নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবার বটতলায় যেতে হলো। কেউ রাগ করবেন না।।

২৩ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৭



আবার বটতলায় যেতে হলো। কেউ রাগ করবেন না।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

ভেবেছিলাম, ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায়! এখন দেখছি, আধুনিককালের ন্যাড়ারা বারবার বেলতলায় যায়। বেলতলায় যাচ্ছে। আর আরও যেতে চাচ্ছে। বেলতলায় এদের বড় সুখ!

কয়েকদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় ‘কুরআন-শিক্ষা’র আসর জমানোর নামে জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে কিছু সরল বাক্য নির্মাণ করেছিলাম। তাতেই কিছু লোক ভয়ানকভাবে উত্তেজিত হয়ে আক্রমণ করেছিল। কিন্তু সেই বটতলা নিয়ে যখন চরম অসত্য ও আজগুবি তথ্য সম্বলিত লেখা প্রকাশিত হচ্ছে তখন তারা আর কিছু বলছে না। এখন তারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। এসব তাদের মনঃপুত হয়েছে। এসব তাদের ভালো লাগছে। তার মানে হলো, অসত্যটা তাদের কাছে প্রিয়, ভালো। আর সত্যটা ভালো নয়। আসলে, দেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সবসময় ধর্মান্ধতার পরিচয় দিয়ে থাকে। এরা কোন্ দিন ধার্মিক ছিল? আর কোন্ দিন একটু মানুষ ছিল? নইলে এরা এখনও একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সর্বান্তকরণে সমর্থন করে থাকে কীভাবে? আর তাদের অযাচিত, অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুরভিসন্ধিমূলক অকাজকে ধর্মজ্ঞান মনে করে লাফাতে থাকবে কেন? আসলে, এরা এখনও বোঝে না কোনটা ধর্ম আর কোনটা অধর্ম। এরা এখনও জ্ঞানের দেখা পায়নি। পেয়েছে ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতার দেখা। এদের জীবনে এই দুটোই বিরাটবড় অলংকার। যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরের সকল অপকাণ্ডকে তাই এরা ধর্ম মনে করে থাকে।

অনেক সাম্প্রদায়িক ও ধর্মান্ধ প্রশ্ন তুলেছে ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নাকি অবাধে পূজা-অর্চনা ও ‘সরস্বতী-পূজা’র আয়োজন করা হয়। এতে তাদের মনে বিরাট আক্ষেপ ও প্রশ্ন: তাতে বাধা দেওয়া হয় না এবং বাধা দেওয়া হচ্ছে না কেন? কথাটির আংশিক সত্য। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনোই সর্বজনীনভাবে পূজা-অর্চনা করা হয় না। হয় ‘সরস্বতী-পূজা’র বা বাণী-অর্চনার আয়োজন। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সরস্বতী-পূজা’র সঙ্গে বটতলার কথিত ও উদ্দেশ্যমূলক ‘কুরআন-শিক্ষা’ নামক ভণ্ডামি ও ফায়দা লোটার কারসাজির তুলনা করে—তারা মনে হয় ভেবেচিন্তেই সাম্প্রদায়িক। আর সেইসব সাম্প্রদায়িক ও ধর্মান্ধ অপশক্তির বিরুদ্ধে বলা হলো:

১. বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে হিন্দুসম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় পূজা ‘শারদীয় দুর্গাপূজা’র আয়োজন করা হয় না। কারণ, ওইসময় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল। এটা শুধু হিন্দু ছাত্রদের জন্য। এটা তাদের আবাসস্থল। বাড়িঘরের মতো। তারা এখানে বছরের-পর-বছর থাকে। তাই, এখানে ‘শারদীয় দুর্গাপূজা’র আয়োজন হতেই পারে। জামায়াত-শিবিরের কথিত ‘কুরআন-শিক্ষা’র মতো পূজা-অর্চনার কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নাই। এখানে, কাউকে হিন্দু বানানোর চক্রান্ত নাই। পূজায় দেশের বিরুদ্ধে কারও কোনো ষড়যন্ত্র নাই। পূজা-অর্চনার কোনো প্রোগ্রামে অন্য কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করা হয় না। পূজা-অর্চনা করে কেউ কখনো জঙ্গি হয়নি। আর পূজা শেষ—অনুষ্ঠান শেষ। খুব সাময়িক একটা ব্যাপারস্যাপার। আর জামায়াত-শিবিরের ‘কুরআন-শিক্ষা’র আসর জমানো মানে বিরাট, গভীর ও ভয়ানক ষড়যন্ত্রের জালবিস্তার। তাই, সাধু সাবধান। সাধারণ পূজা-অর্চনার সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের কথিত ইসলামি অনুষ্ঠানাদি ও ‘কুরআন-শিক্ষা’র কর্মকাণ্ডকে এক করে দেখা সমীচীন নয়। আপনি সুস্থ, সবল ও অসাম্প্রদায়িক হলে এটা আপনাকে সবসময় মাথায় রাখতে হবে। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে—কীসের সঙ্গে কী, আর পান্তাভাতে ঘি! আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে: ওরা ‘কুরআন-শিক্ষা’র নামে কুরআনের অবমাননা করছে।

২. দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে, কলেজে ও হাইস্কুলে (মাদ্রাসা ব্যতীত) ‘সরস্বতী-পূজা’ হয়ে থাকে। হবে না কেন? এটা হয়ে আসছে কয়েক শ’ বছর যাবৎ। সেই ইংরেজ-আমলের আগে থেকে। এটা নিয়ে কেউ কখনো কোনো প্রশ্ন তোলেনি। আর ‘সরস্বতী-পূজা’ সবসময় অসাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিপনার প্রভাবমুক্ত। সর্বজনীন একটা আনন্দ-উৎসব। ইংরেজ-আমলে স্কুল-কলেজে খুব জাঁকজমকের সঙ্গে ‘সরস্বতী-পূজা’ পালিত হতো। তা-ই দেখে তখনকার মুসলমান ছাত্ররা ভাবলো, আমাদের কোনো নিজস্ব অনুষ্ঠান থাকলে ভালো হতো। সেই থেকে তারা হিন্দুদের ‘সরস্বতী-পূজা’র পাশাপাশি মুসলমানি আনন্দলাভের জন্য বার্ষিক ‘মিলাদ-মাহফিল’ পালন করতে শুরু করে দেয়। এর কিছুকাল পরে মুসলমানরা আবার মহানবী হজরত মোহাম্মদ সা.-এর জন্ম-উৎসব উপলক্ষে (১২ই রবিউল আউয়াল) ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা.’ পালন করতে শুরু করে। সেই থেকে এগুলোও পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবির কখনোই রাসুলের শানে ‘মিলাদ-মাহফিল’ ও তাঁর জন্ম-উৎসবকে ঘিরে ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা.’ পালন করে না। এগুলোকে তারা প্রকাশ্যে ‘বিদআত’ বলে! তার বিপরীতে জামায়াত-শিবির নিজেদের বানানো ও মনগড়া ‘ইফতার-পার্টি’ পালন করে। নিজেদের স্বার্থের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয়। এরা রাসুলের শানে ‘মিলাদ-মাহফিল’ করে না, পড়ে না। নবীজির শানে ‘ঈদে মিলাদুন্নবী সা.’ পালন করে না। তার বদলে ছাত্রদের রগ কাটে, মানুষকে হত্যা করে, বিপরীত আদর্শের মানুষদের হত্যা করাকে দলীয় কাজ মনে করে। এসবই তাদের-নিজেদের স্বার্থের ফায়দা লোটার অপরাজনীতি। এরা যেকোনোভাবে আর ইসলামের নামে ছলে-বলে-কলে-কৌশলে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চায়। এরা ইসলামের নামে মানুষহত্যা করাকেও জায়েজ মনে করে। কিন্তু রাসুলের শানে মিলাদ পড়ে না! রাসুলের জন্মদিন মানে না, পালন করে না! আসলে, এরা রাসুলকেই মানে না। তাঁর পবিত্র মিলাদ ও জন্ম-উৎসবকে ‘বিদআত’ বলে। এরা কীভাবে মুসলমানের দাবিদার হতে পারে? আর এরা এখন এতোটাই মুসলমান হয়েছে যে, মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য ঐতিহাসিক বটতলায় ‘কুরআন-শিক্ষা’র প্রহসন রচনা করছে। আমাদের রাসুলুল্লাহ সা. কখনোই-কোনোদিন গাছতলায়, রাস্তাঘাটে, ফাঁকা-মাঠে আর লোকদেখানো পরিবেশে কাউকে ‘কুরআন-শিক্ষা’ দেননি এবং নিজেও তিলাওয়াত করেননি। তাহলে, এরা কারা? এরা সেই স্বার্থপর ও নামধারী মুসলমান। যাদের কাছে এখনও মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের চেয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা বড়। একবার ভাবুন তো, এরা কি আমাদের রাসুলের চেয়ে বড় মুসলমান হয়ে গেছে? এদের বটতলায় গিয়ে ‘কুরআন-শিক্ষা’র আসর জমাতে হবে কেন? এর সদুত্তর কী?

