নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাবাধনের মা

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২



এইটি আমাদের গ্রামের একজন অতি দরিদ্র মাতার কাহিনী।

আমার ছেলেবেলায়, আমাদের গ্রামর বেশীরভাগ পরিবারই ছিলো দরিদ্র; এরমাঝে ২টি পরিবার ছিলো একেবারেই হত-দরিদ্র; তাদের বাড়ীটি ছিলো গ্রামের ঠিক মাঝখানে; দুই ভাইয়ের সংসার। আমার বয়স যখন ৫/৬ বছর, তখন থেকেই আমি সেই বাড়ীতে যেতাম; ওদের উঠানে ২টি কুল গাছ ছিলো, আমরা গিয়ে কুল খেয়ে আসতাম।

বর্ষাকালে ঐ বাড়ী যেতে হলে লেংটা, পেংটা হয়ে পানি ভেংগে যেতে হতো; সে রাড়ী থেকে বের হওয়ার কোন রাস্তা ছিলো না, রাড়ীর উত্তর ও পশ্চিম পাশ দিয়ে অগভীর প্রাইভেট খাল ছিল, যা' পুর্ব-মাঠের পানি নিয়ে যায় পশ্চিম-মাঠে; বাড়ীর পুর্ব পাশে ধানের জমি, দক্ষিণ দিকে অন্যদের বাড়ী।

দুই ভাই'এর ২ পরিবার; বড় ভাই জহুরুল হক, ছোট ভাই রেনুমিয়া মাষ্টার। রেনুমিয়া মাষ্টার আমার চেয়ে ৮/৯ বছরের বড় ছিলেন; ইনি জীবনে ১ দিনও স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাননি; কিন্তু বাংলা যেকোন বই ভালোভাবে পড়তে পারতেন ও বুঝতেন; গ্রামের স্বশিক্ষিত এক পন্ডিতের কাছে পুঁথি পড়া শিখেছিলেন; পেশায় কৃষি কাজের কামলা।

জহুরুল হক ছিলেন খুবই রোগা, তিনি চাষের কাজকর্ম পারতেন না; তবে, সপ্তাহে ২ দিন গ্রামের বাজারে, শহর থেকে আগত তরিতরকারী-ফলমুলের পাাইকারী ক্রেতাদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে মোটামুটি কিছুটা আয় করতেন। তিনি গ্রামবাসীকে না জানিয়ে, খাগড়াছড়ির এক মেয়েকে বিয়ে করে নিয়ে এসেছিলেন ১ কাপড়েই; বউয়ের নাম ছিলো আনোয়ারা, ডাক নামছিলো আনু। আনু খাগড়াছরির পাহাড়ের ভেতরে, সরকারী খাস জমিতে বস্তির মত এক পাড়ায় বড় হয়েছিল। আনুর মা নাকি লতাপাতা হয়ে জহুরুল হকের খালা হতো; গ্রামের লোকেরা এই বিয়ে মেনে নিচ্ছিলো না, তাদের না জানিয়ে বিয়ে? কিন্তু বউ দেখার পর, সবাই চুপ; বউ বেশ লম্বা, অনেক বেশী সুন্দরী।

হককে এত সুন্দরী মেয়ে দেয়ার কারণটা অল্পদিনের ভেতর বুঝ গেলো, মেয়েটা মোটাকুটি পাগলাটে ধরণের। দরিদ্র ও রোগা হক কাজকর্ম তেমন করতে পারতো না; অসুবিধা নেই, আনু গ্রামের চাষী পরিবারগুলোকে সাহায্য করে নিজের দরিদ্র সংসার মোটামুটি চালিয়ে নিচ্ছিল। আমি ৯ম শ্রেণীতে পড়ার সময়, হকের মৃত্যু হলো, ছেলেমেয়ে মিলে ৩ জন। বাচ্চা হওয়ার পর থেকে আনুর নাম হয়ে গেছে হাবাধনের মা; বড় মেয়ের ডাক নাম হাবাধন।

