকে হাজার বছর আগে মানুষ যে কারনে দেশান্তরী হতো, আসমানী সাহায্যের আশায় বিভিন্ন নামে ঈশ্বরের আরাধনা করতো, এখনও মানুষ তাই করছে। হতে পারে ঠিক এ কারনেই ২০২১ সাল হবে সম্ভাবনায়, হাজারটা খারাপ খবরের ভীড়ে আরও বেশী বেশী ভালো খবর শুনবো। এমনও হতে পারে একটা বিশাল পরিবর্তন, আর তার পরেই হয়তো বাস্তবায়িত হবে ইউটোপিয়ান আকাঙ্খা!

এতটুকু বিশ্বাস রাখতে সমস্যা কি বলেন? সংগ্রামী মানুষের জেদ আর বিশ্বাসটাই হলো সুপার পাওয়ার।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৭

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: মানুষ বিধাতার কাছে তা-ই প্রার্থনা করে যা তার কাছে নেই। এজন্যই যখন মানুষের পেট ভরেছে,সম্পদ বেড়েছে তখনই নতুন বিষয়ের নতুন দেব-দেবীর আগমন ঘটেছে।
পূর্বপুরুষ সম্পর্কিত যে প্রশ্নটি করেছেন সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসলে সেভাবে নির্দিষ্ট পূর্বপুরুষ নির্ধারণ করার সুযোগ কম।মানুষের সমাজ,সংস্কৃতি ও নৃতত্ত্ব ,সত্তা দিন দিন পরিবর্তিত হয়েছে এখনো হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে।
পরিবর্তনই জগতের নিয়ম।মানুষের মানসিকতা ও পরিবেশ পরিবর্তিত হয়।
আমরা অবশ্যই আশাবাদী ।২০২১ সাল হয়তো আমাদের ভালো কিছু দেবে।আশায়ই মানুষ বেঁচে থাকে।
আসলেই সংগ্রামী মানুষের জেদ আর বিশ্বাসই হলো সুপার পাওয়ার।এ কথার সাথে একমত।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৮

ফটিকলাল বলেছেন: তাহলে যে এত মানুষের নিজের ধর্ম ঐতিহ্য সংস্কৃতি নিয়ে বড়াই বিভেদ খুনোখুনি সবই তো অর্থহীন। তাহলে মানুষ পরিবর্তনের দোহাই দিয়ে এগুলো ত্যাগ করবে নাকি এগুলো আঁকড়ে ধরে পড়ে থাকবে? আমাদের পিছিয়ে পড়ার ক্ষেত্রে এর প্রভাব কতটুকু?

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৫

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: " তাহলে যে এত মানুষের নিজের ধর্ম ঐতিহ্য সংস্কৃতি নিয়ে বড়াই বিভেদ খুনোখুনি সবই তো অর্থহীন"
বড়াই বিভেদ খুনোখুনি আসলেই অর্থহীন।মানুষ পরিবরর্তন সহজে মেনে নেয় না।অভ্যস্ত হতে সময় লাগে। এজন্যই মানুষ পুরাতনকে আকঁড়ে ধরে থাকতে চায়,যাতে সে অভ্যস্ত।

"তাহলে মানুষ পরিবর্তনের দোহাই দিয়ে এগুলো ত্যাগ করবে নাকি এগুলো আঁকড়ে ধরে পড়ে থাকবে? আমাদের পিছিয়ে পড়ার ক্ষেত্রে এর প্রভাব কতটুকু?"

