নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগে কিছু পড়ে মন্তব্য করতে হলে সবার আগে মন্তব্য করা শিখতে হবে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩



ব্লগে কিছু পড়ে মন্তব্য করতে হলে সবার আগে মন্তব্য করা শিখতে হবে।
সাইয়িদ রফিকুল হক

আমাদের কথা বলা শিখতে হবে। আমাদের লেখার ভাষাও শিখতে হবে। আমাদের মনের ভাব প্রকাশের রীতিনীতি, ভাষারীতি ও শালীনতাবোধও শিখতে হবে। মানুষের সমাজে, মানুষের পৃথিবীতে মানুষের কাছে মনের কোনো কথা কিংবা কিছু ভাব তুলে ধরার জন্য আমাদের মানুষের গ্রহণযোগ্য ভাষা-ব্যবহারের নিয়মকানুন শিখতে হবে। এগুলো আমাদের জানতে হবে। আর তা জেনেবুঝে মানব-সমাজে প্রয়োগ করতে হবে।
আমরা সবাই কথা বলতে জানি। মাতৃভাষা-বাংলায় তা খুব সহজে প্রকাশ করতে পারি। কিন্তু এই পারাটাই শেষ ও চূড়ান্ত কথা নয়। লেখার ক্ষেত্রে আমাদের ভাষায় যথেষ্ট পরিমিতবোধের পরিচয় দেওয়া অত্যাবশ্যক। এর ব্যত্যয় ঘটলেই বিপদ। মুখের ভাষা ও লেখার ভাষার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, বলাটা সহজ আর তা অস্থায়ী। কিন্তু লেখাটা কঠিন ও চিরস্থায়ী। তাই, এতে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করাটাও জরুরি।

ভাষা-ব্যবহারের ব্যাকরণ জানতে হবে। ভদ্রসমাজে চলার মতো কথাবার্তা ও চালচলনও শিখতে হবে। সবার আগে আমাদের শিক্ষিত হতে হবে। আর সবাই শিক্ষিত হতে না-পারলেও সমস্যা নাই। কিন্তু সবাইকে অবশ্যই পরমতসহিষ্ণু হতে হবে। পরমতসহিষ্ণুতার চেয়ে বড় কোনো ডিগ্রী বর্তমান পৃথিবীতে নাই। পরমতে অসহিষ্ণুতার কারণেই আজ পৃথিবীজুড়ে যুদ্ধবিগ্রহ চলছে। মরছে মানুষ। বিপন্ন হচ্ছে মানবতা। তাই, আবারও বলছি, পরমতসহিষ্ণুতার ভীষণ প্রয়োজন। আজকের দিনে এর কোনো বিকল্প নাই। যাক, প্রসঙ্গক্রমে কয়েকটি কথা বেশি বলে ফেললাম। মদীয় আলোচ্য বিষয় ব্লগে আমাদের মন্তব্য কী ধরনের হওয়া উচিত। আর তাতে কতটুকু শালীনতার প্রয়োজন। শালীনতা কেন বজায় রাখতে হবে। আর ভাষা-ব্যবহারে শালীনতার প্রয়োজনইবা কতটুকু?

আলোচনার এই কথাটি খুব গুরুত্বের সঙ্গে বলা হচ্ছে। আমরা আসলেই ভাষা-ব্যবহারের ব্যাকরণ ভুলে গিয়েছি। আর নয়তো আমাদের মধ্যে পরমতসহিষ্ণুতার বিরাট অভাব ঘটেছে।
আমি ৮ বছর ৩ মাস যাবৎ এই ব্লগে লিখছি। বিভিন্ন বিষয়ে ৪০৮টি লেখাও পোস্ট করেছি। বিভিন্নজনের লেখা পড়েছি। কোনোটায় মন্তব্য করেছি। আবার কোনোটায় করিনি। অবশ্য বেশিরভাগক্ষেত্রে আমি মন্তব্য করি নাই। কিন্তু আমি বেশিরভাগ লেখা পড়ি। আমি মন্তব্য বেশি করি না। আমার মন্তব্য করার অভ্যাস খুব কম। এটা আমার স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য। এতে কেউ ভুল বুঝবেন না।

