নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বার বার নিহত হব তোমার অবর্তমানে

যদি ঠাঁই দিলে তবে কেন আজ হৃদয়ে দিলে না প্রেমের নৈবদ্য

বিবাগী বাউল

ইদানিং জ্যোৎস্না দর্শনই হয়ে পড়ে আমার একান্ত জীবনদর্শন!!!

বিবাগী বাউল › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরের কমান্ডার অ্যাডমিরাল স্কট এইচ সুইফটকে স্বাগত (?)

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১০







মাননীয় কমান্ডার,



আপনার দেশের ৭ম নৌবহর ৭১ এ আমাদের দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের বিজয় ঠেকাতে বঙ্গোপসাগরে নোঙ্গর ফেলবে বলে খবর ছড়িয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত আসতে পারে নাই। তাতে অবশ্য আপনার দেশের সাম্রাজ্যবাদী তৎপরতায় বাংলাদেশ কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ায় নাই কেননা আপনার এই নৌবহর এর কমান্ডারগন এখন নিয়মিত বাংলাদেশ সফর করতে পারে। কয়েক মাস আগে ভারতের এক চ্যানেল ফাঁস করে দেয় আপনার নৌবহর নাকি বঙ্গোপসাগরে আবার নোঙ্গর করতে চায়? গতকালই আপনি এদেশে পদার্পণ করেছেন। ৬-৯ এপ্রিল তো আপনি বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। অ্যাকুইজেশন ও ক্রস সার্ভিসেস অ্যাগ্রিমেন্ট (আকসা) স্বাক্ষরের লক্ষ্যে আলোচনার জন্য আগেও আপনি যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক প্রতিনিধি দল নিয়ে বাংলাদেশ সফর করেছেন তখনও কোন বাধার মুখে পড়েননি। এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের সামরিক খাতে সহায়তার নামে বঙ্গোপসাগরে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করে দক্ষিণ এশিয়ার ওপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণ পাকাপোক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে আপনার দেশ যুক্তরাষ্ট্র। প্রস্তাবিত আকসা চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে 'গাইডেড মিসাইল'সহ বেশ কয়েক ধরনের আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করবে। এসব অস্ত্র ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সহযোগিতা দেয়ার কথাও রয়েছে। এছাড়া থাকবে যৌথ মহড়া ও সংলাপের ব্যবস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী জ্বালানি সংগ্রহ, যাত্রাবিরতি, সাময়িক অবস্থানসহ এ ধরনের বিভিন্ন সুবিধার জন্য বাংলাদেশে 'পোর্ট অফ কল' সুবিধা পাবে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর বাংলাদেশে উপস্থিতিরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশে বেজ অপারেশন সেন্টার স্থাপন ও গোলাবারুদ মজুদ করতে পারবে মার্কিন বাহিনী। আকসা চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে চায় আপনার নৌবাহিনী।



অ্যাডমিরাল স্কট,



পরাশক্তি হিসেবে চীনের অগ্রগতি ঠেকানো, এ অঞ্চলের গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের বিপুল জ্বালানি সম্পদের ওপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে একটি সন্ত্রাসবিরোধী মোর্চা গঠন করে এই অঞ্চলে মার্কিন স্বার্থবিরোধী শক্তির রাজনৈতিক এবং সামরিক উত্থান প্রতিরোধের জন্য আকসা চুক্তি স্বাক্ষর করতে আপনি হয়তো এবারও বাংলাদেশের ওপর চাপ প্রয়োগ করে যাবেন! শুনেছি আগামী ৯ এপ্রিল ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা সংলাপে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আম্রিকার সহায়তায় ঢাকায় নিরাপত্তা প্রশিক্ষন একাডেমী প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে! তো এই বিষয়েও হয়তো বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট লোকদের সাথে আপনার আলোচনা হবে! আবার এইতো কয়েক মাস আগেই সন্ত্রাস দমন, আন্তর্জাতিক অপরাধ তদন্ত এবং এসব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বিনিময়ের কাজে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা দেয়ার নামে বাংলাদেশে এফবিআইয়ের একজন স্থায়ী প্রতিনিধি নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আপনার যুক্তরাষ্ট্র। মূলত এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদবিরোধী যে কোন আন্দোলন প্রতিরোধের যাবতীয় কৌশল প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের জন্যই এফবিআইয়ের ঢাকাস্থ স্থায়ী প্রতিনিধি কাজ করবেন বলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন!



