নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বজনপ্রীতি আর ক্ষমতাধরের উত্তাপ

০৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:৩১

আমার বন্ধুর যুক্তরাজ্য প্রবাসী বড় ভাই ঈদ উপলক্ষে সপরিবারে দেশে এসেছিলেন। ফিরে যাওয়ার সময় সৌদি আরবে উমরাহ করার পরিকল্পনা করলেন।

ভাইয়া ভাবি, লাগেজ, বাচ্চাদের নিয়ে এয়ারপোর্টে ঢুকার মুহুর্তেই আনসার-ভিপিএন এর এক লোক ভাইয়া কে বলে টিকেট দেখান, পাসপোর্ট দেখান। ভাইয়া বলছে- আমি ট্রলি টা সাইড করেই দেখাচ্ছি, ব্যাগে আছে। সে কিছুতেই মানবেনা। সে ভাইয়ার ট্রলি ধরে ফেলসে। বলতেসে না এখানেই দেখাতে হবে। ভাইয়া বাচ্চাগুলোকে সাইডে রেখে ব্যাগ নিবে সেটা পর্যন্ত অপেক্ষা করছেনা। এরপর ভাইয়াও রেগে গেসে। বললো আপনি এভাবে ধরে রাখসেন কেন? আর সবাই টিকেট প্রিন্ট করে আনসে, ভাইয়া কেন আনেনি- সেটার জন্যও ঝামেলা শুরু করে দিয়েছে। ই-টিকেট যে প্রিন্ট করতে হয়না এটা ওকে বুঝানোই যাচ্ছেনা। এরপর সে আরো লোক নিয়ে আসছে। ভাইয়ার উপর সবাইকে মিথ্যা বলে ক্ষেপায় দিসে। সিভিল এভিয়েশন এর লোক আসছে। ওরাও ঘটনা না শুনে ভাইয়া কে যা-তা বলে ভয় দেখাচ্ছে। এক পর্যায়ে বলতেসে আপনি চিল্লাইসেন, আপনাকে আমি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে নিব। ভাইয়া বলসে, ওকে প্লিজ ডু ইট নাও, নাহয় আমি আপনার এগেইন্সটে ব্যবস্থা নিব (সিভিল এভিয়েশন এর অফিসার), নেন আমাকে কোন কোর্টে নিবেন।

এরপর ভাইয়া একজনের নাম বলসে, সাথে সাথে ওরা চুপ।। বলতেসে সরি স্যার, ভুল বুঝাবুঝি হইসে আমরা আসলে বুঝিনাই। আপনি আগে পরিচয় দেন নাই কেন?? ভাইয়ার কথা হল পরিচয় কেন দিতে হবে? আমিতো কোন ইলিগ্যাল কাজ করিনি বা সুবিধা নেইনাই, কেন আমাকে পরিচয় দিতে হবে? আমি এই দেশের ছেলে এটাই কি পরিচয় না?? এরপর ওরা বলতেসে, স্যার আমার ওয়াইফ-ও দেশের বাইরে থাকে। আমি বুঝি এই দেশে কোন সিস্টেম নাই, কেউ ব্যবহার জানেনা। ভাইয়া বললো এতক্ষন তাহলে আমাকে না জেনে বুঝে সময় নষ্ট করসেন কেন? আজকে যদি ফ্যামিলি আর ফ্লাইট টাইম কাছে না থাকতো কোর্ট আপনাদের কে আমি দেখায় ছাড়তাম। তারপর যে গার্ড ভাইয়ার ট্রলি আটকাইসে তাকে ডেকে ভেত্রে নিয়ে গেছে সিভিল এভিয়েশন, এরপর জানিনা কি হইসে।

ভাইয় বললো- সৌদি আরব যাচ্ছে দেখে এসব করসে। আজকে যদি লন্ডন যেতো- তাহলে ভয়ে এসব কিছু করতোনা। ওরা ভাবে মিডল ইস্ট-এ যারা যায়, তাদের সাথে এসব করে পার পাওয়া যাবে। রেমিট্যান্সের উপর নির্ভরশীল একটা দেশে- রেমিট্যান্স যোদ্ধাদেরকেই ঘরে/বাইরে/দুয়ারে সবখানে দুর্ব্যবহার/বাটপারি/অপরাধের মোকাবেলা করতে হয়। দূতাবাস থেকে শুরু করে গ্রামেগঞ্জে পর্যন্ত। কত প্রবাসী যে অপরিচিত ক্রিমিনাল থেকে শুরু করে আত্মীয়/বন্ধুদের কাছ থেকে পর্যন্ত হেনস্তা ও আক্রমণের শিকার হয় প্রতিনিয়ত।

ভাইয়া গতকালই এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর বাসায় দাওয়াত খেয়ে এলো। ভাইয়া যে কোম্পানিতে জব করে, সেখানে এর আগে কোন বাংগালী জব করেনি। আর মন্ত্রীসাহেব নাকি কোম্পানিটা চেনে। তাই কাল ভাইয়া কে দাওয়াত দিসিল। অনেক রাতে ফিরে এসেছে সেখান থেকে।

এখন সবার তো কিছু না কিছু কানেকশান থাকেই। বাট সেটার গরম কেন দেখাতে হবে??

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:২১

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: এ যে সোনার বাংলা। জোর যার মুল্লুক তার এখানে।

২| ০৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:২০

বিজন রয় বলেছেন: ক্ষমতা আর দাপট!!
এই নিয়েই আমাদের সময়।

ভাল কিছু তো নয়।

৩| ০৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:২৩

শায়মা বলেছেন: ঐ লোকের নামে অভিযোগ না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া উচিৎ না।

৪| ০৭ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৪

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমি প্রথম যেদিন এয়ারপোর্টে ঢুকেছিলাম সেদিন দেখেছিলাম সিলেটি লোকজন সব চেকইনে ইংরেজী বলতেছে! তাদের হাতের পাসপোর্টও ইউকের পাসপোর্ট। খুব অবাক হয়েছিলাম।

এর কয়েক বছর পর যখন নিজে দেশ ছাড়লাম (সৌদীর উদ্দেশ্যে) সেদিন বুঝলাম ঘটনা কি! আপনি মধ্যেখানে সত্য কথা বলেছেন যে সৌদী যাচ্ছে দেখে এত ঝামেলা করেছে। ঘটেও তাই। মিডিলইষ্টে আসা যাত্রীদের কোন দামই দিতে চায় না।

একবার বাসার জন্য দুই বোতল অলিভ অয়েল নিয়ে যাচ্ছিলাম। তারা ব্যাগ চেক না করেই বলে যে আমি নাকি এলকোহল নিয়ে যাচ্ছি, ১০,০০০ টাকা ট্যাক্স দিতে হবে। আমি বললাম আগে ব্যাগ খুলে দেখেন যে মদ নাকি তেল নিচ্ছি।

তবে একটা বিষয়। আমি যত দেশ ঘুরেছি, কোথাও প্রিন্টেড টিকিট না রাখলেও ঢাকা এয়ারপোর্টে রাখি। না রেখে উপায় নাই। এয়ারপোর্টের গার্ডেরা এখনও জানে না যে মোবাইলে টিকিট রাখা যায়, তারা আসলে দেখে অভ্যস্ত নয়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.