এ ব্যাপারটা একটু জটিল।পরিবর্তনের দোহাই দিয়ে সব কিছু ত্যাগ করা যেমন যুক্তিযুক্ত নয়, তেমনি মূলকে আঁকড়ে ধরাও গ্রহনযোগ্য নয়। মানব সমাজ গতিশিল এবং প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল।তাই সময়ের চাহিদা অনুসারে সংস্কৃতি ও প্রথার যুক্তিযুক্ত ও গ্রহনযোগ্য সংস্কার করতে হবে তার মূল উদ্দেশ্যকে ঠিক রেখে। এই ব্যাপারটা আমাদের সমাজে নেই বলেই আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৯

ফটিকলাল বলেছেন: মূলকে আকড়ে ধরা আর পরিবর্তন মেলে নেয়া: এই দুটোর মাঝখানে থাকার সীমারেখা কি নির্ধারণ করা আছে? একজন মানুষ কতটুকু ছাড় দেবে বা গ্রহন করবে বা তার বিনিময়ে সে যা হারাচ্ছে আসলেই সেটা শুভকর কিনা সেটা নিয়ে কোনো আলোচনা কি কখনো হয়েছে? এরকম আলোচনার প্রয়োজন একাডেমিক ও মেইনস্ট্রিম মিডিয়াতে করতে হলে তার ধরনটা কেমন হওয়া উচিত? আমাদের সমাজে আসলে ঐক্যমত্যের কাতারে মানুষ পাওয়া মুস্কিল, তাই না?

৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৩

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: এদের মধ্যে কোনো সীমারেখা নেই।এখন সরলভাবে বলতে গেলে কোনটা আমার জন্য ভালো কোনটা খারাপ সেটা নিজের শিক্ষা,বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে নির্ধারণ করে নিয়ে ভালোটা গ্রহণ করা আর খারাপটা বর্জন করাই যুক্তিযুক্ত। কিন্তু কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ সেটা নির্ধারণ করার মতো জ্ঞান থাকা আবশ্যক,যার অভাব আমরা সর্বত্র দেখতে পাই।

"একজন মানুষ কতটুকু ছাড় দেবে বা গ্রহন করবে বা তার বিনিময়ে সে যা হারাচ্ছে আসলেই সেটা শুভকর কিনা সেটা নিয়ে কোনো আলোচনা কি কখনো হয়েছে? এরকম আলোচনার প্রয়োজন একাডেমিক ও মেইনস্ট্রিম মিডিয়াতে করতে হলে তার ধরনটা কেমন হওয়া উচিত?"
মেইন্সট্রিম মিডিয়াতে আলোচনা হয়।কিন্তু সবাই র‍্যাডিকেল এ ব্যাপারে।কেউ চান পুরনোকে একেবারেই বাদ দিতে,আবার কেউ চান নতুনকে বাদ দিতে। ফলে এখানে পক্ষের সৃষ্টি হচ্ছে।এমন হওয়াটা ক্ষতিকর। পুরনোর অভিজ্ঞতা এবং নতুনের উদ্যম দুটোরই দরকার আছে।
ঐক্যমতের মানুষ পাওয়া মুশকিল।বেশির ভাগই নিজের মতামত চাপিয়ে দিতে চায়।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৭

ফটিকলাল বলেছেন: আমরা হুট করে এতটা উগ্র হলাম কবে? আমরা কি আগে থেকেই এরকম উগ্র ও র্যাডিক্যাল ছিলাম? ৫৭ ধারার আইন দিয়ে দুপক্ষকেই শায়েস্তা করা যায় বলে এই উগ্রতার ফলনের পিছে সরকারের অবদান বেশী না পারিপার্শ্বিক পরিস্তিতি ও শিক্ষা?

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইতিহাসের এতকিছু খুজেখুজে বের করতে পারলেন আর মুয়াবিয়া কোন ধর্মের অনুসারী ছিল ঐতিহাসিক প্রমান সহ বের করুন।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৬

ফটিকলাল বলেছেন: যতদূর জানতে পারি হযরত মুয়াবিয়া রাঃ এর বোন উম্মে হাবিবা রাঃ একজন উম্মুল মুমিনিন অর্থাৎ মহানবী সাঃ এর বিবি ছিলেন। এটা তাবারী, বালাজুরী, ইবনে ক্বাথীর সহ বিভিন্ন সীরাত লেখকের বইতে লেখা। এবং উনি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার কোরান কিছু অংশ লিপিবদ্ধ করেছেন। মক্কায় বিজয়ের পর মুয়াবিয়া রাঃ ইসলাম গ্রহন করেন এটা পাবেন তাবারীর সীরাতের ভলিউম ৮ যেখানে মক্কায় বিজয়ের ব্যাপারগুলো এসেছে। ইবনে ক্বাথীরের সীরাতেও এসেছে খুব সম্ভবত ভলিউম তিন এ

