নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুমের মতো ঘুম চাই

ফটিকলাল

ইহা একটু হৃস্টপুস্ট ব্লগ কারন ব্লগ দিয়েই তো ইন্টারনেট চালাই

ফটিকলাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

হৃষ্টপুস্ট পোষ্ট ফিচারিং চেতনা

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৪

৬০ এর দশকে কানাডিয়ান নৃতত্ববিদ এন্ড্রু ওয়ালেস উচ্ছ্বাসের ভঙ্গিতেই আধুনিক বিজ্ঞানের অগ্রসরতার কারনে অলৌকিক শক্তির ওপর বিশ্বাস বিদায় নেবে বলে জানিয়ে দিলেন। তখনকার আমেরিকা কেবলি যৌবনে পা দিয়েছে। মিত্রশক্তির সহায়তায় জার্মানদের হারিয়ে বিশ্বযুদ্ধে আটম বোমার চমক দেখালো। আর তার সাথে সোভিয়েত ইউনিয়নকে নতুন শত্রু হিসেবে দাড় করিয়ে পৃথিবী জুড়ে আমরিকান গনতন্ত্রের নামে কার্পেট বোম্বিং চালানো শুরু করলো। কেউ কেউ পকেট ভর্তি ডলারে লালে লাল শাহজালাল, কিছু দুর্ভাগা বারুদের গন্ধে প্রান হারাবার সময় ইয়া নফসি ডাকারও সময় পেলো না।

সময় গড়িয়ে ঊষালগ্নে আমেরিকান ক্যাপিটালিজম এখন। চীনা মোড়কের ক্যাপিটালিজম দোড়গড়ায় কড়া নাড়ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি একসময়ের ধর্মনিরপেক্ষ দেশের প্রগতিশীল সরকারী পদ জাতিয়তাবাদি ডানপন্থিরা গিলে খাচ্ছে। ভারত মঙ্গলে যান পাঠানোর আগে গোমাতা দিয়ে পূজা করাচ্ছে। এন্ড্রু ওয়ালেস যে ভুলেছেন সেটা ধর্মবিরোধিরা অস্বীকার করে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত দেখালেও সামগ্রিক পরিস্থিতি ভয়ংকর। পোল্যান্ডের মতো দেশ ইউরোপের কেন্দ্রে বসে ইতালি, হাঙ্গারি, বেলারুশদের চোখ রাঙ্গাচ্ছে ইউরোপীয়ান মূল্যবোধকে চ্যালেন্জ্ঞ দুড়ে তখন বুঝতে বাকি থাকে না অলৌকিক বিশ্বাসের ওপর মানুষের আস্থা কোকেনের নেশার মতো জেকে বসে থাকবে ভালোভাবেই আগামী কয়েক দশক।

স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহরু ভেবেছিলেন তিনি ধর্মনিরপেক্ষ ভারত চালাবেন যুক্তি ও বিজ্ঞানের ওপর ভর করে যেখানে হিন্দুদের ভেদিক গ্রন্থ ও মুসলমানদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে একীভূত করে একটি সহবস্থানমূলক সমাজ ব্যাবস্থা গড়ে তোলা হবে। তুরস্কের কামাল আতাতুর্ক আবার এক কাঠি সরেস ছিলেন। মুসলমান অধ্যুষিত অঞ্চলে তার সাহসী পদক্ষেপ অনেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলো বৈকি। কিন্তু ২০২০ সালের জুন মাসে স্কুল কলেজের পাঠ্যবই থেকে বিবর্তনবাদকে বাদ দেয়াটা তার চেতনার ভুলন্ঠনের ইঙ্গিত দেয়।

হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির কলমপেষা দার্শনিক পিটার হ্যারিস অবশ্য ব্যাপারটাকে অন্যভাবে দেখেন। তার মতে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা ধর্মের ওপর প্রভাব ফেলে না। মানুষ ধর্মকে আকড়ে ধরে যখন সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করে। রাষ্ট্র জনগনের মৌলিক চাহিদার পূরনে অক্ষম হয় তখন জীবনমান কমতে থাকে। এরকম অনিশ্চয়তায় সমাজের অধিকাংশ মানুষের মনে হতাশার জন্ম দেয়, অনিশ্চয়তা আকড়ে ধরে। তখন ধর্মের বিস্তার ঘটে বাঁধ ভাঙ্গা জোয়াড়ের মতো। আলজেরিয়া, তুর্কির মতো দেশ সমুহে ধর্মনিরপেক্ষতার পেছনে জনগনের সমর্থন ছিলো কারন সেসময় ঐ দেশগুলোর অর্থনীতিতে জোয়ার এসেছিলো। সবার চোখে মোহ লেগেছিলো উন্নত জীবনের আহ্বান। মানুষের আত্মবিশ্বাস তাদের করে তুলেছিলো বাস্তবিক, যৌক্তিক। আর তাই পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে উন্নয়নের ধারার ধারাবাহিকতা দীর্ঘস্থায়ী হবার ফলে জনগোষ্ঠির বিশাল অংশ ধর্মহীনের দলে নাম লেখায়। ভাগ্যের চাকা বদলাবার জন্য আকাশ পানে হাত তুলে সময় নষ্ট করে না। সরকার মাথা ঘামায় জনগনের জীবনমান উন্নততর করার পিছে। সেখানে বাংলাদেশের সরকার চেষ্টা করছে খাতা কলমের উন্নয়নে জনগনকে ভুলিয়ে রাখতে। দিনশেষে সবাই দেখে এগুলি মেকি, অন্ধকার ভবিষ্যত আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরিয়ে অন্ধকারে টেনে নিয়ে যায়। একটু ঠান্ডাতেই রাস্তায় পড়ে থাকা মানুষগুলো মরে পড়ে থাকে অথচ আলিশান মসজিদ গুলো ফাঁকা পড়ে থাকে। কেউ কেউ দামী মাইকের দোহাই দেবে- উলামায়ে শূ/উলামায়ে গুগলদের কাছে দরিদ্র মানুষের জীবনের চাইতে এই মাইকের দাম অনেক!

ধর্মভিত্তিক রাস্ট্রের করাল থাবার ভয়াবহ রূপ ইরানে দেখতে পারি। সেদেশের সরকারের ভাবমূর্তি ফ্যাসিষ্টরূপকেও হার মানায়। নিজেদের নাগরিকদের আকাশপথে ক্ষেপনাস্ত্র দেগে হত্যা করে। নিজেদের পরমানু বিজ্ঞানীকে খুন করে ইসরাইলের জুজুর ভয় দেখায়, স্যাটেলাইট দিয়ে নিরিখ করে মারা হয়েছে-এমন আজগুবি গল্প আবারো শোনায়।জনগন এখন অষুধের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে কারন ঘাড়ে ঝুলছে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা। অথচ তাদের রেভ্যালুশনারী ফোর্সের পেছনে কোটি কোটি রাষ্ট্রিয় অর্থ খরচা করে পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে হামাস সহ নানা সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তা প্রদান করছে যার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয়। তারা এতটাই হিংস্র যে খোদ সুইডেনের বুকে তারা হত্যাকান্ড চালানোর চেষ্টা করে। তাদেরকে রুখতে সৌদি আরব জোট বেধে অসহায় ইয়েমেনীদের ওপর বোমা মেরে লক্ষ লক্ষ মানুষের লাশ ফেলে দেয়। তারা যে অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করছে সেখানে লেখা থাকে মেড ইন আমেরিকা, জার্মান, চায়না, রাশিয়া।
সরকারের খুব বেশি কিছু দরকার নেই জনগন কে শিক্ষিত ও স্বাবলম্বি করে তোলা। কিছুদিন আগে চিনিকল গুলো বন্ধ হলো, গোল্ডেন হ্যান্ডশেক ও বেতন পাওনা মিলিয়ে ৫০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলো। অথচ জাইকাকে দিয়ে করানো জরিপে বলা হয়েছিলো চিনিকলগুলোর আধুনিকায়নে মোট দরকার ১০০০ কোটি টাকা এবং তা করলে চিনির উৎপাদন খরচ কমবে, কমবে ভারত নির্ভরতা। লাভবান হতো আমাদেরই শ্রমিক পরিবার, দেশীয় শিল্প, জনগন।

বিদ্যমান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন করতে যে টাকার প্রয়োজন তার চে কয়েকগুন বেশী টাকা যাচ্ছে ভাড়ায় খাটা বিদেশী কর্মকর্তা ও কনসালট্যান্টদের পেছনে।

এদিকে যারা সমাজের উন্নয়নের কথা বলবেন তারা যুক্তিবাদী ও শিক্ষিত সমাজব্যবস্থার সাথে ধর্মহীনতার সংযোগ দেখিয়ে বিশৃঙ্খলার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সবাই ব্যাস্ত ইসলামের সাথে বিজ্ঞান কতটা সাংঘর্ষিক এই কুতর্কে, অথচ আমরা যতই এ নিয়ে তর্কে করবো ধর্মপ্রান মানুষ মুক্তমনাদের ততই ঘৃনা করবে। তাদের এই ঘৃনার বিষবাষ্পের আবাদের সুবিধার্ধে তৈরী করা হয়েছে ৫৭ ধারার আইন। অথচ এই আইনে বেশিরভাগ জেল-গুমে হারাচ্ছে বিরোধী চিন্তার লোকজন। সলিমুল্লার মতো বহুরূপী মুখোশধারী বুদ্ধিজীবি ইনিয়ে বিনিয়ে প্যান-আরবের স্বপ্ন আমদানী করে তার সাফাই দেবে।
এটা এমনই এক দুষ্টচক্র যা থেকে সহসা মুক্তি মেলবে না। কারন আপনি আমি যতদিন অর্থনৈতিক মুক্তি না পাবো ততদিন এই ফ্যাসিবাদী চিন্তাভাবনার সমালোচনা চায়ের কাপের ধোয়ার সাথেই মিলিয়ে যাবে। তারপর ঘরে এসে ফেসবুকে ভাস্কর্যের পক্ষে স্বপক্ষে হাদিস কোরানের আয়াত নিয়ে কামড়া কামড়ি শুরু করে দেবো। আমদের জীবনমান আরো কমতে থাকবে!

তাই বলা যায় বিজ্ঞান দিয়ে ধর্ম দূর করা যেমন একটা ভ্রান্ত ধারনা তেমনি উন্নত সমাজ ব্যাবস্থা মানেই যে ধর্ম হীনতা সেটাও ভুল। কদিন আগে কোথায় যেন দেখেছিলাম কল্যানমূলক রাষ্ট্রের তালিকায় ইসরাইল শীর্ষের দিকে। আমাদের পেটে পীড়া হলেই ভারতে লাইন দেই, যাদের একটু টাকা আছে তারা এখন যাচ্ছি থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর। কদিন আগেই তো কোরোনার মধ্যে আমাদের এক পরিচিত থাইল্যান্ড ঘুরে আসলেন। অথচ নামের সাথে আলহাজ্ব, নিজের দুটো ক্বওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানা।

এটাই তো হৃষ্টপুষ্ট চেতনা!

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ধর্মকে রক্ষার শেষ ভরসার স্থান বিজ্ঞান,বিজ্ঞান যায়নি তাকে রক্ষার জন্য ধর্মের কাছে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৪

ফটিকলাল বলেছেন: কেউ যদি কারো কাছে কোনকিছুর জন্য স্মরনাপন্ন হয় তাহলে কি সে ছোট হয়ে যায়?