কিন্তু এই ৮ বছর ৩ মাসে কারও ব্লগে কখনোই কোনো অশালীন মন্তব্য করি নাই। এমনকি যারা আমার পোস্টে অশালীন, মারাত্মক অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেছেন তাদের মন্তব্যের প্রতিউত্তরও আমি অশালীন ভাষায় দিইনি। শালীনতার মধ্যে সবকিছু সীমাবদ্ধ রেখেছি। আর এটা শোভনসুন্দর হবে না ভেবে আমি এমনটি করেছি।
এই ব্লগ আমাদের পরিবারের মতো। আমরা যেন একই পরিবারভুক্ত। আমরা সবাই এই ব্লগের নিয়মিত ও অনিয়মিত সদস্য। সশরীরে আমাদের দেখা নাহোক, আমাদের লেখার মাধ্যমে প্রতিদিন আমাদের দেখা হচ্ছে। আমরা অনেকটা আত্মীয়ের মতো। আত্মীয়। আবার একদিক থেকে, আমরা যথাযথ প্রতিবেশীও। তাই, আমাদের প্রত্যেকের উচিত প্রত্যেকের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের মতো আচরণ করা। বন্ধুসুলভ মতপ্রকাশের মাধ্যমে সহজ ও মানবিক আচরণ করা।

ব্লগে কারও কোনো লেখা পড়ে কীভাবে আমাদের মন্তব্য করা উচিত এ-বিষয়ে নিচে নাতিদীর্ঘ আলোচনা করা হলো:

