নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজাকারের মুক্তি অথবা রক্তের ঋণ শোধের গল্প !!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

-আবীদ ! এই আবীদ !

ছোট মামার ডাক শুনে ড্রয়িং রুমে গিয়ে দেখি বেশ কয়েকজন লোকের সাথে মামা বসে আছে গম্ভীর মুখে । যদিও তারা সবাই সিভিল পোষাকেই ছিল কিন্তু বুঝতে অসুবিধা হচ্ছিল না যে তারা সবাই পুলিশের লোক । আসলে সব সময় ছোট মামার আসে পাশে থাকিতো পুলিশের লোক চিনতে খুব একটা অসুবিধা হয় না । মামা ঢাকার এসিস্ট্যান্ট ডিআইজি । তার আশে পাশের সব সময় পুলিশ আর অপরাধীরাই থাকে বেশি ।

আমি মামার পাশে গিয়ে দাড়ালাম । সবার চেহারার দিকে তাকিয়ে মনে হল কিছু একটা সিরিয়াস বিষয় । সবার মুখ খুব গম্ভীর । সব মিলিয়ে চার জন যাদের একজন কে আমি চিনি । আরমান খান । ডিবির একজন অফিসার । ছোট মামা বলল

-তোর ক্লাস নাই তো ?

-না মামা । শিবির হরতাল ডেকেছে । সব ছুটি ।

-চল তাহলে । আর তোর ল্যাপটপ না নিয়ে নিস ! কিছু কাজ করতে হবে তোকে !

মামার কথা শুনে চার জনের তিন জনের মুখের ভাব একটু পরিবর্তন হল কিন্তু আরমান খানের মুখের ভাব অপরিবর্তিত রইল । আরমান খানের সাথে আমার আগেই পরিচয় আছে । তিনি মোটামুটি সব কিছুই জানেন । আমি বললাম

-কোথায় ?

-যেতে যেতে জানবি ।

আমি আর কিছু জানতে চাইলাম না । তবে আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আজকে সকালে একাডেমিয়ার সামনে যে বোম ব্লাস্ট হয়েছে এরা সেই ব্যাপারে এসেছে । কিন্তু সেটা তো মোহাম্মুর থানার আন্ডারে । এখানে আসার কথা না । অবশ্য সব কিছুই ডিবির আন্ডারে পড়ে । যদি সেই রকম সিরিয়াস কিছু হয় তাহলে তো মামার ডাক পড়বেই ।

আমরা যখন বাসা থেকে বের হলাম তখন প্রায় দুপুর হয়ে এসেছে । পথে যেতে আরমান খান বলল

-আজকে সকালে মোহাম্মুদপুরে বোম ব্লাস্ট হয়েছে শুনেছ তো ?

আমি বললাম

-জি ! শুনেছি ! খবরে দেখছিলাম । কিন্তু কোন হতাহতের খোজ পাওয়া যায় নি ।

-হুম ! সকাল বেলা ছিল তো তাই ।

আরমান খান কিছুক্ষন চুপ করে রইলো । তারপর বলল

-ঐ ঘটনার কিছুক্ষন পরেই আমাদের রমনা থানায় একটা ফোন আসে । ফোনে বলা হয় আমাদের থানার ওসি সাহেবের টেবিলের নিচে নাকি একটা বোমা রাখা আছে । এই বলেই লাইন কেটে যায় । আমরা প্রথমে ব্যাপারটা খুব বেশি গুরুত্ব না দিলেও কেবল একবার চেক করার জন্য গিয়েছিলাম ।

-তারপর ?

-গিয়ে দেখি সত্যি সত্যিই সেখানে একটা হাই এক্সপ্লোসিভ বোম রাখা ছিল । রিমোর্ট দিয়ে কন্টল করা যায় এমন !

আমি বললাম

-কি সর্বনাশ ! থানার ভিতরে কিভাবে এল এই বোম ?

-আমাদেরও সেই চিন্তা ! কিভাবে এল ?

-যদি থানার ভিতরেই বোম রাখতে পারে তাহলে শহরের যে কোন জয়গারই বোম রাখতে পারবে ! তাহলে তো .....

