নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইদানিং জ্যোৎস্না দর্শনই হয়ে পড়ে আমার একান্ত জীবনদর্শন!!!
আজ আগুনের মত আগুনের মত জ্বলে উঠার দিন...
ধারাবাহিক শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে সকল ছাত্র শিক্ষক শ্রমিক পেশাজীবী সাংবাদিক ও দেশপ্রেমিক এক হও
সংগ্রামী শ্রমিক ভাই ও বোনেরা
আমরা এতকাল শুনে এসেছি, বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রিক রাষ্ট্র। দেশের মালিক জনগণ। কিন্তু আমরা দেখতে পাই শ্রমিকরা যখন মাসের পর মাসন বেতন পায়না তখন কেউ জিজ্ঞেসও করে না, কেন শ্রমিকরা বেতন পাচ্ছেনা? কিন্তু শ্রমিকরা যখন বেতনের দাবিতে রাস্তায় নামে তখন পেটোয়া পুলিশ বাহিনী তাদের উপর নির্মম ভাবে ঝাপিয়ে পড়ে। আমরা আরো দেখতে পাই কারখানায় আগুন লাগে আর মালিক গেটে তালা মেরে শ্রমিকদের পুড়িয়ে মারে। নিম্মমানের উপকরণ দিয়ে ভবন তৈরি করা হয়। সেই ভবনে ঝুঁকির মধ্যে শ্রমিকদের কাজ করতে বাধ্য করে মালিকরা। যার ফলে প্রতিদিন লম্বা হচ্ছে শ্রমিকের লাশের সারি। আজ পর্যন্ত কোন সরকারী হিসাবের সাথে মেলেনি প্রকৃত লাশের হিসাব। অপরাধী মালিকের বিচার করেনি এই রাষ্ট্র। তাজরিনের খুনি মালিককে আজ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি। রানা প্লাজার ভবন ধ্বসে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে সকরার কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি সরকার। সেনাবহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও নিরব ভুমিকা পালবে ব্যাস্ত থাকে একই সাথে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও খুনি মালিক রানাকে রাষ্ট্র নিজ নিরাপত্তায় পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। কিন্তু শ্রমিকরা যখনই এই খুনি মালিকদের বিচারের দাবিতে মাঠে নেমেছে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা ও গুলি করেছে। এর মধ্যদিয়ে স্পষ্ট হয় জনগণের বলা হলেও আসলে দেশটা মালিকদেরই। এই মালিকদের কোন অন্যায় সরকারের চোখে পড়ে না।
হাতিরঝিলে জনগণের সম্পত্তি দখল করে গার্মেন্টস মালিকরা অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে বিজিএমইএ ভবন। হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছে ভেঙ্গে ফেলার, তবু দাঁড়িয়ে আছে এই ভবন। সরকারের কোন আইন তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়।
শ্রমিক ভাই ও বোনেরা
সরকার এই খুনি মালিকদের কিছুই বলবে না। যা করার আমাদেরই করতে হবে। আজ সময় এসেছে সব বাধা ভেঙ্গে ফেলে অধিকার আদায় করে নেওয়ার। মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে পথে নামুন। বন্ধ করে দিন সব মৃত্যুপুরি কারখানা। ভেঙ্গে ফেলুন খুনি মালিকদের অবৈধভাবে গড়ে তোলা বিজিএমইএ ভবন। আওয়াজ তুলুন খুনি মালিকদের বিচার না হলে, শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায় না হলে, আমরা ঘরে ফিরবো না।
দাবি আদায়ে সকল মজদুর এক হও, লড়াই কর, বিজয় অনিবায আমাদের দাবি।
আমাদের দাবি:
১. রানার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত কর।
২. সকল খুনি মালিকদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. নিহত শ্রমিক পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৪. আহত শ্রমিকদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দিতে হবে।
আমাদের কমসূচি:
১. সর্বাত্মকভাবে ২৮ তারিখের শ্রমিক ধর্মঘট সফল করুন।
২ বিজিএমইএ’র সামনে সমাবেশ
২৮ এপ্রিল, রবিবার, সকাল ১০ টা।
সমাবেশে যোগ দিন, অধিকার আদায়ে রাস্তায় নামুন।
সকল স্তরের ছাত্র-শিক্ষক-শ্রমিক-পেশাজীবী-জনতা
ধারাবাহিক শ্রমিক খুনের প্রতিবাদে সকল শ্রমিক-পেশাজীবী ছাত্র-শিক্ষক দেশপ্রেমিক এক হও
Sunday, April 28, 2013
10:00am in UTC+07
বিজিএমইএ ভবন, কাওরান বাজার, ঢাকা
Click This Link
©somewhere in net ltd.