প্রথমত; লেখাটি আপনার মনঃপুত না-হলে আপনি দ্রুত উত্তেজিত হবেন না। লেখাটা পড়ুন। ভালো না-লাগলে ওই পোস্ট থেকে বেরিয়ে আসুন। আর যদি মন্তব্য করতেই হয় তাহলে কেন ভালো লাগেনি তা অত্যন্ত ভদ্র ভাষায় লিখবেন। এক্ষেত্রে আপনি কোনোপ্রকার রাগ-ক্ষোভ ও উত্তেজনা প্রকাশ করতে মন্তব্য করবেন না। যদি তা করতে না-পারেন তাহলে ওই পোস্ট থেকে সরাসরি বেরিয়ে আসুন। এটা আপনার এবং লেখকের জন্যও ভালো।
দ্বিতীয়ত; অহেতুক খোঁচাখুঁচি করার জন্য কারও পোস্টে কোনো মন্তব্য করবেন না। খোঁচা দেওয়ার মতো মন্তব্যগুলো কোনো কাজে লাগে না। কাউকে অহেতুক কেন খোঁচা মারবেন? অবশ্য যদি ইতিবাচক বা প্রেরণাদায়ক হয় তাহলে খোঁচা মারা যেতে পারে। অন্যথায় কাউকে কষ্ট দেওয়ার জন্য কারও পোস্টে অযথা খোঁচাখুঁচি করবেন না।
তৃতীয়ত; আপনি সমালোচনা করবেন কারও লেখা পড়ে। কারও লেখার সমালোচনা করবেন। লেখার সমালোচনা করার অধিকার আছে আপনার। তাও গঠনমূলক ও মার্জিত ভাষায়। কিন্তু কখনোই কোনো পোস্টদাতা বা লেখককে বা ব্লগারকে আক্রমণ করে তার সমালোচনা করবেন না। এটা অবশ্যই নেতিবাচক একটি দিক। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
চতুর্থত; ব্লগে অনেক ধরনের লেখা পোস্ট করা হয়ে থাকে। একেকজন একেক বিষয়ে লিখে থাকেন। কেউ-কেউ কোনো-কোনো বিষয়ে পারদর্শী। কিন্তু আপনি এই বিষয়ে কম জানেন বা আপনার কোনো ধারণা নাই। সেখানে আপনি কোনোকিছু না-বুঝে হুট করে কোনো মন্তব্য করে বসবেন না। তখন এটা হাস্যকর দেখাবে। পোস্টদাতা আপনার চেয়ে জ্ঞানী হতে পারেন। তিনি আপনার মন্তব্য পাঠ করে হাসবেন। আর ভাববেন, আপনি কতটা দুর্বল ও অজ্ঞ। তাই, কারও হাসির খোরাক হবেন না। নিজেকে গড়ে তুলুন একজন সুন্দর ও যোগ্য মানুষ হিসাবে।
পঞ্চমত; ব্লগে অনেকে কবিতা, গল্প, উপন্যাসও ছাপেন। এগুলো অনেকেই মনের আনন্দে পাঠ করে থাকেন। এগুলো পড়তে অনেকের কাছেই ভালো লাগে। কিন্তু মন্তব্য করার ক্ষেত্রে আপনাকে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। গল্প, কবিতা ও উপন্যাসের সমালোচনা করতে হলে আপনাকে ছন্দ, অলংকার, কবিতার বিষয়বস্তু; গল্পের প্লট, চরিত্র, গল্পের বিষয়বস্তু; উপন্যাসের কাঠামো, প্লট, গঠনশৈলী, শিল্পরূপ ইত্যাদি বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে। নাহলে আপনার উদ্ভট মন্তব্য কারও কাছে হাসির খোরাক হবে। আপনার কথা শুনে পোস্টদাতাও হাসবেন। আর আপনি না-বুঝে বাজে একটা মন্তব্য করলে পোস্টদাতা মনঃক্ষুণ্ন হবেন। এটা করা কি ঠিক?
ষষ্ঠত; সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলো খুব জটিল। এইসব বিষয়ের পোস্টে আরও বেশি সাবধানি হতে হবে। কোনো লেখা আপনার ভালো না-লাগলে আপনি অশালীন মন্তব্য করতে পারেন না। যুক্তি দেখাতে পারেন। প্রশ্ন করতে পারেন। তার কাছে প্রয়োজনে রেফারেন্স চাইতে পারেন। কিন্তু তাই বলে তাকে আক্রমণ করে দুই-চারটা গালি দিয়ে ফেলবেন না। ব্যাপারটা মোটেই শুভকর হবে না। এতে আপনার ও পোস্টদাতার মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে। এটা ভয়ানক অশুভ ইঙ্গিত। এটা ব্লগে সবাই মিলেমিশে থাকার ক্ষেত্রে একটা বড় ধরনের বাধা ও অশনি সংকেত।
