নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পোশাকশিল্পের ভবিষ্যতঃ বাংলাদেশ ও বিশ্ব

০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:৩০

এমন মেশিন বিশ্ববাজারে ইতিমধ্যেই আছে (অনেকগুলো উদ্ভাবিত হয়েছে, অনেকগুলো উদ্ভাবনের পথে আছে), যাতে কাঁচামাল থেকে সরাসরি ফাইনাল প্রোডাক্ট বের হচ্ছে। যেগুলিতে এন্ড-ইউজার নিজের পছন্দসই বৈশিষ্ট্যগুলো সিলেক্ট করে দিলে মেশিনের অপর প্রান্ত দিয়ে রেডিমেড পোশাক বের হচ্ছে; হাতের কোন স্পর্শ ছাড়াই। শত শত মানুষের কাজ করে দিচ্ছে মেশিন- নিখুঁতভাবে, দ্রুততার সাথে, দক্ষতার সাথে, ক্লান্তিহীনভাবে। বিদ্যুত-জ্বালানি-কাচামাল কম লাগছে। পরিবহন ব্যয় ও সময় কমছে। কাজের ধাপ কমে যাচ্ছে। খরচ কম হচ্ছে। টার্গেট-মার্কেটপ্লেস থেকে দূরে ম্যানুফ্যাকচার করতে হচ্ছে না; লেবার আউটসোর্স করতে হচ্ছে না।

সবচেয়ে বড় কথা, রোবটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংস, মেশিন লার্নিং, এডভান্সড মডেলিং, এবং সাস্টেইনেবল টেকনোলজির উন্নতির সাথে সাথে উন্নত দেশগুলি লিনিয়ার ইকোনমি থেকে দূরে সরে গিয়ে সার্কুলার ইকোনমির দিকে বেশি ঝুঁকে পরছে। কোভিড আসার পরে ফার্স্ট-ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিগুলোর এইসব প্রবণতা ও সচেতনতা আরো বাড়বে। ওরা প্রায়োরিটি বেসিসে সময়-টাকা-পরিশ্রম-মেধা-লবিইং বিনিয়োগ করা শুরু করে দিয়েছে। অগ্রাধিকার কিভাবে নির্ধারণ করবে?

কনজিউমারিজম (ভোগবাদ) একেবারে গায়েব না হয়ে গেলেও ঐসব দেশে তার রূপ পরিবর্তিত হবে। রিডান্ডেন্ড অর্থাৎ অদরকারি জিনিসগুলোর চাহিদা কমে যাবে। মিনিমালিজম জায়গা করে নিবে অনেকের লাইফস্টাইলে। পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজসজ্জাতে বিলাসিতা, স্বেচ্ছাচারিতা, লোকদেখানো মনোভাব- অনেকের মধ্যে উঠে যাচ্ছে। প্রয়োজন না হলে কেউ পোশাক-জুতা বারংবার কিনবে না। কিনলেও মানুষ টেকসই পণ্য কিনবে, লোকাল প্রোডাক্ট কিনবে, এনিম্যাল প্রোডাক্টের চাহিদা কমে যাবে। Recycle করা যায়, কোনভাবে Reuse করা যায়- সেরকম প্রোডাক্ট এখন ওখানে বেশি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। Refurbish, Repair, এবং Repurpose এর কদর বাড়ছে। দরকারের বাইরে সব কিছু কেনা Reduce করে দিচ্ছে, Refuse করছে নতুন উৎপাদিত পণ্য- ব্যবহার করছে সেকেন্ড হ্যান্ড ব্যবহারযোগ্য পণ্য- হোক সেটা পোশাক বা অন্য যেকোন কিছু। ইলেক্ট্রনিক্স (মোবাইল ইত্যাদি) ও গাড়ির মতো গার্মেন্টস পণ্যও স্যাচুরেশনে পৌঁছে গিয়েছে সারা বিশ্বে।


ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির বর্তমানের "take-make-dispose" সিস্টেমের কবলে পরে প্রতি সেকেন্ডে গোটা বিশ্বে ১টা ময়লার ট্রাকের সমান টেক্সটাইল বর্জ্য ফেলে দেওয়া হয়; যা বছর প্রতি হয় ৯২ কোটি টন। প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ইউএস ডলারের সমপরিমাণ অর্থের অপচয় হয় প্রতি বছর- শুধুমাত্র এই কারণে যে- অধিকাংশ কাপড়ই ভালোমত পরাই হয় না (অক্ষত থাকে) এবং অধিকাংশ কাপড়ই রিসাইকেল/মেরামত/পুনরায় ব্যবহার না করেই ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হয়, বা পুড়িয়ে ফেলা হয়। এই ফেলে দেওয়া কাপড়ের মধ্যে রয়েছে মূলত দুই ধরণের জিনিসঃ- প্রথমত, যেসব পোশাক আমরা ব্যবহার করে ফেলে দেই; এবং দ্বিতীয়ত, গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে পোশাক বানানোর সময় বেঁচে যাওয়া, কেটে ফেলা দেওয়া অতিরিক্ত কাপড় (যাকে সোজা বাংলায় ঝুট বলা হয়)।

A New Textiles Economy: Redesigning fashion's future

নিজেদের (এবং গোটা দুনিয়ার) অর্থনীতির ও পরিবেশের এরকম ভয়াবহ ক্ষতির পরিণতি চিন্তা করে ডেভেলাপড কান্ট্রিগুলো নড়েচড়ে বসেছে। Sustainable Fashion জায়গা করে নিচ্ছে ট্র্যাডিশনাল ফ্যাশন সেন্স ও ট্রেন্ডের। প্লাস্টিক পলিউশন কমাতে প্লাস্টিক বর্জ্যকে রিসাইকেল করে সেখান থেকে ব্যাগ, তাঁবু, জুতা-সেন্ডেল, জ্যাকেট, লাইফজ্যাকেট, ইত্যাদি অনেক পণ্য বানানো হচ্ছে। টেক্সটাইল ওয়েস্ট দিয়ে বানানো হচ্ছে পরিবেশবান্ধব বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াল, ফার্নিচার ও ইনসুলেশন ম্যাটেরিয়াল। যা একইসাথে পরিত্যক্ত কাপড়কে ল্যান্ডফিলে ফেলে দেওয়া বা পুড়িয়ে ফেলার ফলে সৃষ্ট গ্রিনহাউজগ্যাস নিঃসরণ (ও গ্লোবাল ওয়ার্মিং) এবং পরিবেশ দূষণ (বায়ু-পানি-মাটি) থেকে বাঁচাচ্ছে; তেমনি অন্যদিকে প্রথাগত কন্সট্রাকশন ম্যাটেরিয়াল (ইট, সিমেন্ট, লোহা, কনক্রিট ইত্যাদি) এর তুলনায় রিসাইকেল-করা টেক্সটাইল বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াল অনেক বেশি এনার্জি-এফিশিয়েন্ট (কাঠের মতই), পরিবেশবান্ধব, টক্সিক নয়, উৎপাদন করতে আলাদা বিদ্যুত/জ্বালানি লাগে না। এছাড়া ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির আবর্জনা থেকে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির কাঁচামাল বানানো হচ্ছে আধুনিক, সহজতর, বিদ্যুৎসাশ্রয়ী উপায়ে।

খবরে পড়লাম- বাংলাদেশ, চীন, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, তুরস্ক, মরক্কো ও ইন্দোনেশিয়ার পোশাক প্রস্তুতকারকদের ১৩টি সংগঠন সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করছেন- কি করে নিজেদের রিভাইভ করা যায়, অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা যায়। কারণ, করোনার কারণে ইউরোপ-আমেরিকায় পোশাক বিক্রি কমে গিয়েছে। এই খবরটার শুধু শিরোনাম পড়েই এই লেখা শুরু করে দিয়েছিলাম।

