নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসঙ্গ পথচারী

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ

তারপরও মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে ঘুরে দাড়াব.....।

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের কর্পোরেট কালচার-২

০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:৩৮

ঘটনাটা যেহেতু কোভিড-১৯, ২০২০ এর সময় হয়েছিল তাই একে এভাবে নামকরণ করা যায়, তা হল......

"কোভিড-১৯ স্যালারি স্ক্যাম"

/আচ্ছা ব্যাংকে আমরা যখন জয়েন করি তখন এরকম কোন শর্তে সাপেক্ষে তো জয়েন করি না যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের খেয়াল খুশি মত আমাদের বেতন স্থায়ীভাবে কমিয়ে দিতে পারবেন? মানে আমাদের এপয়েন্টমেন্ট লেটারে কি এ ধরনের কোন শর্ত থাকে?

/আমরা ব্যাংকের কর্মীগাও কি কখনো লিখিত বা অলিখিতভাবে ব্যাংকের এইচ আরের রথি মহারথীদের কি এ ধরনের অনুমতি দিয়েছি যে তারা ইচ্ছা করলেই তাদের খেয়াল খুশি মতো আমাদের মূল বেতন কমাতে পারবে? বছর বছর ইনক্রিমেন্ট আর পারফরম্যান্স বোনাসের মাধ্যমে আমাদের যে বেতনের উচ্চতা দাড়ায় তা তারা তাদের খুশি মত কেটে ছেঁটে ফেলতে পারবে। এরকম কি তারা করতে পারে? বাংলাদেশের কোন আইনে তা সমর্থন করে কিনা?

/নদীর পানি তো সমুদ্রে যায়। ভরসার ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ল্যাবলুলু কি বলতে পারবে যে পরিমাণ টাকা আমার বেতন হতে স্থায়ীভাবে কেটে রেখেছেন তা কোথায় গেল? কোন সমুদ্রে নিয়ে ফেললেন? নিশ্চয়ই কোন এক সমুদ্রে গিয়ে পড়েছে যেটার হদিস আমার মতো ভুক্তভোগী তিন বছর যাবত আজও পায়নি? তবে সুনিশ্চিত যে ল্যাবলুলুর তত্ত্বাবধানে ঐ সমুদ্র ভাগজোক হয়ে ইতোমধ্যে হজমও হয়ে গেছে।

/রিটেল লোনের ইএমআই যখন বেড়ে যায় তখন নির্বিকার ভাবে কাস্টমারদের বলতাম যে, "দেখুন লোনের ইন্টারেস্ট রেট সব সময়ই ফ্লোটিং ইন্টারেস্ট রেট। সুতরাং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ লোনের রেট লোনের টেনোর পিরিওডে বাড়াতেই পারে এবং এই শর্তটি মেনেই আপনি লোন নিয়েছেন।"

এখন নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অ্যাসেসমেন্ট সাপেক্ষে যে বেতন আমি পেয়েছিলাম, তা একটা মাত্র সিদ্ধান্তে প্রায় ১৮,০০০.০০ (আঠারো হাজার) কমে গেল ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে। এর কোন প্রকার কোন ব্যাখ্যা নেই, কোন জবাবদিহিতা নেই আর ব্যাংক কর্মীর পূর্বানুমতি, সে তো আরো দূরের কথা। ফ্লোটিং ইন্টারেস্ট রেটের মত আমার বেতনও ফ্লোটিং হয়ে গেল।

ভরসার ব্যাংক বলে কথা।

আসলে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে কোন অভিযোগও নেই, প্রতিষ্ঠানের কোন সমস্যাও নেই।

সমস্যা হলো ল্যাবলুলুদের মত কর্পোরেট মাফিয়া সিন্ডিকেট গংদের নিয়ে।

আমাদের কর্পোরেট কালচার-১

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:০৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আফসোস!