৩. আজ পর্যন্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘সরস্বতী-পূজা’ অর্চনা করে কাউকেই সন্ত্রাসী, জঙ্গি বা সেমি-জঙ্গি বানানো হয়নি। কিন্তু শিবির বিভিন্ন স্কুল-কলেজে গোপনে ‘দরসে কুরআন’-এর নামে ছাত্রদের মগজ-ধোলাই করে তাদের বিপথগামী করছে। তাদের ভুলশিক্ষা দিয়ে দেশ, মানুষ ও মানবতার বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে! তাই, জামায়াত-শিবিরের হাতে কুরআন নিরাপদ নয়।

৪. কেউ-কেউ বটতলার ‘কুরআন-শিক্ষা’র আসরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আরবি সাহিত্য পরিষদ’ নামের একটি ভুঁইফোঁড় সংগঠনের কার্যক্রম বলে চালানোর অপচেষ্টা করেছে। মূলত এসব অযৌক্তিক কথাবার্তায় তাদের অপরাধ বাড়বে বৈ কমবে না। তার কারণ, এই আরবি বিভাগে ভর্তি হয়ে থাকে দেশের মাদ্রাসা-পাস ছেলেমেয়েরা। এদের বেশিরভাগই জামায়াত-শিবিরের অপরাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পূর্বেই বলা হয়েছে, বটতলা ‘কুরআন-শিক্ষা’র কোনো জায়গা নয়। এখানে, অতীতে বহু প্রয়োজনে বহুরকমের জনসভা হয়েছে। স্বৈরাচারী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবিতে ছাত্রসমাবেশ হয়েছে। আরও কত জনসভা হয়েছে। জনসভা হবে। আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছাত্রসমাবেশ হবে। কিন্তু, এই উন্মুক্ত-খোলা মাঠে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কেউই ‘কুরআন-শিক্ষা’র কোনো আসর জমায়নি। তবে কারা হঠাৎ করে এ-ধরনের অপতৎপরতা প্রকাশ করতে এত তৎপর হয়েছে? সহজেই মাথায় আসে—যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষে আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা চালিয়েছিল তারা। মানে, সেই রাজাকারবংশ জামায়াত-শিবির। তারপরও বলি, জামায়াত-শিবির তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কথিত ‘আরবি সাহিত্য পরিষদ’-এর পরিচয় দিয়েছে। এরকম তারা করে থাকে। নিজেদের প্রয়োজনে নানারকম ভুঁইফোঁড় সংগঠনের জন্ম দেয়। যেমন, তারা অতীতে ছদ্মবেশে ‘ইফতার-মাহফিলে’র নামে নিজেদের রাজনৈতিক অপতৎপরতা চালাতো। আবার বিভিন্ন সময় ‘ইসলামি সমাজকল্যাণ-সংস্থা’র নাম-ব্যবহার করে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর কুরুচিপূর্ণ ‘ওয়াজ-মাহফিলে’র নামে জামায়াতের জনসভা করতো। ‘ইসলামি পাঠাগার’-এর ব্যানারে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী-সর্দার গোলাম আযম ও তদীয় পোষ্যপুত্র সাঈদীর মূর্খতাবিষয়ক তথ্য-প্রচার করতো। ঠিক একইভাবে এরা ‘আরবি সাহিত্য পরিষদ’ নামের আড়ালে শিবিরের এজেন্ডা-বাস্তবায়নের অপচেষ্টা করেছে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে, তারা নিজেদের স্বার্থে এইরকম একটা ভুঁইফোঁড় সংগঠনের জন্ম দিয়ে নাটক করছে।