ইউরোপ-আমেরিকা এখন ব্যস্ত করোনা বা অন্যান্য মারণব্যাধির প্রতিষেধক, প্রতিরোধক, চিকিৎসা ইত্যাদি নিয়ে। ওরা ব্যস্ত তেল-গ্যাস এর বিকল্প শক্তি উৎসগুলোকে আরো উন্নততর, সহজলভ্য, কার্যকরী ও সস্তা কিভাবে করা যায় তা নিয়ে। ওরা ব্যস্ত কিভাবে পৃথিবীকে, জলবায়ুকে, বায়ুমণ্ডলকে, জীববৈচিত্র্যকে, সাগরগুলোকে, এবং মেরুঅঞ্চলকে বাঁচানো যায়- সেসব নিয়ে। ওরা নিজেদের ফিজিক্যাল ও সাইবার সিকিউরিটি নিয়েও ব্যস্ত। ওরা নিজেদের শিক্ষা, যোগাযোগ, ফাইনান্স, ব্যাংকিং, মার্কেটিং, সবকিছুকে প্রায় পূর্ণাঙ্গরূপে অনলাইন-ডিজিটাল ধারণক্ষমতার ভেতর নিয়ে এসেছে। ওরা কৃষিতে নিয়ে এসেছে চরম আধুনিকায়ন; ভেজালমুক্ত, বিষমুক্ত খাদ্যশস্য, গবাদিপশু, জলজ জীব ইত্যাদি কিভাবে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উপায়ে উৎপাদন করে সব মানুষের কাছে দ্রুততর সময়ে কম খরচে সমানভাবে বন্টন করা যায়, সেই সব নিয়ে তারা ব্যস্ত। ওদের ব্যস্ততার কথা লিখতে থাকলে ঘন্টার পর ঘন্টা লিখতে পারবো। কিন্তু যা নিয়ে ওরা ব্যস্ত না, সেটা একলাইনে লিখতে পারবো। ওরা "জনসম্পদ" বা "ম্যানপাওয়ার" এর obsolete বা অচল থিওরিতে বিশ্বাস করে না। একটা দেশে যত বেশি মানুষ, তত বেশি কাজ করার হাত- এই থিওরি চীনও আগে বিশ্বাস করতো; পরে তারা এর fallibility বা ভ্রান্তি বুঝে সরে এসেছে। জনসংখ্যা যত বেশি, খাওয়ানোর মুখ তত বেশি, মাথাগোঁজার ঠাই তত বেশি বানাতে হয়, চিকিৎসার খরচ ও ঝামেলা বেড়ে যায়, সুশিক্ষা বাধাগ্রস্থ হয়ে অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যায় ও নৈতিকতা কমে যায়, কর্মসংস্থান দেওয়া সম্ভব হয় না, আয়রোজগারের বৈষম্য বেড়ে যায়, জীবনযাত্রার মান কমে যায়। সবচেয়ে বড় যে সমস্যা হয়- সেটা কারো চোখে পরে না, বা মানুষ গুরুত্ব দেয় না; সেটা হচ্ছে- নির্দিষ্ট একটি ভূখণ্ডে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে ঐ ভূখণ্ড Livability অর্থাৎ জীবনধারণের সবরকম যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে!

বাংলাদেশের মানুষ সবসময় অন্য অনেক কিছুর মতোই নিজেদের বিশাল জনসংখ্যা নিয়ে গর্ব করে এসেছে, এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বা পরিবার পরিকল্পনাকে বিভিন্নভাবে উপেক্ষা/অবহেলা/ঘৃণা/তাচ্ছিল্য করে এসেছে। রেডিমেড গার্মেন্টস এবং রেমিট্যান্স- বাংলাদেশের সবসময়কার শীর্ষ দুই আয়ের খাতই "জনসংখ্যা-নির্ভর"। অর্থাৎ, অধিক সংখ্যক মানুষ শারীরিক পরিশ্রমের সুযোগ পেলেই দেশের চাকা ঘুরবে, দেশ চলবে, সামনে যাবে। কিন্তু, পরিশ্রমটা কাদের জন্য করবে? যাদের জন্য করে আসছিলো, তাদের যদি আর "কাজের মানুষ" না লাগে? তখন কি হবে?

করোনার কারণেই হোক, অদক্ষতা ও অমার্জিত আচরণের কারণে হোক, প্রযুক্তি-প্রকৌশলের উন্নতির কারণেই হোক, এখন বিশ্বের অনেক দেশেই আর বাংলাদেশ থেকে শ্রম-আমদানি করা হয় না। থ্রিডি প্রিন্টিং টেকনোলজির সাহায্যে শ্রমিক ছাড়াই নির্মাণখাতে এবং শিল্পকারখানায় পণ্য উৎপাদিত হবে- শুধু টেকনিক্যাল দক্ষতা ও জ্ঞানসমৃদ্ধ কিছু মানুষ কাজ করবে মেশিন অপারেট, মনিটর, ট্রাবলশুট করতে।
লক্ষ লক্ষ প্রবাসী শ্রমিক-কর্মীদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে, হচ্ছে, হবে। এমনকি উচ্চতর শিক্ষার পরে প্রফেশনাল/টেকনিক্যাল ফিল্ডে জবের সুযোগও ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে আসছে। মাইগ্রেট করার সবরকম ভ্যালিড পথও আগামী কয়েক বছরের মধ্যে চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। তখন এই দেশের মানুষগুলো এই দেশের ভেতরেই আটকা পরবে।