অ্যাডমিরাল স্কট,



আপনি এমন এক সময়ে এদেশে এসেছেন যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা,অভ্যন্তরীণ সহিংসতা আর মতাদর্শিক লড়াইয়ে এদেশ বিপর্যস্ত ! এই সময়টা খুব নাজুক সময় আমাদের জন্য, এতটাই নাজুক যে নিজ নিজ মতাদর্শিক লড়াই নিয়া সবাই সেরাম ব্যস্ত! এমনকি এই যে আমি আপনাকে নিয়া এই মহান মানপত্র রচনা করতেছি এতেও দেখবেন অনেকেই আমার সময়জ্ঞান আর বিষয় সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন! তাই খুব ভালো একটা সময়ে আপনি এদেশে এসেছেন! সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় পূর্ণ সহযোগিতা আর সমর্থন আদায় করে নেয়ার আপনার মতলব সফল হবে বলেই মনে করি!



অ্যাডমিরাল স্কট,



সামনে নির্বাচন, আর বাংলাদেশের বুর্জোয়া শাসক শ্রেণীর সেবাদাসসুলভ মনোভাবের কারনে আগামী নির্বাচনে আপনাদের মত পরাশক্তির সমর্থন লাভ ক্ষমতার রাজনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পদ্মা সেতু, ইউনুস ইস্যু সহ নানান কারনে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে খানিকটা শীতল সম্পর্ক উষ্ণ করতে বর্তমান সরকারও মনে হয় মরিয়া! তাই বাংলাদেশের স্বার্থ পরিপন্থি হলেও আম্রিকার স্বার্থ রক্ষার্থে টিকফা চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে আমাদের সরকার নাকি ইতিবাচক আগ্রহ দেখিয়েছে - মজিনার সাথে বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব নাকি তাঁকে আশ্বস্তও করেছেন।



সরকার ও মিডিয়া চুপ থাকলেও এবারও অ্যাডমিরাল স্কট সাহেবের সফর এর উদ্দেশ্য আকসা চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে গোপন আলোচনা ও মত বিনিময় আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের ফ্রন্ট খোলার জন্য বাংলাদেশে সরেজমিন পরিদর্শন। দেশের সব রাজনৈতিক দল আর সামাজিক শক্তিসহ সব পক্ষের নীরবতায় স্কট সাহেবের তৎপরতা বরাবরের মতই সফল হবে বলেই মনে করছেন মজিনা, আজ সংবাদ সম্মেলনে স্কট –মজিনার হাসি তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।



পুনশ্চঃ স্কট –মজিনার হাসি বাংলাদেশের সব মহলেরই প্রিয়। এই হাসি বাংলাদেশের উপর আম্রিকার চলমান আধিপত্য আর সাম্রাজ্যবাদী নিয়ন্ত্রণ আরও নিরঙ্কুশ করার ইঙ্গিতই দিচ্ছে!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১২

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: as usual

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৫

বিবাগী বাউল বলেছেন: স্কট –মজিনার হাসি বাংলাদেশের সব মহলেরই প্রিয়।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

অরন্য জীবন বলেছেন: জয় বাবা আম্রিকা।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৭

বিবাগী বাউল বলেছেন: সবাই জয় বাংলা বলে কেউ আবার বলে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ

তবে এদের সবার আবার শেষ আশ্রয় জয় আম্রিকা!

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২০

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: পুনশ্চঃ স্কট –মজিনার হাসি বাংলাদেশের সব মহলেরই প্রিয়। এই হাসি বাংলাদেশের উপর আম্রিকার চলমান আধিপত্য আর সাম্রাজ্যবাদী নিয়ন্ত্রণ আরও নিরঙ্কুশ করার ইঙ্গিতই দিচ্ছে!

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৮

বিবাগী বাউল বলেছেন: সব কিছু চেয়ে চেয়ে দেখে যেতে হবে আমাদের!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.