৫. অনেকে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াতে দুরভিসন্ধিমূলকভাবে প্রচার করছে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ নাকি তাদের ক্যাম্পাসে ইফতার করা বন্ধ করে দিয়েছে! কতবড় মূর্খ আর কতবড় অসৎ হলে এসব কথা কেউ লিখতে ও বলতে পারে। আর তা প্রচারও করতে পারে! আসলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তপক্ষ প্রশাসনিকভাবে বা সরকারিভাবে কোনো ‘ইফতার-মাহফিলে’র আয়োজনকে উৎসাহিত করেনি, এবং এগুলো করতে নিষেধও করেনি। তার কারণ, এই বছর সরকার সরকারিভাবে ‘ইফতার-মাহফিলে’র আয়োজনে করতে নিষেধ করেছে। এতে সরকারের অর্থঅপচয়-রোধ করার জন্যই এমনটি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনকেও এ-বছর ‘ইফতার-মাহফিলে’র আয়োজন করতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তাতে কারও কোনো মাথাব্যথা হওয়ার কথা নয়। অর্থঅপচয়-রোধ করাটা দেশ ও জাতির জন্য অতীব মঙ্গলজনক। আর ‘ইফতার-মাহফিল’ তো আসলে কোনো ‘ইফতার-মাহফিল’ নয়। এগুলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অপরাজনীতির একটি সস্তা দোকান। এই দোকানদারি বন্ধ করে সরকার ভালোই করেছে। আর সরকারি-পর্যায়ে এটা সবসময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়াই উচিত।

৬. একদল চরম সাম্প্রদায়িক ও ভিন্নধর্মমতের প্রতি বিদ্বেষপোষণকারী ব্যক্তি বটতলায় ‘কুরআন-শিক্ষা’র কথিত আসর নিয়ে ভয়ানক অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। এরা বলছে, দেশে ‘ইফতার বা ইফতারি’ বন্ধ করা হয়েছে! ‘কুরআন-শিক্ষা’ বন্ধ করা হয়েছে! এবার পূজা বন্ধ হবে কিনা? কতবড় মূর্খ হলে এসব অতি-সস্তা-কথা মুখে আনতে পারে! দেশে কখনোই ‘ইফতার বা ইফতারি’ বন্ধ হয়নি। আর কুরআন-চর্চা, কুরআন-পাঠ, কুরআন-তিলাওয়াত আর কুরআন শিক্ষা বন্ধের তো প্রশ্নই ওঠে না। দেশে সবকিছু সুন্দরভাবে চলছে। শুধু বটতলায় যারা ‘কুরআন-শিক্ষা’র নামে অতি-নাটক জমাতে চেয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছে। আর এর সঙ্গে পূজা বন্ধের প্রসঙ্গ-অবতারণা করাটাই মূর্খতা।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: সরকার কারও ‘ইফতার-মাহফিল’ আয়োজনে বাধা দেয়নি। দিচ্ছে না। অনেকে ‘গণ-ইফতার-মাহফিলে’র নামে দেশের কত স্থানে কত কী করেছে! সরকার বাধা দেয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও নিয়মিত ‘ইফতার-কার্যক্রম’ চলছে। কেউই বাধা দেয়নি। আঠারো কোটি মানুষের দেশে দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে পুঁজি করে অপরাজনীতি করার সুযোগ না-নেওয়াই উত্তম ও বুদ্ধিমানের কাজ। গুজব ও গজবে কান দেওয়া কখনোই শুভবুদ্ধির পরিচায়ক নয়।

আশা করি, বটতলার দুষ্টদের কথায় শিষ্টরা পথভ্রষ্ট হবেন না। আসুন, আমরা সজ্ঞানে-স্বজ্ঞানে ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা ও কূপমণ্ডূকতা চিরতরে বিসর্জন দিয়ে আমাদের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলি। আর গগনবিদারী স্লোগান দিই:

ধর্মান্ধতা নিপাত যাক।
সাম্প্রদায়িকতা নিপাত যাক।
কূপমণ্ডূকতা নিপাত যাক।

ছবি: গুগল ও নিজস্ব সম্পাদনা

সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫১

জ্যাকেল বলেছেন: আপনার ডান চোখের পর্দাখানি সরান।

২৩ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:০০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আমার দুই চোখই ভালো আছে, ভাইজান।
ডান-চোখ বাম-চোখ দুটোই সুস্থ। কোনো চোখেই পর্দা (আবরণ) নেই আল্লাহর রহমতে।
আমার কোনো চোখেই ছানি নেই। শোকর আলহামদুলিল্লাহ। দোয়া করবেন, ভাইজান।

অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



জাত -ধর্ম নিপাত যাক।
মানবতা মুক্তি পাক!

