নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইদানিং জ্যোৎস্না দর্শনই হয়ে পড়ে আমার একান্ত জীবনদর্শন!!!
আদিলুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার সংস্থা অধিকার ৫ ই মে রাতে ৬১ জন নিহত হওয়ার ভুল ইনফরমেশন দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। নিউ এজ পত্রিকা ৫-৬ মে ৪৪ জন হেফাজতি খুনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এবং উল্লেখ করেছে রাতের অভিযানে ২৪ জন মারা গেছেন। আবার এইতো কিছুদিন আগে বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত সংবাদে দেখলাম হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ৫-৬ মে দুই দিনে ৫৮ জন মারা গেল তার মাঝে রাতের অভিযানে মারা গেল ২২ জন! বিবিসি বাংলার প্রশ্নের জবাবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেন, ৫ই মে রাতে শাপলা চত্বরের অভিযানে ২২ জন নিহত হবার কথা তারা নিশ্চিত করতে পেয়েছিলেন, তবে পরে আরো কয়েকজনের কথা জানা গিয়েছিল। এখন তাহলে কোন ইনফরমেশনকে সত্য ধরব? সরকারি ইনফরমেশনকে (৫ই মে সহিংস ঘটনায় ১১ জন নিহত হবার কথা সরকার বলেছে) সত্য ধরে বিচার করলে তো নিউ এজ এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচকেও তথ্য বিকৃতির অভিযোগে অভিযুক্ত করা উচিত এবং তাদের সম্পাদকদের ও গ্রেফতার করা উচিত। আর যদি হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর ইনফরমেশনকে সত্য বলা হয় তাহলে সরকারের বিরুদ্ধেও তথ্য বিকৃতির অভিযোগ আনা যায়। এ কারনেই তথ্য প্রযুক্তি আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে! কোন সহিংস ঘটনায় কত জন নিহত হল কিংবা আহত হল এই ইনফরমেশন সংস্থা ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতেই পারে, দুনিয়া জুড়ে তা আমরা দেখে আসছি- ইরাক যুদ্ধে, আফগানিস্তান যুদ্ধে এবং চলমান সিরিয়া লড়াইয়ে কত জন মারা গেল/যাচ্ছে তা নিয়ে নানান মানবাধিকার সংস্থা নানান তথ্য দিয়েছে ও দিচ্ছে সরকারি ইনফরমেশন এর সাথে যার ফারাকও আছে, এখন তাই বলে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে গ্রেফতার, রিমান্ড এর নজির নাই!
তথ্য প্রযুক্তি আইনের অপপ্রয়োগ করে আদিলুর রহমানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানাই! গুম, খুন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে যিনি সোচ্চার তাকে এখন পুলিশি হামলার শিকার হতে হবে!!!! মানবাধিকার সংগঠন এর সম্পাদকের মানবাধিকারই নাই, আম জনতার মানবাধিকার থাকবে কিভাবে?
২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১
নিষ্কর্মা বলেছেন: সরকার বলেছে ৫ই মে'র সারাদিনের সহিংস ঘটনায় ১১ জন মারা গেছেন। খুব সম্ভবত এটা সারাদিনের মৃতদের মোট সংখ্যা। সরকারের ভাষ্যমতে ঐ রাতে কেউই মারা যান নাই, তবে শাপলা চত্বর খালি করার পরে সেখানে চারটি মৃতদেহ পাওয়া যায়।
পক্ষান্তরে হেফাজত এবং ১৮-দলীয় জোটের কিছু নেতার অভিযোগ ছিল প্রায় আড়াই হাজার মানুষ হত্যার। সেই সংখ্যাকে ধ্রুব সত্য ধরে বাঁশের কেল্লায় প্রচারণা এবং আমার দ্বেষের বিদ্বেষ ছড়ানো। পরে জানা গেল, অধিকারের সূত্রে, ঐ দুই দিনে ৬১ জন মৃত। এরপর থেকে মিছা কথা বলা বাঁশের কেল্লার গলা নেমে গেছে এবং তারা এখন আরাকান নয়, মুরসিকে নিয়েই ব্যস্ত -- যেন এখানেও তাদের গুয়ার জন্য জনগণ রাস্তায় নেমে আসবে!
যাইহোক, তথ্য পরিবেশন এবং মানবাধিকারের সাথে কাজ করেন এমন কাউকে গ্রেফতারের আগে সরকারের উচিৎ ছিল আরো সাবধান হওয়া। আমরা জানি, আদিলকে সরকার অচিরেই ছেড়ে দেবে। কিন্তু ততদিনে বিলবোর্ডের মাধ্যমে অর্জিত তিক্ততা আরো বেশি তিতা হয়ে যাবে। মনেহচ্ছে যেন সরকার মনেপ্রাণে তাইই চায়।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩০
বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: নিউ এজ বা অধিকার সবাই তথ্য বিকৃত করে,
সরকার ভূল হতেই পারে না, অসম্ভব !!
বিশ্বাস না হলে এইখানে জিগান এইখানে জিগান