| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লক্ষ্মীছাড়া
রুদ্ধদারে চেতনা বন্দি, স্বপ্নে শকুনীর ডানার গাঢ় অন্ধকারের সর্বগ্রাসী বেগবাণ স্রোতে দিশেহার দীপ্ত জোনাকির আলোর মিছিল! কুটীল দেবতার বর্বর চাল। অশুভশক্তির ক্রমশ হবে উত্থান। আমি অভিমন্ব, জন্ম থেকে জেনে আসা ভবিষ্যৎ এর নির্মম দ্রষ্টা, আমি সিসিফাস, দেবতার বিরুদ্ধে আমৃত্যু চলে আমার চেষ্টা আমি ঈশ্বরের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি স্বর্গের প্রত্যাশা ছেড়ে তার মুখোমুখি আমি এমন জাতিয়তাবাদী, সতীত্ব রাখতে ভগবানের রক্ত দিয়ে খেলি হোলি আমি এমন বাঙ্গালী, আব্দুল হাকিমের মতো বলি তোদের জন্ম আমি না জানি।
শুভ ছেলেটা মারাই গেলো! কত আর হবে বয়স, এই ১৮ কি ১৯!
বিশ্ববিদ্যালয়ের তুমুল প্রতিযোগিতা মুলক ভর্তি পরীক্ষায় হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রিকে পিছনে ফেলে সে নিজের একটা স্থান দখল করে নিয়েছিলো। ছেলেটা পড়ত মার্ক্রটিং এ।এইবারই চান্স পেছিলো। নিঃসন্দেহে মেধাবী।ছেলেটার সাথে আমার কখন কথা হয় নি। আমার মত অনেকেরই হয়নি, হবার কথাও না, মাত্র এসেছে ।
বাড়ি ছিলো সন্দীপ। ক ভাই বোন ছিলো? আমি তার কিছুই জানি না, আমার জানার কথাও না।
মাত্রই এসেছে... খুব স্বপ্ন ছিলো ছেলেটা, এই কথা সে আমাকে বলেনি, আমি আনুমান করে নিয়েছি, যেমন অন্যান্য সব ছেলেদের ঘুমের মত স্বপ্ন জড়িয়ে থাকে চোখে । তার বাবা মা আর ভাই বোনদের ও কি স্বপ্ন ছিলো না তাকে নিয়ে ? আমি জানিনা, আমি জানি, আমার বাবার মা আর ভাইয়া আর আপুর আমাকে ঘিরে তৈরি হওয়া স্বপ্নের কথা । ছেলেটার কি কোনো মেয়ে বন্ধু ছিলো, যাকে পরবর্তিতে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখতো? আমি জানিনা, আমার জানার কথাও না, মাত্র ভার্সিটিতে এসেছে ...। এসেছে আর বলা যাবে না এখন বলতে হবে এসেছিলো!
ছেলেটা মারা গেলো কিভাবে? রোড একক্সিডেন্টে! কোথায় ঘটেছিলো ঘটনাটা? এই তো আমাদের রেল ক্রসিং এর কাছে । সিএনজি করে ভার্সিটিএ আসছিলো। তারপর? আমাদের ক্যাম্পাস থেকে যে বাস গুলো শহরের দিকে যাত্রা করে , (সেগুলো অবশ্যই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের না) তার একটা সিএনজিটাকে ধাক্কা মারে। ছেলেটা হাসপাতালে নেয়ার পথেই সব তুচ্ছ করে বিদায় নিলো।
তার প্রতিবাদে ছাত্ররা বিক্ষুভ মিছিল করেছিলো, বাস ভাংচুর করে ছিলো, সেটাই স্বাভাবিক! কিছু বর্বর গ্রাম্য স্থানিয়রা বাসের পক্ষ নিয়ে তাদের তাড়া করেছিলো, ছাত্ররা পিছু হটে যেতে বাধ্য হয়েছিলো।
আমাদের নিজস্ব ট্রেন আছে যাতায়াতের জন্য, দুইটা ট্রেন, ক্যাম্পাস থেকে শপহরে শহর থেকে ক্যাম্পাসে বাসছে অনেক, তবে সেগুলো কেবল টিচারদের জন্য! বাস গুলাতে ছাত্রদের উঠা সম্পুর্ন নিষেদ! বাস খালি থাকলেও। সেগুলাতে ছাগল উঠতে পারে তবুও ছাত্র উঠতে পারে না।
নিজস্ব বাস ব্যবস্থা থাকলে হয়তো শুভ মরে যেতে হতো না। মাদারচুদি বিশ্ববিদ্যালয় আর মাদারচুদি টিচার ভাব খালি! তোদের ভাবের জন্য আর কয়টারে জীবন দিতে হইবো রে! মাদার চুদ জবাব দিবি, দিতে তোরে হইবো। আজ ক্লাশ বর্জন করা হয়েছে ।
শুভ আসবে না, সবাই জানে তারপরেও আর কোনো শুভকে যেনো ঘুমের মত স্বপ্ন ভরা চোখ নিয়ে চিরোতরে ঘুমিয়ে যেতে না হয়! তার জন্য এই শেষ বারের জন্য ব্যপক জ্বালাও পুরাও আমরা করবো, করতে আমাদের হবে । টিচাদের দেখে বুঝতেছি, শিক্ষা মানুষকে মহান করে না , আসল মাদারচুদ বানিয়ে ছাড়ে। তবে যা মাদারচুদই হবো।
২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭
লক্ষ্মীছাড়া বলেছেন: ধন্যবাদ, সাবজেক্টা বিষয় না, মরে গেছে সেটাই বিষয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
লালন রিটার্ন বলেছেন: শুভ একাউন্টিং এ পড়তো। মার্কেটিং এ না