নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জলরং ক্যানভাস

দ্য ওয়ে আই ফিল ইট...

বৃশ্চিক

অ্যান আউটসাইডার অ্যাম আই। অর, পারহ্যাপস, নোবডি এট অল...

বৃশ্চিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাকিমের পাকোড়ার সূত্রে বইমেলা স্মরণ

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭


শাহবাগের বাতাসে নিঃশ্বাস নিয়ে যারা বাঙলা একাডেমিতে শ্বাস ফেলবেন, রাজু ভাস্কর্যের কাছাকাছি এসে ডানে তাকানোর নিয়ম রয়েছে তাদের... ওখানেই সিঙ্গারা সমুচার সাথে সাথে অনেক বেস্টসেলার রান্না হয়...

এখন বেস্টসেলারে আপত্তি আছে এমন মানুষের খবরও খানিকটা জানা যাচ্ছে... অথবা তাড়াহুড়া আছে খুব.. একদিন পরেই পোস্টিং নিয়ে দিনাজপুর কিংবাং রিয়াদ অ্যাম্বেসিতে গিয়ে সেলফি তুলতে হবে... কিংবা দোস্ত-আত্মীয়-পুরনো কলিগদের সরেজমিন দেখাতে হবে ভূমধ্যসাগরের জল আসলেই কতটা নীল... ঠিক আছে, তাহলে আপনি আগান, হাকিমের দিকে তাকায়ে কাজ নাই...

এখন যদি বলি হাকিম গাছের তলে যাওয়ার আগে চারুকলার গেট, নজরুলের মাজার, সেন্ট্রাল মসজিদ, নাট্যকলা থিয়েটার, লাইব্রেরির করিডোর পার হয়ে আসতে হয়.. অন্য পথে গুটিকয় হলের প্রচ্ছদ, টিচার্স ক্লাব, ল্যাবরেটরি স্কুল, মল চত্বর, ভিসির দাঁড়োয়ান, অপরাজিত বাংলা-ইংরেজি, ডাকসুর ক্যান্টিন পার হ'তে হয়... যদি বলি এইসব এক একটি অনিবার্য স্টেশানের স্বাদ-গন্ধ-চিন্তায় ভীষণভাবে আক্রান্ত না হলে কখনও কেউ হাকিমের ছায়ায় পৌঁছতে পারে না... তখন অনেকেই হাসবে, কাঁদবে দু-একজন... বাকিরা মৌসুমি পর্যটকের মতো হাকিমের বিষাক্ত তেজস্ক্রিয়তা থেকে গা বাঁচিয়ে এগিয়ে যাবে সোহরাওয়ার্দির দিকে... যেন বইমেলায় পৌঁছে গেছে সত্যিই...

সত্য যে, ভোগবাদী যুগে এভাবেও বইমেলায় পৌঁছানো যায় বটে.. কিছু পরিচিত চেহারার বই, অটোগ্রাফ, সেলফি কেনা যায়... ভোগবাদী মিডিয়ায় চেহারা বিকিয়ে বাঙলা অ্যাকাডেমির মুদিখানা থেকে ডিকশনারি বগলদাবা করে বাড়ি অথবা ফেসবুকে ফিরে সচিত্র বলা যায় - ঘুরে এলাম একুশের...

ঠিক আছে, আপনি মননশূণ্য প্রচ্ছদগুলো সাজিয়ে ব্ল্যাকবোর্ড আকারে ছবি ছাপতে থাকুন ফেসবুক দেয়ালে দেয়ালে... অনেকেরই ধারণা সমাজে আজ লাইকের বড্ড অভাব... লাইক বাড়ুক অতএব...

আমার বরং ইচ্ছা হয় হাকিম গাছের দিকে হাঁটি... ওখানে সিমেন্টের বেঞ্চিতে চা আর চিন্তার দোকান পাতি... ইচ্ছা হয় সেন্ট্রাল লাইব্রেরির গেটের পাশে নিবিষ্ট হয়ে শুনি... গুটগুট হেঁটে আসছেন ড. শহীদুল্লাহ, জি সি দেব, অধ্যাপক রাজ্জাক, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরি... মনে হয় ওদের কিছু আলো ছিনতাই করে দৌঁড় দিই... দৌঁড়ে গিয়ে দাঁড়াই ডাকসুর পরিত্যক্ত অন্ধকারে... এইতো, শুক্রবার হলেই এখানে আসবে অর্বাকেরা... হয়তো পেছনে কানে আসবে রুদ্র কবির পঙক্তির উচ্চারণ, শব্দকল্পদ্রুম... চায়ের সঙ্গে পঙক্তির পাকোড়া চলবে এখানে... মন্দ কি!

ঊনত্রিশ তো চলেই গেলো... সাধের পসরা ফিরছে চকবাজারের বাড়িতে... আমরা না হয় আবার হাকিম বাড়িতেই যাই...

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার যা ভালো লাগে করুন। কে মানা করছে!

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: সর্বনাশ এ আমি কাকে দেখছি অ্যাতোদিন পর?

৩| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালোই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.