আমি আমার কথা শেষ করতে পারলাম না । মামা বলল

-ওরা শহরের মোট ২১ জায়গায় বোমা রেখেছে ।

-মানে কি ? ওরা মানে কারা ?

-আমরা ধারনা করছি শিবিরের লোক !

কথাটা বলল আরমান খান !

আমি বললাম

-আপনারা কিভাবে জানেন ? অন্য কেউ হতে পারে !

আরমান খান মাথা নাড়ালো ।

-তা পারে !তবে মনে হচ্ছে ওরাই ! বোমার খোজ পাওয়ার পরেই আবার ফোন আসে । ফোন কারী বলে যে সে মোট ২১ জায়গায় বোমা রেখেছে । তার দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত সে প্রত্যেক ঘন্টায় একটা করে বোমা ফাটাবে !!

-বলেন কি ? তার দাবী কি ?

-যুদ্ধোপরাধীর মুক্তি ! এই আর কিছুক্ষনের ভিতরেই তার ফোন আসার কথা । সে বর কোন অথরিটির সাথে কথা বলতে চাইছিল । জিআইজি সাহেব এখন খুব বিজি ! তাকে এই বিষয়ে জানালে সে স্যারের কথা বললেন ! তাই এলাম স্যার কে নিতে !



আমরা ডিবির অফিসে আসলাম কিছুক্ষনের ভিতরেই ! পাঁচ মিনিটও হয় নি ফোন এসে হাজির । ছোটা মামা স্পিকার ফোন অণ করতে বললেন !

কিছুক্ষন নিরবতা !

কেমন একটা শো শো আওয়াজ হচ্ছে ! হঠাৎ করেই আওয়াজ বের হয়ে এল !

-মিষ্টার রাহাত কবির ! কেমন আছেন ?

আমি বেশ অবাক হলাম ! আমার ছোটা মামার নাম রাহাত কবির । টেলিফোন কারী কিভাবে জানলো যে আমার মামা এসে হাজির হয়েছে ।

মামাও দেখলাম বেশ চমকে গেছে ! নিজেকে সামলে মামা বলল

-ভাল আছি !

-আমি খুব বেশি কথা বলব না । কিছু কথা আগেই বলে নিই আমাকে খোজার ব্যর্থ চেষ্টা করবেন না ! অথবা বোম গুলো খোজারও চেষ্টা না করাই ভাল । কারন আমাকে বা বোমা গুলো খুজতে যে সময় টুকু নষ্ট হবে সে সময়ে লক্ষাধিক লোক ওপারে চেল যাবে ! পারিষ্কার বোঝা গেছে ?

মামা আমাকে চোখের ইশারা করলো ! আমি বসে গেলাম । কিছু কাজ এখন করতে হবে !

প্রথম কাজ হল কল ট্রেস করতে হবে ! কলার কোন জায়গা থেকে করছে সেটা বের করার জন্য আমরা বুয়েটের কয়েক জন বন্ধু মিলে দারুন এক সফ্টওয়ার বের করেছি !

এমন ফোন গুলো সন্ত্রাসীরা সাধারনত কল ডাইভার্ট করে ফোন করে ! সে জন্য আসল লোকেসন খুব সহজে বের করা যায় না । কিন্তু আমাদের সফ্টওয়ারটা দিয়ে সেটা বের করা সম্ভাব । কিন্তু সমস্যা হল এতে একটু বেশি সময় লাগে ।

ছোট মামা বলল

-কি চান আপনি ?

-আমি এমন কিছু চাই না । আগে একবার বলেছি ! আবার বলছি ! আজকের ভিতরেই আপনি যে কয়জন যুদ্ধাপরাধীর বিচারের নামে প্রহশন করছেন সেই সব গুলো মানুষকে মুক্তি দিবেন ।

আমি ঠিক এই ভয় টাই করছিলাম । এমন কিছু না চেয়ে বসে লোকটা । কিন্তু তাই হল !

এমনিতেই সারা দেশে সরকারের উপর অসন্তোষ দেখা দিয়েছে কাদের মোল্লার ফাঁসি না হয়ে কারাদন্ড হয়েছে বলে । এখন যদি তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে তো দেশে আগুন লেগে যাবে ।

মামা বলল

-এটা সম্ভব না !

