| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লক্ষ্মীছাড়া
রুদ্ধদারে চেতনা বন্দি, স্বপ্নে শকুনীর ডানার গাঢ় অন্ধকারের সর্বগ্রাসী বেগবাণ স্রোতে দিশেহার দীপ্ত জোনাকির আলোর মিছিল! কুটীল দেবতার বর্বর চাল। অশুভশক্তির ক্রমশ হবে উত্থান। আমি অভিমন্ব, জন্ম থেকে জেনে আসা ভবিষ্যৎ এর নির্মম দ্রষ্টা, আমি সিসিফাস, দেবতার বিরুদ্ধে আমৃত্যু চলে আমার চেষ্টা আমি ঈশ্বরের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি স্বর্গের প্রত্যাশা ছেড়ে তার মুখোমুখি আমি এমন জাতিয়তাবাদী, সতীত্ব রাখতে ভগবানের রক্ত দিয়ে খেলি হোলি আমি এমন বাঙ্গালী, আব্দুল হাকিমের মতো বলি তোদের জন্ম আমি না জানি।
"একজন বিস্মৃত খুনী এবং আরো একজন"
আমি তাকে খুন করেছিলাম, খুব ঠান্ডা মাথায়ই ঘটনাটা ঘটিয়েছিলাম আমি।
আমার একটুও অনুশোচনা জন্মায়নি নিজের ভেতর। অকারনেই কেমন নির্ভার লেগেছিলো।
কেনো খুনটা করতে গেলেন? এই প্রশ্ন আমার ভিতরে কখনো জন্মায়নি।
এখনো না । সেতো ভালোবাসত, বাসতো না ? খুব বাসতো বেশি বাসতো অনুপম বাসতো। তবে?
জানি না , আমার খুন করতে হয়েছিল । হয়েছিলো! কেনো? তাও জানিনা ,বারবার মনে হয়েছে তাকে আমার খুন করে ফেলা উচিত অথবা খুন হয়ে যাওয়া ।
আমি খুন হতে চেয়েছিলাম, পারিনি। একমাত্র তখনই আমি বুঝেছিলাম ততটা সাহসী আমি না যতটা দরকার নিজে নিজে খুন হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ।
তাই বলে তাকেই যে জ্ঞানশূন্য হয়ে ভালোবাসতো ! হুম। সেই সবচেয়ে বেশি করেছে আমারে পরাধিন।
ঘটনার আগে কি বুঝতে দিয়েছিলেন কিছু?
হুম, আমি তারে অনেক বার বলেছি, আমি তোমাকে খুন করবো একদিন। বিশ্বাস করেনি।
বলেছে ,
‘হৃদয়মাল্য দিয়েছি যারে
নিজ হাতে হৃদয়ের খুন ঝরাবে সে?
বিশ্বাস করতে বল?’
থানাপুলিশ হয়েছিলো? না । কেনো?
কোনো স্বাক্ষিপ্রমাণ ছিলো না।
কেনো? কিভাবে খুন করেছিলেন ?
গাঢ় পটাশিয়াম সায়ানাইটের ফোঁটা দুই তার রক্তে মিশিয়ে দিয়েছিলাম।
ওফ! ভয়াবহ!
পরিবারের কেউ আর খোঁজ করেনি?
আমি জানিনা ।
তাদের বাসা কোথায় ছিলো?
তাও জানিনা । আশ্চর্য তো ! পরিচয় কিভাবে?
কিসের পরিচয়? কার সাথে পরিচয়?
মানে ? যাকে আপনি খুন করেছেন। খুন !আমি কাকে খুন করেছি? আশ্চর্য!
একটু আগে যার কথা বলেছিলেন , যাকে ঠান্ডামাথায় খুন করেছেন বলে আমাকে ক্ষনিক আগে জানালেন?
আশ্চর্য! আপনি কে? আমি, আমি হাসান শরিফ। আপনার সাথে আমার পরিচয় কিভাবে?
জানিনা তো।
আশ্চর্য! আমরা এখন কোথায় আছি?
সম্ভবত দখিন খোলা মাঠে ।আমরা এখানে কেনো?
আপনি কেনো এসেছেন ? এমনি। আপনি?
