নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসঙ্গ পথচারী

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ

তারপরও মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে ঘুরে দাড়াব.....।

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাগাড়প্রেমী বাংলাদেশি……

২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪০

সাম্প্রতিক কালে আগারগায়ে নির্মাণ করা অনেক বড় বড় সরকারি স্থাপনার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করেও পুরোপুরি হজম করে উঠতে পারলাম না। উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো এই যে, এসব অত্যাধুনিক ভবনের ভিতরে, বাইরে এবং যে চওড়া সুন্দর রাস্তাগুলো তৈরি করা হয়েছে, এর আশেপাশে কোথাও্ আপনি কোন ময়লা ফেলার লিটার বিন খুঁজে পাবেন না।

কর্তৃপক্ষের শত শত কোটি টাকা খরচ করার মতো তহবিল আছে কিন্তু লিটার বিন বসানোর ত্হবিল নেই কিংবা তা থাকাটা অত্যন্ত জরুরি, এই ধরনের চিন্তা ভাবনা বা মন মানসিকতাই নেই। পরিবেশ দূষণ তো তবুও রোধ করা যায় কিন্তু আমাদের চিন্তা-চেতনায় যে দৈন্যতা, ভেজাল এবং দূষণ রয়েছে সেটা দূর হবে কিভাবে?

হাতের নাগালের মধ্যে লিটার বিন থাকলে অন্তত মানুষ এটুকু মানসিক চাপের মধ্যে থাকতো যে তাকে ময়লা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে কিন্তু লিটার বিন না থাকার কারণে মানুষের মাথায় এ চিন্তাই কাজ করবে যে আশেপাশের জায়গা যত সুন্দরই হোক না কেন, এসব কিছুই, গোটা এলাকাই যেন লিটার বিনের বিকল্প এবং আমরা যেখানে খুশি সেখানে, নির্দ্বিধায় ময়লা ফেলতে পারি। ফুড কার্ট গুলোরও নির্দিষ্ট কোন স্থান নেই। যে যেখানে খুশি সেখানে বসিয়ে দিব্যি ব্যবসা করে যাচ্ছে।

সুতরাং যত সুন্দর স্থাপনাই আমরা তৈরি করি না কেন, সেটা যথাসম্ভব দ্রুততার সাথে ভাগাড়ে পরিণত না করতে পারলে আমাদের যেন শান্তি নেই।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৩

কাঁউটাল বলেছেন: "ভাগার" এর স্থলে "ভাঁড়ত" হইবে

২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের অন্যতম কুৎসিত একটা অভ্যাস হলো, আমরা যেখানে-সেখানে কফ-থুথু ফেলি, প্রস্রাবের জন্য দাঁড়িয়ে যাই/বসে পড়ি। এর প্রধান কারণ আমাদের সিভিক সেন্সের অভাব, শিক্ষার অভাব এবং অতি অবশ্যই এগুলোর জন্য পর্যাপ্ত সুনির্দিষ্ট স্থান না থাকা। ময়লা যেখানে সেখানে তো ফেলা হয়ই, নিয়োজিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও (যেখানে নিয়োজিত থাকেন) এসব কাজ শেষ করে উঠতে পারেন না। ফলে রাস্তায় হাঁটবেন এগুলো মাড়িয়ে।

ওইসব স্থানে আমার যাওয়া হয় নাই। তবে, বুঝতে পারলাম, ভাগাড় বা ডাস্টবিন, ইত্যাদি না থাকার কারণে মানুষ ঠিকই যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলে জায়গাগুলো নোংরা করে ফেলবে। কাজটা সুপরিকল্পিত হয়েছে বলে মনে হয় না।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১২

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: বিদেশে রাতের শেষের দিকে রাস্তাঘাট পরিষ্কার করে। বিনের ময়লা সংগ্রহ করে কম্প্যাকটর মেশিনে ফেলে জায়গাতেই প্রক্রিয়াজাত করে ফেলা হয়। আমাদের কর্তৃপক্ষের অনেক হর্তাকর্তারা বিদেশ গিয়ে ফি বছর এসব ওয়েস্ট ম্যানেজেমেন্টের উপর কত প্রশিক্ষনই না নিয়ে আসেন। কিন্তু ওসবের সুক্ষতম প্রতিফলন আমরা গোবেচারা জনগন পাই না।

