নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুলকে ভুল বলাটা সৎ সাহসের পরিচায়ক বরং নীরব থাকাটাই শয়তানি....

মোগল

মোগল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাউকে ব্লাডের জন্য কল দেওয়ার আগে কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখবেন।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৫

১- ডোনারের যাতায়াত খরর

২- যে বেলায় ব্লাড দিবে ঐ বেলার খাওয়ার খরচ

৩- ডাব, স্যালাইন পানি, কিছু ফলমূল কিনে দেওয়ার খরচ দেয়াটা কমনসেন্সের ব্যাপার এবং পরবর্তী ২৪ ঘন্টা ডোনারের খোঁজ খবর রাখবেন।

পারলে কোন এক সময় বাসায় দাওয়াত দিবেন।

ব্লাড দেয়ার আগে অনেকে ডোনার কে বলে ব্লাড দেয়া একটা কমন বেপার এগুলো না বলা।

অনেকে ভালবাসা নিয়ে আসে ব্লাড দিতে, কিন্তু এগুলা শুনে মন খারাপ করে ফেলে। যারা ব্লাড দেয় তারা বেশিরভাগই স্টুডেন্ট, মেসে থেকে পড়াশুনা করে। তারা প্রতিনিয়ত ব্লাড দেয়। অনেক সময় দেখা যায় পরের দিন এক্সাম, তবুও ব্লাড দেয়।

আবার, যারা ব্লাড খুঁজে দেয় তারাই জানে ১ ব্যাগ ব্লাড খুঁজে বের করা কতটা কষ্টের। সময়, শ্রম দিয়ে ডোনারকে খুজে বের করতে হয়। অনেকেই তো সেগুলা জানেনই না। এগুলা হাইড স্টোরি থাকে।

কিন্তু রোগীর রিলেটিভদের ব্যবহার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিবেকহীনতার পরিচয় দেয়। কোনো খোজ খবরই নিতে চায়না যে চরম এই বিপদের সময় এই রক্ত কোথা থেকে এলো। একজনকে বলে দেয়, তারপর মনে হয় সব দায়ভার ঐ বেচারার। নিজের সম্মান রক্ষার জন্য হলেও ঐ বেচারা ডোনারকে কেয়ার করে। অনেক ডোনার জবও করেনা। হয়তো আত্মীয় স্বজন, না হয় পরিচিত, নতুবা মানবতার জন্য মানুষের বিপদে এগিয়ে যায়।

নামীদামী হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারেন,একদিনে ৩/৪ হাজার টাকা করে কেবিন ভাড়া দিতে পারেন। কিন্তু যে মানুষটা তার সবথেকে মূল্যবান জিনিস দিয়ে আপনাকে হেল্প করছে,তার কদর করবেন না, তা হতে পারেনা।

যে দেশে ২৫০মিলি গ্রাম পানির বোতল কিনে খেতে হয়,সে দেশে বিনা টাকায় ৪৫০ মিলি গ্রাম রক্ত দাতাকে সম্মান করা আপনার কর্তব্য।

কোর্টেসি: খাদিজা

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০২

জুল ভার্ন বলেছেন: ভালো চিন্তা।

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৫

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: সুন্দর বলেছেন ।

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো বলেছেন
ধন্যবাদ

৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২৭

নীল আকাশ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। কোর্তেসি না কার্টেসি হবে।
অন্যের লেখা কপি করার সময় সেটার সূত্র উল্লেখ করে দেবেন। এই পোস্ট আমি মূল লেখিকার কাছে থেকে পড়েছিলাম।
শুভ কামনা।

৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৯

লিংকন১১৫ বলেছেন: একবার ল্যাব এইডে রক্ত দিতে গিয়ে ছিলাম ,
৪০ মিনিট রাস্তায় দারিয়ে থাকার পর আসলেন , তারপর রক্ত দেয়ার রুমে নিয়ে গিয়ে যে উধাও হলেন আর দেখা পেলাম না।
খোঁজ নিয়ে জানলাম , হামিম গ্রুপের বড় কোন কর্ম কর্তা, এর পড়ে বড় কোন হসপিটালে রক্ত দেই না ।
আমার রক্ত ভাই এতো সস্থা হয়ে যায়নি , আমার রক্ত আমার কাছে থেকে পচুক , তাও কাউরে দিমু না ।

৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৫

নাহল তরকারি বলেছেন: ওদের কত কষ্ট!

৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: এক সময়ে আমার এক সহপাঠির জন্য অনেক রক্তের প্রয়োজন হয়েছিল এবং তার ব্যবস্থা করতে গিয়ে দেখেছি এতে আসলে কতগুলি বিষয় জড়িত (আবেগ-সময়-মানবিকতা-প্রয়োজনীয়তা)।

যে বা যারা রক্ত দান করেন তারা অবশ্যই মহৎ এবং মানবিক। তবে এই মানবিকতা গ্রহন করতে গিয়েও যে আমরা তখন অমানবিক কাজ করেছি তা আপনার লেখা থেকে বুঝতে পারলাম। এই বিষয়গুলি আমাদের বা তার বাবা/মায়ের মাথায় ছিল বলেই মনে হয়না।

এমন চমতকার একটি লেখার জন্য ++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.