নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুলকে ভুল বলাটা সৎ সাহসের পরিচায়ক বরং নীরব থাকাটাই শয়তানি....

মোগল

মোগল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদ্যাসাগরের শেষ কুড়ি বছর ছিল নিতান্তই দুঃখময়।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০০



বিদ্যাসাগরের শেষ কুড়ি বছর ছিল নিতান্তই দুঃখময়। যাঁদের জন্য জীবনের প্রায় সর্বস্ব ত্যাগ করেছিলেন , আকন্ঠ ডুবে গিয়েছিলেন ঋণে , তাঁদের অধিকাংশই একে একে ওঁর কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন। অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিয়েও শেষ পর্যন্ত পাশে থাকেননি। নিজের ভাই হিন্দু প্রেসের স্বত্ব পাওয়ার জন্য শুরু করেছিলেন মামলা। ফলত ঋণ শোধের জন্য বাধ্য হয়েছিলেন সেই প্রেস বিক্রি করে দিতে। প্রথম বিধবা বিবাহকারী শ্রীশ চন্দ্রের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন সাগর পারে মাইকেল মধুসূদনকে বাঁচানোর জন্য। সময়মতো সেই টাকা শোধ না করার জন্য শ্রীশ হুমকি দিয়েছিলেন মামলা করার। নিজের ছেলের দুষ্কর্মের জন্য বাধ্য হয়েছিলেন তাকে ত্যাজ্যপুত্র করতে। স্ত্রীর সঙ্গেও তৈরি হয়েছিল ব্যবধান। ফলত একটু শান্তিতে থাকার জন্য নিঃসঙ্গ বিদ্যাসাগর শেষ পর্যন্ত কলকাতার তথাকথিত ভদ্র সমাজ ত্যাগ করে বেছে নিয়েছিলেন কার্মাটাড়ে সাঁওতালদের সান্নিধ্য। একবার কলকাতার একজন ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি বিদ্যাসাগরকে বলেছিলেন , পন্ডিত , তুমি আমাদের ছেড়ে চলে গেলে সাঁওতালদের কাছে ? অশিক্ষিত সাঁওতালরা তোমার এত প্রিয় ?
বিদ্যাসাগর ঋজুভাবে উত্তর দিয়েছিলেন , তোমাদের মতো বিত্তবান আর্য সন্তানদের থেকে আমার অশিক্ষিত সাঁওতালরা অনেক ভালো। তারা আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেনা।


বই- নিঃসঙ্গ ঈশ্বর (উপন্যাস)
লেখক- সমীরণ দাস

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বেদনাদায়ক।

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মিথ্যা, ফেক, বিশ্বাসঘাতকতা এই ৩ টি আমি সহ্য করতে পারিনা। কষ্টের পোস্ট।

৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৯

কামাল৮০ বলেছেন: বিদ্যা সাগর বেঁচে থাকবেন আরো বহু বছর।বাকিরা মরে ভূত হয়ে গেছে।

৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫১

অপ্‌সরা বলেছেন: মাইকেল মধুসুদনকে শেষ জীবনে অনেক ভাবেই সাহায্য করেছিলেন বিদ্যাসাগর আর তার নিজের জীবনেই এই অবস্থা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.