| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিডিআর এর ডিজি নিহত হয় সকাল সাড়ে দশটায়। ভারতীয় টিভি চ্যানেল 'চব্বিশ ঘন্টা' বিস্ময়করভাবে অতি অল্পসময়ের মধ্যে বিডিআর ডিজি ও তার স্ত্রী নিহত হবার সংবাদপ্রচার করে সকাল এগারটায়। ভারতের আর একটি চ্যানেল এনডি টিভি সংবাদ শিরোনামে দেখায় ১২টার সময় এবং আরও সংবাদ প্রচার করে ১২.১৫ মি: এর সময়ে। কিন্তু বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে এই বিদ্রোহের সংবাদ চাপা রাখা হয় ২৬ তারিখ অপরাহ্ন পর্যন্ত। অথচ কর্ণেল মজিব ও লে: ক: এনায়েত এর লাশ উদ্ধার করা হয় ২৫ তারিখ বিকেল আড়াইটার সময়। এদিকে বিকেল ৩.৩০মি: এর সময় বাংলাদেশের মিডিয়া ঘটা করে নানক কর্তৃক নিয়ে আসা ১৪ জন বিডিআর বিদ্রোহীর সাথে চা বিস্কুট খেতে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারী বাসভবনে বৈঠক করার খবর প্রচার করা হয়। উক্ত সভা চলে ১৫০ মিনিট। মাঝপথে প্রধানমন্ত্রী একটি টেলিফোন কল রিসিভ করার পর তিনি বিডিআর বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিদলকে বলেন, তোমরাতো বিডিআর এর ডিজিকে মেরে ফেলেছো, এই সময় বিডিআর এর ডিএডি তৌহিদ বলে উঠে যে, তাহলে সম্ভবত ডিজি মারা গেছেন এটা রীতিমত অবিশ্বাস্য যে তখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ও তার মেহমান হিসাবে আসা বিদ্রোহীরা জানতোনা বিডিআর এর ডিজির হত্যাকান্ডের খবর অথচ সকাল ১১ টা থেকে ভারতীয় টেলিভিশনের পর্দায় বিডিআর কর্মকর্তাদের হত্যাকান্ডের খবর অবিরত প্রচার করা হচ্ছিল আর ইতিমধ্যে সমগ্র রাজধানীতে এটা নিয়ে ব্যাপক আলাপ আলোচনা হচ্ছিল অথবা এটা কি সত্যিই বিশ্বাস করা যায় যে বিদ্রোহীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর তেমন জিজ্ঞাসা নিতান্তই উদাসীনতা বশত করা হয়েছিল? সম্ভবত প্রধানমন্ত্রীর তেমন অজ্ঞতাসূলভ (?) জিজ্ঞাসার মধ্যে বিদ্রোহীদের প্রতিনিধি দলের জন্য একটি বার্তা নিহিত ছিল।
উক্ত ফোন কলের বার্তা লাভের পরও বিদ্রোহীদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক থেকে এটা স্পষ্টতই মনে হয় যে আসলে তেমন কোন ঘটনাই তথা হত্যাকান্ড বা রক্তপাত তখন পর্যন্ত ঘটেনি। সভার বাকী সময় কেটে গেলেও একবারের জন্যও প্রধানমন্ত্রী ডিজির স্ত্রী ও তাদের ছেলে মেয়ে ও অন্যান্য অফিসার ও তাদের ছেলে মেয়েদের ভাগ্য সম্পর্কে কোন খোঁজ খবর নেয়নি। অথবা সে তাদের নিরাপত্তা বিধানের কোন আহবানও বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রাখেননি। অথচ দরবার হলে হত্যাকান্ড শুরুর পর থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনে নিয়োজিত ন্যাশনাল মনিটরিং সেল থেকে অফিসারদের পরিবার পরিজনদের নির্যাতনের কথা প্রধানমন্ত্রীকে বহু বার জানানো হয়। সেনা প্রধানকে বিডিআর বিদ্রোহীদের সাথে বাইরের লোকজনের কথাবার্তার বিষয়ে জানানো হয়। কিভাবে বিদ্রোহীরা অফিসারদের হত্যা করছে এবং তাদের পরিবার পরিবার পরিজনদের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে সেই সব কথাবার্তায় তার বিবরণ শুনা যায়। সেনাপ্রধান এমন বর্বরতা মোকাবেলা করার মত কোন পদক্ষেপ গ্রহনের বদলে ন্যাশনাল মনিটরিং সেল এর অফিসারদের শান্ত থাকার এবং কোনরূপ আবেগ তাড়িত হতে নিবৃত্ত থাকার নির্দেশ জ্ঞাপন করেন।
