নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন শিক্ষক, লেখালেখি, সম্পাদনা ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি। বাংলাদেশ কে ভালবাসি। দেশের জন্য, মানুষের জন্য সামান্য হলেও কিছু করতে চাই।

মা, মাটি ও মানুষকে ভালবাসি। ভালবাসতে চাই।

বিএইচ মাহিনী

I am a social worker.

বিএইচ মাহিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৫

বাংলাদেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস (১৯২০-২০৭৯)

বাংলাদেশে দেশী বিদেশী মিলে মোট ৫টি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে...
১. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ (সরকারী)
২. ইসলামীক ইউিনিভার্সিটি অব টেকনোলজি-গাজীপুর (ওআইসি পরিচালিত)
৩. ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম (প্রাইভেট)
৪. বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা (প্রাইভেট)
৫. ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা (সরকারী)
বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস :

০১. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পূর্নাঙ্গ ইতিহাস :

১: বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একটি ইসলামী বিদ্যাপীঠ স্থাপনের উদ্যোগ অনেক পুরনো।
১৯২০ঃ সর্বপ্রথম ১৯২০ সালে মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী চট্টগ্রামের পটিয়ায়
#মুসলিম_বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ফান্ড গঠন করেন।
১৯৩৫ঃ মাওলানা শওকত আলি মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
১৯৪১ঃ মাওলা বক্স কমিটি
#ইউনিভার্সিটি_অব _ইসলামিক_লার্নিং ’ প্রতিষ্ঠার জন্য সুপারিশ করে।
১৯৪৬-৪৯ঃ ১৯৪৬-৪৭ সালে সৈয়দ মোয়াজ্জেম উদ্দীন কমিটি এবং ১৯৪৯ সালে মওলানা মুহাম্মদ আকরাম খাঁ কমিটি
#ইসলামী_বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সুপারিশ করে।
১৯৬৩ সালের ৩১ মে ড. এস. এম. হোসাইন-এর সভাপতিত্বে
#ইসলামী_আরবী বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন করা হয়
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার ১ ডিসেম্বর ১৯৭৬ সালে #ইসলামী_বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। ১৯৭৭ সালের ২৭ জানুয়ারি প্রফেসর এম. এ. বারীকে সভাপতি করে ৭ সদস্যবিশিষ্ট ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ২০ অক্টোবর ১৯৭৭ সালে রিপোর্ট পেশ করে।
৩১ মার্চ-৮ এপ্রিল ১৯৭৭ সালে মক্কায় অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ (ওআইসি)-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানদের এক সম্মেলনে বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়।
এই সুপারিশের ভিত্তিতে ১৯৭৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি প্রফেসর এ. এন. এম মমতাজ উদ্দীন চৌধুরীকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হয়। এই সুপারিশের ভিত্তিতে ২২ নভেম্বর ১৯৭৯ সালে কুষ্টিয়া শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে শন্তিডাঙ্গা-দুলালপুর নামক স্থানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।

০২. 'ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি' প্রতিষ্ঠার ইতিহাস :

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজি অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স বা OIC'র সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় । OIC'র ৫৭ টি দেশের ছাত্ররা এখানে পড়তে আসে । ১৯৭৮ সালে সেনেগালের ডাকারে অনুষ্ঠিত মুসলিম দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নবম বৈঠকে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর প্রকৌশল ও ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ ও গবেষণার কেন্দ্র হিসাবে বাংলাদেশের গাজীপুরে এটি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় । বাংলাদেশ সরকারের প্রদান করা ৩০ একর জমিতে ১৯৮১ সালের ২৭ এ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপিত হয় । সেসময় এটির নামকরণ করা হয় ICTVTR । ১৯৯৪ সালে মরক্কোর রাজধানী ক্যাসাব্লাঙ্কায় মুসলিম দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের তেইশতম বৈঠকে এটির নাম ইসলামিক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলোজি হিসাবে পরিবর্তন করা হয় । পরবর্তীতে ২০০১ সালের ২৫-২৭ জুন মালিতে অনুষ্ঠিত মুসলিম দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আঠাশতম বৈঠকে এটির নাম পুনরায় পরিবর্তন করে বর্তমানের ইসলামিক ইনিভার্সিটি অব টেকনোলোজিতে রূপান্তর করা হয় ।
প্রতিষ্ঠা
বাংলাদেশ সরকারের প্রদান করা ৩০ একর জমিতে ১৯৮১ সালের ২৭ এ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপিত হয় ।