আমি এখানে প্রায়ই আসি।
কি নাম আপনার ? বাবা-মা রেখেছিলো, অনিন্দ্য প্রান্তর । বাহ! চমৎকার নাম তো। হ্যাঁ, নামটা চমৎকারই বটে, বাবা-মা দুজনেই কবি ছিলেন । তাই? হুম। ছিলেন বলছেন যে বেঁচে নেই আর? না। ও, আমি দুঃখিত। অকারনেই আমি তাঁদের কথা মনে করিয়ে দিয়ে মনটা খারাপ করে দিলাম। আরে না, মন খারাপ করে কেনো দিবেন, মা-বাবা দুজনেই যখন ঝরেছিলেন শিউলী ফুলের মতো, আমি তখন হাঁটি গুটি গুটি পায়ে যেনো নড়বড়ে বুড়ো।
জানেন, কোনো অনুভূতিই কাজ করেনা আমার এই সব নিয়ে।
আমি প্রথম যে নারীর প্রেমবন্ধনীতে আটকা পড়েছিলাম, আমি তাকে খুন করেছিলাম, খুব ঠান্ডা মাথায়ই ঘটনাটা ঘটিয়েছিলাম আমি।
আমার একটুও অনুশোচনা জন্মায়নি নিজের ভেতর। অকারনেই কেমন নির্ভার লেগেছিলো।
কেনো খুনটা করতে গেলেন? এই প্রশ্ন আমার ভিতরে কখনো জন্মায়নি।
এখনো না । সেতো ভালোবাসত, বাসতো না ? খুব বাসতো বেশি বাসতো অনুপম বাসতো। তবে?
জানি না , আমার খুন করতে হয়েছিল । হয়েছিলো! কেনো? তাও জানিনা ,বারবার মনে হয়েছে তাকে আমার খুন করে ফেলা উচিত অথবা খুন হয়ে যাওয়া ।
আমি খুন হতে চেয়েছিলাম, পারিনি। একমাত্র তখনই আমি বুঝেছিলাম আমি ততটা সাহসী না যতটা দরকার নিজে নিজে খুন হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ।
তাই বলে তাকেই যে জ্ঞানশূন্য হয়ে ভালোবাসতো ! হুম। সেই সবচেয়ে বেশি করেছে আমারে পরাধীন।
ঘটনার আগে কি বুঝতে দিয়েছিলেন কিছু?
হুম, আমি তারে অনেক বার বলেছি, আমি তোমাকে খুন করবো একদিন। বিশ্বাস করেনি।
বলেছে ,
‘হৃদয়মাল্য দিয়েছি যারে
নিজ হাতে হৃদয়ের খুন ঝরাবে সে?
বিশ্বাস করতে বল?’
থানাপুলিশ হয়েছিলো? না । কেনো?
কোনো স্বাক্ষিপ্রমাণ ছিলো না।
কেনো? কিভাবে খুন করেছিলেন ?
গাঢ় পটাশিয়াম সায়ানাইটের ফোঁটা দুই তার রক্তে মিশিয়ে দিয়েছিলাম।
ওফ! ভয়াবহ! পরিবারের কেউ আর খোঁজ করেনি?
আমি জানিনা ।
তাদের বাসা কোথায় ছিলো?
তাও জানিনা । আশ্চর্য তো ! পরিচয় কিভাবে?
কিসের পরিচয়? কার সাথে পরিচয়?
মানে ? যাকে আপনি খুন করেছেন। খুন! আমি কাকে খুন করেছি? আশ্চর্য!
একটু আগে যার কথা বলেছিলেন, যাকে ঠান্ডামাথায় খুন করেছেন বলে আমাকে ক্ষনিক আগে জানালেন?
আপনি কে? আমি, আমি হাসান শরিফ। আপনার সাথে আমার পরিচয় কিভাবে?
জানিনা তো।
আশ্চর্য! আমরা এখন কোথায় আছি?
সম্ভবত দখিন খোলা মাঠে ।আমরা এখানে কেনো?
আপনি কেনো এসেছেন ? এমনি। আপনি?
আমি এখানে প্রায়ই আসি।
...
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
লক্ষ্মীছাড়া বলেছেন: ভালো লাগা প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ ।
ভালো থাকার শুভকামনা
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬
রাইসুল সাগর বলেছেন: লেখনিটা ভালোলাগলো।+