নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন শিক্ষক, লেখালেখি, সম্পাদনা ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি। বাংলাদেশ কে ভালবাসি। দেশের জন্য, মানুষের জন্য সামান্য হলেও কিছু করতে চাই।

মা, মাটি ও মানুষকে ভালবাসি। ভালবাসতে চাই।

বিএইচ মাহিনী

I am a social worker.

বিএইচ মাহিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পদ্মকাহন

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪১

পদ্মকাহন
-বিলাল মাহিনী

খালের শান্ত স্রোতে ডুঙায় চড়ে গভীর বিলের মাঝে
একখানি বাঁশের আগা; বৈঠা বানিয়ে ছুটে চলা...
দুজন আনাড়ি মাঝি ভয়ে ভয়ে বৈঠা মেরে চলছে সম্মুখ পানে,
মাঝে মাঝে; ডুঙায় জল ভরছে চুইয়ে চুইয়ে।
দুনিয়ার তাবত জল যেনো এ বিলে। বৃত্তাকার অথৈ জলরাশি চারিদিকে করছে খেলা। দূরের গাছগাছালি সব যেনো ঘোমটায় ঢাকা।
কচুরিপনা ভরা খাল। অথৈ বিলের বুক চিরে তাই ছুটে চলা...
চলার পথে ডুঙার মাথায় দাঁড়িয়ে বাঁশের বৈঠার খোঁচা মেরে; চলছে এগিয়ে, দু’ধারের সাদা শাপলা আর কলমি তোলার প্রতিযোগ!
কলো জল কুচ বরণ কণ্যা হয়ে রোদের চুমুতে হাসে
মাঝ বিলে অঢেই পানিতে গোলাপ শুভ্র পদ্ম’র সাক্ষাৎ।
পদ্মরা স্বাগত জানালো; ‘শুভ দুপুর’ বলে!
হাজারো দৃষ্টিকাড়া পদ্ম হাতের স্পর্শে হেসে কুটি কুটি হলো
ওদের যৌবনা ভগ্নিদের তুলে নিতেই; পদ্মদের সেই হাসি যেনো ম্লান হয়ে গেলো। ওদের অশ্রু, ফোঁটা ফোঁটা ঝরে বিলের জলে বান ডেকে গেলো।
পদ্ম পাতারা ভ্রু কুঁচকে ‘শাপ’ দিলো।
শত পদ্ম সমোস্মরে বলে ওঠলো, ‘আমাদের ভগ্নি-কণ্যাদের এভাবে নিয়ো না। ওদেরকে আমাদের সাথে থাকতে দাও। তবু ওদের কান্না, বেদনা আকুতি কোনো কিছুতেই মন গললো না নিঠুর পদ্ম প্রেমিদের।
পদ্মরা বললে, আজ তোমরা আমাদের যৌবনা ভগ্নিদের তুলে নিচ্ছ, হেমন্তে আমাদের সমূলে উফঁড়ে সবুজ-সোনার ফসলে মুড়বে গোটা বিল। তো, আমরা কোথায় যাব? পৃথিবীতে আমরা কিছু জলাকার চাই। আমাদের জন্য আলাদা বাসস্থান চাই। চাই বাসভূমি; বেঁচে থাকার অধিকার।
আমরা বাঁচতে চাই, বাঁচতে চাই, বাঁচতে দাও! প্লিজ বাঁচতে দাও।
এমন অসংখ্য পদ্ম নিয়ত ধর্ষিত লাঞ্ছিত নিহত হয়ে ঝরে পড়ছে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে। তারাও চায় বাঁচার স্বাধীনতা।
বিশ্বের সব পদ্মরা ফিরে পাক স্বাধনতা, বুর্জোয়া পুঁজিবাদী ধনবাদীরা নিপাত যাক!
২৮-৮-২০১৮

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.