বিদ্রোহের সাথে প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের মৌন সম্মতির সাথে সঙ্গতি রেখে বিডিআর হত্যাকারীদের জন্য সাধারন ক্ষমা ঘোষনা ও তাদের দাবী দাওয়া মেনে নেয়ার আশ্বাস প্রদান করা হয়। রাত নেমে আসার সাথে সাথে আত্মতৃপ্তিতে বলিয়ান বিডিআর বিদ্রোহীদের প্রতিনিধি দল নানককে সাথে নিয়ে বিডিআর সদর দফতরে প্রত্যাবর্তন করেন। কিছু সময় পরই সাংসদ তাপস সংবাদ মাধ্যমকে জানায় যে ডি এডি তৌহিদ এখন থেকে বিডিআর এর মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন। এমন ঘোষনার পর হত্যাকারী ও তাদের দুষ্কর্মের সহায়তাকারীরা বুঝতে পারলো যে সেনা অভিযানের আশংকা দূরীভূত হয়ে গেছে। পরবর্তীতে তাপস বিডিআর সদর দপ্তরের অভ্যন্তরে গিয়ে বিদ্রোহীদের সবকিছু ধুয়েমুছে সাফ করে ফেলার নির্দেশ প্রদান করে। আসলে এটা ছিল হত্যাকান্ডের জন্য লাইসেন্স প্রদান করা। সেই লাইসেন্স যে অর্থহীন ছিলনা পরবর্তীতে তা সবাই বুঝতে পারে।
দরবার হলের একটি টয়লেট এ কর্ণেল এমদাদ জীবিত ছিলেন। সেখানে সে জোহর এর নামায আদায়ের পর তার স্ত্রীর সাথে মোবাইলে কথা বলেন। রংপুরের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আফতাব তার সহকর্মী একজন ব্রিগেডিয়ার ও দুইজন কর্ণেল এর নিকট বিকেল সাড়ে চারটার সময় এই মর্মে তিনটি এসএমএস প্রেরণ করেন যে “আমি দরবার হলে বেঁচে আছি। আমাদের দয়া করে বাচাঁও”। গুরতরভাবে আহত মেজর মোসাদ্দেকের অতি উদ্বেগজনক ও অব্যাহত ফোন কল এ তাঁকে বাঁচানোর আশ্বাস প্রদান করা হলেও কার্যক্ষেত্রে কিছুই করা হয়নি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে সে সাড়ে ৫টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। সেনা অফিসারদের বাচাঁনোর কোন উদ্যোগই গ্রহন করা হয়নি। তাদেরকে বাঁচানোর দ্বায়িত্ব যাদের ছিল তারা অন্যদের পৃষ্টপোষকতায় ব্যাস্ত ছিল। সন্ধ্যার দিকে পীলখানা থেকে এ্যাম্বুলেন্স যোগে আহতদের স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়। কিন্তু এটা ছিল একটা বাহানা। ঐ এ্যাম্বুলেন্স এ করে ভাড়াটে খুনীদের বধ্যভূমি থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। পীলখানা থেকে এ্যাম্বুলেন্স এ বের করে তাদেরকে পূর্ব নির্ধারিত পয়েন্ট এ অপেক্ষমান মাইক্রোবাসে উঠিয়ে দেয়া হয়। বাংলাদেশ বিমানের বিজি০৫৯ নং বিমানে তাদেরকে মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌছিয়ে দেয়া হয়।
