নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বহু যাযাবর লক্ষ্যবিহীন, আমার রয়েছে পণ\nরঙের খনি যেখানে দেখেছি, রাঙিয়ে নিয়েছি মন।

অপ্রত্যাশিত হিমু

অপ্রত্যাশিত হিমু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে এত চুলকানি এত গা কেন ? নিজের মাথায় তেল দেন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৬

আজকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়াল আমাদের সম্মানিত ব্লগার রাজীব নূর এবং সেই সাথে জনাব ছাদগাজী সাহেব কে ও দেখলাম খুব উত্তেজিত। এবং ব্লগার রাজীব সাহেব কে ও দেখলাম খুকাথ্যা ভাষা ব্যবহার করছেন। দেশের এমন অবস্থাতে মানসিকতা ঠিক না থাকারই কথা, এ বিষয়টি আমাদের পুরো জাতীর সম্যসা। প্রত্যক্ষভাবে হোক আর পরোক্ষভাবেই হোক।
এখন ও পর্যন্ত প্রশাসন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েই যাচ্ছে। সকল জায়গায়তেই এবং সকল শহরে। পেপার পত্রিকা টিভি দেখলেই আমরা বুঝতে পারি।

বর্তমান গঠনার প্রেক্ষাপট নিয়ে বলি, জুবায়ের আহমদ উনি ছিলেন একজন ইসলামীক বক্তা। তার ওয়াজ মাহফিলে অনেক লোকজনের সমাগম হত। ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে বার্ধক্য পর্যন্ত তিনি ওয়াজ মাহফিলের প্রধান বক্তা হিসেবে নিমন্ত্রীত থাকতেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বেড়তলা গ্রামে তার অনেক বড় একটি মাদ্রাসা ও আছে। আমরা ইতিপূর্বে জানি, তার জানাজায় লক্ষাধিক মানুষের বেশি মানুষ সমাগম হয়েছে। যদিও তার জানাযায় এতো লোকের সমাগম হওয়া এই সময়ে জরুরি ছিল না। এটা না হলেও পারতো আপনাদের কথা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নাই।

আসুন একটু পজিটিভ চিন্তা করি:
উনি সারা বাংলাদেশে ওয়াজ মাহফিল বেশ দাওয়াত পেয়ে থাকতেন।উনার মৃত্যুর খবরে সাধারন মানূষ আবেগময় হয়ে গিয়েছিল। তারা দেশ বিদেশের এমন পরিস্থিতি জেনে ও ভালবাসার আবেগটুকু থেকেই করেছে। আইন,মহামারি এমন কি নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ও তারা ঘড়ে বসে থাকতে পারেনি। আমরা মানুষ তো আমরা এলিয়েন গ্রহের কোন প্রাণী নয়,মানুষের প্রতি মায়া মহব্বত থেকে এরকমটা হয়ছে তার বাহিরে কোন কিছু না। দেখা গেছে ব্রহ্মনবাড়িয়া আসে পাশের জেলা থেকে ও লোক সমাগম হয়েছে।
শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া তেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না পার্শ্ববর্তী জেলা ভৈরব,নরশীংদি,মাধবপুর হবিগন্জ ইত্যাদি। থেকেও অনেক লোক এসেছে। কথা হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় বাসিন্দারা যাঁরা এ একত্রিত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী অন্যায় করেছে। প্রশ্ন হল, বাহিরের জেলার লোক গুলো কিভাবে আসতে পেরেছে? ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার প্রশাসনের ঘাটতি ছিল কিন্তু পার্শ্ববর্তী জেলা প্রশাসনের দায়িত্ব টা কি ছিল? একমাত্র প্রশাসনই পারতো এই অবুজ মানুষগুলোকে সান্ত্বনা দিতে এবং সান্তনার বাণী শুনেয়ি তাদেরকে এক জায়গায় রাখতে। চেতনাধারী সুশীলরা সেই পার্শ্ববর্তী জেলাকে নিয়ে কেন কথা বলছে না?

বিগত গত ৫ তারিখ গার্মেন্টস কর্মীরা যখন ঢাকার উদ্দেশ্যে পথযাত্রায় সমাগম হয়েছিল তখন সুশীলদের চেতনাবোধ কোথায় ছিল? মাজেদের ফাঁসির আনন্দে কারাগারের সামনে আনন্দ মিছিল বের করা হয়েছিল তখন প্রশাসন সরকারের দায়িত্বশীলতা কোথায় ছিল?
এবং ৫০০ টাকার বিনিময়ে তাদেরকে এয়ারপোর্ট পাসিং করা হয়েছে। এমন হাজারটা উদাহরণ আমি দিতে পারবো, আপনারাও ইতিপূর্বে জানেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওসি, এবং এস পি কে সাময়িকভাবে প্রত্যাখান করা হয়েছে এই ঘটনার জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকার প্রশাসন সেখানে তাদের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা চেতনা বাদীরা তা মেনে নিতে পারছিনা।