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩২

আমি সাজিদ বলেছেন: ভালো বলেছেন ভাই। বিজ্ঞান দিয়ে ধর্ম দূর করা যেমন একটা ভ্রান্ত ধারনা তেমনি উন্নত সমাজ ব্যবস্থা মানেই যে ধর্মহীনতা সেটাও ভুল। লা জবাব পোস্ট। আপনার চিন্তার গভীরতা টের পাচ্ছি।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৭

ফটিকলাল বলেছেন: ধন্যবাদ সাজিদ ভাই। একটা প্রশ্ন করেই ফেলি।

ধার্মিকরা কেন বিজ্ঞান ও যুক্তিসত্তাকে নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বি মনে করে? এটা কি ভয় থেকে নাকি নিজের মান বাঁচাতে ?

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ধর্মকে রাজনীতির মাঠে টেনে আনাটাই ভুল।ধর্ম থাকবে ব্যক্তি পর্যায়ে,তাহলেই সংঘ্যাত থাকবেনা।যেটা পৃথীবির সকল উন্নত দেশেই বর্তমান।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৬

ফটিকলাল বলেছেন: ইসলাম একটি রাজনৈতিক ধর্ম, এর রাজনৈতিক দিক প্রচন্ড শক্তিশালী। আপনি ইসলাম ঠিক রেখে সেটাকে আটকে রাখতে পারেন না। সেক্ষেত্রে সহবস্থানের ব্যাপারে আপনার কি মত?

৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: দুটি বিপরীত মুখি শক্তিকে এক সাথে রাখা যায় না।দ্বন্দ্ব সংঘাত চলতেই থাকবে,তাতেকরে জনগনের দুর্ভোগ বাড়বে বই কমবে না।চোখের সামনেই দেখলেন তালেবানী ও আইএস শাসন।তাছাড়া কোন ইসলামী শাসন দেশে চালু করবে,চৌদ্দ রকম ইসলাম আছে।সবাই বলে তারটাই ঠিক ইসলাম।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৭

ফটিকলাল বলেছেন: দুটো বিপরীতমুখী শক্তি সবখানেই আছে বিভিন্ন ফর্মে বাইপারটিসান হিসেবে। ফ্রান্সের বেশ কয়েকটি শরীক যার মধ্যে লা পেন পুরোপুরি দক্ষিনপন্থি এবং ক্ষেত্রবিশেষে তারা কট্টর ইসলামোফোব ও এন্টি ইমিগ্রান্ট। সুইডেনে এখন ডানপন্থিরা দ্বিতীয় স্থানে যারা মূলত নাজি বা হোয়াইট সুপ্রেমেসিস্টদের সাথে সখ্যতা রাখে এবং আগামী দুয়েক টার্মের মধ্যে সরকার গঠন করবে। জার্মানে মার্কেলের পর যারা আসবে তারাও এন্টিইমিগ্রান্ট গোড়া। পোল্যান্ডের সরকার এ বছরের শুরুতেই খ্রিস্ট ধর্মের মোরালিটি দিয়ে সমাজ গঠনের চেস্টা করছে।

লেবাননে একটা সুন্নি আরেকটা খ্রিস্টান। নাইজেরিয়াতে উত্তর দক্ষিন নিজেরা ভাগ করে নিয়েছে। সবই আছে বাইপার্টিশান উপায়ে। বাংলাদেশ সরকার আজ শরীয়া বন্ড চালু করেছে। এ সম্পর্ক আপনার কি মতামত?

৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার জন্য আমার প্রিয় কবির কয়েকটা লাইন-
This is the way the world ends
This is the way the world ends
This is the way the world ends
Not with a bang but with a whimper.
---T. S. Eliot

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১১

ফটিকলাল বলেছেন: আপনার জন্য টিএস এলিয়টের কিছু লাইন:

I said to my soul, be still and wait without hope, for hope would be hope for the wrong thing; wait without love, for love would be love of the wrong thing; there is yet faith, but the faith and the love are all in the waiting. Wait without thought, for you are not ready for thought: So the darkness shall be the light, and the stillness the dancing.

দেশ ধ্বংসের পেছনে কারা দায়ী: ধর্ম না ধর্মীয় দলগুলো?

৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ডান পন্থী বাম পন্থী বা আরো দশটা দল থাকলেও কোনসমস্যা না।কারন সবাই গনতন্ত্রী পন্থী।
ইসলামের সাথে গনতন্ত্র যায় না।গনতন্ত্রকে তারা বলে শয়তানের মন্ত্র।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩২

ফটিকলাল বলেছেন: তাহলে মজলিসে শূরার প্রতিনিধি নির্বাচন এবং তার মাধ্যমে রাস্ট্রপ্রধান নির্বাচন করা হয় এটা কে কেন গনতন্ত্র মনে করছেন না?

৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মজলিসে শূরা ফুরা না দেশ শাসন করবে জনগনের প্রতিনিধিরা।সেখানে যদি মজলিসে শূরার লোক পাশ করে আসতে পারে তবে সেই দেশ শাসন করবে।তবে শর্ত হল তাকে সংবিধানের মধ্যে থাকতে হবে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫১

ফটিকলাল বলেছেন: মজলিসে শূরার যারা প্রতিনিধিত্ব করেন তারা জনগনের ভোটের মাধ্যমেই আসবেন। পরে তারা নিজেরা ভোট দিয়ে একজন প্রার্থীকে দেশ পরিচালনার কাজে নিয়োজিত করবেন। তবে সে প্রধানের প্রায় সবকিছুই মজলিসে শূরার কাছে দায়বদ্ধতা থাকবে। এর সমান্তরালে একজন রাস্ট্রপ্রধান বা প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারেন ইরানের মতো। তবে তিনিও মজলিসে শূরার কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।

সংবিধান অবশ্য কোরান শরীয়া অনুযায়ী হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের আইন কানুনে কিছু কিছু শরীয়া ঢুকে পড়েছে যদিও তার পরিমান অনেক কম।

কোরান শরীয়ার সংবিধান সম্পর্কে আপনার কি মতামত ?

৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:২৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সেটা করতে হলে তাদের বিপ্লব করে ক্ষমতায় আসতে হবে।তার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।জামাতের ৬% সমর্থক ছিল দেশে।এখন সবগুলো ইসলামী দল মিলে ১২%,১৫% হবে।গত ইলেকশনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে বেশির ভাগেরই জামানত বাজেয়াপ্ত।
আপনি কি ইরানে থাকেন?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৪৭

ফটিকলাল বলেছেন: না। আমি দেশেই থাকি।

আমার প্রশ্ন হলো ব্যাক্তিগতভাবে কোরান হাদিস অনুযায়ী সংবিধান রচিত হলে সে সম্পর্কে আপনার কি অভিমত? আপনি কোরান হাদিসের আলোকে সংবিধান কিভাবে দেখেন? এবং এর পেছনে আপনার যুক্তি কি? আপনার এমন মনোভাবের কারন কি?

৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৫৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমার কেমন মনোভাব?
কোরান হাদিস আছে।আলোকে আবার দরকার কি?
আপনার যেমনে ইচ্ছা তেমনি দেশ চালান।
কে আপনাকে নিষেধ করছে।এটাতো মগের মুল্লুক,যার যেমনে ইচ্ছা তেমনি দেশ চালাবে।
দেশ চলে সংবিধান অনুযায়ী।অন্য ভাবে চালাতে হলে সংবিধান সংশোধন লাগবে।
কি ভাবে করবেন সংশোধন?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩০

ফটিকলাল বলেছেন: আমি সেভাবে বলিনি। আপনি যে প্রক্রিয়ার কথা বলছেন, ধরুন সেই প্রক্রিয়া অনুযায়ী দেশে পরিবর্তন হলো এবং সংসদে দুই তৃতীয়াংশ ভোটে ইসলামী প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশের সংবিধান পরিবর্তন হলো। আপনার মতে এটা কি জনগনের কল্যান হবে? আপনার বিস্তারিত মতামত জানতে চাচ্ছি

১০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৩

স্থিতধী বলেছেন: আপনার লেখার যে মূল প্রতিপাদ্য তাঁর সাথে সামঞ্জস্য রাখে তেমন একটি লেখা যা বাংলার অন্যতম সমাজ সংস্কারকদের একজন; রাজা রামমোহন রায়ের ধর্ম ও যুক্তি বিষয়ক ভাবনাগুলোকে প্রকাশ করছে । যতদূর মনে পড়ে এটি “ মহাত্মা গান্ধী ও রবীন্দ্রনাথ “ নামক বই থেকে নেওয়া , লেখকের নাম ভুলে গিয়েছি ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

ফটিকলাল বলেছেন: রাজা রামমোহন রায় দার্শনিকের ভূমিকায় আবির্ভূত হয়ে যুক্তির মাধ্যমেই বিচার করেছেন। তিনি ধর্মের সহাবস্থান এবং নিজের বিশ্বাস অটুট রেখে যে পরিবর্তনে নিজেকে সামিল করেছেন সেই প্রক্রিয়া থেকে শেখার আছে। তার প্রক্রিয়াটা আমাদের দেশে কেউ কেউ অনুসরন করেছেন করছেন। কিন্তু এসব সংস্কার ক্ষনিকের হয়। কারন আমরা আইন অমান্য করতে পছন্দ করি

১১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৬

স্থিতধী বলেছেন: আবার একই সাথে মানবসভ্যতায় ধর্ম ও বিজ্ঞানের বিকাশধারা সংক্রান্ত বিষয়ে একটি বেশ হ্রস্ব, কিন্তু তবু চিন্তার খোরাক তৈরিকারী জনৈক ইউটুবারের একটি হৃষ্টপুষ্ট মন্তব্য কেও সেটে দিলাম ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৮

ফটিকলাল বলেছেন: ধর্ম যদি ব্যাক্তিগত বিশ্বাস হয় বিজ্ঞান ব্যাক্তিগত বিশ্বাস নয়, এটা অনুশীলন। পৃথিবীতে প্রচুর ধর্ম আছে এবং অনেক শিক্ষিত আছেন যাদের মনে খটকা থাকা সত্বেও সে ধর্ম পালন করেন। কিন্তু বিজ্ঞান অনুশীলনে যদি ভুল হয় তা সাথে সাথে শুধরে এগিয়ে যাওয়া যায়। এখানে বিশ্বাস নিয়ে চিন্তার অবকাশ নাই। দুটো ভিন্ন জিনিস, কিন্তু ঠিক কবে থেকে কে কারা কেন তেল আর পানি এক করে ফেললো এটা আমার মাথায় আসে না।

আমার একটা দিয়ে আরেকটা বিচার করতে পারি এবং পরখ করতে পারি কিন্তু তাদের মনোজাগতিক প্রভাব কেন এক করে ফেলি এটা নিয়ে আলোচনার অবকাশ আছে

১২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১১

স্থিতধী বলেছেন: এবার নিজ থেকে দুটো কথা বলি । ধারণাটার মধ্যে কতক বৈজ্ঞানিক সরলীকরণের ক্রুটি থাকলেও , মোটা দাগে বলা হয়ে থাকে যে আমাদের মস্তিষ্কের ডান অর্ধাংশ মানুষের সৃজনশীল চিন্তা ভাবনা, কর্ম ও আবেগের কেন্দ্র । এখান থেকে মানুষ গল্প তৈরি করে, গল্পে বিশ্বাস করে , গল্পে , ধারণায় ও কর্মে আবেগের প্রশ্রয় দেয় তথা নৈতিকতা - আধ্যাত্মিকতার জন্ম দেয় । আর বাম অর্ধাংশ যুক্তি, কার্যকারণ , বাস্তব বুদ্ধি তথা প্রাক্টিকাল বা বৈজ্ঞানিক পন্থা অবলম্বনের আঁতুড় ঘর হয় । একজন গড় সুস্থ – স্বাভাবিক মানুষ তাঁর মস্তিষ্কের ডান ও বাম অংশের সমন্বয়ে চলে , অর্থাৎ তাঁর কল্পণা ও বাস্তব বুদ্ধির যুগলবন্দী সম্মিলনে । ফলে অনেকে যখন বলে যে ধার্মিক - বিশ্বাসী লোকের বাস্তব তথা বৈজ্ঞানিক বুদ্ধি কম কিংবা অধার্মিক / ধর্মে - স্রষ্টায় অবিশ্বাসী মানুষ সব নীতি – নৈতিকতা বিহীন পশুর মতো; তাঁরা আসলে খুব ভুল বকে । মানুষ মূলত তাঁর কিছু প্রেফারেন্স/ দর্শন তৈরি করে নিজ জীবন যাপনে, এই প্রেফারেন্স / দর্শন অনেক অনেক ফ্যাক্টর এর উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে । যে ফ্যাক্টর গুলোর কিছুর উপর তাঁর বেশ নিয়ন্ত্রণ থাকে, কিছুর উপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ কম বা একদম নেই । মানে ঐ নিশ্চয়তা আর অনিশ্চয়তার ভারসাম্য তৈরি করাটাই একভাবে হয়ে ওঠে তাঁর জীবন দর্শনের ভিত্তি, উপাদান হিসেবে যাতে থাকে মানুষের চেষ্টা, প্রাপ্তি ,আকাঙ্ক্ষা ইত্যাদি ইত্যাদি ।