ঐ দিন বিকেলে পুলিশের আইজি নূর মোহাম্মদ পীলখানা থেকে তার সদ্য বিবাহিত কন্যাকে উদ্ধারের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। সে পীলখানা প্রবেশের জন্য কয়েকবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের অনুমতি প্রার্থনা করে। কিন্তু তার প্রার্থনা না মঞ্জুর করা হয়। বিক্ষুদ্ধ আইজি মরীয়া হয়ে একাই যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। এমতাবস্থায় সাহারা খাতুন অস্ত্র সমর্পন ও অফিসারদের পরিবার পরিজনদের উদ্ধারের নাটক শুরু করে। সাহারা কেবলমাত্র ওটোশী ভবন থেকে আইজির কন্যা ও বিদ্রোহের ষড়যন্ত্রে জড়িত কর্ণেল কামরুজ্জামানের স্ত্রী ও মিসেস আকবরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এমনকি উক্ত ভবনের দোতালার উপরে তিনি যাননি। উক্ত ভবনের উপরের দিকে অবস্থানকারীরা সহ অন্যান্য আবাসিক ভবনের সবাইকে তাদের ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিয়ে আসা হয়।
সাহারা খাতুন পীলখানা ত্যাগ করার পর পরই কর্ণেল আফতাবকে হত্যা করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর আগমনে তার মনে হয়তো এই বিশ্বাস হয়েছিল যে বিদ্রোহের নিষ্পত্তি হয়েছে এবং তাই তিনি তার গোপন স্থান থেকে বের হয়ে এসে তার স্ত্রী ও কন্যার সাথে সাক্ষাত করতে যায়। সে জানতো যে তারা অফিসারস মেসে আছে। কোয়াটার গার্ড অভিমুখে যাওয়ার পথেই তাকে গুলি করা হয়। কর্ণেল রেজাকে হত্যা করা হয় রাত ৩টার পরে। সাহারা খাতুনের প্রত্যাবর্তনের পর কর্ণেল এলাহীকেও হত্যা করা হয়। সে একটি ম্যানহোলে পালিয়ে ছিল। সেখান থেকে বের হলেই তাকে হত্যা করা হয়। এই ভাবে বেশ কয়েকজন অফিসারকে রাতে হত্যা করা হয়। সরকার প্রধান ও নিজেদের সেনাপ্রধানের বিশ্বাসঘাতকতায় জাতীয় নিরাপত্তা বিধানে নিবেদিতপ্রাণ এইসব অফিসারদের জীবন প্রদীপ অতি অল্প সময়ে নিভে যায়। সেনাবাহিনীতে কর্মরত তাদের অসহায় ও অবমানিত সহকর্মীদের পক্ষে তাদের বাঁচানোর কোন ফুরসতই ছিলনা।
এই জঘন্য হত্যাকান্ড যখন চলছিল তখন মীর্জা আজমকে অনবরত বিদ্রোহীদের সাথে সেল ফোনে কথা বলতে শুনা যাচ্ছিল। সে হত্যাকারীদের সুনির্দিষ্ট ভাবে কর্ণেল গুলজারের চোখ তুলে ফেলতে এবং গুড়িয়ে দেয়ার নির্দেশ জ্ঞাপন করে। কর্ণেল গুলজারকে এরুপ বীভৎসভাবে হত্যা করার জন্যে মির্জা আজমের নির্দেশের পিছনে কারন ছিল তার বোনের স্বামীর মৃত্যুর প্রতিশোধ গ্রহণ করা। কর্ণেল গুলজার তখন, র্যাব গোয়েন্দা শাখার পরিচালক ছিলেন। তার নেতৃত্বে মির্জা আজমের বোনের স্বামী জেএমবির প্রধান আবদুর রহমানকে তার গোপন আস্তনায় র্যাব অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে এবং পরবর্তীতে তাকে ফাঁসি দেয়া হয়। কর্ণেল গুলজার ইতিহাসে সিলেট আওয়ামী লীগের এক নেতার ভাড়াকরা বাড়ী থেকে আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করে।