৫০ হাজার থেকে ১ লাখের মত প্রবাসীকে কিভাবে দেশে আসে? অতীতে আমরা তা ও দেখলাম অভিযোগ আছে বিদেশ থেকে যাত্রী যখন বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় তখন তাদেরকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তখন আপনাদের চেতনাবোধ কোথায় থাকে? যত সমস্যা শুধু কি ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর? সব অন্যায়-অপরাধ কি ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর দাড়ি টুপি ওয়ালাদের? আর আপনারা দোয়া তুলসী পাতা।

জাতিগত বিবর্তন
এই মুহুর্তের জন্য সত্য হলো আজ এক আনসারির জন্য আমরা পুরো জাতিকে সংস্কৃতিক সভ্যতার দিকে ঠেলে দিতে পারিনা একটা জেলাকে যখন আমরা সাংস্কৃতিকভাবে আলাদা করে দেখি তখন এক জেলার বাসিন্দা হিসেবে মেনে নেওয়া খুবই কষ্টের।
এই মুহূর্তে নিজেকে একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসি হিসেবে অনুভব করে বলছি, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি তারা কেন নিজেদের আলাদা করতে চাইত? কেন সিঙ্গাপুর,মালয়েশিয়া থেকে পৃথক হয়েছিল? মালদ্বীপ, ভারত ব্রিটিশদের কাছ থেকে কেন পূর্ন স্বাধীনতা চেয়েছিল। জার্মানি অস্ট্রিয়াকে থেকে কেন স্বাধীন হতে চেয়েছিল? অপরদিকে মায়ানমার তারা ও আজ জাতিগত নিদনে (যদিও তারা ভিক্টিম) আজ তাদের এই পরিণতি। ইতিহাস আমাদেরকে তাই শিক্ষা দেয় যেটা আমরা এখন পাচ্ছি। দেশগুলো স্বাধীনতা চেয়েছিল পৃথক করে দেখার কারণেই এখন মনে হচ্ছে।
সভ্যতার এ পর্যায়ে এসেও আমাদের জাতিগতভাবে আমাদের পৃথক করে দেখা কতটুকু অমানবিক হতে সেটা আমার জানা নেই। আপনাদের কারো জানা থাকলে বলতে পারেন? আমার এইটুকু কথার জবাব পারলে এখন দিয়ে যাবেন,ইংরেজদের শোষণ থেকে কেন মুক্তি চেয়েছিলাম?কেন পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা চেয়েছিলাম? তখন শুধু যার যার জেলার মুক্তি চেয়েছিলেন না কেন? জাতিগত কারণে যদি আমাদেরকে পৃথক করে দেখা হয় অদূর ভবিষ্যতে আমরা কি রাঙ্গামাটি ,খাগড়াছড়ির মত স্বাধীনতা চাইব? আমরা কি একটি জুমল্যান্ড দাবি করব? যেমন দাবি করছে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি। খেলতে খেলতে এতদূর যাওয়া ঠিক নয় যেন সর্বশেষ খেলাটা ভয়ংকর রূপ ধারণ! করে। জাতি, সংস্কৃতি,সভ্যতা এগুলি দিয়ে নয়, আপাতত ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী হিসেবে যদি আমাদেরকে দেখেন, আমাদের গর্ব করার মত এমন অনেক কিছুই আছে। যদি আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাস না জানা থাকে তাহলে কমেন্টে লিংক চাইতে পারেন,এবং সেখান থেকে জেনে নিতে পারেন। আমি ঐদিকে আর যেতে চাচ্ছি না।

তারপরও একটা কথা না বললেই নয়, যদি আমাদেরকে তার কাটার বেড়া দিয়ে আলাদা করে রাখা হয়, আমার মনে হয় আপনাদের চুলায় আগুন জ্বালাতে পারবেন না। আগুন জ্বালাতে না পারলে খেতে পারবেন না। আর খেতে না পারলে তখন সভ্যতার বাহাদুরি দেখা যাবে, বহুৎ দেখছি আমেরিকার মতো এত বড় দেশ কি দেখতেছি।
পরিশেষে এটাই বলব মাথায় ব্যাথা অনুভব করলে ওষুধ খেতে হয় মাথা কেটে ফেলে দেওয়া যাবে না। সভ্যতা-সংস্কৃতি কাঁটাতার এগুলো ভিন্ন বিষয়। বর্তমান পরিস্থিতি অন্য বিষয়। সপ্ন দেখি,একদিন আমরা সবাই পরিবর্তনশীল জাতি হয়ে,নিজের জেলার পরিচয়ে বড় না হয়ে সমগ্র বাংলাদেশের পরিচয় বড় হবো। সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন।