হকদের বাড়ীটা অনেক আগেই হকের বাবা বিক্রয় করে ফেলেছিলো পাশের বাড়ীর এক ধনী লোকের কাছে; হকেরা বাড়ীতে থাকতো, তবে মালিকানা তাদের ছিলো না। বাড়ীর বর্তমান মালিকের নাম ফারুক মাষ্টার, উনি হাইস্কলের শিক্ষক ছিলেন। হকের মৃত্যুর পর, ফারুক মাষ্টার বাড়ীটা নিজের দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন; কিন্তু গ্রামের কিছু মানুষের সহানুভুতি থাকায়, আনুকে আরো বছর খানেক বাড়ীতে থাকার অনুমতি দেয়া হলো; গ্রামের মানুষগুলোকে আমি ও রেনুমিয়া মিলে অনুরোধ করেছিলাম। বছর চলে যাবার পর ফারুক মাষ্টার তাগাদা দিতে লাগলো, এবং আনুকে সামান্য টাকা দিয়ে আনুর মায়ের কাছে চলে যাবার বুদ্ধি দিয়ে, চলে যাবার দিন তারিখ ঠিক করে দিলো। কিন্তু সে মায়ের কাছে যেতে চাহে না, ওখানে সবাই দরিদ্র।

আনুদের বাড়ীর উত্তর দিকের খালের উত্তর পাড়টা ছিলো আমাদের জমির সাথে লাগানো; বর্ষাকালে, খালে জাল ফেলে আমি প্রায়ই মাছ ধরতাম; খালের দক্ষিণ পারে আনুর ঘর, আনু প্রায়ই এসে কিছু মাছ নিয়ে যেতো; এবার তার বাড়ী ছেড়ে চলে যাবার দিন চলে এসেছে; আমি খুুব ভোরে, বেলা উঠার আগে গিয়ে মাছ ধরতে ছিলাম; হঠাৎ দেখি, আনু পরণের কাপড় কোমরের উপরে তুলে পানি ভেংগে এপারে এসে উঠলো, আমি হতবাক; উনি কিছুই মনে করেনি। তিনি বললেন,
-আমি মাছের জন্য আসিনি; আমি এই গ্রাম ছেড়ে যাবো না, আমার যাওয়ার মতো যায়গা নেই!
-আমি ছাত্র মানুষ, আমার কথা ফারুক মাষ্টার কি তা মানবেন?
-আমি জানি না, আপনারা আছেন, আমার ভিটায় আমি ছেলেমেয়ে নিয়ে থাকবো, আমি কোথায়ও যাবো না।
-আমি চাই আপনি থাকেন; কিন্তু গ্রামের মানুষ তো ফারুক মাষ্টারের পক্ষে কথা বলবেন।
-মানুষ যা বলে বলুক, আপনি আমার থাকার পক্ষে বলবেন, আমি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে কথা বলেছি, তারা আপনার কথা বলেছে।

আমি অবশ্য গ্রামের এটাসেটার সাথে যুক্ত আছি; কিন্তু ফারুক মাষ্টারের সাথে এই ব্যাপারে কিছু করতে পারবো বলে আমার মনে হচ্ছি না। সেদিন সন্ধ্যায় মাষ্টার সাহেব আমাকে ডেকে পাঠালেন; আমি উনার বাড়ি গেলাম; তিনি একটু নীচু গলায় বললেন,
-তুমি ছোট ছেলে, আনু গ্রামে কি করছে তুনি জানো না, সে ছেলেদের চরিত্র নষ্ট করছে; শুনলাম, তোমাকে ভুলানোর চেষ্টা করছে।
-আপনি ভুল শুনেছেন; সে তার বাচ্চাদের নিয়ে কষ্টে বেঁচে আছে; তাকে ঘরে থাকতে দেন, ৩ টা বাচ্চা নিয়ে সে মায়ের কাছে গিয়ে কিভাবে চলবে?
-সে কিভাবে চলবে, সেটা ভাবার আগে আমাকে গ্রামের ছেলেদের চরিত্র নিয়ে ভাবতে হবে; তুমিও ঠিক হয়ে যাও।

আমি বিদায় নিয়ে চলে এলাম; গ্রামের অনেকের সাথে আলাদাভাবে কথা বললাম, সবাই চায়, আনু নিজ ঘরে থাকুক।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১

আমিন রবিন বলেছেন: পরে কী হল? আনু কি থাকতে পেরেছিলেন?

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



এখনো আছে, একই কষ্টে আছে; ছেলেটো বাবার মতো, দুর্বল, রিক্সা চালায়।

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,




শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ ..............
তা আনুর কপালে কি শেষ পর্যন্ত নিজের ভিটেমাটির কিছু জুটেছিলো ?