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৯

এস.এম.সাগর বলেছেন: আল কোরআন পড়লে সন্ত্রাসী হয়, জঙ্গী হয়, মগজ ধুলাই হয় এটা কোথায় পেলেন? ভন্ড মার্কা কথা বার্তা, আপনাকে বলছি (লেখক) চ্যালেঞ্জ করছি প্রমান চাইলে প্রমান দিবো আপনাকে- কোন মুসলিম আপনাদের বানানো অসাম্প্রদাীয়ক হতে পারেনা। মুসলিম সকল সময় সাম্প্রদায়ীক হবে। আপনি জঙ্গী ছাত্রলীগের মোত আচারন করে বলছেন কোরআন পড়লে বা পড়ার আয়োজন করলে সেখানে জামাত শিবির এর কুটকৌশল! এসব ভন্ড মার্কা কথা। জঙ্গী ছাত্রলীগ আর আপনার কথার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।

২৩ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনি এখন ভয়ানক উত্তেজিত!!!
কিন্তু কেন? আমি একজন মানুষ। আর মুসলমান। আমি রোজাদার।
আমার লেখা আপনি বুঝেশুনে পড়েননি। আমি কোথাও বলিনি যে, কুরআন পড়লে মানুষ জঙ্গি হয়। একথা অনেকে বলেন। কিন্তু আমি বলিনি। আমি বলেছি, জামায়াত-শিবির কুরআনের আড়ালে মানুষকে জঙ্গি বানানোর কাজে লিপ্ত। ওরা মানুষকে টার্গেট করে কুরআন শিখানোর ছলে জঙ্গি ও সাম্প্রদায়িক বানায়। কিন্তু মুসলমানকে হতে হবে অসাম্প্রদায়িক।
আর আপনি বলেছেন:

কোন মুসলিম আপনাদের বানানো অসাম্প্রদাীয়ক হতে পারেনা। মুসলিম সকল সময় সাম্প্রদায়ীক হবে।
এমন কথা কেন বলেছেন?
আমি বলছি: অসাম্প্রদায়িক না-হলে সে মুসলিম হতে পারবে না। কারণ, এই পৃথিবীতে মুসলিম ব্যতীত আরও বহু ধর্মের মানুষ বিরাজমান। সবাইকে মানুষ হিসাবে দেখতে হবে। তাদের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। সকল ধর্মের মানুষকে সম্মান করা শিখতে হবে।
ছাত্রলীগ জঙ্গি নয়। ওদের কেউ-কেউ মাঝেমাঝে খারাপ আচরণ করে সেটা নিন্দনীয়। আপনি আসল জঙ্গিদের আড়াল করার জন্য এইজাতীয় সস্তা কথা বলেছেন।
আমার প্রতিটি কথা আমি জেনেশুনে, বুঝেশুনে বলেছি। দেখেশুনে সব লিখেছি। আপনার আপত্তি কোথায় সেটা বলুন। তা-না করে আমাকে আক্রমণ করে লাভ কী?
ভালো থাকবেন।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:০২

এস.এম.সাগর বলেছেন: আপনি যদি ভন্ড না হন তাহলে ব্যাখ্যা দিবেন দয়া করে - ধর্মান্ধতা বলতে কি বুঝাতে চান?

৫| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৫১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদ নিপাত যাক।
মানুষের জয় হোক। মানবতা মুক্তি পাক।

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: তা-ই হোক।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৬| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

কথামৃত বলেছেন: জামাত ছাড়া কি আর কেউ কোরান পড়ে না। মাথা মোটা মুর্খ

২৩ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:১৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: এখানে কি তা-ই বলা হয়েছে? যেকোনো মুসলিম কুরআন পড়তে পারে। পড়েও।
তবে জামায়াত-শিবির, হেফাজত কুরআন পড়ে শয়তানি করার জন্য।
কারণ, ওটা ওদের ব্যবসার প্রধান হাতিয়ার।
পোস্টে, যারা শয়তানি উদ্দেশ্যে বটতলায় গিয়েছিল তাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে।

আপনার এই গালি:

মাথা মোটা মুর্খ

কতটা যুক্তিসম্পন্ন? আর কতটা বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক?
একটু ভেবে দেখবেন।

ধন্যবাদ।

৭| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০৪

নিমো বলেছেন: তোরাবোরা গুহাবাসীদের হঠাৎ করে বটতলায় গিয়ে নির্বান প্রাপ্তির ইচ্ছা জাগল কেন কে জানে ?