০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৮

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: একদম আফসোস নেই। আপনার কি মনে হয় যে ওরা মানুষের রিজিকের টাকা মেরে পার পেয়ে যাবে।

ক্ষমতা কখনই চিরস্হায়ী নয়। একসময় সবাইকেই রাস্তায় নামতে হবে।

তখন তারা বিচারক শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের মতো রাস্তাঘাটে অপদস্ত হবে।

নিশ্চিতভাবেই হবে। এদেশের মাটিতেই হোক কিংবা প্রবাসের মাটিতে।

২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


স্ক্যাম লিখার সুযোগ পেয়েছেন আপনি, যারা পায়নি তাদের কি খবর?

০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৩

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: আসলে আমরা মানুষ দুনিয়ায় আসি একা, চলে যাইও একা।

যুদ্ধটাও একাই করতে হয় কারন প্রয়োজনের মূহুর্তে নাজুক সময়ে পরিচিত কাউকে খুজে পাওয়া যায় না।

অবাক কান্ড হলো কোথা থেকে অপরিচিতদের থেকেই কার্যকরী সাহায্য চলে আসে। আল্লাহ্ ই মিলিয়ে দেন।

আমি যেমন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, আশা করছি অন্যরাও তাদের সক্ষমতা আর সাধ্য অনুযায়ী অন্যায়ের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে।

৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ছেলেমেয়ের স্বপ্নই থাকে ব্যাংকে জয়েন করার।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: আমরা সাধারনতঃ ধরেই নেই প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা তুলনামূলকভাবে সৎ।

সরকারী ব্যাংকের কথা বলতে পারছি না কিন্তু বেসরকারী ব্যাংকের বিরাট যে সাধারন কর্মী বাহিনী আছেন তারাও কিন্তু ঐ তিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের মতই সততা নিয়ে কাজ করেন। অন্যান্য সরকারী প্রতিষ্ঠানের মতো যদি এখানে বেসুমার দূর্নীতি হতো তবে কি আপনারা আমাদের উপর আস্হা রেখে ব্যাংকে টাকা রাখতেন? একটা বিষয় হলো প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যেমন অপরাধ করে পার পাওয়া যায় না (ওদের শাস্তি কিন্তু পুলিশ বাহিনীর মতো নাম কা ওয়াস্তে লোক দেখানো সাময়িক বরখাস্ত আর ক্লোজ করা নয়), বাংলাদেশ ব্যাংকের মত শক্তিশালী নিয়ন্ত্রক সংশ্হার কারনে ব্যাংকে ভক্ষরিক হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই সামরিক গ্রুপের বাইরে এই্ একটা বড় বেসামরিক গ্রুপ (ব্যাংকার গ্রুপ) আছে যাদের সততার উপর ভরসা করা যায়।

সুতারাং সৎভাবে উপার্জনের স্বপ্ন যারা দেখে তারা ব্যাংকে আসতেই পারে।

৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪

বিজন রয় বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছ।

আমাদের কর্পোরেট কালচার আস্তে আস্তে ভালো হবে বলে মনে করেন?

০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৬

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: কর্পোরেট কালচার ভালো হওয়া নির্ভর করছে আমরা সাহসী হয়ে কতটুকু প্রতিবাদ করতে পারছি তার উপর।

ভাবছি নতুন বছরে বাংলাদেশ ব্যাংক আর দূর্নীতি দমন বিভাগে অভিযোগের পাশাপাশি মামলাও ঠুকে দিবো। এতে যে পরিমান টাকা মেরেছে তা পাওয়ার পাশাপাশি বাড়তি ক্ষতিপূরনও আদায় করার সম্ভাবনা থাকবে।

তবে এটা স্বীকার করি যে যারা ঢাকা শহরে একের অধিক পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে ব্যাংকের চাকুরী করছেন তাদের এতো সাহস না দেখালেও চলবে।

৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আমার করোনার দুই ইদে ১ লাখ টাকা বোনাস কোম্পানি দেয় নাই। এই উসিলায় কোম্পানি লসে আছে। কিন্তু আমি আমার একাউন্টের প্রধান মার্চেন্ডাইজার ছিলাম, কত টাকা ইনকাম বা কত লাভ করছে কিংবা তা আগের তুলনায় কম কি-না, তা আমি জানতাম। অন্তত আমার একাউন্ট থেকে।

এরপর রাগ করে চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.