নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুয়েটে ‘শিবির’ ইন করানোর চক্রান্ত। কারা করছে এই চক্রান্ত? তথ্যপ্রমাণসহ অভিমত।।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৪



বুয়েটে ‘শিবির’ ইন করানোর চক্রান্ত। কারা করছে এই চক্রান্ত? তথ্যপ্রমাণসহ অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বুয়েট অশান্ত হয়ে উঠেছে! পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করে তোলা হচ্ছে। শুধু কি এই কয়েকদিন হলো সেখানে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য চলছে? নাহঃ, তা নয়। বিগত কয়েক বছর যাবৎ বুয়েট অশান্ত করে বারবার ফায়দা লোটার চেষ্টা চলছে। আর ফায়দা লুটছে কারা? একাত্তরের ঘৃণ্য, হায়েনা, পরাজিত, অপশক্তি, যুদ্ধাপরাধী ও ঘাতক-দালাল জামায়াত-শিবির ও তাদের সন্তানসন্ততি ‘শিবির’। কারা তাদের এই অপআন্দোলনের নেপথ্যে? আর কারা তাদের শক্তি, সাহস ও মদদ জোগাচ্ছে? এব্যাপারে বিস্তারিত তথ্যপ্রমাণসহ সুচিন্তিত অভিমত তুলে ধরা হবে। আর-একটি কথা: বুয়েটের সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের প্রতি মদীয় কোনো ক্ষোভ বা অভিযোগ নাই। কিন্তু ‘সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের নাম ও ব্যানার’ ব্যবহার করে যে-সব ‘শিবির ও হিযবুত তাহরী’র সেখানে আন্দোলনের নামে বারবার নৈরাজ্য, সংঘাত, অপকর্ম ও অপসংস্কৃতি চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ঘৃণা প্রকাশ করছি।
আসুন, এবার আমরা একেকজন সাদা মনের মানুষ হয়ে আলোচনা শুরু করি (আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধবাদী অপশক্তি হয়ে থাকেন তাহলে আপনার এটা কখনোই ভালো লাগবে না। কিন্তু দয়া করে মদীয় পুরো প্রবন্ধ না-পড়ে গালি দিবেন না):

শিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও ঢুকতে চাচ্ছে। তার জন্য কত নাটক চলছে! বটতলায় ‘কুরআন-শিক্ষা’র আসর বসানোর মতো অপচেষ্টা চলছে। এরপর ‘কার্জন হলে’র মাঠে গণজমায়েতে নামাজের জামাতের নাটক (ঢাবি’র প্রতিটি হলে ও ফ্যাকাল্টিতে মসজিদে রয়েছে)! তবু কার্জন হলের পাশে উন্মুক্ত জায়গায় কেন নামাজের অভিনয়? আসলে, ওদের সার্কাস চলিতেছে! এভাবে ধর্মের নাম ভাঙিয়ে ওদের নীলনকশা বাস্তবায়নের অপকৌশল চলছে। ভিতরে-বাইরে ‘রাজাকারতন্ত্র’ বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র চলছে।

বহু আগে থেকেই তারা বুয়েটকে টার্গেট করেছে। ওখানে আছে ‘তাবলিগ জামাতে’র ছেলেমেয়ে, ‘হিযবুত তাহরীর’-এর ছেলেরা, নিজেদের ‘জামায়াত-শাবক’, ‘বাচ্চাকাচ্চা-শিবির’ আর আছে ‘কথিত ধর্মপ্রাণ মুসল্লি’। এরা মিলেমিশে বুয়েটকে ঢাকা আলিয়ার সাদৃশ্য কোনো মাদ্রাসা বানাতে চাচ্ছে। সেইজন্যই এত নাটক! এত আয়োজন! এত আন্দোলন! এত মিছিল! আর প্রায়শ কোনো-না-কোনো একটা ইস্যুসৃষ্টি করে এদের মাঠে নেমে পড়া। মানে, হঠাৎ বুয়েটের ক্যাম্পাসে নেমে পড়া। বুয়েটের পরিবেশ বারবার পরিকল্পিতভাবে উতপ্ত করে তুলছে! কেন? ওরা দেখাচ্ছে, এখানে, ছাত্রলীগ রাজনীতি করছে! আর ছাত্রলীগই একমাত্র সমস্যা বুয়েটের ক্যাম্পাসে! ‘এতক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে...।’ বুয়েটের ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ না-থাকলে শিবিরের কার্যক্রম চালাতে আর-কোনো বাধা থাকবে না।
বুয়েটের ক্যাম্পাসে শুধু ছাত্রলীগ থাকলে যত সমস্যা। কিন্তু ‘ছাত্রশিবির’, ‘হিযবুত তাহরীর’ ‘হেফাজত’, শিবিরের রুহানি ও দলীয় বোন ‘ইসলামি ছাত্রীসংস্থা’ ও তাদের প্রতি আনুগত্যশীল আরও কতক জঙ্গি থাকলে কোনো সমস্যা নাই।
এরা বুয়েটকে ‘ছাত্র-রাজনীতি’ শূন্য করতে চায়। কিন্তু ‘রাজনীতি-শূন্য’ হলে কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু সমস্যা একটা আছে। ছাত্রলীগের রাজনীতি বন্ধ হলে শিবিরের জন্য পোয়াবারো। অবাধে তারা ‘দাওয়াতি-রাজনীতি’ ও সাধারণ ছাত্রদের ‘মগজ-ধোলাই’ করে টাখনুর আধহাত উপরে প্যান্ট পরার ‘ঈমানি-রাজনীতি’ চালিয়ে যেতে পারবে।
এরা বুয়েটে মাদ্রাসা-স্টাইলে, হেফাজতি-মার্কা, হিযবুত তাহরীর-মার্কা ছাত্র তৈরি করতে চাচ্ছে। তাহলে, এদের ষোলোকলা পূর্ণ হবে। কিন্তু তা-ই কী হয়?

