নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটু সচেতনতাই পারে চারপাশ বদলে দিতে-৩ঃ নাগরিক মূল্যবোধ ও সুশিক্ষা

১৯ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:৫৫




আমরা সবাই ভালো নাগরিক হতে চাই, দেশের সংবিধান মানতে চাই, রাষ্ট্রের নিয়মকানুন মানতে চাই, সরকারের কথা শুনতে চাই।
আমরা সবাই ভালো ধার্মিক (ইসলাম বা অন্য ধর্ম) হতে চাই, উপাসনালয়ে যেতে চাই, ধর্মগ্রন্থ পড়তে ও অনুসরণ করতে চাই, অন্যকে নিজের ধর্মচর্চা দেখাতে চাই।

আমরা সবাই নিজ সমর্থিত রাজনৈতিক দলের ভালো কর্মী/সমর্থক হতে চাই, নেতাদের সাথে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে থাকতে চাই, নিজ দলের সুনাম শুনতে চাই।

কিন্তু আমরা খুব কম জনই ভালো মানুষ হতে চাই। যেটা আমাদের সবার মূল লক্ষ্য হওয়ার দরকার ছিল। মনুষ্যত্ব দিন দিন লোপ পাচ্ছে আমাদের মধ্যে। এবং সেটাই পৃথিবীর ধ্বংসের অন্যতম পূর্বাভাস।

আমরা শুধু প্রচার-প্রচারণায় বিশ্বাস করি; কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী ও প্রকৃত উন্নয়ন/পরিবর্তন চাই না। আমরা চাই- রোগীর রোগ টিকে থাকুক, ডাক্তারের লাভ হবে। আমরা চাই- মক্কেলের মামলা ঝুলে থাকুক, উকিলের লাভ হবে। আমরা চাই- সমাজে অপরাধ বাড়ুক, পুলিশের লাভ হবে। আমরা সবকিছুতে আসল সমস্যাটা গোড়ায় গিয়ে সমাধান করতে চাই না। কারণ, আমাদের ভুল ধারণা- সমস্যা সমাধান হয়ে গেলে, আমাদের ক্ষতি হবে। আমাদের কাছে কেউ আসবে না। আমাদের নামডাক হবে না।

নিচের ছবি দুইটার আলোচ্য বিষয় দুটি আমাদের দেশের সব এলাকার প্রায় নিয়মিত ঘটনা। মানুষও এসবকে স্বাভাবিক ও অবশ্যম্ভাবী ধরে নিয়েছে।

শুধুমাত্র প্রতিশোধপরায়ণা ও হিংসার বশবর্তী হয়ে আমাদের মধ্যেই কেউ না কেউ- অন্যের ফসল, গাছ, সবজি, ফলফুল, মাছ, গবাদিপশু, হাঁসমুরগি সমূলে বিনাশ করে দেয়। এতে যে শুধু ইহকালের ক্ষতি হচ্ছে তা-ই না, পরকালেও যে জবাব দিতে হবে, এটা কারো খেয়াল থাকে না। নামাজ-রোজা-হজ্জ-যাকাত দিয়ে এসব ক্ষতি পোষাবে না। এগুলো আমলনামায় লেখা হয়ে যাবে। যদিও যারা এসব করে, তারা ধর্মবাণী ও নীতিকথায় গলবে না। তাদের জন্য দরকার কঠোর শাস্তি, আর সমাজের সবার মধ্যে সচেতনতা।

খাবারের উপাদান যেমন আল্লাহর নেয়ামত, তেমনি এই গোটা দুনিয়া, আমাদের চারপাশের পরিবেশও আল্লাহর তরফ থেকে আমাদের জন্য দেওয়া উপযোগী বাসস্থান। শুধুমাত্র শুয়োরের মত ইতর প্রাণীই নিজের আবাসস্থলকে নোংরা করে, আবর্জনার মধ্যে বসবাস করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। অথচ, আমরা সমাধানের কোন পথ না খুঁজেই, নিজের আশেপাশের মাটি-পানি-বাতাস দূষণ করে চলেছি। যেই খাল, নদী, নালা বা পুকুরে শুধু পানি থাকার কথা, সেখানে আমরা শুধু নিজেদের অজ্ঞতা, অবহেলা ও আলস্যের কারণে যাবতীয় সব আবর্জনা ফেলে ভর্তি করছি। অথচ মশামাছি বা জলাবদ্ধতার জন্য পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনকে ঠিকই দোষ দিচ্ছি। সরকার-প্রশাসনের কতৃপক্ষগুলোর যেমন এসব পরিস্কার করার দায়িত্ব আছে, তেমনি প্রত্যেক সাধারণ মানুষেরও কর্তব্য- যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকা।

ময়লা পরিস্কার করা কোন স্টান্টবাজি না। ময়লা পরিস্কার করা আমাদের নিজেদের সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য অপরিহার্য। কেউ এসে আবর্জনা পরিস্কার করে দিয়ে যাবে- এই জন্য আমরা সারা বছর জলাশয়গুলোতে, আবাদী জমিতে এবং যেখানে ইচ্ছা সেখানে ময়লা ফেলে যেতে পারি না। এসবের সমাধান আছে, সমাধান নিয়ে ভাবুন, পড়াশোনা করুন। সভ্য দেশগুলো এসব ব্যাপারে কি করেছে, সেটা জানতে চেষ্টা করুন। ইন্টারনেটকে ভালো কাজে ব্যবহার করুন।



সম্প্রতি ডেইলি স্টারে ছাপানো প্রতিবেদন থেকে জানলাম ঢাকা ভার্সিটির টিএসসিতে এই জিনিসটার কথা। সুন্দর হয়েছে; তবে স্কুল শিক্ষায় ওয়েস্ট রিডিউস, রিইউউজ, রিসাইকেল যাকে 'থ্রি-আর' বলা হয় তার কনসেপ্ট ঢুকানো না গেলে, এটাও কাজে আসবে না। বরং এটাও আরেকট হাতির খরচ প্রকল্প হিসেবে দেখা দিবে, জানি না এই বিন বানাতে ক্ষমতাবলয় সংশ্লিষ্ট সাপ্লায়ার কত নিয়েছে! এর আগেও বেশ সুন্দর তবে ছোট বিন দেয়া হয়েছিল কেউ ব্যবহার করেনি, এভাবে টাকা ঢালার মানে নাই।

পলিথিন, প্লাস্টিক বিনে কেন ফেলা দরকার, প্লাস্টিক দূষণে পরিবেশ, জীবচক্র, মাটি পানি মানুষের কি কি ক্ষতি হচ্ছে, দেশে ও বিশ্বের কি কি সমস্যা হচ্ছে তা ঠিক ঠাক বিস্তারিতভাবে স্কুল শিক্ষায় বা বয়স্ক শিক্ষায় না পড়ানো গেলে এসবে কাজে আসবে না।
নগরের মানুষ এবং তৃণমূল প্রশাসকরা যদি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্বই না বুঝে, তাইলে এসব কে ব্যবহার করবে? পাশাপাশি ময়লার সেইল ভ্যালু তৈরি করতে হবে। ময়লায় পূর্ণ বিন গুলো নিয়মিত ক্লিয়ার করার সংস্কৃতিও তৈরি করতে হবে সিটি কর্পোরেশানকে। অন্যথায় দেখেন এত সুন্দর বিন, তার বাইরেই সব ময়লা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.