হারারির নন- একাডেমিক ‘সেপিয়েন্স’ বইটি বোধকরি ব্লগের সিংহ ভাগ মানুষের পড়া । অনেকেই হয়তো তাঁর “ টুয়েন্টি ওয়ান লেসনস ফর দা টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্ছুরি“ বইটিও পড়েছেন । যেমনটা সেপিয়েন্স এ বলা হয়েছিলো যে মানব সভ্যতার বিকাশে মানুষের এই গল্প তৈরি ও গল্পে বিশ্বাস করে তাঁদের যুথবদ্ধ হবার ক্ষমতাটি অন্য প্রানী থেকে মানুষকে অনেক বেশী আলাদা করে ফেলে তাকে তাঁর রাজনৈতিক শক্তি সম্পর্কে আস্থাশীল করে । এর মাধ্যমে অজস্র মানুষ এক সাথে হয়ে একে অন্যকে আন্তরিকভাবে সহায়তা করে অতীতের কঠিন কাজ গুলো নিজেদের জন্য সহজ করে ফেলতে সক্ষম হয় । কেন তাঁরা একে অন্যকে আন্তরিক ভাবে সহায়তা করে? কারন তাঁরা একই গল্পে তীব্র আস্থা রাখে, সেটার বর্তমান যদি নাও বা দেখে তবু তাঁরা সেটার ভবিষ্যৎ দেখে । জাতীয়তাবাদ একটি মিথ, ধর্ম একটি মিথ ; এবং যে জাতির সৃষ্টিশীল মানুষেরা জাতীয়তাবাদ বা ধর্মের মিথ বা গল্প গুলোকে যত ভালোভাবে তৈরি করতে পারবে তাঁরা তত বেশী সম্ভাবনা তৈরি করবে নিজেদের লোকদের মাঝে পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতা তৈরিতে, যা দেশের বা সাম্রাজ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে । আমরা যেগুলোকে সভ্যতার / সাম্রাজ্যের সংঘাত বলে থাকি তা এক ভাবে দেখতে গেলে সেইসব সভ্যতা/ সাম্রাজ্য / দেশগুলোর মিথ - দর্শন – গল্পের সংঘাত ।

ইতিহাস ও বিজ্ঞান জানায় যে এই দুনিয়াতে মানুষের জনসঙ্খ্যা সাকুল্যে এক বিলিয়ন হতে প্রায় দু লাখ বছর সময় লেগেছে । মিথ / গল্প / দর্শন দিয়ে মানুষের পরস্পর যুথবদ্ধ ও সহযোগিতাপ্রবণ হবার ক্ষমতা এবং সর্বোপরি যুক্তিবাদী বিজ্ঞানের প্রবল উন্নতির কারনে মানুষের জনসঙ্খ্যা এখন সাত গুনের বেশী করতে সময় লেগেছে মাত্র দুশো বছর । জনসঙ্খ্যা বেশী বাড়লে পরে প্রবল অন্য একটা সমস্যাও হয়, সেটা কি ? সম্পদের সুষ্ঠ সরবরাহ , বৈষম্যের তীব্রতা এগুলোও বাড়ে, ফলে সমাজে অনিশ্চয়তাও বাড়ে । আর এভাবে অনিশ্চয়তা বাড়লে কি বাড়বে ? সমাজের একটি অংশে ধর্মের মিথে অন্ধভাবে আনুগত্য বাড়বে, দুনিয়া ছেড়ে শুধু পরকাল মুখ্য হবে । সেটাকে ব্যাবহার করে একটি অর্থনৈতিক ও রাজনোইতিকভাবে প্রভাবশালী মহল চাইবে তাঁদের সেই ক্ষমতা ও লাভের চক্রকে ধর্মের দোহাই দিয়েই কায়েম রাখতে । আর এই সব কিছুর প্রতিক্রিয়ায় সমাজের আরেক টি অংশ প্রবল বাস্তববাদী হতে চাইবে, ইহকালের সমস্যা ইহকালেই দূর করতে ব্রতী হবে , পরকালের অপেক্ষা করতে চাইবেনা । সেজন্যই গত দুশ বছরের ভেতরেই আমরা দেখলাম কার্ল মার্ক্সের মাধ্যমে বামপন্থী ধারার ইহলৌকিক একটি রোম্যান্টিক রাজনৈতিক ধর্ম তৈরি হতে যা গ্লোবাল মারকেন্টলিজম এর হাত ধরে আসা ক্যাপিটালিজম কে উৎখাত করে পৃথিবীতে সাম্য আনতে চায়। তবে ইসলাম বা অন্য অনেক ধর্মের মতোই বামপন্থী এই মার্ক্সবাদ ধর্মটিও অনেক ভাগে বিভক্ত সেই কর্ম পন্থা নির্ধারণে ।

বাম ও ডানপন্থী মিলিয়েই অনেক কন্সপাইরিসী থিওরিস্টরা আজকাল ধারণা করছেন যে বিল গেটস এর মতো ধনী এবং বিজ্ঞান বোঝা প্রযুক্তির মানুষেরা ইচ্ছে করেই করোনা ভাইরাসের মতো একটি ভাইরাস তৈরি করিয়েছেন এই দুনিয়ার জনসংখ্যা কে কমিয়ে আনার মহা পরিকল্পনার এক অংশ হিসেবে । যাতে করে অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারনে তৈরি হওয়া অনেক অনিশ্চয়তা কে কমিয়ে আনা যায় ভবিষ্যতের দুনিয়াতে । যার ফলে দুনিয়ার মানুষের জীবন যাত্রার উপর আরো নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা বিত্ত ও ক্ষমতাশালী মানুষদের পক্ষে অনেক বেশী সহজ হয় । আপনার কি ধারণা?

সেই সাথে সাম্রাজ্যবাদ বিষয়টি কে আপনি কি চোখে দেখেন ? ইসলামী সাম্রাজ্যবাদ বলে কি দুনিয়াতে কিছু ছিলো বা আছে ? কোন রাষ্ট্রের সাম্প্রদায়িক চরিত্র কে আপনি কিভাবে দেখেন ? ইসলামী রাষ্ট্রে জিজিয়া করের উপস্থিতি কি একটি প্রকৃত ইসলামী সংবিধানের অন্ত্যজ সাম্প্রদায়িকতা কে প্রকাশ করে নাকি ধর্মীয় স্বাধীনতা কে ? সব প্রশ্নের উত্তর প্রতি উত্তরেই দেবার প্রয়োজন নেই । আপনি চাইলে আলাদা পোস্ট লিখেও আপনার ভাবনা জানাতে পারেন।

আশা করছি আপনার এই পোস্ট মডুর সুনজরে পরে যাবে এবং নির্বাচিত পাতাতে যাবে । লেখায় প্লাস।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৩

ফটিকলাল বলেছেন: ষড়যন্ত্র তত্বকে আমি ধর্মীয় বিশ্বাস মনে করি তবে তা ধর্ম থেকে উন্নত এবং মানুষ ধর্মীয় আচার পালন করতে গিয়েই এটা শেখে। ২-৩ বছর বয়সে শিশুরা যখন কথা বলতে শেখে তখন তারা অনেক কিছু নিয়ে ভয় পায়। রাতে ভুতের ভয়, বাইরে গেলে ছেলে ধরার ভয়। ভালো লাগে দৈত্য দানো রূপকথা। একসময় নিজে সে গল্প বানাতে শুরু করে। হারিরির সাপিয়েন্স বইতে মানুষ গোত্রবদ্ধ হতে শুরু করলো তখন তারা দেখল তাদের প্রতিপক্ষ ক্ষিপ্র, শক্তিশালী চতুরতর। তারা অসহায়বোধ করলো। ঠিক এ কারনেই কিনা(আমি বিবর্তনের অনেক কিছুই বুঝিনি) মানবমস্তিস্কের একটা অংশ তৈরী হয় যেটা কি হ্যালুসিনেশন, কল্পনা মিথ ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে যুক্ত। এতে তারা মানসিক জোর পায়। এমন না যে নিয়েনডারথালরা ধর্ম মানতো না, তবে তা শুধু টোটেম দিয়ে মৃত মানুষের সৎকারের সাথে যুক্ত ছিলো। মানুষ দুর্বল হবার কারনে তারা এসব বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠিত রূপ দেয়। একবিংশ শতাব্দীর প্রেক্ষাপট আলাদা হলেও কোনো তত্ব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আপনি সেটাকে কিভাবে উপস্থাপন করছেন সেটাও জরুরী। বিলগেটসের ব্যাপারটা তাই।


প্রতিটা ধর্মই সম্রাজ্যবাদী এবং বিজিত রাজা অল্প সময়ে জনগনের মন জয় করার প্রধান হাতিয়ার হলো ধর্ম। সনাতনী ধর্মের অনেক কিছুই জুরুস্থ্রু সুমেরিয়া প্যানথিওন গিলগামেশের দেব দেবীর ছায়া দেখতে পাওয়া যায় কারন এ অঞ্চল বহুবার শাসন করা হয়েছে এবং রাজার ধর্মের প্রভাবে স্থানীয় ধর্মসমুহে পরিবর্তন এসেছে। তাই বলা যায় সম্রাজ্যবাদের হাতিয়ার যে ধর্ম তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইসলামের রাজনৈতিক দিকটিতে সম্রাজ্যবাদী দিক প্রচন্ড শক্তিশালী, প্রাতিষ্ঠানির দিক থেকে এডিকটিভ। আপনি হয়তো জেনে থাকবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রধান হত্যাকারী কর্নেল ফারুক হত্যাকাণ্ডের মোটিভ হিসেবে নিজের ধর্মীয় বিশ্বাসের তাগিদকে। তিনি চেয়েছিলেন দেশ ইসলামি প্রজাতন্ত্র হবে। গনতন্ত্রের সাথে সমাজতন্ত্র মেশানোর প্রক্রিয়া তার কাছে তাগুদি মনে হয়েছিলো।

একটি রাষ্ট্রের সাম্প্রদায়িক চরিত্র থাকতেই পারে কিন্তু রাষ্ট্রের চরিত্র হওয়া উচিত কল্যাণমূলক। ইসলাম যেহেতু কল্যাণমূলক ধর্ম সেহেতু রাষ্ট্রের সাথে ধর্মের মৌলিক কোনো সংঘর্ষ নাই। আর ইসলামে ধিম্মিদের প্রতি যে আচরনের আদেশ দেয়া আছে সেটা ইসলামিক মানদন্ডের সাথে সামন্জস্যপূর্ন। হতে পারে বর্তমান সমাজের মানদন্ডে অনেক পিছিয়ে কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে ইসলাম মানেই আত্মসমর্পন। আত্মসমর্পন করার পর আপনার ঔদ্ধত্য বা সমঅধিকারপূর্ন দাবী করাটা উচিত নয়। আমি সরাসরি বলছি ইসলাম যার যার অবস্খান অনুযায়ী অধিকার বন্টন করা হয়েছে। যারা বলেন ইসলামে সমঅধিকার আছে তারা ভুল বলেন। এটা আল্লাহর ন্যায়বিচার। যারা আল্লাহর কাছে নিজের সমর্পন করেননি তারা এটা বলতেই পারেন। এখানে এ প্রশ্নও হতে পারে যে এখানে ইসলাম বৈষম্য করছে কিনা তাহলে বলবো ইসলাম যে সমাজব্যাবস্থা চায় তাতে সবার অবস্থানকে সে অনুযায়ী সম্মান জানানো হয়েছে এবং তাদের নিজেদের কর্মকান্ড হালালভাবে চালিয়ে যাবার অনুমতি দেয়া আছে যা তৎকালীন সমাজব্যাবস্থায় অনুপস্থিত। এর ফলে মানুষ যদি স্বেচ্ছায় ইসলামিক নৈতিক মানদন্ড মেনে চলে তাহলে সমাজে অনেকক্ষেত্রে সমস্যা দূর হবে এবং খলিফার জন্য দেশ পরিচালনা ফলপ্রসূ হতে পারে।

আপনি কি মনে করেন আধুনিক সমাজে বৈষম্য নেই?

১৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৫

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: চিন্তার গভীরতা

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৪

ফটিকলাল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দেশের মানুষের মধ্যে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে এর সাথে ধর্ম বা মিডিয়া বা বিজ্ঞান কতটা যুক্ত?

১৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার জন্য টিএস এলিয়টের কিছু লাইন: I said to my soul, be still and wait without hope, for hope would be hope for the wrong thing; wait without love, for love would be love of the wrong thing; there is yet faith, but the faith and the love are all in the waiting. Wait without thought, for you are not ready for thought: So the darkness shall be the light, and the stillness the dancing.

দেশ ধ্বংসের পেছনে কারা দায়ী: ধর্ম না ধর্মীয় দলগুলো?

লাইন ক'টা বুকে এসে লাগলো।
দেশ ধ্বংস হবে না। ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হবে।
দেশের উন্নতির জন্য আজ পর্যন্ত ধর্ম বা ইসলামী দল গুলো কিছুই করে নি। তবে তারা ভালো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আমার হাতে ক্ষমতা থাকলে দেশ থেকে ধর্মীয় দল গুলো নিষিদ্ধ করে দিতাম। এরা দেশের জন্য বোঝা।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৬

ফটিকলাল বলেছেন: দেশ ধ্বংস হয় না, ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আধুনিক সমাজের পরিপ্রেক্ষিতে খুব খাঁটি কথা বলেছেন।


বাংলাদেশ কি তাহলে সিরিয়া আফগানিস্তানের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হবে? অনেকেই বলেন পশ্চিমাদের হস্তক্ষেপের কারনে তাদের দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এটার সাথে কতটুকু একমত?

১৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভালো বলেছেন ভাই। বিজ্ঞান দিয়ে ধর্ম দূর করা যেমন একটা ভ্রান্ত ধারনা তেমনি উন্নত সমাজ ব্যবস্থা মানেই যে ধর্মহীনতা সেটাও ভুল। এই কথাটা কেন যে বিজ্ঞান ভক্ত বা ধর্মীয় ব্যক্তিরা অনুধাবন করতে পারেনা সেটাই দুঃখজনক।

+++++++++

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১০

ফটিকলাল বলেছেন: গতকাল নভোনীলের সিরিজ পুরো শেষ করেছি। সিরিজটার সবচে গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরিয়েছেন আপনি তার আগে তেজগাঁও কলেজের সাথে ঢাকা ইউনিভার্সিটির বিবাদ সেরকম একটি ফ্যাক্টর। যারাই লিখেছেন তাদের মেধার প্রচন্ড ইউটিলাইজেশন করেছেন। মানুষের এমন সৃষ্টিশীলতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এখনো তেমন কোনো প্লট মাথায় আসেনি, তাই একটু সময় চাচ্ছি।

আমি সম্মানিত অনুভব করছি একাধারে এবং নিজের দায়বদ্ধতা থেকেই পরের পর্বটা লেখার চেষ্টা করবো

১৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
শেষ পর্বে গল্পটা যেখানে এসে দাড়িয়েছে সেখান থেকে আপনার ইচ্ছেমতভাবে টেনে নিয়ে যেতে পারবেন নভো আর মৃন করে।

হ্যা যে কজনই লিখেছে গল্পটা সবাই যার যার পুরোটাই দিয়েছেন।

আপনি হাল ধরেছেন জেনে ভাললাগলো। শুভকামনা রইল।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৩

ফটিকলাল বলেছেন: দোয়া করবেন আপনাদের দেয়া সম্মান রাখতে পারি

১৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১০

মোড়ল সাহেব বলেছেন: ভালো লিখেছেন

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১০

ফটিকলাল বলেছেন: আপনি কি ইসলামী দলগুলোর বর্তমান ভূমিকা নিয়ে সন্তুষ্ট?

১৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫৭

স্থিতধী বলেছেন: আপনি কি মনে করেন আধুনিক সমাজে বৈষম্য নেই?

সম্পূর্ণভাবে বৈষম্যহীন কোন সমাজ পৃথিবীতে নাই, ছিলোনা, ভবিষ্যতেও হবার সুযোগ কম বলেই মনে হয় । কারন ওটা রোম্যান্টিক ইঊটোপিয়ান ভাবনা । মানুষ রাজনৈতিক প্রাণী হিসেবে এমনও কোন ভালো প্রাণী নয় যে সে আচমকা সম্পূর্ণ বৈষম্যহীন সমাজ গঠণ করবে । সমাজে বৈষম্যর মাত্রা ও তার সামাজিক চরিত্রের উপর নির্ভর করে একটা সমাজ আসলে কি জাতীয় বৈষম্যে ভোগে । যেমন আপনি নিশ্চয়ই জানেন অর্থনীতিতে গিনি ইনডেক্স বলে একটি টুল আছে যা দিয়ে কোন দেশের অর্থনৈতিক বৈষম্যের মাত্রা গণিতের মাধ্যমে পরিমাপ করা গেলেও সেই বৈষম্যের সামাজিক চরিত্র সম্পর্কে তা কোন ধারণা দিতে পারেনা। ২০১৬ সালের গিনি ইনডেক্স অনুয়ায়ী আমেরিকা আর তুরস্কের অর্থনৈতিক বৈষম্যে প্রায় সমানে সমান, তুরস্ক সামান্য কিছু বেশী। অন্যদিকে ইরানের অর্থনৈতিক বৈষম্য বেশী হলেও তা তুরস্ক ও আমেরিকার সাথে তুলনায় খানিকটা কম তখন । অন্যদিকে ঐ একই বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বৈষম্যে ঐ তিনটি দেশের তুলনায় যথেষ্ট কম । আমেরিকাকে আমাদের দেশে অনেকে দুনিয়ার সবচেয়ে সুখী সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে ভাবলেও বাস্তবে আমেরিকার অর্থনৈতিক বৈষম্যে প্রায় সকল উন্নত ইউরোপিয়ান দেশ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডার চাইতে বেশী ই থাকে। এর একটা কারন হচ্ছে তুলনামূলকভাবে ওসব দেশে আমেরিকার থেকে অনেক বেশী রূপে সমাজতান্ত্রিক মূল্যবোধের ( কল্যাণ মূলক অর্থনীতি) কতগুলো পলিসি ও প্ল্যানিং এর প্রভাব থাকে , ফলে আমেরিকার মত মিলিটারী বাজেটে সর্বচ্চ মনোযোগ দেবার প্রবণতা তাদের কম বা নেই । অন্যদিকে এই ইনডেক্স অনুযায়ী আজও আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকা মহাদেশ গড়ে পৃথিবীর সবচাইতে প্রবল অর্থনৈতিক বৈষম্যের শিকার হওয়া অঞ্চল । এ ছাড়াও বর্ধিত মানব জনসংখ্যা কিভাবে দুনিয়াতে বৈষম্য বা অনিশ্ছয়তা বাড়াতে পারে তা নিয়ে ১২ নং মন্তব্যে উল্লেখ করেছি ।

এখন উপরের গণিত ভিত্তিক ওই সব তথ্য শুনে আমাদের সমাজের অনেকেই হাউ কাঊ করে ঊঠবে। তাঁরা কিছুতেই বিশ্বাস করতে চাইবেনা যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বৈষম্য আমেরিকার থেকে কম হতে পারে ! এর কারন এ দেশগুলোতে অর্থনৈতিক বৈষম্যের মাত্রা যেটাই হোক, বৈষম্যের যে সামাজিক চরিত্র সেটা একরকম নয় মোটেও । নাগরিকের সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা এবং নাগরিকের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সেবার মুল্য বা মূল্যস্ফীতির বিষয়গুলো এই আর্থ – সামাজিক চরিত্রের আলোচনায় আসতে পারে ।

ব্লগার রাজীব নুরের কোন এক পোস্টে একবার লিখেছিলাম যে একটা সুস্থ – সক্ষম হাতকে কার্যকরী হবার জন্য হাতের পাঁচ আঙ্গুলের উচ্চতায় সমান হবার কোন প্রয়োজন নেই । তবে হাতের মালিকের সেই হাতের যত্নের স্বার্থে, সব আঙ্গুলের সমান মর্যাদা দিয়ে তাঁদের প্রতি খেয়াল রাখার আবশ্যকতা আছে । বুড়ো আঙ্গুল কে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও উপকারী ধরে নিয়ে আমি যদি অন্য কোন আঙুল কে ক্রমাগত আঘাত পেতে দিই তবে সেটা হাতের সামগ্রিক মঙ্গল আনেনা নিশ্চয়ই । তেমনি সবার আয় সমান / কাছাকাছি হলেই সমাজ খুব কার্যকরী হবেই হবে যাবে তা নয় , তবে সমাজের শান্তি- উন্নতির স্বার্থে সবার সমান সামজিক মর্যাদার বিষয়টি হেলা ফেলা করার মতো নয় । পুরোহিত, পোপ, বা আলেম- ওলামা-খলিফা কে উচ্চাসন দেয়া, ক্ষত্রিয় বা মিলিটারি যোদ্ধাদের অতি গুরুত্ব দেয়া, বৈশ্য তথা ব্যাবসায়ীদেরকেই কেবল ছাড় দিয়ে উচ্চ মর্যাদা দেয়া সমাজগুলো বৈষম্য হ্রাসে ভূমিকা রেখে ‘কল্যাণ মূলক” সমাজ তৈরি করতে পারে আমার তা মোটেও মনে হয়না ।

