নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বার বার নিহত হব তোমার অবর্তমানে

যদি ঠাঁই দিলে তবে কেন আজ হৃদয়ে দিলে না প্রেমের নৈবদ্য

বিবাগী বাউল

ইদানিং জ্যোৎস্না দর্শনই হয়ে পড়ে আমার একান্ত জীবনদর্শন!!!

বিবাগী বাউল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের গলার ফাঁস টিকফা চুক্তি স্বাক্ষরের চক্রান্ত প্রতিহত করুন।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আগামী ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশের গলার ফাঁস জাতীয় স্বার্থবিরোধী টিকফা চুক্তি করার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ, নিন্দা এবং ধিক্কার জানাই !



শুধু মাত্র ক্ষমতার রাজনীতিতে আম্রিকার কৃপা লাভের আশায় সরকার এই গণবিরোধী চুক্তি করতে যাচ্ছে! আর বিএনপি জামাতসহ দেশের বিরোধী দলগুলো ও আগামি নির্বাচনে আম্রিকার আনুকূল্য পাওয়ার আশায় এই চুক্তির বিরোধিতা না করে মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। দালাল মিডিয়া ও চুপচাপ, এরাই আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা ফেরি করে মুখে ফেনা তুলে ফেলে কিন্তু দেশের স্বার্থবিরোধী এবং স্বাধীনতার পরিপন্থি এই চুক্তির বিরুদ্ধে এই মিডিয়ার ভুমিকা স্রেফ রাজাকারি ছাড়া আর কিছুই না।



টিকফা চুক্তি দেশের অর্থনীতি, নিরাপত্তা, কৃষি, ওষুধ শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে বলে এই চুক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন করাই এই সময়ের দাবি।



টিকফা চুক্তি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের ক্ষতি সমূহ ঃ



১। বাজার উন্মুক্তকরণ এবং সেবাখাতের ঢালাও বেসরকারিকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের সেবা খাতগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক কোম্পানির আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। এ চুক্তির ফলে বিনিয়োগের বিশেষ সুরক্ষাসহ মার্কিন কোম্পানিগুলোকে সেবাখাতে বাণিজ্যের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে দেশের জ্বালানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, বন্দর, টেলিযোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন ইত্যাদি সেক্টরকে মার্কিন পুঁজিপতিদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। অবাধ মুনাফা অর্জনের জন্য বিদেশি কোম্পানিগুলো সেবা ও পণ্যের দাম অত্যধিক বৃদ্ধি করবে। টেলিযোগাযোগ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, চিকিৎসা, শিক্ষা, বন্দর প্রভৃতির ব্যবহার মূল্য বহুগুণ বেড়ে যাবে। ফলে গরিব এবং সাধারণ মানুষের জীবনধারণ এবং সামাজিক নিরাপত্তা বিঘি্নত হবে।



২। টিকফা চুক্তির ১৫ নং প্রস্তাবনা অনুযায়ী বাংলাদেশ ১৯৮৬ সালে স্বাক্ষরিত 'দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তি' অনুযায়ী মার্কিন বিনিয়োগকারীদের অর্জিত মুনাফা বা পুঁজির ওপর কোন কর আরোপ করতে পারবে না এবং বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নেয়া হলে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে!



৩। দেশীয় শিল্পের/কোম্পানির প্রতি সুবিধা প্রদানকারী বাণিজ্য সংক্রান্ত অভ্যন্তরীণ সংরক্ষণ নীতি প্রত্যাহার করা হলে জায়ান্ট মার্কিন কোম্পানির সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে দেশীয় কোম্পানিগুলোর স্বার্থ বিঘ্নিত হবে, দেশীয় শিল্পের বিকাশের পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে।



৪। নন ট্যারিফ বাধা অপসারণ করলে এদেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের একচেটিয়া বাজারে পরিণত হওয়ার আশংকা আছে! মার্কিন বহুজাতিক এগ্রো-কেমিক্যাল করপোরেশন মনসেন্টো, ইউনিলিভার, ডুপন্ট এর জিএম হাইব্রিড শস্য বীজের আগ্রাসন বাংলাদেশের কৃষিতেও বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে এবং এসব কোম্পানির জিএম ফুডে সয়লাব হয়ে যাবে এদেশের বাজার!



৫। এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশ তার নিজস্ব প্রয়োজন অনুসারে কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি প্রদানের স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা হারাবে। ফলে বাংলাদেশের কৃষিজ পণ্যের দাম ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে।



৬। পেটেন্ট আইনের বাস্তবায়ন কৃষি, ওষুধ শিল্প, কম্পিউটার সফটওয়্যারসহ গোটা তথ্যপ্রযুক্তি খাত হুমকির মুখে পড়বে। এর ফলে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প, কম্পিউটার সফটওয়্যারসহ গোটা তথ্যপ্রযুক্তি খাত আমেরিকার কোম্পানিগুলোর পেটেন্ট, কপিরাইট, ট্রেডমার্ক ইত্যাদির লাইসেন্স খরচ বহন করতে গিয়ে অভূতপূর্ব লোকসানের কবলে পড়বে। ফলে বিভিন্ন পণ্য এবং প্রযুক্তির দাম অভাবনীয়ভাবে বেড়ে যাবে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতেই দেশকে সফটওয়্যার লাইসেন্স ফি বাবদ ৫ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। মেধাসত্ত্ব আইন কার্যকর হলে বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো অনেক ওষুধ তৈরি করতে পারবে না। আমাদের কয়েকগুণ বেশি দামে বিদেশি কোম্পানির পেটেন্ট করা ওষুধ খেতে হবে। বাংলাদেশ ওষুধ শিল্পে রপ্তানি সম্ভাবনা হারাবে। দরিদ্ররা ওষুধ কিনতে গিয়ে হিমশিম খাবে। আমাদের জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।



আরও বিস্তারিত জানতে যাবেন নিচের লিংকে



Click This Link





মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

কাল্পনিক মন বলেছেন: সাংঘাতিক সচেতনতামূলক পোস্ট।শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

বিবাগী বাউল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.