নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বার বার নিহত হব তোমার অবর্তমানে

যদি ঠাঁই দিলে তবে কেন আজ হৃদয়ে দিলে না প্রেমের নৈবদ্য

বিবাগী বাউল

ইদানিং জ্যোৎস্না দর্শনই হয়ে পড়ে আমার একান্ত জীবনদর্শন!!!

বিবাগী বাউল › বিস্তারিত পোস্টঃ

লুটেরা বহুজাতিক তেল কোম্পানির লুণ্ঠন বৃদ্ধির জন্য নতুন পিএসসি মডেল পাস করতে যাচ্ছে পেট্রোবাংলা!

১২ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৩২

অভ্যন্তরীণ সহিংস রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব সংঘাতে যখন দেশের জনগণ ব্যতিব্যস্ত তখন লুটেরা বহুজাতিক তেল কোম্পানির লুণ্ঠন বৃদ্ধির জন্য নতুন পিএসসি মডেল পাস করতে যাচ্ছে পেট্রোবাংলা!

বহুজাতিক তেল কোম্পানির গভীর সমুদ্র থেকে উত্তোলিত গ্যাসের মালিকানা বৃদ্ধির প্রস্তাবনা রেখে পেট্রোবাংলার প্রস্তাবিত সংশোধিত পিএসসি মডেল-২০১২ অনুমোদন করেছে আইন মন্ত্রণালয়। সংশোধিত পিএসসি’তে কষ্ট রিকভারি লিমিট ৫৫% থেকে বৃদ্ধি করে ৭০% করা হয়েছে, এর মানে বিদেশি তেল কোম্পানি কষ্ট রিকভারির নামে দেশের ৭০% উত্তোলিত গ্যাস পুরাটাই নিজের মালিকানায় নিয়ে যাবে, ফলে আগের তুলনায় গ্যাস লুণ্ঠন আরও বৃদ্ধি পাবে! ২০০৮ সালের পিএসসি অনুসারে বিদেশি কোম্পানিগুলো তেল গ্যাস অনুসন্ধানে যে পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে সেটা মোট গ্যাসের ৫৫ ভাগের বিনিময়ে 'কস্ট রিকভারি' হিসেবে সমন্বয়ের সুযোগ পেত। বাকি গ্যাস ভাগাভাগি হতো বাংলাদেশ ও বিদেশি কোম্পানির মধ্যে। বিদেশি কোম্পানিগুলোর উত্তোলন ব্যয় বা কস্ট রিকভারি খনিতে গ্যাস থাকা পর্যন্ত কখনো শেষ হয় না। বিদেশি কোম্পানি নানা টালবাহানায় প্রতি মাসেই পেট্রোবাংলাকে মোটা অঙ্কের উত্তোলন বিল ধরিয়ে দেয়।



প্রস্তাবিত সংশোধিত উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (পিএসসি)-২০১২ অনুসারে আইওসি/বহুজাতিক তেল কোম্পানি তার শেয়ারের ৫০% গ্যাস পেট্রোবাংলার কাছে প্রতি হাজার ঘনফুট ৬.৫ ডলার দামে বিক্রি করবে যা পিএসসি-২০১২ তে ছিল ৫ ডলার এবং পিএসসি-২০০৮ এ ছিল ২.৯ ডলার; আর বাকি গ্যাস তারা তৃতীয় পক্ষের কাছে নেগোশিয়েশনের ভিত্তিতে যে কোন দামে বিক্রি করতে পারবে। এই মূল্য বৃদ্ধি ২০১২ এর তুলনায় ৩০% এবং ২০০৮ এর তুলনায় ১২৪% বেশি। আগের পিএসসি’র কারনেই যেখানে কোম্পানি সরকারের কাছে উত্তোলিত গ্যাস চড়া মূল্যে বিক্রি করত (বাপেক্স উত্তোলিত গ্যাস যে দামে সরবরাহ করে বহুজাতিক কোম্পানি একই পরিমাণ গ্যাস বিক্রি করে ৫-১০ গুণ বেশি দামে। অন্য দিকে কস্ট রিকভারির নামে বহুজাতিক কোম্পানি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এই হিসাব যোগ করলে বহুজাতিক কোম্পানির কাছ থেকে সরকারকে ৫০-১০০ গুন বেশি দামে গ্যাস ক্রয় করতে হয়) সেখানে নতুন চুক্তিতে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির এই উল্লম্পন বহুজাতিকের ভয়াবহ গ্যাস লুণ্ঠনের দুয়ার খুলে দিবে! আবার নতুন মডেল অনুসারে বিদেশি কোম্পানির কর্পোরেট ট্যাক্স এর ৩৭.৫% পেট্রোবাংলাকেই বহন করতে হবে!!!! এটা আর একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, বাংলাদেশ সরকারকে এর মধ্য দিয়ে কোটি কোটি টাকা ট্যাক্স বাবদ গচ্চা দিতে হবে!



২০০৮ ও ২০১২ এর মডেলে প্রফিট গ্যাস ৪৫% হলেও এখন সংশোধিত মডেলে তা মাত্র ৩০%, ফলে গ্যাস রপ্তানির সুযোগ অবলোপন করলেও প্রফিট গাস ব্যাপকহারে কমানো, গ্যাসের হিউজ মূল্য বৃদ্ধি ও ৩৭.৫% ট্যাক্স বহুজাতিকের পক্ষে পেট্রো বাংলাকেই পরিশোধ করার বিধান রাখা এই সব কিছু বিবেচনায় নিলে পেট্রোবাংলা বা সরকারের লাভের অংশ আগের চেয়ে অনেকে কমে যাবে এবং এই বিধানগুলো বহুজাতিকের গ্যাস সম্পদ লুণ্ঠনকে আরও বৃদ্ধি করে মুনাফা লুটপাট করাকে ত্বরান্বিত করবে।



সাম্রাজ্যবাদীদের মালিকানাধীন বহুজাতিকের এই অবাধ গ্যাস লুণ্ঠনের হাতিয়ার পি এস সি মডেল -২০১২ (সংশোধিত) অবিলম্বে বাতিল করার দাবি জানাই!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.