-মিষ্টার কবির ! আপনার কাছে আর কোন অপশন নাই ! আমি পুরো ঢাকা শহর ধ্বংশ করে দিবে কেবল কয়েকটা বাটন চেপে ! আমি এমনিতেও তাদের কে মুক্ত করে নিতে পারবো ! কিন্তু আপনাকে একটা সুযোগ দিতে চাই যে আপনি চাইলেই লক্ষাধিক লোককে বাঁচাতে পারেন ! বাকীটা আপনার ইচ্ছা !

-দেখুন ! আমার কাছে সেই অথরিটি নাই ।

-যার আছে তাকে নিয়ে আসুন ! আপনার কাছে ঠিক ৫১ মিনিট সময় আছে । ৫১ মিনিট পরে আর একটা বোমা ফাটবে !

-শুনুন ....

আর কোন কথা হল না । লোকটা লাইন কেটে দিলো !

ইসস !! আর একটু সময় দরকার ছিল আমার প্রায় ধরে ফেলেছিলাম ।

মামা আমার দিকে তাকালো ! আমি কেবল মাথা নামড়ালাম । আরমান খান বলল

-স্যার কলটা আবুধাবী থেকে করা হয়েছিল ।

আমি বললাম

-ঠিক আবুধাবী না । ওখানে কলটা ডাইভার্ট ছিল । কলটা মিরপুরের কোন একটা জায়গা থেকে এসেছিল । আর একটু বেশি সময় পেলে বের করে ফেলতাম !

আরমান খান বলল

-স্যার নাম্বারটা তো আমাদের কাছে আছে ! আমরা কি লেগে যাবো ?

মামা বলল

-লাভ নেই ! এতোক্ষনে সিম বন্ধ করে দিয়েছে !

-তাহলে এখন আমাদের কি করা উচিৎ ! আমরা কি করবো ?

মামা বলল

-আমাদের কিছু করার নাই ! দেখি ডিআইজি সাহেবের সাথে কথা বলে দেখি !



সত্যি সত্যি ৫১ মিনিট পরে আর একটা বোমা ব্লাষ্ট হল ঠিক নগর ভবনের সামনে ! ওখানে একটা গাড়ি দাড়িয়ে ছিল সেটা সম্পুর্ন উড়ে গেল । তবে ভাগ্য ভাল যে তখন এর ভিতরে কেউ ছিল না । তবে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে ।

এবার সবাই একটু নড়ে চড়ে বসলো ! দেখলাম জিআইজি সাহেব এসে হাজির হল অফিসে ! তারপ কিছুক্ষনের ভিতরেই ফোন এসে হাজির !

-ডিআইজি সাহেব ?

-বলছি !

-আমি দিতীয়বার বলবো না । বিকেলের ভিতরেই দাবী আদায় চাই ! আমদের সব নেতা কে মুক্ত চাই ! এর বিপরীত হলে .....

-দেখুন ! এই ভাবেই তো মুক্তি চাই বললেই মুক্ত করা যায় না । সব কিছুর একটা প্রক্রিয়া আছে ! আমাদের একটু সময় দরকার ।

-ঠিক আছে আপনি সময় নিতে থাকুন ! কিন্তু মনে রাখবেন সময় যত বেশি নেবেন মানুষ তত বেশি মরবে !

আবার লাইন কেটে গেল !!

লাইন কেটে যাওয়ার পর মামা এবারও আমার দিকে তাকালো !

আমি আবার মাথা নাড়ালাম ! এবারও আমি ঠিক মত পৌছাতে পরি নি তার কাছে । কিন্তু এবার আমি একটু হতাশ হলাম । এবার লোকেশন দেখাচ্ছে শাহবাগের কাছে ।

আশ্চার্য !!



জিআইজি সাহেব মন্ত্রালয়ে চলে গেলেন ! সেখান থেকে সংসদের দ্রুত জরূরী অধিবেশন বসলো ! বিরোধী দল কোনদিন সংসদে আসে না কিন্তু তারা খুব দ্রুতই হাজির হল । তাদের একটাই দাবী যে সাধারন জনগনের জীবনের নিরাপত্তাই সবার আগে ! যেহেতু সরকার কিছু করতে পারছে না দাবী পুরন ছাড়া আর কোন উপায় নাই !