লেখার সোর্স:--------অপ্রত্যাশিত হিমু ব্লগ

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৫

শুভ্র মিহির বলেছেন: নিজেরা নিজেরা যারা মারামারি করে, তারা আবার বিচ্ছিন্ন হবার হুমকি দিচ্ছে ???
পাপ করলে মানুষ সমালোচনা করবে, পাপের শাস্তি অবধারিত

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

অপ্রত্যাশিত হিমু বলেছেন: কেউই পাপের ঊর্ধ্বে নয়। আপনি ও বলতে পারবেন না যে আপনি পাপ করেন না। কেউ প্রকাশ্যে আবার কেউ গোপনে।

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পা কেটে আনন্দ মিছিল করেছে । তাদের নোবেল দেওয়া দরকার ।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

অপ্রত্যাশিত হিমু বলেছেন: নেওয়াজ আলি@ শুধু পা কেটে আনন্দ মিছিল করলে নোবেল দেওয়া দরকার এমনটা ভেবে নেওয়া নেহাতই বোকামি, আমি মনে করি আমরা এমনিতেই নোবেল পাওয়ার যোগ্য জাতি।

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১০

ঊণকৌটী বলেছেন: আবেগের বশে আপনার এলাকার মানুষ যা কিছু করেছে তার জন্য শুধু আপনাদের দেশ কেই বিপন্ন করেননি পাশপাশি আপনাদের সব চেয়ে কাছের অঞ্চল যেখানে আপনাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার,আখাউড়া থেকে মাত্র 1,5/ 2 km দূরত্ব শহর আগরতলা কে বিপদে ফেলে দিল। goverment প্রচণ্ড আতঙ্ককিত বর্ডারয়ে রেড সিগনাল জারি করা হয়েছে।

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১০

নতুন বলেছেন: এই জামানায় এলাকায় লাঠি সড়কি নিয়ে কাইজ্জা করা, পা কেটে আনন্দ মিছিল করা।

করোনায় সরকারী নিষেধ, সৌদিতে হজ্জ বন্ধ।

যারা এতো জজবা নিয়ে জানাজা নামাজ পড়তে গিয়েছিলো তাদের কত ভাগ মানুষ ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে?

ধমান্ধ, বব`র পযায়ে আছে এখনো ব্রাম্ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনেক মানুষ।

এদের সমালোচনা করলে এতো কস্ট নেবেন না। আলো দরকার ।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১৯

অপ্রত্যাশিত হিমু বলেছেন: এই জামানায় এলাকায় লাঠি সড়কি নিয়ে কাইজ্জা করা, পা কেটে আনন্দ মিছিল করা।
করোনায় সরকারী নিষেধ, সৌদিতে হজ্জ বন্ধ।
যারা এতো জজবা নিয়ে জানাজা নামাজ পড়তে গিয়েছিলো তাদের কত ভাগ মানুষ ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে?
নতুন@ এমন আদর্শ একটি জেলা বাংলাদেশে আছে কোথাও আমাকে দেখাতে পারবেন? উপরোক্ত বিষয় যেগুলা হয়না। তবে হ্যাঁ আমরা স্বীকার করছি আমাদের একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে। আমরা শুধরানোর সময় অনেক পেয়েছিলাম।

৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৯

বিভ্রান্ত পাঠক বলেছেন: তিতাস গ্যাস না থাকলে আমরা মরে যাব।।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১৭

অপ্রত্যাশিত হিমু বলেছেন: বিভ্রান্ত পাঠক @ অর্থনীতির একটা বাসায় আছে চাহিদা অনুযায়ী যোগান। আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস গ্যাস কতটুক চাহিদা মেটায় একটু গভীরভাবে ঘাটাঘাটি করলে বুঝতে পারবেন। খেয়ে বাঁচবেন নাকি না খেয়ে মরবেন বুঝতে পারবেন।

৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৮

সোহানাজোহা বলেছেন: রাজীব নুর ও রেজা ঘটক নামক ঘটকের পুরো মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। কারণ জানা দরকার ছিলো।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২০

অপ্রত্যাশিত হিমু বলেছেন: হা হা হা

৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪৪

ঊণকৌটী বলেছেন: আজ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আদেশ জারি করেছেন যে,বর্ডার ক্রস করে একটা মাছিও যাতে না আসতে পারে।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১৯

অপ্রত্যাশিত হিমু বলেছেন: ঊণকৌটী @ ভারত কখনোই নিঃস্বার্থ ছিল না এখনো নাই তারা স্বার্থের কারণে বর্ডার খুলবে আবার স্বার্থ শেষ হলে বর্ডারে রেড এলার্ট জারি করবে স্বাভাবিক ব্যাপার।

৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪৭

সোহানাজোহা বলেছেন: ঊণকৌটী আপনি আগরতলা চলে যান।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২১

অপ্রত্যাশিত হিমু বলেছেন: উনি আগড়তলার ই মনে হচ্ছে।

৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৯

ঊণকৌটী বলেছেন: সহোনাযাহা আপনি যদি আমার মন্তব্য শুনে না বুযতে পারেন , আমি কোন জায়গার, তবে আফসোস। ভালো থাকুন।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২৪

অপ্রত্যাশিত হিমু বলেছেন: মেইড ইন রেন্ডিয়ান।

১০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৯

ঊণকৌটী বলেছেন: সহোনাযাহা আপনি যদি আমার মন্তব্য শুনে না বুযতে পারেন , আমি কোন জায়গার, তবে আফসোস। ভালো থাকুন।

১১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২০

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া'কে আলাদা ভাবা ঠিক হবে না। লক ডাউন নিয়ে সারা দেশেই হযবরল অবস্থা। গত পরশু টিভি নিউজে দেখালো খোদ রাজধানীতে স্বাভাবিক সময়ের মতোই যানজট। কাওরানবাজার সহ রাজধানীর বাজার গুলোর চিত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জানাজার চিত্রের মতোই জনবহুল। মাত্র দশ ভাগ লোকের অসচেতনতা আর উদাসীনতার জন্য লকডাউনে থাকা বাকি ৯০ ভাগের করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর স্বেচ্ছা অন্তরীন প্রয়াশ ব্যর্থ হতো চলছে। এই দুঃখ কোথায় রাখি ! :((

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২৭

অপ্রত্যাশিত হিমু বলেছেন: এই চেতনাধারী আবুল গুলোকে এ কথাগুলো কে বোঝাবে এগুলা বুঝতে চায় না শুধু নিজেকে জ্ঞানী মনে করে এছাড়া আর কিছু না। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন

১২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২৭

পলাতক মুর্গ বলেছেন: :-*

১৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৫২

রিফাত হোসেন বলেছেন: ঘটনাটা সরাইল নামক উপজেলায়, সব ব্রাহ্মণবাড়িয়া মনে হয় না এক। সরাইলের ইতিহাস আগে থেকেই খারাপ। তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্যান্য উপজেলার মানুষও মনে হয় দেখতে পারে না। ইউটিউবে তাই দেখছি। সবাই সরাইলকে ''সরাইল্লা বাটপার'' বলে উপাধি দিয়ে রেখেছে। সরাইলের মানুষ ঘনঘন ঝগড়া ফ্যাসাদে জড়িত হয়ে খুনাখুনি পর্যন্ত করে।

প্রশাসনের লোকবল তুলনায় কম তাই তারা সাহস করে নাই জানাজার বিপুল পরিমানের মানুষকে থামানোর। ঐ স্থানের অধিকাংশ মানুষেরই বিবেক ও বোধ কম। সুতরাং ভাল কিছু আশা করা কঠিন। কিছু বলার নাই। :(
নবীনগর, সরাইল উপজেলা ছাড়াও আরও কিছু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বেপরোয়া উপজেলা ক্যান্সার এর মত রয়েছে। এগুলিকে অন্য জেলাগুলির সাথে কয়েকমাসের জন্য দান করে দিলেই বুঝবে কি অবস্থা হয়। সবাইকে এক কাতারে ফেললে তো হবে না। সারা দেশই হযবরল অবস্থায় আছে
কয়েকমাস আগে দেখলাম ঢাকাতে খুন হয়েছে গলা কেটে। তার মানে কি আমরা ঢাকাবাসী সবাই খুনি!

এটা হওয়া উচিত সম্পূর্ণ বাংলাদেশের চরিত্র

কয়েকটা পুলিশের ফাকাঁ গুলি হলে সব লন্ডভন্ড হয়ে যাবার কথা। কোথায় ছিল আর্মি??? দোষ ব্রাহ্মণ ব্রাহ্মণ না করে ভোট নীতি হওয়া উচিত। সারা দেশ থেকে মানুষ জানাজায় গিয়েছে। কিশোরগঞ্জ,কুমিল্লা,নোয়াখালী,সিলেট,চট্টগ্রাম। বাদ নেই। কিভাবে তারা পুলিশি,আর্মি বাধাঁ পেরিয়ে জানাজায় অংশগ্রহন করতে পেরেছে?
-----