কেন মনে হয়না ? উদাহারন হিসেবে বলি ; আপনি যাদের এখানে উলামায়ে শ্যু, গু, গুগল ইত্যাদি যা কিছু বলেই উল্লেখ করেন না কেন, তাঁরা মাইক ও এসির মতো ইহলৈকিক বস্তু কে মানব জীবনের থেকে বেশী মূল্যবান জ্ঞান করছে । কেন? তার কারন কিন্তু এ অঞ্চলের ঐ ঐতিহাসিক সামাজিক মর্যাদার বিষয়টিই । হাজার বছরের বর্ণ প্রথার বিষে জর্জরিত এ উপমহাদেশে অপেক্ষাকৃত সাম্যধর্মী ইসলাম আসার পরও সেটার একটা বর্ণ ভিত্তিক চেহারা দাঁড়িয়ে যায় ; মুসলমান হয়ে যায় আশরাফ ও আতরাফ শ্রেণীর মুসলমান । ফলে এটা দেখে শুনে অবাক হইনা যে বুঝে না বুঝে আপনার মতো মডারেট মুসলিমরা যখন একটু সাম্য, একটু কল্যাণ বা মানবতার কথা বলে প্রচলিত মুসলিম সমাজের একটি আচার ( গৃহহীনদের মসজিদে না রাখা) কে পরিবর্তন করতে চায় তখন সামাজিক মর্যাদায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক ধারার মুসলিমদের একজন প্রতিনিধি তাকে অবাস্তব বলেন মাইক ও এসি চুরির দোহাই দিয়ে । অন্য এক প্রতিনিধি এই প্রস্তাবকে হয়তোবা বিদায়াত হিসেবে গণ্য করে বাতিল করে দিবে । তাঁদের এহেন হৃষ্টপুষ্ট চেতনা দেখে আমি মোটেও অবাক হইনা । আসলে কোন সামাজিক বিষয়ে যুদ্ধে নামলে জানতে হয় যুদ্ধটা ঠিক কি নিয়ে হচ্ছে । সাধে লালন গেয়ে জান নাই;
“ সত্য কাজে কেউ নয় রাজী,
সব ই দেখি তানা না না
জাত গেলো, জাত গেলো বলে, এ কি আজব কারখানা! “

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৮

ফটিকলাল বলেছেন: আমি বিশ্বাস করি কোরান আমাদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠা উদাহরণ ইসলামকে জানার এবং বোঝার জন্য। খোলাফায়ে রাশেদিনের ঝাঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ সময়কাল অতিবাহিত হবার পর সীরাত এবং তদপরবর্তি হাদিস সংগ্রহের প্রচলন শুরু হলো তাদের নিয়তে সামান্যতম খোদ ছিলো না তবে বর্তমানে ফাসেক মুনাফেক লেবাসধারী উলামায়ে শূ/গুগলরা হাদিসের ধোয়াতুলে ফেতনা, অমানবিক কাজ শুরু করছে এরা যে ভ্রান্ত আক্বিদা ও বাতিলের খাতায় তা কোনো সন্দেহ নাই। ইসলাম যুগের চেয়েও আধুনিক এবং আল্লাহ মহানবী সাঃ যে ওরা প্রদান করেছেন তিনি গায়েরে ইলমের ওপর ধারনা রেখেই প্রদান করেছেন কারন তিনি সর্বজ্ঞ ও সর্বজ্ঞানী।

হাদিসের সাফাই দেবার জন্য নীচের দুটো আতাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।



সুরা আন নূর:
قُلْ أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ فَإِن تَوَلَّوا فَإِنَّمَا عَلَيْهِ مَا حُمِّلَ وَعَلَيْكُم مَّا حُمِّلْتُمْ وَإِن تُطِيعُوهُ تَهْتَدُوا وَمَا عَلَى الرَّسُولِ إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ
সুরা আহযাব:
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا

একটু খেয়াল করে দেখেন এসব আয়াতে হাদিস বা সুন্নাহ শব্দটি নেই। আছে আতি’উ, উ’সওয়াতুন যার অর্থগুলোর সমার্থক দাঁড় কপালে মহানবী সাঃ কে অনুসরনের কথা বোঝায়। এছাড়া কোরানের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আয়াতে মহানবী সাঃ অনুসরনের কথা বলেছেন সেখানেও এই শব্দগুলো নেই বরংচ বিভিন্ন সমার্থক দিয়ে বোঝানো হয়েছে। হাদিসের প্রয়োজনীয়তা যৌক্তিক ভাবে থাকলেও ওফাতকালের কয়েকশ বছর বৈজ্ঞানিক পন্থার নামে এমন সব হাদিসের সংগ্রহ কর্ম শুরু হলো যার মাধ্যমে এটা দেখানো হলো যে কোরান শরীফ বিকৃত(আস্তাগফিরুল্লাহ, ওপরে এক কমেন্টের জন্য এমন সহী হাদিস উল্লেখ করেছি), এমনকি খোদ হাদিস সংগ্রহ হযরত মুহাম্মদ সাঃ এবং তার ওফাতের পর আবু বক্কর রাঃ পুড়িয়ে ফেলা ৫০০ টি হাদিস এবং হযরত ওমর রাঃ পুড়িয়ে ফেলা কোরান হাদিসের সংকলন সমূহ প্রমান করে এগুলোর বিশ্বাসযাগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ।

আর তার ফলই পাচ্ছেন কিছু ফাসেক, জঙ্গি উলামায়ে শূ/গুগলরা নিজেদের ইগোকে ঠিক রাখতে এমন সব ফতোয়া প্রদান করছে যেখানে ইসলামকে কঠোর ও অমানবিক করে তুলছে। এসব মূর্খ ফাসেকরা শুধু ইসলামের নয়, মানবজাতির শত্রু। যে ইসলামের সৌন্দর্যে সারা বিশ্বের আনাচে কানাচে লক্ষ কোটি মানুষ সাদরে নিজেদের সমর্পন করেছে এদের মতো ময়ুরের পেখম পরিহিত কাকের ন্যায় মুনাফেকরা ইসলামের নামে কুৎসাপূর্ন হাদিস ছড়িয়ে ভ্রান্তি ও জঙ্গিবাদের বানীকে বেগবান করছে। আমাদের সতর্ক হইয়া জরুরী। ইহা সহী ইসলাম নহে।

সাম্যবাদী তথা ইগালিটারিয়ান সমাজ ব্যাবস্থা গঠনের সবচে উপযুক্ত যে ইসলাম সেটা এর জাকাত ব্যবস্থা ও বায়তুল ফুজুল গঠন করে গড়ে তোলা সম্ভব। সীমিত সম্পদ এবং ঝাঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ পরিবেশে মহানবী সাঃ সেই মরুর বুকে এমন সাম্যাবস্থার সমাজ তৈরী করেছিলেন সে সম্পর্কে আপনার মতামত কি?

১৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮

স্থিতধী বলেছেন: < ১২ নং মন্তব্যে প্রশ্ন করেছিলাম ; ইসলামী রাষ্ট্রে জিজিয়া করের উপস্থিতি কি একটি প্রকৃত ইসলামী সংবিধানের অন্ত্যজ সাম্প্রদায়িকতা কে প্রকাশ করে নাকি ধর্মীয় স্বাধীনতা কে ?

ওটার সোজা কোন উত্তর পাইনি । তার আগের সাম্রাজ্যবাদের প্রশ্নে আপনি বলেছেন ; “ইসলামের রাজনৈতিক দিকটিতে সম্রাজ্যবাদী দিক প্রচন্ড শক্তিশালী “ । তাহলে ধরে নিতে হচ্ছে রাসূলের আমল থেকেই ওনার নির্দেশ ক্রমে ইসলাম একটি সাম্রাজ্যবাদ চরিত্রে প্রবেশ করেছে ? তাহলে দুনিয়াতে যেকন রকম সাম্রাজ্যবাদের যে খারাপ দিক গুলো থাকে ( যেমন দমন – পীড়ন, স্ব সংস্কৃতি কে অন্য সংস্কৃতিতে বল পূর্বক প্রয়োগ) সেগুলো ইসলামেও বিদ্যমান । নাকি ‘কল্যাণ মূলক’ ধর্ম হবার কারনে সেটা জায়েজ? যেমন চীনা নকসাল পন্থীরা বিশ্বব্যাপী ধনী পুঁজিপতি ক্ষমতাশালীদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক সশস্ত্র সহিংস বিপ্লব কেই শোষণ মুক্তির একমাত্র উপায় মনে করে কারন ওতেই নাকি মানব কল্যাণ আসতে পারে ।

< জিজিয়া করের প্রশ্নে আপনি বলছেন , “ ইসলামে ধিম্মিদের প্রতি যে আচরনের আদেশ দেয়া আছে সেটা ইসলামিক মানদন্ডের সাথে সামন্জস্যপূর্ন। হতে পারে বর্তমান সমাজের মানদন্ডে অনেক পিছিয়ে কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে ইসলাম মানেই আত্মসমর্পন। আত্মসমর্পন করার পর আপনার ঔদ্ধত্য বা সমঅধিকারপূর্ন দাবী করাটা উচিত নয়।“

বাংলাদেশ রাষ্ট্রের যে সংবিধান সেটা কি বিধর্মীদের / অমুসলিমদের মদিনার বা ইসলামী রাষ্ট্রের মত কোন চুক্তিতে আবদ্ধ করেছে? বাংলাদেশ রাষ্ট্রে অমুসলিম / বিধর্মীদের কি মুসলিমদের মত নাগরিক হিসেবে সম অধিকার নেই? বাংলাদেশের সংবিধান পরিবর্তন করে একে আরো ইসলামী করণের প্রয়োজনীয়তা আপনি দেখতে পাচ্ছেন ? এবং তাতে অমুসলিম কর তথা জিজিয়া কর অন্তর্ভুক্ত করে একে প্রথম যুগের ইসলামী রাষ্ট্রের মত করা প্রয়োজন আছে বলছেন ? এভাবেই সম্ভব হবে প্রকৃত কল্যাণ মূলক রাষ্ট্রের পথে হাটা?

< আপনি আরো বলছেন; “এখানে এ প্রশ্নও হতে পারে যে এখানে ইসলাম বৈষম্য করছে কিনা তাহলে বলবো ইসলাম যে সমাজব্যাবস্থা চায় তাতে সবার অবস্থানকে সে অনুযায়ী সম্মান জানানো হয়েছে এবং তাদের নিজেদের কর্মকান্ড হালালভাবে চালিয়ে যাবার অনুমতি দেয়া আছে যা তৎকালীন সমাজব্যাবস্থায় অনুপস্থিত।"

ইসলামী রাষ্ট্রের সমাজ ব্যাবস্থায় অবস্থিত অমুসলিমদের তাঁদের মূর্তি পূজা বা অন্যান্য ঈশ্বরে বিশ্বাস / অবিশ্বাস কে হালাল করতে হলে তাঁর সে কর্মের নিরাপত্তা পাবার জন্য তাকে অমুসলিম হবার দায়ে একটা অতিরিক্ত অমুসলিম ( জিজিয়া) কর দিতে হবে অথবা মিলিটারি তে যোগ দিতে হবে ; তানাহলে তাঁর সেই বিশ্বাসের জন্য তাঁর কোন নিরাপত্তা দিবেনা রাষ্ট্র । এটা আল্লাহর ন্যায় বিচার, আত্ম সমর্পণ এভাবেই হয়? তাহলে এভাবে করে নিজ ভূমিতে দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক হয়ে গিয়ে কর না দেবার জন্য ও নিরাপত্তার জন্য বহু অমুসলিম অন্য ভুমিতে হিজরত করলে সেটাই কল্যাণ মূলক শ্রেণীহীন সাম্য র সমাজ প্রতিষ্ঠা করবে?

< ব্লগার নতুন নকিবের সাম্প্রতিক পোস্টে ব্লগার এভো যে রেফারেন্স গুলো দিলেন তাতে দেখা যাচ্ছে ইবনে তাইমিয়্যাহ জানাচ্ছেন যে ইহুদী কবি কাব কে ধোঁকার মাধ্যমে করা হত্যাটি শুধুমাত্র তাঁর কবিতা লেখার জন্যই ছিলো, অন্য কিছুর জন্যই নয়। আপনি সেখানে ব্লগার এভো কে ধন্যবাদ দিয়েছেন দেখলাম । ব্লগার এভোর রেফারেন্সে এই ঘটনা সত্য হলে সেটা ইসলামকে সোজা ও মানবিক করে দেখাচ্ছে? তাহলে কলম দিয়ে কবিতা লিখে কোন বক্তব্য দিলে তা নিজ মতের বিরুদ্ধে গেলে রাসুল তরবারি হাতে তুলে নিয়ে সেটার সমাধান হবে বলছেন, এই ঘটনাটি সত্য? কবিতার ভাষা অশ্লীল গালিগালাজের ছিলো তেমন কোন কিছুর উল্লেখ সেই রেফারেন্স এ নেই । অর্থাৎ কেবল একটি ভিন্নমত তরবারি দিয়েই দমন হবে, সেটা ইসলাম সম্মত এবং সব কিছুতে সহমত ভাই হয়ে আত্ম সমর্পণ ব্যাপারটা তাহলে এভাবে করেই হয় ?

