| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জ্যাক স্মিথ
লিখতে না পড়তে ভালো লাগে, বলতে না শুনতে ভালোবাসি, সেমি-ইন্ট্রোভার্ট।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানী আর্মি পুরো বাঙালী জাতির উপর যে নৃশংস হত্যাংজ্ঞ, বর্বরতা চালিয়েছে যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। সত্যি বলতে ১৯৭১ সালে বাঙালী জাতির উপর পাকিস্তানী আর্মি কর্তৃক এসব ভয়ঙ্কর, নৃসংহ হত্যাকান্ডের ঘটনা আমি খুব একটা পড়ি না, কারণ আমি এসব নিতে পারি না বা আবেগ ধরে রাখতে পারি না। কোন জাতি কোন জাতির উপর এমন ভয়ঙ্কর বর্বরতা চালাতে পারে যা ভাষায় প্রকাশ করা সত্যিই দুষ্কর।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বেশ কবছর ধরে বই আকারে প্রকাশ করছে স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সংগৃহীত ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী–ভাষ্য’। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতেই তাদের এই উদ্যোগ। জাদুঘরের আহ্বানে সাড়া দিয়ে শিক্ষার্থীরা পরিচিতজনদের সঙ্গে আলাপ করে একাত্তরের স্মৃতি লিখিতভাবে পাঠায়। ফলে এই কর্মসূচি এক অর্থে বিনিময়। যেখানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইতিহাস এবং শিক্ষার্থীরা জোগান দিচ্ছে ইতিহাসের নতুন উপাদান। শিক্ষার্থীদের পাঠানো এসব ভাষ্য থেকে বাছাই ৩১টি কাহিনি বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে প্রকাশ করছে প্রথম আলো। যার একটি ঘটনা নিচে তুলে ধরা হলো।
আমার বন্ধুর নাম ছিল মজনু। তার কত আশা ছিল, বিয়ে করে বাবা হবে। ছেলের বাবা হবে। কিন্তু তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে পাকিস্তানি বাহিনী প্রথমে চোখ তাঁর বাধল, তারপর হাত বাঁধল, তারপর সে কেঁদে বলল, ‘আমি দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ব।’
পাকিস্তানি বাহিনী মজনুকে নামাজ পড়তে দিল। নামাজ পড়ার পর ও মোনাজাত ধরল তো ধরলই। মোনাজাত আর ছাড়তে চাইল না। পাকিস্তানি বাহিনী এসে বেয়নেট দিয়ে কোপ মেরে মজনুর হাতের তিনটি আঙুল কেটে দিল। তারপর তাকে ফেলে দিল টয়লেটের গর্তে।
তখনো কিন্তু মজনুর হাত–পা–চোখ বাঁধা। পাকিস্তানি বাহিনী কেবল তাঁকে গর্তে ফেলেই দিল না, গর্তের ঢাকনা দিয়ে চেপে ধরে রাখল।
মজনু মাথা দিয়ে ঢাকনা ঠেলে ওপরে তোলার চেষ্টা করে, তবু পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকনা তোলে না। মজনু সেখানেই মারা গেল।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর একদল ছেলে মাঠে গরু রাখতে গিয়ে সেই টয়েলেটের গর্তের ঢাকনা তুলল। দেখল, সেখানে চোখ–হাত–পা বাঁধা মজনুর লাশ।
ছেলেরা মজনুর মা-বাবাকে ডেকে নিয়ে এল। মা–বাবা এসে হাউমাউ করে কাঁদল। ছেলের লাশ গর্ত থেকে তুলে দাফন–কাফন করে মাটি দিল।
নিচে পাকিস্তান বাহিনীর বর্বরতা আর কিছু ভয়ঙ্কর ঘটনা পড়ুন:
একে একে আমার পরিবারের সবাইকে গুলি করে মারল
আজকে দুপুরে আমাদের মেরে ফেলবে
বন্দুকের নলটা নিজের মাথার দিকে রেখে ট্রিগারে চাপ দেন আমার ভাই
টগরের দুই পা বেঁধে মাথা নিচের দিকে ঝুলিয়ে রেখেছিল তিন দিন
বিজয়ের পতাকা ওড়ানোর মুহূর্তে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় হারুনের বুক
বিমানবিধ্বংসী কামান থেকে বের হচ্ছিল সাদা ধোঁয়ার কুণ্ডলী
যে বুদ্ধিতে পাবনা অস্ত্রাগারের দখল নিতে পারেনি পাকিস্তানি বাহিনী
যৌথ বাহিনী পাল্টে দিল মুক্তিযুদ্ধের গতি
