| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জ্যাক স্মিথ
লিখতে না পড়তে ভালো লাগে, বলতে না শুনতে ভালোবাসি, সেমি-ইন্ট্রোভার্ট।
ইসলামি শরিয়া ভিত্তিক দেশের পাঁচ পাঁচটি ইসলামি ব্যাংকের আজ বেহাল দশা, তারা গ্রাহকের টাকা ফেরৎ দিতে পারছে না। সবগুলো ব্যাংকই এখন দেউলিয়ার পথে, বাধ্য হয়ে সরকার এই পাঁচ ব্যাংকে একিভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ব্যাংকগুলো হলো:
১: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
২: গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
৩: সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
৪: ইসলামিক ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড
৫: শরিয়া ভিত্তিক এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড
উপরোক্ত ব্যাংকগুলোতে যদি আপনার কোট কোটি টাকাও জামা থাকে তবে ফেরৎ পাবেন মাত্র দুই লাখ। একীভূত প্রক্রিয়ায় থাকা পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের আমানতকারীরা তাঁদের টাকা ফেরত পাবেন। চলতি সপ্তাহ থেকে তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া শুরু হতে পারে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।
একজন আমানতকারী তাঁদের ব্যাংক হিসাবে জমা ২ লাখ টাকা পর্যন্ত পাবেন। বাংলাদেশের ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় আমানত বিমা তহবিল থেকে এই টাকা দেওয়া হবে।
সমস্যাগ্রস্ত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক একীভূত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ‘সম্মিলিত ইসলামি ব্যাংক পিএলসি’র চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্যাংকটি সমস্যাগ্রস্ত ওই পাঁচ ইসলামি ব্যাংককে অধিগ্রহণ করবে। বিস্তরিত: একীভূত ৫ ব্যাংকের গ্রাহকেরা কীভাবে টাকা ফেরত পাবেন....... পাঁচ ব্যাংকের গ্রাহকদের যে আশ্বাস দিলেন গভর্নর
কথা হচ্ছে- আমি যতদূর জানি ইসলামী ব্যাংকগুলো মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলা করে, গ্রাহকের আমানত থেকে এরা দুই দিক দিয়েই বড় অংকের মুনাফা করে, কিন্তু আমানতকারীদের খুব অল্পরিমাণ মুনাফা দিয়ে থাকে যেমন- একজন আমানতকারী ইসলামি কোন ব্যাংকে টাকা রাখলে বছর শেষে তাকে যে পরিমাণ মানুফা দেয়ার কথা থাকে নানা টালবাহানা এবং শরীয়ার মারপ্যাঁচে তাদের সে পরিমাণ মানুফা দেয় না, ক্ষুদ্র কিছু আমানতকারীদের তারা হয়তো প্রথম দুই/এক বছর ঠিকমত মুনাফা দেয় কিন্তু বড় আমানতকারীদের তারা মুনাফা তো দেয়'ই না উল্টো তাদের কাছ থেকে টাকা কেটে রাখে, এভাবে প্রতিবছর তরা আমানতকারীদের আমানত থেকে বিপুল পরিমাণ মুনাফা অর্জন করে থাকে।
অপরদিকে যারা ব্যবসা করার জন্য ইসলামি ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নেয় প্রতিবছর তাদের কাছ থেকে ১৫% সূদ নেয়া হবে বলা হলেও নানা আইন ও শরীয়ার মারপ্যাঁচে তাদের কাছ থেকে ৩০/৪০ পারসেন্ট পর্যন্ত সূদ নিয়ে থাকে, এভাবে তারা ঋণ গ্রহিতাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মানুফা অর্জন করে থাকে।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে- ইসলামি ব্যাংকগুলো আমানতকারী এবং ঋণ গ্রহিতা দু'পক্ষের কাছ থেকেই প্রতিবছর বিপুল পরিমাণে মুনাফা অর্জন করে থাকে, এত এত মুনাফা অর্জন করার পরেও তারা কেন আজ দেউলিয়ার পথে?
তাহলে এখন প্রশ্ন জাগতেই পারে এত এত মুনাফার টাকা দিয়ে তারা আসলে করে কি? তারা কি তাহলে জুয়া খেলে গ্রাহকের টাকা নষ্ট করে ফেলছে?
