নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বার বার নিহত হব তোমার অবর্তমানে

যদি ঠাঁই দিলে তবে কেন আজ হৃদয়ে দিলে না প্রেমের নৈবদ্য

বিবাগী বাউল

ইদানিং জ্যোৎস্না দর্শনই হয়ে পড়ে আমার একান্ত জীবনদর্শন!!!

বিবাগী বাউল › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারানকো/ সুজাতা মার্কা হস্তক্ষেপ এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২০

যে কোন দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়েই আগ্রাসন চালায় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি, এটা ইতিহাসেরই ভাষ্য। বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংঘাত নিরসনের অজুহাত দিয়ে এদেশের উপর নিরঙ্কুশ আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় তৎপর আম্রিকা/ জাতিসঙ্ঘ। অলরেডি শাসকগোষ্ঠীর উভয় জোটই আম্রিকার প্রতি তাদের তাঁবেদারির যথেষ্ট প্রমান দিয়েছে, এবং আগামীতে যেই ক্ষমতায় আসুক টিকফা চুক্তি বাস্তবায়ন, তেল গ্যাস লুণ্ঠনের চুক্তি বাস্তবায়ন, সম্ভাব্য আকসা চুক্তি স্বাক্ষর, গভীর সমুদ্র বন্দরে মার্কিন ঘাঁটি স্থাপন এসব বিষয়ে সেবাদাসের ভূমিকা রাখবেই। এখন তাহলে নির্বাচনে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ বিষয়ে আমাদের অবস্থান কি হবে? জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন মানে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র বলে এখনো যা কিছু আছে তার কাঠামো আরও নড়বড়ে হয়ে যাবে, এই ভঙ্গুর রাষ্ট্রকাঠামোর উপর অন্যায্য ও অবৈধ নীতি চাপিয়ে দেয়া আম্রিকার মত শক্তির পক্ষে আরও অনেক সহজ হয়ে যাবে। এসব দিক মাথায় রাখলে আমাদের টকজীবীদের লজ্জা হওয়া উচিত জাতিসঙ্ঘের হস্তক্ষেপকে এসেনশিয়ালাইজ করার জন্য। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়ে সেই শাসনকে বুদ্ধিবৃত্তিক বৈধতা দিয়েছিলেন এদেশের কথিত তৎকালীন বিদ্বৎসমাজ ( মানে যারা বিদ্যা বুদ্ধিতে পারঙ্গম) যার মাঝে এমন অনেক কবি, সাহিত্যিক, রাজা, ছিলেন যাদের আমাদের ইতিহাসের পাঠে হিরো হিসেবে তুলে ধরা হয়। তেমনি একইরকমভাবে আজকের বিদ্বৎসমাজ ও (যাদের অনেকে সুশীল সমাজ বলেন) দেখি তারানকো / মজেনা/ সুজাতা/পংকজ দের অবৈধ হস্তক্ষেপকে হয় নিরবে সহে যাচ্ছেন অথবা নগ্নভাবে এই তৎপরতাকে জায়েজ করতেছেন। এদের যুক্তি বাংলাদেশ নাকি ফেইলড স্টেট! এই ফেইলড স্টেট থিউরি একটা একপেশে এবং সাম্রাজ্যবাদী বয়ান। বাংলাদেশে যা চলছে এটাকে আমরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারি না, এই সহিংস রাজনীতিতে আমরা হতাশ, কিন্তু তার মানে এই না যে এই দেশকে মজেনা, তারানকো , দিশাই-সুজাতারা ফেইলড স্টেট ভেবে এখানে তাদের আগ্রাসী নীতি বাস্তবায়নের চক্রান্ত করবেন। বাংলাদেশের চলমান সহিংসতার চেয়ে হাজারগুণ সহিংসতা ভারতে হয়, সেখানে ৭ টি রাজ্য সেনাকবলিত, কাশ্মীরে নিয়মিত যুদ্ধবস্থা, তো বান কি মুন কেন ভারতকে ফেইলড স্টেট ঘোষণা দিয়ে হস্তক্ষেপ করে না? সেই মুরোদ নাই বানের। পাকিস্তানে তো এদেশের চেয়ে অনেক গুন খুনাখুনি হচ্ছে, সেখানে কেন তারানকো মার্কা হস্তক্ষেপ হয় নাই।



বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটির উচিত পশ্চিমা মিডিয়ার ফেইলড স্টেট থিউরি কপচানো বন্ধ করে তারানকো/ সুজাতা মার্কা হস্তক্ষেপ এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো! বিজয়ের মাসে দেশের স্বাধীনতা রক্ষার প্রধান কাজ হবে এসব বাইরের শক্তির হস্তক্ষেপকে না বলা!!



জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব ফেরি করছেন তারানকো, এটা সরাসরি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী, আমাদের জন্য জাতীয় লজ্জার । এ ধরনের প্রস্তাব দেয়ার পরিস্থিতি তৈরি করল গণবিচ্ছিন্ন রাজনীতিবিদরা। আর গণবিরোধী সুশীল বুদ্ধিজীবীরাও বাইরের শক্তির হস্তক্ষেপকে ইনিয়ে বিনিয়ে জায়েজ করতেছেন। মজেনা, পঙ্কজ, সুজাতা, তারানকো নয়, এদেশের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক হতে হবে জনতাকেই।



জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর তত্ত্বাবধানে কোন নির্বাচন নয়।



"হয়ত আমাদের অনেকের কাছে ব্যাপারটা একটা সম্ভাব্য অপশন, বের হবার পথ মনে হবে। কিন্তু সোজা করে বললে, এটা বানরকে রুটি ভাগ করে দিতে বলা। যারা জাতিসংঘ শান্তি মিশনের ততপরতা সম্পর্কে নুন্যতম খবর রাখেন তারা সাক্ষ্য দিবেন। দুনিয়ার সব সমাজেই রাজনৈতিক লড়াই (শ্রেণী)সংগ্রামের মধ্য দিয়েই সবসময় নতুন করে রাষ্ট্র গড়ার চেষ্টা হয়েছে, প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, আবার নতুন উদ্যম নেয়া হয়েছে এভাবেই একমাত্র সমাজ আগায়, আগাতে পারে। এটাই সারা দুনিয়ায় সব সমাজের রাষ্ট্র গড়ার লড়াইয়ের ইতিহাস, একমাত্র ও উপযুক্ত পথ। কিন্তু ১৯৯০ সালের পর থেকে এক মেরুর দুনিয়া হবার পর থেকে এই নতুন ফেনোমেনা - তথাকথিত শান্তি মিশন দিয়ে বাইরে থেকে তাদের ইচ্ছা মত রাষ্ট্র গড়ে দেবার নতুন ধান্দা। রাষ্ট্র গড়া একমাত্র আভ্যন্তরীণ শ্রেণীগুলোর লড়াই সংগ্রামের ফয়সালার ভিতর দিয়েই হতে পারে। এর বাইরে বাইরের সাহায্য নেয়া হস্তক্ষেপ করতে দিয়ে কোথাও থিতু রাষ্ট্র হয়নি, হতে পারে না। হয়েছে যেটা সেটা হলো, অন্যের জন্য এক পাপেট রাষ্ট্র, তামাশা। এর প্রথম শিকার হবে আমাদের সেনাবাহিনী। এতদিন অন্য দেশে গিয়ে সেদেশের সেনাবাহিনীর উপর জাতিসংঘের রুস্তমি করেছে এখন নিজে সইতে হবে।.....................নিজ জনগোষ্ঠির রাষ্ট্র গড়ার লড়াই বাইরের কারও করে দেবার বিষয় বা কাজই নয়। নিজেরদের লড়াই নিজে লড়ে ফয়সালাই পৌছানো - এটাই একমাত্র পথ।" ... বাংলাদেশের নির্বাচনে জাতিসঙ্ঘের হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে Goutam Das







মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: Yes honorable Baul,
I am declaring World War on Taranko; thay come here, eat our rice, fish; it is a problem.

