নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুড্ডির পাইলট; বিমানের না।।

তুমি আমি সে

বহুপথ হেঁটে আমি বড় ক্লান্ত; দোর খুলে নেমেছি সেই কবে তোমার দুয়ারে দাঁড়াব বলে.

তুমি আমি সে › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কি চাইবেন সেই “ঠুঁটো জগন্নাথ” হতে?

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

গতকালের “স্কুলজীবন” স্ট্যাটাস’টি পড়ে ছোট ভাই নবাব আমাকে প্রশ্ন করেছে।
- লিমন ভাই, আপনার পোস্ট টা দেখে কিছু কথা বলতে ইচ্ছে করছে আপনাকে। স্কুল থাকাকালীন একবার ফিজিক্স এ ফেল করছিলাম, তখন বাবা বলেছিল, তোকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না, এই কথা চলে গিয়েছিল আমার মামা বাড়ির দোরগোড়ায়। সেই একটা জিদ তখন থেকেই এই সমাজের উপর। আমার জিদ ছিল আমার মুক্তির উপর, পড়াশোনার উপর নয়। ওই যে ফিজিক্স এ ফেল করার কারন 'আমার মুক্তি'। কারন, তখন আমি অনেকটা মুক্তই ছিলাম। যাই হোক, ভানতে শিবের গীত গাওয়ার কারন হলো একটা দৃষ্টান্ত দেওয়া। আমাদের সমাজেই চায় না যে একটা ছেলে বা মেয়ে মুক্তির স্বাদ পাক। সেখানেই আপনি চাইলেই মুক্তি পেতে পারেন না। যদিই মুক্তিই পেতে চান, তবে আপনাকে হয়ে থাকতে হবে সমাজের 'ঠুঁটো জগন্নাথ'। আপনি কি চাইবেই সেই ঠুঁটো জগন্নাথ হতে????

- আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ধীরে ধীরে এতো সাজানো গুছানো হয়ে আসছে যে, মুক্তির স্বাদ আর স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহন করার মতো কোন অপশন নেই। একটার পর একটা ধারাবাহিক ভাবে ঘটেই যাচ্ছে। যেখান থেকে নিজেকে মুক্তি বা স্বাধীন রাখার কোন সময় নেই। একটা ছোট উদাহরন দেই - এসএসসি পরিক্ষা দেবার পর’ই এখন ছাত্র/ছাত্রীরা এইচএসসির পড়াশুনা আরাম্ভ করে আর এইচএসসি পরিক্ষা দেবার পর’ই শুরু করে ভার্সিটি প্রস্তুতি কোচিং আর গ্রাজুয়েশন শেষ করার আগেই করে চাকুরি প্রস্তুতি কোচিং। সব কিছু’ই আগ্রীম হচ্ছে; হয়। রেজাল্টের জন্য কোন অপেক্ষা নেই, নেই কোন সময় বিরতি। নেই কোন বিশ্রাম, নেই কোন মুক্তির স্বাদ আর নেই কোন স্বাধীনতা।
আর ‘ঠুঁটো জগন্নাথ' এর কথা বলছো? এর অর্থ হল শক্তিমান কিন্তু কাজে অক্ষম যাকে বলে সম্পূর্ণ অকর্মণ্য মানুষ। আমি শক্তিশালি মানুষ না; কখনো ছিলামও না। গায়ে মুখে কোন শক্তির জোর আমার নেই। যা শক্তি আছে তা শুধু মনে আর কম্পিউটারের কী-বোর্ডে। আমি “ঠুঁটো জগন্নাথ” হতে কি চাইবো নবাব? আমার পরিবার আর সমাজ আমাকে আগেই ঠুঁটো জগন্নাথ বানিয়ে দিয়েছে তাদের সুবিধার্থে। আমিও রসায়ন ফেল করেছি। সেই ভয়ের কারনে কর্মাস লাইনে আসা। কর্মাস নিয়েই গ্রাজুয়েশন শেষ করা। তবে কর্মাস আমার খুব পছন্দ। বিষয়টাকে খুব গভীর ভাবে উপভোগ করি। আমি জানিনা আমার ভবিষ্যৎ কি। তবে আমার বাবাও আমাকে সবসময় বলে আমি অপদার্থ আমাকে দিয়ে কিছু হবে না। আমি জানি আমার মাঝে কোন সার্থকতা নেই। নিজের মধ্যে কোন ধরণের স্পেশ্যাল্‌টি নেই। জীবনের কোন ক্ষেত্রে আহামরি কিছু কখনো করিনি যার জন্য নিজেকে আর আট-দশ জন মানুষের চেয়ে বেটার্ ভাববো। নিজের যে গুণগুলোর জন্য নিজেকে বেটার বা স্পেশ্যালটি বলা যায়; সেই সবগুলো গুণেই আমাকে ছাড়িয়ে যায় এরকম মানুষ আমি প্রতিনিয়তই দেখছি ভরি ভরি।

তোমার প্রশ্নত্তরে আমার শুধু একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস’ই দিতে পারলাম আর কিছু নাহ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


পড়ালেখা করা মানে স্বাধীনতা হারানো নয়; যেটা স্কুলে ফিজিক্সে ফেল করেছিল, উহা আসলেই ইডিয়ট ছিলো; এখন উহার কি অবস্হা?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫

তুমি আমি সে বলেছেন: ইডিয়ট ছিলো; নাকি অন্য কিছু তা খুব সহজে এবং তাড়াতাড়ি আপনি নির্ণয় করলেন? এখন তার অবস্থা ভাল। সে এখন এক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে।

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬

ক্লে ডল বলেছেন: নিয়মের বন্দিত্ব থেকে বেরিয়ে নিজের ভাল লাগার জায়গায় কিছু করা অবশ্যই অনেক বড় সার্থকতা যদি তা সমাজ অথবা পরিবারের জন্য ক্ষতিকর না হয়। বিশ্বের সফল ব্যক্তিত্বরা কিন্তু গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়েই সফল হয়েছেন।
নতুন উদ্যোক্তা দেখে যে মানুষ গুলো হাসে, টিটকিরি করে। সফল ব্যবসায়ী হওয়ার পর সেই মানুষগুলোই কিন্তু বাহবা দেয়।

কথা হল নিজের ভাল লাগার জায়গায় কিছু করা এবং তাতেই লেগে থাকা। যে যায় বলুক। শুধু এক্ষেত্রে নিজের ভাল লাগার বিষয় নিয়ে আবেগ অনুভূতি কাছের মানুষ অর্থাৎ মা বাবাকে বোঝানোর দায়িত্ব ব্যক্তির নিজের। মুক্তি খুঁজতে গিয়ে অকর্মণ্য বসে থাকা অর্থহীন।

আপনার লেখা ভাল লেগেছে। :)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

তুমি আমি সে বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।। আসলেই অকর্মণ্য হয়ে বসে থাকা অর্থহীন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.