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হালাল হারামের মারপ্যাঁচে টাকা কামানোর ধান্দা আরকি।
২|
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৩
আমি নই বলেছেন: বাংলাদেশে ধ্বসে পরা প্রায় প্রতিটা ব্যাংকের মুল নিয়ন্ত্রণে এস আলম গ্রুপ ছিল, তারাই বলতে পারবে জুয়া খেলেছে না পাচার করেছে।
আপনি যে ৫ টি ব্যংকের লিস্ট দিয়েছেন এর মধ্যে শুধু এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন নজরুল ইসলাম মজুমদার এবং বাকিগুলো ছিল চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে।
বাংলাদেশের সবচাইতে বেশি মূলধন ওয়ালা ব্যাংক ছিল ইসলামী ব্যাংক। যতদুর মনে পরে ২০১৭ সালের পর এই ইসলামী ব্যাংকও এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় এবং শুধুমাত্র ৩-৪ বছরেই বাংলাদেশের সবচাইতে বেশি মূলধন ওয়ালা ব্যাংকটি মূলধন সংকটে পরে। আপনার কি মনে হয় কেন এমন হলো? এই প্রশ্নের উত্তর যদি বুঝতে পারেন তাইলে বাকি ইসলামি ব্যাংকগুলোর টাকা কি হলো এটাও বুঝতে পারবেন।
সুতরাং প্রশ্ন করার আগে ব্যাংকগুলোর ইতিহাস জানা জরুরি।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এস এ আলম গ্রুপের তাহলে ইসলামি ব্যাংকগুলোর উপরেই নজড় পরেছিলো, এটা কি তাদের পূর্বপরিকল্পতি কোন প্ল্যান ছিলো?
এস এ আলাম গ্রুপের চেয়ারম্যান এখন কোথায় আছে, যে টাকা পাঁচার হয়েছে তা ফিরিয়ে আনার উপায় কি?
বর্তমানে যেসকল ব্যাংক রয়েছে, এগুলোর উপরেও অন্য কোন গ্রুপের নজড় পড়ার সম্ভবনা আছে?
শুনেছি এস এ আলাম গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ সাইফুল আলম একজন দ্বীনদার লোক, বেশ কয়েকবার হজ্জেও গিয়েছিলেন।
৩|
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪
এ পথের পথিক বলেছেন: যা বলতে এসেছিলাম ২ নাম্বার কমেন্টে "আমি নই" ভাই বলে দিয়েছেন ।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এস এ আলাম গ্রুপের চেয়ারম্যান এখন কোথায় আছে, যে টাকা পাঁচার হয়েছে তা ফিরিয়ে আনার উপায় কি?
বর্তমানে যেসকল ব্যাংক রয়েছে, এগুলোর উপরেও অন্য কোন গ্রুপের নজড় পড়ার সম্ভবনা আছে?
শুনেছি এস এ আলাম গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ সাইফুল আলম একজন দ্বীনদার লোক, বেশ কয়েকবার হজ্জেও গিয়েছিলেন।

৪|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২০
আমি নই বলেছেন: লেখক বলেছেন: এস এ আলম গ্রুপের তাহলে ইসলামি ব্যাংকগুলোর উপরেই নজড় পরেছিলো, এটা কি তাদের পূর্বপরিকল্পতি কোন প্ল্যান ছিলো?
সম্ভবত ২০২১-২২ সালে একটা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল সেই রিপোর্টে সরকারি ৪টি ব্যাংক সহ ২০ টা ব্যাংককে চরম ঝুকিপুর্ন হিসেবে বলা হয়েছিল, তার মাঝে সম্ভবত ৫ টি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংক ছিল (অনেকদিন আগে পড়েছিলাম সো ব্যাংকের সংখ্যা ২/১ টা এদিক/ওদিক হতে পারে)। গুগলে সার্চ দ্যান তাহলেই পাবেন কোন কোন ব্যাংক ছিল এই লিস্টে।
লেখক বলেছেন: এস এ আলাম গ্রুপের চেয়ারম্যান এখন কোথায় আছে, যে টাকা পাঁচার হয়েছে তা ফিরিয়ে আনার উপায় কি?