একালের মতোই সেকালেও প্রতাপশালীদের বিরূদ্ধে কিছু বলা যেতনা। পার্থক্য , সেকালে সভ্রম ও শ্রদ্ধার কারনে বলা সম্ভব হতোনা, একালে লাশ হয়ে পড়ে থাকার ভয়ে কোনও কিছুই বলা সম্ভব হয়না।

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওরা এখনো নিজ বাড়ীতে আছে; চট্টগ্রামের লোকজন এই ব্যাপারে ভালো; দেশের উত্তর ও পশ্চিমান্চলের মতো নয়; চট্টগ্রামের লোকেরা গরীবদের অধিকারের বেলায় একটু ভালো।

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনার এই কাহিনী গুলো পড়লে সহজ-সরল গ্রামীণ জীবনের ছবি পাওয়া যায়।

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:




আমি এখনো গ্রামের লোক, শহরের কোন স্মৃতি আমার নেই।

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২১

আল ইফরান বলেছেন: আপনার প্রথম জীবনের গল্পগুলোর মধ্যে একটা কেমন যেন মায়া থাকে। এই যুগে আনুরা হয় গার্মেন্টস শিল্পের সস্তা শ্রমিক অথবা শহরে ঠিকে-ঝি এর কাজ করতে হতো।

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওর বড় মেয়েটাকে ১ প্রতারক বিয়ের নামে দুবাই নিয়ে কাজে লাগায়ে দিয়েছিলো; মেয়েটা পরে পালিয়ে এসেছিল, আর বিয়ে হয়নি।

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শেষ পর্যন্ত শ্বশুর ভিটায় জায়গা পেয়েছিলো ?

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



এখনো আছে সেই বাড়ীতে; বাচ্চারা ভালো করতে পারেনি, বেঁচে আছে।

৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: যদি অনুমতি দেন একটা কথা বলতাম।

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



বলেন; এটা ব্লগ, কমেন্ট করতে অনুমতির দরকার নেই!

৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৫

দয়িতা সরকার বলেছেন: আপনার সৃতি চারণ গল্পগুলতে এমন ভাবে সমাপ্তি টানেন যে পরে কী হোল জানতে উদগ্রীব থাকতে হয়।

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওরা এখনো ঐ বাড়ীতে আছে, চিটাগং'এর মানুষজন এসব ব্যাপারে, বাংলাদেশের অন্য এলাকা থেকে ভালো।

সব বলে দিলে, আজকাল লোকজন মন্তব্য করতে চায় না; ছোট টেকনিক

৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: লেখক বলেছেন:
বলেন; এটা ব্লগ, কমেন্ট করতে অনুমতির দরকার নেই!
তা ঠিক আছে । কিন্তু মাঝে মাঝে আপনি রেগে যান যে। আসলে আপনার লেখা গল্পগুলি মনের গভীরে দাগ কাটে এইসব অতি বাস্তব ঘটনা সব একসাথে করে একটা বই করার অনুরোধ করছি।

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনাকে ধন্যবাদ; বই'এর কথা ভাবছিলাম, আমি সামান্য অসুস্হ হয়ে যাওয়ায়, বাদ দিয়েছি।

৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫১

মেটালক্সাইড বলেছেন:
পেরাইভেট খাল আবার কি জিনিস মুরুব্বী ?
এককানা বুঝইয়েনে যদি হন।

কিছুদিন আগে আপনার পোস্টে মন্তব্য ১০০ বছর আগে বাংগালী ও সমকালীন বাংগালীর মধ্যে জ্ঞানের বা শিক্ষার ব্যবধানের কথায় প্রতিউত্তরে বিদ্যাসাগরের উপমা দিয়েছিলেন।
সেদিন আমার মন্তব্য যে অর্থটা করেছিলাম, তার উপমা আপনি নিজেই দিলেন আজ।
"রেনুমিয়া মাস্টার আমার চেয়ে ৭/৮ বছরের বড় ছিলেন; ইনি জীবনে ১ দিনও স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাননি; কিন্তু বাংলা যেকোন বই ভালোভাবে পড়তে পারতেন ও বুঝতেন;"
অক্ষরজ্ঞান কম থাকা সত্ত্বেও প্রখর বোধশক্তি ছিল মানুষের সেসময়ের মানুষের।

