নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুড্ডির পাইলট; বিমানের না।।

তুমি আমি সে

বহুপথ হেঁটে আমি বড় ক্লান্ত; দোর খুলে নেমেছি সেই কবে তোমার দুয়ারে দাঁড়াব বলে.

তুমি আমি সে › বিস্তারিত পোস্টঃ

“ওগুলো কলা নয়, ওগুলো হল হলুদ রংয়ের স্বপ্ন”

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

বসের অফারে ডিনার হবে বা'ফার্ রেস্টুরেন্টে। বাটন রূঝ রেস্টুরেন্ট। গুলশান-২ ‘এ। ১০১ পদের খাবার এক সঙ্গে খাওয়া হল। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলে আমাদের ভোজন বিলাস। পেট পাহাড়ের মতো উচু করে খাবার গলা পর্যন্ত রেখে; একগাল হাসি দিয়ে বসকে অশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে একসঙ্গে বিদায় নিলাম আমি আর কলিগ মুনীর ভাই।

রিক্সা করে বনানী আসলাম। সেখান থেকে মুনীর ভাই বাসে করে উত্তরা আর আমি মহাখালীর দিকে রওনা দিলাম। মহাখালী থেকে লেগুনা করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিব। রাত তখন সাড়ে ১০ টা। কিছুদুর হেঁটে লেগুনার জন্য রাস্তার পাশে দাড়িয়ে আছি।

দাড়িয়ে থাকার মুহূর্তে চোখ পড়ল একটি দামি রেস্টুরেন্টের দিকে। নিষ্পাপ সন্তানকে কোলে নিয়ে এক অসহায় ভিখারি দাড়িয়ে আছে রেস্টুরেন্টের দরজার সামনে। কোলে থাকা সন্তানের বয়স ৭/৮ মাসের বেশি হবে না। দেখছি ভিখারি তার শিশুটিকে কোলে নিয়ে হোটেলের বাইরে বানানো রকমারি খাবারগুলোর দিকে ক্ষুধার্ত দৃষ্টিতে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। আর ভেতরে থাকা লোকদের কাছ থেকে হয়তো একটু সহানুভূতির আশা করছে।

ঐ মুহুর্তে একটি কথা মনে পড়ছিল- কোন ক্লাসে যেন পড়েছিলাম - “ওগুলো কলা নয়, ওগুলো হল হলুদ রংয়ের স্বপ্ন”।।

ঠিক তখন ভিখারির কাছে হোটেলের খাবার গুলোকে বাইর থেকে স্বপ্ন মনে হচ্ছিল। অবাক লাগে; কত লোক খাবার খেয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে হাসিখুশি মুখে বের হয়ে যাচ্ছে আবার কত লোক হোটেলে প্রবেশ করছে। এইযে, আমরাই তো টানা ৩ ঘন্টা ধরে ১০১ ধরনের খাবার খেয়ে বাড়ি ফিরছি। আমার বা অন্য কারো সহানুভুতি তো দুরের কথা; তাদের দিকে তাকানোর সময়টুকুই নেই। আসলেই এই ব্যস্ত নগরীতে আমরা খুবই ব্যস্ত মানুষ।

ভিখারীর ক্ষুধার জ্বালাটা বুঝতে পারছি। পেটের ভেতর জ্বলতে থাকা ক্ষুধার জ্বালা মেটানোর জন্য ওর হয়তো প্রয়োজন এক থালা ভাতের। হয়তো ক্ষিদের জ্বালায় সে ক্লান্ত; শুধু জেগে আছে এক থালা ভাতের আশায়। হোটেল থেকে সবজ্বি ডাল আর ডিম দিয়ে ভাত কিনে দিলাম ভিখারীকে। ও ফ্যাল ফ্যাল করে অবাক দৃষ্টি দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষন। চোখে অশ্রু আর কৃতজ্ঞতার সুস্পস্ট ছাপ ছিলো নিশ্চই। কিন্ত সেটা দেখার মত সময় কোথায় আমার? আমার জন্যও তো ঘরের মানুষগুলো অনেক প্রতিক্ষায় জেগে আছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১১

কানিজ রিনা বলেছেন: ভালমানুষবেঁচেথাক।

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

চৌধুরী মাহবুব বলেছেন: মাজার, রেস্টুেরন্টের সামনে উদাম গায়ে ক্ষুধার জ্বালায় ঝলসানো মানুশগুলোর কথা কেউ ভাবেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.