এরা সবসময় ধর্মের মোড়কে খুব ভাব ধরে থাকে। খুব ঈমানদার সেজে বসে থাকে। আধুনিক ও মানসম্পন্ন কোনো রাজনীতিও এরা বোঝে না। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বংশধররা দেশবিরোধী অপরাজনীতি ঠিকই বোঝে। তাই, এরা স্লোগান দেয়, ‘বুয়েট-ক্যাম্পাসে কোনো রাজনীতি চলবে না। চলবে না।’ কিন্তু রাতের আঁধারে ওদের অপরাজনীতি চলবে। আর ধর্মের খোলসে ফজর, জোহর, আসর ও মাগরিব-এশার পর ঠিকই ওদের অপরাজনীতি চলবে। প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পরে ঠিকই ওরা বুয়েট-মসজিদে বসে নিজেদের ‘শিবির-রাজনীতি’ চালু রাখবে। এই আন্দোলন সেইজন্য। তাই, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির রাজনীতি বন্ধ করতে পারলে ওদের অপকর্ম ও ‘দাওয়াতি-আগ্রাসন’ চালাতে বড় সুবিধা হবে। দাড়ি, টুপি ও নামাজের আড়ালে ঢাকা পড়বে ওদের নিত্যনতুন ষড়যন্ত্র! সেই লক্ষ্যেই ওদের এই আন্দোলন চলছে।

বুয়েটে আজ যাদের সাধারণ ছাত্র বলা হচ্ছে—তারা ২১-এ ফেব্রুআরি ভাষাশহীদ দিবস, ২৫-এ মার্চ গণহত্যা দিবস, ২৬-এ মার্চ অমর স্বাধীনতা দিবস, পহেলা বৈশাখ বাংলা-নববর্ষ ও ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করে না। এরা এইসব দিবসকে পছন্দও করে না! খোঁজ নিলে দেখবেন, এদের একটা নেতাকর্মীও এইসব দিবসের প্রতি বিন্দুমাত্র ভক্তিশ্রদ্ধা ও বিশ্বাস-আস্থা রাখে না। এই দিবসগুলোর প্রতি সামান্যতম সংহতিও প্রকাশ করে না। কারণ, এইসব দিবসগুলোর সঙ্গে তাদের পূর্বপুরুষ থেকে দ্বন্দ্ব ও বিরোধিতা চলে আসছে। তাদের বাপ-দাদারাও এইসব দিবস কখনোই পালন করেনি। এগুলোর সঙ্গে বাঙালির আত্মার তথা আত্মিক সম্পর্ক আছে। তাই, ওরা এইসব দিবসকে মোটেই সহ্য করতে পারে না। তাই, আমার প্রশ্ন: এরা সাধারণ ছাত্র হয় কীভাবে? এরা আসলেই জামায়াতের আপন শাবক ‘শিবির’ এবং ‘জামায়াতজাত হিযবুত তাহরীর’-এর সক্রিয় নেতাকর্মী ও সদস্য। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো—এই ‘সাধারণ ছাত্রছাত্রী-নামধারী ভেকরা’ শুধু ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ও ব্যাপারে সরব, সোচ্চার ও সজাগ! কিন্তু শিবির ও হিযবুত তাহরীর-এর বিরুদ্ধে কখনো একটা কথাও বলে নাই! বলে না। কিন্তু কেন? আসলে, এখানে একটা বিরাটবড় কিন্তু আছে।


বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনে চাইলে রাজনীতি করবে। আর মনে না-চাইলে রাজনীতি করবে না। কেউ যদি তাদের জোরপূর্বক রাজনীতি করাতে চায় তখন তারা একটা আন্দোলন করতে পারে। কিন্তু কোনো সাধারণ ছাত্র এই আন্দোলনে নাই। তারা তাদের পড়ালেখা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যস্ত। যার-যার ভাবনা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে তারা। কিন্তু ‘জামায়াত-শিবির’ তাদের ধান্দা ও অপরাজনীতি বহাল ও সচল রাখার নিমিত্তে দলীয় আন্দোলনরতদের নামের আগে কৌশলগতভাবে ‘সাধারণ ছাত্র’ ব্যানার বা ট্যাগ লাগিয়ে দিয়েছে। জামায়াত-শিবিরের এই ধরনের গোপন-অপতৎপরতা কখনোই বন্ধ হয় না। হবে না। এদের বন্ধ করতে হয়। বন্ধ করতে হবে।

ইতোমধ্যে কয়েকটি মিডিয়াতেও দেখানো হয়েছে—শিবির, হিযবুত তাহরীর-এর সন্তানরা কীভাবে ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রদের ওপর নির্যাতন এবং ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে। এরা সাধারণ ছাত্রদের ভুলবুঝিয়ে মাঠে নামিয়েছে (অবশ্য সবাই নামেনি গুটিকতকমাত্র)। এই শিবির ও হিযবুত তাহরীরকে ক্যাম্পাসে আশ্রয়প্রশ্রয় দিয়ে থাকে যুদ্ধাপরাধীপ্রেমী ও আজন্ম-আমৃত্যু আওয়ামীলীগবিরোধী কিছুসংখ্যক শিক্ষক। আর এরা রাজনীতির ডামাডোলে আওয়ামীলীগের বিরোধিতা করতে-করতে আজ প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে ‘জামায়াত-শিবিরে’র পক্ষ নিতে ন্যূনতম কুণ্ঠাবোধও করছে না! আমার কথা হলো—এরা চিরদিন আওয়ামীলীগবিরোধী থাকুক—কোনো সমস্যা নাই! আর সবাইকে আওয়ামীলীগ করতেও হবে না। কিন্তু তাই বলে আওয়ামীলীগের বিরোধিতার নামে আজ স্বাধীনতার চিরদুশমন ও ধর্মান্ধ ‘জামায়াত-শিবিরে’র পক্ষ নিতে হবে?!
বুয়েটের একজন শিক্ষক মিজানুর রহমান। তিনি বর্তমানে ‘বুয়েট শিক্ষক সমিতি’র সভাপতি। তিনি বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগেরও প্রধান। ইতোমধ্যে শিক্ষক মিজানুর রহমান সাহেব শুধু ‘ছাত্রলীগে’র বিরুদ্ধে একতরফা বক্তব্য দিয়ে তার রাজনৈতিক অবস্থান পরিস্কার ও স্পষ্ট করেছেন। তিনি প্রকাশ্যে মিডিয়ার সামনে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, “ছাত্রলীগের কাছে আমরা নিরুপায়!” তিনি ছাত্রলীগকে সাইড-লাইনে নিয়ে গেছেন। কিন্তু ধর্মান্ধ শিবির ও তাদের জাতভাই হিযবুত তাহরীর-এর বিরুদ্ধে একটা কথাও বলেননি! কিন্তু কেন? এখানেই একটা বড়সড় কিন্তু আছে।