সপ্তমত; ব্লগে বিজ্ঞানবিষয়ক লেখা থাকে। আপনি বিজ্ঞান মানেন না। ভালো কথা। সবাই বিজ্ঞান মানবে তাও নয়। আপনি বিজ্ঞান না-মানলে সেই লেখায় কোনো বাজে মন্তব্য করবেন না। আবার বিজ্ঞানের কোনো পোস্ট দেখামাত্র তার সঙ্গে ধর্মের তুলনামূলক আলোচনা করতে শুরু করবেন না। মনে রাখবেন, ধর্ম আর বিজ্ঞান কখনোই এক জিনিস নয়। বিজ্ঞানের সঙ্গে কখনোই ধর্মকে মিলাতে যাবেন না। ধর্মের সঙ্গে বিজ্ঞানকেও কখনো মিলাবেন না। বিজ্ঞান পরিচালিত হয় গবেষণা ও পরীক্ষানিরীক্ষার দ্বারা। আর ধর্মের বেশিরভাগ বিষয়ের পরীক্ষানিরীক্ষা করার কোনো সুযোগ থাকে না। এখানে বিশ্বাস ও আবেগ কাজ করে। দুইটা দুই জিনিস।
অষ্টমত; ধর্মবিষয়ক পোস্ট অনেকেই করেন। প্রথমে বলে নিই, ব্লগ ধর্মচর্চার জায়গা নয়। তারপরও আপনার অধিকার রয়েছে এখানে ধর্মচর্চার। কিন্তু আপনি ধর্মকথা বলতে গিয়ে খুঁচিয়ে-খুঁচিয়ে বিজ্ঞানকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করবেন না। অন্য-ধর্মে আঘাত করবেন না। তাহলে, আপনাকেও কেউ খোঁচাবেন না। এইসকল পোস্টে মন্তব্য করার আগে ভেবেচিন্তে করবেন। হুট করে কোনো কথা বলে দিবেন না। আপনার ভালো না-লাগলে মন্তব্য করার কোনো দরকার নাই। মনে রাখবেন, এখানে মন্তব্য করা আপনার জন্য ‘ফরজ’ বা ‘ফরজে আইন’ নয়। আর আপনি যদি ধর্ম না-ও মানেন তবু কারও বিশ্বাসে আঘাত করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দিবেন না। এটা সমীচীন নয়। সুখকর নয়। আর আধুনিক মানুষের বৈশিষ্ট্যের মধ্যেও পড়ে না এটা।
নবমত; প্রত্যেকেরই একটা নিজস্ব মতামত আছে। নিজস্ব পথ আছে। নিজস্ব দলও আছে। কাজেকাজেই, কাউকে জোর করে আপনার মতো আপনার দর্শনে বিশ্বাসী বানানোর কোনো দরকার নাই। মানুষের ভিন্নমতে আঘাত করবেন না। কিন্তু কেউ যদি ভিন্নমতের নামে দেশের বিরুদ্ধে, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও আদর্শের বিরুদ্ধে, বাঙালি সংস্কৃতি ও জাতিসত্তার বিরুদ্ধে লেখে বা এসবকে আক্রমণ করে বসে তখন তাকে সমালোচনা করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে, মার্জিত ভাষায় সমালোচনা করাই উত্তম। ‘যুক্তি’ দিয়ে তাকে পরাস্ত করতে হবে। আর মনে রাখবেন: জোরের যুক্তি নয়, যুক্তির জোর দিয়ে তাকে পরাস্ত করতে হবে। তাহলে, সে আর মাথা জাগাতে পারবে না।
দশমত; ব্লগ কোনো যুদ্ধক্ষেত্র নয়। এটা মতামত-প্রকাশের একটা জায়গা। স্বাধীন মতপ্রকাশের ক্ষেত্র। তবে এখানে স্বাধীনতা বলতে শুধু নিজের স্বাধীনতা দেখলে চলবে না। অন্যের মতামতকেও যুক্তি দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। আপনি অধিকার ভোগ করতে চাইলে আপনাকে কর্তব্যও পালন করতে হবে। অধিকার ও কর্তব্য অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। এ-কথার অর্থ হলো—আপনি অধিকার ভোগ করবেন কিন্তু অন্যের অধিকার ক্ষুণ্ন করতে পারবেন না। এই দায়িত্ব-কর্তব্য আপনাকে পালন করতে হবে। ব্লগ একটা প্ল্যাটফর্ম। ঠিক রেলগাড়ির প্ল্যাটফর্মের মতো। এখানে, কত মানুষ যাতায়াত করবে। আসবে আর যাবে। আর কত মানুষ এই প্ল্যাটফর্মে বসে আড্ডা জমাবে।
একাদশতম; আবারও বলছি আমাদের পরমতসহিষ্ণু হতেই হবে। আর সবসময় সৃজনশীল মন্তব্যের চেষ্টা করতে হবে। অন্যকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। অন্যের “অকাট্য যুক্তি” বা “প্রমাণসাপেক্ষ তথ্য-ইতিহাসকে” কখনোই মিথ্যা-প্রমাণ করার জন্য উঠে পড়ে লাগবেন না। কারণ, সত্য সবার জন্য। অন্যের স্বার্থে আপনি নিজেকে কেন মিথ্যাবাদীদের প্ল্যাটফর্মে নিয়ে দাঁড় করাবেন? কী স্বার্থ আপনার? সবসময় আমাদের সত্যের পক্ষ নিতে হবে। নিজের মিথ্যা ভেঙে গেলে মনখারাপের বদলে আরও খুশি হতে হবে। আমরা হবো এই প্রজন্মের ‘সত্যের মশালবাহী’। আর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় ‘আধ-মরাদের ঘা মেরে বাঁচানো’র নতুন কুশীলব।