এছাড়াও কর্ণেল গুলজার যুবলীগ প্রেসিডেন্ট নানক ও জেনারেল সেক্রেটারী আজমের ব্যক্তিগত আক্রোশের আরেকটি কারন হলো আওয়ামীলীগ আহুত হরতালের সময় প্রথমবারের মত বাংলাদেশে হরতালে গান পাউডার ব্যবহার করে হোটেল শেরাটনের সন্নিকটে ১১ জন যাত্রীসমেত একটি বিআরটিসি বাস জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনার সাথে নানক ও আজমের সম্পৃক্তির প্রমানাদি কর্ণেল গুলজার প্রতিষ্টা করে। শেখ হাসিনা সে সময়য় যুবলীগের এই দুই নেতাকে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছিল যে 'হয় সরকারী ক্ষমতার নিকট বশ্যতা স্বীকার করো; না হলে রাজপথ জনগনের রক্তে রঞ্জিত করে দাও।' ২০০৮ সালে র্যাবের কাছে আটক থাকার সময় শেখ সেলিম বাস জ্বালানোর সে লোমহর্ষক কাহিনী কর্ণেল গুলজারের নিকট ব্যাক্ত করেন এবং ঘটনার সাথে নানক ও আজমের সরাসরি সম্পৃক্তির কথা গুলজারকে জানান। শেখ সেলিমের সে স্বীকারোক্তির অডিও টেপ ইউটিউব এ প্রচার করা হয়। গুলজারকে অমন বীভৎস মৃত্যু ঘটানোর মধ্য দিয়ে নানক আজমরা কেবল যে প্রতিশোধই গ্রহন করেছিল তাই নয় তাদের সেই নৃশংসতা বাংলাদেশে সৎ ও দেশপ্রেমিক লোকদের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি হিসেবেও প্রতিষ্টা লাভ করেছিল।
২|
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫
নতুন বলেছেন: আয়ামীলীগের কর্মীরা বলবে এটা সাধারন বিডিআর সেনাদের কাজ। তারা চালডাল কর্মসুচীর দুনিতির প্রতিবাদে কয়েক মাস আগে বদলী হওয়া অফিসারদের মেরে ফেলেছে। যখন প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা হচ্ছে তখন তারা হত্যা করেছে।
আপনি যেই বিবরন দিলেন সেটা আয়ামীলীগের মানুষের ব্রেনে ঢুকবেনা। তারা বলবে এটা সাধারন বিডিআরের সেনাদের বিদ্রোহ মাত্র। ![]()
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৬
মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: পর্ব ০১ এ আপনাকে তো এটাই বললাম মন্তব্যে ভাই, এরা তো মানুষ না। এরা আওয়ামীলীগ। এইটা আপনাকে বুঝতে হবে। এদেরকে আওয়ামীলীগ আর হাসিনার অপকর্মের প্রমান, সাক্ষ্য, লাইভ ভিডিও ইত্যাদি যাই দেখান না কেন এরা এইটারে গ্রহণই করবে না, মেনে নেওয়া, অনুশোচনা তো বহু দূরের কথা। এরা দলকানা না। দলকানাও অন্তত দলের বা নেত্রীর অপকর্মের কথা "ভুল হইসে" বলে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে। হাসিনা হচ্ছে একজন সাইকোপ্যাথ আর এর অনুসারীরা হচ্ছে "সেলফ ডিনায়াল "নামক মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত। এদের কাছে আয়নাঘর স্ক্রিপ্টেট, ৫ আগস্ট ষড়যন্ত্র, হেলিকপ্টার দিয়ে গুলি করা মিথ্যা, আবু সাঈদ AI দিয়ে বানানো, মুগ্ধ ইমাজিনেশন, রিয়া গোপ মিথ্যা, শহীদ ইয়ামিন সন্ত্রাসী, বাংলাদেশ নতুন জঙ্গিস্থান, রিকশার পা-দানিতে থাকা শহীদ নাফিস মিথ্যা, শহীদ নাইমা-নাফিসা মিথ্যা, স্নাইপার দিয়ে গুলি চালানো বানোয়াট, কোটি জনতা মিথ্যা!! শুধু সত্য হচ্ছে ওগো নেত্রী, পিও আপার অমর বাণী- "কি দোষ ছিল আমার?"