০৩. আন্তর্জাতিক ইসলামী্ বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠার ইতিহাস :
আন্তর্জাতিক ইসলামী্ বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (ইংরেজি: International Islamic University Chittagong) সংক্ষেপে IIUC বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক অনুমোদিত একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়।[১] এটির স্থায়ী ক্যাম্পাস সীতাকুন্ডের কুমিরাতে অবস্থিত। [২] ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ট্রাস্ট(IUCT) এর তত্ত্বাবধানে থাকা এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ১১ই ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের Private University Act, 1992 [৩] এবং Societies Act XXI of 1860 [৪] আইনের আওতায় অনুমোদন লাভ করে, এবং সেই বছর থেকেই এর কার্যক্রম আরম্ভ হয়। ২০০৪ সালে UGC চালিত একটি জরিপে এটি শীর্ষ ৯ টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান লাভ করে। বর্তমানে ৩০০ জন শিক্ষক (২৫০ জন স্থায়ী) ও ১৬,০০০ জন ছাত্র এবং সর্বমোট ৪৭ একর আয়তনের ক্যাম্পাস নিয়ে এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। [৫]

০৪. বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রতিষ্ঠার ইতিহাস :
২০০৬ সালে সাইয়্যেদ কামাল উদ্দীন আব্দুল্লাহ আল জাফরী এর অনুরোধে প্রধান মন্ত্রী খালেদা জিয়া এটি চালু করেন।[২] সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন জাফরী বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান।[৩]

০৫. ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রতিষ্ঠার ইতিহাস :
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় হল ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের অধিভুক্ত প্রথম আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। মূলত মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার আধুকায়ন ও যুগোপযুগি করতে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্টা করা হয়েছে।[১]
ইতিহাস

২০১৩ সালে জাতীয় সংসদে পাস করা হয় বহুল প্রতিক্ষিত এফিলিয়েটিং (স্বতন্ত্র) ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে মাদরাসা শিক্ষাধারার ফাজিল/স্নাতক ও কামিল/স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ডিগ্রী প্রদান করা হয়। মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন, ফাজিল/স্নাতক, কামিল/স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষাক্রম/পাঠ্যপুস্তক অনুমোদন, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন, মাদরাসা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষাঙ্গনগুলোর তদারকি ও পরিবীক্ষণ এবং পরীক্ষা পরিচালনাসহ সার্বিক তত্ত্বাবধান করে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আইন প্রণয়ন করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন, গত ৬ আগস্ট ২০১২ ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১২ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা কমিটি। এটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো অনুমোদনকারী বা এ্যাফিলিয়েটিং ক্ষমতাসম্পন্ন ইসলামিক আরবি বিশ্ববিদ্যালয়।
সরকার ২০১০ সালে দেশের নামকরা ৩১টি মাদ্রাসায় অনার্স প্রোগ্রাম চালু করে। শুরু থেকে ৫টি বিষয়ে এই প্রোগ্রাম চালু রয়েছে।
হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ
আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ
আদ-দাওয়া অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ
আল আদাবুল আরবি (আরবি সাহিত্য)
ইসলামের ইতিহাস।
এই অনার্স ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থায় ফাজিল (পাস), ফাজিল (স্নাতক) এবং কামিল (স্নাতকোত্তর) শিক্ষা কার্যক্রম যেগুলো এযাবৎ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে ছিল, এখন থেকে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে পরিচালিত হবে। তবে সরকারী কারিকুলাম অনুযায়ী না চলার কারণে দেশের কওমী মাদরাসাগুলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হবে না।[২]
অধিভুক্ত মাদ্রাসা
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মাদ্রাসাগুলো হলোঃ কামিল মাদ্রাসা ২০৫টি, ফাজিল (সম্মান) ৩১টি, ফাজিল (অনার্স/পাস) ১০৪৯টি, সরকারি মাদ্রাসা ৩টি। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঁচ লাখ ৯৮ হাজার ৩১ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। এদের মধ্যে এক লাখ ৯৭ হাজার ৩৮৫ ছাত্রী। আর শিক্ষক রয়েছেন ২২ হাজার ৯২১ জন।
(সংকলিত) সূত্র : উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট।