ঠিক আছে, বুয়েটে রাজনীতি বন্ধ করে দিন। ছাত্রলীগও নিষিদ্ধ করে দিন। বুয়েটে ছাত্রলীগ রাজনীতি না-করলে আওয়ামীলীগের কোনো ক্ষতি নাই। আওয়ামীলীগ কখনোই ছাত্রনির্ভর রাজনৈতিক দল নয়। কিন্তু সেখানে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হলে শিবির ‘ইন’ করবে না—এই গ্যারান্টি কি কেউ দিতে পারবে? পারলে গ্যারান্টি দিন।
শিবিরের সাবেক সভাপতি থেকে শুরু করে অনেকেই বলে ফেলেছে, বুয়েটে তাদের ‘কমিটি’ আছে। সবকিছু আছে। তাহলে, তারা নাই—এ-কথা কারা প্রমাণ করতে চাইছে? তারা কারা? তাদের কী উদ্দেশ্য কাজ করছে এতে? আর তাদের কী স্বার্থ আছে বুয়েটে?

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আন্দোলন জমানো শিবিরের পুরনো কৌশল। এভাবেই তারা সফল হতে চাচ্ছে। এদের সঙ্গে রয়েছে বুয়েটের কিছুসংখ্যক শিক্ষক। যারা জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামীবিরোধী। কিন্তু জামায়াত-শিবিরঘেঁষা! এরা বুয়েটে দীর্ঘদিন যাবৎ ফায়দা লুটতে চাচ্ছে। এই শিক্ষক-নামধারী ব্যক্তিবর্গ পিছন-থেকে কলকাঠি নাড়ছে। আর সামনে রয়েছে ‘সাধারণ ছাত্র-নামধারী ভেক’ শিবির। আর এরা শিবিরকে করছে জামাইআদর! কিন্তু কেন? মনে রাখবেন: এখানেও একটা মস্তবড় কিন্তু আছে।

অনেকেই একতরফাভাবে বলার চেষ্টা করে যাচ্ছে, “ছাত্রলীগকে কোনোভাবেই মানানো যাচ্ছে না! থামানো যাচ্ছে না! আমরা ছাত্রলীগের ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত! আমরা ছাত্রলীগের কাছে জিম্মি!” আসলে কি তা-ই? আর শিবিরের সোনার ছেলেরা এদের সকাল-বিকাল সালাম দেয়! এরা কত ভালো ছেলে!

ড। মমতাজ উদ্দিন পাটোয়ারী স্যারের অভিমত:



বুয়েটের ‘আওয়ামীলীগবিরোধী শিক্ষকরা’ যদি মনে করে থাকে ছাত্রলীগ হটিয়ে শিবিরকে ঠাঁই করে দিলে তাদের রাজনৈতিক ফায়দা বহুতগুণে বৃদ্ধি পাবে! তাহলে, তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। কারণ, ইতিহাস কখনোই কাউকে ক্ষমা করবে না। এদের চালাকি ও স্বার্থপরতা জাতি খুব সহজেই উপলব্ধি করতে পারবে। এর ফলাফল কখনোই শুভ হবে না। যেমন, ৫৩ বছর আগে গোলাম আযম-সাঈদীদের রাজাকারি এই বাংলায় টিকতে পারেনি। আজও পারবে না।

বর্তমানে বুয়েট-ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের নামে যে প্রহসন চলছে তাতে স্বাধীনতাবিরোধীচক্র সরাসরি জড়িত। আর এই অপআন্দোলনের বা আন্দোলন-প্রহসনের মাস্টার মাইন্ডও যে জামায়াত-শিবির নিচে তার পক্ষে কয়েকটি প্রমাণ তুলে ধরা হলো:



জাফর মাহমুদ (Jafor Mahmud) নামের এক ভাই মনের দুঃখে লিখেছেন:

দেশের গরীব জনগোষ্ঠীর টাকায় পড়াশোনা করে বিদেশে পাড়ি জমানো এবং দেশের গুষ্টি উদ্ধার করা এই স্বাধীনতা বিরোধী ও মানবতা বিরোধী মানসিকতা সম্পন্ন প্রকৌশলী তৈরী করার অপচেষ্টা বন্ধ হোক। অবিলম্বে বুয়েটে সকল সুস্থ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চর্চা শুরু করা হোক।


সুস্থধারার রাজনীতি সবখানে চলতে পারে। এজন্য বুয়েট-প্রশাসন তৎপর থাকবে। কিন্তু তাই বলে রাজনীতি বন্ধ করে দিয়ে শিবিরকে ‘ইন’ করানোর নাটক বাঙালি জাতি কখনোই সহ্য করেনি আর এখনও করবে না।

মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে রাজাকার, আলবদর ও আলশামসদের সন্তানসন্ততির কোনো ঠাঁই হবে না। এদের কোনো ক্ষমা নাই। এরা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চিরশত্রু ও হুমকিস্বরূপ। সময় এসেছে আজ—এদের শিকড়সুদ্ধ উপড়ে ফেলার।

জয় হোক বাঙলার।
জয় হোক বাঙালির।

ছবি: গুগল, ফেসবুক ও বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা


সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা।
৩০-০৩-২০২৪


তথ্যনির্দেশ:

দৈনিক ভোরের কাগজ
দৈনিক জনকণ্ঠ
দৈনিক ইত্তেফাক
চ্যানেল আই, সময়টিভি, একাত্তরটিভি...