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


গ্রামের পুর্ব ও পশ্চিম পাশে ধানের মাঠ, মাঝখানে গ্রাম, উত্তর-দক্ষিণে প্রবলম্বিত। পুর্ব মাঠ থেকে পানি নিস্কাশন সমস্যা ছিলো; গ্রামের মানুষ, বাড়ীগুলোর মাঝ-বরাবর নিজেদের জায়গা ছেড়ে দিয়ে খাল করেছিলেন; তবে, যারা জমি দিয়েছেন, সেখানে মাছ ধরার অধিকার ছিলো; এটাই প্রাইভেট খাল।

লালনের সময় ১ জন লালন ছিলেন; ইহা বলে না যে, সেই সময়ের মানুষ শিক্ষিত ছিলেন।

১০| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৪

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া মেয়ের নাম হাবাধন? ন হাবাধন মেয়েদের নাম হয় নাকি?

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


নামটা শুনলে আমারও খারাপ লাগতো, মেয়েটা মায়ের মতো কিছুটা হাবা ধরণের ছিলো; কে বা কারা ওকে হাবা ডাকার পর, ওর মা আদর করে 'ধন' যোগ করার পর, উহা 'হাবাধন' হয়ে গেছে, গ্রামের মানুষ!

১১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৮

শায়মা বলেছেন: মা তো আসলেই একটা আস্ত হাবা। কে বা কারা হাবা নাম দিলো মেয়ের আর উনি আবার সাথে ধন যোগ করে দিলেন। মায়ের নাম রাখা দরকার ছিলো আস্ত হাবাধন। মেয়ে হাফ হাবাধন। যাইহোক গ্রামের মানুষ মাঝে মাঝে শয়তানের লাঠি মার্কা কাজ করে যেমন এই মেয়েটার নাম দেওয়া।

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আনু খুবই ভালো মহিলা ছিলেন, এখনো ভালো; কিন্তু মহিলাটি নিজেই বেশ পাগলাটে ছিলেন; ১ম মেয়েটাারও সেই সমস্যা ছিলো। তবে, মানুষের সহনুভুতি পেয়েছে পরিবারটা; আমি বাংলাদেশের অন্য অন্চলের মানুষজনকে দেখেছি, সেই তুলনায় চট্টগ্রামের মানুষ বেশী সদয়।

১২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: আমি পরিচালক হলে এই ঘটনা নিয়ে একটা সিনেমা বানাতাম।

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি দেশের পশ্চিম, উত্তর পশ্চিম এলাকায় গেলে অনেক করুণ অবস্হা দেখতে পাবেন।

১৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৩

মেটালক্সাইড বলেছেন: লালনের সময় ১ জন লালন ছিলেন; ইহা বলে না যে, সেই সময়ের মানুষ শিক্ষিত ছিলেন।

আর তাইতো লালনের বার্তাকে সমকালীন শিক্ষিত মূর্খরা মহা সমারোহে শ্রাদ্ধ করে চলেছে।

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার মুল বক্তব্যটা আমি ভুলে গেছি।

১৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১০

রামিসা রোজা বলেছেন:
কিছু দুর্বল ও অসভ্য মানুষেরা অযাচিতভাবে একজন
অসহায় নারীর চরিত্রের উপর দোষ দিয়ে তাকে গ্রামছাড়া
করতে চেয়েছিল,সময়ের সাথে সে ধারণা সবাই পাল্টে
গিয়েছে । কষ্ট লাগছে উনার ( আনোয়ারা) জন্যে ।

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



দরিদ্র পরিবারের নারীরা জীবনে সুখী হতে পারেন না।

১৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:২১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি দেশের পশ্চিম, উত্তর পশ্চিম এলাকায় গেলে অনেক করুণ অবস্হা দেখতে পাবেন।

মানুষের দুঃখকষ্ট আমি সহ্য করতে পারি না। এজন্য দুঃখী মানুষদের এড়িয়ে চলি। যেহেতু তাদের জন্য কিছু করতে পারবো না।


অনেকদিন ব্লগার 'ঠাকুরমাহমুদ' কে ব্লগে দেখছি না। কোথায় গেলো?