বাংলাদেশে দেশী বিদেশী মিলে মোট ৫টি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে...
১. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ (সরকারী)
২. ইসলামীক ইউিনিভার্সিটি অব টেকনোলজি-গাজীপুর (ওআইসি পরিচালিত)
৩. ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম (প্রাইভেট)
৪. বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা (প্রাইভেট)
৫. ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা (সরকারী)
বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস :

০১. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পূর্নাঙ্গ ইতিহাস :

১: বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একটি ইসলামী বিদ্যাপীঠ স্থাপনের উদ্যোগ অনেক পুরনো।
১৯২০ঃ সর্বপ্রথম ১৯২০ সালে মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী চট্টগ্রামের পটিয়ায়
#মুসলিম_বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ফান্ড গঠন করেন।
১৯৩৫ঃ মাওলানা শওকত আলি মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
১৯৪১ঃ মাওলা বক্স কমিটি
#ইউনিভার্সিটি_অব _ইসলামিক_লার্নিং ’ প্রতিষ্ঠার জন্য সুপারিশ করে।
১৯৪৬-৪৯ঃ ১৯৪৬-৪৭ সালে সৈয়দ মোয়াজ্জেম উদ্দীন কমিটি এবং ১৯৪৯ সালে মওলানা মুহাম্মদ আকরাম খাঁ কমিটি
#ইসলামী_বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সুপারিশ করে।
১৯৬৩ সালের ৩১ মে ড. এস. এম. হোসাইন-এর সভাপতিত্বে
#ইসলামী_আরবী বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন করা হয়
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার ১ ডিসেম্বর ১৯৭৬ সালে #ইসলামী_বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। ১৯৭৭ সালের ২৭ জানুয়ারি প্রফেসর এম. এ. বারীকে সভাপতি করে ৭ সদস্যবিশিষ্ট ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ২০ অক্টোবর ১৯৭৭ সালে রিপোর্ট পেশ করে।
৩১ মার্চ-৮ এপ্রিল ১৯৭৭ সালে মক্কায় অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ (ওআইসি)-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানদের এক সম্মেলনে বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়।
এই সুপারিশের ভিত্তিতে ১৯৭৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি প্রফেসর এ. এন. এম মমতাজ উদ্দীন চৌধুরীকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হয়। এই সুপারিশের ভিত্তিতে ২২ নভেম্বর ১৯৭৯ সালে কুষ্টিয়া শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে শন্তিডাঙ্গা-দুলালপুর নামক স্থানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।

০২. 'ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি' প্রতিষ্ঠার ইতিহাস :

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজি অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স বা OIC'র সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় । OIC'র ৫৭ টি দেশের ছাত্ররা এখানে পড়তে আসে । ১৯৭৮ সালে সেনেগালের ডাকারে অনুষ্ঠিত মুসলিম দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নবম বৈঠকে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর প্রকৌশল ও ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ ও গবেষণার কেন্দ্র হিসাবে বাংলাদেশের গাজীপুরে এটি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় । বাংলাদেশ সরকারের প্রদান করা ৩০ একর জমিতে ১৯৮১ সালের ২৭ এ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপিত হয় । সেসময় এটির নামকরণ করা হয় ICTVTR । ১৯৯৪ সালে মরক্কোর রাজধানী ক্যাসাব্লাঙ্কায় মুসলিম দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের তেইশতম বৈঠকে এটির নাম ইসলামিক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলোজি হিসাবে পরিবর্তন করা হয় । পরবর্তীতে ২০০১ সালের ২৫-২৭ জুন মালিতে অনুষ্ঠিত মুসলিম দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আঠাশতম বৈঠকে এটির নাম পুনরায় পরিবর্তন করে বর্তমানের ইসলামিক ইনিভার্সিটি অব টেকনোলোজিতে রূপান্তর করা হয় ।
প্রতিষ্ঠা
বাংলাদেশ সরকারের প্রদান করা ৩০ একর জমিতে ১৯৮১ সালের ২৭ এ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপিত হয় ।