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৪

নতুন বলেছেন: জামাত শিবিরের জুজু অনেক দেখিয়েছে।

দেশের আইন আছে, বিশ্ববিদ্যায়লের আইন আছে। কোন চক্র কিছু করতে চাইলে কর্তিপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।

তার জন্য ছাত্রলীগের ক্যাডারের দরকার নাই।

দেশের শিক্ষাঙ্গন থেকে ছাত্ররাজনিতির নামে লাঠিয়াল বাহিনি তৌরির এই চক্র ভাঙ্গতে হবে।

বিশ্বের উন্নত কোন দেশেই এমন দলীয় রাজনিতি ছাত্রদের ক্যাডার বানায় না। :|

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:২৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: জামায়াত-শিবির কোনো জুজু নয়। এরা খুব ভয়ংকর।
বাস্তবে এরা সবসময় সংগঠিত। আর দেশবিরোধী ভাবধারায় অপরাজনীতিতে সক্রিয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে যা হচ্ছে তার সবটা বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ দেখছেন না।
তাই, ছাত্রলীগকে পাহারাদারের কাজ করতে হচ্ছে।
ছাত্ররা ক্যাডার হয়েছে সেই ১৯৭৭-৭৮ সাল থেকে। এর গতি সহজে রোধ করা যাচ্ছে না।
তবু সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে ছাত্ররা লেখাপড়ায় মনোযোগী হয়। এজন্য বর্তমানে সেশনজট কমে গেছে। কমে গেছে কি, এখন কোনো সেশনজট নেই।
হয়তো ছাত্ররা একদিন দল থেকে বেরিয়ে দেশের রাজনীতি করবে।


আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭

পুরানমানব বলেছেন: ঠিকমতো টইলেট করেন, মল মুত্র সব মাথায় উঠিয়া গিয়াছে। সব কিছু ধ্বংসের শেষে এখন বুয়েটের দিকে নজর পড়েছে হায়েনার দলের। শিবির ট্যাগ লাগাইয়া আর কত অপকর্মের সাক্ষী হবেন?

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: বুয়েটকে হায়েনার কবল থেকে বাঁচানোর জন্যই এমনটি করা হচ্ছে। যারা “একাত্তরের হায়েনা” তারাই এখন নতুন নামে সংগঠিত হতে চাচ্ছে। সেইজন্যই বাধা দেওয়া হচ্ছে।
আর “জামায়াত-শিবিরকে” কখনোই ট্যাগ লাগাতে হয় না। তারা আগে থেকেই রাজাকারির দায়ে অভিযুক্ত।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:০০

আমি নই বলেছেন: বুয়েট কেন দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্র রাজনীতি চীরস্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দিলে আপনাদের এতো পোড়ায় কেন? সন্তানকে মনে হয় বিদেশে পড়ান?

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, ডিবি ইত্যাদিদের আজাইরা বেতন না দিয়ে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দেয়া যায় কিনা একটু তদন্ত করে দ্যাখেন। কারন আপনাদের লজিকে এদের আসলে কোনো যোগ্যতাও নেই, দরকারও নাই।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আমাদের পোড়ে না। আমাদের কখনোই জ্বলে না। কারণ, আমরা রাজাকার নই।
আর আমাদের সন্তানসন্ততি চিরদিন এখানে পড়বে আর এখানেই বসবাস করবে।

আমরা মানুষ। আমরা বাঙালি। আমরা সবসময় শান্তিশিষ্ট। আমরা শুধু এই দেশটার ভালো চাই। আর এই দেশটা যেন আর কখনোই একাত্তরের পরাজিত হায়েনাদের কবলে না-পড়ে।

বিশ্ববিদ্যালয়-প্রশাসন নিরপেক্ষ ও আন্তরিক হলে সেখানে শিবির ও হিযবুত তাহরীর ঢুকতে পারতো না।
দেশে পুলিশ, RAB, ডিবি লাগবে। দেশ চালাতে এসব লাগে। আর সবাই খারাপ নয়। আসলে, ব্যর্থ
বুয়েট-প্রশাসন। তারা রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত।

এবার আপনার কাছে একজন মুসলিম হিসাবে আমার একটি প্রশ্ন:

জামায়াত-শিবিরের প্রতি আপনার কোনো দুর্বলতা আছে?

আশা করি, প্রশ্নটির জবাব দিয়ে আমাকে খুশি করবেন।

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:০৩

নতুন বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, ডিবি ইত্যাদিদের আজাইরা বেতন না দিয়ে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দেয়া

এই সব থাকতেও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির ঢুকেছে তাই ছাত্রলীগ দরকার। B-))

জনগন কতদিন এমন ফালতু কথা মেনে নেবে?