বিকেলের আগে সবাই সব কিছুই জেনে গেল । কে বা কারা যেন মিডিয়াতে খবর লিক করে দিয়েছে । টিভিতে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে খবর গুলো ! ব্রেকিং নিউজে আসবে পাঁচ রাজাকার মুক্তি পাচ্ছে আজ !!

পুরো ঢাকা শহর যেন এই খবররে স্তদ্ধ হয়ে গেল । সরকার এটা কি করছে ?

কেন করছে ?

একে তো কাদের মোল্লার ফাসির দাবী ছিল তার উপর সরকারের এমন সিদ্ধান্তে জনমানুষের মনে প্রচন্ত ক্ষোবের সৃষ্টি হল ! কোন কোন জায়গায় পুলিশের সাথে সাধারন জনগনের সংঘর্ষও বাধলো !!

মামাকে দেখলাম শান্ত মুখে বসে আছে !

আমি মামা কে বললাম

-তোমার মুখটা এমন শান্ত লাগছে কেন ? এমন একটা ভাব যেন কিছুই হয় নি !

-কি জানি ! হিসাবটা ঠিক মেলাতে পারছি না !

-মানে ?

-দেখ সকাল থেকে তিনবার বোমা ব্লাষ্ট হয়েছে কিন্তু একটা লোকও মারা যায় নি ! আমার কেন জানি মনে হচ্ছ লোকটা কেবল ভয় দেখাচ্ছে !

-কিন্তু বোমা গুলো তো আসল !

-তা আসল !

-যদি শিবির বা জামাতের লোক গুলো এই কাজ করতো তাহলে তারা এতোক্ষনে মানুষ মেরে সাফ করে ফেলতো ! কিন্তু এই লোক টা তা করছে না ।

-তাহলে ডিআইজি সাহেবকে বল !

-নাহ ! দেখি লোকটা কি করতে চায় ! আমার সব চেয়ে অবাক লেগেছে কোন ব্যাপার টা জানিস ?

-কোনটা ?

-লোকটা কিন্তু যুদ্ধাপোরাধী গুলোকে দেশ থেকে বের করে নেওয়ার ব্যাপারে কোন কথা বলে নি ! কেবল বলেছে ওদের কে মুক্ত করে স্মৃতি সৌধের একটা প্রিজন ভ্যানে রেখে আসতে ! কেন ? লোকটা যেভাবে আমাদের কে কাত করে দিল ইচ্ছে করলেই সে সবাইকে দেশের বাইরে রেখে আসার কথা বলতে পারতো !

আমি মামার কথায় খানিকটা চিন্তিত হয়ে পরলাম । আসলেই তো !

মামা আবার বলল

-আর একটা কথা কি জানিস ?

-কি ?

-লোকটা কিন্তু দারুন বুদ্ধিমান ! লোকটা এমন ভাবে প্লানিং করেছে যে আমাদের পুরো সিস্টেম তাকে ধরতে পারছে না । এই কাজ শিবিরের হতে পারে না । ঐ সমস্ত মাথা মোটা ছাগুদের মাথায় এই বুদ্ধি আসবেই না । ওদের মাথায় তো কেবল গোবর ভরা ।

ছোট মামার প্রত্যেকটা কথা আমার মাথার ভিতর ঘুরপাক খেতে লাগল ।

আসলেই তো !