২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:১২

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ওদের দুরভিসন্ধিমূলক ইচ্ছে পরিকল্পিত। ওদের সব কাজের পিছনে একটা-না-একটা শয়তানি থাকে।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৮| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৬

কামাল১৮ বলেছেন: প্রথমে কোরান পাঠের আসর।তারপর আজান এবং শেষে মসজিদ।এই ভাবে তারা অনেক যায়গায় সফল হয়েছে।

৯| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:০৭

আমি নই বলেছেন: ১। ওরা শিবির আপনার কাছে প্রমান থাকলে ছবি, পদবিসহ প্রকাশ করুন, ল্যাঠা চুকে যায়, এখানে প্রকাশ সম্ভব না হলে পুলিশকে জানান। শুধু শুধু ট্যাগ লাগানো উচিত নয়। যদিও সম্ভবত শিবির কোনো নিশিদ্ধ সংগঠন নয়।

২। কোরআন অপব্যক্ষার মাধ্যমে ব্রেইনওয়াস করে জংগী বানানো সম্ভব, একমত। একমাত্র একারনেই কি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর সঠিক ভাবে কোরআন শেখার ব্যবস্থা করা উচিত নয়? যাতে করে কেউ অপব্যক্ষা করে পার না পায়। আপনার কি মনে হয়?

৩। বটতলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কেউ যেকোনো অনুষ্ঠান করতেই পারে, কোরআন তেলওয়াতের অনুষ্ঠান করলে প্রথম ইম্প্রেশনেই ভ্রুবাকা করার কোনো যুক্তি দেখিনা। আর আগে কখনই কোরআন তেলওয়াতের অনুষ্ঠান হয়নি দেখে কখনো শুরুও করা যাবেনা এটা কোথায় লেখা আছে?

দাড়ী-টুপি দেখলেই জংগী মনে করা বা পটেনশিয়াল জংগি চিন্তা করাটা মনে হয় মানষিক সমস্যা।

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৪২

এম ডি মুসা বলেছেন: সবার উপরে মানুষ সত্য তার উপরে নাই্

১১| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গণকবি বলেছেন: সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশ চাই।

১২| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৫৪

আমি মিয়াবাড়ির ছেলে বলেছেন: সত্য শুনলে মিথ্যাবাদীদের আঁতে ঘা লাগে।

১৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:১৮

গণকবি বলেছেন: আমিও কিছু লিখতে চাই। আমার ব্লগটা একবার ঘুরে আসবেন।

১৪| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:২৩

ধুলো মেঘ বলেছেন: সমস্ত ইসলামী আয়োজনের মধ্যেই যারা জামায়াত শিবির খুঁজে বেড়ায়, তাদের মধ্যে মানসিক সমস্যা আছে। কলা অনুষদের ডীন এবং এই ব্লগের লেখকও তাদের মধ্যে পড়ে।

১। লেখক, আপনি কি কখনও জামায়াত সংশ্লিষ্ট কাউকে জিজ্ঞেস করেছেন যে মিলাদুন্নবী যদি বিদাত হয়, তাহলে ইফতার পার্টি কেন বিদাত হবেনা?
২। সাঈদীর কোন ওয়াজ আপনার কাছে কুরূচিপূর্ণ মনে হল? রেফারেন্স সহ দেন।
৩। আমাদের রাসূল (স) কোনদিন খোলা জায়গায় কোরআন পড়েননি - এটা কি আপনি জেনে বলছেন? কার কাছ থেকে জেনেছেন?
৪। ইফতার আয়োজনে সরকারি অর্থ অপচয় হয় বলে আপনি মনে করেন। আর কোন কোন খাতে সরকারী অর্থের অপচয় হয় বলে আপনার মনে হয়, যে ব্যাপারে সরকারের নির্দেশনা আছে?

১৫| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদ নিপাত যাক।
মানুষের জয় হোক। মানবতা মুক্তি পাক।

১৬| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:০২

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মই দেশটারে খাইলো।

১৭| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:২৭

রানার ব্লগ বলেছেন: এই সব ছ্যাঁচড়ামি কবে যে রা বন্ধ করবে , কে জানে? ধর্ম কে এরা মানুষের প্রতিপক্ষ বানিয়ে ছাড়ছে ।

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৪১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সঠিক বলেছেন।
এদের এই ছ্যাঁচড়ামি বন্ধ হলে বাঙালি জাতি বেঁচে যেত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.