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সরকারি প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা তাদের কাজ করছে নিজস্ব গতিতে। সরকারি নির্দেশে। আর রাষ্ট্রের প্রয়োজনে।
পুলিশ---ডিবিরা বাইরে কাজ করছে। কিন্তু ভিতরে বিশ্ববিদ্যালয়-প্রশাসন নীরব। রহস্যজনকভাবে নীরব।

কিন্তু বুয়েট-প্রশাসন সঠিকভাবে কাজ করছে বলে মনে হয় না। তার কারণ, সেখানে দেশদ্রোহী ‘শিবির ও হিযবুত তাহরীর’-এর ছাত্ররা দিনে-দিনে সংগঠিত হচ্ছে। স্বায়ত্তশাসনের সুযোগে বুয়েটের অনেক শিক্ষকই শুধু ছাত্রলীগকে কোণঠাসা করে ‘শিবির ও হিযবুত তাহরীর’-কে সুযোগ পাইয়ে দিচ্ছে। এমতাবস্থায় ছাত্রলীগকে নিষ্ক্রিয় করে রাখার অর্থ হলো বুয়েটকে শিবির ও জঙ্গিদের কারখানায় পরিণত করা। তাই, ছাত্রলীগ যদি নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করে তাহলে দোষ কোথায়? তাছাড়া, বুয়েটের অনেক শিক্ষকই সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এরা বাম-ডানের সৈনিক। নিজেদের ভিতরে আগে স্বচ্ছতা আনতে হবে। বুয়েটের শিক্ষকরা যদি রাজনীতি ছেড়ে শিক্ষকতায় মন দেন তাহলে, সব ছাত্রও একদিন রাজনীতি ছেড়ে বুয়েটের মর্মার্থ উপলব্ধি করে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হবে। তার আগে নয়।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:০৬

পুরানমানব বলেছেন: আমি নই বলেছেন, পুলিশ, র্যাব, ডিবি ইত্যাদিদের আজাইরা বেতন না দিয়ে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দেয়া যায় কিনা একটু তদন্ত করে দ্যাখেন। কারন আপনাদের লজিকে এদের আসলে কোনো যোগ্যতাও নেই, দরকারও নাই।
ইহারা সাধারণ জনগণকে চুষে খাওয়ার জন্য সর্বময় বিচরণ করিয়া থাকে। ছাত্রলীগ ইহাদের বড়ভাই সমতুল্য।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:১৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনি খুব ভালো বুঝেছেন। আপনার বুদ্ধির তারিফ করতে হয়।

আপনার দৃষ্টিতে দেশে শুধু আওয়ামীলীগ, পুলিশ, RAB, ডিবি, আর ছাত্রলীগ খারাপ।
আর রাজাকার, আলবদর, আলশামস, জামায়াত-শিবির, হেফাজত, হিযবুত তাহরীর সবাই ফেরেশতা!!!
ভালো বুঝেছেন।

৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:২৯

নাহল তরকারি বলেছেন: আমরাও এসব বুঝি। আমাদের আবল তাবল বুঝিয়ে লাভ নাই। ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে হবে। ছাত্ররা রাজনীতি করলে তারা আর ছাত্র থাকে না। তারা ধর্ষক, সন্ত্রাসী, চাদাবাজ, হল দখলকারী হয়ে যায়।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:০২

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে চাইলে আগে জামায়াত-শিবির ও হিযবুত তাহরীর-এর অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
নইলে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য ছাত্রসমাজের কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ তো দিতেই হবে। তাছাড়া, বুয়েট-প্রশাসন নিরপেক্ষ নয়।
ছাত্ররাজনীতি করে সবাই ধর্ষক, খুনি ও চাঁদাবাজ হয় না। হয় গুটিকতকমাত্র। এদের অজুগাতে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে জামায়া্ত-শিবির ও হিযবুত তাহরীর-এর সুযোগ দেওয়া যাবে না।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৯

আমি নই বলেছেন: নাহল তরকারি বলেছেন: ছাত্ররা রাজনীতি করলে তারা আর ছাত্র থাকে না। তারা ধর্ষক, সন্ত্রাসী, চাদাবাজ, হল দখলকারী হয়ে যায়।

ভাই, ডায়ালোগতো রেডি "কোনো ব্যাক্তির দায় দল নেবেনা, তার বিরোদ্ধে দলীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে",

মনটায় খুব চায় বলি "দায় নিবিনা তাইলে ক্ষমতা দ্যাস ক্যান?", কিন্তু ঘাড়েতো মাথা একটাই তার উপর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারি। তেনারা খেপলে আমার পরিবার শেষ।

৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪৯

ভগবান গণেশ বলেছেন: স্বাধীন বাংলাদেশে রাজাকারদের কোনো ঠাঁই হবে না। ওরা যতই বংশবৃদ্ধি করুক না কেন ওদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। রাজাকারদের কোনো ক্ষমা নাই।

৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৩৩

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:

আপনার লেখা পড়ার পর আমার মনে অনেক প্রশ্ন জমেছে। সমস্যা হচ্ছে তাহলে আমাকেও আপনি অন্য ট্যাগ দিয়ে দিতে পারেন। সেই সাথে আপনি কারো মন্তব্যের উত্তর দেননি। কেন দেননি জানি না।

প্রথমে বলি বুয়েট কোন পা ভাঙা প্রতিষ্ঠান নয় যে চাইলে সেখানে আপনি মাদ্রাসা প্রতিষ্টা করবেন। তার জন্য আইন আছে কর্তৃপক্ষ আছে। তাদের মাথা ঘামাতে দিন। পড়াশোনার ডিভাডেশন তো আপনারাই করছেন।

আপনার দ্বিতীয় কথায় আসি, বট তলায় কুরআন শিক্ষার আসর। যেখানে নাচ গান আড্ডা করা গেল সেখানে কুরআন শেখা নিষিদ্ধ। বট তলার কোথাও লেখা আছে এখানে কুরআন শিক্ষা নিষিদ্ধ?