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্যবসার কাজে ব্যস্ত,মনে হয়। তদুপরি, ব্লগিং কিছুটা বোরিং হয়ে গেছে।

১৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:০৬

জুন বলেছেন: চিটাগং সীতাকুণ্ড কাপ্তাই মিলিয়ে বেশ কয়েকবছর থাকা হয়েছিল। সীতাকুণ্ড তো আমাদের বাসার পরই যেন গ্রাম শুরু হয়েছিল। অনেক ছোট থাকলেও আবছা মনে পরে সেই মাটির নিকানো পুছানো, শনের চাল আলা ঘরে থাকা মানুষগুলোর কথা। সেখানে একটা মেয়ের নাম ছিল চিকদনী। মহাব্যাতিক্রমী নামের জন্য নামটা আমার মনে আছে। কিছুদিন আগে আমার বড় ভাইয়ের সাথে আলাপে এর মাহাত্ম্য জানলাম। সে নাকি জন্মের পরে এমন চিৎকার দিয়েছিল তার জন্য এই নাম :|

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



চিকধন নামে আমাদের গ্রামেও একজন ছিলেন, তিনি ছিলেন অনেক সুন্দরী; কে জানে, আপনার আর আমার জানা চিকধন একই জন কিনা!

১৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: না বলে ব্লগারদের হুটহাট নাই হয়ে যাওয়া টা আমার পছন্দ না। মানুষের কাজ থাকতে পারে। কিন্তু ব্লে গেলে সমস্যা টা কি? আজিব!

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



কোন ব্লগার চলে গিয়ে আপনাকে দু:খ দিলো?

১৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মনে দাগ কেটে যাওয়া ঘটনা। আপনার স্মৃতিচারণ পড়ে পরবর্তী ঘটনা জানতে প্রবল ইচ্ছা জাগছিল।। এক নম্বর প্রতিমন্তব্যে তার উত্তর পেয়ে গেছি। ঠিকই তো আর্থিক উন্নতি না হলেও থাকার জায়গাটা যে পেয়েছে এটাই বা কম কিসের।

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



গ্রামবাসীর চাপে ফারুক মাষ্টার আনুদের উৎখাত করতে পারেনি; কারণ, উনি নামমাত্র টাকায় বাড়ীটা কিন ছিলেন।

১৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২২

রানার ব্লগ বলেছেন: ভালো লেগেছে, আপনার যুদ্ধ দিনের ইতিহাস গুলো বলেন।

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



বলবো এক সময়ে

২০| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এখনো বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে অল্প বয়স্ক বিধবা মহিলাদেরকে সমাজ প্রধানরা খুবই চাপের মুখে রাখেন। তারা মনে করেন এরাই যেন সমাজটাকে নষ্ট করে দিচ্ছে।

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



সমাজ চালানোর মত কতজন মানুষ আছেন সমাজে?

২১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চিরচেনা অজ-পাড়াগাঁয়ের চিত্র।

অশেষ শুভকামনা রইল ভাই।

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


এদেরকে সরকার, প্রশসন কোনভাবে সাহায্য করেনি।

২২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ছোট গল্পের অন্যতম বৈশিষ্ট শেষ হয়েও হলোনা শেষ , গল্টটিতে হয়েছে পরিস্ফুট।
গ্রামীণ এলাকায় দিন দুখি মানুষের জীবনাচার ও তাদের জায়গা জমি বেচা কেনা এবং দখলের
কলাকৌশল রয়ে গেছে অনেকটা সেই আগের মত ,হালে তার সাথে যুক্ত হচ্ছে শিক্ষিত মানুষজনও ।
এর হাত হতে উত্তরণের উপায় নির্ধারণ করার সময় এসেছে। সকলকে সচেতন হয়ে প্রতিরোধ গড়ে
তুলতে হবে হবে।

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



৫০ বছর চলে গেলো, কেহ এদেরকে সাহায্য করলো না; শেখ হাসিনা একাধারে ১২ বছর সময় পেলেন, কাজে লাগাতে পারেননি।

২৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮

জাহিদ হাসান বলেছেন: আমি ব্লগ থেকে অবসর নিয়েছি। ভালো থাকবেন চাঁদগাজী। আমি আপনার থেকে অনেক কিছু শিখেছি। জীবনে কাজে লাগবে। বিদায়।

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগ থেকে চলে গেলে আপনি সাধারণ বাংগালী হয়ে যাবেন শীঘ্রই, ব্লগে থাকেন।

আমার ৬ টা নিক খেয়ে ফেলেছে সামু, কত শতবার জেনারেল করা হয়েছে সেটার হিসেবে নেই; এই বছরের ৪ ভাগের ১ ভাগ সময় হয়তো ব্যানে ম্যানে, জেনারেল হয়েছিলাম,

ব্লগে থাকেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.