"স্বজন হারানোর বেদনা যে কত কঠিন...... " আর সত্যি চট করে ঢুকে পট করে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া এবং স্লোগান "জিতবে এবার নৌকা" । হিটলার এর মৃত্যুর মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি এবং বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তির অবস্থান থেকে জার্মানির পতনের পর জার্মানির লোকজন কি ভেবে ছিল "হিটলারের সময়ই ভালো ছিলাম" ? যদি এমনটা ভাবতো তাহলে তারা বর্তমান বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশে পরিণত হতো না। কিন্তু এরা এমনটাই ভাবে। এদের জাস্ট সামাজিক ভাবে ইগনোর করুন আর এই গান শুনুন Click This Link
৩|
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমার একটা বিষয় বুঝতে পারতেছি না,, বিডিআর বিদ্রোহের মাত্র কয়েকমাস আগে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এলো, আর ক্ষমতায় এসেই তারা এমন একটা ম্যাসাকার করবে? তারা তো ইতিমধ্যেই ক্ষমতায় বসে রয়েছে তাদের তো আর হারানোর কিছু ছিলো না।
রাজনীতিতে সাধারণত ক্ষমতা হারানো দলগুলো না না অনাকাংখিত ঘটনা ঘটিয়ে সরকারকে চাপে ফেলতে চায়, এখানে দেখা যাচ্ছে বিষয়টা উল্টো। আমার মনে হয় এটা বিডিআর এর ভেতরের ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকন্ড হয়েছে, একটা বাহিনীতে না না গ্রুপ থাকে যাদের মধ্যে একটা ঠান্ডা যুদ্ধ চলতে থাকে।
নিচু শ্রেণীর সেনাদের উপরের শ্রেণীর কর্মকরতাদের উপর চিরকালই একটা ক্ষোভ থাকে, আমার মনে হয় তারা তাদের ক্ষোভ মিটিয়েছে।
৪|
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: মনে হচ্ছে আপনি সাক্ষী, প্রতক্ষ্যদর্শী,
আপনই বিচারক !
............................................................
এসব ছেড়ে , সত্যর পথে আসুন।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৭
মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: মিথ্যুক হাসিনার সমর্থকদের কাছ থেকে শুনতে হয় "সত্যর পথে আসুন" । How funny
৫|
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দুই বাহিনীর মধ্যে একটা ভজঘট পাঁকি কোন গোষ্ঠী হয়তো সরকার পতনের পাঁয়তারা করেছিলো।
৬|
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১১
আলামিন১০৪ বলেছেন: ”ফুলস্টপ”
৭|
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪৪
আহলান বলেছেন: কালো অধ্যায় হয়ে আজীবন টিকে থাকবে যে ইাতহাস!
৮|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: কষ্ট করে এত কিছু লেখার দরকার কি?
সব দোষ শেখ হাসিনার কাঁধে চাপিয়ে দেন। ব্যস। খেলা শেষ।
এখন তো সব অপকর্ম শেখ হাসিনার ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আপনিও দেন।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০২
মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: খুনি কে খুনি বল্লে তো আপনার গায়ে লাগার কথা না। হাসিনা অপকর্ম করসে, তা এখন বের হয়ে আসছে , তা নিয়ে লোকজন আলোচনা করচে এবং করবে। তাতে তো কারো গা জ্বলার কথা না। স্বৈরাচার কে স্বৈরাচার বলবই, খুনি কে তো খুনি বলবোই, ভারতের দালাল কে ভারতের দালাল বলবই । বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলেই যে তার অপরাধ নিয়ে নিয়ে আলোচনা যাবে না তাতো না। আওয়ামীলীগ একটা পলিটিক্যাল পার্টি আর হাসিনা সেই পার্টির প্রধান। এতটুকুই। আর কিছু না।যদি আওয়ামীলীগ কে আপনি ধর্মের মত মনে করেন বঙ্গবন্ধুকে নবী হিসেবে মনে করেন আর হাসিনা কে খলিফা হিসেবে মনে করেন তখনই আসল ঝামেলা শুরু হয়। তখনই সেখ হাসীনার সব অপকর্ম সঠিক বলে মনে শুরু করবেন আপনি। তখনই সমালোচনা করলেই "সব দোষ শেখ হাসিনার কাঁধে চাপিয়ে দেন। ব্যস। খেলা শেষ।এখন তো সব অপকর্ম শেখ হাসিনার ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে" এমন কথা াথায় আসবে আপনার
৯|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৮
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আপনি কবে থেকে ধোঁয়া তুলসীপাতা হলেন ?
বাঙালীর (এক শ্রেণীর) খারাপ স্বভাব গেলনা,
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৮
এ আর ১৫ বলেছেন: বিডিআর ম্যাসাকারের ষড়যন্ত্রকারি কারা সেটা নিয়ে এই আলোচনা।
এটাকি র এবং আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র?