আপনি যে বিষয়টার দিকে আঙ্গুল তুলছেন(যতটুকু বুঝতে পারি) সেটা হযরত উসমান রাঃ এর সাথে তার যে ভুল বুঝাবুঝি এবং এর কারনে যে বিদ্রোহের সৃষ্টি এবং পরে আহলে বাইতের সাথে তার যে দ্বন্দ্ব সেটা বিভিন্ন ঐতিহাসিকের বইতে এসেছে। আমার ব্যাক্তিগত ধারনা তারা যতই দ্বন্ধে লিপ্ত হোক না কেন তাদের সবার লক্ষ্যই ছিলো ইসলামের খেদমত ও সম্প্রসারণ এবং তাতে ব্যাক্তিস্বার্থ ও স্বজনপ্রীতিকে কাছে ঘেষতে দেননি। তাদের দ্ব্যার্থহীন পদক্ষেপ ও বক্তব্য আমাকে যে শিক্ষা দান করে তা হলো কোরান ও মহানবী সাঃ এর আদর্শকেই আকড়ে থাকতে হবে। মানুষ ভুল করতেই পারে এবং তার হিসাব আল্লাহ করবেন।

আমরা কে তা নিয়ে কথা বলার।

একটা প্রশ্ন: এমন কোনো বইতে কি পেয়েছেন যে হযরত মুয়াবিয়া রাঃ রিদ্দা করেছিলেন? এটা আমার অজানা

৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪২

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: উগ্রতার ফলনের পেছনে সরকার,সমাজ,রাজনীতি,শিক্ষা সবকিছুর দায় আছে।আগেও মানুষ উগ্র ছিলো।কিন্তু প্রকাশ করার জায়গা ছিলো না।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সমমনা বহু উগ্র মানুষকে একত্রিত করেছে।যার ফলে এগুলো আমরা জানতে পারছি।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৭

ফটিকলাল বলেছেন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কে নিয়ন্ত্রন করে এই উগ্রতা রুখে দেয়া কি সম্ভব নাকি ধর্মীয় শিক্ষা এখানে অবদান রাখতে পারে?

৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫২

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: নিয়ন্ত্রণ করে কোনোকিছু অর্জন করা যায় না।সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৮

ফটিকলাল বলেছেন: আমার মনে হয় আমার মাথার চুল যতগুলো বাংলাদেশের শিক্ষাব্যাবস্থার সংস্কারের সংখ্যা তার সমান। লাভ যে কার হচ্ছে সেটা বোঝা দুস্কর। আমার মনে হয় নীতি নির্ধারকরা এটাই জানেন না যে সংস্কার কিসের জন্য এবং কোন পথে হাটবার জন্য করছেন। অথচ প্রতিবার সংস্কারের আগে একেক রকম বড় বড় কথা বলেন।

প্রশ্ন জাগে নতুন সংস্কারের কথা বলার সময় আগের বারের সংস্কারের জবাবদিহিতা কেউ করেছে কিনা? যদি জবাবদিহিতা এবং তদানুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হতো তাহলেই কি ল্যাঠা চুকে যেতো? আর সংস্কার কি শুধু একটা শ্রেনী অর্থাৎ শুধু বাংলা মিডিয়ামের জন্য হবে? তাহলে মাদ্রাসা ইংলিশ মিডিয়াম কি দোষ করলো? নাকি তারা সংস্কারের উর্ধ্বে? এর সমাধান কি?

৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পি কে হাওলদার তিনশত কোটি টাকার উপরে নিয়ে লোপাট । উনার ৮০/৯০ জন গার্লফ্রেন্ড আছে যাদের নামে কোটি কোটি দিয়েছেন। (আজকে পেপার আমাদের সময়) । এই কয়েক বছর যে টাকা পাচার হয়েছে তাতে হিসাব করাই কঠিন

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০০

ফটিকলাল বলেছেন: কঠিন বলে কি আমাদের এরকম চুপচাপ করে বসে থাকতে হবে? ওপরে একজন শিক্ষা ক্ষেত্রের সংস্কারের কথা বললেন? আপনার কি মনে হয় অর্থনৈতিক ব্যাবস্থাপনায় এরকম সংস্কার জরুরী? সেটা কোন অংশের ওপর? দেশে তো ইসলামী ব্যাংক, গ্রামীন ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, প্রবাসী ব্যাংক, পশ্চিমা ধারার ব্যাংক সহ অনেক কিছু চালু? সবগুলোর জন্য অভিন্ন সংস্কার আদৌ কি সম্ভব?

৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যেসব রেফারেন্স আপনি দিলেন সবগুলোই দেড়শ বছর পরের লেখা,আর এইগুলো কোন ঐতিহাসিক প্রমান না।চার খলিফার কথা বাদ দিলেও মুয়াবিয়ার সাম্রাজ্য মোটামুটি বড়ই ছিল।কোন স্থাপনা কোন মুদ্রা অবশ্যই ছিল।
আমি নেট ঘেটে যে মুদ্রাটি পেয়েছি, সেখানে একদিকে মুয়াবিয়ার ছবি অন্য দিকে জরাথ্রুষ্ট পাশে আছে খৃষ্টানের ক্রুস।ইসলাম ধর্মের কোন নাম নিশানাও নাই। তাই আমার মনে প্রশ্ন।দুইশ আড়াই বছরের পরের সবকিছুই মনে হয় গল্প।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৯

ফটিকলাল বলেছেন: মুদ্রাটির লিংক যদি শেয়ার করতেন তাহলে একটু পড়ে দেখতাম আসলে ঘটনাটা কি। গতবছর সৌদী আরব পুরাকীর্তির ওপর গবেষনার জন্য রাস্ট্রের দুয়ার খুলে দিয়েছে। ইসলামের সেই সময়টা নিয়ে আলোচনার সুযোগ আছে যদিও সে সময়কার বেশীর ভাগ দলিল বিলুপ্ত বা হারিয়ে গেছে। এটা হতাশাজনক হলেও সেগুলো নিয়ে আলোচনা অবশ্যই করা যায়।

আপনি কি একটু রেফারেন্স যুক্ত করে বর্ননা করতে পারবেন? উল্লেখ্য তাবারীর লেখা সীরাতের সময়কাল ৯০০ এর পরে। বালাজুরি লিখেছিলেন ৮০০ এর দিকে। ইবনে কাথীর ১১০০ এর দিকে। সর্বাধিক পুরোনো পাওয়া যায় ইবনে ইশাক রাঃ যেটা কিনা হিশাম রাঃ এর সংকলিত। তার আগের প্রায় সবগুলো বিলুপ্ত শুধু মাত্র হযরত আলী রাঃ এর সংকলন বিভিন্ন শিখা গ্রন্থে বর্নিত পাওয়া যায়।

সেটা যাই হোক, আপনি যা পেয়েছেন সেগুলো শেয়ার করুন। ব্লগে অন্যান্যরা যা জানেন তারাও বিষয়ে আলোচনার সুযোগ পাবেন। আমার ও জ্ঞানের কমতি আছে

৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৬

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: বাংলাদেশের কোনোকিছুতেই জবাবদিহিতা নেই। সংস্কারের সময় নির্ধারকরা বলেন যে,উন্নত বিশ্বের আদলে পরিবর্তন করা হচ্ছে।অথচ আমাদের আর তাদের প্রেক্ষাপট ভিন্ন।আমাদের সংস্কার করতে হবে আমাদের পরিবেশ,পরিস্থিতি ও কার্যকারীতা অনুসারে।আর সেটা সামগ্রিক।বাংলা,ইংরেজি,মাদ্রাসা সব ক্ষেত্রে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২১

ফটিকলাল বলেছেন: সেক্ষেত্রে কুদরত ই খুদা কমিশন কি গ্রহনযোগ্য বর্তমান প্রেক্ষাপটে? বর্তমান সমাজে এই কমিশনের ওপর এত বিতৃষ্ণার কারন কি? এর চোখে উন্নততর ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে কি কেউ কাজ করেছে?