< 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রধান হত্যাকারী কর্নেল ফারুক হত্যাকাণ্ডের মোটিভ হিসেবে নিজের ধর্মীয় বিশ্বাসের তাগিদকে। তিনি চেয়েছিলেন দেশ ইসলামি প্রজাতন্ত্র হবে। গনতন্ত্রের সাথে সমাজতন্ত্র মেশানোর প্রক্রিয়া তার কাছে তাগুদি মনে হয়েছিলো।'

গনতন্ত্রের সাথে সমাজতন্ত্র মেশানোর প্রক্রিয়া টি আপনার কাছে কেমন মনে হয় ? বাংলাদেশে আধুনিক গণতন্ত্র বা সমাজতন্ত্রের আদৌ প্রয়োজন আছে? নাকি ইসলামি “ মজলিশে শুরা “ তন্ত্র এবং যাকাত ফান্ড দিয়েই বাংলাদেশের সমস্ত কল্যাণ করে দেয়া সম্ভব ?

কর্নেল ফারুক ও নাথুরাম গডসের সমর্থকরা এই উপমহাদেশ তথা বাংলাদেশের জন্য কতটুকু জরুরী ?


২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৩

ফটিকলাল বলেছেন: একসাথে এতগুলো প্রশ্নযুক্ত কমেন্টের উত্তর দিতে গলদঘর্ম ঘটে যাবার মত অবস্থা। প্রশ্ন উল্লেখপূর্বক উত্তর দিতে গেলে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর একই তখন পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা থাকে। তাই কিছু নিয়ম ও ঘটনার সাপেক্ষে উত্তরগুলো দেবার চেষ্টা করছি।

তার আগে একটা বিষয় জেনে নেয়া দরকার। আমাদের মাঝে একটা ভুল ধারনা আছে দাওড়া বা মুফতি হলেই ইসলাম পূর্ন ভাবে জানা যায়, এটা আদতে ভুল। রসায়নের কোনো ছাত্র জৈবিক রসায়নের পূর্ন জ্ঞান নিতে পারে না। জৈবরসায়নের ছাত্রের পক্ষেও সম্ভব নয় ইন্ডাসট্রিয়াল বা অজৈব রসায়ন জানার। তেমনি একজন এনেসথেশিয়া বা অর্থোপেডিকের ডাক্তারের পক্ষে সম্ভব নয় নিউরোসার্জারী করা বা নিউরোলজির আদ্যপান্ত জানা। ইসলামী ইতিহাস, ফিকহশাস্ত্রগত শরীয়া, ফতোয়া, হেফজ সবই ভিন্ন ভিন্ন শাখা। অনেকে শুধু হেফজ করে কোরানিক আরবী আর ক্বারী করেই জীবন শেষ করে দেয়। সেক্ষেত্রে আমার প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান নেই এই বিষয়ে। আমাদের মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ইসলামি ষ্টাডিজে এমএ করেছিলেন আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় সেক্ষেত্রে ফিকহ, ইজমা কিয়াসের ওপর পুরো দখল নেই। ইসলামী দর্শন খুব বেশী পড়েননি। অতএব তিনিও যে সব জানাতে পারেন সেটাও সম্ভব নয়। বাড়ি গেলে তার সাথে কিছু আলোচনা, মাদ্রাসার ছেলেদের জেনারেল বিষয়ে ক্লাস নিতে যতটুকু জ্ঞান আদান প্রদান হয় সেটাই ভরসা।

ব্লগার নতুন নকিব সহ অন্যান্যরা যেসব বিষয়ে আলোচনা করেন মাদ্রাসার একাডেমিক পরিবেশে এসব শিশুতোষ বিষয় এবং প্রায় সকল মাজহাবেই প্রায় একই ফয়সালা মেনে নিয়েছে বিধায় এগুলো নিয়ে আলোচনা হয় না। বলতে পারেন ক্লাস টেনে উঠে ক্লাস ওয়ান-টু এর বিষয় নিয়ে আপনি আলোচনা করবেন না। অথচ ব্লগে এরা যা করে তা রীতিমত ইসলামিকবিকৃতি। এভো সাহেব যে বই তুলে ধরেছেন বলবো না যে একাডেমিক পারস্পেক্টিভে এটা খুব ভালো বই কিন্তু বাকি আর ১০ টা বই তে যা আছে এখানেও তাই আছে। রিলেটিভিটির ওপর ১০ জনের লেখাতে নতুন কিছু পাবেন না কারন এটা প্রতিষ্ঠিত তেমনি ব্লগে যারা যেসব বিষয় নিয়ে লেখেন এগুলোও মীমাংসিত। বরংচ যারা মুক্তভাবে চিন্তা করেন এবং দর্শন ও সমসাময়িক বিজ্ঞান দিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন সেগুলো নিয়েই কথা হওয়া উচিত যেটা কিনা মাদ্রাসাতে করা সম্ভব না। সম্ভব না বলে এটা ভেবে বসবেন না যে এসব নিয়ে কথা বললে আপনার কল্লা কাটবে। ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানেও দর্শন বিজ্ঞানের ভালো চর্চা হয়। ভাবলে অবাক হবেন এমনও মাদ্রাসার ছেলে আছে যারা পাইথন জ্যাংগো এঙ্গুলারে হাত পাকিয়ে আউটসোর্স করছে। কিন্তু দেশের মাদ্রাসার সিলেবাসে এসব নিয়ে কাজ করার সুযোগ কম যেটা কিনা ব্লগে মুক্তমনারা করছে এবং এটা সবাই পজিটিভলি দেখে যতক্ষননা সীমা অতিক্রম করেন।

এবার আসি ধিম্মিদের বিষয়ে:মহানবী সাঃ যখন জাকাত প্রথার তাগিদ দিলেন তখন সেটা মুসলমানদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো এবং এখনও আছে। তবে বিধর্মীরা জাকাত দেন না, তবে তাদের খাজনা স্বরুপ জিযিয়া দিতে হয়। উমর রাঃ যখন ক্ষমতায় আসীন হলেন তখন তিনি এর পরিমান নির্ধারণ করলেন ১ দিনার মাথাপ্রতি যা জাকাতের তুলনায় খুব কম। তার শাসনামলে দুর্ভিক্ষ ও প্লেগে মানুষ মারা গেলে এবং তার সাথে বহিঃশত্রুদের সাথে যুদ্ধের কারনে কোষাগারে বেশ টান পড়ে। যদি তিনি ব্যাপক সংস্কার ও ত্রান সরবরাহ করলে সে যাত্রায় রক্ষা পায় কিন্তু পরবর্তিতে করের প্রচলন করেন যা সবার জন্য প্রযোজ্য। ওনার মৃত্যুর পর উসমান রাঃ করব্যাবস্থা সংস্কারের পাশাপাশি সিরিয়া ইরাক জর্ডান সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের গভর্নরদের নির্দেশ দেন অঞ্চলভিত্তিক করের যার ফলে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। সেটা ভিন্ন বিষয় কিন্তু এটা লক্ষ্যনীয় যে বিধর্মীদের ওপর উল্টো কিছু না চাপিয়ে তাদেরকে জাকাত থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে এবং তদপরিবর্তে যে জিযিয়া কর নেয়া হতো তা খুব সামান্য। পরে যে করপ্রথা চাপানো হলো তা মুসলমানদের জাকাতের পরে নিয়মিত ব্যাবসায়িক কর্মকান্ড এবং একই ভাবে বিধর্মীদের ওপর চাপলো। এখানে স্পষ্টতই ধিম্মিদের অনেক ছাড় দেয়া হয়েছে এবং হযরত উমার রা উসমান রা সহ পরের খলিফাদের শাসনামলে কোনো নজির নেই জিযিয়া বা কর অনাদায়ে নির্যাতনের। যদি ভুল বলে থাকি তাহলে সুত্র সহকারে জানাতে পারেন। এতে করে নিজেও সমৃদ্ধ হবো।

এখন আপনি বলছেন সম্রাজ্যবাদী হয়েছে বলেই ইসলামের মধ্যে খারাপ আছে: এটা আসলে ভুল কথা। উমার রা জেরুজালেম দখলের গল্পটি পড়ে আসতে পারেন যেখানে খ্রিষ্টান কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের পর যে হত্যাযজ্ঞ চালালো সেখানে তো উনি নামাজ পড়েছেন। হ্যা, দু একজন খলিফা হয়তোবা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন কিন্তু সেটার জন্য সবার ওপর দোষ চালাতে পারেন না। এখানে বলা যেতে পারে ইউরোপ দখলের সময় মুসলমানরা কোনো বাড়ি পুড়ায় নি, পরাজিতদের হত্যা করেনি। ধিম্মিদের বিষয়ে ইসলামের নিয়ম তারা মেনেছিলো। আজারবাইজান খোরাসান দখলের সময়ও মুসলমানদের উদারতার কারনে দলে দলে ইসলাম গ্রহন করে। এখন ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের আচরন দিয়ে ইসলামকে বিচার করা যুক্তিসঙ্গত হবে না।

এখন আসি দাসীর ক্ষেত্রে:

১) একজন মুসলিম কেবল মাত্র একজন মুসলিমাকে বিয়ে করতে পারে। বিধর্মীদের মধ্যে যারা আহলে হাদিস তাদেরকে বিয়ে করা যাবে এই শর্তে যেন তারা ইসলাম গ্রহন করে।

দাসপ্রথা হাজার সহস্রাব্দ থেকে চলমান এবং ইসলাম এটাকে রদ না করে একটা নিয়মের মধ্যে এনে মানবিক করে তুলেছে যাতে মানুষ সুযোগ পায় নিজের স্বাধীনতা ফিরে পাবার। ইসলাম মতে প্রতিটা মানুষ স্বাধীন। কিন্তু ইসলাম পরিপূর্নতা লাভের আগে দাসপ্রথা এমন ভাবে চালু হয়েছে যে দারিদ্র ও নির্যাতনের করাঘাতে সমাজে আগে থেকেই দাস বিদ্যমান। ইসলাম নিজেকে দাস ঘোষনা দেবার প্রথা রহিত করে যারা পূর্বে দাস ছিলো তাদেরকে শর্তের ভিত্তিতে মুক্ত করার বিধান করেছে। তাদের প্রতি মানবিক হতে শিখিয়েছে। সেক্ষেত্রে নারীদের ব্যাপারটা হলো যখন পরাজিত নগরী নতুন করে শুরু হয় তখন সেখানে বর্তমান সময়ের মতো কাজের সুযোগ থাকে না কারন তখনকার সমাজব্যাবস্থা এতটা উন্নত ছিলো না। ঘরের পুরুষ যুদ্ধে মারা গেলে স্বভাবতই তাদের আয়ের পথ রুদ্ধ হবে। সেক্ষেত্রে বিধর্মী অবস্থায় বিয়েও হয় না কিন্তু তাদেরকে দাস হিসেবে একটা সুযোগ দেয়া হয় বেঁচে থাকার। সেক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া এমন একটি সাম্যাবস্থার সৃস্টি করে যার ফলে মালিক লাভবান হয় এবং দাসী পরিবারও বেঁচে থাকে।