এমন তো হবার কথা না । লোকটা নিঃসন্দেহে বুদ্ধিমান । আমাদের সবার থেকে তো বুদ্ধিমান ।



সন্ধ্যার কিছু আগে ।

সাভারের স্মৃতি সৌধ এলাকা লোকে লোকারন্য । স্মৃতি সৌধের ভেতরে একদম মিনারের ঠিক সামনেই একটা কালো রংয়ের প্রিজন ভ্যান দাড়িয়ে আছে । এই ভ্যানটা এখানে কিভাবে আসলো সেটা একটা বড় প্রশ্ন ।

আমি স্মৃতিসৌধের একজন গার্ডের কাছে জিজ্ঞেস করেছিলাম । গার্ড বলল ঘন্টা খানেক আগে ভ্যানটা এসেছে এখানে । সরকারি অর্ডারে নাকি এসেছে ভ্যান টা ।

ইতিমধ্যে পুরো চত্তর থেকে সব দর্শনার্থীকে বের করে দিয়েছে পুলিশ । কিন্তু পুরো স্মৃতিসৌধের চারিপাশে হাজার লোকের ভিড় । তাদের সবার মনে একটা ইচ্ছা কিছুতেই ঐ পাঁচ রাজাকারকে এখান থেকে বের হতে দিবে না । কেউ কেউ আবার দেওয়াল টপকে ভিতরে চলে আসতে চাইছে । পুলিশ তাদেরকে আসতে দিচ্ছে না ।

আমি ছোট মামার পাশেই বসে আছি । মুল চত্তর থেকে প্রায় একশ মিটার দুরে আমরা দাড়িয়ে আছি । খুব জলদিই পাঁচ রাজাকার এসে হাজির হবে এখানে । তারা রাস্তায় আছে বলে খবর পাওয়া গেছে ।

আমি অপেক্ষায় আছি কি ঘটে তা দেখার জন্য !

আধা ঘন্টা পরেই পুলিশের প্রিজন ভ্যান এসে হাজির । ভ্যানটা সোজা মেইন ফটক দিয়ে কালো প্রিজন ভ্যানটার দিকে এগিয়ে গেল । প্রথম দুজন পুলিশ নামলো । তারপর নেমে এল কাদের মোল্লা, এরপর মেশিন সাইদি এরপর একে একে আরো তিন জন । শেষে গোলাম আজম ।

গোলাম আজম কে এতদিন টিভিতে দেখতাম হুইল চেয়ার ছাড়া চলতে পারে না । কিন্তু আজকে দেখলাম কেবল একটা লাঠিতে ভর দিয়ে দাড়িয়ে আছে । আসলে মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে এই আনন্দে বোধহয় গায়ে শক্তি পেয়েছে ।



ঐ পাঁচ জনকে দেখতে পেয়ে চারিপাশের মানুষ চিত্‍কার চেঁচামেচি শুরু করে দিল । কেউ কেউ ইট, পায়ের স্যান্ডেল ছুড়ে মারতে লাগল । জনগন বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে পুলিশ দুজন পাঁচ রাজাকার কে জলদি করে কালো প্রিজন ভ্যানের ভিতর ঢুকিয়ে তালা মেরে চলে এল । তারপর তারা তাদের ভ্যান নিয়ে চলে এল !

ততক্ষনে সৃর্য ডুবে গেছে । কিন্তু চারিদিকে আলোর কোন অভাব নাই । সব মিডিয়া চ্যানেল গুলো লাইভ কাভার করছে । হঠাত্‍ কোথা থেকে যেন মাইকে আওয়াজ ভেসে এল ।

একটা দেশের গান ।



প্রথম বাংলাদেশ

........

জীবন বাংলাদেশ

মরন বাংলাদেশ

বাংলাদেশ বাংলাদেশ ......



গানটা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই মাইকে একটু ঘড়ঘড় আওয়াজ করে উঠল । তারপর শোনা গেল সেই লোকটার আওয়াজ । কেবল কয়েকটা লাইন ! লোকটা বলল

-আজ ৪২ বছর পরে দেশ দায় মুক্ত হবে !

আজ ৪২ বছর পরে শহীদ মুক্ত যোদ্ধাদের রক্তের ঋণ শোধ !



এই লাইন দুটো শেষ হবার সাথে সাথে আর একটা লাইন বেজে উঠল



রাজাকার তোর নিস্তার নাই ।

বাংলার মাটিতে তোর ঠাই নাই ।




কয়েক মুহুর্ত নিরবতা !

তারপর ! তারপর !

প্রচন্ড শব্দে বিস্ফোরন । মুহুর্তের ভিতরেই রাজাকার সম্পলিত প্রিজন ভ্যানটা আগুনে ভস্মিভূত হয়ে গেল ।

দাউ দাউ করে জ্বলতে লাগল কেবল আগুন !