বাংলাদেশের উচিত কৃষিখাতকে নতুনভাবে পর্যালোচনা করা, সমুদ্রঅর্থনীতি ও সমুদ্রশক্তির সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করা, এবং মোস্ট ইম্পর্টেন্টলি- পলিউশন ও পপুলেশনকে নিয়ন্ত্রণে আনা। তা না হলে, এই দেশ ও এই জাতির কোন ভবিষ্যৎ নেই। নিশ্চিতভাবে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৩২

আমি সাজিদ বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:০৩

গফুর ভাই বলেছেন: খুব ভালো লাগল।

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: পোষাক শিল্প এখনও টিকে আছে। অন্যান্য অনেক শিল্পের মতো ধ্বংস হয়নি।

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:২০

নতুন বলেছেন: পোষাখ শিল্প কিছু বছরের মধ্যেই আফ্রিকার মতন দরিদ্র দেশের দিকে চলে যাবে।

এটার থেকে বাচার জন্য আমাদের দেশ কি প্রস্তুতি নিচ্ছে???

৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আমি আমাদের কোন ভবিষত দেখি না, দেশটা একটা গার্বেজে পরিনত হচ্ছে, পুরাই ভাগড়। অপশাসনে, শাসকের যে দূরদর্শিতা দরকার তেমন শাসক এখনো বাংলাদেশ পায় নাই।

৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পোশাক শিল্প আরও বহু বছর এই দেশে থাকবে। তবে প্রথম শ্রেণীর কারখানাগুলি টিকে থাকবে।

৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮

লাতিনো বলেছেন: জনসংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশ কখনোই গর্ব করেনি, বরং বিগত দিনে সবগুলো সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা করে এসেছে। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে জনসম্পদ হবার সুযোগ বা মানসিকতা নেই বললেই চলে। তাই এরা দিন দিন বোঝা হয়ে যাচ্ছে।

৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চিন্তার বিষয় বৈকি !

৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৫২

আবীর চৌধুরী বলেছেন: বাংলাদেশের মত এত বেশি শপিং মল, মার্কেট, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, ব্যাংক, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, প্রিন্ট-ফটোকপি-মোবাইল রিচার্জের দোকান, টং ও চা-সিগারেটের দোকান, অনলাইন পত্রিকা, প্রিন্ট ভার্সন পত্রিকা, টিভি চ্যানেল, ফটোগ্রাফি-ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, অনলাইন হোমমেইড ফুড বিজনেস, ইন্টারনেটভিত্তিক নানারকম পণ্যের বিজনেস- পৃথিবীতে খুব কম দেশেই দেখা যায়।
তাও আবার এগুলার কোন এরেঞ্জমেন্ট নাই। যে যেখানে ইচ্ছা, যখন ইচ্ছা, যেভাবে খুশি- খুলে বসে থাকে!

জেফ বেজোসকে আইডিয়াল না ধরে, যদি মার্ক জাকারবার্গকে আইডল ধরা হয়, তবে দেখা যাবে- সে শুধু আইনপ্রণেতাদের সামনে যাওয়ার মত গুরুত্বপূর্ণ অকেশন ছাড়া, কখনোই টিশার্ট আর সাধারণ প্যান্ট-জুতা ছাড়া আর কিছু পরে নাই। তাদের জীবনযাপনও খুব সাদামাটা। খাওয়াদাওয়া যতটুকু দরকার। পান থেকে চুন খসলেই তাদের বাসায় দাওয়াতের আয়োজন করা হয় না। দফায় দফায় এই খানা, সেই খানার কোন ঝামেলা নাই। বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের কথা বাদ দিলাম, উন্নত (শান্তিপূর্ণ) দেশগুলোর সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত ঠিকই- কিন্তু তারা খরুচে না, বিলাসী না, অপচয়কারী না।

আমাদের দেশের খুব বেশি নিম্নবিত্ত ছাড়া বাকি সবারই খাওয়াদাওয়া, পোশাকআশাকসহ নিত্যনৈমিত্তিক সব পণ্যেই খুব বাছবিচার, আর সৌখিনতা। এসবকে পুঁজি করেই এত বিপণিবিতান। তাও বিপণিবিতানগুলোতে দোকান সাজিয়ে শতকরা কত ভাগ ব্যবসায়ী সৎ ও সুখী আছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.