১০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩১

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: এ ব্যাপারে আমার জানা নেই।জেনে নেব অবশ্যই।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৪

ফটিকলাল বলেছেন: আপনার সাথে কথা বলে তৃপ্তি পেলাম। আবারও ফিরে আসবেন আশা রাখি

১১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইসলামিক আওয়ারনেস
ইংরাজিতে লিখে সার্স দিলে আসবে


২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৯

ফটিকলাল বলেছেন: আপনি বোধহয় এই কয়েনের কথা বলছেন। কিন্তু কয়েনের ওপর খোদিত করা বিসমিল্লাহ আবং তার পেছনে আগুনের মশালের একটা ছবি। পাশের দুটো কি বোঝা যাচ্ছে না। আর কয়েনটি সাসানিদ সম্রাজ্যের যার প্রধানকেন্দ্র ছিলো পারস্যের কিন্তু হযরত মুয়াবিয়া রাঃ শাসন করেছিলেন সিরিয়া ইরাকের দিকে। তিনি সেদিক থেকেই ভূমধ্যসাগরে নিজের অবস্থান শক্ত করে শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তোলেন যা পরে ইউরোপে ইসলামের বিস্তারে সহায়তা করে।

আপনার দাবীর সাথে তো মিলছে না। সেক্ষেত্রে ইসলামিক যে ইতিহাস তার সাথেই সামন্জস্যতা পাওয়া যায়

১২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০০

রাজীব নুর বলেছেন: একটা পোষ্ট এত কিছু নিয়ে বলেছেন, কি মন্তব্য করবো বুঝতে পারছি না।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৩

ফটিকলাল বলেছেন: আপনার চোখে ২০২০ সামগ্রীক ভাবে কেমন গেলো? আপনার জীবনে কি প্রভাব ফেলেছে? আমি আমার চোখে যা দেখেছি অনুধাবন করেছি তাই লিখেছি। আপনি আপনার ভাষাতে বলতে পারেন।

১৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কয়েকটা মুয়াবিয়ার।এর আগের কোন নিদর্শন পাওয়া যায় নাই।সে যে খলিফা তার প্রমান কোথাও পাওয়া যায় না।বিশ্বাসিদের কমান্ডার দুই তিন যায়গায় লিখা আছে, ওমরের তাও নাই।ডোম অফ দা রক এর ছবিটা দেখে ছিলেন।সেটা আরো পরের।সেখানেও ১০/১৫ লাইন লেখা আছে কিন্তু কোথা নবী মুহাম্মদ লেখা নেই।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩৭

ফটিকলাল বলেছেন: পুরাতত্বে একটা কথা আছে সেটা হলো যদি কারো নিদর্শন না পাওয়া যায় তার মানে এই নয় যে তার অস্তিত্ব নাই। নিদর্শন তারই পাওয়া যায় যিনি ইতিহাসের গতি পরিবর্তন করতে সমর্থ হয়েছেন। তাই বলে এটাও নয় যে তার অস্তিত্ব পুরাকীর্তিতে থাকতে হবে। প্রাচীন অনেক দার্শনিক পাওয়া যায় যাদের কোনো লেখা বই বা কবরের অস্তিত্ব নাই। তবে তাদের কথা পাওয়া যায় মৃত্যুর কয়েকশ বছর পর বিভিন্ন মনীষীর বইতে। পারমেনিদাস তার অন্যতম। থেলিসের অনেক দার্শনিক আছেন যাদের কথা আমরা এরিস্টটল ও প্লেটোর মাধ্যমে জানতে পারি। সক্রেটিসও তেমনি একজন লোক। সে হিসেবে ইসলামের ক্ষেত্রে আমাদের ধর্মীয় ব্যাক্তিত্বসমূহ যে অঞ্চলে জন্ম নিয়ে শাসন করে ইসলামের প্রসার ঘটিয়েছেন তাদের পুরাকীর্তির স্থাপত্যের নিদর্শনের চাইতে আমাদেরকে দেখতে হবে তৎকালীন পান্ডুলিপিতে কি আছে। স্বীকার করি মহানবী সাঃ এর জীবৎকালের পান্ডুলিপি পাতা দুস্কর এবং খ্রিস্টান মিশনারী সমূহ এই কথাটাই বারংবার বলবে। তবে তাদের সমস্যা হলো তারা যে যীশুখ্রিস্টের পূজা করে তার কোনো পূরাকীর্তিক নিদর্শন পাওয়া যায় না। যেটা পাওয়া যায় তার মৃত্যুর কয়েক দশক পর বিভিন্ন লেখকের লেখার প্রচ্ছন্ন বর্ননা।