আমি চারপাশে লোকজনের দিকে তাকিয়ে দেখতে লাগলাম । কয়েক মুহুর্ত সবাই স্তদ্ধ হয়ে গেলেও সবার গলা দিয়ে যেন একটা আনন্দের ধ্বনি শোনা গেল । সবার মুখেই কেবল একটা স্লোগান



রাজাকার নিপাত যাক !

সোনার বাংলা মুক্তি পাক !





মামার সন্দেহ ঠিকই ছিল । লোকটা জামাত শিবিরের কেউ হতে পারে না ! জামাত শিবিরের মাথায় এতো বুদ্ধি আসবে না !



এই কাজ একজন বাংলাদেশীর একজন মুক্তিযোদ্ধার !

আমি লোকটা দেখতে পাই নি কিন্তু সেই লোকটা কে স্যলুট করলাম !!







'A Wednesday Day' মুভিটার ছায়া অবলম্বনে গল্পটা লেখা ! টেকনিক্যাল ব্যাপার গুলো আরো বিস্তারিত লেখা উচিৎ ছিল কিন্তু আমি এই ব্যাপার গুলো কম বুঝি ! আশা করি ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন !

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫০

চৌকশ বলেছেন: ভালো লাগলো

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !!

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৭

বনলতা মুনিয়া বলেছেন: পোস্টে প্লাস। আজকে ছিলেন নাকি মিছিলে?

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

অপু তানভীর বলেছেন: একটু !!!

ধন্যবাদ !!

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

রীতিমত লিয়া বলেছেন: প্লাস

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪০

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !!

৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৫

তারছেড়া লিমন বলেছেন: এত আন্দোলনের পরেও যদি রাজাকারগুলার ফাঁসি না হয়.....
তবে আমি আমার ফাঁসি চাই।
আমি খুনি হতে চাই। X( X( X( X( এইটাই দাবি " রাজাকারের ফাঁসি "

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৩

অপু তানভীর বলেছেন: এইটাই দাবি " রাজাকারের ফাঁসি "

৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০০

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: ঋণ শোধের গল্প
+++ :)

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

অপু তানভীর বলেছেন: হুম !!

৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:২৩

রেইন ম্যান বলেছেন: পোস্টে +

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !!

৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১১

স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: ইস্ গল্পটা যদি বাস্তব হত.......

উপস্থাপনা প্রশংসনীয়.....

ভাল লাগলো......রাজাকারের ফাসি চাই......

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: রাজাকারের ফাসি চাই......

৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
+++

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !!!!!

৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

অনীনদিতা বলেছেন: স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: ইস্ গল্পটা যদি বাস্তব হত.......

উপস্থাপনা প্রশংসনীয়.....

ভাল লাগলো......রাজাকারের ফাসি চাই......

ভালো লাগলো

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !!!!!

১০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১০

ক্লান্তিহীন পথচারী বলেছেন: টেকনিক্যালি কিছু ঘাটতি চোখে পড়ছে, কিন্তু থিমটা সুন্দর। :)

A Wednesday Day মুভিটা দেখতে ইচ্ছা করছে। ডাউনলোড লিংক আছে আপনার কাছে?

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

অপু তানভীর বলেছেন: টেকনিক্যালি কিছু ঘাটতি আছে আমি জানি !! কিন্তু থিমটা ভেল লেগেছে জেনে ভাল লাগছে !!

নারে ভাই নাই !! তবে মুভি সুন্দর !!

১১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

শায়মা বলেছেন: +++

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

অপু তানভীর বলেছেন: :):):):):)

১২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০১

আমি অপার হয়ে বসে আছি বলেছেন: দাবি একটাই, সব রাজাকারের ফাসি চাই।

রাজাকার তোর নিস্তার নাই ।
বাংলার মাটিতে তোর ঠাই নাই ।

রাজাকার নিপাত যাক !
সোনার বাংলা মুক্তি পাক !

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩২

অপু তানভীর বলেছেন: রাজাকার নিপাত যাক !
সোনার বাংলা মুক্তি পাক !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.