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২৮

অপ্রত্যাশিত হিমু বলেছেন: রিফাত হোসেন @ বাংলাদেশের কিছু আবাল ছাওয়াল আছে যারা নাকি চেতনা বোধ দেখায় সেনাবাহিনীর উপর আস্থা রেখে। মনে রাখবেন বাংলাদেশের আজ এই অবস্থা একমাত্র সেনাবাহিনীর জন্য, সেনাবাহিনী হচ্ছে বাংলাদেশের নীরব দর্শক। ৫৮ জন সেনা মরার পর থেকে বুঝতে পেরেছি সেনাবাহিনীর উদারতা কতটুকু। আর এ রায়ে বলির পাঠা হয়েছিল সাধারণ নিরীহ বিডিআর। সেই সময়ের পরে ও সেনাবাহিনীর অনেক কিছু করার ছিল। বাকিটা ইতিহাস বুঝে নিয়েন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর এবং মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। সুস্থ থাকুন

১৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০৭

ঊণকৌটী বলেছেন: অপ্রত্যাশিত হিমু সত্য বচন, সমস্যা টা আপনি হয়তো ধরতে পারেননি। সব কিছু bussiness না। পড়শির ঘরে আগুন লাগলে পাশের বাড়ির বিচলিত হবার যথেষ্ট কারন থাকতেই পারে

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

অপ্রত্যাশিত হিমু বলেছেন: এই মুহূর্তে পৃথিবী নামক পড়শীর ঘরে আগুন লেগেছে। আপাতত এটুকুই ভাবেন।

১৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ মানুষের জন্য,
এই বিশ্বাসটুকু থাক!

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

অপ্রত্যাশিত হিমু বলেছেন: আপনি জাতে মাতাল ,তালে ঠিক।

১৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৫৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: এই ভয়াবহ মহামারীর ক্রান্তিকালে এই ধরণের দায়িত্বজ্ঞানহীন জনসমাগম গণহত্যার সামিল | এই ধরণের গণহত্যাকে কেউ ঠান্ডা মাথায় সমর্থন করতে পারে ? এটা কখনো ভাববেন না যে হুজুরের সাথে সাথে কিছু মুরিদও দ্রুত জান্নাতে যাবার সুযোগ পেয়েছে এই সমাগমে অংশ গ্রহণ করে | এধরণের চিন্তাচেতনা ধর্ম, মানবতা এবং জনজীবনের জন্য চরম হুমকিস্বরূপ |

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩০

অপ্রত্যাশিত হিমু বলেছেন: স্বামী বিশুদ্ধানন্দ @ এধরণের চিন্তাচেতনা ধর্ম, মানবতা এবং জনজীবনের জন্য চরম হুমকিস্বরূপ | জ্বী জনাব, বাংলাদেশের সবাই একদিন পরিবর্তন হব এই দিন খুব বেশি দূরে নয়। করে থাকুন সুস্থ থাকুন

১৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার কমনসেন্স নেই, আপনি নিজের এলাকার প্রতি ভালোবাসা দেখায়ে হিরো হওয়ার চেষ্টা করছেন; কিন্তু মানুষ যে, করোনার সংক্রমণ বাড়িয়ে দিচ্ছে সেটা আপনার ইডিওটিক মগজে ঢুকছে না।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

অপ্রত্যাশিত হিমু বলেছেন: জনাব চাঁদগাজী সাহেব@ আজ কতদিন ধরে সমগ্র বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা হয়েছে সবাই জানেন। রাস্তায় আর্মি,পুলিশ, প্রশাসন, সিভিল সার্জন টিম নেমেছে। কেন নেমেছে? এদেশের গুণান্বিত জনগনকে ঘরে রাখার জন্য।

আর আমরা কি করছি? রাস্তায় বের হয়ে আড্ডা দিচ্ছি, পুলিশ দেখলে দৌড়ে পালিয়ে যাই। পুলিশ চলে গেলে আবার রাস্তায় আড্ডা। দোকানে দোকানে দুইটা টোকা দিলে দোকান থেকে আওয়াজ আসে। বাজারে যাচ্ছি আরাম করে বাজার করতে। কক্সবাজার তো গিয়েছিল, পর্যটন স্পষ্ট গুলোতে ভীড় লাগেনি স্কুল ছূটির পর?

মারামারি শুধু বিবাড়িয়াতেই হয়নি। জমায়েত শুধু বিবাড়িয়াতেই হয়নি। আপনি আমি ভাল্লাগেনা, শান্তি লাগেনা বলে রাস্তায় বের হচ্ছিনা? সব কি বিবাড়িয়াতেই?

১লক্ষ মানুষ জমায়েত হলে আক্রান্ত হবে, আর ১০০ কিংবা ১হাজার জমায়েত হলে আক্রান্ত হবেনা এমন কোন নিয়ম আছে? এই যে বাজারে যাচ্ছেন, ওইখানে আক্রান্ত কেউ নাই? এই যে আপনি আমি লকডাউন ভেঙে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকাই যাই, ছড়াচ্ছিনা? নাকি এগুলো পূণ্য করতেছি? নাকি এগুলো শুধু বিবাড়িয়ার মানুষ ই করতেছে?