তবে দাসপ্রথাকে যেভাবে হেয় ভাবে তুলে ধরা হয় ইসলামী দাসপ্রথা এতটা বর্বর নয়। যা বলা হয় তা অতিরঞ্জিত। আপনি বলতে পারেন তাহলে আল্লাহ কেন দাসপ্রথা তুলে দেননি? তাহলে এসব নারীদের তো পতিতাবৃত্তি করে চালাতে হবে, আর কি করার আছে তখনকার সমাজে? তারপরও যদি বলেন এটা অমানবিক তাহলে আমার বক্তব্য এ ব্যাপারে আল্লাহ ভালো জানেন, আমার জ্ঞান সীমিত।

আর মজলিসে শূরার ব্যাপারটা অগনতান্ত্রিক কেন বলা হচ্ছে সেটা বুঝতে পারছি না। তাহলে তো আমেরিকার ইলেক্টোরাল ভোটও অগনতান্ত্রিক। মজলিসে শূরার মেম্বার একজন শিক্ষিত ডাক্তার ইন্জিনিয়ার অর্থনীতিবিদ যে কেউ হতে পারে শর্ত একটাই তাকে ইসলাম পালন এবং সে সম্পর্কিত জ্ঞান থাকতে হবে। প্রতিটা মেম্বার কাউন্সিল ভোটে নির্বাচিত হয়ে তারা একটা শূরা কমিটি গঠন করে যারা একজন খলিফা নির্বাচন করেন। সেক্ষেত্রে আলাদাভাবে একজন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা যেতে পারে। আইনগত লেজিসলেটিভ পাওয়ার খলিফার হাতে থাকবে এবং জনগনের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত গভর্নর বা প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন, বাজেট, তদারকি সহ প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবে। সেক্ষেত্রে তিনি খলিফার কাছে জবাবদিহি করবেন এবং খলিফা তার যেকোনো সিদ্ধান্ত শূরা কমিটির মাধ্যমে করবেন। এটা অগনতান্ত্রিক কিভাবে হয় ঠিক বুঝতে পারছি না।

২০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

স্থিতধী বলেছেন: হ্যা, দু একজন খলিফা হয়তোবা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন কিন্তু সেটার জন্য সবার ওপর দোষ চালাতে পারেন না।...এখন ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের আচরন দিয়ে ইসলামকে বিচার করা যুক্তিসঙ্গত হবে না।

সাম্রাজ্যবাদীতার অসুবিধা কি তা কি বুঝতে পারছেন? আপনার "দু একজন" খলিফার মাঝে তুরস্কের অটোম্যান সাম্রাজ্যর খলিফারাও পড়বে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও পাকিস্তানি ধর্মীয় মাইন্ডসেট কত খানি অটোম্যান তুরস্ক দ্বারা প্রভাবিত তা আপনার জানা থাকার কথা । ভারতে মুসলমানদের কংগ্রেসের কাছে পাবার জন্য মহাত্মা গান্ধীও তুর্কি খেলেফতের সাপোর্ট দিতো যা হিন্দু উগ্রবাদীদের তাঁর উপর অবিশ্বাসের জন্ম দেয় । ৭১ এ বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড তাঁদের সেই তুর্কি লেগাসী কেই বহন করে। আপনি যেভাবে ইসলামী সাম্রাজ্যবাদের ' একটি দুটি' ব্যাতিক্রমী ভুল হিসেবে একে আখ্যায়িত করে তাঁর মঙ্গল দেখতে চাচ্ছেন সেভাবে করে তো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদেরও অনেক প্রশংসা করা যায়, মঙ্গল খুজে বের করা যায় । কিন্তু তাতে এই বাস্তবতা দূর হয়ে যায়না যে সাম্রাজ্যবাদ যেকোন কিছুর মোড়কেই আসলে একটি অভিশাপ । আপনি আধুনিক বিশ্বে সেই পুরনো সাম্রাজ্যবাদ ফিরিয়ে আনতে চান ইসলামের অজুহাতে?

তবে বিধর্মীরা জাকাত দেন না, তবে তাদের খাজনা স্বরুপ জিযিয়া দিতে হয়। ..... সেটা ভিন্ন বিষয় কিন্তু এটা লক্ষ্যনীয় যে বিধর্মীদের ওপর উল্টো কিছু না চাপিয়ে তাদেরকে জাকাত থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে এবং তদপরিবর্তে যে জিযিয়া কর নেয়া হতো তা খুব সামান্য।

এই কন্সেপ্ট আপনি স্বাধীন বাংলাদেশে প্রয়োগ করতে চাচ্ছেন? ধর্ম তত্ত্বীয় ভাবেই, অমুসলিম বিধর্মীরা কিসের জন্য জাকাত দেবে? একটি ধর্মীয় বিধান হিসিবে এটি প্রত্যেক মুসলিমের বাৎসরিক ব্যাক্তিগত আয়- ব্যায়ের উপর নির্ধারিত একজন মুসলমানের ধর্মীয় বাধ্যকতা। এটা মুসলিমদের সেলফ ট্যাক্স; কোন খলিফা রাষ্ট্রীয় ভাবে আদায় না করলেও ব্যাক্তি মুসলমানকে যাকাত দিতে হবে। সেটার পালন অমুসলিমরা করবেনা তাতো খুব ই স্বাভাবিক । জাকাত দেয়না বলে সেই যুক্তিতে আপনি তাঁদের দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক বানিয়ে তাঁদের থেকে জিজিয়া আদায় করবেন? বিষয়টা করের পরিমাণে নয়, আপনি কি বুঝতে পারছেন তাঁর একটি ধর্মীয় বিশ্বাস থাকার জন্য তাঁর উপর কর আরোপ করা তাঁর জন্য কতটা অপমান কর? কোটি কোটি মুসলমান আধুনিক পাশ্ছাত্য অমুসলিম / বিধর্মী বিধানের দেশগুলোতে ইমিগ্রেন্ট হিসেবে থাকে, সেখানে মসজিদ বানিয়ে ধর্ম কর্ম করে। তারা কি মুসলিম হবার জন্য আলাদা ভাবে আলাদা রেটে সেসব রাষ্ট্রকে ' মুসলিম কর' দেয়? সেটা হলে তারা কেমন বোধ করতো?

আধুনিক বাংলাদেশ কেন পাকিস্তান থেকে আলাদা হল ? আধুনিক স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির সময় আমরা কি তাহলে শুধুমাত্র বাঙালি মুসলমানদের জন্য একটি বাংলাদেশ চেয়েছি আসলে? বাংলাদেশ ৭২ এর এবং বর্তমান সংবিধানেও ধর্ম নিরপেক্ষতা রাখা আছে। এটি কে যদি ফেলে দেই, তাহলে তা আমাদের রাষ্ট্রকে আরেকটু কল্যাণকর হিসেবে বানাতে সাহায্য করবে বলে বলছেন?

এভো সাহেব যে বই তুলে ধরেছেন বলবো না যে একাডেমিক পারস্পেক্টিভে এটা খুব ভালো বই কিন্তু বাকি আর ১০ টা বই তে যা আছে এখানেও তাই আছে।

অর্থাৎ আমি বুঝে নিতে পারি ব্লগার এভো সাহেবের শেয়ার করা বইতে যা লেখা আছে তা বাস্তব ও ঐতিহাসিকভাবে মীমাংসিত ঘটনা । তার মানে, কলম দিয়ে কবিতা লিখে কোন বক্তব্য দিলে সেই কবিতার বক্তব্য নিজ মতের বিরুদ্ধে গেলে রাসুল তরবারি হাতে তুলে নিয়ে সেটার সমাধান হবে বলছেন, এই ঘটনাটি সত্য । কবিতার ভাষা অশ্লীল গালিগালাজের ছিলো তেমন কোন কিছুর উল্লেখ সেই রেফারেন্স এ নেই । অর্থাৎ কেবল- ই একটি ভিন্নমতের প্রকাশ কে কোন তর্ক - বাহাস দিয়ে নয়, তরবারি দিয়েই দমন করা হবে, সেটা ইসলাম সম্মত। সব কিছুতে সহমত ভাই হয়ে আত্ম সমর্পণ, করার নাম ইসলাম । এই ধারার এরাবিক ইসলামী কন্সেপ্ট আপনি আধুনিক বাংলাদেশে দেখতে চাচ্ছেন ? এমন বিধানে অবশ্য বাংলাদেশের ক্ষমতাশীন যেকোন সরকার খুব খুশি হয়ে যাবে।

কর্নেল ফারুক ও নাথুরাম গডসের সমর্থকরা এই উপমহাদেশ ও বাংলাদেশের জন্য কতটুকু জরুরী ? ঃ এই প্রশ্নের উত্তর টা দিলেন না ভ্রাতা ।


২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

ফটিকলাল বলেছেন: মুসলিম খলিফা হলেই যে তিনি সকল পাপ হতে মুক্ত সেটা আমরা বলতে পারি না। মোঘল বংশের অনেক রাজা সমকামীতায় আসক্ত ছিলেন। তাদের সমকামীতার নেশাগ্রস্থ হবার সংস্কৃতি তৈরী হয়েছিলো অটোমানদের কাছ থেকেই। এদের পূর্বপুরুষরাই কিন্তু কাবার ওপর আক্রমণ করেছিলো। এখন আমি কিভাবে এদের মুসলমান বলি? এদের মধ্যে মুসলমানিত্বের লেশ নেই। শাসককে যেখানে সাধারনের কাতারে দাড়িয়ে নামাজ পড়তে হয় এবং একজন ক্ষুধার্ত মানুষ রাস্তায় থাকা পর্যন্ত যখন খোলাফায়ে রাশিদিনের কেউ ঘুমাতে পারতেন না, সেখানে এমন লম্পট খলিফা অবশ্যই কলঙ্ক। আপনি তাদের দিয়ে পুরো ইসলামী আদর্শকে প্রশ্নবিদ্ধ করাটা একাডেমিকভাবে ভুল।

ইসলামী রাষ্ট্রে বিধর্মীদের সমান অধিকার থাকবে না তার মানে এই নয় যে তাদের ওপর জুলুম নির্যাতন বা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে ছিন্ন করা হবে। তারাও সুন্দরভাবে বেঁচে বর্তে থাকবে এবং ব্যাবসা করে নিজেদের জীবন নির্বাহ করবে এরকম অনেকের নাম বলতে পারি যারা খোলাফায়ে রাশেদুনের আমলে বিভিন্ন যুদ্ধের সময় উল্টো সাহায্য করেছেন। খলিফা উমর রাঃ যখন জেরুদালেমে পা রাখলেন তখন তিনি যে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তা আজও ইতিহাসের পাতায় নাম লেখা থাকবে না।

আমি বলছি না ইসলাম মানেই পরম ইগালিটারিয়ান সোসাইটির তৈরী করবে। আপনি যখনি রাষ্ট্রকে ধর্মের মোড়কে পেশ করবেন তখনি সে পরম সাম্যবাদী সমাজের চরিত্র হারায়। অনেকেই বলতে দ্বিধা করেন ইসলাম লিঙ্গভেদেও সাম্যবস্থা মানে না। একজন পুরুষের যতটুকু ছাড় আছে একজন নারীর সে ছাড় নেই। এটাই বাস্তবতা এবং পরম ইসলামি আকীদা। ইসলামের এ ধারনা আপনার কাছে সেকেলে মনে হলেও ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের দিক থেকে এটি সামন্জস্যপূর্ন। গন্ধব খেলে এমন কি মহাভারত অশুদ্ধ হতো? কিন্তু আল্লাহ আদম আঃ ও হাওয়া রাঃ অবাধকতা মেনে নেননি। আপনাকে বুঝতে হবে ইসলাম আপনার দাসত্ব চায়। এটাকে যদি আপনার অথরেটোরিয়ান মনে করেন সেটা যেমন সত্য তেমনি একজন মুসলিম যদি মনে করে সকল মানুষ সমান নয় এবং লিঙ্গ ও বিশ্বাসের ভেদে সমাজ পরিবর্তিত হবে সেটাও মানতে হবে।