শেষত; জগতে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন জিনিসের কদর বেশি। তা দেখে আপনি কখনোই মনখারাপ করবেন না। এজাতীয় ভিত্তিহীন কথাবার্তা দেখেও উত্তেজিত হবেন না। এদের বিরুদ্ধে আপনার বুদ্ধিদীপ্ত অথচ ক্ষুরধার যুক্তি ব্যবহার করুন। এতে কাজ না-হলে তার সঙ্গ ছাড়ুন। দোহাই লাগে, তবু জোর করে কাউকে ভালো বানাতে যাবেন না। অন্যের মিথ্যা ও চরম অসত্য দেখেও মনখারাপ করবেন না। আপনি সত্যের পথে থাকুন। শেষ পর্যন্ত জয় আপনারই হবে।
দার্শনিক কবি রবীন্দ্রনাথ তাই বলেছেন:

সত্য যে কঠিন,
কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,
সে কখনো করে না বঞ্চণা।

আসুন, আমরা ব্লগে আরও বেশি মিলেমিশে বসবাস করি। চিন্তামূলক ভাবনার সম্প্রসারণ করি। কথা বলা ও লেখার ক্ষেত্রে সাবধানি হই। আর সবসময় মনে রাখবেন, আমরা সবাই লিখিয়ে বন্ধু। আমরা কেউই বড় নই, কেউই ছোট নই। সকলেই সমান। তাহলে, আমরা ব্লগটাকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করতে পারবো। শেষ করছি কবি কামিনী রায়ের বিখ্যাত সেই কবিতার দুটি লাইন দিয়ে।

‘আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেহ অবনী পরে
সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।’

ছবি: গুগল ও নিজস্ব


সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:২৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঠিক

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ভাই।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫২

শায়মা বলেছেন: বাহ! ভেরী গুড ভাইয়া।

অবশ্য পুরোনোদের মন্তব্য পড়েই ব্লগে নতুনেরা মন্তব্য করতে শেখে।

আমি যখন প্রথম লিখেছিলাম। কেউ আমার লেখা পড়বে আবার প্রশংসাও করবে ভাবতেই পারিনি। পরে বুঝলাম আমাকেও অন্যের লেখা পড়ে মন্তব্য করতে হবে। নইলে বই পড়া আর ব্লগ পড়ার মাঝে কোনো পার্থক্যই থাকবে না।
ব্লগের মজাটাই হলো লেখার সাথে পাঠকের প্রতিক্রিয়া পাওয়া। এটা থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। :)

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: অনেক সুন্দর বলেছেন, আপা।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এত বড় লেখা!

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: লেখাটা একটু বড় হয়েছে। কষ্ট করে পড়েছেন এজন্য কৃতজ্ঞ।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা।

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সঠিক।

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

পুরানমানব বলেছেন: জনাব, আপনি এতো বড় লেখা লিখেছেন তাহার মানে এই নয় যে, এই লেখা পড়ে পরবর্তীতে আপনার তেলবাজি, একপাক্ষিক, প্রকাশ্য হায়েনাবাজির পক্ষে লেখায় এলিট ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করতে হবে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:২২

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনি বলেছেন:

জনাব, আপনি এতো বড় লেখা লিখেছেন তাহার মানে এই নয় যে, এই লেখা পড়ে পরবর্তীতে আপনার তেলবাজি, একপাক্ষিক, প্রকাশ্য হায়েনাবাজির পক্ষে লেখায় এলিট ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করতে হবে।

আসলে, তা নয়। আমি একজন লিখিয়ে। অনেককিছু লিখি। ব্লগে হয়তো কিছুকাল লেখালেখি করতে পারি। সবার সঙ্গে একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে ভালো হয়। সেইজন্য এই লেখাটা লিখেছি। এতে আমার কোনো আয় বা ব্যবসা হবে না। কোনো আর্থিক লাভও হবে না। মানবিক কারণে লেখা।
ভুল না-বুঝলে খুশি হবো।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

পুরানমানব বলেছেন: একটি লেখা যেমন মানুষ কে কোমলভাবে মন্তব্য প্রকাশ করতে উদ্ভুদ্ধ করে, তেমনি মুহুর্তেই মারাত্মক বদ মেজাজে আক্রান্ত করতেও উদ্ধুদ্ধ করে।

৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্লগপোস্টে মন্তব্যের উপর আপনার এত বড় টিউটোরিয়াল! কথাগুলো যা বলেছেন, তা মন্দ নয়। বলা চলে, শিরোধার্য। কিন্তু আপনার অন্যান্য পোস্ট পড়ে মনে হয়, you do not practice what you preach. আর মন্তব্যের ব্যাপারে যে আচরণবিধি শেখালেন, পোস্ট লেখার ক্ষেত্রেও তা অধিকতর প্রযোজ্য।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: দেখুন, আমি অনেক বিষয়ে লেখালেখি করি। সবকিছু যে সবার ভালো লাগবে তা নয়। আপনার কথা ঠিক আছে। আমার সব পোস্টই সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। তবে বর্তমানে সমসাময়িক বিষয়ে আমি যাকিছু লিখি রেফারেন্সসহ লেখার চেষ্টা করি।

আর গল্প-কবিতা সম্পূর্ণ নিজের। এটা নিয়ে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়।