শুনেন সুশীল সাহেব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া তে যা হচ্ছে, সেটা সমগ্র বাংলাদেশের চিত্রের একটা সারমর্ম মাত্র।

কোন এলাকাতেই লকডাউন কেউ মানছিনা। আর জানাজায় অংশগ্রহণ করেছে বলে ফেনা তুলে ফেলছেন। আর মারামারি? এরকম তো প্রতিদিন ই হচ্ছে দেশের কোথাও না কোথাও। আমাদের এখানে একটু বেশি হয়ে গিয়েছে আরকি। মারামারি করার সময় এত কিছু মাথায় থাকে?

এদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও মারামারি হয়। আর এরা সাধারণ জনগন।

আমি অবশ্যই মানি, যা হচ্ছে তা ভুল করছে, মেনে না নেয়ার মত অপরাধ। কিন্তু এটাও মানি, এই চিত্র একটা জেলার চিত্র না। আমরাও বাঙালী তো, তাই।

১৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বি বাড়িয়া তে মনে হচ্ছে উগ্র জাতীয়তাবাদী (এলাকা ভিত্তিক) বেশী। বিবেকহীন দেশ প্রেম ভালো না।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

অপ্রত্যাশিত হিমু বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর@ জ্বী জনাব স্বীকার করছি, কিন্তু অন্য কোন জেলায় উগ্র জাতীয়তাবাদী নাই তাও অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।

১৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অতিরিক্ত কোন কিছুই সুফল বয়ে আনেনা।
দেশপ্রেম, জেলা প্রেম, গ্রাম প্রেম সবার মাঝেই
বিদ্যমান। আমরা বাংলাদেশী সুতরাং আমাদের
দেশপ্রেম আছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাংলাদেশের বাইরের
কোন বিচ্ছিন্ন এলাকা নয়। আর আপনি সে জেলার হলেও
আপনাকে কিন্তু লিজ দেওয়া হয়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোন
বিপদে পড়লে বাংলাদেশের মানুষ সড়ে দাড়াবেনা। সুতরাং
সুস্থ্য চিন্তাা করুন। সবার সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করুন।
উগ্রবাদীরাই দেশের ও জাতির শত্রু!!

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২২

অপ্রত্যাশিত হিমু বলেছেন: সুতরাং সুস্থ্য চিন্তাা করুন। সবার সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করুন।
উগ্রবাদীরাই দেশের ও জাতির শত্রু!৥
কিছু ব্লগার আমাদেরকে নিয়ে খুব বাজে কথা বলেছে আমাদের অস্তিত্ব নিয়ে। আসলে তাদের কাছে অনেক কিছু শেখার মনে হয়ে ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনে হল তাদের এখনো অনেক কিছু শেখার বাকি আছে। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য সুস্থ থাকুন ঘরে থাকুন ..

২০| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সোহানৎজোয়া তার ব্লগে আমাকে ব্লক করেছে।

তার জন্য তাকে বলছিঃ

সোহানাজোহা আপনি কোন লিংগের প্রজাতি বুঝতে পারছিনা।
স্ত্রী লিংগ হলে আমি আপনাকে ক্ষমা করে দিবো নিজ গুনে।
আর পুরুষ প্রজাতি হলে আপনার এই পোস্টের পাল্টা পোস্ট
দিয়ে আপনার স্বরূপ উন্মোচন করতে বাধ্য হবো যাতে আপনার
মঙ্গল বয়ে আনবে বলে মনে হয়না। আমার একটা দোষ আছে
জানেনতে। আমি কাউকে তোয়াজ করিনা।

২১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

নতুন বলেছেন: নতুন@ এমন আদর্শ একটি জেলা বাংলাদেশে আছে কোথাও আমাকে দেখাতে পারবেন? উপরোক্ত বিষয় যেগুলা হয়না। তবে হ্যাঁ আমরা স্বীকার করছি আমাদের একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে। আমরা শুধরানোর সময় অনেক পেয়েছিলাম।

আমার জানা মতে এমন মারামারি এখন দেশের খুবই কম জেলাতেই হয়।

হয়তো ২-৫ টা জেলাতে দেখাতে পারবেন এমন ভাবে জনগন মারামারি করে।

এমনটা হয় কারন জনগনের মাঝে জ্ঞানের আলো নেই। তারা চিন্তাচেতনায় এখনো পিছিয়ে আছে। এটা মেনে নিলে সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন।

১লক্ষ মানুষ জমায়েত হলে আক্রান্ত হবে, আর ১০০ কিংবা ১হাজার জমায়েত হলে আক্রান্ত হবেনা এমন কোন নিয়ম আছে? এই যে বাজারে যাচ্ছেন, ওইখানে আক্রান্ত কেউ নাই? এই যে আপনি আমি লকডাউন ভেঙে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকাই যাই, ছড়াচ্ছিনা? নাকি এগুলো পূণ্য করতেছি? নাকি এগুলো শুধু বিবাড়িয়ার মানুষ ই করতেছে?

