নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])
"লোকটা তাহলে এবার মরেই গেল?"
লোকজন তাই বলে অথচ আমি তো
ভাবি লোকটা বেঁচেই গেল অবশেষে।
পিস্তলের ট্রিগারেই মুক্তির সমন
ছিল তার, সে তাই করল প্রয়োজনে
যা তার অবশ্যম্ভাবী, ছিল অনিবার্য।
"আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়।" এই
মুখস্থ বলি তোমরা কতকাল বলে
যাবে? তাহলে কী সমাধান বলে যাও
এইসব হতভাগাদের? প্রতারিত
যারা, একাকীত্বের দহনে চিরকাল
পুড়ছে তাদের বাঁচার উপায় বলো।
না কি তোমাদের ঈর্ষা হয় এ মুক্তিতে?
তোমরা বুঝি বোঝো না আর্তের বেদন?
২০ মাঘ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
মালিবাগ, ঢাকা।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তবে আত্মহত্যার জন্য অনেক অনুঘটক আছে/থাকে, সেগুলো মানুষেরই সৃষ্টি। সেগুলো থেকে উত্তরণ ঘটানো হলো জরুরি। নিঃসন্দেহে।
২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দুঃখজনক। দুই কূলই হারালো
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাঁচার মতো অবস্থা ছিল না ওনার। পদে পদে হয়েছেন প্রতারিত, শেষ বয়সে নিঃসঙ্গতায় জরাজীর্ণ।
৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৮
ইসিয়াক বলেছেন: পারিপার্শ্বিক পরিস্হিতি যখন অসহনীয় হয়ে ওঠে ,দমবন্ধ করার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়। মানুষ যখন নিজের উপর বিশ্বাস হারায় । পাশে দাড়াবার মত কাউকে না পায়,কোন ভরসা না পায় , তখন মানুষ মৃত্যুর কথা চিন্তা করে। সেই একাকীত্ব তাকে ধীরে ধীরে আত্নহত্যায় প্ররোচিত করে।...
আত্নহত্যা কোন সমাধান নয়। জীবন সুন্দর।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জীবন সুন্দর অবশ্যই কিন্তু দুষ্টলোকেরা বাঁচার পথ রুদ্ধ করে দেয়।
৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪৩
সোবুজ বলেছেন: প্রয়োজনে আত্মহত্যা করতে পারে।তার জীবনের মালিক সে।অন্য কেউ মালিক হলে সে এসে ঠেকাতে।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কেউই কিন্তু মরতে চায় না। কিন্তু পরিস্থিতি বাধ্য করে।
৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৪
রক্ত দান বলেছেন: বৃদ্ধাশ্রমে গেলেই এককিত্ব কেটে যেত!
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সেটা হয়ত ঠিক। কিন্তু ওনার সমস্যা আরও ছিল। ওনার বাপ সহ অনেকেই ওনার সাথে প্রতারণা করেছিল।
৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটা অঘটনই হয়তো আপনার এ কবিতার পটভূমি, সেটা অনুমান করছি মাত্র। তবে ঘটনা যাই হোক, কবিতা ভালো হয়েছে।
এ ব্লগেরই ব্লগার জাফরুল মোবিন আত্মহত্যার প্রবণতা এবং তা রোধকল্পে চমৎকার কিছু মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণসহ বেশ কয়েকটি পোস্ট লিখে গেছেন। সেগুলো সবার পড়া উচিত। মানসিক ব্যাধি সমাজে আজ ক্যান্সারের মত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: লিঙ্কটা দেওয়া যাবে?
৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মুক্তি চাইলেইকি পাওয়া যায়!!!
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: না।
৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪
ইসিয়াক বলেছেন:
ব্লগার জাফরুল মোবিন এর “ আত্মহত্যার কারণ ও প্রতিরোধে করণীয় কী?” লিঙ্ক
Click This Link
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ।
৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা আত্মহত্যা আসলে হত্যা।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তা তো বটেই।
১০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০১
শায়মা বলেছেন: বেশিভাগ সময় ছেলেকে বিদেশে পাঠানো বা উচ্চ শিক্ষা বা নিজেরদের চাইতেও উন্নত জীবন যাপনের জন্য বাবা মাই ছেলেমেয়েদেরকে বিদেশ পাঠায় তাই তাদের নিজেদের একাকীত্বের যন্ত্রনার নিজেরাই ভিত্তি প্রস্তর করেন।
তাছাড়াও উন্নত জীবন যাপন বা উচ্চ শিক্ষার জন্য সন্তান যদি বিদেশ থাকে আর সেই একাকীত্ব বহন করতে পিতা মাতা না পারেন তার দায়ও কারো নয় মনে হয় আমার। এ দায় প্রকৃতির।
মানুষই এককমাত্র প্রাণী সন্তান আঁকড়ে থাকে। পশু পাখিদের ছানারা উড়তে শিখলেই উড়ে যায়, চরতে শিখলেও চলে যায়। কিন্তু মানুষ? রঙ্গিন ফানুস...... সর্বদাই কনফিউজড। কোনটা করবো কি করবো কি হলো কি হবে জানেই না যেন।
বিশেষ করে বাঙ্গালী বাবা মা বড় ইমোশোনাল খুব দু একজন ছাড়া। আজ মনে হয় তারাই রাইট। ইমোশনের জায়গা নেই দুনিয়ায়।
তবে একজন ক্যানসার রোগীর মনোবেদনা হতাশা তার চিন্তাধারার বিছিন্নতা কেমন হতে পারে সেই হয়ত বুঝবে যে সেই পথে চলছে..........
কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে
কভু আশিবিষে দংশেনি যারে!
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সম্ভবত উচ্চবিত্তদের মধ্যে এই প্রবণতাটা বেশি। ছেলেমেয়েকে দূরে পাঠিয়ে একসময় বিষণ্ণতায় ভোগে। আমারও তাই মনে হয় যদি সহ্য ক্ষমতা না থাকে, তাহলে দূরে পাঠানোর দরকার কী?
অনেক সময় অর্থসম্পদের পেছনে ছুটে খেয়াল থাকে না যে ভবিষ্যতে শুধু টাকা পয়সা থাকলেই হবে না, সান্নিধ্যও দরকার। আগে বুঝলে ভালো হয় না?
পারিবারিক সেতুবন্ধনটাও বোধহয় জরুরি। যৌথ পরিবার ভেঙে যাওয়ায় পারিবারিক সেতুবন্ধনটাও ঠিক থাকছে না। অন্যান্য কারণ তো আছেই।
১১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১৯
বালিশ বলেছেন:
@সোবুজ দাদা, প্লেন আছে না কি? জানিয়েন খুব কাছ দেখে দেখার ইচ্ছা।
১২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪২
শায়মা বলেছেন: আজীবন মানুষ ভিন দেশে গেছে। দূর দেশে গেছে। আজীবন মানুষ কেউ কেউ দেশ কেও ভুলে গেছে। এসবই সর্বদাই ছিলো আছে এবং থাকবে।
বর্তমানে যা হয় খুব শিঘ্রী মিডি্যা ও জনসন্মুখে আসে। মানুষও মিডিয়া পেয়েছে এসব দুঃখ কষ্ট ছড়িয়ে দেবার জন্য যা আগে চাপা থাকতো বুকের মাঝে।
মাইকেল মধুসুধনের ইতিহাস তো সবারই জানা।
তবে মধুসুধনের মত উপলদ্ধি আজ আর কারো নেই।
মানুষ নিজে উন্নতি চয় কারণ পরিবার তাকে ছোট থেকেই শেখায় তোকে বড় হতে হবে সবাইকে ছাড়িয়ে। স্বার্থপরতার বীজ পরিবারই শেখায় পরে আবার হা হুতাশ করে চলে গেলো চলে গেলো।
এই রকম যারা ভাবেন তাদের জন্য প্রবাদ বাক্য ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিও না।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মানুষ নিজে উন্নতি চায়। কারণ, পরিবার তাকে ছোট থেকেই শেখায় তোকে বড় হতে হবে সবাইকে ছাড়িয়ে। স্বার্থপরতার বীজ পরিবারই শেখায় পরে আবার হা হুতাশ করে চলে গেলো চলে গেলো।" দ্বিচারিতা আমাদের মধ্যে
১৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২১
জ্যাকেল বলেছেন: এই লোকটা যদি পথের দিশা পেত কিংবা পারিবারিক টাচ পাইত তবে ইহা ঘটত না।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এটা ঠিক।
১৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৩
সোনাগাজী বলেছেন:
যেহেতু সব প্রাণী সব সময় চেষ্টা করছে বেঁচে থাকতে, বেঁচে থাকাই সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয়।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুধু সূর্যের পানে দেখাই জীবন,
জীবনকে ভোগ করে একাই জীবন।
১৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: সাবলীল কবিতা ! ভালো লাগলো।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জেনে প্রীত হলাম। শুভেচ্ছা জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আজ একজন বৃদ্ধ একাকিত্বের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। বুঝতে পারছি, কবিতার পটভূমি সেই করুণ আত্মহত্যাই।
মুখস্থ বুলি হলেও, আত্মহত্যা কোনো মুক্তির পথ না। তবে আত্মহত্যার জন্য অনেক অনুঘটক আছে/থাকে, সেগুলো মানুষেরই সৃষ্টি। সেগুলো থেকে উত্তরণ ঘটানো হলো জরুরি। এ ব্যাপারে লেখাজোখা ও আলোচনা তো কম হচ্ছে না।
কবিতা হিসাবে বেশ সাবলীল।