আমরা মুসলমান হিসেবে আরো নিরুপায় কারন তাদের দেশ জ্ঞানে বিজ্ঞানে যতটা উন্নতি করেছে আমরা ততটা করতে পারিনি নিজেদের মধ্যেকার ঘৃন্য রাজনীতি ও ভুল নীতি গ্রহন করবার কারনে। তাই খ্রিস্টান মিশনারীদের এসব প্রশ্ন শোনাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

বরংচ আপনি যে নিদর্শন দিলেন তার মাধ্যমে এটাই প্রমান হয় যে হযরত মুয়াবিয়া রাঃকে আমরা চিনি তিনি মুদ্রার প্রচলন করার ক্ষমতায় ছিলেন এবং তার অর্থনীতি ইসলামী অর্থনীতি। হয়তো যারা আর্কিওলজিস্ট তারা যদি আরও গবেষনা করেন তাহলে অনেক বিষয় পরিস্কার হবে। আমার জন্য সানার যে পান্ডুলিপি বা হযরত উসমান রাঃ এর নিজস্ব তাশখন্দের কোরানের পান্ডুলিপি এখনও সংরক্ষিত সেটা প্রমান করে তৎকালিন মহানবী সা এর অস্তিত্ব তথা সাহাবীদের কর্মকান্ড বিদ্যমান ছিলো। এবং তাদের কবর মোবারক যেভাবে স্থানাকায়িত করা সেটাও আমাদের ধর্মের সঠিকতার অস্তিত্বের বড় প্রমান।

তারপরও আমি আত্মবিশ্বাসী এবং আপনাকে আহবান করছি আপনার জানা মতে এরকম আরও কিছু পুরাকীর্তির অস্তিত্ব থাকে তাহলে দেখান সেগুলো নিয়ে কথা বলি। আশাকরি পারস্পরিক যে ভুল বুঝাবুঝি তা আলোচনার মাধ্যমেই দূরীভুত হবে।

আপনি আপনার দাবি অনুসারে আরো কিছু তথ্য দিন, তা সে খ্রিস্টানদের হোক বা ইহুদী বা নাস্তিক দেখি চেস্টা করে। আমার নিজেরও অনেক কিছু জানার বাকি, দেখার বাকি। কি নেই সেটা দিয়ে আপনি কখনোই তার অস্তিত্ব নেই সেটা প্রমান করতে পারবেন না। এটা আর্কিওলজির একাডেমিকভাবেই তা স্বীকৃত। সন্দেহ থাকতেই পারে কিন্তু সেটা নিয়ে আলোচনা করার দরকার আছে।

আপনি আপনার সুত্র ও প্রমান সমুহ পেশ করতে পারেন ইনশাল্লাহ আমরা সবকিছুর মধ্যেই একটা ইতিবাচক উত্তর খুজে পাবো

আমিন

১৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৩

সোহানী বলেছেন: ভাবনায় ভালোলাগা।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৮

ফটিকলাল বলেছেন: আপনার ২০২০ সম্পর্কে মূল্যায়ন কি? আশাবাদ কি ব্যাক্ত করা যায়?

১৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:০২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনি আমাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন।আমার বলার বিষয় হলো আব্বাসিয়রা যেভাবে ইসলামের ইতিহাস লিখেছে বাস্তবতা ঠিক সেই ভাবে ছিল না।সেখানে অনেক গাল গল্প আছে।
কোরানের মতো জটিল একটা বই যে সময়ে লিখিত,টুক টাক কিছু ইতিহাস লেখার জন্য দুই আড়াইশ বছর অপেক্ষা করতে হবে এটা কি বিশ্বাস যোগ্য।
এরিস্টটল ও প্লেটো সরাসরি সক্রেটিসের ছাত্র,তারা অনেক পরের কেউ না।তাদের সব বইএর পান্ডুলিপি এখনো বর্তমান ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৯

ফটিকলাল বলেছেন: এরিস্টটলের সব বই সংরক্ষিত নয় যার একটি উদাহরণ নিউকেমাশিয়ান এথিক্স। এর বেশ কিছু অংশ ইউডেমিয়ান দ্বারা পূর্ন। সেক্ষেত্রে প্লেটোর কথাও খাটে। কোরান শরীফের পূর্ন সংকলন মহানবী সাঃ এর মৃত্যুর ৫-১০ বছরের সম্পূর্ণ হয়। তার সীরাত এবং হাদিসের সংকলনের ব্যাপারে তার নিষেধাজ্ঞা ছিলো কিন্তু তার মৃত্যুর পর অনেকেই সংকলন করেন যা তারা নিজেদের কাছেই রাখেন। পরে তা কালের বিবর্তে বিলুপ্ত হলেও পরবর্তী অনেকের লেখাতে তা উঠে এসেছে।

তাই মহানবী সাঃ এর মৃত্যুর ১০০-১৫০ বছর পর লেখা ইতিহাসের কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।

মহানবী (সা.)–এর জীবনী আলোচনার প্রধানতম দুটি বাহু রয়েছে। একটি হলো ‘সিরাত’; যাকে ‘সিয়ার’ ও ‘মাগাজি’ও বলা হয়। সিরাত মানে জীবনী। আমরা মহানবী (সা.)–এর জীবনীর যে সাধারণ ধরনটি দেখি, অর্থাৎ জন্ম থেকে তাঁর জীবনের ধারাবাহিক ঘটনাবলির বিবরণ সেটিই ‘সিরাত’ নামে পরিচিত এবং এ-জাতীয় গ্রন্থকে সাধারণত সিরাতগ্রন্থ বলা হয়।

শামায়েলবিষয়ক বিখ্যাত গ্রন্থগুলো হলো ইমাম তিরমিজির (মৃ. ২৭৯ হি.) ‘শামায়েল তিরিমিজি’, ইমাম বাগাবির (মৃ. ৫১৬ হি.) ‘আল আনওয়ার ফিশ শামায়েল’, ইবনে কাসিরের (মৃ. ৭৭৪ হি.) ‘আল-ফুসুল ফি সিরাতির রসুল’ ও জালালুদ্দিন সুয়ুতির (মৃ. ৭৭৪ হি.) ‘শামায়িলুশ শারিফা’

সাহল ইবনে হাসমা (রা.)। তাঁর জন্ম তৃতীয় হিজরিতে। কৈশরে তিনি মহানবী (সা.)–কে দেখেছেন এবং উমাইয়া খলিফা মুয়াবিয়ার আমলে (৪১-৬০ হি.) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর সেই জীবনীর বিভিন্ন অংশ মৌলিক সূত্র আকারে নবম শতকের ঐতিহাসিক বালাজুরি রচিত ‘আনসাব’, ইবনে সাদ রচিত ‘তাবাকাত’, তাবারি রচিত ‘তারিখে তাবারি’ এবং ওয়াকিদির বিভিন্ন রচনায় পাওয়া যায়। এখানে আংশিক তুলে ধরলাম। আরো অনেক গ্রন্থ আছে যা প্রমান করে ইসলামের ইতিহাসের সবকিছুই লিপিবদ্ধ ছিলো। ইতিহাস তখনই রচিত হয় যা গত। চলমান ঘটনাবলি সংবাদ বা ডায়েরি হতে পারে তবে তা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ইতিহাসের সুত্র হিসেবে ব্যাবহার করা যেতে পারে