আমি যে-বিষয়ে পোস্ট দিয়েছি, এবার সেই বিষয়ে বলি। আমি পোস্টে মন্তব্য করার সময় যথেষ্ট সংবেদনশীল। আবার আমার পোস্টে মন্তব্যকারীদের প্রতিউত্তর দেওয়ার সময়ও যথেষ্ট সংবেদনশীল। তবে, আমি মানুষ তো! দুই-একটা ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় ঘটতেও পারে। তবে আমি অনেকসময় আমার করা প্রতিউত্তর রূঢ় মনে হলে তা ডিলিট করেও দিই। এব্যাপারে আমি আন্তরিক।

আশা করি, ভুল বুঝবেন না।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪১

নিমো বলেছেন: দেশে মতাদর্শগত পার্থক্য যে জায়গায় পৌছেছে, তাতে এটা প্রায় অসম্ভব! এখানে যেহেতু কাউকে না দেখেই (একটা ছবি বা নাম যথেষ্ঠ নয়, কারণ সেটাও যাচাইয়ের সুযোগ নাই) মন্তব্য করা যায়, ব্যাপারটা আরও বেশি জটিল।

৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকে পোস্ট না পড়েই একটা দায়সাড়া গোছের মন্তব্য করে যান, আবার ফিরে ফিরে এসে দেখে যান, কে কী মন্তব্য করেছে, এবং সে কথাটি ঘোষণাও করে যান। নতুন করে যদি বলার কিছু নাই থাকে, তবে এহেন ঘোষণা না দেয়াই সমীচীন। তাদের প্রথম মন্তব্যটি পড়ে বোঝার উপায় থাকে না, তারা আদৌ পোস্টটি আদ্যপান্ত পড়েছেন কিনা।

অনেকে পোস্টের বক্তব্যের সাথে একেবারে সংশ্রবহীন, অপ্রাসঙ্গিক একটা মন্তব্য করে যান। তাদের মন্তব্যটি পড়েও বোঝা যায় না, তারা পোস্টটি পড়েছেন কিনা। এটাও সমীচীন নয়।

আমার মনে হয়, আপনার এ দীর্ঘ পোস্টে এ দুটো পয়েন্টের উল্লেখ থাকলে ভালো হতো।

১০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৯

কামাল১৮ বলেছেন: লেখাটা একটু বড় হয়ে গেছে।এখন আর অত বড় লেখা মনে থাকে না।মূল বক্তব্য কয়েক লাইনে লেখলে ভালো হতো।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: কথা সত্য বলেছেন, ভাইজান। লেখাটা একটু বড় হয়ে গিয়েছে।
আপনি কষ্ট করে পড়েছেন, এজন্য আমি কৃতজ্ঞ।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর শুভকামনা।

১১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪৪

ভগবান গণেশ বলেছেন: ভালো লিখেছেন দাদা।

১২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাইয়িদ রফিকুল হক ,




আপনার কথাগুলো ফেলনা নয়। তবে আমার মনে হয়, কোনও পোস্টে তেমন মন্তব্য করতে হলে আপনাকে একজন মনযোগী, সমঝদার ও সহিষ্ণু পাঠক হতে হবে।

১৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০১

দুচোখ জুড়ে ব্যাথ্যার শ্রাবণ বলেছেন: শিরোনাম দেইখ্যা মূল বক্তব্য পরিষ্কার।রচনার প্রয়জন আছিলনা।

১৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৪৪

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



আমার মনে হয় মন্তব্য করার চেয়ে মন্তব্যের উত্তর দেয়া বেশি জরুরী। অনেকেই আছেন মন্তব্য করে থাকেন। কিন্তু মন্তব্যের উত্তর পান না। এই বিষয়টা আমার কাছে সবচেয়ে বাজে মনে হয়। একটা মানুষ মন্তব্যে তার ভাল লাগা খারাপ লাগা জানিয়েছেন, সেই মন্তব্যের উত্তর দেয়া জরুরী বলে আমার মনে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার কথা সত্য। প্রতিউত্তর করা উচিত। অনেক সময় আমি নিজেও সময়মতো উত্তর দিতে পারি না। এই যে, আপনার উত্তর দিতে দেরি করে ফেললাম! এজন্য দুঃখিত।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভেচ্ছা।

১৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৫

এক্সম্যান বলেছেন: শুধুই মন্তব্যকারিদের জন্য? পোষ্টকারিদের জন্য কোনো কিছু নাই?

অনেকেই আছেন নিজের মতের সাথে মিল না হলেই রাজাকার, জংগী, শিবির ইত্যাদি ট্যাগ দিয়ে থাকেন, তাদের ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.