নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বার বার নিহত হব তোমার অবর্তমানে

যদি ঠাঁই দিলে তবে কেন আজ হৃদয়ে দিলে না প্রেমের নৈবদ্য

বিবাগী বাউল

ইদানিং জ্যোৎস্না দর্শনই হয়ে পড়ে আমার একান্ত জীবনদর্শন!!!

বিবাগী বাউল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাণিজ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীসহ সরকারকে মোজেনার কথায় মজে গিয়ে আত্মঘাতী টিকফা চুক্তি স্বাক্ষর না করার দাবি জানাচ্ছি!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫২



৩ জানুয়ারি, ২০১২ যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মোজেনার দেড় ঘণ্টার আলাপচারিতায় বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী বেশ মজেছেন বলে খবরে প্রকাশ! মোজেনা আবারো বলেছেন, খুব শীঘ্রই ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট (টিকফা) চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে। ২০০৪ থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতগণ বাংলাদেশের স্বার্থপরিপন্থী সাম্রাজ্যবাদী এই চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আর চুক্তির ফলে বাংলাদেশ বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে বলে হেজিমনিক অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। চুক্তির বিভিন্ন প্রস্তাবনায় এবং অনুচ্ছেদে বাজার উন্মুক্তকরণ এবং সেবা খাতের ঢালাও বেসরকারিকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতসমূহে বিশেষ করে সেবা খাতগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক কোম্পানির আধিপত্য প্রতিষ্ঠার সুস্পষ্ট রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। ফলে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে দেশের সেবাখাতসমূহ রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হয়ে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানির দখলে চলে যাবে। এতে করে দেশীয় কোম্পানিগুলোর স্বার্থও বিঘ্নিত হবে। অবাধ মুনাফা অর্জনের জন্য বিদেশি কোম্পানিগুলো সেবা ও পণ্যের দাম অত্যধিক বৃদ্ধি করবে। টেলিযোগাযোগ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, চিকিৎসা, শিক্ষা, বন্দর প্রভৃতির ব্যবহার মূল্য বহুগুণ বেড়ে যাবে। ফলে বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিবিধ নাগরিক সুবিধা পাওয়ার অধিকার ভূলুণ্ঠিত হবে। চুক্তির ১৮ নং প্রস্তাবনা অনুযায়ী বাংলাদেশকে দোহা ডেভেলপমেন্ট এজেন্ডা অনুসারে কৃষিতে ভর্তুকি হ্রাসকরণ এবং মুক্তবাজার অর্থনীতি গ্রহণ করতে হবে। টিকফা চুক্তির ফলে বাংলাদেশকে ২০১৬ সালের আগেই মেধাস্বত্ব আইন মেনে চলতে হবে কেননা চুক্তির ১৫ নং প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে বাণিজ্য সম্পর্কিত মেধাস্বত্ব অধিকার (TRIPS) এবং অন্যান্য প্রচলিত মেধাস্বত্ব আইনের যথাযথ এবং কার্যকরী রক্ষণাবেক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে ।এর ফলে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প, কম্পিউটার সফটওয়্যার সহ গোটা তথ্যপ্রযুক্তি খাত আমেরিকার কোম্পানিগুলোর পেটেন্ট, কপিরাইট, ট্রেডমার্ক ইত্যাদির লাইসেন্স খরচ বহন করতে গিয়ে অভূতপূর্ব লোকসানের কবলে পড়বে। ফলে বিভিন্ন পণ্য এবং প্রযুক্তির দাম অভাবনীয়ভাবে বেড়ে যাবে। অর্থাৎ টিকফা চুক্তি স্বাক্ষরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ এবং নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হবে বিনিময়ে লাভের পরিমাণ হবে সামান্যই।



বাণিজ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীসহ সরকারকে মোজেনার কথায় মজে গিয়ে আত্মঘাতী টিকফা চুক্তি স্বাক্ষর না করার দাবি জানাচ্ছি!

অনেক আগেই ব্লগে এই বিষয়ে লিখেছি। এই লিংকে পাবেন লেখাটা Click This Link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১২

ছাইচাপা আগ্নেয়গিরি বলেছেন: বাউল ভাই, এই নির্মম কথাগুলো আর একটু প্রাঞ্জল করা গেলে গলধ:করন করতে সুবিধা হত । এই মাত্র দৈনিক সংবাদের উপসম্পাদকীয়তে পড়লাম আর্টিকেলটা । :)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮

বিবাগী বাউল বলেছেন: ছাইচাপা আগ্নেয়গিরি, ধন্যবাদ ! আপনার যে কোন পরামর্শ সাদরে গ্রহণে প্রস্তুত আমি! তবে আপাতত নির্মমতার ছাই এ চাপা পড়ে আছে প্রাঞ্জলতা!

যাই হোক ভাল থাকবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.