আপনি গুগলের সহায়তা না নিয়ে ভালো কিছু বই পড়ুন তাহলে আপনি আপনার বিভ্রান্তি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।

আপনাকে ভুল ভাবে উপস্থাপন করার চেস্টা করছি না, তবে আপনার সুত্রগুলো থেকে শেখার চেষ্টা করছি। আপনাদের সন্দেহের বদ্ধমূল কারনগুলো আমার অজানা কিন্তু বলতে দ্বিধা নেই এসবে আমার আজন্ম কৌতুহল ছিলো। নিজের বিশ্বাস কতটা শক্তিশালী সেটাও পরখ করার ইচ্ছা

১৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
২০২১ সাল নিয়ে আমরা আশাবাদী।++++

আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাকে নিয়ে আশাবাদী হতে চাই নভোনীলের পরের পর্বটা যদি আপনি পাঠকের সামনে নিয়ে আসেন।

একটু চেষ্টা করে দেখবেন ভাই আমাদের এই ব্লগীয় ভালবাসার গল্পটিতে থাকুক আপনার স্বাক্ষর।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৪

ফটিকলাল বলেছেন: এত চরম সম্মানের বিষয়। গল্প কখনো চেস্টা করিনি। আমাকে দিয়ে কি হবে? এটা তো অনেক বড় সম্মানের বিষয়। চেস্টা করতে পারি। একটু সময় দিন।

ধন্যবাদ

১৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার চোখে ২০২০ সামগ্রীক ভাবে কেমন গেলো? আপনার জীবনে কি প্রভাব ফেলেছে? আমি আমার চোখে যা দেখেছি অনুধাবন করেছি তাই লিখেছি। আপনি আপনার ভাষাতে বলতে পারেন


এই বিষময় বছরটা নিয়ে সংক্ষেপে লেখার ইচ্ছা আছে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৫

ফটিকলাল বলেছেন: আমরাও অপেক্ষায় থাকলাম আপনার অভিজ্ঞতা জানার জন্য

১৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমার মন বলছে হবে। তাইতো আপনাকে বললাম চেষ্টা করার জন্য। যেহেতু পরের পর্বে কোন ঝামেলা নেই নভো আর মৃন্ময়ীকে আপনি আপনার মত করে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

পুরো গল্পটি পড়ুন আর লিংকতো তমাল ভাইয়ের পোস্টে আছেনই তারপর সাজিয়ে নিয়ে লিখতে বসুন।

শুভকামনা জানবেন। অপেক্ষায় রইলাম।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৩

ফটিকলাল বলেছেন: গল্পের কিছু পর্ব পড়েছি, পুরোটা পড়ে শেষ করতে পারিনি। পুরোটাই রোমান্টিক জেনরা। আমার মধ্যে রোমান্টিসিজম কম, তার ওপর প্রেম জিনিসটাতে কাঁচা। আমি ইতিহাস দর্শন নিয়ে লিখতে পছন্দ করি এবং এতেই আমার অভ্যাস।

আমার লেখা পর্বে এসব ঢুকে গেলে পুরো ধারাবাহিকের মোড় ঘুরে যেতে পারে অথবা এর সামগ্রীক এক্সপ্রেশন আপিল নষ্ট হবে। তখন নিজেকে অপরাধী মনে হবে।

তবে যেহেতু আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চেস্টা একটা করতে পারি! ক্ষতি তো নেই! দায়বদ্ধতা একটা আছে অবশ্য!

১৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৯

শোভন শামস বলেছেন: ভাবনায় ভালোলাগা।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৮

ফটিকলাল বলেছেন: আপনার মতে আধুনিক বিজ্ঞান কি আমাদের সমাজে সাম্যাবস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.