নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বার বার নিহত হব তোমার অবর্তমানে

যদি ঠাঁই দিলে তবে কেন আজ হৃদয়ে দিলে না প্রেমের নৈবদ্য

বিবাগী বাউল

ইদানিং জ্যোৎস্না দর্শনই হয়ে পড়ে আমার একান্ত জীবনদর্শন!!!

বিবাগী বাউল › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি রাজনীতিঃ শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে চাপ প্রয়োগ করা নয়,মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানির বাণিজ্যিক স্বার্থ নিরঙ্কুশ করাই লক্ষ্য

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

আমরা আগেই বলেছি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে চাপ প্রয়োগ করা নয় বরং জিএসপি বাতিল করা হয়েছে বাংলাদেশে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানির বাণিজ্যিক স্বার্থ নিরঙ্কুশ করার জন্য সর্বাধিক অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে বাংলাদেশ সরকারকে আরও চাপ দেয়ার জন্যই! এমনিতেই মার্কিন কোম্পানি শেভ্রন, কনকো ফিলিপস “বাংলাদেশের তেল গ্যাস লুন্ঠনের দলিল পিএসসি ২০০৯, পিএসসি-২০১২ “ এর সুযোগ নিয়ে এদেশের তেল গ্যাস লুণ্ঠন করছে, এদেশে মার্কিন এমএনসি ইউনিলিভার এর কর্পোরেট আধিপত্য তো আছেই, কিন্তু এতেও সন্তুষ্ট নয় যুক্তরাষ্ট্র ! এদেশের তেল গ্যাস থেকে শুরু করে সেবা খাত, বিদ্যুৎ, বন্দর টেলিযোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন সব কিছুতেই মার্কিন কর্পোরেট আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে সাম্রাজ্যবাদী লুণ্ঠন নিরঙ্কুশ করতেই তারা মরিয়া।



রানা প্লাজায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় সহস্রাধিক শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন বাংলাদেশের কিছু পণ্যের (টোব্যাকো, সিরামিকস, ফার্নিচার, প্লাস্টিক, খেলনা ) জিএসপি সুবিধা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশে মার্কিন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কনকো ফিলিপস, বোয়িং কোম্পানী এবং ইলিকটের মত যেসব বড় বড় কোম্পানী কাজ করছে তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ দেখভাল করার শর্তে জিএসপি সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে আরোপিত সাময়িক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছে।চিঠিতে জিএসপি সুবিধা চালুর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার তার ব্যবসায়িক স্বার্থ অক্ষণ রাখার বিষয়টি তুলে ধরেছে বলে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়। এ ব্যাপারে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করা হলে আগামী ডিসেম্বরেই জিএসপি সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিবে যুক্তরাষ্ট্র। সমুদ্রে তেল-গ্যাস উত্তোলনের ক্ষেত্রে কনকো ফিলিপসকে আরও কাজ দেওয়া এবং বাংলাদেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে মার্কিন জায়ান্ট ইলিকট যেসব প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছে তা দূর করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে এর আগেও বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।



জিএসপি নামের মূলা ঝুলিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র যে চাপ প্রয়োগের অবৈধ কৌশল নিয়েছে তা বাংলাদেশের জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনের সাম্রাজ্যবাদী প্রচেষ্টাকেই ত্বরান্বিত করবে। দেশের তেল গ্যাস থেকে শুরু করে নানান খাতে মার্কিন বহুজাতিকের অবাধ শোষণ লুণ্ঠন বাস্তবায়নের জন্যই মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাজ করে যাচ্ছে। শুনা যায় এই লক্ষ্যে ১৫ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে টিকফা চুক্তি সাক্ষর করার পাঁয়তারাও চলছে! পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বকাঠামোতে রাষ্ট্র মানেই সাম্রাজ্যবাদীদের কর্পোরেট স্বার্থ দেখভালের প্রতিষ্ঠান! বৈশ্বিক পুঁজির প্রান্তিক বাজারে পরিণত হওয়া বাংলাদেশের সরকার ও বিরোধী দল সমেত শাসক শ্রেণি এই বৈশ্বিক পুঁজিবাদের এজেন্সির দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়েই তাদের ক্ষমতা কেন্দ্রিক রাজনীতি চালু রাখতে বাধ্য হয়, এখানে রাষ্ট্র মানেই পরাশক্তির পুঁজির পাহারাদার, রাষ্ট্রের প্রধান কাজ দেশের সমস্ত জাতীয় সম্পত্তিতে কী করে সাম্রাজ্যবাদীদের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করা যায় তার জন্য নানান চুক্তি আর আইন পাস করা! এজন্য যে রাজনৈতিক দল মার্কিন বহুজাতিকের অবাধ বাণিজ্য বৃদ্ধি করে, এসব কোম্পানিকে অন্যায় সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশের সম্পদ লুণ্ঠনের সুযোগ দিবে তাকেই আগামীতে সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র !

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.