| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজীব নুর
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আবদুল্লাহ উপন্যাস আমি পড়েছি।
আমার স্কুলে পাঠ্য ছিলো। আবদুল্লাহ উপন্যাস আমাকে দারুণ আনন্দ দিয়েছে। পুরো উপন্যাস আমি দুই তিনবার পড়ে ফেলি। এবং উপকার পাই। পরীক্ষায় আবদুল্লাহ উপন্যাস থেকে প্রশ্ন এসেছে। আমি মনের মতো উত্তর দিতে পেরেছিলাম। ভালো নম্বর পেয়েছিলাম। সেই কবে পড়েছি, আজও আমার মনে আছে। এমনকি উপন্যাসের ডায়লগ গুলোও ভুলিনি। ধার্মিকদের ডেকে ডেকে যদি এই বই পড়াতে পারতাম, তাহলে ভালো লাগতো। প্রতিটা মাদ্রাসায় এই বই পড়ানো উচিৎ। তাহলে এক শ্রেণীর মানুষ ধর্মকে ব্যবহার করে লাভবান হতে পারতো না।
উপন্যাসটি ১৯৩৩ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।
লেখক পুরো উপন্যাস শেষ করতে পারেননি। তার আগেই লেখকের মৃত্যু হয়, মাত্র ৪৪ বছর বয়সে। লেখক ৩০ টি পরিচ্ছেদ লিখতে পেরেছিলেন। বাকি১১ টি পরিচ্ছেদ কাজী আনোয়ারুল কাদির লিখেছেন। উপন্যাসে বাঙালি মুসলমান এবং মুসলমান সমাজের চরিত্র ও চিত্র এবং জীবন যন্ত্রণা তুলে ধরা হয়েছে। লেখক মুসলিমদের কুসংস্কার গুলো তুলে ধরেছেন তার উপন্যাসে। মুসলমানরা পীর ধরে, পীরের মুরিদ হয়। লেখক পীর মুরিদের ব্যবসার বিরুদ্ধে। ঝাড়ফুঁক, তাবিজ কবচের বিরুদ্ধে। ধর্মীয় গোড়ামির বিরুদ্ধে।
উপন্যাসে ধার্মিকদের ভুল কর্মকাণ্ড সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক।
আছে কৃষক ও মধ্যবিত্তদের জীবন যাপন। এক কথায় বলতে গেলে উপন্যাসে মুসলমানদের দোষত্রুটি তুলে ধরা হয়েছে। একজন শিক্ষিত মানুষই পারেন সমাজের কুসংস্কার গুলো বুঝতে। লেখক কাজী ইমদাদুল হক ১৯০০ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএ সম্পন্ন করেন। লেখক দীর্ঘদিন মাদ্রাসায় ছাত্রদের পড়িয়েছেন।
উপন্যাসের চরিত্র গুলো খুব রসিকতা করেছে। আবদুল্লাহ উপন্যাসটি রবীন্দ্রনাথ পড়েছেন। এবং এই বই নিয়ে মন্তব্যও করেছেন। বলেছেন, বইটি পড়ে মুসলিমদের ঘরের খবর জানতে পারলাম।
উপন্যাসের প্রথম লাইনটা এরকম:
"বি- এ পরীক্ষার আর কয়েকমাস মাত্র বাকী আছে, এমন সময় হঠাৎ পিতার মৃত্যু হওয়ায় আবদুল্লাহর পড়াশোনা বন্ধ হইয়া গেলো"। আবদুল্লাহ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র আবদুল্লাহ। সে ধার্মিক কিন্তু কুসংস্কার বিরোধী। তার পিতা পীর বংশের সন্তান। পিতা বুঝতে পেরেছিলেন, শুধু ধর্মীয় বই পড়লে হবে না। ইংরেজি জানা জরুরী। এজন্য সে ছেলে আবদুল্লাহ কে ইংরেজি শেখান। আবদুল্লাহর স্ত্রী সালেহা। উপন্যাসের নায়িকা। পুরো উপন্যাসে সালেহার তেমন কোনো ভূমিকা নেই। আবদুল্লাহ উদার মানুষ। একবার তার স্ত্রী পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতে যায়, আবদুল্লাহ তাকে নিষেধ করেন।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা লাল সালু ভালো বই।
আমি পড়েছি।
কিন্তু আপনি একটা জায়গায় আটকে গেছেন। আপনার জাতীয় সংগীত। পাকিস্তানের জাতীয় সংগীত আপনার মুখে কুৎসিত শোনায়।
২|
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: টেস্ট।
৩|
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২৫
কামাল১৮ বলেছেন: স্কুলে পড়া সময় পড়েছি।এখন কিছুই মনে নাই।কলেজে পড়ার সময় বাম রাজনিতির সাথে জড়িয়ে যাই।পড়াশুনার মোড় ঘুরিয়ে দেই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমার প্রিয় উপন্যাস লাল সালু।