নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বার বার নিহত হব তোমার অবর্তমানে

যদি ঠাঁই দিলে তবে কেন আজ হৃদয়ে দিলে না প্রেমের নৈবদ্য

বিবাগী বাউল

ইদানিং জ্যোৎস্না দর্শনই হয়ে পড়ে আমার একান্ত জীবনদর্শন!!!

বিবাগী বাউল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বার্মায় চলছে মুসলিম গণহত্যা! চীনা আর মার্কিন সাম্রাজ্যবাদপুষ্ট বার্মার ফ্যাসিবাদ ধ্বংস হোক

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৬







The charred bodies of Muslim who were burnt alive by terrorist Buddhist mob and monks called 969 campaign with the presence of police in Meiktilar city, Myanmar. The police and authorities were not stopping them to kill Muslim, to burn Muslim and their homes and to torch the Mosques in broad day light. Photo Credit – Maung Nyan



A body is seen on a street in Meikhtila on Thursday. (Photo: Reuters / Soe Zeya Tun)















এটা দাঙ্গা না, এটা নির্বিচার গণহত্যা! যেসব মিডিয়া এটাকে দাঙ্গা বলে হাল্কা করতে চায় তাদের মতলব কি জানি না! বুদ্ধের অহিংস ধর্মের নীতি ভুলে গিয়ে কি করে মায়ানমারের সংখ্যাগুরু বৌদ্ধরা এভাবে রোহিঙ্গা মুসলিম নিধনযজ্ঞে (জাতিগত ক্লিনজিং) মেতে উঠল তা রীতিমত অবাক করার বিষয়।মায়ানমারের রাষ্ট্রযন্ত্র ইসরাইলের জয়োনিজমের মতই রোহিঙ্গা মুসলিমদের বহিরাগত বলে হেজিমনিক প্রচার চালিয়ে তাদের নাগরিকতাকে অস্বীকার করে রাখাইনদের মাঝে এক ধরনের উন্মত্ত জাতীয়তাবাদী ফ্যাসিবাদ তৈরি করেছে আর তাই এই রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের অন্যতম কারন।বুদ্ধের ধর্ম অনুসারে যেখানে জীব হত্যাই মহাপাপ সেখানে এই ভাবে মানুষ হত্যা.........গণতান্ত্রিক সূচি না শান্তি তে নোবেল পাইছেন? কই আপনার শান্তির ললিত বানী? আপনি এখন ক্ষমতার মোহে সংখ্যাগুরু রাখাইনদের এই উন্মত্ত হত্যাযজ্ঞকে নিরবে সহে যাচ্ছেন স্রেফ ভোটের রাজনীতির কারনেই, আপনাদের এই গণতন্ত্রের নিকুচি করি!























































মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় সংখ্যাগুরু রাখাইনদের দ্বারা জাতিগত শুদ্ধি অভিযান, গণহত্যা ও বেপরোয়া লুটতরাজ এর শিকারে পরিণত হওয়া সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের মানবিক বিপর্যয় চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে এই আধুনিক সভ্যতার অমানবিক অসভ্যতা কতটা নির্্মম হতে পারে, নিপীড়িত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের এই দুর্দশা মোকাবিলায় পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের নির্দয় নির্বিকার ভূমিকা মূলত তাদের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার যে আসলে শুধুই ভণ্ডামি আর কপটতা তার আরেকটি দলিল হয়ে থাকল। কিন্তু এই যে জাতিগত নিধন, গণহত্যা তার মোকাবিলায় আমেরিকা, ফ্রান্স, ইটালি, জার্মানি, জাতিসংঘ কেন এখন তড়িৎ পদক্ষেপ নিয়ে নিপীড়ক মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না? কেন লিবিয়া, সিরিয়া এর মত মিয়ানমারের উপর আছড়ে পড়ছে না পশ্চিমা জঙ্গি বিমান? কেন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হচ্ছে না নিপীড়ক মিয়ানমারকে? আমি জানি, পশ্চিমারা রোহিঙ্গা মুসলমানদের মানবিক বিপর্যয় রোধে কিছুই করবে না, নীরব দর্শকের মত তারা উপভোগ করবে এই জাতিগত নিধনযজ্ঞ। আমি জানি, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা বিধানে একটুও এগিয়ে আসবে না! আমি জানি, গনতন্ত্রপন্থি সূ চি ও এ ব্যাপারে কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবেন না, আমার কেবলি এই তথাকথিত আধুনিক সভ্যতার প্রতি তীব্র ঘৃণার সৃষ্টি হয়, মনে হয় এই বস্তুবাদী সভ্যতার আধুনিক মানুষ আজ বড্ড বেশি স্বার্থপর, আত্মকেন্দ্রিক, অনুভূতিহীন যান্ত্রিক মানুষে পরিণত হয়ে গেছে, এখানে আজ যা কিছুই ভাল, যা কিছুই উন্নত, যা কিছুই আদর্শিক (যেমন মানবতা,উন্নয়ন, গনতন্ত্র, মানবাধিকার, সভ্যতা) সব কিছুই শুধু অভিজাতদের জন্য, সব কিছুই সংখ্যাগুরুর জন্য, সেখানে সংখ্যালঘুর কোন অধিকার নেই, তাদের কোন আশ্রয় নেই, তাদের নিশ্চিহ্ন করতে পারলেই সংখ্যাগুরুর ভোগদখল আরও বৃদ্ধি পাবে! তাই পৃথিবীর দেশে দেশে আজ চলছে সংখ্যালঘুর উপর সংখ্যাগুরুর democratic domination. এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধে-