এটা আপনার গোড়ামী বটে। ১০০ জামায়েত হতে পারলে আপনার এলাকায় ১ লক্ষের দিকে কেন আমরা আঙ্গুল তুলবো?

এই ধারনা থেকেই কিন্তু কাইজ্জা হয়। =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

আপনি আসলেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগন সেটা এ্‌ই কমেন্টেই প্রমানিত। ;)

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬

অপ্রত্যাশিত হিমু বলেছেন: ই সব কিছুর সমস্যার মূল হল জাতিগত সমস্যা। আমরা জাতি হিসেবে বিবর্তিত হয়েছি। যে বাঙালি জাতি একে অপরের পাশে দাঁড়াত,সহজ সরল মনা ছিল এখন আমরা পরিবর্তিত হয়ে সামাজিক ট্রল নিয়ে ব্যাস্ত। এটা সত্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাম্প্রতিক ঘটনা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্যের সাথে মানানসই নয় সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করা যেতে পারে, সেখান থেকে শিক্ষা নেওয়া যেতে পারে,সেটা না করে বরং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে অপসংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ দেখেছি তা আমাদের রাষ্ট্রীয় শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যার্থতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা এবং তা নিয়ে অন্যান্য জেলার মানুষের প্রতিক্রিয়া এই দুটোই প্রমাণ করে শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া ই নয় পুরু দেশেই সংখ্যা গরিষ্ঠ একশ্রেণীর নাগরিক তৈরি হয়েছে যারা শিক্ষার প্রকৃত আলো থেকে বঞ্চিত। ব্যাপারটা এমন যে মা ভুল করেছে, সন্তান বলছে এ আমার মা নয় এতো অন্য কারো মা যা নিজেকে দায়মুক্ত করার ব্যার্থ প্রয়াস।৬৪ জেলা নিয়ে ই বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ ই আমাদের মাতৃভূমি। মুক্তিযুদ্ধের সূর্য সন্তানরা কেবল নিজ জেলা কে বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ করেনি, করেছে সমগ্র দেশকে রক্ষা করার জন্য।এই দেশের কোথায় অবক্ষয় হলে সেই ক্ষতটা পুরো বাংলাদেশের মানচিত্রের বুকে ক্ষত সৃষ্টি করে। সেই মানচিত্রের দিকে তাকালে একজন সভ্য নাগরিক মাত্রই কষ্ট পাবে।আমরা এই দেশের উন্নতি নিয়ে ভাবি, আমরা পদ্মা সেতু হলে খুশি হই, আমরা বাংলার বিভিন্ন জেলার ক্রিকেটারদের ভালোবাসি, আমরা ভালোবাসি পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, রাঙামাটি,বান্দরবান, সিলেট তথা ৬৪ জেলাকে।আমরা গর্বিত হই রফিক, সালাম, জব্বারদের নিয়ে, গর্বিত হই দেশের প্রতিটি জেলার মুক্তিযুদ্ধের সূর্য সন্তানদেরকে নিয়ে কখনো ভাবি না এরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান কিনা কারণ এই সবকিছু বাংলা মায়ের অংগ,প্রত্যঙ্গ কিংবা বাংলা মায়ের সন্তান। যারা সেই বাংলা মায়ের কোন অঙ্গের ক্ষত হওয়াতে তাকে নিয়ে মজা করল,কিংবা অস্বীকার করতে চাইল সে সত্যিকার অর্থে তার মায়ের কোন অঙ্গকে বাদ দিয়ে সেই মাকে কল্পনা করল যা স্পষ্টত একজন ব্যাক্তির পরিচয় নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি করে। একজন ব্যাক্তির হীনমন্যতাকে ফুটিয়ে তুলে।যা একটি জাতির জন্য লজ্জার ব্যাপার বৈ কিছুই নয়।

২২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩০

সুপারডুপার বলেছেন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া কী নিজ দেশের বাহিরে নাকি যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাথায় তেল দেওয়া যাবে না !