Please you take the leadership and chase him out; please let me know the result of your efforts.

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৭

HHH বলেছেন: যখন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ভিক্ষা দেওয়া টাকা চুরি করে আমাদের মন্ত্রী ধরা পরে আর প্রজেক্ট বাতিল হয়ে যায় তখন আত্মসম্মান কই থাকে?

আগামি ৪ টা নির্বাচন জাতিসংঘ শান্তিবাহিনীর অধীনে হওয়া উচিৎ। সরকার রাজী না হলে অর্থনৈতিক ও বানিজ্যিক অবরোধ আরোপ করা উচিৎ। এভাবে চলতে থাকবে আর মানুষ মরবে সেটা হতে পারে না

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৫

বিবাগী বাউল বলেছেন: আমার লেখায় উত্তর দেয়ার চেষ্টা ছিল। কিন্তু জাতিসংঘ শান্তিবাহিনীর অধীনে নির্বাচনের আমি বিরোধী

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৭

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: ' মজেনা, পঙ্কজ, সুজাতা, তারানকো নয়, এদেশের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক হতে হবে জনতাকেই' ----- সহমত। কিন্তু কোন জনতার উপর নির্ভর করতে চাচ্ছেন যারা দলের , ব্যক্তির উপর দেশের স্বার্থকে স্হান দিতে পারছেনা তাদের উপর ???

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩

বিবাগী বাউল বলেছেন: নতুন গণশক্তির উত্থান দরকার।

৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৬

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: বাংলাদেশের স্বাধীনতা - সার্বভৌমত্ব হরনের ষড়যণ্ত্র চলছে। সকলেই সাবধান হোন । দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকুন ।http://www.somewhereinblog.net/blog/AYAAJ1977

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩

বিবাগী বাউল বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: কিছুদিন আগে বাসদ নেতা খালেকুজ্জামানের একটা কথা খুব ভালো লাগছিলো, "আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা যখন অসুস্থ হন, তখন তারা চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান; আমাদের দেশের রাজনীতি যখন অসুস্থ হয়, তখন বিদেশী চিকিৎসকরা আসেন চিকিৎসা করতে!"

সাধারণ ভাবেই পরিবারের বিবাদ যখন আদালত পর্যন্ত গড়ায় তখন বুঝতে হবে এইটা 'ব্রোকেন ফ্যামিলি'। জনগণের দৃঢ় ভূমিকা না থাকলে যে কেউ দেশটাকে 'ফেইড স্টেট' বলে চলে যাবে। আমাদের সবথেকে বড় সমস্যা কোথায় জানেন? আমরা খুব বেশী সহনশীল, অন্য কোথায় বলতে গেলে ভিতুর ডিম!!

চলেন একদিন বসি গিয়া 'প্রজন্ম চত্বরে'। সরকারকে আর বিরোধী দলকে আল্টিমেটাম দেই একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমঝতা করে একটা শান্তিপূর্ণ অবস্থায় না আসলে উপস্থিত সবাই গায়ে পেট্রোল ঢেলে আত্মাহুতি দিবো!! হয়তো একটু ফালতু শুনাবে কথাটা, কিন্তু অনেক মানুষই তো মরতেছে জ্বলে, বার্ন ইউনিটের খবর শুনতে আর ভালো লাগে না। খবর দেখা বা পড়া বাদ দিছি।

উপনিবেশবাদের টার্গেটে বাংলাদেশ বহু আগে থেকেই, আর এইটাই ঘাঁটি বসানোর মক্ষম সুযোগ। আম্রিকা বা ইন্ডিয়া, কেউই এই সুযোগ ছাড়বে না। সুশীলদের এতে কিছু যায় আসে না কারণ তাদের আরও নানা দেশে নানা বসতবাড়ি আছে। কিন্তু আমার মত আজন্ম বাঙ্গালী মানতে পারে না।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

বিবাগী বাউল বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.