নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইলো পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজে ভুক্তভোগী না হলে অন্যের দুঃখ অনুধাবন করা যায় না

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৪


রামপুরায় একটা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের (প্রাণ-আরএফএল) 'ফুড আউটলেট' এ কিছুদিন কাজ করতে হয়েছিল। জুতো সেই থেকে চণ্ডীপাঠ, মানে ঝাড়পোছ থেকে শুরু করে পণ্য বিক্রি সব কাজই করতে হতো। যেহেতু অন্য কোনো কর্মসংস্থান ছিল না, আর আমাকে ঢাকায় টিকে থাকতে হবে; সে কারণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি কাজটা ভালোভাবে করতে।

যাহোক, ওখানে থেকে একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম। প্রতিদিন গাড়িতে করে নতুন নতুন খাবার আসে। আর বাসি খাবার গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। তারপর সেগুলো ফেলে দেওয়া হয়।

আমার খুব অস্বস্তি লাগত এটা ভেবে যখন জানলাম এত দামি দামি খাবার ফেলে দেওয়া হয়। পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আগে এগুলো চাইলে টোকাইদের বা ফুটপাতে যারা রাত্রিযাপন করে, তাদের দিয়ে দেওয়া যায়। আমার মধ্যে প্রশ্ন জাগত, কেন এসব ওদের দিয়ে দেওয়া হয় না?

কোনো এক গবেষণায় পড়েছিলাম পৃথিবীর প্রায় ৮০ কোটি মানুষ না খেয়ে রাতে ঘুমোতে যায়। মাঝেমধ্যে গাড়িতেও এমন লেখা থাকে অথবা অনেক দিনপঞ্জিকায়ও লেখা থাকে।

আমি আউটলেট ম্যানেজারকে বলেছিলাম, এ খাবারগুলো কিন্তু অনাহারীদের দিয়ে দেওয়া যায়। উনি হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এমন নিয়ম নেই।

মালিবাগে যখন কাজ করতাম, আমাদের অফিসের পাশে ফুডপান্ডার অফিস ছিল। অনেক সময় অর্ডার ক্যানসেল হলে খাবার দিয়ে যেত। মাঝেমধ্যে অনেক খাবার আসত। আমি আর কেয়ারটেকার কিছু খেতাম আর বাকি খাবার ছিন্নমূলদের মাঝে বিতরণ করতাম। এত ভালো ভালো খাবার পেয়ে ওরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যেত।



গ্রামে-গঞ্জে ভিলেজ পলিটিক্স বলে একটা ব্যাপার আছে। কে কীভাবে অন্যের পেছনে লাগতে পারে, তার ভালো ভালো নজির আছে। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো, জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে খুনোখুনি। অনেক সময় জেদের বশবর্তী হয়ে বিষ ছিটিয়ে এ ওর পুকুরের মাছ নিধন করে, রাতের আঁধারে কলাগাছ, পেয়ারা গাছসহ অনেক গাছ কেটে রেখে যায় যেগুলো হয়তো ধার-দেনা করে লাগানো হয়েছিল দুটো পয়সা উপার্জনের আশায়।

এই যে ক্ষয়ক্ষতি করা হয়, যারা এগুলো করে এতে তাদের লাভ হয় না কিছুই। অনেক সময় ধরা পড়লে শাস্তি হয়। তাও কেন এসব করে কে জানে।

রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে অনেকসময় অন্যের ব্যাপক ক্ষতি করা হয়। তাতে নিজেদের লাভ তো হয়ই না, উল্টে আরও ক্ষতি হয়। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হয়েছে চরম প্রতিশোধ নেয়।



কেউ মারা গেলে অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হলে অনেকে খুব খুশি হয়। এবং নগ্নভাবে সেটা উপস্থাপনও করে। এরা ভাবে না এরা নিজেরা যখন মরবে অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, অন্যরাও তো খুশি হবে। যদিও এ শ্রেণিই পরে জ্ঞান দান করবে, অন্যের দুঃখে হাসতে হয় না। এটা-সেটা যুক্তি হাজির করবে। অথচ ওরা নিজেই যদি অন্যের দুঃখে বাহাস না করত, তাহলে হয়তো প্রতিপক্ষও এমন বাহাস করত না।

নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরীক্ষা আর অন্যে ক্ষতিগ্রস্ত হলে গজব; এই তত্ত্বে বিশ্বাসীদের অবশ্য কিছু বোঝানো সম্ভব হয় না। এরা নিজেদের যুক্তিতে সবসময় অটল থাকে। যদিও একসময় ভুল ভাঙে, তবে ততদিনে যা ক্ষতি হওয়ার হয়েই যায়।


ছবিঃ অন্তর্জাল

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: রূপক বিধৌত সাধু,




এটা তো কবিই বলে গেছেন ---" কি যাতনা বিষে..........."

ফুড শপ অথবা হোটেল-রেষ্টুরেন্টের বেঁচে যাওয়া খাবারগুলো ফেলে না দিয়ে অভূক্ত এবং নীডি মানুষগুলোকে বিলিয়ে দেয়ার মতো কিছু একটা ব্যবস্থা করা সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ থাকলেই সম্ভব। রাষ্ট্রও এগিয়ে আসতে পারে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কিছু কিছু জায়গায় দেখেছি কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠানের খাবার বেশি হলে এতিমখানা বা দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। শুধুমাত্র সদিচ্ছা থাকলেই অনেকে এই কাজটা করতে পারেন।

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৯

কামাল১৮ বলেছেন: এই খাবার গুলো শৃঙ্খলার সাথে বিতরণ করতে একটা খরচ আছে সেটা কে দিবে।বহুজাতিক কম্পানি বলে কথা।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আউটলেট অত বড়ো না। আর যে জিনিসগুলো নষ্ট হয়, সেগুলো বিতরণে বেশি লোক লাগার কথা না। ২-৩ জনেই কাজটা সমাধান করতে পারার কথা।

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৩

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: আমাদের এখানে সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে ,দেশেও কেউ চেষ্টা করতে পারে। সারা দিনের রয়ে যাওয়া খাবার একত্রে করে ছোট ছোট আকারে প্যাকেট করা হয়।প্যাকেট গুলি নান ধরণের মিশ্র খাবারের হয় অথবা একই খাবার একত্রে অনেক গুলি। সেগুলি মোবাইল অ্যাপে ছবি দিয়ে বা টেক্সট দিয়ে খুবই অল্প দামে বিক্রি করা হয়। স্বল্প আয়ের মানুষ জন বা ছাত্ররা দেন শেষে বাসায় ফেরার সময় মোবাইল অ্যাপ এ দেখে যে যার পছন্দ মতো জায়গায় ,পছন্দের খাবার গুলি কিনতে পারে।

আপনি সত্যপথিক শাইয়্যান বা উনাদের মতো যারা রয়েছেন তাদের সাথে এই ধরণের মোবাইল অ্যাপ নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। অথবা উনাদের সাহায্য নিয়ে একাই বা সমমনা কয়েক জন ব্লগার একত্রে করতে পারেন। আপনাদেরও একটা এক্সট্রা ইনকাম হলো ,সাধারণ মানুষেরও উপকার হবে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: উত্তম প্রস্তাব। চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে।

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৬

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: বলতে ভুলে গিয়েছি ,সেগুলি আপনারা বিক্রি করবেন না। যে যার দোকানে বিক্রি করবে যার যার খাবার। তারা শুধু আপনাদের মোবাইল অ্যাপটি ব্যবহার করবে। আপনাদের কাজ অ্যাপ নিয়ে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নিজেরা ওসব প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট হলে এ উদ্যোগ চালু করা সহজ হতো।

৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২৯

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: আপনারা অর্ডার দিয়ে অ্যাপটি বানাবেন বা কিনবেন। পরিচালনা আপনারা করবেন। অ্যাপটি রক্ষণাবেক্ষনের জন্য তাদেরকে পে করবেন। দেশের ব্লগারদের মধ্যে এমন কেউ যদি থাকে যে বা যারা বানাতে পারবেন ,তাদের সাথে অংশীদারের ভিত্তিতে যেতে পারেন। তাহলে পুঁজি কম লাগবে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দেখি করা যায় কি না।

৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মানুষের নেচারের কথা বলতেছেন তো! নিজের সন্তানকে খুন করে প্রতিবেশীকে ফাঁসানোর উদাহরণও এদেশে আছে!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আবার এ কাজ করে ধরাও খেয়েছে। ভাবা নির্মমতা তো বটেই, নির্বুদ্ধিতারও একটা সীমা-পরিসীমা থাকা দরকার।

৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বিদ্যানন্দের সাথে যুক্ত হয়ে এমন একটা প্রজেক্ট চালু করা যায় কিনা দেখেন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সেটাও করা যায়। তবে এলাকা ভেদে আলাদা আলাদা করে করলে বোধহয় সুবিধা।

৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০২

শায়মা বলেছেন: শিরোনাম পড়েই কবিতার লাইনটা মাথায় এসেছিলো-
কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে
কভু আশীবিষে দংশেনি যারে.......

তবে বেঁচে যাওয়া ভাত তরকারী বিরিয়ানী এসব দুস্তদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার কার্য্যক্রম আছে এবং খুব অল্প মূল্যে বিক্রিও হয় এসব কোথাও কোথাও শুনেছি আমি। অনেকেই এসব নিয়ে কাজ করছে কিন্তু সে সব অনেক সংখ্যায় কম তাই সকলে আমরা জানছি না।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হাতেগোনা কিছু সংবাদ গণমাধ্যমের কল্যাণে জানতে পেরেছি। উদ্যোগটা বিস্তৃত পরিসরে করলে মনে হয় ভালো হতো।

৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: যুবকদের হাতে গড়া কিছু দাতব্য প্রতিষ্ঠান আছে যারা প্রতিদিন রাতে বিভিন্ন হোটেলের (মূলত বুফে হোটেলগুলো) বেঁচে যাওয়া খাবার সংগ্রহ করে গরিব মানুষদের মাঝে বিলিয়ে দেয়! অনেকেই অনেক ভালো কাজ করছে গোপনে আমরা খুব বেশি খবর রাখি না তাদের- তারাও প্রচারের আলোয় আসতে চায় না।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রচার করলে অনেকে উৎসাহ পেতে পারেন। মনোবলও বাড়তে পারে।

১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: এই ব্যাপারটা সত্যিই তাই । নিজে ভুক্তভোগী না হলে কখনই সেটা উপলব্ধি করা সম্ভব না । প্রতিটি ক্ষেত্রেই ।
আপনি নিজের বাস্তব জীবনের গল্প বললেন । এছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রেই এটা সত্য।
এই যেমন ধরেন ব্লগে গাজা নিয়ে কত চিন্তা ভাবনা হচ্ছে । এসব চিন্তা ভাবনা হাহাকারের আসলে কোন মূল্য নেই । যারা এই আলোচনা করছে তারা আসলে কখনই ওদের অবস্থা উপলব্ধি করতে পারবে না । করার চেষ্টাও না । এটা কেবলই আমাদের কাছে খোশ গল্পের ব্যাপার । এই গল্প করলাম তারপর নিজেদের কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলাম । মুভি দেখলাম মুরগি ভাত খেলাম !

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমাদের সমাজে কাজের চেয়ে কথা বলার মানুষ বেশি। বেশিরভাগ আবার সুযোগের অভাবে চরিত্রবান। ঠেকে শেখার চেয়ে দেখে শেখাটা যে নিজেদের জন্যও ভালো; এটা বোঝা দরকার।

১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

প্রামানিক বলেছেন: মানুষের মধ্যে বিবেক জাগ্রত হওয়া দরকার

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সহমত।

১২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

নাহল তরকারি বলেছেন: আহারে..। ভালো মানুষের দাম কোথাও নাই।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আসলেই।

১৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মনুষ্যত্ব দরকার সব মানুষের মাঝে।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:১২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এটা এখন অমাবস্যার চাঁদ হয়ে গেছে।

১৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: নষ্ট হয়ে যাবার আগে খাবার দরিদ্রদের দিয়ে দেওয়া উচিত।
গ্রামের পরিবেশ নষ্ট করেছে- নোংরা রাজনীতি।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ঠিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.