নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুড্ডির পাইলট; বিমানের না।।

তুমি আমি সে

বহুপথ হেঁটে আমি বড় ক্লান্ত; দোর খুলে নেমেছি সেই কবে তোমার দুয়ারে দাঁড়াব বলে.

তুমি আমি সে › বিস্তারিত পোস্টঃ

“বড় হয়ে কি হব”এ নিয়ে ভাবনার কমতি নেই ...।

০৩ রা জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৫০

“বড় হয়ে কি হব” এই কথাটা ছোটবেলা থেকেই অনেক বার; ভিন্নভাবে ভাবতে শুরু করেছি.
তখন প্রাইমারিতে পড়ি; স্কুল বন্ধ দিলেই মামা বাড়িতে বেড়াতে যেতাম. মামা বাড়ির সামনেই বিস্তৃত এক জমির মাঠ. মাঠের মধ্যে কিছু কিছু সময়ে আর্মিদের যুদ্ধমহড়া চলতো. ছোট বেলা থেকেই পিস্তল-বন্ধুকের প্রতি ভাললাগা ছিল আমার অন্যরকমের. আর্মিদের যুদ্ধমহড়া ও তাদের ঘাড়ে বড় বন্ধুক দেখে মনের মধ্যে আশা জেগেছিল “বড় হয়ে আমিও একদিন আর্মি হব”. তবে ইচ্ছার কারন অন্য কিছুর জন্য নয়, শুধুমাত্র বড় একটা বন্ধুক পাওয়ার লোভে. হাইস্কুল পড়া পর্যন্ত এই শখটা স্থিতিশীল ছিল. এস,এস,সি পাশের পরে চেষ্টাও করেছি কিন্তু সাফল্য হয়নি; (মানে মামু দুর্বল ছিল); তখন চিন্তা করলাম নাহ আর্মি হওয়া যাবে নাহ.
কলেজে পড়ার সময়টাতে “বড় হয়ে কি হব” এটা নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো ভাবে শুরু করলাম. কর্মাস নিয়ে পড়ছি; কর্মাসের প্রতি দুর্বলতা তৈরী হয়ে গেছে. তাই ভাবতে শুরু করলাম ব্যাংকের ম্যানেজার অথবা ব্যাংকার হব. এর মাঝে প্রযুক্তিকে নিয়ে অনেকখানি ঘাটাঘাটি শুরু করলাম. সেটাতেও ভাললাগা তৈরী হল. আগ্রহ হল কম্পিউটারের গ্রাফিক্স, প্রোগ্রামিং, হার্ডওয়্যার, ব্লগিং, ওয়েব ডিজাইনিং, এক্সেসরিজসহ আরও অনেক খুটি নাটি বিষয়ে. প্রযুক্তিকে ভাললাগার কারনে এখানে একটু সাফল্যের দেখা মিলাতে পারেছি. তখন এইচ,এস,সি পরীক্ষা শেষ; ২বছর প্রোগ্রামিং লেখার অভিজ্ঞতায় ৫টি সফটওয়্যার ও ২টি ব্লগ বানিয়ে ছিলাম. এসবের জন্য বেশি সন্মান জনক কোন খোতাপ না পেলেও “পাবর্তীপুর ইনফো” নামক এক সফটওয়্যারের জন্য অনেক সুনাম অর্জন করেছি. পরিচিতি লাভ করেছি এলাকার জনসাধারন ও গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিকট. খুব অল্প আর কম বয়সেই জনসাধারন ও গন্যমান্য ব্যাক্তিদের কাছ থেকে অনেক ভালবাসা আর শ্রেদ্ধা পেয়েছি. এতকিছু পাওয়া আর না পাওয়ার পর আবার ভাবতে আরম্ভ করলাম “বড় হয়ে কি হব". এক পর্যায়ে মনস্থির করলাম কম্পিউটারের প্রতি অনেক আগ্রহ ও অনেক ভাললাগা; তাই আইটি ফার্মে ভাল একটা পোষ্টে চাকরী করবো; ভাল বেতনের আশায় নাহ, কাজগুলোকে আমি ভালবাসি; কাজগুলো অবলিলায় স্বঃর্ফুতভাবে করতে পারি. আর খুব ভালবাসার কারনেই হয়তো ওগুলোকে নিয়ে এতো দুরে পৌছাতে পেরেছি; অনেক সাফ্যলের সাথে.
এইচ,এস,সি শেষ; পড়তে চেয়েছিলাম কম্পিউটার ইন্জিনিয়ারিং. মা বাবার কারনে সেটা পড়া হয়নি. কারন এইচ,এস,সি পাশ করার পর গতানুগতিক ভাবে অর্নাস পড়তে হয় বাবা-মা সেটাই জানে; আর ওটাই বুঝে. ইচ্ছার বিরুদ্ধে অর্নাসে ভর্তি হলাম; বি.বি.এ কোর্সে. যাইহোক কম্পিউটার বিষয় নিয়ে পড়া হয়নি তো কি হয়েছে? ওগুলোর প্রতি আগ্রহ আর ভালবাসার পরিমান তো কমে যায়নি.
এই ছেলেটির কম্পিউটার বিষয়ে মাথা অনেক ভাল, অনেক ভাল বুঝে, অনেক ভাল কাজও করতে পারে -এভাবেই সকলের কাছে আমার প্রশংসার কথা বলতে শুনেছি.
অর্নাস শেষ করে “বড় হয়ে কি হব”এ নিয়ে ভাবনার কমতি নেই. ব্যবসা শাখায় পড়ছি তাই ব্যাংকের ম্যানেজার বা ব্যাংকার হওয়ার ইচ্ছাটাকে মনের মধ্যে তখন থেকে এখনো পুষে রেখেছি. তারপরেও আশায় আছি, যদি কোন ভাবে আইটি ফার্মের একটা পোষ্টে চাকুরি পাই.
বয়স এখন ২২; বি,বি,এ শেষ করতে এখনও সময় লাগবে ১ বছর. মনের ইচ্ছা গুলোকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে রেখেছি. আমি মনে করি- ভবিষ্যৎ আমার কাছে সবসময়ের জন্য অন্ধকার. ছোট বেলা থেকেই নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ভেবে; বুকের মধ্যে আশার বাধ বুনে রেখেছি.
এত বড় ব্যর্থতা আর স্বল্পকিছু সাফল্যতা দিয়ে; জানি না কিভাবে নিজের ইচ্ছাগুলোকে পূরন করতে পারবো. শুধু আছি মহান আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করে. কারন; আমি বিশ্বাস করি রিযিক দাতার মালিক একমাত্র আল্লাহ. তিনি আমার রিযিক হয়তোবা কোন না কোন খানে ঠিকই মিলিয়ে দেবে. শুধুমাত্র পার্থ্যক হতে পারে; অতীতে মনের মধ্যে পুশে রাখা ইচ্ছাগুলোর মধ্যে যে কোন একটি, নয়তবা শুধুমাত্র জীবনকে পরিচালনার করার জন্য- যে কোন একটি কর্ম.

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.