নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই যে লাল টসটসে তরমুজটি দেখছেন, হতে পারে এটি কাপড়ের রং দিয়ে লাল করা, ক্যামিকেল দিয়ে পাকানো । কিছু মানুষের দোষে দ্রব্য মূল্য বাড়ে

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:১৬



এই যে লাল টসটসে তরমুজটি দেখছেন, কে জানে হতে পারে এটা কাপড়ের রং দিয়ে লাল করা, ক্যামিকেল দিয়ে পাকানো । সেকারিন দিয়ে মিষ্টি করা । খেলে নির্ঘাত ক্যান্সার না হলেও কিডনি বিকল হতে কতক্ষণ ?


মানুষ পারেও বটে !
বাঙ্গালীদের রসনা বিলাস নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। এ নিয়ে বেশি কিছু বলতে গেলে শক্রু হতে বেশি সময় লাগে না । খাওয়ার জন্য বাঙ্গালী সব সময় আধা পাগলা থাকে। ভাব দেখায় কিছুই খায় না, কিন্তু সুযোগ পেলে হাড্ডিতে গোস্ত লাগিয়ে চিবায়। আমি নিজেও আছি এ দলে । টানা সাত দিন পোলাও খাওয়ার রেকর্ড আছে আমার । নিজের দোষটাও তো বলা উচিত :)

সকালে যে তরমুজ ২০০ টাকা, বিকালে সেটা ৮০০ টাকা হয়ে গেলেও কিছু পাবলিক সেটা দিব্যি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। গরুর গোস্তর কেজি ৮০০ টাকা হলেও এদের মধ্যে কোন বিকার দেখা যায় না, দিব্যি পাঁচ, ছয় কেজি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। ক্রয় ক্ষমতা থাকলেই কি কিনতে হবে ?

রোজা উপলক্ষে বাজারে যেসব ফলমুল পাওয়া যাচ্ছে , তার অধিকাংশই ভেজালে পরিপূর্ণ । তরমুজের ভেতর সেকারিন যুক্ত পানি ও কাপড়ের রং দিয়ে ইনজেক্ট করে মিষ্টতা ও লাল বানানো হচ্ছে । জেনে বুঝে তবুও কিছু পাবলিকের এসব কেনা চাই । এদের আয়ের উৎস না হয় নাই বা জানতে চাইলাম, কিন্তু এই শ্রেনীটা নিজেদের অজান্তেই দেশটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে সেই হুশ বা জ্ঞানও এদের নাই।

এরাই ১ হাজার টাকার পোষাক হাসিমুখে ৫ হাজার টাকায় কিনে নিয়ে গিয়ে নিলজ্জের মতো অহংকারের হাসি হাসে। আর এ সুযোগটিই নেয় অসাধু ব্যবসায়ী নামের আর একটা শ্রেনী । যখন দেখে বাড়িয়ে দাম চাইলেই বিক্রি হয়ে যায় তখন চাইবে না কেন ? আগে বাজারে গিয়ে আধ পোয়া , এক পোয়া জিনিস পাওয়া যেতো , এখন আধ পোয়া , এক পোয়া কিছু চাইলে দোকানি বেচি না বলে মুখ ফিরিয়ে নেয় । খারাপ আচড়ন করে ।


রাতারাতি টাকার পাহাড় বানানো কিছু অসাধু মানুষের বেহিসাবি আচড়নের চাপটি গিয়ে পরে সরাসরি সাধারণ মানুষ ও দেশের অর্থনীতির উপর । নীতি,বোধ বিবর্জিত এই শ্রেনীর সংখ্যা বাংলাদেশে এখন সব চেয়ে বেশি।

২০০ টাকার তরমুজ যখন ৮০০ টাকা চাওয়া হয় তখন সেটা না কিনলেই তো আর মূল্য বাড়ে না। যে জিনিসটা না কিনলে কোন ক্ষতি নেই সেটা কেন অতিরিক্ত মূল্যে কিনতে হবে ? কিন্তু তবুও কিছু মানুষ হুমরি খেয়ে পরে সেটা কেনার জন্য। এরা কারা, কোথা থেকে এতো অল্প সময়ে আর্বিরভূত হয়েছে ঢাকা শহরে ভেবে পাইনা। এক পুরুষ আগেই এদের দিন আনতে পান্থা ফুরাতো । একবেলা খেলে অন্য বেলা না খেয়ে দিন কাটাতো ।