১। সংখ্যাগুরু বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী রাখাইনদের মহান বুদ্ধের অহিংস নীতি অনুসরণ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিপীড়ন না করে তাদের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করা শিখতে হবে।

২। মিয়ানমারের সরকারকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে মেনে নিয়েই তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

৩। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে যেন রোহিঙ্গাদের উপর জাতিগত নিপীড়ন বন্ধ করা হয়।

Click This Link

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৪

আকাশপানে বলেছেন: কিছুই বলার নেই, এরজন্য আমরাই দায়ী।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৭

বিবাগী বাউল বলেছেন: ও আই সি, আরব লীগ থেকে শুরু করে ১/২ টা ছাড়া সব মুসলিম দেশ ই নীরব , সবাই আছে আম্রিকার দালালীতে

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৬

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: @আকাশপানেঃ আমরা দায়ী বলতে কি বুঝাতে চাচ্ছেন? ব্যাখ্যা করেন।

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৬

আকাশপানে বলেছেন: আমরা মুসলিমরা যেখানে মুসলিম ভাইদের সাহায্যে আসছেনা, সেখানে অন্যরা রা তো মারবেই।
মাইর খা... মাইর খা মুসলিম, তোদের জন্ম শুধু এভাবে মরার জন্য।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩১

বিবাগী বাউল বলেছেন: মুসলিম নিধন আসলেই সব মানবাধিকার এর প্রবক্তরাও চুপ হয়ে যায়! ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন, ইটালি, আম্রিকা এরা সিরিয়ার আসাদ সরকারের উৎখাতে চাপ দিতে পারে, লিবিয়ায় গাদ্দাফিরে উৎখাতে সামরিক হামলা চালাতে পারে, কিন্তু মায়ানমার এর এই গণহত্যার প্রতিবাদে একটা প্রতিবাদ করতে পারে না! এরা নাকি আবার সভ্য, উদার, মানবিক, পশ্চিমাদের এই ভণ্ডামিকে তিরস্কার

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৯

আকাশপানে বলেছেন: @সীমানা: আমি আসলে হতাশ, তাই এভাবে বলেছি, আমাদের মত মুসলিমদের জন্য ওরা এভাবে মরছে, কি করছে ওআইসি? কি করছে আরব বিশ্ব??

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২২

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: @আকাশপানেঃ আমি ভেবেছিলাম আপনি বাংলাদেশীদের দায়ী করছেন। সত্যি বলতে কি বাংলাদেশের এখানে খুব বেশি কিছু করার নাই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এ ব্যাপারে মাথা ব্যাথা নাই। বাংলাদেশ একা কি করতে পারে? আমরা নিজেরাই যেখানে অনেক সমস্যায় জর্জরিত। ওআইসিকে মাঝে মাঝে ইহুদী সংস্থাই মনে হয়। মুসলিমদের চেয়ে তারা যেন ইহুদীদের স্বার্থই বেশি দেখে।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

বিবাগী বাউল বলেছেন: " ওআইসিকে মাঝে মাঝে ইহুদী সংস্থাই মনে হয়। মুসলিমদের চেয়ে তারা যেন ইহুদীদের স্বার্থই বেশি দেখে। " ঠিক বলেছেন ভাই।

মুসলিমরা মানুষ না, ওদের মানবাধিকার থাকতে নেই, পশ্চিমাদের এই মনোভাব পশ্চিমাদের মানবিকতার কথিত মুখোশ খুলে দিচ্ছে।

চীন নিজেই জিন জিয়াং এ মুস্লিম নিধন করে, রাশিয়া করেছিল চেচনিয়ায়! ভারত কাশ্মিরে, আম্রিকা ইরাক, ইয়েমেন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, লিবিয়ায়! ফ্রান্স মালি, লিবিয়ায়! এই গনহত্তাকারি সাম্রাজ্যবাদীদের কাছে থেকে আর কি বা আশা করা যায়। মুসলিম দেশ গুলা আছে এদের দালালির কাজে!