গণ জামায়েতে নামাজ পরাওটাও অভিনয় বুঝলাম। তাহলে এই যে র‍্যাগ ডে বা বিভিন্ন দিবস সেটাকেও অভিনয় বলে দিন। কেউ করতে পারবে আর কেউ করতে পারবে না। বৈষম্যমুলক আচরণ তো আপনারাই করছেন।

ছাত্রলীগ কি করেছে আর কি করতে পারে সেটার জল জ্যন্ত উদাহরণ আমি ও আমার পরিবার। আমার পরিবার আওয়ামী লীগের আতুর ঘরের রাজনীতি করা মানুষ। আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মানুষ। তিনি বঙ্গবন্ধুকে প্রচন্ড ভালবাসেন। এই রাজনীতির কারণে তার চাকরিও চলে গিয়েছে বিএনপির সময়।

তাই বলে তিনিও ছাত্রলীগের অন্যায় মেনে নিতে পারেননি। তাই আজ আমাদের লুকিয়ে থাকতে হয়।

ছাত্রলীগ নিয়ে কথা বলার আগে প্রান্তিক পর্যায়ে তারা কি করতেছে সেটা জেনে আসুন। আমার মতে এই সংগঠন এখন শুধু হাতিয়ার ছাড়া আর কিছু নয়।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনাকে “ট্যাগ” দেওয়ার কিছুই নাই। আপনার চিন্তাভাবনাই আপনাকে “ট্যাগ” লাগিয়ে দিবে যে, আপনি কী ধরনের মানুষ। অহেতুক আমি কেন আপনাকে “ট্যাগ” লাগাতে যাবো?

আমি অনেকের মন্তব্যের জবাব দিইনি। দিবো। অনেকের মন্তব্যই তো হয়নি! কীভাবে মন্তব্য করতে হয় তাও অনেকের জানা নেই। তবু আমি ধীরেসুস্থে সবার মন্তব্যের জবাব দিবো।

বুয়েট কী ধরনের প্রতিষ্ঠান আমার জানা আছে। কিন্তু এটা বাইরে থাকবে বুয়েট আর ভিতরে হবে মাদ্রাসা, তারই একটি চক্রান্ত চলছে। আমার কথার অর্থ এই নয় যে, বুয়েটের নাম পাল্টে ফেলা হবে। ভিতরে-ভিতরে মাদ্রাসার মতো একটা প্রতিষ্ঠান বানানোর ষড়যন্ত্র। আর কর্তৃপক্ষ যখন বিভ্রান্ত হয় তখন আমাদের চিন্তা বাড়ে আরকি!

বটতলায় সভা হবে। জনসভা হবে। ছাত্রসভা হবে। সভাসমিতি চলবে। নাচ-গানও হতে পারে। মানে, দেশীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কিন্তু বটতলা কখনোই ‘কুরআন-শিক্ষা’র জায়গা নয়। আপনাকে পাল্টা প্রশ্ন করি: বটতলায় ‘কুরআন-শিক্ষা’র আসর জমানো যাবে, এইরকম কোনো ধর্মীয় দলিল আপনার কাছে আছে?

মাঠের মধ্যে লোকদেখানোভাবে ও অসৎ-উদ্দেশ্যে নামাজ আদায় করা চলবে না। এটা “ইসতিস্কা”র নামাজ না যে, মাঠে পড়তে হবে। র‍্যাগ ডে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কালচার বা সাবকালচার। যদিও এটা আমার পছন্দের নয়। তবে অনেকের পছন্দ। তাই এ-নিয়ে আমার কোনো কথা নেই। এখানে, কোনোপ্রকার বৈষম্যমূলক কিছুই বলা হয়নি।

“ছাত্রলীগ কি করেছে আর কি করতে পারে সেটার জল জ্যন্ত উদাহরণ আমি ও আমার পরিবার। আমার পরিবার আওয়ামী লীগের আতুর ঘরের রাজনীতি করা মানুষ। আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মানুষ। তিনি বঙ্গবন্ধুকে প্রচন্ড ভালবাসেন। এই রাজনীতির কারণে তার চাকরিও চলে গিয়েছে বিএনপির সময়।

তাই বলে তিনিও ছাত্রলীগের অন্যায় মেনে নিতে পারেননি। তাই আজ আমাদের লুকিয়ে থাকতে হয়।

ছাত্রলীগ নিয়ে কথা বলার আগে প্রান্তিক পর্যায়ে তারা কি করতেছে সেটা জেনে আসুন। আমার মতে এই সংগঠন এখন শুধু হাতিয়ার ছাড়া আর কিছু নয়।”


আপনার এই কথাগুলো প্রচণ্ড স্ববিরোধী। আমার বোধগম্য হলো না। আজকাল অনেকেই এসব বলে থাকে। কিন্তু পরে দেখি, তাদের চিন্তাভাবনা ও ভাবধারা অন্যদিকে!

আমার আর বলার কিছুই নেই।


আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪

পুরানমানব বলেছেন: “হায়েনা” হলো একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবির। ইতিহাসই ওদের “ট্যাগ” লাগিয়ে দিয়েছে। আমাকে নতুনভাবে কিছুই করতে হবে না।
এই ট্যাগের কল্যানেই তো হাজারো অপকর্ম করিয়া নির্লজ্যগুলো নিজেদের সাধুপুরুষ তকমা লাগিয়ে বেড়াইতাছে। যে ই তাহাদের অপকর্ম প্রকাশ করিতেছে সেই হয়ে যাইতেছে জামাত শিবির। কিছু হিন্দু লোকজনও শিবির ট্যাগ পাইয়াছে শুনলাম। সবকিছু বুঝিয়াও যাহারা পক্ষপাতিত্ব করিতেছে তাহারা তেলবাজ , পরিস্তিতির সাথে সাথে ইহাদের পক্ষও পরিবর্তন হইয়া যায়। মানুষ এখন সব বুইঝে গিয়াছে। কিছু বলেনা কারণ এই হায়েনাগুলান কামড় না দিয়া ছাড়ে না।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: পাপ বাপকেও ছাড়ে না। পাপের ইতিহাসে কেউ “পাপী” হলে ইতিহাস তাকে ক্ষমা করে না। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী “জামায়াত-শিবির” ও তাদের দোসররা যে অপকর্ম করেছে তার ফল ভোগ করতে হবে চিরকাল। একাত্তরে তারা প্রকাশ্যে রাজাকারি করেছে, আলবদরগিরি করেছে, আলশামসগিরি করেছে, বাঙালিদের হত্যা করার জন্য পাকিস্তানীদের সঙ্গে মিলেমিশে “শান্তিকমিটি” বানিয়েছে। এসব তো আমি বলি না। পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়। তাহলে, কে তাদের গায়ে “ট্যাগ” লাগিয়েছে? এসব তাদের নিজেদের কামাই। নিজেরাই অপকর্ম করে এসব খেতাব অর্জন করেছে।

