নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজপথের সৈনিক

রাঝপথ

রাজপথে আছি

রাঝপথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাল থেকো সবাই

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮

কোন শব্দ না করেই কিছু মানুষ হুটহাট করে নাই হয়ে যাচ্ছে;পত্রিকার ভাষায় একে গুম বলে। আর গুলাগুলির শব্দের মধ্যে দিয়ে কেউ চলে গেলে সেটাকে বলে ক্রসফায়ার। সেদিন দেখি আজহারুল নামের এক ছাত্রদল নেতা ক্রসফায়ারে মারা গেছেন মৃত্যুর সময় যার পনেরো দিন বয়সী একটা মেয়ে ছিল।আজহারুলের অতীত কি ছিল আমি জানিনা,আমি জানতে চাচ্ছিওনা।এমনকি আমি আজহারুলকে ডিফেন্ডও করতে চাচ্ছিনা শুধু একটি প্রশ্ন,আজহারুল অপরাধী হলে কি তাকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা যেতনা? আজহারুলরা আমায় ভাবায় কারন আমি জানি আজহারুলরা অনেক সময় লগু পাপে গুরু দণ্ড পায় আর এদেশের হোমড়া চোমড়ারা,রাষ্ট্র যন্ত্রের কুশীলবরা এর চেয়ে বড় অপরাধ করেও ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়।এইটাই আমার কষ্ট।আইন না সবার জন্য সমান হবার কথা!



আচ্ছা আজহারুলদের কথা বলে লাভ নেই,আমি বরং আমার কথাই বলি। আমার বন্ধুদের ধারণা আমার গুম হবার সম্ভাবনা নেই। তাদের ভাষায় আমি নাকি এখন আর গুম হওয়ার মত হিট নাই। তারপরও ভরসা পাইনা। আমিওকি কম বড় অপরাধী?বঙ্গদেশে আমি বিরোধীদলের রাজনীতি করি!

হুট করেই একদিন নাই হয়ে যাবার সম্ভাবনা কি উড়িয়ে দেওয়া যায়।জানি চিরদিন থাকা যাবেনা তারপরও হুট করেই যদি একদিন না বলে চলে যেতে হয় তবে বুকের ভিতর খচখচানি হবে,কিছু ইচ্ছা অপূর্ণ আর কিছু গল্প না বলা রবে!



জীবনের ভালো খারাপ সবসময়ে ছায়ার মত পাশে থেকে হাত ধরে থাকা ভাইয়ের মত বন্ধুদের কথা বা আপন-পর বুঝতে না দেওয়া বড় ভাই বা ছোট ভাইদের কথা কিছু বলবনা।এদের ভালোবাসার কথা কিংবা এদের নিয়ে গল্পের কথা বলে শেষ করা যাবেনা।যার শেষ নেই তা শুরু করারিবা কি দরকার। আমি বরং অন্যদের কথাই বলি।



যদি হুট করেই একদিন চলে যেতে হয় তবে''র মেলায় গিয়ে মাত্র একদিনের পরিচয়ে পুণ্য নামের বারো-তেরো বছরের ছেলেটাকে দিয়ে আসা কথাটা রাখা যাবেনা।পুণ্য বিদায় বেলায় হাত ধরে কেঁদে দিয়েছিল;বলেছিল, "ভাইসাব,আবার আইয়ো"।পুণ্যকে কথা দিয়ে এসেছিলাম আবার যাব।আর যাওয়া হবেনা।



শুনেছি কলেজে পড়ার সময় কোন এক বিয়েতে গিয়ে শুনা সেই ধামাইল গান"আমারে নি আছে বন্দের মনে;আমার বুক ভাইসা যায় দুই নয়নের জলে'' গাওয়া গ্রামের সেইদিনের কিশোরী মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেছে। বিদায়ের সময় যে কিনা ঠাট্টা করে বলেছিল;"লাম্বা ইস্কুলো পড়ো,আমরার কথা কিতা আর মনো থাকবনি''।তার নাকি এখন বাচ্চা কলেজে পড়ে ।হুট করেই যদি একদিন চলে যেতে হয় তবে তারেও বলা হবেনা;গানটার কারনেই হোক বা অন্য কোন নাম না জানা কারনেই হোক "লাম্বা ইস্কুলো' পড়া ছেলেটা এখনো তাকে মনে রেখেছে।



না থাক মানুষের গল্প থাক।ছোট জীবনে এত মানুষের আনাগোনা এত গল্প কোনটা রেখে কোনটা বলি!

আচ্ছা, ফুল,পাখি,তারা,মেঘ আর পাতারা কি মানুষের কথা বুঝে?কি জানি।বুঝুক বা না বুঝুক এরাওত জীবনের কম জায়গা জুড়ে ছিলনা।হুট করেই যদি একদিন বিদায় না নিয়েই চলে যেতে হয়,

যদি না বলতে পারি তাই শুনে রাখো ফুল, মিষ্টি বকুল, ভালো থেকো।

ভালো থেকো ধান, ভাটিয়ালি গান, ভালো থেকো।

ভালো থেকো মেঘ, মিটিমিটি তারা।

ভালো থেকো পাখি সবুজ পাতারা।

ভালো থেকো।



ভালো থেকো চাঁদ,আমার নির্ঘুম রাত।

ভালো থেকো

ভালো থেকো সবাই ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.