| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মিশু মিলন
আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।
ঢাকার ফুটপাত আমি থেকে কোনো কিছু কিনি না। এটা আমার এক ধরনের প্রতিবাদ। কারণ, এই হকাররা আমার স্বস্তিতে ও নিরাপদে হাঁটার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। আমি হাঁটতে পছন্দ করি, কিন্তু ফুটপাতের ভিড়ের কথা মনে হলেই ঘর থেকে আর বের হতে ইচ্ছে করে না। শুধু ফুটপাত নয়, কোথাও কোথাও রাস্তার অর্ধেকের বেশি হকারদের দখলে। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাঁটতে হয়।
হকাররা শুধু মানুষের স্বস্তিতে ও নিরাপদে হাঁটার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে তাই নয়, ক্রেতাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে, নারীরা কোনোকিছু দরদাম করে দামে না পোষালে অন্য দোকানের দিকে চলে গেলে অনেক বিক্রেতা ইঙ্গিতপুর্ণ কুৎসিত কথা বলে, নারীদের গায়েও হাত তোলে। সকালের দিকে যখন ক্রেতার চাপ থাকে না, তখন এরা আড্ডার মুডে থাকে, নারীদের দেখিয়ে নিজেদের মধ্যে কুৎসিত ইঙ্গিত করে, বডি শেমিং করে, রগরগে কথাবার্তা বলে। আমার কথা বিশ্বাস না হলে সকালের দিকে গিয়ে ওদের ওপর নজর রাখতে পারেন। এর বাইরেও নানারকম অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এরা জড়িত। কোনো কোনো হকারের পাঁচ-ছয়টা দোকান আছে, কিশোর-যুবক কর্মী নিয়োগ করে সেগুলো চালায়। রাস্তার অর্ধেকের বেশি হকারদের দখলে থাকায় বাধ্য হয়ে পথচারীদের রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাঁটতে হয়, ফলে দুর্ঘটনা ঘটে, প্রাণহাণি হয়। বছর দশেক আগে আমার চোখের সামনে একজন রিক্সা আরোহীর প্রাণ গেছে, রাস্তার অর্ধেক হকারদের দখলে থাকার কারণেই প্রাণটি ঝরেছে।
আর আছে রিক্সাওয়ালা, জেব্রা ক্রসিংয়ে হাতের ইশারায় গাড়ী দাঁড়ায়, কিন্তু রিক্সাওয়ালার গতি একটুও কমে না। ঢাকার প্রায় প্রতিটা রাস্তায় উল্টোদিক দিয়ে রিক্সা চালায়। কোনোরকম আইন-কানুনের ধার এরা ধারে না। আর কী তীব্র গতি!
হকার আর রিক্সাওয়ালা, এই দুই শ্রেণি দুইটা সন্ত্রাসী বাহিনীর আকার ধারণ করেছে। এরা ভাবে এদের জনবল আছে, তাই এরা যা খুশি করতে পারে। করেও তাই। প্রায়ই দেখা যায়- কোথাও না কোথাও এরা প্রশাসনের ওপর হামলা চালায়।
একটা দেশের প্রশাসনের কী বেহাল দশা! রিক্সাওয়ালারা প্রশাসনের ওপর হামলা চালায়, হকাররা বৃষ্টির মতো ইট ছোঁড়ে, মেঘনার জেলেরা টেঁটা নিয়ে ধাওয়া করে, আর জুলাই জঙ্গিরা তো সাপের মতো পুলিশ পেটায়!
রিক্সায় চড়া পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়, যেহেতু বিকল্প কম। কিন্তু ফুটপাত থেকে কেনা বন্ধ করা সম্ভব। পুরান ঢাকা থেকে জিনিসপত্র কিনে নিয়ে এসে একটা শহরের যত্রতত্র বসে পড়া অপরাধ। এই অপরাধের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে। তাদের কাছ থেকে পণ্য কেনা বন্ধ করে তাদের পেটে লাথি মারতে হবে। নইলে ফুটপাত ছেড়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় একদিন আপনার প্রাণটিও ঝরে তে পারে।
কোনো কমরেড বলতে আসবেন না যে ওরা খাবে কী, আপনারা বরং ওদেরকে কনডম উপহার দিন।
হকারের পেটে লাথি দাও
নিরাপদে হাঁটার স্বাধীনতা ফেরাও
৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৮
মিশু মিলন বলেছেন: হ্যাঁ, ধন্যবাদ।
২|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:০৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: রিক্সা নিয়ন্ত্রন ও হকার উচ্ছেদ না করলে পরিচ্ছন্ন ঢাকা কোন দিন হবেনা।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৯
মিশু মিলন বলেছেন: ঠিক বলেছেন, ধন্যবাদ।
৩|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এটা আসলে হাকারদের দোষ নয় ভাই, দোষটা হচ্ছে সিস্টেমের। হাকারদের ফুঁটাপাতে বসতে দেয় বিধায় তারা ডেইলি চাঁদা প্রদানের মাধ্যে ফুঁটাপাতে বসে, চাঁদার টাকা নিয়ে যখনই একটু গড়বড় হয় তখনই উচ্ছেদের নামে তাদের হয়রানি করা হয়।
ফুটপাতে দোকান করার অপরাধে জেল, জরিমানা করা হয়েছে এমন ঘটার কথা কখোনে শুনিনি, তাহলে হকাররা তো ফুটপাদ ব্যবহার করবেই।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩০
মিশু মিলন বলেছেন: সিস্টেম বদলাতে হলে আমাদেরকে ফুটপাত থেকে কেনা বন্ধ করতে হবে। ধন্যবাদ।
৪|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৮
রাসেল বলেছেন: পরিকল্পনাহীনতার ফসল। পরিকল্পনাহীনতা এসেছে দায়িত্বশীল ব্যক্তির দায়িত্বহীনতা থেকে।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩১
মিশু মিলন বলেছেন: হ্যাঁ। এজন্য আমাদেরকেই সচেতন হতে হবে।
৫|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২১
রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকার কোনো ফুটপাত দিয়েই আরামে হাঁটা যায় না। সব সরকারের আমলেই একই অবস্থা।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩১
মিশু মিলন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।
৬|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৭
ধুলো মেঘ বলেছেন: সরকারের একটা বড় উচিত কাজ হল ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা। এনবিআর এর হেড অফিস হওয়া উচিত চট্টগ্রাম, হাই কোর্ট সুপ্রীম কোর্ট ময়মনসিংহ। সমস্ত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী। ইন্ডাস্ট্রি খুলনায় আর এগ্রো বেজড ইন্ড্রাস্ট্রি সিলেট ও রংপুরে। পাগলের মত সব মানুষকে ঢাকায় এসেই জীবিকা অর্জন করতে হয় - এটা নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩২
মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।
৭|
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার জন্য এই দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ২:৩০
মিশু মিলন বলেছেন: একদম তাই, এদেশে সুন্দরভাবে বাঁচা সম্ভব নয়। ধন্যবাদ।
৮|
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১০
আলামিন১০৪ বলেছেন: ক্যান্সার শুরুতে চিকিৎসা করতে হয় ছড়িয়ে পড়লে অপারেশনে লাভ হয় না...এদের বিকল্প কর্মসংস্থান হিসাবে হলিডে মার্কেটে পূনর্বাসন করা যেতে পারে, আর আইনের কঠিন প্রয়োগ জরুরী
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:১১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
চাঁদনী চক, গাউছিয়া এই মার্কেটেও নারীদের কে অসম্মান করা হয়।