নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবি, লেখক, চিত্রকর

ব্রাত্য রাইসু

কবি, লেখক, চিত্রকর

ব্রাত্য রাইসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নুহাশ আহমেদের ওয়াইজ ডিসিশন

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:০২


নুহাশ আহমেদ কর্তৃক পিতার (হুমায়ূন আহমেদের) খ্যাতি বা মিডিয়া কানেকশন ব্যবহার, আবার একই সঙ্গে পিতার প্রভাব অস্বীকার খুবই ঠিক আছে।

এইটা সবাই জানে, হুমায়ূনের নামের কারণেই নুহাশের মিডিয়া খ্যাতি তৈরি হইছে। তবে এই হুমায়ূন কেন্দ্রিক খ্যাতি যতটা মিডিয়া বা পাবলিকের বিজনেস, ততটা নুহাশ আহমেদের নয়।

আমি বরং বলবো, নুহাশের মিডিয়ায় ঢুকতে পারার পিছনে যে হুমায়ূন ছিলেন সেই থাকাটারে নিজের প্রতিভা বা কাজের মাপে না দেখতে চাওয়াটা নুহাশের ওয়াইজ ডিসিশন।

আপনারাই বলেন, পিতার নামের কারণে পিতার মতো একই কাজ কইরা যদি মিডিয়ায় ঢোকা যায়, তা নিয়া কাউকে কেন গৌরব করতে হবে?

তো হুমায়ূন আহমেদ নামক নেটওয়ার্কিং নুহাশও করছেন। তা নিয়া ভক্তি গদগদ হওয়ার কারণ নাই। হুমায়ূন আহমেদের পরিচিত আরো অনেকেই তো মিডিয়ায় চান্স ইত্যাদি লইছেন। নেটওয়ার্কিং মূল্যায়নের বিষয় নয়, বরং কাজের প্রক্রিয়া মাত্র। এইটারে অতিশায়িত করলে তার নিচে কাজ চাপা পইড়া যায়।

তো নুহাশ কি এই বললে ভালো হইতো যে, আব্বাকে সবাই চিনতেন তাই আমাকে সবাই কাজে নিছেন। এই রকম বলাটা নিম্ন রুচির।

মিডিয়া মানেই তো আমারে চিনবেন তাই আমার ছেলেকে আপনি চিনবেন। কিন্তু কই, আরো বহু প্রতিভাবানদের ছেলেমেয়েরা তো মিডিয়াতে আদৌ জায়গা করতে পারে নাই। এখন তারা কি তাদের বাপমাকে নিন্দা করবে, কেন তাদের মিডিয়াতে জায়গা হইলো না সে কারণে?

একই কারণে, নুহাশেরও মিডিয়ায় জায়গা পাওয়াটা একদমই বলার মতো কোনো বিষয় না। আর মিডিয়ায় নিজের প্রতিভা দিয়াই ঢুকতে হবে এও একান্ত মিডিয়া বিরোধী কথা।

এবং প্রতিভা মানেই আপনি নতুন কিছু তৈরি করেন। নিজের প্রতিভার কারণে কারো প্রতি আপনার ঋণ স্বীকার বস্তুত এক প্রকার মিথ্যাচার।

২৯/৪/২০২২

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:০৮

বিজন রয় বলেছেন: নুহাশেরও মিডিয়ায় জায়গা পাওয়াটা একদমই বলার মতো কোন বিষয় না................. কিন্তু আপনিতো বলেই ফেললেন।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:১১

ব্রাত্য রাইসু বলেছেন: নুহাশের দিক থিকা বিষয় না। কিন্তু এখন এইটারে বিষয় কইরা তোলা হইছে, মিডিয়ার তরফে। সুতরাং কথা বলতে হইতেছে। সে কারণেই বলতে হইতেছে, এইটা যে বলার মতো বিষয় ছিল না।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫২

জ্যাকেল বলেছেন: কাজ করতে পারা যে সৌভাগ্য, সেটা স্বীকার করা গর্বের না। তবে হুমায়ুন আহমেদ এর আওলাদ এটা অবশ্যই গর্বের।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাবার সুনামের ভাগ বসিয়ে একা নুহাশ নয় অনেকেই ক্যারিয়ার করতে চেষ্টা করেছেন। তবে তাদের কাছে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে বাবার সুনামকে কাজে লাগানোই শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার বলে মনে হয়। বিখ্যাত বাবা বা মায়ের সন্তানদের ক্যারিয়ার গড়তে এটাও একটা পন্থা।
ভারতে যেমন ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কারের ছেলেকেও দেখেছি বেশ কয়েকবার বোম্বে ক্রিকেট পর্যন্ত বাবার নাম যশকে কাজে লাগিয়ে এগোলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দাগ কাটতে পারেননি।
1984 খ্রিস্টাব্দে ইন্দ্রাগান্ধির মৃত্যুর পর রাজীব গান্ধী ইটালির হোটেল ব্যবসা ছেড়ে ভারতীয় রাজনীতিতে পদার্পণ করেছিলেন এবং বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় দিল্লীর সিংহাসন জয়লাভ করেছিলেন। এসময় সংবাদে হেডলাইন হয়েছিল 'মৃত ইন্দিরা জীবিত ইন্দ্রিরার চেয়ে বেশি শক্তিশালী'।পরের নির্বাচনে নিজের মূল্যায়নে কিন্তু রাজীব গান্ধীর ভরাডুবি ঘটেছিল।
অভিষেক বচ্চন কিন্তু অমিতাভ বচ্চনের সমতুল্য একেবারেই হতে পারেনি। যেটুকু সুনাম হয়েছে সেটাও অমিতাভ বচ্চনের কারিশমায় বলে আমার বিশ্বাস।
আসলে প্রতিযোগিতা মুখর সমস্যাবহুল জীবনে নুহাশ আহমেদকে তাই নিজস্ব আলোকে আলোকিত না হয়ে বাবার ক্যারিশমাকে হাতিয়ার করতে হয়েছে বলে আমার মনে হয়।

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৪৪

জ্যাকেল বলেছেন: @পদাতিক সাহেব,

এই ব্যাপারে আমার দ্বিমত। অভিষেক কিন্তু খুব ভালোভাবেই নিজেকে প্রতিষ্টিত করেছেন। উনার কাজ হচ্ছে উনার মত, অমিতাভের কাজ অমিতাভের মত। প্রত্যেকের একটা স্বাতন্ত্রবোধ থাকে, এই স্বাতন্ত্র কারো বেশিরভাগ লোকের কাছে এপ্রেসিয়েট করতে পারলেই তিনি আইকন/ইউনিক/বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। এই বিঃখ্যাত না হতে পারাটা/চমকিত না করতে পারাটা মোটেও খারাপ কিছু নহে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.