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩০

সত্য কথা বলি বলেছেন: মানবাধিকারের ফেরিয়ালারা কোথায় ! মুসলিম তুমি জেগে ওঠো।জিহাদের ঝাণ্ডা উঠাও। দেখবে গোটা দুনিয়া তোমার পদতলে।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩১

বিবাগী বাউল বলেছেন: মুসলিম নিধন আসলেই সব মানবাধিকার এর প্রবক্তরাও চুপ হয়ে যায়! ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন, ইটালি, আম্রিকা এরা সিরিয়ার আসাদ সরকারের উৎখাতে চাপ দিতে পারে, লিবিয়ায় গাদ্দাফিরে উৎখাতে সামরিক হামলা চালাতে পারে, কিন্তু মায়ানমার এর এই গণহত্যার প্রতিবাদে একটা প্রতিবাদ করতে পারে না! এরা নাকি আবার সভ্য, উদার, মানবিক, পশ্চিমাদের এই ভণ্ডামিকে তিরস্কার

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩১

হাসানুর বলেছেন: দুর্বল পৃথিবী কাঁদে জটিল বিকারে । :( X(
কোথায় সেই আরব বিশ্ব ! কোথায় পশ্চিমা বিশ্ব ! এই ছবি যদি কোন খ্রিষ্টান বা ইউহুদীদের হতো তাহলে পুরো পৃথিবী প্রতিবাদে বিক্ষোবে ফেটে পড়ত । এমন কি আরব বিশ্বও প্রতিবাদ মুখোর হতো! হায় মুসলমান ! হায় ইসলাম ! কোথায় আমাদের হেফাজতে ইসলাম ? নুন্যতম প্রতিবাদটুকু কেউ করছেনা কেন !

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

বিবাগী বাউল বলেছেন: মুসলিমরা মানুষ না, ওদের মানবাধিকার থাকতে নেই, পশ্চিমাদের এই মনোভাব পশ্চিমাদের মানবিকতার কথিত মুখোশ খুলে দিচ্ছে।

চীন নিজেই জিন জিয়াং এ মুস্লিম নিধন করে, রাশিয়া করেছিল চেচনিয়ায়! ভারত কাশ্মিরে, আম্রিকা ইরাক, ইয়েমেন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, লিবিয়ায়! ফ্রান্স মালি, লিবিয়ায়! এই গনহত্তাকারি সাম্রাজ্যবাদীদের কাছে থেকে আর কি বা আশা করা যায়। মুসলিম দেশ গুলা আছে এদের দালালির কাজে!

বাংলাদেশের ইসলামি দলগুলার কথা বললে তো লজ্জা পাই, এরা খানিক প্রতিবাদ করে যখন পুরা দুনিয়ায় হই চই হয় তখন।

৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

মাহিরাহি বলেছেন: ও আই সির কাজ কি?

আল্লাহ ওদের সহায় হোন। আল্লাহর কাছে দোয়া করা ছাড়া আমাদের কিছুই করার নেই।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

বিবাগী বাউল বলেছেন: ও আই সি তো আম্রিকার পুতুল সংগঠন, এরা দালাল, এরা ভণ্ড!

ও আই সি কোমায় আছে!

৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

আকাশপানে বলেছেন: @সীমানা ছাড়িয়ে : বাংলাদেশীদের কেন দোষ হবে? তবে হ্যা, দোষ একটা আছেই, পাশ্ববর্তী দেশ হিসেবে যা করার তা করছেনা!

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

বিবাগী বাউল বলেছেন: বাংলাদেশ এর কোন হিম্মত আছে নাকি? এই মায়ানমারের নাসাকা বাহিনী তো কিছুদিন আগেই ৩ পুলিশ আর ১ জন বাঙ্গালিকে ধরে নিয়ে গেছে, ১০ দিন হইছে ছাড়ে নাই, বাংলাদেশের সরকার কচুটা করতে পারছে, বাংলাদেশের শাসক গোষ্ঠী আবার নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করে, এরা নিজ দেশের জনগনের নিরাপত্তা দিতে পারে না, নিপীড়ক নাসাকার কাছে মার খায়, এরা আবার স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি! লজ্জা লাগে আমার এদের কাণ্ড দেখলে।

হুম, প্রতিবেশি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উচিত মায়ানমারের সরকারকে অতি দ্রুত এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে আহবান জানানো, সেটা বাংলাদেশ সরকার করবে বলে আমি মনে করি না, করলে ভালো লাগতো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.