০৩. আন্তর্জাতিক ইসলামী্ বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠার ইতিহাস :
আন্তর্জাতিক ইসলামী্ বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (ইংরেজি: International Islamic University Chittagong) সংক্ষেপে IIUC বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক অনুমোদিত একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়।[১] এটির স্থায়ী ক্যাম্পাস সীতাকুন্ডের কুমিরাতে অবস্থিত। [২] ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ট্রাস্ট(IUCT) এর তত্ত্বাবধানে থাকা এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ১১ই ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের Private University Act, 1992 [৩] এবং Societies Act XXI of 1860 [৪] আইনের আওতায় অনুমোদন লাভ করে, এবং সেই বছর থেকেই এর কার্যক্রম আরম্ভ হয়। ২০০৪ সালে UGC চালিত একটি জরিপে এটি শীর্ষ ৯ টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান লাভ করে। বর্তমানে ৩০০ জন শিক্ষক (২৫০ জন স্থায়ী) ও ১৬,০০০ জন ছাত্র এবং সর্বমোট ৪৭ একর আয়তনের ক্যাম্পাস নিয়ে এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। [৫]

০৪. বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রতিষ্ঠার ইতিহাস :
২০০৬ সালে সাইয়্যেদ কামাল উদ্দীন আব্দুল্লাহ আল জাফরী এর অনুরোধে প্রধান মন্ত্রী খালেদা জিয়া এটি চালু করেন।[২] সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন জাফরী বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান।[৩]

০৫. ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রতিষ্ঠার ইতিহাস :
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় হল ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের অধিভুক্ত প্রথম আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। মূলত মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার আধুকায়ন ও যুগোপযুগি করতে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্টা করা হয়েছে।[১]
ইতিহাস

২০১৩ সালে জাতীয় সংসদে পাস করা হয় বহুল প্রতিক্ষিত এফিলিয়েটিং (স্বতন্ত্র) ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে মাদরাসা শিক্ষাধারার ফাজিল/স্নাতক ও কামিল/স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ডিগ্রী প্রদান করা হয়। মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন, ফাজিল/স্নাতক, কামিল/স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষাক্রম/পাঠ্যপুস্তক অনুমোদন, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন, মাদরাসা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষাঙ্গনগুলোর তদারকি ও পরিবীক্ষণ এবং পরীক্ষা পরিচালনাসহ সার্বিক তত্ত্বাবধান করে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আইন প্রণয়ন করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন, গত ৬ আগস্ট ২০১২ ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১২ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা কমিটি। এটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো অনুমোদনকারী বা এ্যাফিলিয়েটিং ক্ষমতাসম্পন্ন ইসলামিক আরবি বিশ্ববিদ্যালয়।
সরকার ২০১০ সালে দেশের নামকরা ৩১টি মাদ্রাসায় অনার্স প্রোগ্রাম চালু করে। শুরু থেকে ৫টি বিষয়ে এই প্রোগ্রাম চালু রয়েছে।
হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ
আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ
আদ-দাওয়া অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ
আল আদাবুল আরবি (আরবি সাহিত্য)
ইসলামের ইতিহাস।
এই অনার্স ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থায় ফাজিল (পাস), ফাজিল (স্নাতক) এবং কামিল (স্নাতকোত্তর) শিক্ষা কার্যক্রম যেগুলো এযাবৎ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে ছিল, এখন থেকে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে পরিচালিত হবে। তবে সরকারী কারিকুলাম অনুযায়ী না চলার কারণে দেশের কওমী মাদরাসাগুলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হবে না।[২]
অধিভুক্ত মাদ্রাসা
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মাদ্রাসাগুলো হলোঃ কামিল মাদ্রাসা ২০৫টি, ফাজিল (সম্মান) ৩১টি, ফাজিল (অনার্স/পাস) ১০৪৯টি, সরকারি মাদ্রাসা ৩টি। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঁচ লাখ ৯৮ হাজার ৩১ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। এদের মধ্যে এক লাখ ৯৭ হাজার ৩৮৫ ছাত্রী। আর শিক্ষক রয়েছেন ২২ হাজার ৯২১ জন।
(সংকলিত) সূত্র : উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.