আমরা কাউকে “ট্যাগ” লাগাই না।

আপনি বলেছেন:

কিছু হিন্দু লোকজনও শিবির ট্যাগ পাইয়াছে শুনলাম।

হতে পারে। কেউ যদি দেশের বিরুদ্ধে দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে বা ‘জামায়াত-শিবিরে’র পক্ষে কথা বলে তাহলে সে নিশ্চিতভাবে রাজাকার। আর তেলবাজি অর্থক্ষমতার জন্য অনেকেই করতে পারে। এটা বাঙালির একটা অংশের স্বভাব। এখানে, কোনো দলমত নেই।

এবার একজন মুসলিম হিসাবে আপনার কাছে আমার একটা প্রশ্ন:

আপনি কি জামায়াত-শিবিরের প্রতি খুব দুর্বল?

আশা করি, প্রশ্নটির জবাব দিবেন।

১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২২

পুরানমানব বলেছেন: লেখক বলেছেন : আর রাজাকার, আলবদর, আলশামস, জামায়াত-শিবির, হেফাজত, হিযবুত তাহরীর সবাই ফেরেশতা!!!
ভালো বুঝেছেন।

যুদ্ধাপরাধীদের আমি মন ভরিয়া ঘৃন্না করিয়া আসিতেছি , উহা মৃত্যুর আগে পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে আমার তরফ থাকিয়া। আমার নিজের পরিবারে দুইজনকে রাজাকার রা ধরিয়া দিয়াছিল পাকিদের কাছে এবং বীভৎসভাবে গুলি করিয়া হত্যা করিয়াছে। আমার চেয়ে আপনার ক্ষোভ মনে হইতেছে না বেশি তাহাদের ওপর। কিন্তু কথা হইতাছে , কিছু তেলবাজ বর্তমানের প্রকাশ্য খারাপ কর্মকান্ডগুলোকে ভালো বলিয়া চালাইতে চাইতেছে যাহা ঘৃণিত। যাহা বলিয়াছি বর্তমানে তাহা ঘটিতেছে। আমি চোখ থাকিতেও অন্ধ নহে।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৩৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আমরা তৈলদানে বিশ্বাসী নই। দেশের পক্ষে আর রাজাকারদের বিরুদ্ধে লিখে যাই।

সরকার দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। ভুলত্রুটি তো থাকবেই। মানুষের সরকার। মানুষের ভুলত্রুটি হবেই। তাই বলে সবসময় সরকার খারাপ! সরকার খারাপ! বলতে হবে তা নয়। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করা ভালো। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের বিরোধিতা করা মানে রাজাকারদের পক্ষ নেওয়া। এই কাজটি গণতান্ত্রিক নয়। গণতন্ত্র মানে রাজাকারকে সমর্থন করা নয়।

ধন্যবাদ।

১২| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯

পুরানমানব বলেছেন: লেখক বলেছেন :অনেকের মন্তব্যই তো হয়নি! কীভাবে মন্তব্য করতে হয় তাও অনেকের জানা নেই।
মন্তব্য শিখানোর জন্য একখানা পোস্ট লিখিয়া ফেলেন যেখানে কোনো তৈলের সমাহার থাকিবে না।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: লেখা শুরু করেছি। কোনাপ্রকার তৈলমর্দন ব্যতিরেকে লেখা হবে।
আমরা দেশভ্ক্ত। তৈলদান শিখিনি। শেখার ইচ্ছেও নেই।

ধন্যবাদ।

১৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

জামাত ও ছাত্রশিবির দেশ বিরোধী যুদ্ধপরাধ সমর্থক। নিষিদ্ধ।
মুক্তিযুদ্ধ শেষে ৭২এ আলবদর ও জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
মুজিবহত্যার পর জিয়া পাকিস্তান থেকে জামাতকে ফিরিয়ে আনে। এরপর ২১ বছর সেনা শাসনে পৃষ্টপোশকতা দেয়ার পরও শিবির ঢাকায় ও ঢাবিতে প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে পারেনি। বুয়েট মেডিকেল চারুকলা জাহাঙ্গিরনগর কোথাও না এমনকি বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকার সময়কালে ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়ার পর ও পারে নি। যা পেরেছে চিটাগাং রাজশাহিতে'
আবরার ঘটনার পর শিবির বুয়েটে চুটিয়ে রাজনীতি করে গেছে। গোপনে। যেই রাজনীতি গোপনে করতে হয় সেই চক্রকে অসুভই বলা যায়।
স্বনামে হোক বেনামে হোক শিবিরকে ঢাবিতে রাজনীতি করতে দেয়া উচিত নয়। জামাত ইতিমধ্যেই নিবন্ধন বাতিল, নির্বাচনে নিষিদ্ধ হয়েছে। শিবিরকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: যুক্তিসঙ্গত ও বস্তুনিষ্ঠ কথা বলেছেন। সহমত।
আর জামায়াত-শিবিরকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নিষিদ্ধ করা হোক।


আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ, ভাইজান। শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০১

ধুলো মেঘ বলেছেন: কিসের সাথে কিসের তুলনা? এই পর্যন্ত শিবির বুয়েটে কয়টা খুন করেছে? কয়জনকে হলে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মম অত্যাচার করেছে? কয়জন শিক্ষককে থ্রেট দিয়েছে? শিবিরের সভাপতি ক্যাম্পাসে রাতের আঁধারে কয়বার এসে আইন ভঙ্গ করেছে?