কিন্তু রাস্তার মোড়ে মোড়ে না হোক একটাই হোক। একটা প্লাস্টিকের বিন কি এতই দূষ্প্রাপ্য? না, জায়গায় জায়গায় এতো চোর ছ্যাচ্চোড়ে ভরা যে কর্তৃপক্ষ চুরির ভয়ে বিন স্হাপন করতে চান না।

৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৭

শায়মা বলেছেন: ঠিক এমনই মনে হয়েছিলো আমার এবছরে সাদা পাথরে গিয়ে।

সাদা পাথরের স্বচ্ছ জলে ভাসছিলো চানাচুর মুড়ি ডায়াপার এসব। দেখে গা গুলিয়ে উঠেছিলো। এত এত মানুষ কিন্তু হাতের কাছে কোনো বীন নেই। আছে হয়ত সুদূরে। জানিও না সে কোথা!


সৌন্দর্য্যৃবর্ধন করতে গিয়ে অসৌন্দর্য্যকে কোথায় ঝেঁটিয়ে বিদায় করবেন তাহাই জানা নেই।

তবে লাভ কি হলো??


পুরো সৌন্দয্যকেই অসৌন্দর্য্য বানিয়ে ফেলা।


ভাগাড় হবে মনে হয় কথাটা ভাইয়া।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৪

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: ধন্যবাদ। সংশোধন করেছি।

৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমি গত মাসে ৪/৫ দিন এই এলাকায় প্রাতভ্রমণ করেছি। তবে আপনার উল্যেখিত বিষয়টি খেয়াল করিনি।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৫০

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: লিটার বিন না দেখতেই আমরা অভস্ত্য। তাই খেয়াল না করাই স্বাভাবিক।

৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৪

করুণাধারা বলেছেন: আমি আজকে আগারগাঁওয়ে চওড়া ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এই কথাটাই ভাবছিলাম। আগারগাঁওয়ে একটা ঝকঝকে অফিসে গিয়েছিলাম, সেখানে স্ন্যাকস খাবার পরে টিস্যুটি হাতে থেকে যায়। অদ্ভুত কান্ড যে রূম থেকে বের হবার পর কোথায় বিন পাইনি টিস্যুটা ফেলার জন্য। এরপর বের হয়ে দেখলাম সমস্ত আবর্জনা ফেলা হচ্ছে ফুটপাতে, আমিও অগত্যা তাতে সামিল হলাম।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২৪

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: আমার ভাগ্য ভালো যে আমি ওখানে ময়লার ভ্যান গাড়ি পেয়ে ঝটপট তাতে ময়লা ফেলে দিয়েছি। কোনভাবেই মনটা সায় দিল না যে এতো সুন্দর জায়গাটা নষ্ট করে ফেলব।

তবে এটাও মানি, যে সাধারন মানুষ যারা সত্যি সত্যি চান লিটার বিনে ময়লা ফেলতে, তারাও বাধ্য হয়েই এদিক ওদিক ময়লা ফেলেন।

৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৭

শিশির খান ১৪ বলেছেন: হুম লিটার বিন মনে হয় চুরি হওয়া যায়। ইদানিং ডান্ডি খোর পোলাপাইন দেখছি রাস্তার ডিভাইডার কাইটা বিক্রি করে ভাঙারির কাছে। সব কিছু ভাঙারির কাছে বিক্রি করা যায়।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৭

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: চুরি হলে তা আবার কর্তৃপক্ষ প্রতিস্হাপন করবে। কত টাকা পয়সাই তো এদিক ওদিক নয় ছয় হয়। কিন্তু পরিবেশটা নোংরা না হোক। আমারাও লিটার বিনে আবর্জনা ফেলে নিজেদের সভ্য করার সুযোগটা পাই।

৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩২

রাােসল বলেছেন: রমনা পার্কে একটি টয়লেট থাকলেও তা বন্ধ রয়েছে। ফলস্বরূপ, লোকেরা টয়লেটের বাইরে তাদের টয়লেটের কাজ করে। কর্তৃপক্ষ রাস্তার পাশে ডাস্টবিন রাখতে পারে কিন্তু দুষ্ট লোকেরা তা চুরি করে নিয়ে যায়। এখন প্রতিটি পর্যায়ে আইনের শাষণ প্রতিষ্ঠা করা খুবই প্রয়োজন।

৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: রাইট।
সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.