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬

অপ্রত্যাশিত হিমু বলেছেন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া কী নিজ দেশের বাহিরে নাকি যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাথায় তেল দেওয়া যাবে না ! ৥ যদিও এ প্রশ্নটা আমারও কিন্তু আমাদেরকে এই মুহূর্তে তাই মনে করা হচ্ছে।

২৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধর্মীয়ভাবাবেগ কাজ করেছে। মাঝে মাঝে স্রোতের উল্টোদিকে নৌকা চলতে পারে।

কিন্তু কাজটাযে ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে সেটা স্বীকার করতে হবে।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১৯

অপ্রত্যাশিত হিমু বলেছেন: ভালো খারাপ পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে মানুষের চলতে হয়। আমরা আমরা যদি জাতিগতভাবে যদি বৈশিষ্ট্য করি পেলে সেটা খুবই কষ্টের । তবে,হ্যাঁ আমাদের শুধরানোর অনেক সময় ছিল । তার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী আমরা স্বীকার করি।

২৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২১

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ই সব কিছুর সমস্যার মূল হল জাতিগত সমস্যা। আমরা জাতি হিসেবে বিবর্তিত হয়েছি। যে বাঙালি জাতি একে অপরের পাশে দাঁড়াত,সহজ সরল মনা ছিল এখন আমরা পরিবর্তিত হয়ে সামাজিক ট্রল নিয়ে ব্যাস্ত। এটা সত্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাম্প্রতিক ঘটনা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্যের সাথে মানানসই নয় সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করা যেতে পারে, সেখান থেকে শিক্ষা নেওয়া যেতে পারে,সেটা না করে বরং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে অপসংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ দেখেছি তা আমাদের রাষ্ট্রীয় শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যার্থতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা এবং তা নিয়ে অন্যান্য জেলার মানুষের প্রতিক্রিয়া এই দুটোই প্রমাণ করে শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া ই নয় পুরু দেশেই সংখ্যা গরিষ্ঠ একশ্রেণীর নাগরিক তৈরি হয়েছে যারা শিক্ষার প্রকৃত আলো থেকে বঞ্চিত।

ভাই সবাই খারাপ কাজটাকে খারাপ বলেছেন আর আপনি এখন সারা দেশের জাতিগত সমস্যা টেনে নিয়ে আসছেন?

খারাপ কাজটাকে খারাপ বলুন, এটা থেকে শিক্ষা নিন। আপনারা সবাই মিলে কাজ করুন সবাই ভালো বলবে।

এখন আপনাদের কিছু কাজের সমালোচনা করাতেই সারা দেশের সংখ্যা গরিস্ঠ একশ্রেনী খারাপ হয়ে গেলো?

এই মনভাবের কারনেই কিন্তু কাইজ্জা হয়! মারামারি হয়। সমালোচনা সইতে না পেরে পালটা আক্রমন হয় এবং সেটা থেকেই দুই পক্ষ মারামারি করে।

আমার ভাই বন্ধু যদি ভুল করে আমি যদি তাদের পক্ষ না নিয়ে যৌক্তিক ভাবে দেখি তবে আপনি যে সমালোচনা করলো তাকে খারাপ বলবো না।

আপনি আসলেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগন সেটা এ্‌ই জবাবেও প্রমানিত । ;)

২৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এমনটা হওয়া উচিৎ হয়নি। তবে যখন হয়ে গেছে কিছু কথা শুনতেই হবে। আজ থেকে আর কিছু দিন পরে দেখা যাবে কয়জন কি হয়েছে তবেই বুঝা যাবে তার ইফেক্ট। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন। নিন্দুকের সব কথা শুনতে নেই।

২৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:১১

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: আমাদের একটা বড় সমস্যা হচ্ছে, "আমরা কখনোই নিজের দোষ স্বীকারে আগ্রহী না"

অথচ এটাই সঠিক সময় বলার যে, "হ্যা, আমরা একটা ভুল করেছি এবং এইরকম ভুল যেন আর না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখব এবং এমন কিছু করার চেষ্টা করছি যেন এই ভুলটাকে পাশ কাটিয়ে সেই ভালো কাজটাকে বড় করে দেখতে এবং দেখাতে পারি।"

২৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:২১

নতুন বলেছেন: ভাই বলুন তো দুই পক্ষের মাঝে এতো বড় মারামারি কি ভাবে হয়?

ঘটনা শুরু হয় কোন একজনের অন্যায় থেকে বা ত্যেড়া কথা থেকে। বাকিরা প্রতিবাদ করে আর এক পক্ষ যে অন্যায় করেছে তার পক্ষ নেয়।

তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করেনা। ন্যায় কাজটি করেনা। নিজের দলের কেউ অন্যায় করলে তার বিচার করেনা।

আপনার পোস্ট এবং কমেন্টের জবাবেও কিন্তু এই জিনিসটাই প্রকাশ পেয়েছে।

আপনি কিছু মানুষের অন্যায়কে সমথ`নে সাফাই গাইছেন।

আপনার এলাকার মানুষ ভুল করেছে, মানুন এবং তাদের জন্য কাজ করুন।

পরিবত`ন আসবেই। তারজন্য শিক্ষার আলো দরকার।

২৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধানমাড়াই নিয়ে আবারও সংঘর্ষ। আহত ৬৫ জন।

২৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৩

নাসির ইয়ামান বলেছেন: সবই ভালো!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.