এই পক্ষের উদ্দেশ্য দেশের সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে শেষ করে দেওয়া, তাই এরাই এর জন্য দায়ি। যদি এটা সত্য হয়, তাহোলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সেনা সদস্যদের কেন এরা হত্যা করবে এবং এই ধরনের হত্যাকান্ডের নাটক এরা রিপিটেড করবে এই বাহিণীকে শেষ করে দেওয়ার জন্য যেমনটি জিয়া করেছিল, একের পর এক কু নাটক করে মুক্তি যুদ্ধের পক্ষের সেনাদের হত্যা করে। আওয়ামী লীগের ভিত্তি সেনাবাহিনীর ভিতরে ছিল দুর্বল এরা কি এই ধরনের রিক্স নিবে যখন তাদের সরকার মাত্র দেড় মাস আগে ক্ষমতায় বসেছে। হত্যাকারীদের উদ্দেশ্য দেখলে, এটা পরিষ্কার তাদের উদ্দেশ্য ছিল দুই বাহিনীরবং ভিতরে যুদ্ধ লাগিয়ে সরকারের পতন ঘটান, তাহলে এই নতুন সরকার কি এই রিক্স নিবে। এই সর কারে সে ধরনের উদ্দেশ্য থাকলে প্রতি বৎসর কেন সেনা বাহিনীর পিছনে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করে আধুনিকায়ন করবে এবং নতুন সদস্য যুক্ত করে জনবল বাড়াবে?
এটাকি আই এস আই এবং জামাতের ষড়যন্ত্র?
এই ব্যপারে যুক্তি হোল, আওয়ামী লীগ যুদ্ধ অপরাধিদের বিচার করবে এবং এই সরকার কেবল ক্ষমতায় বসেছে, ভিত্তি শক্ত নহে, তাই এখনি এদের ফেলে না দিলে পরে ফেলা কঠিন হবে, তাই এর পিছনে এই চক্রই দায়ি। এই দিন ঐখানে কর্ণেল গুলজার সহ বেস কয়ক জন জিংগি বিরুধী সেনা অফিসার ছিল তাদের হত্যা করে দুই বাহিনীর ভিতর যুদ্ধ বাধান সম্ভব হলে, সরকার পতন অনিবার্য।
এই ঘটনা শুরুর পর সরকার সেনা প্রধানের কাছে, পরিস্থিতি মোকাবেলার দায়িত্ব দেয় এবং পরবর্তি সব কাজ সেনা কমান্ড থেকে করা হয়েছে। পিলখানায় কয়েক হাজার বিডিআর ছিল সেদিন, তাই সেনা কমান্ডকে খুব ভেবে চিনতে পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। এই ধরনের পরিস্থিতে কমান্ড আক্রমণ করার অনুমতি চেয়ে ও দেয় নি সামরিক কমান্ড করান, যদি কয়েক হাজার বিডিআর ভারি অস্ত্র হাতে প্রস্তুত থাকে, সাথে সাথে দুই বাহিনীর ভিতরে যুদ্ধ লেগে যাবে, তাই কালখেপনের সিদ্ধান্ত নেয়, পিলখানার পিছনের দিকটাকে অরক্ষিত রাখে এবং এটা খুব কার্যকর স্ট্র্যাটেজ হয়, বেসির ভাগ বিডিআর সদস্য ওই দিক দিয়ে পালিয়ে যার, যার জন্য বিদ্রোহীরা সংখ্যা লঘু হয়ে যায়। যদি পিছন দিক দিয়ে পালিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হোত, তাহোলে সব বিডিআর সদস্যরা বিদ্রোহীদের সাথে যোগ দিতে বাধ্য হোত এবং সারা দেশে দুই বাহিনীর ভিতরে যুদ্ধ বেধে যেত এবং সরকারের পতন হয়ে যেত।
বিদ্রোহীরা সংখ্যায় কমে গেলে তারা আপষ করতে রাজি হয় এবং এই কাজ পরিচালনের তৃতীয় পক্ষ হিসাবে সরকারি দলের নেতাদের পাঠান হয়। এই কার্যক্রম পিছন থেকে পরিচালনা করে, সেনা কমান্ড।