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সঠিক তথ্য প্রদাণের মাধ্যমেই কেবল বর্তমান প্রজন্মকে মগজ ধোলাইয়ের হাত থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। পরাজিত শক্তিগুলো পোলাপানের মগজ ধোলাই করছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিগুলো এখন কিছুটা কোনঠাসা অবস্থায় আছে।
এবার যারা বিজয় দিবস পালন করবে, পরবর্তীতে তাদের গ্রেফতার করা হতে পারে।
২|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পাকিস্তান এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৩
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তাদের চেয়েও বড় দেউলিয়া হয়ে গেছি এখন আমরা, আমাদের এখন অতীত ইতিহাস, ঐতিহ্য বলতে কিছূ নেই, ভুল তথ্যে ভরা সবকিছু নতুন করে সাজানো হচ্ছে।
৩|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভুল তথ্য থেকেই সঠিক তথ্য বের হয়। ছাত্রলীগ থেকে যেমন ছাত্রশিবির বের হয়েছে ! ![]()
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বর্তমানে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিগুলো খুব সক্রিয় হয়ে উঠেছে, আমি বিশ্বাস করি এই দেশের জনগণই একদিন তাদের মোক্ষম জবাব দিবে। ইতিমধ্যে তাদের জবাব দেয়ার পালা শুরু করছে দেশের জনগণ।
সতর্কতা: ভিডিওটা অবশ্যই হেড ফোন দিয়ে শুনবেন।
৪|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২৫
কামাল১৮ বলেছেন: আমি প্রত্যক্ষদর্শী।অনেক ঘটনার সাথেই জড়িত।কতবার যে বাসথেকে নামিয়ে তল্লাশি করেছে পকিরা। তারথেকে ৮/১০ জনকে নিয়ে গেছে।তার আর কোনদিন ফিরে আসেনাই।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনার কমেন্ট থেকে বুঝতে পারি আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলি অনেক সমৃদ্ধ। ৭১ এর ঘটনাপুঞ্জি নিয়ে আপনার চেইন পোস্ট করে যাওয়া উচিৎ, আমি মনে করি এটা আপনার দায়িত্ব। বর্তমানে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিগুলো খুব সক্রিয় হয়ে উঠেছে, এদের প্রতিহত করতে হবে।
৫|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৮
বাজ ৩ বলেছেন: স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে আরেকটি যুদ্ধ করতে হবে,জ্যাক স্মিথ ভাই।এছাড়া কোনো উপায় দেখছিনা
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিগুলো চরমভাবে অপতথ্য ছড়িয়ে বর্তমান প্রজন্মকে বিভ্রন্ত করছে, তাদের এসব গুজবকে রুখতে হলে মানুষের মাঝে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে, সেটাই হবে প্রকৃত যুদ্ধ।
৬|
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৩৪
কলাবাগান১ বলেছেন: ব্লগে একজন কে দেখলাম অপতথ্য ছড়াচ্ছে নানা রকম মিথ্য গল্প বলে। শেখ হাসিনা নাকি পাকি আর্মিদের নিয়ে গর্ব করেছেন আর সাথে বাংলাদেশী আর্মীকে নিয়ে তাচ্ছিল্য করেছেন...এমন ভাবে লিখেছে যেন লেখক স্বয়ং সেই সময় শেখ হাসিনার সাথে বসে ড্রয়িংরুমে বসে গল্প করছিলেন
৭|
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: জামাত শিবির স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও ভালো হয়নি। অত্যন্ত দুঃখনক।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৭
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বাঙালী জাতির উপর পাকিস্তানী আর্মি কর্তৃক এসব ভয়ঙ্কর, নৃসংহ হত্যাকান্ডের ঘটনা
......................................................................................................................
বর্তমানে এক শ্রেণীর পোলাপান মানেনা বা বিশ্বাস করেনা !
এদের মোগজ কে ধোলাই করল ?
তদন্ত করে বের করে জানা উচিৎ ,