বর্তমানে যেসকল ব্যাংক রয়েছে, এগুলোর উপরেও অন্য কোন গ্রুপের নজড় পড়ার সম্ভবনা আছে?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার সঠিক ব্যাক্তি আমি না। তবে সত্যি জানার ইচ্ছে থাকলে ইসলামী ব্যাংকিং কে আক্রমন না করে একটু রিসার্চ করে পোষ্ট দিতেন।
শুনেছি এস এ আলাম গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ সাইফুল আলম একজন দ্বীনদার লোক, বেশ কয়েকবার হজ্জেও গিয়েছিলেন।
দ্বীনদার লোকের ডেফিনেশন সম্পর্কে আপনার জানার ভুল আছে। ৫ ওয়াক্ত নামাজই পরেনা এমন একজন মুসলিম কেও জিজ্ঞাসা করলে জানতে পারবেন একজন চোর, দুর্নিতিবাজ, দেশের জন্যে ক্ষতিকারক ব্যাক্তি যতই নামাজ পরুক আর হজ্ব করুক সে সত্যিকারের দ্বীনদার নয়, সে লোক দেখানো দ্বীনদার। বাকিটা আল্লাহ ভালো জানেন।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৩
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সে লোক দেখানো দ্বীনদার। - আর কিছুদিন পর দেখা যাবে, ইসলাম/শরিয়ার নাম করে আরও নতুন কিছু ব্যাংকের আবির্ভাব ঘটেছে এবং সে ব্যাংকগুলোও এমন একজন দ্বীনদার লোকের খপ্পরে পরেছে আর এভাবেই চলতে থাকবে।
আমার ধারণা উক্ত ব্যাকগুলোর নামকরণের পিছনে সদূর প্রসারী কোন প্ল্যান ছিলো, জনাব মোহাম্মদ সাইফুল আলমও এই নামকরনের পিছনের একজন ব্যক্তি হতে পারে, তা না হলে সবগুলো ইসলামি ব্যাংক একই সাথে ধ্বসে পড়তে পারে না, তাছাড়া এইসব ব্যাংকগুলোর কর্যক্রমও ছিলো স্ক্যামিং টাইপের.. তারা মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে টাকা জমা করাতো এবং ঋণ প্রদাণ করতো কিন্তু প্রফিটের সিংহভাগ টাকা ব্যাকংগুলো নিয়ে নিতো, যার বিস্তারিত তথ্য আমি পোস্টে উল্ল্যেখ করিয়াছি।
২০১৭ সালে ইসলামি শরিয়া ভিত্তিক নামে কি একটা ভূঁইফোর ব্যাংক/কোম্পানি গাজীপুরে আমার পরিচিত একজনের ৩৬ লক্ষ টাকা মেরে দিয়েছে, অন্যন্য গ্রহকের টোটাল কত টাকা মেরেছে তার কো হদিস নেই।
কাজেই ইসলাম/শরিয়া এই ধরণের নামকরণে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেখলে সন্দেহের যথেষ্ট কারণ রহিয়াছে।
ধন্যবাদ।
৫|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৪৭
অগ্নিবাবা বলেছেন: সূরা আত-তাগাবুন, আয়াত ১৭
If you loan Allāh a goodly loan, He will multiply it for you and forgive you. And Allāh is [most] Appreciative1 and Forbearing,
তোমরা যদি আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও, তবে তিনি তা তোমাদের জন্য দ্বিগুণ করে দেবেন, আর তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন, আল্লাহ (কারো কাজের) অতি মর্যাদাদানকারী, সহনশীল।
— Taisirul Quran
এই টেহা আল্লাহ নিতাছে, এই আর আপনে কি যে লেহেন, সামনে গজওয়াতুল হিন্দ আইতাছে, সবাই জামাতরে টেহা দ্যান।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনার উল্ল্যেখিত আয়াতে স্পষ্ট সূদের আলামত দেখতে পাচ্ছি,, সুতরাং এটা কোন মতেই সহিহ আয়াত হতে পারে না, এগুলো সব জাল আয়াত।
৬|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০২
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মের নামে ব্যাংক গুলো ব্যবসা করছে। লাভবান হচ্ছে।
প্রতিটা ব্যাংকে ধর্মের লেজুর লাগিয়েছে। শরীয়াহ, ইসলামী, তাকওয়া ইত্যাদি। আসলে এরা মুনাফা ছাড়া কিচ্ছু বুঝে না।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এরা গ্রাহকদের সাথে প্রফিটের খুব নগণ্য পরিমাণ শেয়ার করে থাকে তারপরেও তারা দেউলিয়া হয়ে যাবে,, আসলে এগুলো ধর্মের নামে স্ক্যামিং ছাড়া কিছুই না।
৭|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মানুষের টাকা দিয়ে ইসলামি ব্যাংকগুলো জুয়া খেলে নাই আওয়ামীলীগ মেরে দিয়েছে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আসলে এগুলো ধর্মের নামে স্ক্যামিং ছাড়া কিছুই না, বিস্তারিত ৪ নং কমেন্টের উত্তরে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আর শুধু আওয়ামীলীগের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে বসে থাকলে হবে না, আওয়ামীলীগের সমস্ত সম্পদ জব্দ করে তা যথাযথ গ্রহকের টাকা ফেরৎ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তাছাড়া এখন সময়ই হচ্ছে উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার, আওয়ামীলীগ আমলে কোন ব্যাংক গ্রহাকের টাকা উত্তলোনে অপারগতা প্রকাশ করেছে এমন নজীড় দেখিনি, বিষয়গুলো একটু খেয়াল কাইরা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
তারপরও তো ইহাই হালাল ব্যাংক।
হালাল কিছু পেতে হলে কিছু ত্যাগ স্বীকার তো করতেই হবে।