আপনি উন্নত বিশ্বে দুটো টয়লেট পাবেন একটা ছেলে আরেকটি মেয়ে। যারা ট্রান্স তারা কোথায় যাবে? এবং আইনের দিক থেকে প্রতিবন্ধি/নারীরা অগ্রাধিকার পায়। পরম ইগালেটেরিয়ান সোসাইটি হলে এসব মৌলিক ব্যাপারগুলো কি উঠে যাবে? যদি না উঠে তাহলে কেন উঠবে না, আর যদি উঠেই যায় তাহলে কিভাবে উঠাবেন? ঠিক একই পারস্পেক্টিভ কিন্তু কনটেক্সট ও ভিত্তি ভিন্ন।

আর এভো সাহেবের রেফারেন্সগুলো ভালোভাবে পড়ুন বিভিন্ন ইসলামী বইতে উল্লেখ আছে সেখানে মহানবী সাঃ নিজে শাতিমে রাসুলের কথা উল্লেখ করেছেন। এবং এই শাস্তি প্রতিপালন যে কেউ যেকোনো সময় করা হয়েছে সীরাত অনুযায়ী। কিন্তু কবি ক্বাবের হত্যার পর তার বিরুদ্ধে আনিত যুদ্ধলাগাবার রসদ বা তাতে উৎসাহ দেবার আর কোনো উল্লেখ নেই। যেটা উল্লেখ নেই সেটাই বা কিভাবে বলেন। তবে শুধু ইসলামেই নয়, পূর্ববর্তি আব্রাহামিক সব ধর্মেই রিদ্দা, রাস্ট্রোদ্রোহের শাস্তি আছে কিন্তু শাতিমে রাসুল এটা হাদিস থেকে চালিত একটা অনন্য পরিচয়। আপনার কাছে খারাপ লাগতেই পারে। কিন্তু এটা ইসলামে আছে এবং মহানবী সাঃ শানে কিছু বলা গর্হিত কাজ

কর্নেল ফারুক নিজে কতখানি মুসলিম সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। মহানবী সাঃ যখন মদিনায় হিজরত করলেন তখন কিন্তু এমন বিদ্রোহ বা হত্যাকান্ডে লিপ্ত হননি। তিনি ইসলামের প্রসার ঘটিয়েছেন। মক্কা বিজয়ের পর তিনি যে উদারতা দেখিয়েছেন ঠিক সেকারণেই সুফিয়ানপুত্র মুয়াবিয়া রাঃ ইসলাম গ্রহন করেন। আরো প্রমুখ কুরাইশ ইসলাম গ্রহন করে সাহাবী হয়ে যান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান একজন ধর্মপ্রান মুসলমান ছিলেন এবং তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন ইসলামের পক্ষেই কাজ করেছেন। তাগুদী আইনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র জিহাদের নির্দেশ কোরানে তখনই আসে যখন আপনার ওপর আঘাত আসবে এবং আপনি ততক্ষন অস্ত্র হাতে নিয়ে লড়বেন যতক্ষন শত্রুপক্ষ অস্ত্র হাতে রাখে। সমর্পন করলে তাকে হত্যা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ ইসলামে। সেখানে কর্নেল ফারুক যা করেছেন ইসলামের নামে সেটা ইসলাম তো সমর্থন করে না, উল্টো তিনি হত্যার মতো জঘন্য কাজ করেছেন। তার হাতে শিশুর রক্তও আছে।

নাথুরাম গডস ফারুকের মতো দজ্জালদের নিয়ে কোনো মন্তব্য করতেই ঘৃনা লাগে

২১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭

স্থিতধী বলেছেন: শাসককে যেখানে সাধারনের কাতারে দাড়িয়ে নামাজ পড়তে হয় এবং একজন ক্ষুধার্ত মানুষ রাস্তায় থাকা পর্যন্ত যখন খোলাফায়ে রাশিদিনের কেউ ঘুমাতে পারতেন না, সেখানে এমন লম্পট খলিফা অবশ্যই কলঙ্ক। আপনি তাদের দিয়ে পুরো ইসলামী আদর্শকে প্রশ্নবিদ্ধ করাটা একাডেমিকভাবে ভুল।

“একজন ক্ষুধার্ত মানুষ রাস্তায় থাকা পর্যন্ত যখন খোলাফায়ে রাশিদিনের কেউ ঘুমাতে পারতেন না”; এই বাক্যটি রোম্যান্টিক রেটরিক বাক্য নাকি একাডেমিক সত্য ? খলিফা উমর (রঃ) মাঝরাতে রাস্তাঘাটে ঘোরাফেরা করতেন শুনেছি, যেমনটা লীগে থাকাকালীন তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের ব্যাপারেও শোনা গেছে । বাকি তিন খলিফা রাতে ঘুমাতেন না এলাকায় কোন ক্ষুধার্ত মানুষ থাকলে এমন টা শুনিনি। তা আপনি একাডেমিক দিক থেকে বাকি তিন খলিফার দারিদ্র বিমোচনে রাত্রি জাগরণের বিষয়টি সত্য হলে রেফারেন্স দিয়ে দিন, ভালোই হয় তাহলে ।

আমি খলিফাদের দিয়ে ইসলামের বিচার করিনি । আমি শুরুতেই আপনাকেই জিজ্ঞাসা করেছি যে রাসুলের আমল থেকেই ইসলামের সাম্রাজ্যবাদী কোন চরিত্র আছে কিনা । আপনি বলেছেন, রাজনৈতিক ইসলামের সাম্রাজ্যবাদী চরিত্র আছে । সেই নিমিত্তে আমার বলা যে যেকোন কিছুর মোড়কেই সাম্রাজ্যবাদ আদতে মঙ্গলজনক নয় । আপনি যেভাবে ইসলামী সাম্রাজ্যবাদে কল্যাণ খুজেছেন সেভাবে করে চাইলে ব্রিটিশ সহ আরো নানা সাম্রাজ্যবাদের মঙ্গলজনক অনেক দিক খুজে পাওয়া যায়, তাতে করে তাঁদের সেসময়ের অপরাধগুলোও ঢাকা পড়েনা । সহী সাম্রাজ্যবাদ বলে কিছু থাকতে পারেনা এবং আবেগের বশে আমি আজকের যুগে এসে এক সাম্রাজ্যবাদ কে ঘৃণা করি বলে আরেক সাম্রাজ্যবাদকেও তালি দিয়ে যেতে পারিনা । প্রত্যেক সাম্রাজ্যবাদের একটি মনঃস্তাত্তিক দিক আছে যেটি কোন না কোন এক পর্যায়ে গিয়ে ঠিক- ই মানবতা বিরোধী হয়ে পরে । একে আমরা অস্বীকার করতে পারি কিন্তু তাতে ইতিহাস অন্ধ হয়ে যায়না।

আপনি যখনি রাষ্ট্রকে ধর্মের মোড়কে পেশ করবেন তখনি সে পরম সাম্যবাদী সমাজের চরিত্র হারায়। অনেকেই বলতে দ্বিধা করেন ইসলাম লিঙ্গভেদেও সাম্যবস্থা মানে না। একজন পুরুষের যতটুকু ছাড় আছে একজন নারীর সে ছাড় নেই। এটাই বাস্তবতা এবং পরম ইসলামি আকীদা।

সঠিক এবং বাস্তব কথা। এই ব্লগেই আমি কয়েক জন ধর্ম প্রচারক ব্লগারকে, কি - বোর্ডের জোড়ে ইসলামে নাকি দুনিয়াতে নারী – পুরুষের অধিকার সমান এমন দাবী করতে দেখেছি । আমি ব্যাপক বিনোদিত হয়েছি ।

কিন্তু কবি ক্বাবের হত্যার পর তার বিরুদ্ধে আনিত যুদ্ধলাগাবার রসদ বা তাতে উৎসাহ দেবার আর কোনো উল্লেখ নেই। যেটা উল্লেখ নেই সেটাই বা কিভাবে বলেন। তবে শুধু ইসলামেই নয়, পূর্ববর্তি আব্রাহামিক সব ধর্মেই রিদ্দা, রাস্ট্রোদ্রোহের শাস্তি আছে কিন্তু শাতিমে রাসুল এটা হাদিস থেকে চালিত একটা অনন্য পরিচয়। আপনার কাছে খারাপ লাগতেই পারে। কিন্তু এটা ইসলামে আছে এবং মহানবী সাঃ শানে কিছু বলা গর্হিত কাজ

এই তত্থ্যের জন্য ধন্যবাদ। এই স্টাইলে শাতিমে প্রধানমন্ত্রী / সরকারী দল থাকলে আমাদের দেশের সকল সরকারী দলগুলো খুব খুশি হবে । শাতিমে কায়েদে আযম হবার জন্য ৭১ এ আমাদের বহু বুদ্ধিজীবির প্রাণ গেছে ।

তাগুদী আইনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র জিহাদের নির্দেশ কোরানে তখনই আসে যখন আপনার ওপর আঘাত আসবে এবং আপনি ততক্ষন অস্ত্র হাতে নিয়ে লড়বেন যতক্ষন শত্রুপক্ষ অস্ত্র হাতে রাখে। সমর্পন করলে তাকে হত্যা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ ইসলামে। সেখানে কর্নেল ফারুক যা করেছেন ইসলামের নামে সেটা ইসলাম তো সমর্থন করে না, উল্টো তিনি হত্যার মতো জঘন্য কাজ করেছেন। তার হাতে শিশুর রক্তও আছে।

কর্নেল ফারুকের দ্বারা শেখ মুজিবের সপরিবারে হত্যাকান্ড ও সপ্তম শতাব্দীতে আরবে কবি ক্বাবের রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের মাঝে আপনি কি জাতীয় মিল ও অমিল খুজে পান ? একটা পার্থক্য অবশ্যই যে কবি ক্বাব সপরিবারে শিশু সহ খুন হননি । আরো কোন মিল, অমিল ?

আপনার কি মনে হয় বঙ্গবন্ধু ও কর্নেল ফারুকের বিষয়ে আপনার সাথে বাংলাদেশের আনুমানিক কত % ইসলামী পণ্ডিতদের (আলেম – ওলামা – মুফতী- ক্কারী) অন্তরের ভেতরে থাকা মতামত মিলবে ?

মক্কা বিজয়ের পর তিনি যে উদারতা দেখিয়েছেন ঠিক সেকারণেই সুফিয়ানপুত্র মুয়াবিয়া রাঃ ইসলাম গ্রহন করেন।

এই প্রসঙ্গে একটা প্রশ্ন আসলো । যদি আপনাকে মুয়াবিয়া রাঃ এর ব্রান্ডের ইসলাম আর নবীর অন্যতম আদি সাহাবীদের একজন, আবুজর আল গিফারী ( রাঃ) ব্রান্ডের ইসলামের মধ্য থেকে যেকোন একটি ইসলামকে বেছে নিতে বলা হয়, আপনি কোনটি বেছে নেবেন ? আমি জানি এটি অদ্ভুত প্রশ্ন, কারন আপনি রাসূলের ইসলাম কেই কেবল মানতে চাইবেন । কিন্তু ইতিহাসে রাসূলের এই দুই সাহাবী ইসলামকে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেছেন , আর তাই পরবর্তীতে তাঁদের মতের মিল হয়নি এটা আপনি নিশ্চয়ই জানেন । সেই আলোকেই প্রশ্নটা রাখা ।

২২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
নিশ্চয় ব্যস্ত। নভোনীল লেখাতে কি হাত দিয়েছেন, আপনার হাত ধরে নভোনীল কি মাসনের দিকে হাটছে জানতে ইচ্ছে করছে।

২৩| ২৭ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:০১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কোথায় হারিয়ে গেলেন ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.