আর এইরকম কাজ ছাত্রলীগ কয়টা করেছে?

১৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:১৮

পুরানমানব বলেছেন: আপনি কি জামায়াত-শিবিরের প্রতি খুব দুর্বল?
আশা করি, প্রশ্নটির জবাব দিবেন।


না জনাব, আমি জামাত বা শিবিরের ওপর কোনোভাবেই দুর্বল নহে। আমি ইসলাম মানি আল্লাহর আদেশে এবং রাসূলের সুন্নাহ অনুযায়ী। আমার মন্তব্য বর্তমানের ওপর ভিত্তি করিয়া করা। কষ্ট তখনই পাই, যখন কেউ সাম্প্রতিক প্রকাশ্য নারকীয় অপকর্মগুলোকে অতীতের কনস্ট্যান্ট এবং জনঘোষিত অপকর্মের আবেশে চাপা দিয়া ফু দিয়া উড়ায়ে দিতে চায়। আশা করি বুঝিয়াছেন।

১৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৫

পুরানমানব বলেছেন: সরকার দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে.৷
শুধু নির্বাচন টা খেয়ে দিয়েছে।

১৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩

এস.এম.সাগর বলেছেন: লেখক মুক্তিযুদ্ধা নাকি তৈলবাজ? নাকি আওয়মীদের মোত কলকাতার বৌবাজারের যুদ্ধা? কারন রনাঙ্গনের মুক্তি যুদ্ধারাতো এরকম তৈলবাজ হতে পারেনা! আরে ভাই রাজাকার, আলবদর এরাতো সারাটা জীবন ঘৃর্ণার পাত্র হয়ে থাকবে এটাতে দ্বিমত নেই, কিন্তু বর্তমান তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধার চেতনা ব্যবশায়ী দল আওয়ামীলিগ, হাসিনা, জঙ্গী সংগঠন ছাত্রলীগ এদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বল্লে আপনাদের মোত তৈলবাজ মানুষদের জলে কেন? আর তখনই বলেন রাজাকার, জামাত-শিবির! হ্যা তবে এটা ঠিক যে বা যাহারা আওয়ামীদের মোত কলকাতার বৌ বাজারের যুদ্ধা তারা এই তথাকথিত চেতনা ব্যবশা করবেই,
এখনো সময় আছে নিরপেক্ষ কথা বলেন, অন্যায়কে অন্যায় বলেন, অন্যায় যে বা যাহা করুক দেখার বিষয়না।

১৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

রাজীব নুর বলেছেন: যেই দল ক্ষমতায় থাকে তারাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে।
এখন ছাত্রলীগ ভয়ঙ্কর। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে ছাত্রদল ভয়ঙ্কর হয়। শিবিরের ইতিহাস কিন্তু ভালো না। এরা তলে তলে এগিয়ে যাচ্ছে।

১৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আমি নই বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমরা মানুষ। আমরা বাঙালি। আমরা সবসময় শান্তিশিষ্ট। আমরা শুধু এই দেশটার ভালো চাই। আর এই দেশটা যেন আর কখনোই একাত্তরের পরাজিত হায়েনাদের কবলে না-পড়ে।

হুমম, উত্তম কথা, দেশের ভালো হলে যেকোনো এ্যকশনের ব্যাপারে কোনো দ্বীমত নেই। কিন্তু এক দল হায়েনাকে পরাজিত করার জন্য আমার সন্তানকেও হায়েনায় রুপান্তরিত করতে হবে? নাকি দেশের সংবিধান, প্রচলিত আইনের মাধ্যমে তাদের প্রতিহত করতে হবে? আপনার কি মনে হয় সংবিধান, প্রচলিত আইনের মাধ্যমে তাদের প্রতিহত করলে কি দেশের খারাপ হবে?

লেখক বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়-প্রশাসন নিরপেক্ষ ও আন্তরিক হলে সেখানে শিবির ও হিযবুত তাহরীর ঢুকতে পারতো না।
দেশে পুলিশ, RAB, ডিবি লাগবে। দেশ চালাতে এসব লাগে। আর সবাই খারাপ নয়। আসলে, ব্যর্থ
বুয়েট-প্রশাসন। তারা রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত।


বুয়েট-প্রশাসন ব্যর্থ হলে তাদের বিরোদ্ধে লেখেন, দরকার পরলে আইনের সাহায্য নেন (আইনের উপর শ্রদ্ধা না থাকলে অন্য কথা), একাত্তরের পরাজিত হায়েনারা যেন মাথা তুলতে না পারে সেজন্য প্রচলিত আইনে যা যা করা যায় সেটা করেন। আরেকদল হায়েনাকে প্রমোট করতে হবে কেন?

লেখক বলেছেন: এবার আপনার কাছে একজন মুসলিম হিসাবে আমার একটি প্রশ্ন:

জামায়াত-শিবিরের প্রতি আপনার কোনো দুর্বলতা আছে?

আশা করি, প্রশ্নটির জবাব দিয়ে আমাকে খুশি করবেন।


জামায়াত-শিবির, মাজার পুজারি, উগ্রপন্থি (ধর্মীয় উগ্রপন্থি হোক আর রাজনৈতিক উগ্রপন্থি হোক), ভন্ড-ফেক নামধারী মুসলিম এবং যাদের গায়ে টুপি-পান্জাবি হাতে কোরআন দেখলেই গায়ে আগুন ধরে যায় তাদের ঘোর বিরোধী।

আপনার কাছে একটা প্রশ্ন: সকল প্রকার ছাত্র রাজনীতি (জামাতি-বামাতি যা আছে সব) নিশিদ্ধ হলে ছাত্রদের এবং দেশের কোন কোন ক্ষতি হবে একটু জানাবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.