"রমজান মানুষকে সংযম শেখালেও এসব মানুষরুপি, অর্থলোভীরা কুত্তা পাগলা হয়ে যায় । সারা বছর ধরে এরা অপেক্ষা করে থাকে কখন রমজান আসবে আর কখন হারাম টাকার পাহাড় বানাবে । ঈমানদারদের সাথে তাদের এটাই পার্থক্য।"

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

ধুলো মেঘ বলেছেন: দাম যতই বাড়ুক, আল্লাহ্‌র রহমতে আমার কেনার ক্ষমতা আছে। কিন্তু অযৌক্তিক দামে আমি কোনকিছু কিনিনা। এভাবে আমার পরিবারের সদস্যদের অনেক আবদার আমি ফিরিয়ে দিয়েছে। আল্লাহ্‌র অশেষ কৃপায় তারাও ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।

আমি একবারে আধ কেজির বেশি পেঁয়াজ কিনিনা। আধ কেজিতে আমার হোম ম্যানেজারকে এক সপ্তাহ চালাতে হয়। মৌসুম অনুযায়ী পেঁয়াজের দাম যদি যৌক্তিক পর্যায়ে আসে, তখন একবারে দুই কেজি করে কিনবো।

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: প্রয়োজনের বেশি এক ছটাক ও কেনা উচিত নয় । আপনি সঠিক পথে আছে এটাই হওয়া উচিত ।

২| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৩৭

নাহল তরকারি বলেছেন: বেশী লাভ কর শ্যালিকার জন্য শাড়ী কিনবে।

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: শ্যালি তো চলে যায় অন্যের বাড়ি এরা তখন পাপিয়াদের শাড়ি বিলি করে বেড়ায়

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:২১

নতুন বলেছেন: টাকা যখন সহজে আসে তখন দাম বেশি কোন সমস্যা না।

কস্টের আয়ের টাকা খরচে কস্ট হয়।

৪| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:০১

পুরানমানব বলেছেন: ইহা দেখিতেই বড় সুন্দর। ঠিক যেন টসটসে মডেলদের মতো। উপরে ফিটফাট ভেতরে বুড়িগঙ্গার ঘাট। সকলের উচিত রমজান মাসে এইসকল রঙ্গিলা ফল পরিহার করিয়া চলা। জীবন ও বাঁচিবে , যৌবন ও বাঁচিবে।
অতি সুন্দর হইয়াছে লেখনী।

৫| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ মানুষকে ঠকাতে পারলেই ভাবে, জিতে গেলাম।

৬| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মানুষের মৃত্যু চিন্তা পরকাল চিন্তা নাই
দুনিয়াতেই সব সুখ চায়
মিথ্যুকরা মানুষদেরকে ঠকিয়ে পয়সা কামায়

৭| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৫

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংগালী নেতারা বাড়পাড়, সামান্য টং-দোকানের লোকেরা কি সৎ হওয়ার কথা?

৮| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ড্রাগন ফলের বিষ মুক্ত হতে পেরেছি আমরা। এমনিভাবে ভয়কট থেরাপির মাধ্যমে খেজুর বেপারী তরমুজ বেপারীদের শায়েস্তা করা সম্ভব। তবে ভোক্তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই বছর এখনো খেজুর স্পর্শ করিনি।

৯| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩১

শায়মা বলেছেন: একবার ড্রাগল ফল খেয়ে একদম ছোটবেলার কবিতা হয়ে গেছিলাম।

পাকা ড্রাগনফলের মধুর রসে রঙ্গিন করি মুখ। এমনই রঙ্গিন যে ধুলেও ওঠেই না। একদম ওয়াটার প্রুফ!!! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.